আমি পদ্মজা
শৈশবের এক ভয়াবহ স্মৃতি আর বাবার কারণহীন ঘৃণার ঘৃণার জালে আবদ্ধ পদ্মজা। মায়ের কঠোর শাসনে বেড়ে ওঠা তার জীবনে একের পর এক নেমে আসে রহস্যময় হত্যাকাণ্ড ও নিয়তির নির্মম পরিহাস। প্রভাবশালী হাওলাদার পরিবারে তার বিয়ে কি পারবে তাকে শান্তি দিতে, নাকি সেখানে অপেক্ষা করছে আরও গভীর কোনো ষড়যন্ত্র যা তাকে প্রতিশোধের পথে ঠেলে দেবে?
নীরবতার পেছনের গল্প
রিমান্ডে অমানুষিক নির্যাতনের মুখেও পাথরের মতো নিশ্চুপ এক তরুণী। একজন ইন্সপেক্টরের একটিমাত্র প্রশ্নে ভেঙে পড়ে তার সেই নীরবতা, উচ্চারিত হয় একটি নাম—পদ্মজা। কিন্তু কে এই পদ্মজা? তার অতীতে লুকিয়ে থাকা কোন দুঃসহ স্মৃতি তাকে আজ আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে?
প্রতিশোধের আগুন
মায়ের আশ্বাসে পদ্মজা অবশেষে প্রকাশ করে তার শৈশবের সেই ভয়ংকর রাতের কথা, যা ছয় বছর ধরে তাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। মেয়ের ওপর সৎ মামা হানিফের পাশবিক নির্যাতনের কথা শুনে মা হেমলতার কোমল রূপ বদলে যায়, তার চোখে জ্বলে ওঠে প্রতিশোধের আগুন। সন্তানের অপমানের প্রতিशोध নিতে একজন মা কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে?
একটি রহস্যময় হত্যাকাণ্ড
সৎ মামা হানিফের উপর প্রতিশোধের আগুন যখন জ্বলছে, ঠিক তখনই গ্রামের নদীতে ভেসে ওঠে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ। সবাই যখন হেমলতাকে সন্দেহের চোখে দেখছে, এমনকি তার নিজের মাও তাকে খুনি বলে অভিযোগ করছে, তখন তিনি নির্বিকার। হেমলতা যদি খুনি না হন, তবে কে ঘটাল এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড?
লাহাড়ি ঘরে এক মাস
গ্রামে সিনেমার শুটিং দলের আগমনে পুরো পরিবেশ উৎসবমুখর, কিন্তু হেমলতার কড়া শাসনে পদ্মজা সকলের চোখের আড়ালে। সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা পদ্মজার রূপের কথা যখন নায়িকা চিত্রা দেবীর মুখে ছড়ায়, তখন নায়ক লিখন শাহের মনেও তীব্র কৌতূহল জাগে। এই কৌতূহল কি নিছকই দেখার ইচ্ছা, নাকি কোনো নতুন সম্পর্কের সূচনা?
বাবার দেওয়া যন্ত্রণা
বাবার ছুড়ে ফেলা ভাতের থালা আর নোংরা কথায় পদ্মজার কোমল হৃদয় যখন ক্ষতবিক্ষত, তখন হেমলতা তাকে শেখান কান্নার বদলে কীভাবে শক্ত হতে হয়। বাবার এই ঘৃণা আর অবহেলার কারণ জানতে চেয়ে পদ্মজা আবারও প্রশ্ন করে তার জন্মপরিচয় নিয়ে। হেমলতার ছলছল চোখ আর অসহায় কণ্ঠ কি এবার কোনো গোপন সত্য প্রকাশ করবে?
টিনের ছিদ্রের ওপারে
বাড়িতে আসা শুটিং দলের কর্মকাণ্ড দেখার জন্য পূর্ণার করা টিনের ছিদ্র দিয়ে পদ্মজাও উঁকি দেয়। নায়ক লিখন শাহকে দেখামাত্র তার মনে এক অদ্ভুত কোমল অনুভূতির জন্ম হয়। কিন্তু এই নিষিদ্ধ আনন্দ কি বেশিদিন टिकবে? তাদের এই গোপন কার্যকলাপ যখন মা হেমলতার চোখে পড়ে যায়, তখন কী ঘটবে?
রাতের ষড়যন্ত্র
মেয়েদের গোপন ইচ্ছাপূরণে হেমলতা লাহাড়ি ঘরে জানালা বানিয়ে দেন, যা দেখে বোনেরা মুগ্ধ। পদ্মজার মুখে নিজের সৌন্দর্যের প্রশংসা শুনে হেমলতার কঠিন হৃদয়ও আর্দ্র হয়ে ওঠে। কিন্তু সেই সুখের মুহূর্তে ভাটা পড়ে যখন মাঝরাতে ঘরের পাশে দুই জোড়া পায়ের শব্দ পাওয়া যায়। এই ষড়যন্ত্রকারী কারা? তাদের উদ্দেশ্যই বা কী?
অপ্রত্যাশিত বিপদ
বৃষ্টির মধ্যে স্কুলে যাওয়ার পথে কাদায় আছড়ে পড়ে পূর্ণার পা মচকে যায়। অসহায় পদ্মজা যখন বোনকে নিয়ে অথৈ সাগরে, ঠিক তখনই তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে চিত্রনায়িকা চিত্রা ও নায়ক লিখন শাহ। কিন্তু সেদিন বিকালেই আরেক দুঃসংবাদ আসে—মুন্না নামের এক অনাথ ছেলের বাবা খুন হয়েছে। কে বা কারা এই অসহায় মানুষটিকে হত্যা করলো?
অন্ধকারের প্রহরী
টাকার লোভে মোর্শেদ রাজি হলেও, হেমলতা কিছুতেই বাড়িতে শুটিং দলের উপস্থিতি আর সহ্য করতে পারছেন না। রাতের আঁধারে লাহাড়ি ঘরের পাশে পরিচালকের সন্দেহজনক আনাগোনা তার মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি যখন একাই ষড়যন্ত্রকারীকে ধরার জন্য প্রস্তুত, তখন তার এই পদক্ষেপ কি নতুন কোনো বিপদ ডেকে আনবে?
এক অপ্রত্যাশিত চিঠি
শুটিং দল চলে যাওয়ার মুহূর্তে নায়ক লিখন শাহ সবার চোখ এড়িয়ে পদ্মজার হাতে একটি চিঠি গুঁজে দেয়। আকস্মিক এই ঘটনায় পদ্মজা ভয়ে ও উত্তেজনায় কাঁপতে থাকে, তার হাত থেকে চিঠিটি পড়ে যায়। হেমলতা যখন তার মেয়েদের অস্বাভাবিক আচরণ দেখে প্রশ্ন করেন, তখন পূর্ণা কি পারবে এই গোপন সত্য আড়াল করতে?
চিঠির পরের অধ্যায়
চার মাস পর, মেট্রিক পরীক্ষার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পদ্মজা। সেদিনের পাওয়া চিঠিটা তার মনে এক নতুন অনুভূতির জন্ম দিয়েছে। হঠাৎ করেই গ্রামে লিখন শাহর পুনরাগমন পদ্মজার শান্ত পৃথিবীতে আলোড়ন তোলে। লিখন শাহ কেন ফিরে এসেছে? তার এই ফিরে আসা কি পদ্মজার জীবনে নতুন কোনো ঝড় বয়ে আনবে?
অপেক্ষার অবসান?
লিখন শাহর আকস্মিক আগমনে পদ্মজা ভয় ও লজ্জায় তার মুখোমুখি হতে পারে না। পূর্ণার মাধ্যমে সে আরেকটি চিঠি পায়, যেখানে লিখনের ভালোবাসার আকুতি আর বিয়ের প্রস্তাব স্পষ্ট। মায়ের সিদ্ধান্তের বাইরে এক পা-ও না ফেলা পদ্মজা কি এবার নিজের অনুভূতির কথা ভাববে? তার ছোট্ট উত্তর ‘আম্মা যা চান তাই হবে’ কি লিখনের সব আশা শেষ করে দেবে?
বাসন্তীর আগমন
বাবার আচরণে পরিবর্তন আর ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়ে পদ্মজার মনে যখন সুখের বাতাস, ঠিক তখনই মোর্শেদের জীবনে বাসন্তী নামের এক নারীর অস্তিত্বের কথা প্রকাশ পায়। বিশ বছরের পুরোনো এই সম্পর্ক হেমলতা কীভাবে মেনে নেবেন? বাসন্তীর ফিরে আসার ইচ্ছে কি মোড়ল বাড়ির সাজানো সংসারে নতুন কোনো অশান্তির জন্ম দেবে?
সিংহাসনে এক রানি
মেট্রিক পরীক্ষার আগের রাতে পদ্মজার অনুরোধে হেমলতা তার জীবনের এক অজানা, কঠিন অধ্যায় তুলে ধরেন। যে মা সবসময় কঠিন খোলসে নিজেকে আবদ্ধ রেখেছেন, তার মুখে নিজের যন্ত্রণার কথা শুনে পদ্মজা নিজেকে আর সামলাতে পারে না। হেমলতার অতীতে লুকিয়ে থাকা কোন সত্য তার মেয়েকে এভাবে ভেঙে চুরমার করে দেবে?
অপ্রত্যাশিত প্রস্তাব
মেট্রিক পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে হেমলতার মনে এক অজানা আশঙ্কা। এরই মধ্যে পদ্মজার জন্য এক অপ্রত্যাশিত বিয়ের প্রস্তাব আসে, যাতে হেমলতা সম্মতিও দেন। যে মা এতদিন মেয়ের বিয়ের ঘোর বিরোধী ছিলেন, তার এই হঠাৎ পরিবর্তনে পদ্মজা হতবাক। হেমলতার এই সিদ্ধান্তের পেছনে কি কোনো গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে?
ঝড়ের রাতের অতিথি
প্রলয়ংকরী ঝড়ের রাতে বাড়িতে একা পদ্মজা। হঠাৎ এক অচেনা পুরুষের আগমন তার মনে তীব্র ভয় জাগিয়ে তোলে। লোকটি নিজেকে মাতব্বরের ছেলে আমির হাওলাদার বলে পরিচয় দিলেও পদ্মজার আতঙ্ক কাটে না। কিন্তু পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ নেয় যখন গ্রামের মাতব্বররা পদ্মজা আর আমিরকে আপত্তিকর অবস্থায় আবিষ্কার করে। এই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শেষ কোথায়?
কলঙ্কের বোঝা
মিথ্যা অপবাদে জর্জরিত পদ্মজাকে যখন গ্রামবাসী টেনেহিঁচড়ে অপমান করছে, তখন তার পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। পূর্ণা আর প্রেমা বোনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে হেমলতার আগমন ঘটে। নিজের মেয়ের এমন বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে তিনি কি নীরব থাকবেন, নাকি তার ভেতরের ঘুমন্ত বাঘিনী জেগে উঠবে?
রক্তাক্ত বিচার
কলঙ্ক থেকে মেয়েকে বাঁচাতে মাতব্বরের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাবে হেমলতা সম্মতি দেন। কিন্তু সেই রাতেই তিনি হাতে রাম দা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ভোরবেলা যখন তিনি রক্তাক্ত রাম দা আর খুনিদের রক্ত মেয়েদের পায়ে ঢেলে দিয়ে বলেন আত্মরক্ষার কথা, তখন বোঝা যায় তার বিচার শুরু হয়ে গেছে। হেমলতা কাদের খুন করেছেন? এই রক্তের শেষ কোথায়?
অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
গ্রামের সালিশে মাতব্বর মজিদ হাওলাদার তার ছেলে আমিরের সাথে পদ্মজার বিয়ে প্রস্তাব দেন, যা শুনে সবাই হতবাক। হেমলতা এক কথায় রাজি হয়ে যান। একদিকে লিখন শাহর ভালোবাসা, অন্যদিকে মুহিবের সাথে করা ওয়াদা—এই পরিস্থিতিতে পদ্মজার বিয়ে আমিরের সাথে কেন হচ্ছে? এই সিদ্ধান্তের পেছনে কি হেমলতার কোনো গভীর পরিকল্পনা আছে?
বিয়ের আগের রাত
বিয়ের ঠিক আগের দিন বাড়িতে লিখন শাহর অপ্রত্যাশিত আগমনে পদ্মজা ও পূর্ণা দুজনেই বিচলিত হয়ে পড়ে। হেমলতা যখন জানতে পারেন লিখন পদ্মজার জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল, তখন তিনি হতবাক। একদিকে আমিরের সাথে বিয়ের আয়োজন, অন্যদিকে লিখনের আকুতি—এই জটিল পরিস্থিতিতে হেমলতা কোন সিদ্ধান্ত নেবেন?
বিদায় বেলায় কান্না
বিয়ের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে যখন বিদায়ের পালা আসে, পদ্মজা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না। মায়ের জন্য তার আকুল কান্না দেখে হেমলতার কঠিন হৃদয়ও গলে যায়। যে মা সবসময় শক্ত থাকার কথা বলেন, মেয়ের বিদায়বেলায় তার বাঁধভাঙা কান্না কি শুধু বিচ্ছেদের কষ্ট, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও কোনো গভীর যন্ত্রণা?
মায়ের গোপন সত্য
পদ্মজার বিয়ের রাতে আমির তার প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করে, কিন্তু পদ্মজার মনে শুধু মায়ের জন্য চিন্তা। হেমলতা যখন পদ্মজাকে জানান যে তিনি এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং তার হাতে সময় খুব কম, পদ্মজার পৃথিবী যেন থমকে যায়। মায়ের এই গোপন সত্য কি পদ্মজা মেনে নিতে পারবে?
রক্তাক্ত রাতের সাক্ষী
হেমলতার অসুস্থতার খবর পদ্মজার মনকে বিষণ্ণ করে তোলে। এক জ্যোৎস্না রাতে মা ও দুই বোনকে নিয়ে মোর্শেদ যখন নৌকায় ঘুরতে বের হন, তখন এক ভয়ংকর ঘটনার সাক্ষী হন তারা। মাঝনদীতে একটি ট্রলার থেকে সাদা কাপড়ে মোড়ানো একটি লাশ ফেলে দেওয়া হয়। পদ্মজা ঝুঁকি নিয়ে সেই লাশ উদ্ধার করে। এই মৃতদেহটি কার? এর পেছনে কারা জড়িত?
বিয়ের দিনে দুঃসংবাদ
আমিরের সাথে বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা যখন প্রায় শেষ, তখন লিখন শাহ তার পরিবার নিয়ে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়। তার স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট আর পদ্মজার অসহায়ত্ব পুরো পরিবেশকে ভারী করে তোলে। একদিকে স্বামীর ঘর, অন্যদিকে এক heartbroken প্রেমিকের আকুতি— নিয়তির এই খেলায় পদ্মজা কোন পথে হাঁটবে?
শেষ বিদায়
হেমলতা তার জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো তার মেয়েদের সাথে কাটানোর জন্য আকুল। পদ্মজার বিয়ে এবং তার অসুস্থতার খবর শুনে লিখন শাহ যখন ছুটে আসে, তখন হেমলতা তাকে ফিরিয়ে দেন। মেয়ের সুখের জন্য তিনি যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত। কিন্তু পদ্মজার বিদায়বেলায় তার বাঁধভাঙা কান্না কি শুধু বিচ্ছেদের, নাকি অন্য কোনো ভয়ের?
শেষ নিঃশ্বাস
দীর্ঘ আট মাস পর মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে পদ্মজা যখন গ্রামে ফেরে, তখন হেমলতা তাকে চিনতেও পারেন না। মেয়ের আকুল কান্না আর ভালোবাসা কি পারবে হেমলতাকে ফিরিয়ে আনতে? নাকি পদ্মজার চোখের সামনেই তার পৃথিবী, তার মা চিরতরে হারিয়ে যাবে?
বিশ্বাসঘাতকতার যন্ত্রণা
মায়ের মৃত্যুর পর তার লেখা এক ডায়েরি থেকে পদ্মজা জানতে পারে, হেমলতা তার অসুস্থতার কথা দীর্ঘ দুই বছর ধরে লুকিয়ে রেখেছিলেন। এই সত্য জানার পর পদ্মজার পৃথিবী যেন দুলে ওঠে। যে মাকে সে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতো, তার এই বিশ্বাসঘাতকতা কি পদ্মজা মেনে নিতে পারবে?
নতুন অধ্যায়ের সূচনা
চার বছর পর, পদ্মজা এখন একজন মা এবং শিক্ষিকা। সে তার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর জন্য গ্রামে ফিরে আসে। কিন্তু তার শান্ত জীবনে আবার অশান্তির ছায়া পড়ে, যখন সে জানতে পারে তার বোন পূর্ণা এখনো অতীত ভুলতে পারেনি এবং হাওলাদার বাড়ির রহস্যের জাল এখনো কাটেনি। এই ফিরে আসা কি নতুন কোনো বিপদের সূচনা করবে?
অভিশপ্ত রাতের পুনরাবৃত্তি
হাওলাদার বাড়ির রহস্য উদঘাটনের জন্য পদ্মজা যখন জঙ্গলের গভীরে প্রবেশ করে, তখন এক অজ্ঞাত ব্যক্তির দ্বারা আক্রান্ত হয়। সে কি পারবে নিজেকে রক্ষা করতে? অন্যদিকে, পূর্ণা তার বোনের খোঁজে বেরিয়ে এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। দুই বোনের জীবনে নেমে আসা এই বিপদ কি তাদের চিরতরে আলাদা করে দেবে?
ভালোবাসার মুখোশ
পাতালঘরের গভীরে প্রবেশ করে পদ্মজা যা দেখে, তা তার পায়ের তলার মাটি কাঁপিয়ে দেয়। তার ভালোবাসার স্বামী আমির হাওলাদারের আসল রূপ যখন তার সামনে আসে, তখন তার পুরো পৃথিবী মিথ্যা হয়ে যায়। যে মানুষটাকে সে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবেসেছিল, তার এই পৈশাচিক রূপ কি পদ্মজা মেনে নিতে পারবে?
ধ্বংসের আহ্বান
আমিরের আসল পরিচয় জানার পর পদ্মজা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তার ভালোবাসা ঘৃণায় পরিণত হয়। সে আমিরকে তালাক দিতে চায়, কিন্তু আমির তাকে মুক্তি দেবে না। পদ্মজা কি পারবে এই নরক থেকে নিজেকে এবং অসহায় মেয়েগুলোকে মুক্ত করতে, নাকি আমিরের পাতা জালে সে চিরদিনের জন্য আটকা পড়ে যাবে?
প্রতিশোধের আগুন
আমিরের দেওয়া তলোয়ার হাতে নিয়ে পদ্মজা তার জীবনের শেষ সিদ্ধান্ত নেয়। একদিকে ভালোবাসা, অন্যদিকে শত শত মেয়ের আর্তনাদ। সে তার স্বামীকে মুক্তি দেবে, নাকি তার পাপের সাম্রাজ্য ধ্বংস করবে? পদ্মজার এই সিদ্ধান্ত কি পারবে দুশো বছরের পাপের অবসান ঘটাতে?
রক্তাক্ত সমাপ্তি
শেষ রাতে পুকুরপাড়ে বসেছে বিচারের আসর। পদ্মজার হাতে রাম দা, সামনে বাঁধা পাঁচজন অপরাধী। সে একে একে সবাইকে তাদের পাপের শাস্তি দেয়। কিন্তু যখন তার ভালোবাসার মানুষ, তার স্বামীর সামনে দাঁড়ায়, তখন কি তার হাত কাঁপবে না? ভালোবাসার মানুষকে খুন করে সে কি পারবে নিজেকে ক্ষমা করতে?
শেষ রাতের আর্তনাদ
পাঁচটি লাশ আর রক্তের সাগরের মাঝে পদ্মজা তার স্বামীর নিথর দেহ জড়িয়ে ধরে। তার চিৎকার, তার কান্না রাতের নিস্তব্ধতাকে ভেঙে খানখান করে দেয়। যে ভালোবাসা তাকে বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়েছিল, সেই ভালোবাসাই তাকে আজ খুনী বানিয়েছে। এই যন্ত্রণা নিয়ে সে কীভাবে বাঁচবে?
দ্বিতীয় খণ্ড: নতুন সূচনা
তেরো বছর পর, পদ্মজা এখন তিন সন্তানের মা এবং একজন শিক্ষিকা। সে তার অতীতকে পেছনে ফেলে নতুন জীবন শুরু করেছে। কিন্তু যখন স্কুলের এক ছাত্রীর উপর শিক্ষকের পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসে, তখন তার ভেতরের ঘুমন্ত সত্তা আবার জেগে ওঠে। সে কি পারবে মেয়েটিকে বাঁচাতে?
রক্তাক্ত প্রতিশোধ
ছাত্রীর উপর হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে পদ্মজা যখন দেখে আইন তার পক্ষে নেই, তখন সে নিজের হাতে আইন তুলে নেয়। রাতের আঁধারে সে একাই বেরিয়ে পড়ে সেই লম্পট শিক্ষককে শাস্তি দিতে। হেমলতার মেয়ে পদ্মজা কি পারবে তার মায়ের দেখানো পথেই বিচার করতে?
শেষ চিঠি
আমিরের রেখে যাওয়া শেষ চিঠি দুটো পদ্মজার প্রতিদিনের সঙ্গী। এক চিঠিতে লেখা তাদের ভালোবাসার রূপকথা, অন্যটিতে আমিরের অনুশোচনা আর আত্মত্যাগের গল্প। এই চিঠিগুলো কি পারবে পদ্মজার বুকের ভেতরের দগ্ধ ক্ষত সারাতে? নাকি প্রতি মুহূর্তে তাকে মনে করিয়ে দেবে এক অসমাপ্ত ভালোবাসার কথা?
পূর্ণার বিয়ে
অনেক বছর পর পূর্ণার জীবনে আবার প্রেমের ছোঁয়া লাগে। মৃদুলের সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু মৃদুলের মা পূর্ণার গায়ের রঙ নিয়ে আপত্তি তোলেন। পূর্ণা কি পারবে এই বাধা পেরিয়ে তার ভালোবাসাকে জয় করতে? নাকি সমাজের এই কালো-সাদা ভেদাভেদ তার স্বপ্নকে আবার ভেঙে দেবে?
অভিশপ্ত রাত
পূর্ণা তার অজান্তেই হাওলাদার বাড়ির এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। রিদওয়ান আর খলিলের পাশবিক অত্যাচারে তার জীবন প্রদীপ নিভে যায়। যে বোনকে পদ্মজা নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতো, তার এই করুণ পরিণতি কি পদ্মজা মেনে নিতে পারবে?
প্রেমিকের আর্তনাদ
বিয়ের সাজে পূর্ণাকে নিজের করে নিতে এসে মৃদুল যখন তার নিথর দেহ দেখতে পায়, তখন তার পৃথিবী যেন থমকে যায়। তার আর্তনাদ, তার কান্না আকাশ-বাতাস ভারী করে তোলে। ভালোবাসার মানুষকে হারানোর এই যন্ত্রণা কি মৃদুলকে পাগল করে দেবে?
যুদ্ধের প্রস্তুতি
পূর্ণার মৃত্যুর পর পদ্মজার ভেতরের সব কোমলতা যেন শেষ হয়ে যায়। সে হাতে তুলে নেয় রাম দা আর চাপাতি। তার লক্ষ্য এখন একটাই—প্রতিশোধ। হাওলাদার বংশের প্রতিটি অপরাধীকে সে তাদের পাপের শাস্তি দেবে। এই যুদ্ধে সে কি একা, নাকি তার সাথে যোগ দেবে আরও কেউ?
শেষ রাতের উৎসব
শনিবার রাতে পুকুরপাড়ে বসেছে হাওলাদারদের ভোজের আসর। পদ্মজা খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। যখন সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন সে হাতে রাম দা আর তিনটি কুকুর নিয়ে হাজির হয়। এই রাত কি হাওলাদার বংশের শেষ রাত হতে চলেছে?
রক্তাক্ত প্রতিশোধ
পদ্মজার হিংস্র আক্রমণে একে একে লুটিয়ে পড়ে মজিদ, খলিল আর রিদওয়ান। তাদের আর্তনাদ আর রক্তের স্রোতে পুকুরপাড় হয়ে ওঠে এক ভয়ংকর মৃত্যুপুরী। কিন্তু যখন সে তার ভালোবাসার স্বামী আমিরের সামনে তলোয়ার হাতে দাঁড়ায়, তখন কি তার হাত কাঁপবে? সে কি পারবে নিজের হাতে তার ভালোবাসাকে শেষ করে দিতে?
শেষ রাতের আর্তি
আমিরের চোখে জল, বুকে যন্ত্রণা। সে পদ্মজার হাতে নিজেকে সঁপে দেয়। পদ্মজার তলোয়ারের এক আঘাতে শেষ হয় আমিরের জীবন। স্বামীর নিথর দেহ জড়িয়ে ধরে পদ্মজার আর্তনাদ রাতের নিস্তব্ধতাকে ভেঙে খানখান করে দেয়। এই ভালোবাসা আর ঘৃণার খেলায় শেষ পর্যন্ত কে জিতলো?
অপেক্ষা
পদ্মজার কারাবাসের পর কেটে গেছে বহু বছর। পূর্ণার বিচ্ছেদের যন্ত্রণা নিয়ে মৃদুল পাগলপ্রায়, আর প্রেমা ইন্সপেক্টর তুষারের সংসারে থেকেও যেন একা। লিখন শাহ আজও পদ্মজার অপেক্ষায়। পদ্মজা কি জেল থেকে মুক্তি পাবে? তার এই ফিরে আসা কি পারবে সবার ভাঙা জীবনকে আবার জোড়া লাগাতে?
প্রেমের সমাপ্তি?
পদ্মজা চিঠি লিখে লিখন শাহকে জানায়, তার জীবনে আর কারো স্থান নেই। সে আমিরের স্মৃতি নিয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে চায়। অন্যদিকে, মৃদুলের পাগলামি দেখে পূর্ণার বিয়েটা কি আর হবে? ভালোবাসার এই অসমাপ্ত গল্পগুলোর শেষ কোথায়?
শেষ রাতের আহ্বান
পূর্ণাকে শেষবারের মতো দেখতে মৃদুল মাঝরাতে মোড়ল বাড়িতে ছুটে আসে। দুজনের অভিমান ভেঙে যখন ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে, তখন পূর্ণা জানতে পারে মৃদুল তাকে বিয়ে করতে আসছে। কিন্তু পূর্ণা কি জানে, এই সুখের মুহূর্তের পরেই তার জীবনে নেমে আসতে চলেছে এক ভয়ংকর কালো রাত?
অভিশপ্ত রাতের শিকার
হাওলাদার বাড়ির রহস্যের পিছু নিতে গিয়ে পূর্ণা এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের জালে আটকা পড়ে। রিদওয়ান আর খলিলের পাশবিক নির্যাতনে তার জীবন প্রদীপ নিভে যায়। যে বোনকে পদ্মজা নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতো, তার এই করুণ পরিণতি কি পদ্মজা জানতে পারবে?
প্রেমিকের আর্তনাদ
বিয়ের সাজে পূর্ণাকে নিজের করে নিতে এসে মৃদুল যখন তার নিথর দেহ দেখতে পায়, তখন তার পৃথিবী যেন থমকে যায়। তার আর্তনাদ, তার কান্না আকাশ-বাতাস ভারী করে তোলে। ভালোবাসার মানুষকে হারানোর এই যন্ত্রণা কি মৃদুলকে পাগল করে দেবে?
যুদ্ধের প্রস্তুতি
পূর্ণার মৃত্যুর পর পদ্মজার ভেতরের সব কোমলতা যেন শেষ হয়ে যায়। সে হাতে তুলে নেয় রাম দা আর চাপাতি। তার লক্ষ্য এখন একটাই—প্রতিশোধ। হাওলাদার বংশের প্রতিটি অপরাধীকে সে তাদের পাপের শাস্তি দেবে। এই যুদ্ধে সে কি একা, নাকি তার সাথে যোগ দেবে আরও কেউ?
শেষ রাতের উৎসব
শনিবার রাতে পুকুরপাড়ে বসেছে হাওলাদারদের ভোজের আসর। পদ্মজা খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। যখন সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন সে হাতে রাম দা আর তিনটি কুকুর নিয়ে হাজির হয়। এই রাত কি হাওলাদার বংশের শেষ রাত হতে চলেছে?
রক্তাক্ত প্রতিশোধ
পদ্মজার হিংস্র আক্রমণে একে একে লুটিয়ে পড়ে মজিদ, খলিল আর রিদওয়ান। তাদের আর্তনাদ আর রক্তের স্রোতে পুকুরপাড় হয়ে ওঠে এক ভয়ংকর মৃত্যুপুরী। কিন্তু যখন সে তার ভালোবাসার স্বামী আমিরের সামনে তলোয়ার হাতে দাঁড়ায়, তখন কি তার হাত কাঁপবে? সে কি পারবে নিজের হাতে তার ভালোবাসাকে শেষ করে দিতে?
শেষ রাতের আর্তি
আমিরের চোখে জল, বুকে যন্ত্রণা। সে পদ্মজার হাতে নিজেকে সঁপে দেয়। পদ্মজার তলোয়ারের এক আঘাতে শেষ হয় আমিরের জীবন। স্বামীর নিথর দেহ জড়িয়ে ধরে পদ্মজার আর্তনাদ রাতের নিস্তব্ধতাকে ভেঙে খানখান করে দেয়। এই ভালোবাসা আর ঘৃণার খেলায় শেষ পর্যন্ত কে জিতলো?
অপেক্ষা
পদ্মজার কারাবাসের পর কেটে গেছে বহু বছর। পূর্ণার বিচ্ছেদের যন্ত্রণা নিয়ে মৃদুল পাগলপ্রায়, আর প্রেমা ইন্সপেক্টর তুষারের সংসারে থেকেও যেন একা। লিখন শাহ আজও পদ্মজার অপেক্ষায়। পদ্মজা কি জেল থেকে মুক্তি পাবে? তার এই ফিরে আসা কি পারবে সবার ভাঙা জীবনকে আবার জোড়া লাগাতে?
প্রেমের সমাপ্তি?
পদ্মজা চিঠি লিখে লিখন শাহকে জানায়, তার জীবনে আর কারো স্থান নেই। সে আমিরের স্মৃতি নিয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে চায়। অন্যদিকে, মৃদুলের পাগলামি দেখে পূর্ণার বিয়েটা কি আর হবে? ভালোবাসার এই অসমাপ্ত গল্পগুলোর শেষ কোথায়?
শেষ রাতের আহ্বান
পূর্ণাকে শেষবারের মতো দেখতে মৃদুল মাঝরাতে মোড়ল বাড়িতে ছুটে আসে। দুজনের অভিমান ভেঙে যখন ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে, তখন পূর্ণা জানতে পারে মৃদুল তাকে বিয়ে করতে আসছে। কিন্তু পূর্ণা কি জানে, এই সুখের মুহূর্তের পরেই তার জীবনে নেমে আসতে চলেছে এক ভয়ংকর কালো রাত?
অভিশপ্ত রাত
হাওলাদার বাড়ির রহস্যের পিছু নিতে গিয়ে পূর্ণা এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের জালে আটকা পড়ে। রিদওয়ান আর খলিলের পাশবিক অত্যাচারে তার জীবন প্রদীপ নিভে যায়। যে বোনকে পদ্মজা নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতো, তার এই করুণ পরিণতি কি পদ্মজা জানতে পারবে?
প্রেমিকের আর্তনাদ
বিয়ের সাজে পূর্ণাকে নিজের করে নিতে এসে মৃদুল যখন তার নিথর দেহ দেখতে পায়, তখন তার পৃথিবী যেন থমকে যায়। তার আর্তনাদ, তার কান্না আকাশ-বাতাস ভারী করে তোলে। ভালোবাসার মানুষকে হারানোর এই যন্ত্রণা কি মৃদুলকে পাগল করে দেবে?
যুদ্ধের প্রস্তুতি
পূর্ণার মৃত্যুর পর পদ্মজার ভেতরের সব কোমলতা যেন শেষ হয়ে যায়। সে হাতে তুলে নেয় রাম দা আর চাপাতি। তার লক্ষ্য এখন একটাই—প্রতিশোধ। হাওলাদার বংশের প্রতিটি অপরাধীকে সে তাদের পাপের শাস্তি দেবে। এই যুদ্ধে সে কি একা, নাকি তার সাথে যোগ দেবে আরও কেউ?
শেষ রাতের উৎসব
শনিবার রাতে পুকুরপাড়ে বসেছে হাওলাদারদের ভোজের আসর। পদ্মজা খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। যখন সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন সে হাতে রাম দা আর তিনটি কুকুর নিয়ে হাজির হয়। এই রাত কি হাওলাদার বংশের শেষ রাত হতে চলেছে?
রক্তাক্ত প্রতিশোধ
পদ্মজার হিংস্র আক্রমণে একে একে লুটিয়ে পড়ে মজিদ, খলিল আর রিদওয়ান। তাদের আর্তনাদ আর রক্তের স্রোতে পুকুরপাড় হয়ে ওঠে এক ভয়ংকর মৃত্যুপুরী। কিন্তু যখন সে তার ভালোবাসার স্বামী আমিরের সামনে তলোয়ার হাতে দাঁড়ায়, তখন কি তার হাত কাঁপবে? সে কি পারবে নিজের হাতে তার ভালোবাসাকে শেষ করে দিতে?
শেষ রাতের আর্তি
আমিরের চোখে জল, বুকে যন্ত্রণা। সে পদ্মজার হাতে নিজেকে সঁপে দেয়। পদ্মজার তলোয়ারের এক আঘাতে শেষ হয় আমিরের জীবন। স্বামীর নিথর দেহ জড়িয়ে ধরে পদ্মজার আর্তনাদ রাতের নিস্তব্ধতাকে ভেঙে খানখান করে দেয়। এই ভালোবাসা আর ঘৃণার খেলায় শেষ পর্যন্ত কে জিতলো?
অপেক্ষা
পদ্মজার কারাবাসের পর কেটে গেছে বহু বছর। পূর্ণার বিচ্ছেদের যন্ত্রণা নিয়ে মৃদুল পাগলপ্রায়, আর প্রেমা ইন্সপেক্টর তুষারের সংসারে থেকেও যেন একা। লিখন শাহ আজও পদ্মজার অপেক্ষায়। পদ্মজা কি জেল থেকে মুক্তি পাবে? তার এই ফিরে আসা কি পারবে সবার ভাঙা জীবনকে আবার জোড়া লাগাতে?
প্রেমের সমাপ্তি?
পদ্মজা চিঠি লিখে লিখন শাহকে জানায়, তার জীবনে আর কারো স্থান নেই। সে আমিরের স্মৃতি নিয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে চায়। অন্যদিকে, মৃদুলের পাগলামি দেখে পূর্ণার বিয়েটা কি আর হবে? ভালোবাসার এই অসমাপ্ত গল্পগুলোর শেষ কোথায়?
শেষ রাতের আহ্বান
পূর্ণাকে শেষবারের মতো দেখতে মৃদুল মাঝরাতে মোড়ল বাড়িতে ছুটে আসে। দুজনের অভিমান ভেঙে যখন ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে, তখন পূর্ণা জানতে পারে মৃদুল তাকে বিয়ে করতে আসছে। কিন্তু পূর্ণা কি জানে, এই সুখের মুহূর্তের পরেই তার জীবনে নেমে আসতে চলেছে এক ভয়ংকর কালো রাত?
অভিশপ্ত রাত
হাওলাদার বাড়ির রহস্যের পিছু নিতে গিয়ে পূর্ণা এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের জালে আটকা পড়ে। রিদওয়ান আর খলিলের পাশবিক অত্যাচারে তার জীবন প্রদীপ নিভে যায়। যে বোনকে পদ্মজা নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতো, তার এই করুণ পরিণতি কি পদ্মজা জানতে পারবে?
প্রেমিকের আর্তনাদ
বিয়ের সাজে পূর্ণাকে নিজের করে নিতে এসে মৃদুল যখন তার নিথর দেহ দেখতে পায়, তখন তার পৃথিবী যেন থমকে যায়। তার আর্তনাদ, তার কান্না আকাশ-বাতাস ভারী করে তোলে। ভালোবাসার মানুষকে হারানোর এই যন্ত্রণা কি মৃদুলকে পাগল করে দেবে?
যুদ্ধের প্রস্তুতি
পূর্ণার মৃত্যুর পর পদ্মজার ভেতরের সব কোমলতা যেন শেষ হয়ে যায়। সে হাতে তুলে নেয় রাম দা আর চাপাতি। তার লক্ষ্য এখন একটাই—প্রতিশোধ। হাওলাদার বংশের প্রতিটি অপরাধীকে সে তাদের পাপের শাস্তি দেবে। এই যুদ্ধে সে কি একা, নাকি তার সাথে যোগ দেবে আরও কেউ?
শেষ রাতের উৎসব
শনিবার রাতে পুকুরপাড়ে বসেছে হাওলাদারদের ভোজের আসর। পদ্মজা খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। যখন সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন সে হাতে রাম দা আর তিনটি কুকুর নিয়ে হাজির হয়। এই রাত কি হাওলাদার বংশের শেষ রাত হতে চলেছে?
রক্তাক্ত প্রতিশোধ
পদ্মজার হিংস্র আক্রমণে একে একে লুটিয়ে পড়ে মজিদ, খলিল আর রিদওয়ান। তাদের আর্তনাদ আর রক্তের স্রোতে পুকুরপাড় হয়ে ওঠে এক ভয়ংকর মৃত্যুপুরী। কিন্তু যখন সে তার ভালোবাসার স্বামী আমিরের সামনে তলোয়ার হাতে দাঁড়ায়, তখন কি তার হাত কাঁপবে? সে কি পারবে নিজের হাতে তার ভালোবাসাকে শেষ করে দিতে?
শেষ রাতের আর্তি
আমিরের চোখে জল, বুকে যন্ত্রণা। সে পদ্মজার হাতে নিজেকে সঁপে দেয়। পদ্মজার তলোয়ারের এক আঘাতে শেষ হয় আমিরের জীবন। স্বামীর নিথর দেহ জড়িয়ে ধরে পদ্মজার আর্তনাদ রাতের নিস্তব্ধতাকে ভেঙে খানখান করে দেয়। এই ভালোবাসা আর ঘৃণার খেলায় শেষ পর্যন্ত কে জিতলো?
অপেক্ষা
পদ্মজার কারাবাসের পর কেটে গেছে বহু বছর। পূর্ণার বিচ্ছেদের যন্ত্রণা নিয়ে মৃদুল পাগলপ্রায়, আর প্রেমা ইন্সপেক্টর তুষারের সংসারে থেকেও যেন একা। লিখন শাহ আজও পদ্মজার অপেক্ষায়। পদ্মজা কি জেল থেকে মুক্তি পাবে? তার এই ফিরে আসা কি পারবে সবার ভাঙা জীবনকে আবার জোড়া লাগাতে?
প্রেমের সমাপ্তি?
পদ্মজা চিঠি লিখে লিখন শাহকে জানায়, তার জীবনে আর কারো স্থান নেই। সে আমিরের স্মৃতি নিয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে চায়। অন্যদিকে, মৃদুলের পাগলামি দেখে পূর্ণার বিয়েটা কি আর হবে? ভালোবাসার এই অসমাপ্ত গল্পগুলোর শেষ কোথায়?
শেষ রাতের আহ্বান
পূর্ণাকে শেষবারের মতো দেখতে মৃদুল মাঝরাতে মোড়ল বাড়িতে ছুটে আসে। দুজনের অভিমান ভেঙে যখন ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে, তখন পূর্ণা জানতে পারে মৃদুল তাকে বিয়ে করতে আসছে। কিন্তু পূর্ণা কি জানে, এই সুখের মুহূর্তের পরেই তার জীবনে নেমে আসতে চলেছে এক ভয়ংকর কালো রাত?
অভিশপ্ত রাত
হাওলাদার বাড়ির রহস্যের পিছু নিতে গিয়ে পূর্ণা এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের জালে আটকা পড়ে। রিদওয়ান আর খলিলের পাশবিক অত্যাচারে তার জীবন প্রদীপ নিভে যায়। যে বোনকে পদ্মজা নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতো, তার এই করুণ পরিণতি কি পদ্মজা জানতে পারবে?
প্রেমিকের আর্তনাদ
বিয়ের সাজে পূর্ণাকে নিজের করে নিতে এসে মৃদুল যখন তার নিথর দেহ দেখতে পায়, তখন তার পৃথিবী যেন থমকে যায়। তার আর্তনাদ, তার কান্না আকাশ-বাতাস ভারী করে তোলে। ভালোবাসার মানুষকে হারানোর এই যন্ত্রণা কি মৃদুলকে পাগল করে দেবে?
যুদ্ধের প্রস্তুতি
পূর্ণার মৃত্যুর পর পদ্মজার ভেতরের সব কোমলতা যেন শেষ হয়ে যায়। সে হাতে তুলে নেয় রাম দা আর চাপাতি। তার লক্ষ্য এখন একটাই—প্রতিশোধ। হাওলাদার বংশের প্রতিটি অপরাধীকে সে তাদের পাপের শাস্তি দেবে। এই যুদ্ধে সে কি একা, নাকি তার সাথে যোগ দেবে আরও কেউ?
শেষ রাতের উৎসব
শনিবার রাতে পুকুরপাড়ে বসেছে হাওলাদারদের ভোজের আসর। পদ্মজা খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। যখন সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন সে হাতে রাম দা আর তিনটি কুকুর নিয়ে হাজির হয়। এই রাত কি হাওলাদার বংশের শেষ রাত হতে চলেছে?
রক্তাক্ত প্রতিশোধ
পদ্মজার হিংস্র আক্রমণে একে একে লুটিয়ে পড়ে মজিদ, খলিল আর রিদওয়ান। তাদের আর্তনাদ আর রক্তের স্রোতে পুকুরপাড় হয়ে ওঠে এক ভয়ংকর মৃত্যুপুরী। কিন্তু যখন সে তার ভালোবাসার স্বামী আমিরের সামনে তলোয়ার হাতে দাঁড়ায়, তখন কি তার হাত কাঁপবে? সে কি পারবে নিজের হাতে তার ভালোবাসাকে শেষ করে দিতে?
শেষ রাতের আর্তি
আমিরের চোখে জল, বুকে যন্ত্রণা। সে পদ্মজার হাতে নিজেকে সঁপে দেয়। পদ্মজার তলোয়ারের এক আঘাতে শেষ হয় আমিরের জীবন। স্বামীর নিথর দেহ জড়িয়ে ধরে পদ্মজার আর্তনাদ রাতের নিস্তব্ধতাকে ভেঙে খানখান করে দেয়। এই ভালোবাসা আর ঘৃণার খেলায় শেষ পর্যন্ত কে জিতলো?
অপেক্ষা
পদ্মজার কারাবাসের পর কেটে গেছে বহু বছর। পূর্ণার বিচ্ছেদের যন্ত্রণা নিয়ে মৃদুল পাগলপ্রায়, আর প্রেমা ইন্সপেক্টর তুষারের সংসারে থেকেও যেন একা। লিখন শাহ আজও পদ্মজার অপেক্ষায়। পদ্মজা কি জেল থেকে মুক্তি পাবে? তার এই ফিরে আসা কি পারবে সবার ভাঙা জীবনকে আবার জোড়া লাগাতে?
প্রেমের সমাপ্তি?
পদ্মজা চিঠি লিখে লিখন শাহকে জানায়, তার জীবনে আর কারো স্থান নেই। সে আমিরের স্মৃতি নিয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে চায়। অন্যদিকে, মৃদুলের পাগলামি দেখে পূর্ণার বিয়েটা কি আর হবে? ভালোবাসার এই অসমাপ্ত গল্পগুলোর শেষ কোথায়?
শেষ রাতের আহ্বান
পূর্ণাকে শেষবারের মতো দেখতে মৃদুল মাঝরাতে মোড়ল বাড়িতে ছুটে আসে। দুজনের অভিমান ভেঙে যখন ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে, তখন পূর্ণা জানতে পারে মৃদুল তাকে বিয়ে করতে আসছে। কিন্তু পূর্ণা কি জানে, এই সুখের মুহূর্তের পরেই তার জীবনে নেমে আসতে চলেছে এক ভয়ংকর কালো রাত?
অভিশপ্ত রাত
হাওলাদার বাড়ির রহস্যের পিছু নিতে গিয়ে পূর্ণা এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের জালে আটকা পড়ে। রিদওয়ান আর খলিলের পাশবিক অত্যাচারে তার জীবন প্রদীপ নিভে যায়। যে বোনকে পদ্মজা নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতো, তার এই করুণ পরিণতি কি পদ্মজা জানতে পারবে?
প্রেমিকের আর্তনাদ
বিয়ের সাজে পূর্ণাকে নিজের করে নিতে এসে মৃদুল যখন তার নিথর দেহ দেখতে পায়, তখন তার পৃথিবী যেন থমকে যায়। তার আর্তনাদ, তার কান্না আকাশ-বাতাস ভারী করে তোলে। ভালোবাসার মানুষকে হারানোর এই যন্ত্রণা কি মৃদুলকে পাগল করে দেবে?
যুদ্ধের প্রস্তুতি
পূর্ণার মৃত্যুর পর পদ্মজার ভেতরের সব কোমলতা যেন শেষ হয়ে যায়। সে হাতে তুলে নেয় রাম দা আর চাপাতি। তার লক্ষ্য এখন একটাই—প্রতিশোধ। হাওলাদার বংশের প্রতিটি অপরাধীকে সে তাদের পাপের শাস্তি দেবে। এই যুদ্ধে সে কি একা, নাকি তার সাথে যোগ দেবে আরও কেউ?
শেষ রাতের উৎসব
শনিবার রাতে পুকুরপাড়ে বসেছে হাওলাদারদের ভোজের আসর। পদ্মজা খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। যখন সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন সে হাতে রাম দা আর তিনটি কুকুর নিয়ে হাজির হয়। এই রাত কি হাওলাদার বংশের শেষ রাত হতে চলেছে?
রক্তাক্ত প্রতিশোধ
পদ্মজার হিংস্র আক্রমণে একে একে লুটিয়ে পড়ে মজিদ, খলিল আর রিদওয়ান। তাদের আর্তনাদ আর রক্তের স্রোতে পুকুরপাড় হয়ে ওঠে এক ভয়ংকর মৃত্যুপুরী। কিন্তু যখন সে তার ভালোবাসার স্বামী আমিরের সামনে তলোয়ার হাতে দাঁড়ায়, তখন কি তার হাত কাঁপবে? সে কি পারবে নিজের হাতে তার ভালোবাসাকে শেষ করে দিতে?
শেষ রাতের আর্তি
আমিরের চোখে জল, বুকে যন্ত্রণা। সে পদ্মজার হাতে নিজেকে সঁপে দেয়। পদ্মজার তলোয়ারের এক আঘাতে শেষ হয় আমিরের জীবন। স্বামীর নিথর দেহ জড়িয়ে ধরে পদ্মজার আর্তনাদ রাতের নিস্তব্ধতাকে ভেঙে খানখান করে দেয়। এই ভালোবাসা আর ঘৃণার খেলায় শেষ পর্যন্ত কে জিতলো?
অপেক্ষা
পদ্মজার কারাবাসের পর কেটে গেছে বহু বছর। পূর্ণার বিচ্ছেদের যন্ত্রণা নিয়ে মৃদুল পাগলপ্রায়, আর প্রেমা ইন্সপেক্টর তুষারের সংসারে থেকেও যেন একা। লিখন শাহ আজও পদ্মজার অপেক্ষায়। পদ্মজা কি জেল থেকে মুক্তি পাবে? তার এই ফিরে আসা কি পারবে সবার ভাঙা জীবনকে আবার জোড়া লাগাতে?
প্রেমের সমাপ্তি?
পদ্মজা চিঠি লিখে লিখন শাহকে জানায়, তার জীবনে আর কারো স্থান নেই। সে আমিরের স্মৃতি নিয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে চায়। অন্যদিকে, মৃদুলের পাগলামি দেখে পূর্ণার বিয়েটা কি আর হবে? ভালোবাসার এই অসমাপ্ত গল্পগুলোর শেষ কোথায়?