The Best Fashion Designer Award Goes To Ms.Aira Ibnat…Plz Come To The Stage…. আজ বিডির সবচেয়ে বড় ফ্যাশন ডিজাইনিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এখানে আজ টপ10 কন্ট্রিবিউটরদের মধ্যে থেকে একজনকে উইনার ঘোষণা করা হয়েছে।আর সেই একজন হলো চৌধুরি গ্রুপ অফ কোম্পানির অনার মি.আরহাম চৌধুরির বড় মেয়ে আয়রা ইবনাত।
পরের দিন আমি ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য ঐশিদের জন্য আমাদের বাসার মোড়ে অপেক্ষা করছিলাম।এমন সময়ই একটা গাড়ি খুব স্পিডে আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো আর রাস্তার পাশে থাকা সব কাঁদা আমার জামায় লেগে গেলো।আমি খুব রেগে ঐ গাড়িটার দিকে রাস্তা থেকে একটা ইটের টুকরো নিয়ে ছুড়ে মারলাম।ওমনি গাড়ির পেছনের কাচ ঠাসসসসসসস!!!করে ফেটে গেল।
আমি পড়ছিলাম,,,,এর মাঝেই আমার ফোনে কল আসলো।আমি নাম্বারটা চেক করে দেখি ঐশি কল দিয়েছে।আমি রিসিভ করে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে একটা ছেলে বলে উঠলো,,,, ছেলেটি:হ্যালো,,,আসলে এই ফোনটা যার তার একটা অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে।
সেদিনের পর কেটে গেছে আরো ৫দিন।এরমধ্যেই আমার সাথে আদিয়াতের বেশ ভালো ফ্রেন্ডশিপ হয়ে গেছে।আয়াজের সাথেও আমাদের সবার নিয়মিত কথা হয় আমাদের এফবি গ্রুপে।এছাড়া এই কয়েকদিনে আমরা সবাই ঐশির সাথে দেখা করেছি,খেয়াল রেখেছি।এরপর আজ ৫দিন পর আমরা সবাই মিলে ভার্সিটিতে এসে ক্যান্টিনে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছি।একটুপরই আমাদের ক্লাসে যেতে হবে।
আদিয়াত সবার সামনে আমার হাত ধরে বলতে শুরু করলো,,,,,,, আদিয়াত:আমি এখন যা বলবো সব আমার মনের কথা।আমি জানিনা তুমি আমার কথাগুলো আদৌ বিশ্বাস করবে কিনা তবে এই কথাগুলো সবই সত্যি।
সাতদিন পর……. আমি শাড়ি পরে মাথায় ঘোমটা দিয়ে বসে আছি আদিয়াত আর ওর ফ্যামিলি মেম্বারদের সামনে। (সাত দিন আগে আমি বাসায় ফিরেই আদিয়াতকে সব কথা বলি।ওও তো আমার কথা শুনে মহা খুশি।তখনই আদিয়াত ওর ফ্যামিলিকে আমার কথা বলে।প্রথমে ওনারা রাজি হয়নি।কিন্তু এরপর আদিয়াত অনেক কিছু বুঝিয়ে তাদেরকে রাজি করিয়েছে।
আমরা সবাই নিরবে চোখের পানি ফেলছি হসপিটালের করিডোরে বসে।ভাবতেও পারিনি যে এমন কিছু হবে আমার সাথে।শেষ পর্যন্ত আয়মানের কথাটাই সত্যি প্রমাণিত হলো।আয়মান সেদিন ঠিকই বলেছিল,আরিয়ান আমাকে ভালোবাসে।আর আমার কথাটাও সত্যি হলো।আরিয়ান সত্যিই মরতে বসেছে।
ইভা কাঁপা কাঁপা গলায় বলতে শুরু করলো……. ইভা:আমি আজ যে কথাগুলো বলছি তাতে হয়তো তোরা আমার উপর রেগে যাবি।কারণ তোদেরকে এই কথাগুলো আমার আরো অনেক আগেই বলা উচিত ছিলো।হ্যা,আরিয়ান আমাকে বলেছিল যে ওও আয়রাকে ভালোবাসে।কিন্তু এইটা আমি মেনে নিতে পারিনি।
দশদিন পর….. আজ ইভাদের পুরো বাড়ি আলোয় ঝলমল করছে।ঝলমল তো করারই কথা।ইভা ইসলামের বিয়ে বলে কথা।উমমমমম,একটু ভুল বললাম।কথাটা হবে ইভা ইসলাম আর আরিয়ান চৌধুরীর বিয়ে বলে কথা।হ্যাঁ আপনারা সবাই ঠিকই ধরেছেন আজ ইভা আরিয়ানের শুভ পরিণয়।
সময় কারো জন্য অপেক্ষা করেনা।সময় বহমান খরস্রোতার মতো।দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে একমাস।এই এক মাসে ইভা আর আরিয়ানের সম্পর্কের বেশ ভালোই উন্নতি হয়েছে।কারণ আমরা সবাই আরিয়ানকে অনেক বুঝিয়েছি যে ওও ইভার সাথেই ভালো থাকবে।তবে দিন শেষে আরিয়ান আমার জন্য একটু হলেও কষ্ট পায়।যতই হোক আমি ওর প্রথম ভালোবাসা বলে কথা।
আরুশ:প্রথমেই বলি আমি আয়রাকে আজ থেকে আারো আট বছর আগে থেকে চিনি।ওকে প্রথমবার আমি তিয়াশাদের বাসায় তিয়াশার জন্মদিনের পার্টিতে দেখি।তখন আমি নাইনে পড়ি।
কারণ আয়রা ওর সর্বশক্তি দিয়ে আদিয়াতকে কষে থাপ্পর মেরেছে রাগে ওর পুরো শরীর কাঁপছে।একটা মেয়ের যে এতো রাগ আর এতো শক্তি থাকতে পারে তা আয়রাকে না দেখলে বোঝায় যাবে না। বাসার সবাই আদিয়াতের উপরে খুব রেগে আছে।আর তিয়াশা তো কেঁদেই যাচ্ছে।আম্মুরা সবাই তিয়াশাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।
অন্য দিকে আয়রা একটা নদীর পারে বসে আছে।ওকে ঘিরে বসেছে বাকি সবাই।সেই আসার পর থেকেই ওরা একের পর এক প্রশ্ন করেই যাচ্ছে।কিন্তু আয়রার মুখে কোনো কথা নাই।অবশেষে আয়রা বলতে শুরু করলো,,,,
একটা কালো রাত পেরিয়ে সূচনা হলো নতুন দিনের।আমরা সবাই করিডোরে বসে ঝিমাচ্ছি।তখনি একজন নার্স এসে বললো,,,,এখানে শুভর বাসার কে কে আছেন?ওনার জ্ঞান ফিরেছে।উনি আয়রা নামের কারো একজনের সাথে কথা বলতে চায়। এই কথা শুনেই আমি দৌড়ে ক্রাশের রুমে যায়।গিয়ে দেখি ওও একদম নিস্তেজ হয়ে শুয়ে আছে।
পাঁচ বছর পর,,,,,, পাঁচ বছর পর আয়রা ফিরে আসে ওর জন্মভূমি বিডিতে।তবে এই আয়রা আর ছোট নেই।সে এখন নাম করা ফ্যাশন ডিজাইনার।ওও বিডিতে ফিরে একটা হোটেল বুক করে সেখানেই থাকতে লাগে।
কবুল বলেছে তো ঠিকই।তবে তা সেহরিশ নয় বরং আয়রা।হ্যা আয়রা কবুল বলেছে।সবাই গেটের দিকে তাকিয়ে দেখে একটা সাদা পরি দাড়িয়ে আছে মুখে মিষ্টি হাসি নিয়ে। আয়রাকে আজ অসম্ভব সুন্দর লাগছে।গায়ে সাদা বারবি গাউন।গলায় ডাইমন্ডের নেকলেস।কানে ডায়মন্ড ইয়ার রিং।দুই হাতে ডজন খানেক চিকন চুরি।আংটি।পায়ে সাদা পাম্পসু।আর মাথায় হিজাব করা।