এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - এর সবগুলো পর্ব একসাথে

পর্ব – ১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১

“বিহান ভাই আমার শাড়ি টা পরা শেষ হলে ভেতরে আসুন প্লিজ পাত্র পক্ষ এক্ষুণি চলে আসবে।” “পাত্র পক্ষ আসবে তাতে তোর সমস্যা টা কি বুঝলাম না দিয়া।পাত্র পক্ষ কি তোকে দেখতে আসছে নাকি বিভা আপুকে।তোর যে এক্সসাইটেডভাব যেনো তোকে দেখতেই আসছে।” বিহান ভাই যে এমন কথাই বলবেন সেটা আমার জানাই ছিলো আগে থেকে।

পর্ব – ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২

মানুষ মানুষকে এতটা অপমান কিভাবে করতে পারে তা ওই হৃদয়হীন মানুষ টাকে না দেখলে জানতাম না।আগে যদি জানতাম উনি বাড়িতে আসছেন তাহলে আমি কিছুতেই যেতাম না।উনি বাড়িতে নেই বলেই তো গেছিলাম।আমাকে বিরক্ত করতে না পারলে তো উনার পেটের ভাত ই হজম হয় না।

পর্ব – ৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩

যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত পোহায় যার ভয়ে আম্মুকে বলে ডাক্তার দেখানোর নামে মিথ্যা বুলি আওড়ালাম সেই বিহান ভাই এর সাথেই রাস্তায় দেখা।বাধ্য হয়ে আবার ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরেই এলাম।আমার জীবনের সব থেকে বড় সমস্যার নাম বিহান ভাই যাকে মনে মনে সহস্রবার গালি বকা দিয়েছি অথচ সে আমার সামনে এলে আমার রিতীমত

পর্ব – ৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪

পড়ন্ত বিকালে ব্যাগ পত্র গুছিয়ে রিয়াকে নিয়ে রওনা হলাম মামাদের বাসায়।এখনো রোদের আঁচ কমে নি।উত্তপ্ত রোদে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট জীবন।কিছুতেই যেতাম না কিন্তু ওই রাক্ষস এর ব্লাকমেইল এর জন্য যাচ্ছি।রিয়া ছাড়া কোথাও যাওয়ার অভ্যাস নেই আমার।তাতে আবার বিভা আপুর বিয়ে সেকারণে রিয়াকে নিয়ে যাওয়াটা আরো বেশী করে।

পর্ব – ৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫

খাঁনবংশে জন্ম গ্রহন করা টা বোধহয় মস্তবড় অন্যায় হয়েছে আমার। বংশের মানুষ একটু রগচটা টাইপের আছে।এখনো তারা পলিটিক্স এ জড়িত।মারামারি কাটাকাটি এগুলা তাদের নিত্যদিনের স্বভাব।বংশের নাম খাঁন বলেই রাজাকারের বংশের উপাধি দিয়েছেন বিহান ভাই।তার উপর আবার পলিটিক্স এ জড়িত উভয় মিলে আমাকে এই রাজাকার কথাটা শুনতে হয়।

পর্ব – ৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৬

বেদনার পরিপূরক আর আপনসঙ্গি বোধহয় অন্ধকার।একমাত্র অন্ধকারেই বেদনা কে প্রকাশ করা যায়।মনের মাঝে বেদনা,দুঃখ,কষ্ট দানা বাঁধলে তখন অন্ধকার কেই আপন করে নিতে ইচ্ছা করে আমার।আলো আমি সহ্য করতে পারি না।নিজেকে অন্ধকারে মুড়িয়ে নিকশ কালো অন্ধকারে নীল বেদনা ঢেকে ফেলতে ইচ্ছা করে।মনের মাঝে ভয়াবহ যন্ত্রণা হচ্ছে।কিন্তু কেনো হচ্ছে এই যন্ত্রণা।

পর্ব – ৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৭

সমগ্র কাজিন গুষ্টির সামনে মান সম্মান এর বারোটা বাজিয়ে দিলেন বিহান ভাই।কি জানি সবাই আমাকে কোন চোখে দেখছে।কোনো কথা না বলে ওখান থেকে উঠে চলে গেলাম আমি লজ্জায়। বিয়ে বাড়ি মানেই আনন্দ উল্লাস আর আমেজের শেষ নেই।একদিকে হলুদের জন্য উঠানেই প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে।বাড়ির ছেলেগুলো সেখানেই বিজি।

পর্ব – ৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৮

“ফাইট্টা যায় বুকটা ফাইট্টা যায় আমার বন্ধু যখন বউ লইয়া আমার বাড়ির সামনে দিয়া রঙ্গ কইরা হাইট্টা যায়।” বিহান ভাই মনে হয় কিছুক্ষণের জন্য মনে হয় হ্যাং হয়ে গেলেন।চারদিকে যত মানুষ ছিলো সবার এটেনশন গানের দিকে চলে গেলো।বিভা আপুর ফ্রেন্ড বলে উঠলো কোন ক্ষ্যাতের ফোনের রিংটোন রে এইটা।

পর্ব – ৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৯

গভীর রাতে ফ্লোরে সুয়ে আছি প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে হঠাত মনে হলো কেউ আমার হাত স্পর্শ করলো।হঠাত ঘুমের মাঝে হাত স্পর্শ করাতে কেঁপে উঠলাম আমি।চিৎকার দিতে যাবো এমন টাইমে আমার মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরলেন বিহান ভাই।আমার মুখে হাত দেওয়া অবস্থায় আমার হাত ধরে মধ্যরাতে ডেকে তুলে নিয়ে এলেন।

পর্ব – ১০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১০

ব্রিজ থেকে ফেরার সময় দেখলাম গাছের আড়ালে কিছু একটা নড়াচড়া করছে।সেই আত্মা ভেবে বিহান ভাই এর হাত শক্ত ভাবে ধরলাম আমি।বিহান ভাই আমাকে বলেন ওয়েট কর নিশ্চয় শুভ,তিয়াশ,বা বিভোর কারো সাথে লাইন মারছে।আমি বললাম ওই আত্মা ও হতে পারে।বিহান ভাই আমাকে বলেন তুই গিয়ে ঘুমিয়ে পড় বাকিটা দেখতেছি।তারপর কি হলো জানিনা।

পর্ব – ১১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১১

একটা মানুষ কোন লেভেল এর ফাজিল হলে আর খারাপ হলে তার মেয়েকে ভয় দেখানোর জন্য তার বাবার পাঞ্জাবী মধ্য রাতে নিয়ে বকুল গাছে গিয়ে আটকাতে পারে।আমার বাবার পাঞ্জাবীর দিকেই নজর গেলো উনার।মনে চাইছে মারাত্মক আকারের একটা প্রতিশোধ নিয়ে নেই কিন্তু কিভাবে নিবো সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

পর্ব – ১২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১২

আকাশে শুভ্র মেঘের ছড়াছড়ি প্রকৃতির উত্তাল হাওয়া বইছে।ছাদে দাঁড়িয়ে আছি বিষন্ন মন নিয়ে।বিহান ভাই ঢাকা যাওয়ার আগে আমার রুমে এসছিলেন আর উনার হোয়াটস এপ এ একটা মেসেজ এসছিলো।মেসেজ টা সাটার টেনেই দেখছিলাম।প্রেয়সী নামে সেভ করা কারো নাম্বার।একটা লাল লাভ স্টিকার পাঠিয়েছিলো সে।

পর্ব – ১৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৩

“প্রিয়,, কখনো ভাবিনি তোমার থেকে এমন চমৎকার গিফট পাবো।এই গিফট শুধু গিফট ই নয় আমার জীবনে তোমার আগমনের সূচনা। তোমাকে নিয়ে কত শত বার কবিতা লিখেছি কিন্তু তোমাকে বলতে পারি নি।তুমি আমার সেই অনুভূতি যার উপর রেগে গেলেও অন্য রকম অনূভুতি জাগ্রত হয়।যার রাগ আমার কাছে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

পর্ব – ১৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৪

আমার মতো আইলসার কাছে দিয়েছে কাপড় আয়রণ করতে।আমি এমনি তে ভাল একটা পারি না তার উপর কাপড় কিছু হলেই রক্ষে নেই।নিজে তাই ঘুচিমুচি কাপড় পরে ঘুরে বেড়ায়। আমার ড্রেস সব শুভ ভাইয়া আয়রন করে দেয়।কাপড় আয়রন এর ভয়ে ড্রেস ধুয়ে পানি চিপে না ফেলে পানি অবস্থায় নেড়ে দেই যাতে কাপর ঘুচিমুচি না

পর্ব – ১৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৫

নড়াইল জেলার এক ঐতিহ্যবাহী মেলার নাম “সুলতান মেলা”চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান কে কেন্দ্র করেই এ মেলার আয়োজন করা হয়।এইদিনে সব কাজিনরা মিলে আমরা নৌকা ভাড়া করে নৌকা বাইচ দেখতে যায়।

পর্ব – ১৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৬

সারারাত না ঘুমিয়ে খুব ভোরে এসে টার্মিনাল দাঁড়িয়ে রইলাম কারণ বিহান ভাই এখান থেকেই বাসে উঠবেন।বিভোর ভাই এর কাছে খবর নিয়েছি কাল থেকে সে কিছুই খায় নি।মামা মামি সবাই চিন্তিত কি নিয়ে রাগ করেছে তাদের ছেলে।তার রাগের কারণ কারো জানা নেই।সে তার ব্যাক্তিগত কিছু কাউকেই বলে না।

পর্ব – ১৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৭

শ্যামাপাখি জানো, আমি দিন দিন কত দুষ্টু হয়ে যাচ্ছি।তোমার দেওয়া ছবি আমি কতশত বার জুম করে দেখেছি।তোমার ওই গাড়ো লিপিস্টিক এর দিকে তাকিয়ে নেশাক্ত হয়ে গেছিলাম। এই পিচ্চি শুনছো তোমাকে শাড়িতে নীল রঙে রাঙানো নীলাভ সৌন্দর্যের অধিকারী লাগছে।

পর্ব – ১৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৮

ওয়াল ঘেষে দাঁড়িয়ে আছি আমি আমার হাত শক্ত ভাবে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন বিহান। উনার মুখশ্রির অদলে বেশ পরিবর্তন সেই রাগি ভাবটা আর নেই।আমি উনার থেকে নিজেকে ছড়ানোর চেষ্টা করছি।নিঃসন্দেহে বিহান ভাই একজন শক্ত পক্ত শক্তিশালী মানুষ উনার থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা যে বৃথা চেষ্টা তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

পর্ব – ১৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৯

বাসের মধ্য বিহান ভাই এর কাঁধে মাথা দিয়ে ঝিমিয়ে পড়েছি আমি।চোখ মেলে চাইতেই পারছি না।মাথা টা ঝিম ঝিম করছে আমার।বিহান ভাই মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।একটা গ্যাসের ট্যাবলেট আর সাথে একটা বমির ওষুধ খাইয়ে দিলেন।

পর্ব – ২০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২০

পূবালি হাওয়াতে চুল গুলো এলোমেলো ভাবে উড়ছে, কখনো নিজের চোখে মুখে তো কখনো বিহান ভাই এর চোখে মুখে।মনের মাঝে ভীষণ ভালো এক অনুভুতি কাজ করছে। এই মুহুর্তে একটাই গান মনে পড়ছে এই পথ যদি না শেষ না তবে কেমন হতো তুমি বলোতো।কিন্তু উনাকে বলা যাবে না।উনার মনে এক মুখে আরেক।

পর্ব – ২১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২১

জন্মদিন মানেই বিশেষ একটি দিন।সে দিন টা যদি আবার হয় প্রিয় জনের তাহলে সেই দিন টা বিশেষ এর থেকেও বিশেষ হয়।আজ রাত বারোটা বাজলেই বিহান ভাই এর জন্মদিন।কিন্তু উনি তো এলেন না।

পর্ব – ২২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২২

আজ বিহান ভাই আর আমার মাঝে কোনো দূরত্ব নেই।মনে হচ্ছে মনের খুব কাছাকাছি চলে এসছি আমরা।ছাদে সবার আড্ডার মাঝে বার বার চোখাচোখি হচ্ছে আমাদের।কাজিন রা সবাই মিলে অনেক আনন্দ করছিলাম আমরা।কিছুক্ষণ পরেই কেক কাটবো আমরা।নিচ থেকে বিভোর ভাই এর আম্মু ডাকলেন কারা যেনো এসছে বাড়িতে।

পর্ব – ২৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৩

কাউকে ভীষণ ভালবেসে ফেলার পরে নিজের মন বোধ হয় আর নিজের কন্ট্রোলে থাকে না।নিজের অনিচ্ছায় মন অন্য কারো দখলে চলে যায়।মন একবার কারো দিকে ঘুরে গেলে তাকে আর ফেরানো যায় না।এই কিশোরী মন টা যে বিহান ভাই কেটে নিয়েছে শুধুই কি যাতনা দেওয়ার জন্য।

পর্ব – ২৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৪

“প্রিন্সেস ডায়নার একটা উক্তি এতদিন ধরে মনের মাঝে পুষে রেখেছিলাম আমি যাকে ভালবাসি সে আমি বাদে বিশ্বের সবাইকে ভালবাসে।” মন খারাপ হয়েছে, ভেঙে পড়েছি,কেঁদেছি ওই কঠিন মানুষ টার জন্য।এতদিন যাকে হৃদয়হীন ভেবেছি সেই মানুষ টা ও কাঁদতে জানে এতটা আবেগপ্রবন ভাবে সেটা আগে জানা ছিলো না।

পর্ব – ২৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৫

“সন্ধ্যার রেশ কেটে খানিক টা রাত হয়েছে, বৃষ্টি এখনো কমে নি,বাইরে প্রবল বেগে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।জানালার পর্দা ভেদ করে বৃষ্টির ফোঁটা রুমের এসে প্রবেশ করছে।বিহান ভাই জানালার পর্দা সরিয়ে বৃষ্টির হাওয়া লাগাচ্ছেন গায়ে আর হালকা শীতে কাঁপছেন।” “আমি রান্নাঘর থেকে খাবার এনে বিহান ভাই কে খাইয়ে দিলাম।লক্ষি ছেলের মতো আমার মুখের দিকে

পর্ব – ২৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৬

বিহান ভাই কে দেখে রিতীমতো ভড়কে গেলাম আমি।আশে পাশে তাকিয়ে দেখি রিয়া,তোহা আপু আর মেহু কেউ নেই।কোথায় ওরা?এক সাথেই তো নাচ গান করছিলাম।আমাকে এই রাক্ষস মানব এর সামনে রেখে কোথায় বেপাত্তা হয়ে গেলো ডায়নির দল।নিশ্চয়ই আগে থেকে ওরা বিহান ভাই কে দেখে পালিয়েছে।

পর্ব – ২৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৭

জীবনে অনেক মানুষের বয়ফ্রেন্ড দেখেছি কিন্তু আমার বয়ফ্রেন্ড এর মতো দুনিয়াতে দেখি নি।মনে হয় ওই এক পিছ ই ওপরওয়ালা সৃষ্টি করেছেন।প্রেমিকা পানিতে পড়ে গিয়েছে কোথায় ঝাপ দিয়ে গিয়ে কোলে করে তুলবে সেটা নয় ক্ষিপ্ত নয়নে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।উনার চাহনি দেখে হৃদপিন্ড কাঁপা শুরু হলো।আমি ভীতু ভীতু নয়নে উনার দিকে তাকালাম।

পর্ব – ২৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৮

ঠাসসস শব্দে কেঁপে উঠলো রুম।আম্মুর হাতের পাঁচ আঙুল আমার গালে লেগে গেলো।আম্মুর যথেষ্ট বকাবকিতেও মন ভরে নি।তার ধারণা তার মেয়ে অন্য জগতে প্রবেশ করেছে।তার মেয়ে এমন মানুষদের সাথে ফোনে কথা বলে তারা ভিডিও কলে অশালীন জিনিস দেখায়।

পর্ব – ২৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৯

নিমিষেই মনে হলো খানিকটা থুতু আমার পেটে প্রবেশ করলো।ওয়াক থুঃনিজের থুতু তাই ফেলে দেই আমি।আর অন্য একজনের টা ভাবতেই কেমন বমি বমি পাচ্ছে আমার।দৌড়ে গিয়ে উনার জানালা দিয়ে সেকেন্ডে সেকেন্ডে থু ফেলছি আমি।বুঝলাম না ওই অসভ্য মানব টা কি অমৃত পান করেছে।উনার ঠোঁটের কোনায় যেনো মহা প্রশান্তি দুষ্টু হাসি।

পর্ব – ৩০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩০

মারাত্মক লজ্জা পেয়ে শুভ ভাইয়া অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ালো।আমি বিহান ভাই এর পিছনে দাঁড়িয়ে আছি আমাকে অন্ধকারে দেখা যাচ্ছে না।লজ্জা আমার ও লাগছে কারণ নিজের আপণ ভাইয়ের প্রেম কাহিনী এভাবে সামনে আসলে ভাইয়া আর আমি দুজনের ই লজ্জা।

পর্ব – ৩১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩১

মানুষের জীবনে সমস্যা কখনো বলে আসে না আজ নিজের জীবন দিয়ে সেটা বুঝতে পারছি।কখনো ভাবতেই পারি নি আমার জীবনে এমন বাজে কোনো সিসুয়েশন আসবে।বিভোর ভাই কে সবাই বাজে ভাবে কথা শুনিয়ে চলেছে।বিভোর ভাই কিছুতেই আমার সাথে বিয়ে কল্পনাও করতে পারেন না।আমাকে নিজের মায়ের পেটের বোনের বিকল্প কিছুই ভাবেন না উনি।

পর্ব – ৩২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩২

প্রকৃতির প্রচন্ডে তান্ডবে উন্মুক্ত খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আছি আমরা দুজন সদ্য বিবাহিত নব দম্পতি।উথাল পাথাল বাতাসে আমার গাড় লাল জরজেট ওড়ণা উড়ে গিয়ে উনার মুখে ছেয়ে গেলো।প্রচন্ড বাতাসে উনার সিল্ক চুল গুলো উড়ছে আমার সামনে এই মুহুর্তে যেনো পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে।

পর্ব – ৩৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩৩

ধুলাময়লা ধুয়ে সতেজ হয়ে উঠেছে প্রকৃতি।দিঘীর পাড়ে কয়েকটুকরো কাঠে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছি আমরা দুজনে।দুইটা গাছের মাঝ বরাবর আগুন জ্বালিয়ে দুই সাইডের দুইটা গাছে হেলান দিয়ে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছি দুজনে।দুজনের চোখের দৃষ্টি দুজনের দিকেই আছে।দিঘীতে অনেক লাল লাল শাপলা ফুটে রয়েছে বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়ে শাপলা গুলো গোসল করে তাদের রুপ যেনো

পর্ব – ৩৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩৪

–মধ্যরাতের আকাশ যেনো ভীষণ মায়াবী রূপ ধারণ ধরে আছে।নীল আকাশ এর নীলের সাথে ভেষে বেড়ানো সাদা মেঘের বুঝি ভীষণ ভাব।তা না হলে এই সাদা মেঘ ঘুলো এই শুনশান নিরবতায় রাতের আকাশে ভেষে বেড়ায় কেনো?সাথে চাঁদ ও যেনো আজ পূর্ণ তিথিতে আছে।গোলাকার রুটির আকৃতির রক্তিন বর্ণের চাঁদ বুঝি আজ উঠেছে আমাদের মধুচন্দ্রিমার সাক্ষী

পর্ব – ৩৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩৫

“প্রিয় “B” মধ্যরাতে আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা তোমাকে দেখে ভীষণভাবে মন হারিয়েছে আমার।তোমার হাসিটা মারাত্মক সুন্দর।তুমি বিবাহিত না এটা আমি জেনেই প্রেমপত্র লিখতে বসেছি।তুমি কি রাগ করবে আমার এই পত্র পেয়ে।হয়তো ভাববে এইভাবে কিভাবে প্রেম হয়।এমি এক দেখায় তোমার প্রেমে পড়িনি।আমি হাজার বার দেখেছি তোমাকে।

পর্ব – ৩৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩৬

বাসায় একটা ছোট সদস্য থাকলে জীবন নাজেহাল করেই ছাড়বে।ছাড়বে মানে ছাড়বেই মান ইজ্জত সব পানিতে ধুয়ে দিবে।এই দিকে আমার বই পড়তে বসা মানে প্রথমে বিশাল মনোযোগ দিয়ে চেয়ার টেবিল এ গিয়ে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া বইয়ের দিকে।

পর্ব – ৩৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩৭

চোখ মুখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছি আমি লজ্জায় মরি মরি অবস্থা। শুধু মনে হচ্ছে এই মুহুর্ত টা কেনো এলো আমার জীবনে।এই মুহুর্তে এমন অনর্থ না হলেও পারতো।ঠাসস করে টাওয়াল এর গিট টা ও খুলে গেলো। এক হাত দিয়ে দ্রুত টাওয়াল টা ধরলাম। এইভাবে সব সমস্যা কি একসাথেই আসতে হলো।চোখ পিট পিট […]

পর্ব – ৩৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩৮

সকাল দশ টা বাজে সূর্যমামা তার পূর্ণ উত্তাপ ছড়িয়ে দিয়েছে পৃথিবীতে।ক্রমশ প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।আরো এক ঘন্টা আগে গোসল করে চুল ফ্যানের নিচে দিয়ে সুয়ে আছি।চুলের পানি ঝরলে চুল বেঁধে রেডি হয়ে নিলাম।এই গরমে কি পোশাক পরবো সেটা ভেবে দিশেহারা।আবার খারাপ পোশাক পরেও যাওয়া যাবে না।কাল সারারাত উত্তেজনাতে ঘুম হয় নি।

পর্ব – ৩৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩৯

যে চিঠি নিয়ে এত বড় একটা ইতিহাস হয়ে গেলো সেই চিঠি আসলে বিহান ভাই নয় বিভোর ভাই এর ছিলো।বিভোর ভাই এর মুখটা ফ্যাকাসে বর্ণ ধারণ করেছে।কারণ বিভোর ভাই ও শতভাগ নিশ্চিত ছিলেন যে ওই চিঠিটা বিহান ভাই এর ই হবে।

পর্ব – ৪০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪০

ভ্যাপসা গরমে ঘেমে মুখশ্রী লাল থেকে কালো রুপ ধারণ করেছে।বেশী ঘামলে মুখ তৈলাক্ত হয়ে কালো হয়ে যায় এই সমস্যার কোনো সমাধান ই পেলাম না আজ ও।রাস্তা থেকে আইসক্রিম কিনে রিয়া আর আমি খেতে খেতে বাসায় আসলাম।বিকালে আবার কোচিং এ ক্লাস আছে।সারারাস্তা প্রতিজ্ঞা করেছি আর জীবনে কথা বলবো না উনার সাথে।

পর্ব – ৪১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪১

বিভোর ভাই কে জ্বলানোর জন্য রিয়া যে এমন করছে সেটা আমি শতভাগ নিশ্চিত। আমি তো ভাবতাম ওরা ফান ই করে কিন্তু বিভোর ভাই এর হাব ভাবে এটা ক্লিয়ার যে উনি রিয়ার প্রতি সিরিয়াস।রিয়ার ভাব দেখেও তাই মনে হচ্ছে।বিভোর ভাই নিয়াজের দিকে তাকিয়ে বললেন নিয়াজ তুমি না রহমান কাকার ছেলে।

পর্ব – ৪২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪২

আম্মুর ভীষণ গুরুগম্ভীর ভাবে ভাইয়া চিন্তিত।ভাইয়া একটু ভয় ও পাচ্ছে।ভাইয়াকে বললাম ভাইয়া আম্মু সব টা জেনে গিয়েছে তুমি আম্মুকে জানিয়ে দাও সব কিছু।আজ মেজ কাকি এসে বাজে কথা শুনিয়ে গিয়েছে।ভাইয়া কথাটা শুনেই রেগে গেলো।দিয়া ওই মহিলার সমস্যা কি?এমনিতেও সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই উনার।

পর্ব – ৪৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪৩

বাইরে উত্তপ্ত সূর্য প্রকৃতির পরিবেশ আগুনময় করে তুলেছে।সূর্য নিজ তেজ নিয়ে আস্তে সস্তে আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।এই শরৎকাল টা বড্ড ভালো লাগে আমার অবেলায় হুট করে বৃষ্টি আসে,ভ্যাপসা গরম আবার রাত শেষে একটু ঠান্ডা পড়ে ফ্যান ছেড়ে পাতলা কাঁথার নিচে শেষ রাতে আরামদায়ক একটা ঘুম দিয়েছি।কাল রাতে আম্মু আমার পাশে ঘুমিয়েছিলো।

পর্ব – ৪৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪৪

জোসনা মাখা চাঁদ সেদিন ও সাক্ষি ছিলো আমাদের ভালবাসার আজ ও সাক্ষী আমাদের ভালবাসার।এইজন্যই বুঝি চাঁদের সাথে আমার এত ভাব।এই সেই দিনটা যেদিন সবার আড়ালে বিহান ভাই এর সাথে আমার বিয়ে হয়েছিলো।এই দিন টা আমার জীবনের সব থেকে দামি একটা দিন।

পর্ব – ৪৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪৫

নিস্তব্ধতা চারদিকে,কোথাও কেউ নেই যতদূর চোখ যায় শুধু সাদা সাদা কাশফুল দেখা যাচ্ছে।ওর কি প্রেমিক প্রেমিকাদের ভালবাসার সাক্ষী হওয়ার জন্য জন্ম নিয়েছে।না জানি কত প্রিয় দের প্রিয় তম মুহুর্তের সাক্ষী ওরা। চাঁদের সোনালি আলোতে জোসনা বিলাস প্রিয় মানুষ টার সাথে করার মতো সৌভাগ্য সবার থাকে না।

পর্ব – ৪৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪৬

মাথায় পেইন হয়েছে এমন একটা ভাব ধরে সুয়ে আছি কেননা বিহান ভাই আবার আগের রুপে অবতরণ করেছেন।এখন উনার মাঝে বর বর কোনো ভাব নেই।এখন মামাবাড়িতে যাওয়া মানেই রিস্ক বিহান ভাই সারাক্ষণ বই পড়াবেন না পারলে অনেক অপমান করবেন।

পর্ব – ৪৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪৭

এক্সকিউজ মি!আপনি আমার ওড়ণা দিয়ে আপনার ওই জেল ফেল লাগানো চুল মুছতেছেন।আমার ওড়না ছাড়ুন, ছাড়ুন বলছি।কথাটা বলেই উনার দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকালাম। “উনি আমার মুখের উপর ঝুঁকে এসে বললেন, হোয়াট ইজ ইওর প্রব্লেম মিসেস বিহান।বউ আমার,ওড়না আমার বউ এর, আপনি এত রিয়্যাক্ট করছেন কেনো?আমি তো আপনাকে কিছু করছিনা।

পর্ব – ৪৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪৮

সবুজ মেরুর দেশে শুধুই সবুজের সমারোহ।চারদিকে সবুজ ধান ক্ষেত হয়তো পনেরো দিনের মাঝেই ফুল আসবে গাছে।প্রসস্ত বিলের মাঝে চিকন একটা পিজঢালা রাস্তা যার চারদিকের কুল কিনারা দেখা যাচ্ছে না।বাতাসে ধানক্ষেতের ধানের পাতা গুলো দোল খাচ্ছে যেনো স্রোত বয়ে যাচ্ছে ধানের পাতায়।মাঝে মাঝে কাক তাড়ুয়া ও আছে।কৃষক রা ধান হওয়ার আগেই কাকতাড়ুয়া লাগিয়ে

পর্ব – ৪৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪৯

আমার সাথে কথা না বলার কারণ কি দিয়া বেশ শান্ত কন্ঠে বলে দুই প্যান্টের পকেটে হাত গুজে ক্ষুদ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইলেন বিহান ভাই।ইগনোর জিনিস টা উনি নিতে পারেন না। বিভোর ভাই এর মামাবাড়ি থেকে বেশী কিছু খান ও নি উনি।

পর্ব – ৫০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫০

কোনো কাজ ই ছোট নয়,তাই কাজ কে ছোট করে দেখা উচিত নয় এমন বুলি আউড়িয়ে বিহান ভাই উনার একটা বাতিল গেঞ্জি দিয়ে ফ্লোরের পানি মুছতে শুরু করলেন।আমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি বিহান ভাই ফ্লোর মুছছেন এটা ইতিহাসে নবম আশ্চর্য।

পর্ব – ৫১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫১

“আপনি আমাকে খাসি বললেন কেনো বিহান ভাই?আমি কি পুরুষ মানুষ যে খাসি হতে যাবো।” “তোর যে কানেও সমস্যা আছে এটা তো জানতাম না দিয়া।আচ্ছা তুই মানে কি সমস্যার গোডাউন।এত সমস্যা তোর কি হবে তোর জামাইয়ের।বেচারার জীবন টাই ত্যানা ত্যানা হয়ে যাবে।” “আমার কানে সমস্যা মানে।আমার কানে কবে সমস্যা ছিলো বিহান ভাই।

পর্ব – ৫২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫২

নীল আর কালো রং মানেই আমার কাছে শুভ্র প্রেমের রং।যে রং আমার মন ভালো করে দেয়,যে রং মনের কোনে সুপ্ত অনুভূতির সংমিশ্রণ সৃষ্টি করে।।এই দুইটা রং এ আমার বেশীর ভাগ ড্রেস আর জিনিস পত্র।যেখানেই যায় পছন্দ হিসাবে এই রং দুইটা পছন্দ করি।

পর্ব – ৫৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৩

মানুষ মানুষকে মাত্র(.৫০)পয়সা কিভাবে দিতে পারে ভাবা যায়।এটা এক মাত্র ওই আধ্যাতিক মানুষ টার পক্ষেই সম্ভব।উনার জন্য গেম টা নিশ্চিত হেরে গেলাম আমি।আসলে উনাকে বোকা বানানো এতটা সোজা নয়।এর পর বিভোর ভাই বিহান ভাই কে ডেয়ার দিলেন যে কাউকে খুব জোরে একটা থাপ্পড় মারতে হবে?মেহু আপু জিজ্ঞেস করলো বিহান ভাই থাপ্পড় মারলে

পর্ব – ৫৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৪

সময় টা শীত কাল।কচুপাতার নিচে শীতের আগমণ মাত্রই শুরু হয়েছে।কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে শীত একটু একটু করে প্রবেশ করছে শহরে।সকালে দূর্বাঘাসের উপরশিশিরের বিন্দু বিন্দু জল জমতে শুরু শুরু হয়েছে, রোজ সকালে প্রকৃতি কুয়াশার স্রোতে গোসল করে স্নিগ্ধ হচ্ছে।সময় টা বড্ড ই মিষ্টি।ছয়তলাবিশিষ্ট বাড়িটার তিনতলার পশ্চিমপাশের ফ্যাট টা ভাড়া নিয়েছি আমরা।নিজের স্বপ্ন সত্যি করতে

পর্ব – ৫৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৫

“ক্লাসে স্যার আসলে বা স্যারের সাথে কথা বলার সময় উঠে দাঁড়াতে হয় জানেন না।” “আমিতো দাঁড়িয়েই আছি বিহান ভাই সরি স্যার।” “বিহান ভাই চারদিকে তাকিয়ে দেখেন সবাই মুখ চেপে হাসছে।আমার তো খেয়াল ই নেই এটা কলেজ এখানে ভাই টাই বলা যাবে না।স্যার বলতে হবে।কি একটা অবস্থা চারদিকে সবাই হাসাহাসি করছে তারা

পর্ব – ৫৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৬

“নির্বাণ স্যারের ক্লাস টা সত্যি সুন্দর ছিলো বিহান ভাই।” “স্যারের পড়া বুঝতে অসুবিধা হয়নি তো।ক্লাসে যা পড়িয়েছে তাকি বুঝেছিস। ” “হ্যাঁ অসাধারণ ছিলো বুঝবো না ক্যানো?” “স্যারের পড়ানো টা অসাধারণ ছিলো নাকি নাকি স্যারের চেহারা দেখে বলছিস কোনটা।” “দুটোই নির্বাণ স্যারের থেকে কম বয়স স্যার এর আগে দেখি নি।”

পর্ব – ৫৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৭

একটা ছেলে একটা মেয়েকে এতটা ভালবাসে কিভাবে দিয়া? আমি ফিল্মে যা দেখেছি বাস্তবে সেটা বিহানের মাঝে দেখেছি।তাকিয়ে দেখো আমার দিকে দিয়া আমি চাইলে এই শহরে অর্ধেক কিনে ফেলতে পারি আমার বাবার এতটাই সম্পত্তি আছে।টাকার অভাব নেই আমার দিয়া।লুক এট মি তোমার থেকে সুন্দরে আমার কমতি নেই কোনোকিছু আমার গায়ের রং তোমার থেকে

পর্ব – ৫৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৮

সামনে তিন কেজি ছোট মাছ আর হাতে বটি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি।কয়েক হাজার মাথা হবে এই মাছের যদি বিহান ভাই এর একটা মাথা কাটতে পারতাম তাহলে আর এত গুলো মাছের মাথা আমার আর কাটা লাগতো না।উনার এই একটা মাথা কেটে কুচি কুচি করে মুড়িঘন্ট করে উনার গোরস্হানে রেখে আসলেই শান্তি পেতাম।

পর্ব – ৫৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৯

প্রচন্ড মন খারাপ নিয়ে আজ কলেজে গেলাম মুখে হাসি নেই মনের মাঝে গুমট কালো মেঘ জমেছে।ভাইয়াকে ভীষন মিস করছি ছোট বেলা থেকেই ভাইয়া ছাড়া কোথাও গিয়ে থাকিনি।আজ তিনটা মাস ভাইয়া ছাড়া আছি।এই শহরের অলি গলিতে ভাইয়াকে খুজে চলেছি কিন্তু কোথাও ভাইয়ার দেখা পাই নি আমি।আর কোনদিন কি দেখা হবে না আমাদের।

পর্ব – ৬০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৬০

বাড়িতে ক্রমশ আত্মীয়ের সংখ্যা বেড়েই চলেছে সবাই আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে।আমাকে কি সবাই নতুন দেখছে কিছুই তো বুঝতে পারছি না।গতকাল কাউকে কিছু জিজ্ঞেস না করে ঘুমিয়ে গেছিলাম।ঘড়িতে দুপুর বারোটা দুইদিন হয়ে গিয়েছে বিহান ভাই এর ফোন আসে নি। ফোন হাতে নিলেই ওনার একটা না একটা মেসেজ আমার ফোনে দেখতে পাই।

পর্ব – ৬১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৬১

বাড়িতে আমাদের দুই ভাই বোনের বিয়ে সীমাহীন হাসি আনন্দের মাঝ দিয়ে শুরু হলো বিয়ের সানাই।বাবা আমাকে ডেকে নিয়ে বিহান ভাই এর হাতে হাত ধরিয়ে দিলেন।এক পশলা সুখ যেনো গায়ে হাওয়া দিয়ে গেলো আমার।গহীন অন্ধকার থেকে ঝলমলে আলো এসে পড়লো মনের আঙিনায়।আমার সাথে বার বার কি হচ্ছে কিছুই বুঝলাম না। যেটা হচ্ছে সেটাই […]

পর্ব – ৬২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৬২

দিয়া আজ সাদা আর পিংক কালার মিক্সড করা শাড়িটা পরবা প্লিজ।রোজ তো থ্রি পিছ পরাই দেখি আজ শাড়ি পরা দেখতে মন চাইছে বলতে পারো এটা আমার আবদার।উনার ফোন টা কেটে ছুটে আলমারির কাছে এলাম।আলমারির উপরে ওয়ালে উনি আমার গালে হলুদ লাগাচ্ছেন সেই ছবিটা টাঙানো।ছবিটা রোজ দেখি আমি ছবিটা কত জীবন্ত।

পর্ব – ৬৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৬৩

বিহান ভাই এর গলার উপর পা দিয়ে ঘুমিয়ে আছি।ঘুমের মাঝে কখন পা উনার গলার উপর পড়েছে আমি বুঝতেই পারি নি।উনি বার বার পা সরিয়ে দিচ্ছেন তো আমি বার বার উনার গলার উপর ই পা দিচ্ছি।এমনি তে প্রচন্ড শীত তার মাঝে আমি কম্বল টেনে উনাকে আলগা করে দিচ্ছি বার বার।

পর্ব – ৬৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৬৪

“বিহান ভাই ভেবে দেখেছেন আপনার বউ যদি মহিলা মেম্বার হয় তাহলে কত দাম বেড়ে যাবে।জানেন মানুষের বাড়ি মাঝে মাঝে মারাত্মক ঝগড়া হয় আবার তা নিয়ে আবার শালিস বিচার ও হয় তা আমি যদি মেম্বার হয় রেগুলার আমার বাড়িতে বসে জানতে পারবো কার বাড়িতে কি নিয়ে ঝগড়া হচ্ছে।

পর্ব – ৬৫ | সর্বশেষ পর্ব

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৬৫ | সর্বশেষ পর্ব

মন চাইছে আজ বৃষ্টি নামুক,ভীষণ বৃষ্টি যে বৃষ্টিতে প্লাবিত হবো দুজনে।কিন্ত এই অবেলায় কি বৃষ্টি নামবে মেঘেরা কি আমার প্রার্থণা শুনবে।ওই মেঘ তোমরা আমার চাওয়া গুলো বুঝো না কেনো বিহানের মতো।বিহানের যদি বৃষ্টি হয়ে নামার ক্ষমতা থাকতো এক্ষুনি আমার মন পড়ে বৃষ্টি হয়ে নামতো।