দুঃখজনক

মৌসুমী আক্তার

"তোমার সাথে আমার।কেউ কারো থেকে কম নয় বুঝেছো?তুমি আমার থেকে বেটার কিছু ডিজার্ভ করো।আর রেজাল্ট দিলেই বুঝবে। লেখাপড়া কখনো ভালো ব্রেইনে হয় না, হয় নিজের চেষ্টায়।তুমি এমনিতেও ভালো স্টুডেন্ট তার উপর প্রচুর হার্ড ওয়ার্ক করেছো।

মৌসুমী আক্তার

আমি উনার পাশে সুয়ে উনার বুকে মাথা রেখে নিজের সবটা দিয়ে আলিঙ্গন করলাম।উনি এই ভীষণ জ্বর ক্লান্তি নিয়ে আমার মাথায় চুমু দিয়ে বললেন আই লাভ ইউ দিয়া।দুটো মানুষের মান অভিমানের পরেই বুঝি ভালবাসা আরো বেশী গভীর হয়।

মৌসুমী আক্তার

আপনাকে যেতে হবে না,আপনার সাথে আমি কোথাও যেতে চাই না।এমন কি আপনার মতো বেঈমানের সাথে আমি থাকতেও চাইনা।আমি আপনার যোগ্য না তাইনা?এইজন্য আমাকে আড়াল করে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে বিজি থাকতে হয় আপনাকে।আমাকে বললেই হতো।আমি নিজেই চলে যেতাম।

মৌসুমী আক্তার

বিহানের গায়ে কালো জিন্স, কালো শার্ট গায়ে সাদা এপ্রোণ।কালোর উপর সাদা এপ্রোনে ভীষণ সুন্দর লাগছে বিহান কে।চোখ মুখে ভীষণ মলিনতা।যেনো কয়েক জন্মের কষ্ট ওর মনে।আমি বারান্দায় এক কোণে অন্ধকারে গুটিসুটি মেরে দাঁড়িয়ে রইলাম।এই প্রথমবার অনুভব করলাম,ভালবাসার মানুষ অন্যর সাথে কথা বললে কতটা কষ্ট হয়।

মৌসুমী আক্তার

"আমার নাম প্রেয়সী,তোমার মতো মেয়েকে কল দিয়েছি এটাই তোমার ভাগ্যর ব্যাপার।তুমি আমার স্টাটাস জানোনা তাই।বিহানের থেকে জেনে নিও।আমাকে ভাল কথা আর বাজে কথা শিখাচ্ছো,হাউ ডেয়ার ইউ।লজ্জা করে না তোমার, বিহানের যোগ্যতার পাশে কি আদেও মানায় তোমায়।

ইরিন নাজ

রুম থেকে এক দৌড়ে সিঁড়ির কাছে এসে থামলো হুর। -“বাব্বাহ কি বাঁচা বাঁচলাম! মনে হচ্ছিলো এতক্ষন বা’ঘের খাঁচায় ছিলাম। ধুরু ভাল্লাগেনা ছাই! আমার চাল আমার উপরে উল্টো পড়লো! ” -“কিরে আপাই তুই এখানে দাঁড়িয়ে একা একা কি বিড়বিড় করছিস! আর এই দিকে আমরা তোকে খুঁজতে খুঁজতে হয়’রান হয়ে গেলাম। ”

ইরিন নাজ

বাড়ির সামনে চলে এসেছে হুর। সে জানে বাড়িতে ঢো’কা মাত্র মিসেস হেনা তার উপর এ’টাক করবে। কিন্ত কিছু করার নেই। হুর চিন্তা করলো যদি সুযোগ পাওয়া যায় তবে এক দৌড়ে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিবে। চো’রের মতো পা টিপে টিপে ঘরে ঢুকলো হুর।

ইরিন নাজ

ঘুমের মাঝে মুখের উপর অনবরত গরম নিঃশ্বাস আ’ছড়ে পড়ায় ভীষণ অ’সস্তি হচ্ছে হুরের। তার মনে হচ্ছে কেউ একধ্যানে তার দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু চেয়েও চোখ খুলতে পারছেনা হুর। ঘুমটা যে গভীর তার।

ইরিন নাজ

ডাইনিং টেবিলে বসে আছে হুর। মিসেস হেনা হুরকে খাবার সার্ভ করছেন। হুরের একটুও খাওয়ার ইচ্ছে নেই। কিন্তু এখন না খেলে মিসেস হেনা উ’ল্টা’পা’ল্টা চিন্তা শুরু করবেন। এমনিতেই তাকে অনেক ক’ষ্টে বুঝিয়েছে হুর যে সে ঠিক আছে এখন।হুর জো’ড় করে খাওয়া শুরু করলো। যতো না খাচ্ছে তারচেয়ে বেশি নাড়ছে।

জান্নাতুল নাঈমা

এক সময়ের প্লেবয় খ্যাত সুহাস এখন বিবাহিত। এ সম্পর্কে সবাই অবগত। রোমিও সুহাস এখন আর আগের মতো নেই৷ বিয়ের পর বদল ঘটেছে বিস্তর। আকস্মিক বদলে যাওয়া এই ছেলেটি যখন বহু বছর পর ইসমাকে ফোন করে। প্রচণ্ড অবাক হয় ইসমা। বিস্ময়াপন্ন হয়ে ফোন রিসিভ করে।

জান্নাতুল নাঈমা

লোকমুখে একটি কথা প্রায়শই শুনত সুহাস৷ আজ মরলে কাল দু’দিন। নিঃসন্দেহে কথিত সেই বাক্যটি চিরন্তন সত্য। উদয়িনী নেই আজ একমাস দশদিন। এত গুলো দিন চলে গেল। মা নেই। বাড়ি ফিরে বোনের রুগ্ন দেহ আর শুষ্ক মুখ দেখে বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠল সুহাসের। দু’দিনের ছুটি। তাই ছুটে চলে এসেছে মায়ের স্বপ্নের বাড়িতে।

জান্নাতুল নাঈমা

মিসেস উদয়িনী ইজ নো মোড়! ডক্টর উদয়িনী আর নেই৷ দু’টো সন্তান আজ মাতৃহারা। সোহান খন্দকার বিপত্নীক হলেন৷ দুনিয়াতে নতুন প্রাণের আগমনে চারপাশ ঝলমলে হয়ে ওঠে৷ আপনজনেরা ছড়িয়ে দেয় উল্লাস। আনন্দে উদ্ভাসিত হয় সকলের মুখ। আর পুরোনো প্রাণ বিদায় নিলে চারপাশ মলিনতায় ছেয়ে যায়। আপনজনেরা হয় শোকাবহে স্তব্ধ। মুখাবয়বে ফুটে ওঠে বিষণ্ণতা।