এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ - এর সবগুলো পর্ব একসাথে

পর্ব – ১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ১

–বিহান ভাই অসভ্যতার একটা লিমিট আছে আপনি দেখছেন আমি গোসল করছি তবুও কথা নেই বার্তা নেই নক না করে চলে এলেন কেনো? তাছাড়া এটা আমার ওয়াশরুম, বলেই দ্রুত টাওয়াল পেচালাম শরীরে।ভেজা কাপড়ে খুব ই আনইজি লাগছে আমার।ওয়াশ রুমের ভেতরে চেঞ্জ করার জন্য এনে রাখা শাড়িটা দিয়ে আগে শরীর ঢেকে নিলাম।

পর্ব – ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২

সূর্যমামা মাত্রই ঘুমের দেশে পাড়ি জমিয়ে পৃথিবীর উল্টো পিঠে অবস্থান করে চাঁদ মামাকে পৃথিবীতে জায়গা করে দিয়েছে।সূর্যের ডুবে যাওয়া আর চাঁদের উদয় হওয়া এই দৃশ্য বড়ই সুন্দর দেখতে।শহরে সন্ধ্যা নেমেছে এইতো কিছুক্ষণ হবে।পাখিরা ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে উড়ে যে যার নীড়ে ফিরছে,গাছের পাতায়, সবুজ ঘাসে ক্রমশ জমছে শিশির বিন্দু।

পর্ব – ৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩

–উনি একটা বড় নিঃশ্বাস টেনে বললেন,আমি বললে কি আর দিয়া আসবে?আমার উপর ক্ষেপে গিয়ে দেখলে না আম্মুর দেওয়া নতুন পাঞ্জাবী টার কি হাল করেছে।আমি গেলে আরো কয়েক’শ গুন রেগে যাবে।এই মুহুর্তে সে ক্ষেপিদের রাণী হয়ে বসে আছে।আমি গেলে এই বিয়ে বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হবে নিশ্চিত।

পর্ব – ৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৪

“এটা কি ছিলো পিচ্চি?হোয়াট ইজ দিস পিচ্চি।এই বয়সে প্রেম করছিস।তোর বয়স কত দিয়া?এখনো হামাগুড়ির বয়স ই তো শেষ হয় নি তোর।আর এই বয়সে তুই কিনা প্রেম করছিস।ফুপ্পি কে বলতেই হচ্ছে ব্যাপার টা।হাউ স্ট্রেইঞ্জ।”

পর্ব – ৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৫

–দেখো বিহান তোমার সাথে দিয়ার বিয়ে আরো অনেক আগেই ঠিক ছিলো।আমাদের দুই পরিবারের ইচ্ছা তোমাদের বিয়ে দেওয়ার।তুমি যদি এখন এই বিয়ে না করো তাহলে আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো।আর তুমি ফুফু যদি এটা শোনেন যে তুমি তার মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি নও তাহলে তার কেমন লাগবে ভেবেছো।

পর্ব – ৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৬

‘উনি আবার ও বলেছিলেন কি দেখছিস এইভাবে তাকিয়ে।কি হয়েছে তোর।তোর চোখে মুখে এমন অদ্ভুত পরিবর্তন কেনো?’ ‘উনার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে বলেছিলাম জানিনা তো বিহান ভাই।কেনো এমন হয় আমার।?তাই আপনার কাছে শুনতে এসেছি।কেনো আপনি সংস্পর্শে আসলেই আমার এমন হয়।’

পর্ব – ৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৭

‘এখানে কেউ দাঁড়িয়ে নেই আমি আছি দিয়া।আমার সাথে অন্যদের গুলিয়ে ফেলার মতো ভুল যেনো সেকেন্ড টাইম আর না দেখি ড্যামেড।আমার কাছে এক সেকেন্ড সময়ের ও অনেক মূল্য।সময় কে আমি অবহেলা করি না।সময়ের সঠিক মূল্যায়ন না করলে পস্তাতে হয়।এইজন্য আমি যেটা সময় উপযোগী মনে করি যে কোনো উপায়ে সেটা সময় থাকতেই করি আন্ডারস্ট্যান্ড।’

পর্ব – ৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৮

তিয়াস ভাই বললো,নতুন দম্পত্তিদের ঘাসফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আমরা চলে এলাম।বলেই এক গুচ্ছ ঘাস ফুল এগিয়ে দিলাম।কিন্তু এটা কি ঠিক হলো বিহান ভাই আপনারা লুকিয়ে চুরিয়ে সময় কাটাচ্ছেন আমাদের বাদ রেখে।আমরা কি আপনাদের ডিস্টার্ব করতাম।

পর্ব – ৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৯

উনি আমার দিকে ঝুঁকে তো আছেন ক্রমশ উনি আরো খানিক টা এগিয়ে এলেন খুব সাবধনতার সাথে।আমার সাথে স্পর্শ না লাগলেও উনি আমার মুখের এতটা কাছাকাছি চলে এলেন আমার বুকের মাঝে হৃদপিন্ডতা দুরুম দুরুম করছে।ওয়ালে ঠেকানো হাত টা দিয়ে আমার বাম গালে আলতো স্পর্শ করতেই আমার চোখ বন্ধ হয়ে গেলো।

পর্ব – ১০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ১০

‘কৌতুহল নিয়ে জানতে ইচ্ছা হলো সত্যি কি আমাকে বললেন।উনার মুখ থেকেই শুনতেই চাই আমি যে উনি বলুক দিয়া আই লাভ ইউ।তাই আবার ও বললাম আমাকে কেনো বললেন,আমাকে বলবেন ই বা কেনো?আপনার শ্বশুরের মেয়েকে বলুন।’ ‘শ্বশুরের মেয়েকেই তো বললাম।তোকে আবার কখন কি বললাম।’

পর্ব – ১১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ১১

“মেনে না নেওয়ার কি আছে?বিহান কি আমাদের ছেলেদের মতো বাবা মায়ের মুখের উপর কথা বলবে।কখনো দেখেছো রাস্তায় মেয়ে নিয়ে ঘুরতে।আমাদের ছেলে পেলে আয়ে পাশ করতে পারে নি একেক টা ঘরে এনে উঠেছে।”

পর্ব – ১২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ১২

বিয়ের আগে মেহু আপু, তোহা আপু, রিয়া আমাকে বাসর ঘর নিয়ে অনেক কিছু এডভান্স বলে দিয়েছে।আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম উনি বাসর ঘরে ঢুকে আমার সাথে ঘনিষ্ট হতে চাইছেন সেকথা বুঝবো কিভাবে। মেহু আপু বলেছে,শোন দিয়া রোমাঞ্চ এর আগে ছেলেরা প্রথমে ঘরে প্রবেশ করেই সিটকিনী লাগিয়ে গায়ের কাপড় খুলতে শুরু করে।তার পর ধীরে ধীরে তোর দিকে আগাবে।

পর্ব – ১৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ১৩

“তোকে ভালবাসি, এক পৃথিবী সমান ভালবাসি। এই পৃথিবীতে বড় একটা নোটিস লাগাবো।যেখানে লিখে রাখবো এই পিচ্চি টা আমার মানে আমার।এই পিচ্চিকেই লাগবে আমার।এই আনম্যাচিউর, কম বোঝা পিচ্চিকেই চাই আমার।পিচ্চির শহরে অন্য কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই নিষিদ্ধ শহরে থাকবে শুধু আমার বসবাস।”

পর্ব – ১৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ১৪

“আমি হাতের মুষ্টি খুলে উনার সামনে ধরলাম।হাতের মাঝে শিউলি ফুল গুলো সুবাস ছড়াচ্ছে।ফুল গুলো আস্তে করে ফেলে দিতেই উনি আমার হাতের নিচে নিজের হাত ধরে ফুল গুলো নিজের হাতে নিয়ে বললেন এবার বস।ভালভাবে জড়িয়ে ধরে বস।ছোট মানুষ কোথায় পড়ে গিয়ে দাঁত ভাঙবি।” “পড়ে গেলেও আপনাকে ধরবো না।”

পর্ব – ১৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ১৫

কি অদ্ভুত আর অধ্যাতিক কথা উনার।উনি ইচ্ছা করেই বাইক এলোমেলো চালানো শুরু করলেন।উনার এই ইচ্ছাকৃত বাইক এলোমেলো চালানোর বিরুদ্ধে ও কিছু বলতে পারছি না।দ্রুত উনার কোমর জড়িয়ে ধরলাম আমি,উনাকে ধরা ছাড়া আর কোনো উপায় ও নেই।উনার পেটের কাছের হুডির কাপড় জোরে খামচে ধরলাম।বাধ্য হয়েই উনাকে আষ্টে পিষ্টে কোমর সহ জড়িয়ে ধরে বসতে হলো আমাকে।অবশেষে বাইক তার গন্তব্য পৌছালো।

পর্ব – ১৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ১৬

–বিলিভ মি! আপু।আমি একদম ই সত্য বলছি।ওই যে বিহান দাঁড়িয়ে ওর কাছেই শুনে দেখো।এই বিহান নিচে নেমে আয়, আমার বিরুদ্ধে বললে বিহানের আজ খবর আছে। এতক্ষণ উপরে দাঁড়িয়ে তাদের এই প্রচুর হাসির ঝগড়া শুনছিলাম আমি আর বিহান ভাই।কিছুক্ষণ আগেই ঘুম থেকে উঠে খেয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়েছি। আর এরই মাঝে নিচে ওদের ঝগড়া শুরু।আমরা দুজনেই নিচে নেমে গেলাম।

পর্ব – ১৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ১৭

কাউকে কিছুই না বলে আম্মুদের বাসায় চলে এলাম আমি।সারারাস্তা ভেবেছি সামান্য ফোনের কথা শোনার জন্য এতটা রিয়্যাক্ট কেনো করলেন উনি।আমি আর একদিন ও যাবো না ও বাড়িতে।উনি উনার প্রেমিকাকে এতটায় ভালবাসেন তার সম্পর্কে কথা শুনে ফেলেছি বলে এত বাজে ব্যাবহার করলেন।

পর্ব – ১৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ১৮

আমি জানি দিয়া তোর বিয়েটা হয়তো এভাবে দেওয়া ঠিক হয়নি। কিন্তু দিয়া একটা কথা মাথায় রাখিস মা বিয়ের পর স্বামি ই কিন্তু সব।হুট হাট করে এইভাবে চলে আসলে মানুষ কত বাজে কথা বলে দেখেছো তো।বিহানের জীবনের সুখ শান্তি তোমার উপর নির্ভর করছে।

পর্ব – ১৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ১৯

–ভাল কথায় না গেলে অন্য ভাবে নিতে হবে কথাটা বলেই উনি জোর করে আমাকে পাজা কোলে তুলে বিছানায় এনে ফেললেন। মানুষের হাত এত শক্ত হয় কিভাবে জানিনা?চেষ্টা করেও উনার হাতের বাঁধন থেকে মুক্তি পেলাম নাহ।আমি অগ্নিচোখে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।আমার অনিচ্ছায় উনি আমাকে বিছানায় এনে ফেললেন।

পর্ব – ২০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২০

‘হুম ওর জন্মদিন আর তুই বারবার ডিস্টার্ব করছিলি কেনো?আমি অন লাইনে ওর জন্যই কিছু জিনিস অর্ডার করছিলাম।এই দিকে তোর ফোনে ঠিক ভাবে জিনিস পত্র চয়েজ করতে পারছিলাম না।’ ‘জন্মদিন তো আরো অনেকের ই আছে বিহান ভাই সেটা কি ভুলে গিয়েছেন।’

পর্ব – ২১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২১

‘তারা উত্তর দিলো আমাদের দায়িত্ব প্রিয়জনদের সারপ্রাইজ দেওয়া।সারপ্রাইজ টা নষ্ট করলে আমাদের বিজনেস লাটে উঠবে।তাই এটা বলা যাবে না আপু।উই আর ভেরি ভেরি সরি।প্লিজ এক্সেপ্ট ইট।’ আমি আর বিভা আপু ছয় বার করে এসে গিফট গুলো নিয়ে গেলাম।সব গিফট নেওয়া হলে আমার রুমে দরজা লক করে লাইট অন করে প্রথম বক্স টা খুললাম।

পর্ব – ২২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২২

–রিয়া আর মেহু আপু বললো,এটা আমাদের গ্রেট বিহান ভাই এর প্লান।প্লান টা ভীষণ মারাত্মক রকমের সুন্দর ছিলো।আসলেই বিহান ভাই এর তুলনা কারো সাথে করা যায় না।জীবনে অনেক চমৎকার রকমের সারপ্রাইজ দেখেছি কিন্তু বিহান ভাই এর মতো এতটা মারাত্মক সুন্দর কোথাও দেখি নি।আজ যদি শিরির ফরহাদ বেঁচে থাকতো তাহলে সে ও অবাক হয়ে যেতো বিহান ভাই কে দেখে।

পর্ব – ২৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৩

–রাগে মনে হচ্ছে এ দুনিয়ার সব কিছু ভেঙে ফেলি আমি।মনে চাচ্ছে ওই বিশ্রি জিলেপির প্যাচের মতো মনের মানুষ কে মেরে আলমারি তে ঢুকিয়ে রাখি,না হলে বাথররুমে বন্ধ করে রাখি।কেনো বর বরের মতো হবে,রাত হলে বউ এর সাথে রোমান্স করবে,তিন বেলা বউকে খাইয়ে দিবে আরো অনেক কিছুই করবে।তা না বর হয়েছে গিগিটির মতো।আচ্ছা উনি কি কখনো সিনেমা,বা রোমান্টিক কিছুই পড়েন নি।

পর্ব – ২৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৪

পরের দিন বিকালে মুখ পেচার মতো করে পায়চারী করে বেড়াচ্ছি।মাথায় খুব শয়তানি বুদ্ধি চেপেছে।বিহান ভাই কে একটু নাজেহাল করতে হবে।হবে মানে হবেই।নিজে নিজে হাজার টা বুদ্ধি বের করছি কোন বুদ্ধিটা প্রয়োগ করলে বেটার হবে সেটাই ভেবে চলেছি।বিহান ভাই কে দেখলাম কালো জিন্স,বাদামী গেঞ্জি লং হাতা, চোখে খয়েরী ফ্রেমের চশমা দিয়ে বেরিয়েছেন।

পর্ব – ২৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৫

ফ্লোরে টুল নিয়ে বসে ডিমের খোসা ছড়াচ্ছি উনি গিয়েছেন বাইরে,বিভোর ভাই গান গাইছেন আর খুন্তি চালাচ্ছেন।আমি পড়েছি মহা বিপদে বিভোর ভাই এর সাথে গল্প করতে করতে ডিমের সাদা অংশ সব খোসার সাথে উঠে গিয়েছে শুধু কুসুম অবশিষ্ট আছে।কি হবে এখন আমার।

পর্ব – ২৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৬

উনাকে কিছু না বলে ফ্রিজ থেকে ডিম নিয়ে আবার সিদ্ধ করতে দিলাম,রাগে রাগে ৩০ টা ডিম সিদ্ধ করতে দিলাম।সিদ্ধ প্রায় হয়ে এলে উনি এসে দেখেন ৩০ টা ডিম সিদ্ধ করছি।উনি ফোন স্ক্রল করছিলেন সাইডে দাঁড়িয়েই ত্রিশ টা ডিম দেখে চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রু উচিয়ে বললেন,ডিম কয়টা?

পর্ব – ২৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৭

উনি আমায় তুমি ডাকলেন কেনো?কেঁপে উঠলো শরীর আমার,বুকের মাঝে দুরুম করে আওয়াজ হলো।উনি এতটা কোমল তার সাথেও কথা বলতে পারেন।উনার তুমি সম্মোধন এ এত নমনীয়তা।এই ভীষণ বৃষ্টি,হুডির হাতা গোটানো,হাতের কফির মগ নিয়ে কেউ জিজ্ঞেস করছে বৃষ্টিবিলাসী তুমি।আমার বৃষ্টিবিলাসী মনে শুরু হলো ভীষণ তুফান।

পর্ব – ২৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৮

আসলেই দেয় না আপু।তাকে ভাই ডাকলে সে নাকি কিছুই দিবে নাহ।তাছাড়া বলে দিয়েছে আমি যেনো আদবের সাথে যা লাগে তাই যেনো চেয়ে নেই।আমি কেনো চাইতে যাবো বলোতো।তবে বিভোর ভাই এর কাছে টাকা পাঠায় মাঝে মধ্য না নেওয়ার এক্টিং করি ঠিক ই আসলে আমি টাকা মনে মনে চাই।ভাবি যে এভাবে সেধে তো দিতেই পারে।

পর্ব – ২৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৯

দরজার পর্দা সরিয়ে ভেতরে ঢুকে ব্যাগ টা ফ্লোরে রাখলেন।চোখে মুখে হাতে পায়ে পানি চিক চিক করছে,গায়ের শার্ট ঘামে ভিজে লেপ্টে আছে পিঠের সাথে।উনি আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললেন,কি ব্যাপার কাজের নেয়ে ছকিনা দেখছি কাজে খুব ই বিজি আছে নিচে যে এত ডাকাডাকি হলো কাজের জন্য যাওয়া হলো না বুঝি।

পর্ব – ৩০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩০

হ্যাঁ আমি ছেলে আর আমার এটাই লাগবে।আমি এগুলোই ইউজ করবো।আমি টাকা দিয়ে কিনবো ছেলে হয়ে পরতে পারলে আপনার সমস্যা কোথায়?আপনারা টাকা পেলেই হলো।এত প্রশ্ন করেন কেনো?আমি বিহান আমি মেয়েদের লিপিস্টিক,স্যাডো, গেঞ্জি এইগুলা পরি। আর কিছু জিজ্ঞেস করবেন।আশ্চর্য।

পর্ব – ৩১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩১

শুভ কে অশুভ করতে এত সকালে উঠেছিস তাইনা?দশ মিনিট জাস্ট দশ মিনিটে রেডি হ।বই নিয়ে আয় তোকে আজ বই পড়াবো বলেই ওয়াশ রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলেন।আর বাইরে এসে এসব উদ্ভব ভাষা শুনলে এখন থেকে আছাড় মারবো অত্যাচারি বংশের বারান্দায় গিয়ে পড়বি।

পর্ব – ৩২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩২

সাহস ওদের থেকে তোর বেশী বেড়েছে।আজ আমি কি করবো দিয়া তুই বুঝতেও পারছিস না।বলেই আমাকে পাজা কোলে তুলে নিলেন।এখুনি কি আছাড় দিবেন।আমি ভয়ে উনার বুকের কাছের গেঞ্জি টেনে ধরে উনার বুকে মাথা গুজলাম।

পর্ব – ৩৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৩

দরজা থেকে দুলাভাই খ্যাক করে গলা পরিষ্কার করার শব্দ করতেই বিহান ভাই কেঁপে উঠে আকস্মিক ভাবে উঠে গেলেন ।আমিও দ্রুত উঠে জামা ঠিক করতে করতে এগিয়ে গেলাম।বিহান ভাই গেঞ্জি টেনে ঠিক করে নিয়ে লজ্জায় নিচের ঠোঁট কামড়ে চুলের মধ্য হাত চালিয়ে দিলেন।উনি যে কি ভীষণ লজ্জা পেয়েছেন সেটা উনার চোখে মুখে স্পষ্ট আর ক্লিয়ার।

পর্ব – ৩৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৪

বিভোর ভাই কলার ঝাকি দিয়ে বললেন,আপু এইদিক টা একটু খেয়াল করো প্লিজ।বড় বোন আর দুলাভাই থাকলে এইসব দিক খেয়াল রাখতে হয়।তাছাড়া বিয়ে কিন্তু ফরজ আপু।তোমাদের সবার ফরজ আদায় হয়ে গিয়েছে আর আমাকে পাপী বানিয়ে রাখতে চাও।আমি জীবনে কোনো পাপ করিনি।

পর্ব – ৩৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৫

বিভোর ভাই আমাকে বললেন,দিয়া কি যে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি আজ জানিস না।সারাদিন যশোরে ছোটাছুটি করেছি গরমে জীবন যায় যায় অবস্থা। শরীর থেকে কয়েক মন পানি বেরিয়েছে।বিভোর ভাই প্যান্ট প্রায় হাঁটুর নিচ অবধি উলটে ভাজ দিয়ে রাখা।

পর্ব – ৩৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৬

মামি শান্ত ভাবে বললেন,মাথা ঠান্ডা কর বিহান।তুই ছাড়া আমাদের কে আছে দিয়ার ই বা আর কে আছে।খাবার গুলো পড়ে আছে এখনো খাস নি কেনো। দিয়া কাটা হাতে দুপুর থেকে কষ্ট করে তোর জন্য রান্না করেছে। ছোট মানুষ পারে না তাও করেছে।তবুও বলছিস তোকে আমরা অবহেলা করি।

পর্ব – ৩৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৭

উনি কোনো রিয়াকশন না দেখিয়ে বললেন,তোমাকে কি এগুলা শিখিয়ে দিয়েছে বলার জন্য।নিজের মিথ্যা বলতে বাধে না আবার তোমাকেও মিথ্যা বলানোর জন্য ফোর্স করছে।রিয়া অন্যর কথায় কখনো মিথ্যা বলোনা তাহলে নিজের দাম থাকবে না।তোমাকে আমি খুব ভাল মেয়ে বলে জানি।আশা করবো সারাজীবন আমার চোখে এমন ই থাকবে তুমি।

পর্ব – ৩৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৮

নিচ তলার কমন ওয়াশ রুম দুইটা,একটা গোসলের জন্য।উনি নিচ তলার ওয়াশ রুম থেকে গোসল করে টাওয়াল পরে আজ উপরেই গেলেন।আমি বেশ অবাক হলাম এ ক’দিন উনি উপরেই যান নি।মনে হচ্ছে রাগ কমে এসেছে অনেক খানি।উনি উপরে গিয়ে মামিকে ডাকছেন

পর্ব – ৩৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৯

আমি আবার ও বমি করে সেন্সলেস হয়ে গেলাম।বাইরে সবার কথা কানে আসলেও আমি তার রেসপন্স করতে পারছি না।বিহান ভাই পাজা কোলে তুলে নিলেন আমাকে।রিয়াকে বললেন,কুইক এসো রিয়া। রিয়া পেছনে পেছনে আসছে আমাদের।আমাকে সাথে সাথে সদর হসপিটালে নিয়ে আসলেন।চোখে মুখে ভীষণ দুঃচিন্তা,কষ্ট,আর ভয় বিহান ভাই এর।

পর্ব – ৪০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৪০

‘আমাদের কত চিন্তা হচ্ছিলো মা।এইভাবে বারবার বমি করছিলে বার বার জ্ঞাণ হারিয়ে ফেলছিলে। আমরা সবাই ভয় পেয়ে গেছিলাম।এত সময় তোমার মা -বাবা কাকা-কাকিরা সবাই ছিলো।কিছুক্ষণ আগেই বাসায় গিয়েছে আমি জোর করে পাঠিয়ে দিয়েছি।সকালে আবার আসবে,তুমি ঘুমোচ্ছিলে বলে আর ডাকে নি।’

পর্ব – ৪১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৪১

“উনি আমার মুখে আঙুল ঠেকিয়ে বললেন, নো ভাই মিসেস বিহান।জাস্ট বিহান তোমার মুখে কত বেশী কিউট লাগে তুমি জানো?ভুল করেও তো বলতে পারো,নাম ধরে ডাকতে পারো।”

পর্ব – ৪২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৪২

একটা মানুষের মুখের প্রতিটা স্পিলিং এতটা ইমপ্রেসিং কিভাবে হতে পারে বুঝিনা।কথা বলার এটিটিউড ধরণ সব কিছুই আলাদা।নাকি আমার কাছেই উনার সব কিছু এমন স্পেশাল লাগে।

পর্ব – ৪৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৪৩

‘প্লিজ বোন আমি না তোর ভাই।আমাকে রিয়ার সাথে রিলেশন করিয়ে দে প্লিজ।আমার ভীষণ ভালো লাগে রিয়াকে।বাট রিয়া আমাকে খারাপ মনে করে।ওর ধারণা আমি ফ্লার্টিং এর প্রিন্সিপাল। ‘

পর্ব – ৪৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৪৪

গোলাকৃতির এই টিনসেটের ঘরে কৃত্রিম আলো জলছে লাল নীল হলুদ রঙের।উনার থুতনিতে উনার হাত বাঁধানো নিষ্পলক তাকিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে হেসে যাচ্ছে।স্নিগ্ধ প্রেমের অনুভূতি উনার চোখে মুখে স্পষ্ট ক্লিয়ার ভেষে উঠেছে।আমি তৎক্ষনিক অন্য দিকে ঘুরে দাঁড়ালাম।দুইহাতে মুখ ঢাকলাম।

পর্ব – ৪৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৪৫

পৃথিবীর সর্বোত্তম সুন্দর মুগ্ধতাম সকাল আজ আমার জন্য।আমার জীবনে কেটে যাওয়া অন্য সব সকালে এতটা ভালো অনুভূতি আমার কখনোই হয়নি।জীবন টা সত্যি উপভোর করার মতো যদি পারমানেন্ট একটা মানুষ থাকে।কালকের কথা ভেবেই ভীষণ লজ্জা লাগছে,বেশী লজ্জা লাগছে সেই গভীর চুম্বনের কথা ভেবে।নিমিষেই লজ্জারা ভীড় করলো আমার আঙিনায়,সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়লো লাজুকতার ছোঁয়া।

পর্ব – ৪৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৪৬

বাবা ভাইয়া,আম্মু,কাকিমনিরা সবাই এগিয়ে এলো আমাদের দেখে।মাছ,মাংস,ফল সবাই ধরে এগিয়ে নিয়ে গেলো ভেতরে।আয়রা ছুটে এসে বিহান ভাই এর কোলে উঠলো।বিভোর ভাই শালিকা বলে ডেকে চকলেট ধরিয়ে দিলো হাতে।আয়রা চকলেট পেয়ে ভীষণ খুশি।

পর্ব – ৪৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৪৭

বাবা আমার চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে আর বিভিন্ন গল্প বলছে।আমি ডাক্তার হলে বাবা আর কাজ করবে না,আমি আর ভাইয়ার থেকে পকেট খরচ নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াবে।যদিও বাবার এটা একটা আবদারের কথা।

পর্ব – ৪৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৪৮

আমি উনার দিকে তাকিয়ে আস্তে করে নিচে নামার চেষ্টা করলাম।উনার দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য পায়ের দিকে খেয়াল করতে না পারায় খাটের কর্ণারে এসে পড়ে যেতেই উনি হাতে ধরে ফেললে আমাকে।উনি দুই হাতে পাজা কোলে উঁচু করে ধরে আমার মুখের কাছে মুখ এনে বললেন,সাবধানে আসবে তো?এক্ষুণি পড়ে যেতে।

পর্ব – ৪৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৪৯

কিভাবে শুরু করবো জানিনা।লিখতে বুক কাঁপছে,হাত কাঁপছে যদি ফিরিয়ে দাও আমাকে।কিন্তু কি করবো মন তো কতক্ষণ বুঝিয়ে রাখা যায়।আমার মন আমার অবাধ্য হয়ে গিয়েছে, আমার কন্ট্রোলে নেই।বিকজ দিন দিন এডিক্টেড হয়ে যাচ্ছি আমি তোমার প্রতি।ভীষণ এডিক্টেড।

পর্ব – ৫০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৫০

তোমার এই কাজিন এর দল এর অত্যাচারে মাথা ঝাঁঝা করছে।অত্যাচারে গরম আরো বেশী লাগছে।ঘেমে কি অবস্থা। এই ঘামে ভেজা শরীরে আমার জীবনেও ঘুম হবেনা।আমি ফ্রেশ না হয়ে ঘুমোতে পারি নাহ।ট্রাউজার দাও কুইক।

পর্ব - ৫১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৫১

"আমার নাম প্রেয়সী,তোমার মতো মেয়েকে কল দিয়েছি এটাই তোমার ভাগ্যর ব্যাপার।তুমি আমার স্টাটাস জানোনা তাই।বিহানের থেকে জেনে নিও।আমাকে ভাল কথা আর বাজে কথা শিখাচ্ছো,হাউ ডেয়ার ইউ।লজ্জা করে না তোমার, বিহানের যোগ্যতার পাশে কি আদেও মানায় তোমায়।

পর্ব - ৫২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৫২

বিহানের গায়ে কালো জিন্স, কালো শার্ট গায়ে সাদা এপ্রোণ।কালোর উপর সাদা এপ্রোনে ভীষণ সুন্দর লাগছে বিহান কে।চোখ মুখে ভীষণ মলিনতা।যেনো কয়েক জন্মের কষ্ট ওর মনে।আমি বারান্দায় এক কোণে অন্ধকারে গুটিসুটি মেরে দাঁড়িয়ে রইলাম।এই প্রথমবার অনুভব করলাম,ভালবাসার মানুষ অন্যর সাথে কথা বললে কতটা কষ্ট হয়।

পর্ব - ৫৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৫৩

আপনাকে যেতে হবে না,আপনার সাথে আমি কোথাও যেতে চাই না।এমন কি আপনার মতো বেঈমানের সাথে আমি থাকতেও চাইনা।আমি আপনার যোগ্য না তাইনা?এইজন্য আমাকে আড়াল করে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে বিজি থাকতে হয় আপনাকে।আমাকে বললেই হতো।আমি নিজেই চলে যেতাম।

পর্ব - ৫৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৫৪

আমি উনার পাশে সুয়ে উনার বুকে মাথা রেখে নিজের সবটা দিয়ে আলিঙ্গন করলাম।উনি এই ভীষণ জ্বর ক্লান্তি নিয়ে আমার মাথায় চুমু দিয়ে বললেন আই লাভ ইউ দিয়া।দুটো মানুষের মান অভিমানের পরেই বুঝি ভালবাসা আরো বেশী গভীর হয়।

পর্ব - ৫৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৫৫

"তুমি এত্ত কেয়ারিং একটা মেয়ে আগে তো জানতাম না।এইটুকু পুচকু মেয়ে স্বামির সেবাযত্ন করছে।আমি তো আগে জানতাম এই পুচকু মেয়েকে সারাজীবন ই আমার দেখেশুনে বেড়াতে হবে।কিন্তু নাহ মেয়েটা আমাকে সামলাতে শিখে গিয়েছে।"

পর্ব - ৫৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৫৬

বিভোর ভাই চাবি দিয়ে দরজা খুললেন।এই ফ্ল্যাটে এসে চোখ মেলে দেখেই যেনো আমার অসুস্থতা সব হাওয়ায় উড়ে গেলো।দুটো ব্যাচেলর ছেলে থাকে এখানে।একজন বিবাহিত আরেকজন অবিবাহিত কেউ কি দেখে বলবে এটা কোনো ছেলেদের ফ্ল্যাট।

পর্ব - ৫৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৫৭

"তুমি না বেবি নিতে চেয়েছো?বেবিকে বলবো ওইযে মহিলাকে দেখছো,ওই মহিলা ভয়ানক অত্যাচারী বংশের মহিলা।তোমার পাপ্পা কে ভাই ভাই অত্যাচারে জর্জরিত করেছে।এর রিভেঞ্জ নিতে তুমিও তাকে ফুপি ডাকবা।

পর্ব - ৫৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৫৮

"তোমার সাথে আমার।কেউ কারো থেকে কম নয় বুঝেছো?তুমি আমার থেকে বেটার কিছু ডিজার্ভ করো।আর রেজাল্ট দিলেই বুঝবে। লেখাপড়া কখনো ভালো ব্রেইনে হয় না, হয় নিজের চেষ্টায়।তুমি এমনিতেও ভালো স্টুডেন্ট তার উপর প্রচুর হার্ড ওয়ার্ক করেছো।

পর্ব - ৫৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৫৯

আমি আশ্চর্যজনক ভাবে উনার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম।আমি বা কি বললাম আর উনি বা কি বুঝলেন আর কি বললেন।এক গাদা কথা শুনিয়ে দিলেন।এইসব কথাবার্তা কি অলওয়েজ টাইম উনার মাথায় ঘুরতে থাকে।

পর্ব - ৬০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৬০

"সে আমার চোখে দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর নারী।তার থেকে সুন্দর নারী আমি কোথাও দেখি নি।দ্যাটস হুয়াই আমি তাকে ভালবাসি।তাকে দেখার পর দ্বীতীয় কাউকে আর ভালো লাগেনি।"

পর্ব - ৬১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৬১

বিহানের চোখ মুখে মলিনতা, মন খারাপের রেখা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।এই ছেলেটার মন খারাপ দেখলে পুরা দুনিয়া অন্ধকার লাগে আমার।বেলকনিতে একটা তক্তা রাখা আছে যার দুই পাশে দুইটা ক্যাকটাস গাছ।তক্তার উপর উঠে বসে বিহানের গলা জড়িয়ে ধরে বললাম

পর্ব - ৬২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৬২

রিয়া খুব হাইপার হয়ে আছে।এই মুহুর্তে ওর মাথায় একটায় চিন্তা কিভাবে বিয়েটা আটকানো যায়।কেউ যেনো ওর কানে এই নিউজ টা দেয় যে বিয়ে টা হচ্ছে না। এটা হয়তো পৃথিবীর সব থেকে খুশির খবর হবে।

পর্ব - ৬৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৬৩

"রিয়ার বাবাকে সবাই বলেছে রিয়ার বাবা বলেছে আমি রিয়ার যোগ্য না।রিয়ার যোগ্য কোনো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার। ফুপ্পি, আবির,দিয়া, রিয়ার আম্মু সবাই কেই বলে দিয়েছে। রিয়ার বাবার চোখে আমি সামান্য ব্যাংকার।"

পর্ব - ৬৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৬৪

'কাকিমনি বললো,আবির বাবা রাগ করিস না।তোর কাকু একটা বেয়াদপ লোক।বেশী লোভ করলে জিভ তো পুড়বেই।আমার মেয়েটাকে যেভাবে মেরেছে পালাবে নাতো কি করবে।ওর শুধু টাকার দরকার আমার মেয়ের সুখ শান্তির প্রয়োজন নেই।সবাই বুঝিয়েছে কারো কথা শোনে নি।অবশেষে মান সম্মান নষ্ট হলো এখন তো ভালো লাগছে।'

পর্ব - ৬৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৬৫

'রাজাকারি চাল দিয়ে বাড়িভর্তি মানুষের সামনে আমাকে থাপ্পড় খাইয়ে আম্মুর কানে বিষ ঢেলে একটা বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন।একটা নাবালিকা মেয়ের সাথে কি ভয়ানক অত্যাচার টায় না করেছিলেন।'

পর্ব - ৬৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৬৬

এক্ষুণি আসো ওখান থেকে বলেই উনি পাজা কোলে তুলে আমায় নিয়ে এলেন।সোজা রুমে এনে সিটকিনি লাগালেন।আমাকে আবার ও সারপ্রাইজড করে দিলেন উনি।কারণ আমাদের ঘরটাও ফুলে ফুলে ফুলসজ্জার মতো করে সাজিয়েছেন উনি।

পর্ব - ৬৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৬৭

উনার মুখে দিয়া ডাকটা ভীষণ মিষ্টি লাগে আমার কাছে।আমার মনে দোলা দেয় অন্য এক ভাললাগার শিহরণ।আমি চোখ তুলে তাকালাম উনার দিকে।আমার তাকানোর ভঙ্গীতে উনি বুঝে নিলেন উনার কথা শোনার জন্য ই তাকিয়েছি আমি।

পর্ব - ৬৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৬৮

বিহানের এত লেট হচ্ছে কেনো আজ।সময়ের হেরফের করে না কখনো।কিছু কি হয়েছে নাকি।হঠাত বুক কেঁপে উঠলো আমার, কারণ আমার সামনে দিয়ে প্রেয়সী আপু হেঁটে গেলো।কি নিয়ে এত ঝামেলা হয়েছে জানিনা প্রেয়সী আপুকেও দেখা যাচ্ছে।এক ডাক্তার নাকি অন্য এক ডাক্তার এর গায়ে ও হাত তুলেছে।

পর্ব - ৬৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৬৯

বিহান পেছনে তাকিয়ে দেখে আমি নেই।বিহান আর রিয়া এদিক ওদিক তাকিয়ে খুজছে আমাকে।রাগে শরীর রিরি করে জলছে আমার।বিহান যেনো আমাকে দেখতে নাবয়ায়।চাচাকে বললাম, জলদি চলুন না চাচা।

পর্ব - ৭০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৭০

আমি কুকিয়ে উঠলাম ব্যাথায়।ফুঁপিয়ে আহ শব্দ করে কেঁদে দিলাম।ব্যাথায় সহ্য করতে পারছি না যন্ত্রণায়।বিহান এতটা জোরের সাথে চেপে ধরেছে দুই হাত যন্ত্রণায় ফেটে যাচ্ছে।আমাকে কাঁদতে দেখে ছেড়ে দিলেন

পর্ব - ৭১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৭১

'আমার ছেলে হলে মানুষ বুঝবে বাপ কা বেটা।চবাপ বেটা বেড়াবো মানুষ বলবে দুই হিরো।ছেলে যেখানে প্রেম করবে মানে আমার হবু বিয়াইন এর সাথে একটু ভাব টাব ও নিতে পারবো।ভেবেই নিজেকে আরো হ্যান্ডসাম ভাবে সাজাতে মন চাইছে।'

পর্ব - ৭২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৭২

"বউভক্ত লোক যদি কেউ হয়ে থাকে সেটা হলাম আমি।একমাত্র আমি বুঝেছিস তোরা।এই বিভোর ছাড়া কেউ বউ ভক্ত হতে পারেনা।আমি আমার বউ ছাড়া দুনিয়ার কিছুই বুঝি না।আমার বউ ই হলো আমার সব।তাছাড়া আমি এটা বিশ্বাস করিনা যে আমার থেকে কেউ বউ বেশী ভালবাসে।"

পর্ব - ৭৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৭৩

বলেই মামিকে সালাম করলো।মামি এক হাজার টাকা বিহানের হাতে ধরিয়ে দিলো।বিহান ও হাত পেতে নিলো আর বললো তুমি টাকা না দিলে আমার ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে যায় আম্মু।এর ই মাঝে মামা ও পাঞ্জাবী পরে এলো।

পর্ব - ৭৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৭৪

এর ই মাঝে বিভোর ভাই এর রিয়া কেবিনে প্রবেশ করলো।বিভোর ভাই বিহানের কাঁধে হাত রাখতেই বিহান উঠেই জড়িয়ে ধরলো বিভোর ভাই কে।মনের মাঝে চেপে রাখা যন্ত্রণা বিভোর ভাইকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে হালকা করছে।

পর্ব - ৭৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৭৫

ফ্রেন্ডের কথা শুনে মন খারাপ হয়ে গেলো।তবে আমি জানি বিহান এমন কখনো করবে না।তবে ইদানিং বিহান ঠিক মতো বাড়িতে আসে না সারাক্ষণ ল্যাপটপ এ মন। আসলেই বিহান চেঞ্জ। এই চেঞ্জের কি কারণ।কখনো হাসে ও না।সারাক্ষণ চিন্তিত।সারারাত বাসায় আসে নি।বলেছে ইমারজেঞ্জি ওটি আছে।আমি পরের দিন সকাল ছয়টায় বিহানের জন্য খাবার নিয়ে হসপিটালে গেলাম।

পর্ব - ৭৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৭৬

আম্মু শাড়ির আঁচল মুখে গুজে কাঁন্না আটকানোর চেষ্টা করে আমার কাছে এগিয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।আমি কিছুই বলতে পারছি না আম্মুকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদছি আর আম্মু আম্মু করছি শুধু।আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরে নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলে যাচ্ছে।

পর্ব - ৭৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৭৭

"সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি আছি না।কি জুনিয়র তোমার মাম্মা কে কষ্ট দিচ্ছো কেনো?তুমি হাত পা ছোড়াছুড়ি করলে মাম্মা কষ্ট পাচ্ছে তো বাবা।তুমি কি জানো তোমার মাম্মা ইজ দ্যা বেষ্ট মাম্মা।তোমার জন্য কত যুদ্ধ করছে দেখো।আমার থেকেও তোমাকে বেশী ভালবাসে।"

পর্ব - ৭৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৭৮

রিয়া কাঁদতে কাঁদতে বললো,সরি বাবা, আমাকে ক্ষমা করে দাও তুমি।কাকুর পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলো রিয়া আর বিভোর ভাই।কাকু ওদের বুকে টেনে নিলো।ঠিক এই দিনটার অপেক্ষা করছিলাম কতদিন।

পর্ব - ৭৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৭৯

"ওই হ্যালো ব্রিটিস মহিলা,শ্বশুরের একমাত্র জামাই চাইলে সারাজীবন তোমাকে প্রেগন্যান্ট রাখতে পারবে।শ্বশুরের মেয়েকে খালি পেটে রাখবে না।আমাকে বদনাম করে অন্যর কাছে যেও না।মানুষ আমাকে অন্য কিছু ভাববে।ভাববে আমার মাঝে অন্য প্রব্লেম।"

পর্ব - ৮০ | সর্বশেষ পর্ব

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব - ৮০ | সর্বশেষ পর্ব

"তো তুমি কি এখনো ঠিকভাবে কিছু খাও।তোমাকেও তো এখনো রোজ গালে তুলে অনেক বাহানা করে খাওয়াতে হয়।শোনো দিয়া আমার মেয়ের গায়ে একদিন ও আর হাত তুলবে না।মেয়ে আর তুমি তোমাদের চোখের পানি আমি সহ্য করতে পারিনা।মেয়ের সব দুষ্টুমি আমি সহ্য করবো।ওর খাওয়ানো ঘুম পাড়ানো সব আমি করবো।তুমি কখনো আর ওকে মেরো না।"