এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা
সমাপ্তএক মামাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে মামাতো ভাই বিহান আর দিয়ার দুষ্টুমিষ্টি সম্পর্কের শুরু হয়। দিয়ার প্রতি বিহানের শাসনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা গোপন যত্ন আর অধিকারবোধ দিয়াকে এক নতুন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়। এই খুনসুটি আর অভিমানের খেলা কি শুধুই শাসন, নাকি এর গভীরে লুকিয়ে আছে না বলা কোনো ভালোবাসার গল্প?
সিজন ১
(৬৫ পর্ব)এক মামাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে মামাতো ভাই বিহান আর দিয়ার দুষ্টুমিষ্টি সম্পর্কের শুরু হয়। দিয়ার প্রতি বিহানের শাসনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা গোপন যত্ন আর অধিকারবোধ দিয়াকে এক নতুন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়। এই খুনসুটি আর অভিমানের খেলা কি শুধুই শাসন, নাকি এর গভীরে লুকিয়ে আছে না বলা কোনো ভালোবাসার গল্প?
বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে শাড়ি পরার জন্য মামাতো ভাই বিহানের ঘরে ঢুকতেই এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে দিয়া। ক্লান্ত বিহান ঘর ছাড়তে নারাজ, আর তার তীক্ষ্ণ কথায় দিয়ার অবস্থা দিশেহারা। এই শাসন কি শুধুই ক্লান্তি প্রকাশের ভঙ্গি, নাকি এর পেছনে আছে অন্য কোনো অধিকারবোধের খেলা?
ব্রাশ নিয়ে তুচ্ছ ঝগড়ার পর ফেসবুকে বিহানের করা অপমান দিয়ার মন ভেঙে দেয়। এই অসম্মান থেকে বাঁচতে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, পথেই তার মুখোমুখি হয় বিহান। কিন্তু তার পরবর্তী আচরণ আর একটি গোপন রহস্য দিয়াকে নতুন করে ভাবাতে বাধ্য করে। কেন বিহান তাকে এতটা জ্বালায় আবার গোপনে যত্নও করে?
দিয়ার চালানো 'নীল পরী নীলাঞ্জনা' নামের ফেইক আইডিটি আবিষ্কার করে ফেলে বিহান। এই গোপন তথ্যকে কাজে লাগিয়ে সে দিয়াকে তার হুকুমের গোলাম বানিয়ে ছাড়ে। কিন্তু তার অদ্ভুত সব মন্তব্য, যেখানে সে নিজেকে দিয়ার স্বামী বলে দাবি করে, দিয়াকে এক নতুন দ্বিধায় ফেলে দেয়। বিহানের এই অদ্ভুত অধিকার খাটানোর পেছনের আসল রহস্যটা কী?
বিহানের ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও দিয়াকে মামার বাড়ি ফিরে আসতে হয়। সেখানে এক অপ্রত্যাশিত ফোন কলে সে জানতে পারে বিহানের জীবনে অন্য কেউ আছে। এই খবরে দিয়ার মন ভেঙে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বিহানের রুমে কফি নিয়ে গেলে ঘটে আরেক বিপত্তি। বিহানের এই হঠাৎ রেগে যাওয়ার কারণ কি শুধুই কফি পড়া, নাকি অন্যকিছু?
বিহানের ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে দিয়া যখন নিজেকে গুটিয়ে নেয়, তখন এক অদ্ভুত স্বপ্ন তার সব চিন্তাভাবনা ওলটপালট করে দেয়। স্বপ্নে বিহান তাকে এমন কিছু কথা বলে যা সে বাস্তবে কল্পনাও করতে পারে না। ঘুম ভাঙার পর নিজেকে বিহানের ঘরে আবিষ্কার করে সে আরও অবাক হয়। রাতের স্বপ্নটা কি শুধুই কল্পনা ছিল, নাকি বাস্তবতারই প্রতিচ্ছবি?
হলুদ অনুষ্ঠানে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিহানের পাঞ্জাবিতে হলুদ লেগে যাওয়ায় দিয়া যখন ভয়ে সংকুচিত, তখন বিহান তাকে অবাক করে দিয়ে একটি বিশেষ উপহার দেয়। যে মানুষটা সবসময় তাকে বকা দেয়, তার কাছ থেকে এমন উপহার পেয়ে দিয়া দ্বিধায় পড়ে যায়। বিহানের এই দ্বৈত আচরণের পেছনের কারণটা কী?
বিহানের করা অপমানের প্রতিশোধ নিতে দিয়া তার ফোনের রিংটোন বদলে দেয়, যা সবার সামনে বিহানকে চরম অপ্রস্তুত করে ফেলে। রেগে গিয়ে বিহান যখন দিয়ার মুখোমুখি হয়, তখন আলিপের সাথে তোলা একটা ছবি তার রাগের আগুনে ঘি ঢালে। এই সামান্য ছবি নিয়ে বিহানের এমন প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়ার কারণ কি শুধুই অধিকারবোধ?
মধ্যরাতে দিয়াকে ঘুম থেকে তুলে এক অদ্ভুত আবদার করে বসে বিহান। ভূতের ভয় দেখিয়ে তাকে ব্রিজের উপর নিয়ে গিয়ে সে প্রকাশ করে তার রাগের আসল কারণ। অভিমান ভাঙার এই খেলায়, চাঁদের আলোয় বিহান যখন দিয়ার হাতে মেহেদি পরিয়ে দেয়, তখন এক নতুন অনুভূতির জন্ম হয়। এই রাতের শেষটা কি তাদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাবে?
বাবার হারানো পাঞ্জাবি নিয়ে যখন সারা বাড়ি তোলপাড়, তখন বিহান এক অদ্ভুত রহস্যের ইঙ্গিত দেয়। দিয়াকে একা পেয়ে সে সকালে ঘটে যাওয়া ব্রাশ-বিভ্রাটের এক অভিনব প্রতিশোধ নেয়। এই দুষ্টুমি আর প্রতিশোধের খেলার আড়ালে কি অন্য কোনো গল্প লেখা হচ্ছে?
পুকুরপাড়ে বসে দিয়ার অদ্ভুত আচরণ নিয়ে যখন বিহান মজা করছিল, তখন হঠাৎ এক প্রেমপত্র পাঠ করে সে সবাইকে চমকে দেয়। একজন টিকটক সেলিব্রিটির লেখা সেই চিঠিটি দিয়ার জন্য আসায় সবার মাঝে শুরু হয় গুঞ্জন। সত্যিই কি দিয়ার জীবনে নতুন কেউ এসেছে, নাকি এটা বিহানেরই কোনো নতুন চাল?
বিয়ের অনুষ্ঠানের পর ঢাকা ফিরে যাওয়ার আগে বিহানকে ফোন দেয় দিয়া, কিন্তু ফোনের আলাপচারিতা এক অদ্ভুত দিকে মোড় নেয়। 'ভাই' ডাক শুনে বিহান এমনভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় যা দিয়াকে দ্বিধায় ফেলে দেয়। সম্পর্কের এই টানাপোড়েনে বিহান আসলে দিয়াকে কী বোঝাতে চাইছে?
দুই মাসের নীরবতার পর বিহানের কাছ থেকে এক অপ্রত্যাশিত পার্সেল পায় দিয়া। ভেতরে থাকা নীল শাড়ি আর একটি চিঠি তার সব অভিমান যেন ধুয়ে দেয়। চিঠিতে লেখা কথাগুলো দিয়ার মনে নতুন করে স্পন্দন জাগায়। এই দীর্ঘ নীরবতার পর বিহানের এমন রোমান্টিক প্রকাশ কি তাদের সম্পর্কের নতুন সূচনা করবে?
দিয়ার নামে আসা প্রেমপত্র নিয়ে কাজিনদের বিচারসভায় বসে বিহান। দিয়াকে শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে সে এমন কিছু করে যা সবাইকে অবাক করে দেয়। এরপর দিয়াকে একা পেয়ে টেবিলের নিচে কলম তোলার ছলে ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। এই ঘটনাটি কি ইচ্ছাকৃত ছিল, নাকি শুধুই একটি দুর্ঘটনা?
বিহানের দেওয়া শাস্তি পালন করতে গিয়ে দিয়া বেশ কয়েকটি টি-শার্ট পুড়িয়ে ফেলে। এরপর চা-কফি বানানোর নামে বিহান তাকে যেভাবে হয়রান করে, তাতে দিয়ার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। রাগের মাথায় সে এমন এক কাণ্ড করে বসে যা তাদের দুজনকে এক অস্বস্তিকর মুহূর্তে ফেলে দেয়। এই ঘটনার শেষ পরিণতি কী হবে?
সুলতান মেলায় যাওয়ার পথে আলিপের প্রশংসায় দিয়ার মন ভালো হয়ে গেলেও, বিহান সবকিছু দেখেও চুপ করে থাকে। আলিপের দেওয়া শাড়ি পরেছে জেনে বিহানের নীরব রাগ দিয়াকে কষ্ট দেয়। সবার সামনে ফুচকা খাওয়ার সময় বিহান হঠাৎ করে একা চলে গেলে দিয়ার সব আনন্দ মাটি হয়ে যায়। এই নীরব অভিমানের শেষ কোথায়?
বিহানকে আটকানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে দিয়া ভোরবেলায় টার্মিনালে হাজির হয়। কিন্তু অভিমানের বশে বিহান এমন কিছু কথা বলে যা দিয়ার বিশ্বাসকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়। বিহানের এই কঠিন রূপের আড়ালে কি সত্যিই কোনো ভালোবাসা নেই, নাকি পুরোটাই তার অভিমানের বহিঃপ্রকাশ?
প্রচণ্ড জ্বরের ঘোরে দিয়া যখন বিহানের জন্য ছটফট করছিল, তখন বিহান তার পাশে এসে দাঁড়ায়। সুস্থ হওয়ার পর হোয়াটসএপে পাঠানো বিহানের একটি বার্তা দিয়ার সব ভুল ধারণা ভেঙে দেয়। 'শ্যামাপাখি' সম্বোধন করে লেখা সেই বার্তায় কী এমন ছিল যা দিয়ার মনকে আবার নতুন করে দোলা দেয়?
আম্মুর কাছে আলিপের নামে বিহান মিথ্যা অভিযোগ করায় দিয়া যখন রেগে যায়, তখন ছোট্ট আয়রার এক কথা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। 'দিয়াপু প্রেম করছে' শুনে বিহান যে প্রতিক্রিয়া দেখায়, তা দিয়াকে নতুন করে ভাবাতে বাধ্য করে। বিহান কি সত্যিই দিয়াকে সন্দেহ করছে, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে?
বাসে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিহান যখন দিয়াকে বাইকে করে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন প্রেয়সীর প্রসঙ্গ ওঠায় দিয়ার মন খারাপ হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এক অদ্ভুত কাণ্ড করে বসে দিয়া, যা বিহানকে হতবাক করে দেয়। কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচের সেই নির্জন পথে তাদের এই যাত্রা কি নতুন কোনো স্মৃতির জন্ম দেবে?
ফুলের দোকানে এক রহস্যময়ী মেয়ের সাথে দেখা হওয়ার পর দিয়ার মনে যখন সন্দেহের মেঘ, তখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি তাদের এক নতুন মুহূর্তে এনে দাঁড় করায়। বৃষ্টির ছোঁয়ায় বিহান এমন কিছু করে যা দিয়ার কল্পনারও বাইরে ছিল। এই বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় কি তাদের সম্পর্কের সমীকরণ পুরোপুরি বদলে যাবে?
বিহানের জন্মদিনে তাকে ফোন করে দিয়া পায় একরাশ শীতলতা। অভিমানে যখন তার মন ভারাক্রান্ত, তখন এক অপ্রত্যাশিত আগমন তার সব হিসাব পাল্টে দেয়। জন্মদিনের এই বিশেষ মুহূর্তে বিহান তাকে কী সারপ্রাইজ দিতে চলেছে?
বিহানের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হঠাৎ প্রেয়সীর আগমনে দিয়ার সব আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। বন্ধুদের সামনে প্রেয়সীর অধিকার খাটানোর ভঙ্গি আর বিহানের নীরবতা দিয়ার মনে সন্দেহের জন্ম দেয়। রাগের বশে সে নিজের হাতে বানানো কেকটি ছুড়ে ফেলে দেয়। এই ঘটনা কি তাদের সম্পর্কে নতুন ফাটল ধরাবে?
অপমানে আর কষ্টে বাড়ি ফিরে এলেও দিয়ার মন শান্ত হয় না। গভীর রাতে ছাদে বিভোরের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে সে মুখোমুখি হয় বিহানের। দিয়ার ছুড়ে ফেলা উপহার আর ভাঙা কেকের কারণ জানতে চায় বিহান। অভিমান আর যন্ত্রণার এই মুহূর্তে দিয়া কি পারবে তার মনের কথা বলতে?
প্রচণ্ড জ্বরে যখন বিহান অচেতন, তখন তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে দিয়ার জন্য জমানো সব না বলা কথা আর কষ্ট। তার সেই প্রলাপ শুনে দিয়ার সব রাগ, অভিমান গলে যায়। এই অসুস্থতার মুহূর্তে তাদের দুজনের মধ্যে যে মানসিক সংযোগ ঘটে, তা কি তাদের সম্পর্ককে এক নতুন দিকে নিয়ে যাবে?
বিহানের অসুস্থতা কমে যাওয়ায় বাড়িতে আবার খুনসুটির পরিবেশ ফিরে আসে। বিভোর আর বিহানের মধ্যে চলা এক মজার তর্কে এমন কিছু ব্যক্তিগত কথা উঠে আসে যা দিয়ার নাগালের বাইরে। দরজায় কান পেতে সেই রহস্য জানার চেষ্টা করতে গিয়ে দিয়া যা করে, তাতে এক হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কী এমন গোপন কথা চলছিল তাদের মধ্যে?
ভাইয়ের রুমে নাচ-গানের সময় হঠাৎ বিহানের আগমনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে দিয়া। এরপর তাদের মধ্যে শুরু হয় খুনসুটি আর একে অপরকে দোষারোপের পালা। কিন্তু এই ঝগড়ার মাঝেই বিহান এমন এক প্রস্তাব দেয় যা দিয়াকে অবাক করে দেয়। মেজাজ আর ভালোবাসার এই খেলায় শেষ পর্যন্ত কী ঘটবে?
এক বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে পুকুরে পড়ে যায় দিয়া। ভেজা কাপড়ে সবার সামনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়লে বিহান তার স্বভাববিরুদ্ধ কাজ করে বসে। নিজের শার্ট খুলে দিয়ার সম্মান রক্ষা করে সে। এই ঘটনায় দিয়া কি বিহানের রাগী আবরণের নিচে লুকিয়ে থাকা যত্নশীল মানুষটাকে দেখতে পাবে?
কয়েকজন ছেলের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করায় বিহান এমন এক কাণ্ড করে বসে যা দিয়ার জীবনে ঝড় তুলে দেয়। হাজার হাজার নোটিফিকেশন আর অচেনা মানুষের কলে তার ফেসবুক আইডি যখন বিপর্যস্ত, তখন মায়ের ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে তাকে থাপ্পড় পর্যন্ত খেতে হয়। এই ডিজিটাল প্রতিশোধের শেষ কোথায়?
ফেসবুকের ঘটনায় রেগে গিয়ে বিহানকে 'প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড' ঘোষণা করে দিয়া। কিন্তু বিহান সেই কথাকে পাত্তা না দিয়ে তাকে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। রাগের মাথায় দিয়ার দেওয়া একটি চুম্বনে তাদের সম্পর্কের মোড় কোন দিকে ঘুরবে?
বিহানের নামে আসা এক প্রেমপত্র দিয়ার মনে সন্দেহের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। রাগের বশে সে বিহানকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। কিন্তু চিঠির আসল রহস্য যখন উন্মোচিত হয়, তখন পরিস্থিতি এমন এক দিকে মোড় নেয় যেখানে বিভোরকে গোবরের গাদায় পড়তে হয়। এই হাস্যকর ঘটনার শেষ কোথায়?
পড়ার জন্য বিহান মধ্যরাতে ডেকে তোলায় দিয়া ঘুমের ভান করে তাকে 'ইমরান হাশমি' বলে ক্ষেপিয়ে তোলে। রেগে গিয়ে বিহান তার উপর ঠান্ডা পানি ঢেলে এক অভিনব প্রতিশোধ নেয়। এই খুনসুটি আর প্রতিশোধের রাতে তাদের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে?
এক অপ্রত্যাশিত ঘটনায় দিয়া আর বিভোরকে যখন জোর করে বিয়ে দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন বিহানের নাটকীয় আগমনে সব কিছু পাল্টে যায়। দিয়াকে বাঁচাতে নিজেকে তার স্বামী বলে পরিচয় দেয় বিহান। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে যখন তাদের সত্যিই বিয়ে হয়ে যায়, তখন এক ঝড়ের রাতে শাপলা ফুল দিয়ে সাজানো হয় তাদের বাসর। এই অদ্ভুত ফুলসজ্জার রাত তাদের জীবনে কী পরিবর্তন আনবে?
বিয়ের পর প্রথম সকালে দিঘির পাড়ে আগুনের পাশে বসে বিহান আর দিয়া একান্তে কিছু সময় কাটায়। বিহানের দুষ্টুমি আর আদুরে শাসনে দিয়ার সব লজ্জা যেন নতুন করে জেগে ওঠে। এই নতুন সম্পর্কের শুরুতে তাদের খুনসুটি আর ভালোবাসার খেলা কোন দিকে মোড় নেবে?
পিকনিকের রাতে এক অপরিচিত ছেলের নজর দিয়ার উপর পড়ায় বিহান অস্বস্তিতে ভোগে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সে সবার সামনে দিয়াকে তার 'বিবাহিত' স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। বিহানের এই হঠাৎ ঘোষণায় দিয়া অবাক হলেও, এর পেছনের আসল কারণটা কী?
বিহানের নামে আসা এক প্রেমপত্র দিয়ার মনে ঈর্ষার আগুন জ্বালিয়ে দেয়। অভিমানে সে বিহানকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। কিন্তু পরে যখন চিঠির আসল রহস্য উন্মোচিত হয়, তখন দিয়া বুঝতে পারে সে ভুল মানুষকে সন্দেহ করেছে। এই ভুলের জন্য বিহান তাকে কী শাস্তি দেবে?
ভুল বোঝাবুঝির কারণে দিয়া যখন বিহানের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়, তখন বিহান এক অদ্ভুত উপায়ে তার প্রতিশোধ নেয়। দিয়ার প্রিয় সাদা গাউনে টমেটো সস লাগিয়ে দিয়ে সে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করে যা দিয়াকে চরম বিব্রত করে। কিন্তু এই আপাতদৃষ্টিতে দুষ্টুমির পেছনে কি অন্য কোনো কারণ লুকিয়ে ছিল?
বাবার অসুস্থতার কারণে দিয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় সে যখন দিশেহারা, তখন বিহানের পাঠানো একটি চিঠি তার সব দুশ্চিন্তা দূর করে দেয়। 'পিচ্চি বউ' সম্বোধন করে লেখা সেই চিঠিতে কী এমন ছিল যা দিয়ার মনে নতুন করে বাঁচার আশা জাগায়?
বিয়ের কথা ভুলে দিয়া যখন বিষণ্ণতায় ডুবে আছে, তখন একদল মুখোশধারী তাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় এক নির্জন কাশবনে। ভয়ের চরম মুহূর্তে তার সামনে এসে দাঁড়ায় বিহান। এই অদ্ভুত কিডন্যাপিংয়ের রহস্য কী এবং তাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকীর এই রাতে কী ঘটতে চলেছে?
মেডিকেলে চান্স না পাওয়ায় দিয়া যখন হতাশায় নিমজ্জিত, তখন প্রেয়সীর একটি ফোন কল তার কষ্টকে আরও বাড়িয়ে দেয়। প্রেয়সীর বিদ্রূপ আর বিহানের সাফল্য দিয়ার মনে প্রশ্ন জাগায়, তাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী? যোগ্যতার এই মাপকাঠিতে কি তাদের ভালোবাসা হেরে যাবে?
মেডিকেল কলেজের প্রথম দিনে দিয়া এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে যখন সে আবিষ্কার করে তাদের নতুন হ্যান্ডসাম প্রফেসর আর কেউ নন, স্বয়ং বিহান। ক্লাসের সবার সামনে 'ভাই' ডেকে ফেলায় যে হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা কি তাদের শিক্ষক-ছাত্রী নাকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে নতুন কোনো দিকে মোড় দেবে?
কলেজে প্রেয়সীর হুমকির পর দিয়ার মনে যখন ভয় আর অনিশ্চয়তা, তখন বিহান তাকে নিজের কেবিনে ডেকে পাঠায়। সেখানে তাদের মধ্যে যে কথা হয়, তা দিয়াকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। বিহান কি শুধুই দায়িত্বের খাতিরে তার পাশে আছে, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে গভীর ভালোবাসা?
বিহানের দেওয়া মাছ কাটার শাস্তি থেকে বাঁচতে দিয়া এক অভিনব উপায় বের করে। কিন্তু তার চালাকি ধরা পড়ে গেলে বিহান তাকে শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে এমন এক সারপ্রাইজ দেয় যা দিয়ার কল্পনারও বাইরে ছিল। সেই গোপন ঘরে দিয়ার জন্য কী অপেক্ষা করছিল?
কলেজের মেয়েদের থেকে বিহানকে দূরে রাখতে দিয়া তাকে ফেসবুকে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তাদের এই মিষ্টি ঝগড়ার মাঝে দিয়া এমন এক কান্ড করে বসে যা বিহানকে হতবাক করে দেয়। এই ডিজিটাল যুগে তাদের খুনসুটি কোন দিকে মোড় নেবে?
ভাইয়ের আকস্মিক পলায়নে যখন পুরো পরিবারে অশান্তি, তখন বাবার অসুস্থতার সুযোগে দিয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে যায় অন্য কোথাও। বিহানের নীরবতা আর প্রেয়সীর সাথে তার বিয়ের খবর দিয়ার পৃথিবীটাকে যেন ওলটপালট করে দেয়। ভালোবাসার এই কঠিন পরীক্ষায় কে জিতবে, বিশ্বাস নাকি বেঈমানি?
বিয়ের মঞ্চে বসার ঠিক আগ মুহূর্তে যখন দিয়ার বিয়ে ভেঙে যায়, তখন এক নাটকীয় পরিস্থিতিতে বিহান তার হাত ধরে। সবার অজান্তে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাগুলোর পেছনে কি বিহানেরই কোনো গোপন পরিকল্পনা ছিল? হলুদের এই সন্ধ্যায় দিয়ার জীবনের মোড় কোন দিকে ঘুরবে?
অনেক ঝড় আর নাটকীয়তার পর অবশেষে যখন দিয়া আর বিহানের বিয়ে সম্পন্ন হয়, তখন তাদের বাসর রাতে হানা দেয় বৃষ্টি। এই বৃষ্টি কি তাদের নতুন জীবনের সাক্ষী হতে এসেছে, নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো রহস্য? ভালোবাসার এই বিশেষ রাতে তাদের প্রথম আলাপচারিতা কেমন হবে?
বিয়ের পরও বিহান যখন দিয়াকে আগের মতোই রাগাতে থাকে, তখন দিয়া অভিযোগ করে যে সে মোটেও রোমান্টিক নয়। এর উত্তরে বিহান এমন এক কথা বলে যা দিয়ার আত্মসম্মানে লাগে। 'তোকে দেখে ফিল আসে না'—এই কথার আড়ালে কি সত্যিই কোনো অনুভূতি নেই, নাকি এটা বিহানেরই নতুন কোনো চাল?
বিহানের কথায় অভিমান করে দিয়া যখন আরিফের সাথে হেসে কথা বলতে থাকে, তখন বিহানের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। রাগের মাথায় সে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর শুরু করে, যার ফলে দিয়ার পা কেটে যায়। এই ঘটনার পর অনুতপ্ত বিহান কি পারবে দিয়ার অভিমান ভাঙাতে?
পা কেটে যাওয়ার পর যখন দিয়াকে বিহান পরম যত্নে সেবা করে, তখন তাদের মধ্যে এক মিষ্টি মুহূর্ত তৈরি হয়। কিন্তু সেই মুহূর্ত ভেঙে যায় যখন বিহান দিয়াকে 'কাজের বুয়া'র মতো ঘরের কাজ করতে বলে। এই খুনসুটি আর ভালোবাসার খেলায় কে জিতবে, কাজের বুয়া নাকি ঘরের বউ?
অনেক বছর পর, এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় বিহান আর দিয়া তাদের অনাগত সন্তানের প্রতীক্ষায় ভালোবাসার স্মৃতিচারণ করে। তাদের খুনসুটি, রাগ, আর ভালোবাসার এই দীর্ঘ যাত্রা কি নতুন কোনো দিকে মোড় নেবে? এই বৃষ্টি কি তাদের জীবনে নতুন কোনো গল্পের সূচনা করবে?
বাইরের ঝগড়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিহান দিয়াকে 'মহিলা খাসি' বলে ক্ষেপিয়ে তোলে। তাদের এই মজার ঝগড়ার মধ্যে দুলাভাইয়ের এক প্রস্তাবে দিয়া এমন এক উত্তর দেয় যা বিহানকে অবাক করে। এই খুনসুটির শেষ কোথায়?
টিকটক ভিডিও বানানোর সময় হঠাৎ বিহানের আগমনে দিয়া অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। পার্কে যাওয়ার পথে বিহান প্রেম নিয়ে এমন কিছু কথা বলে যা দিয়ার মনে নতুন প্রশ্নের জন্ম দেয়। 'প্রেম কি ক্যান্সারের থেকেও ডেঞ্জারাস?'— এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে তারা কোন সত্যের মুখোমুখি হবে?
ট্রুথ অর ডেয়ার খেলার সময় বিহানকে দিয়াকে থাপ্পড় মারার ডেয়ার দেওয়া হয়। কিন্তু সে cleverly থাপ্পড়টা আলিপকে মারে এবং গল্প বানায় যে আলিপ দিয়াকে প্রপোজ করেছে। এই খেলার আড়ালে বিহান কি আলিপকে কোনো বার্তা দিতে চাইছে?
মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফলের দিনে দিয়া যখন দুশ্চিন্তায় মগ্ন, তখন বিহান একগুচ্ছ গোলাপ আর একটি সাদা এপ্রোন নিয়ে তার সামনে হাজির হয়। দিয়ার স্বপ্ন পূরণের এই মুহূর্তে বিহান তাকে যা বলে, তা তাদের সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। ভালোবাসার এই জয় উদযাপনের শেষটা কেমন হবে?
মেডিকেল কলেজের প্রথম ক্লাসে দিয়া আবিষ্কার করে যে তাদের নতুন, হ্যান্ডসাম প্রফেসর আর কেউ নন, স্বয়ং বিহান। উত্তেজনায় সে সবার সামনে বিহানকে 'ভাই' বলে সম্বোধন করে, যা এক হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এই নতুন শিক্ষক-ছাত্রী সম্পর্ক তাদের ব্যক্তিগত জীবনে কী প্রভাব ফেলবে?
কলেজে প্রেয়সীর মুখোমুখি হয় দিয়া। ভালোবাসার মানুষটিকে না পাওয়ার যন্ত্রণা থেকে প্রেয়সী দিয়াকে এমন কিছু হুমকি দেয় যা দিয়ার মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। ভালোবাসার এই টানাপোড়েনে কে জয়ী হবে - দিয়ার সরল বিশ্বাস নাকি প্রেয়সীর হিংস্র প্রতিহিংসা?
প্রেয়সীর হুমকিতে দিয়ার মন যখন বিষণ্ণ, তখন বিহান তাকে নিজের বাসায় ডেকে এনে একের পর এক কাজের ফরমাইশ করতে থাকে। তিন কেজি ছোট মাছ কাটার আদেশ পেয়ে দিয়ার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। এই পরিস্থিতিতে প্রেয়সীর বাবা-মায়ের সামনে বিহান যা করে, তা ছিল অকল্পনীয়। এই থাপ্পড়ের শেষ পরিণতি কী?
বিহানের দেওয়া মাছ কাটার শাস্তি থেকে বাঁচতে দিয়া এক বিড়ালকে দিয়ে সব মাছ খাইয়ে দেয়। কিন্তু তার এই চালাকি ধরা পড়ে গেলে বিহান তাকে শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে এমন এক রোমান্টিক মুহূর্তে ফেলে দেয়, যা দিয়ার কল্পনার বাইরে ছিল। এই মিষ্টি শাস্তির শেষ কোথায়?
শুভ আর মেহুর পালিয়ে যাওয়ার খবরে যখন পরিবারে অশান্তি, তখন বিহান শক্তভাবে তাদের পাশে দাঁড়ায়। মাস তিনেক পর, ভাইয়ের জন্মদিনে দিয়া যখন তাকে ফিরে পায়, তখন মেহুর দেওয়া এক সুখবরে সবার মন আনন্দে ভরে ওঠে। এই নতুন অতিথি কি পারবে দুই পরিবারের ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগাতে?
বিয়ের পর প্রথম ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে দিয়া যখন বিহানকে ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দেয়, তখন এক অপ্রত্যাশিত মুহূর্তে শুরু হয় বৃষ্টি। এই শীতের বৃষ্টি কি তাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকীর রাতটিকে আরও বিশেষ করে তুলবে?
সংসারের কাজে ক্লান্ত দিয়া যখন বিহানকে একজন কাজের বুয়া রাখার জন্য অনুরোধ করে, তখন বিহান তাকে ক্ষেপানোর জন্য নানা রকম কথা বলতে থাকে। তাদের এই মিষ্টি ঝগড়ার মাঝে দিয়া এমন এক কাজ করে বসে, যা বিহানকে মুহূর্তেই চুপ করিয়ে দেয়। এই অপ্রত্যাশিত চুম্বনের পর তাদের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে?
দীর্ঘদিন পর পরিবারের সবাই যখন একসাথে, তখন দিয়ার হঠাৎ অসুস্থতা সবার মনে চিন্তার ছায়া ফেলে। বিহান যখন তার হাত ধরে রাখে, তখন এক নতুন জীবনের আগমনবার্তা তাদের সম্পর্ককে এক নতুন পূর্ণতা দেয়। বাবা-মা হওয়ার এই অনুভূতি তাদের ভালোবাসার গল্পকে কোন দিকে নিয়ে যাবে?
গভীর রাতে ঘুমের ঘোরে দিয়ার করা বিরক্তিতে বিহান তাকে লাথি মেরে ফ্লোরে ফেলে দেয়। প্রতিশোধ নিতে দিয়া যখন তার কানের কাছে জোরে গান বাজানো শুরু করে, তখন তাদের মধ্যে যে যুদ্ধ শুরু হয়, তার শেষটা কি মিষ্টি হবে নাকি তিক্ত?
সমাজের ঝগড়া-ঝামেলা মেটানোর অদ্ভুত ইচ্ছা থেকে দিয়া যখন মহিলা মেম্বার হওয়ার ঘোষণা দেয়, তখন বিহান তার পরিকল্পনা শুনে হতবাক হয়ে যায়। এই হাস্যকর পরিস্থিতি তাদের দাম্পত্য জীবনে কী নতুন মোড় আনবে?
এক সন্ধ্যায় দিয়ার বৃষ্টি দেখার ইচ্ছে পূরণ করতে প্রকৃতি যখন সত্যি সত্যি বৃষ্টি নামায়, তখন বিহান তাকে পরম ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয়। তাদের অনাগত সন্তান আর ভালোবাসার এই দীর্ঘ যাত্রা নিয়ে তারা যখন কথা বলে, তখন সেই বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা তাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে। এই ভালোবাসার গল্পের শেষটা কেমন হবে?