পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১৮

12 Min Read

ওয়াসেনাত ভিজে চুপচুপ হয়ে বাসায় এসে পৌছে।বাসার দরজা আগে থেকেই খোলা ছিল।ওয়াসেনাত দরজার সামনে দাড়াতেই তার মা এসে হাজির।তিনি ওয়াসেনাতের গা ছুঁয়ে ছুঁয়ে তার গালে হাত রাখতেই অবাক হলেন এটা ভেবে তার মেয়ের মুখ এত গরম হয়ে আছে কেনো।ওয়াসেনাতের মার এখন ইচ্ছে করছে এক মগ পানি ওয়াসেনাতের গরম মুখে ধরে রাখতে। পানি যখন গপগপ করে গরম হবে তখন তিনি এতে চা পাতা দিয়ে চা বানিয়ে পরম আরামে সোপায় পা দুলিয়ে দুলিয়ে খাবে।কিন্তু এখন এটা করার কোনো প্রশ্নই উঠে না।তিনি বুঝতে পেরেছে তার মেয়ের অবস্থা এমনটা তখনই হয় যখন তার মেয়ের খুব কান্না পায় কিন্তু সে কাঁদতে পারে না।ওয়াসেনাত তার মাকে পাশ কাটিয়ে সোজা নিজের রুমে গিয়ে দারাম করে দরজা বন্ধ করে দেয়।

অরিএানকে বিছানায় শুয়ে রাখা হয়েছে।কিছুক্ষণ আগেই ডাক্তার দেখে গেছে।অতিরিক্ত টেনশন আর চাপ নিতে না পেরেই এমনটা হয়েছে তার ধারনা।অরিএানের মাথার ঠিক পাশে তার দাদা বসে আছে আর তার সামনে রিমন মুখ ভার করে দাড়িয়ে আছে।অরিএানের দাদা এটা ভেবেই অবাক তার নাতিও রিজেক্ট হতে পারে।কিন্তু কিছু করার নেই অবাক হয়েও লাভ নাই।তিনি ভাবছেন তার এত স্টংগ নাতি এভাবে সেন্সলেস হয়ে গেলো তাও বিনা নোটিশে।তিনি আবার মনে মনে অঙ্ক কোশে বলে না মানুষতো নোটিশ দিয়ে সেন্সলেস হয় না।তবে অরিএান কেনো হতে যাবে।রিমনের তো এখন হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে কান্নাজুড়ে দিতে মন চাচ্ছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে এমন টা করলে তাকে যে দাদার হাতের থাপ্পড় খেয়ে সেন্সলেস হতে হবে এটা ভেবেই সে নিজেকে সংযোত রাখছে।রিমনের এখন সব চাইতে বেশি অরিএানেন উপর রাগ হচ্ছে। কে বলেছিলো অরিএানকে এমন ডেন্জারাস মেয়ের প্রেমে পরে মরতে?কে বলেছি?কিন্তু এমন প্রশ্ন শোনার জন্যে বা উওর দিতে অরিএান হুশে নেই।তাই সে করছেও না।

ওয়াসেনাত নিজের রুমের সব ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে।ওয়াসেনাত যেমন চন্চল তেমন ঠাণ্ডাও কিন্তু রাগটা প্রচণ্ড যা একবার উঠলে ওয়াসেনাত নিজেও কন্ট্রোল লেস হয়ে যায়।ওয়াসেনাতের রুম দেখলে যে কেউ বলবে এখানে বিশাল এক সুনামি, টর্নেডোর মত বড় কোনো ঝড় বয়ে গেছে।ওয়াসেনাত উপত হয়ে নিচে শুয়ে আছে।গায়ে হালকা পাতলা সুতির থ্রিপিজ। চোখের পানি শুকিয়ে গেছে যা দেখে বুঝা যাচ্ছে সে কি পরিমান কান্না করেছে। এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে সে আর মাথার কাছে অরিএানের দেওয়া জামাটা আর হিজাব পরে আছে কিন্তু ছিন্নভিন্ন ভাবে মানে ওয়াসেনাত যে জামাটার কি অবস্থা করেছে তা না দেখলে বুঝার উপায় নাই।ওয়াসেনাত ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পরেছে।ওয়াসেনাতের মা এটা বুঝতে পেরেছে তার মেয়ে খুব কষ্টে আছে। বাসার পরিবেশ থমথমে। ওয়াসেনাতের মা, বাবা,ভাইয়েরা সবাই বিগত ঘন্টা খানেক থেকে দরজা ধাক্কিয়ে চলেছে।তবে দরজা ভাঙছে না কারন তারা জানে তাদের মেয়ে আর যাই করুক আত্নহ্যাতার মত মহা পাপ সে করবে না।এই ব্যাপারে তারা নিশ্চিত। কিন্তু তারা এটাও যানে ওয়াসেনাতের রাগ উঠলে সে কি করতে পারে।কতটা ভায়াবহ হতে পারে।তারা জানে ওয়াসেনাতের রাগ কমা ছাড়া আজ সে কিছুতেই দরজা খুলবেনা।

অরিএান খাটের কোন ঘেসে বসে আছে।তার চোখ কঠিন থেকে কঠিন রূপ নিয়েছে।রিমন পাইচারি করছে তো করছেই।হঠাৎ অরিএান বলে উঠে……
__গাড়ি বের কর।
__কেনো?আর তুই এখনও সুস্থ না।
__যা বলেছি কর।

রিমনের আর কিছু করার নেই সে গাড়ি বের করতে চলে গেলো।অরিএানের গন্তব্য মাদৌলির বাসা। সে সোজা মাদৌলির বাসায় ডুকে পরে।তার সাথে সাথে রিমন ও ভিতরে ডুকে পরে।মাদৌলি মনের সুখে হেয়ার ড্রাই দিয়ে চুল শুকাছিলো।অরিএান মাদৌলির হাত ধরে টেনে তার সামনে এনে ঠাসসস ঠাসসস করে দুই গালে দুটি থাপ্পড় মেরে দিল।তারপর সোপায় বসে পরে। ভুরু আঙ্গুল দিয়ে মাথার ভেসে উঠা রগ গুলো ডলতে শুরু করে।কিছুক্ষণ পরে মাদৌলির দিকে নিজের জলন্ত চোখগুলো দিয়ে তাকায়। মাদৌলি তো আগেই থাপ্পড় খেয়ে কাঁপাকাঁপি শুরু করেছে।এটা কোনো নরমাল থাপ্পড় না যাকে বলে গাল জালানো টাইপের থাপ্পড়।অরিএান বলে উঠে…….
__তোর সাহস দেখে আমি অবাক। কিভাবে করলি এটা??তোকে তো পুরস্কৃত করার প্রয়োজন। কি বলছ রিমন।কি পুরুষ্কার দি বলত??তো মিস.মাদৌলি কি পুরুষ্কার চাই আপনার বলেন?
__কককে কে নো(কাপাঁ গলায়)
__এই একটু তেই কাঁপাকাঁপি শুরু ভাবা যায়।আচ্ছা তোর সাথে এত কথা বলে লাভ নাই।রিমন দেতো।

রিমন ছুরিটা বের করে অরিএানের হাতে দেয়।অরিএান তা নিজের হাতে নিয়ে নিজের কপালে আঁকি বুকি করছে।তার রাগটা কি পর্যায়ে আছে এটা মাদৌলি এবং রিমন ভাল করেই বুঝতে পারছে।অরিএান এবার হঠাৎ দাড়িয়ে মাদৌলির হাত ধরে ঘুড়িয়ে তার গলায় ছুড়িটা হালকা করে চেপে ধরে।মাদৌলি এতে চিৎকার করে উঠে……….
__তুমি কি পাগল হয়ে গেলে? কি করছ?ছাড় আমায়? আমার ব্যথা লগছে।
__তাই নাকি। ব্যথা লাগছে।আহারে তোকে ছেড়ে দেওয়া উচিত তাই না।কিন্তু অরিএান খান নিজের প্রতি জুলুম করে না।তোকে ছেড়ে দেওয়া মানে নিজের প্রতি জুলুম করা।কি ভেবে ছিস।অরিএান ভাল মানুষ হয়ে গেছে??হুম।হয়ত হতে চেস্ট করছে কিন্তু কি যানস মানুষের মধ্যে দুটি সত্তা রয়েছে।একটা ভাল একটা খারাপ।আমি আগে খারাপটা বহন করলেও এখন ভালটা করি তার মানে এই না খারাপটা ভুলে গেছি।আমার খারাপ রূপ কেমন যানিস??হুম বল??

মাদৌলি ভয়ের চোটে কেঁদেই চলেছে। রুমে মাদৌলি বাবাও এসে হাজির হয়। মেয়ের এমন অবস্থা দেখে তিনি হতভম্ভ হয়ে দাড়িয়ে যায়।কিন্তু কিছু বলার ক্ষমতা হারান।অরিএান আবার চিৎকার করে বলে উঠে…………..
__তুই কার সাথে মিলে এগুলো করেছিস।তাড়াতাড়ি বল আমার টাইম লিমিটেড সো হারিআপ।
__অমিতা চৌধুরী(চিৎকার করে)ওনিই সব করেছে আমি কিছু করি নি সুধু ছবিগুলো দিয়েছি।

অরিএান এবার শীতল হয়ে এলো।তার হাতের ছুড়িটা নামিয়ে নিলো।কি যেনো ভেবে আবার বলে উঠে……..
__শত্রুকে বাঁচিয়ে রাখতে নেই।কিন্তু তবুও তোকে একটা সুযোগ দিলাম।আমার ওয়াসেনাত থেকে দূরে থাকবি তানা হলে এই ছুড়ি তোর গলা ভেদ করে ভিতরে চলে যাবে।(কথাটা বলেই অরিএান সাই সাই করে চলে গেলেন।মাদৌলি পোনা নেতানো সাপের মত ফস ফস করছে)

অরিএান নিজের বাড়িতে এসে একটা হকিস্টিক দিয়ে সব জিনিস বারি দিয়ে দিয়ে ভাঙ্গছে আর চিৎকার করে চলেছে।তার চিৎকারে পুরো বাড়ি ভয়ংকর ভাবে কেঁপে উঠছে।চিৎকারের কারনে অরিএানের গলার রগ ফুলে উঠেছে।রিমন দূরে দাড়িয়ে সব দেখছে কিন্তু কিছু বলছে না।অরিএানের দাদা বাড়িতে ডুকতেই রিমন তাকে নিজের কাছে ডেকে কি যেনো বুঝালো।তার বিচলিত চোখ অচিরেই সচল হয়ে এল।তিনিও রিমনের মত তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন কিন্তু কিছু বলছেন না।অরিএান আজ তার সব রাগ বাড়ির আসবাবপত্রের উপড় তুলছে।অরিএানের রাগ কমার কোন লক্ষন দেখা দিচ্ছে না।অরিএানের হাতে কাঁচ ডুকে হাত রক্তে ভেসে যাচ্ছে তবে সেদিকে তার কোন খবর নাই। সে এতটাই রেগে আছে যে তার সম্পূর্ন মুখ লাল রক্ত বর্ন ধারন করেছে।অরিএানের হাতের রক্তে নিচের জায়গা ভেসে যাচ্ছে তারপরও সে থামছে না।সে চিৎকার করেই চলেছে আর ভেঙেই চলেছে।

ঘোলাটে চোখে ওয়াসেনাত তার আশেপাশে তাকাল।সে বুঝতে পারছে না।আসলে সে কি অবস্থায় আছে।সম্পূর্ন রুম অন্ধকারে আছন্ন হয়ে আছে।ওয়াসেনাত ধিরে ধিরে উঠে বসে। সে চোখ মেলতে পারছে না।কেমন যেনো ভার ভার লাগছে।ওয়াসেনাত নিজের চেহারা দেখতে চাচ্ছে তাই ড্রেসিন টেবিলের সামনে তাকাল।কিন্তু ড্রেসিন টেবিলের আয়নাটা সে ভেঙে দিয়েছিল তাই আয়নার এক সাইড ভাঙ্গা তারপরেও তাকে দেখা যাচ্ছে। নিজের চেহারা দেখে সে নিজেই ভয় পাচ্ছে।মুখ ফুলে আছে।চোখগুলো লাল হয়ে ফুলে গেছে।ওয়াসেনাত এবার নিজের রুমের দিকে একবার চোখ বুলায়।রুমের অবস্থা দেখে ওয়াসেনাত অবাক হয়। চোখ যেতে যেতে অরিএানের দেওয়া জামাতে আটকা পরে।সে সেগুলো দেখে মনে মনে বলে উঠে অরিএানের সাথে সে জীবনেও দেখ করবেনা।কিন্তু যদিও সে পথে ঘাটে অরিএানকে দেখে তবে সে অরিএানকে এই জামা আর হিজাবের টাকা দিয়ে দিবে।তাই সে এখনই তার ব্যগে টাকা ডুকিয়ে রাখবে।ওয়াসেনাত ওয়াসরুমের দিকে না গিয়ে সোজা দরজা খুলে বাহিরে আসে তাকে দেখে বাসার সবাই অবাক হল।ওয়াসেনাতকে দেখে তার ফুফাতো বোন বলে উঠে……….
__কিরে তোর কি হয়েছে।আচ্ছা তোর কি কোনো ছেলের সাথে সম্পূর্ক ছিল বুঝি??এখন ছেঁকা খেয়েছিস।

ওয়াসেনাত কিছু বলে নি শুধু ভয়ংকর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।যা দেখে ভয়ে সে সরে যায়।ওয়াসেনাত সোজা রান্নাঘরে ডুকে পরে।তারপর এক কাপ কফি বানাতে শুরু করে। তার মা তার ভাইয়েরাও তার সাথে রান্নাঘরে ডুকে পরে কিন্তু কেউ কথা বলে না।সবাই তাকে জিনিস পএ এগিয়ে দেয়।তার মা তাকে কফির পাতা এগিয়ে দিচ্ছে তার ছোটভাই তাকে দুধের গুড়ি এগিয়ে দিচ্ছে, তার আর এক ভাই চিনি এগিয়ে দিচ্ছে। ওয়াসেনাত মনোযোগ দিয়ে কফি বানাচ্ছে তাকে দেখে মনে হবে সে মাস্টার সেফের প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করছে।ওয়াসেনাত কফির কাপ নিয়ে নিজের রুমের দিকে অগ্রসর হয় সে একবার তার মা,ভাইয়েদের দিকে তাকায় তারপর আবার নিজের রুমের দিকে যায়।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ওয়াসেনাত নিজেই সেই ছাটকা খায় কারন এখন ৫ টা বাজে মানে সে কালকে রাত ১০টা থেকে আজ বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঘুমিয়েছে।ব্যাপারটা যে মোটেও সাভাবিক না এটা ওয়াসেনাতের মাথায় ডুকছে না।সে আরামছে মুখ ধুয়ে কফির মগে চুমক দিচ্ছে।

অরিএানের সামনে রিমি বসে আছে।সে প্রতি নিয়ত হাত কচলাচ্ছে।সে ভাবতেও পারে নায় সে অরিএানের সামনে কখনো এভাবে বসতে পারবে।অরিএানের হাত ভেন্ডেজ করছে রিমন। আর বারবার রিমির কান্ডতে হাসছে।অরিএান রিমিকে উদ্যেশে করে বলে……..
__তোমার নাম রিমি তাই তো?
__হুম(অবাক হয়ে)
__অবাক হওয়ার কিছু নেই ওয়াসেনাত তোমার নামে সব সময় বলত।তুমি তো ওর প্রিয় বান্ধুবি তাই না?
__হুম
__আমি চাই তুমি আমাকে হেল্প করো?
__আমি! কিন্তু কিভাবে??
এর পরে অরিএান ওয়াসেনাত আর তার ফিলিংস সম্পর্কে সব বলে। সব শুনে রিমি অবাক হয়। কারন অরিএানের এমন রূপ সম্পর্কে সে আগে জানতো না।কিন্তু আজ তার এক অন্য রকম ধারনা হল।অরিএান রিমির ক্রাশ হলেও সে এটা ভেবে খুশি হয় ওয়াসেনাতকে অরিএান খুব ভালবাসে। কিন্তু বেচারি এটা যানে না তার ভাইও ওয়াসেনাতকে কতটা ভালবাসে।তাই তো অরিএানকে সাহয্য করবে বলে দেয়।রিমির তো ভাবতেও সেই লাগছে অরিএান তার দুলাভাই হবে।ইসসস ভাবা যায়।

অরিএান তার রুমে নিজের হাতে আঁকা একটি ছবির দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে। হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিচ্ছে আর বলছে………..
__কত সময় থেকে তোমাকে দেখছি না। এই মেয়ে তুমি কি বুঝতে পারনা আমার ফিলিংস নাকি পেরেও বুঝতে চাচ্ছ না।কেনো বলো??হোয়াই?? তুমি কেনো বুঝনা তুমি আমার মনের এক সুপ্ত প্রবাহ যা আমি সকলের কাছ থেকে গোপন রাখতে চাই।তুমি শুধু আমার।তুমি কেনো আমার মনে কষ্ট গুলো বুঝ না??কেনো??তুমি কি আমাকে কখনো বুঝবে না!!কখনোও আমার মনের ভিতরের জালাটা কি তুমি বুঝবে না??তুমি কি আমার চোখে তোমার জন্যে লুকানো অসংখ্য ভালোবাসা দেখ না?কেনো তুমি তোমার নরম মন দিয়ে আমার আনুভুতি গুলো বুঝতে চাইছ না??কেনো??তুমি কিভাবে আমার ভালোবাসাকে অপবিত্র বলেছ??কিভাবে??(বলেই চিৎকার করে নিজের হাত আবার দেওয়ালে বারি দেয়)

ওয়াসেনাত বিগত সাত দিন ঘর থেকে বের হচ্ছে না।না সে ভার্সিটি যাচ্ছে না সে বাচ্চাদের পড়াতে যাচ্ছে। আর এই সাতদিনে অরিএান প্রায় প্রতি দুই ঘন্টায় একবার ওয়াসেনাতের বাড়ির সামনে এসে ঘুড়ে যায় রাতে তো মাঝে মাঝে দেওয়াল টোপকে ওয়াসেনাতদের বাউন্ডারির ভিতরে ডুকেছে কিন্তু ওয়াসেনাতের দেখা মিলিনি………………

চলবে……………………….🍁🍁

এই গল্পের জন্যে অনেকে রাত জাগে। আমার এটা অনেক খারাপ লাগে তাই গল্প তাড়াতাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।আমি আবার ভালোবাসা টাসাতে একদম কাচাঁ😒🥴।তবুও অনেকে বলেছে অরিএান আর ওয়াসেনাতের ভালোবাসা দেখতে চায় তাদের জন্যে এখন সেভাবে লেখবো ভাবছি।আশা করি ভাল লাগবে।আর আমি যানতাম না অরিএানকে আপনাদের এত পছন্দ😲😲।সবার রিয়েকশন দেখে তো আমি হতবাক। কি ভায়াবহ ব্যাপার।ভাবা যায়।🥴🥴🍂ভুলগুলো আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন।……….🍂

Share This Article
Leave a comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।