এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা
সমাপ্তএক মামাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে মামাতো ভাই বিহান আর দিয়ার দুষ্টুমিষ্টি সম্পর্কের শুরু হয়। দিয়ার প্রতি বিহানের শাসনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা গোপন যত্ন আর অধিকারবোধ দিয়াকে এক নতুন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়। এই খুনসুটি আর অভিমানের খেলা কি শুধুই শাসন, নাকি এর গভীরে লুকিয়ে আছে না বলা কোনো ভালোবাসার গল্প?
সিজন ২
(৮০ পর্ব)দিয়া তার মামাতো ভাই বিহানকে একজন বিরক্তিকর, অহংকারী মানুষ হিসেবেই জানে। কিন্তু একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিহান এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করে, যেখানে দিয়ার পরিবার তাকে বিহানের সাথেই বিয়ে দিতে বাধ্য হয়। দিয়া কি পারবে এই খিটখিটে স্বভাবের মানুষটির আসল রূপ চিনতে, নাকি তাদের সম্পর্কটা সারাজীবন এক ভুলের বোঝাপড়ায় আটকে থাকবে?
গোসল করার সময় ওয়াশরুমে হঠাৎ মামাতো ভাই বিহানের আগমন দিয়াকে হতবাক করে দেয়। কিন্তু বিহান দিয়ার আপত্তিতে কর্ণপাত না করে উল্টো তার চোখ বেঁধে দেয়। এই অদ্ভুত আচরণের পেছনে তার উদ্দেশ্য কী?
মেহেদি লাগাতে ব্যস্ত দিয়া সবার সামনে বিহানের কাছে অপমানিত হয়। কিন্তু এরপর বিহান যখন তার ‘বিশেষ মানুষ’-এর গুণগান শুরু করে, তখন দিয়ার ক্রোধ চরমে ওঠে। কেন বিহানের এই আচরণ?
অপমানের জেরে নিজের ঘরে আশ্রয় নেয় দিয়া, কিন্তু বিহান সেখানেও হাজির। একটি রহস্যময় প্রেমপত্র দিয়ার হাতে আসতেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। চিঠিটা কেড়ে নিয়ে বিহানের চোখে ফুটে ওঠে সর্বনাশা ক্রোধ।
বিহানের ষড়যন্ত্রে সবার সামনে মায়ের হাতে চড় খায় দিয়া। এই চরম অপমানের পর তার পরিবার যখন তড়িঘড়ি করে তার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন দিয়ার জীবন এক নতুন সংকটের মুখোমুখি হয়।
দিয়ার বিয়ের সিদ্ধান্তে বিহানের মা তাকেই দায়ী করে। যখন বিহানের সাথে দিয়ার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়, সে তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু পরিবারের চাপে সে কি তার সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হবে?
বিয়ের আগের রাতে দিয়ার মনে পড়ে যায় ছেলেবেলার এক নিষ্পাপ স্বীকারোক্তির কথা, যা বিহানকে ঘিরেই ছিল। অতীতের স্মৃতি আর বর্তমানের সংকট মিলিয়ে সে সিদ্ধান্ত নেয়, এই বিয়ে সে কিছুতেই করবে না।
বিয়ের সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য ভোরে বিহানের সাথে দেখা করতে যায় দিয়া। কিন্তু বিহান তার আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে একের পর এক অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে দিয়াকে তার মনের কথা বলতেই দেয় না।
ভোরে বিহান আর দিয়ার গোপন সাক্ষাৎ কাজিনদের হাতে ধরা পড়ে যায়। সবার ঠাট্টা আর প্রশ্নের মুখে বিহান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু তার কথাগুলো কি দিয়ার মনের সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দেবে?
বিয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে দিয়া যখন বিহানের মুখোমুখি হয়, তখন বিহান তাকে তার ‘প্রেমিকা’-র জন্য একটি বার্তা পৌঁছে দিতে বলে। এই অদ্ভুত অনুরোধের পেছনে কি কোনো নতুন চাল লুকিয়ে আছে?
বিয়ের পর প্রথম রাতে বিহান দিয়াকে তার ‘প্রেমিকা’-র কথা বলে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু দিয়ার এক ভুলের কারণে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির সুযোগ কি বিহান নিজের অজান্তেই নিয়ে ফেলবে?
বিয়ের পর মামাবাড়ি এখন দিয়ার কাছে শ্বশুরবাড়ি। নতুন পরিচয়ের এই প্রথম সকালে বিহান যখন তাকে জোর করে প্রাইভেট পড়তে নিয়ে যায়, তখন দিয়ার মনে হয় এই অত্যাচারী মানুষটা হয়তো কখনোই বদলাবে না।
বাসর রাতে ভূতের ভয়ে বিহানের বুকে আশ্রয় নেয় দিয়া। ঘুমের ঘোরে বিহান যখন ভালোবাসার কথা বলতে শুরু করে, দিয়ার মনে প্রশ্ন জাগে—এই কথাগুলো কি সত্যিই তার ‘প্রেমিকা’-র জন্য, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে?
দিয়ার প্রতি বিহানের গোপন যত্ন আর ভালোবাসার প্রকাশ দিয়াকে ধীরে ধীরে দ্বিধায় ফেলে দেয়। কিন্তু বিহান যখনই তার ‘শ্বশুরের মেয়ে’-র কথা তোলে, তখন দিয়ার সব ভালো লাগা ঘৃণায় পরিণত হয়। এই লুকোচুরির শেষ কোথায়?
বিহানের ফোনে তার এক বন্ধুর সাথে ভালোবাসার আলাপচারিতা শুনে ফেলে দিয়া। কিন্তু বিহান ব্যাপারটা জানতে পেরে দিয়াকে এমনভাবে অপমান করে, যা দিয়ার আত্মসম্মানে চরম আঘাত হানে। কেন বিহান তার ব্যক্তিগত কথা লুকাতে চাইছে?
অপমানিত হয়ে দিয়া যখন বাবার বাড়ি ফিরে আসে, তখন পাড়া-প্রতিবেশীর কানাঘুষা শুরু হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে বিহান সেখানে হাজির হয়ে এমন এক গল্প ফাঁদে, যা পরিস্থিতি সামাল দিলেও দিয়ার মনে নতুন প্রশ্নের জন্ম দেয়।
বিহানের অবহেলায় দিয়ার অভিমান যখন চরমে, তখন বিহান নিজ হাতে শিউলি ফুলের গহনা বানিয়ে দিয়াকে সাজিয়ে দেয়। তার এই ভালোবাসার প্রকাশ কি দিয়ার অভিমান ভাঙাতে পারবে, নাকি ‘শ্বশুরের মেয়ে’-র কথা তুলে সে আবার সবটা নষ্ট করে দেবে?
কাজিনদের আড্ডায় বিহান আর বিভোরের খুনসুটি যখন জমে উঠেছে, তখন সবার অলক্ষ্যে আবির আর মেহুর মাঝে অন্যরকম এক সম্পর্কের আভাস পাওয়া যায়। এই গোপন অনুভূতি কি দিয়ার চোখ এড়াবে?
জন্মদিনের আগে বিহানকে কাছে না পেয়ে দিয়ার মন ভীষণ খারাপ। তার উপর ফেসবুকে বিহানের ‘প্রেমিকা’ প্রেয়সীর জন্মদিনের পোস্ট দেখে দিয়ার পৃথিবী যেন অন্ধকার হয়ে আসে। এই ভুল বোঝাবুঝির শেষ কোথায়?
জন্মদিনে দিয়ার অভিমান ভাঙাতে বিহান এমন এক সারপ্রাইজের আয়োজন করে, যা দিয়ার কল্পনাকেও হার মানায়। মধ্যরাতে বিহানের এই ভালোবাসার প্রকাশ কি তাদের সম্পর্কের সব ভুল বোঝাবুঝি দূর করে দেবে?
জন্মদিনের রাতে এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় বিহান অবশেষে তার মনের সব কথা দিয়াকে খুলে বলে। তার প্রতিটি কথায় লুকিয়ে থাকা ভালোবাসা কি দিয়ার সব অভিমান ধুয়ে মুছে দেবে?
জন্মদিনের রাতের পর বিহানের রোমান্টিক রূপ উধাও। পুরনো খিটখিটে মেজাজে ফিরে যাওয়ায় দিয়া তাকে জব্দ করার এক নতুন ফন্দি আঁটে। কিন্তু এই খেলা কি উল্টো তারই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে?
দিয়াকে শিক্ষা দিতে গিয়ে বিহান এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, যা তাদের দুজনকেই অপ্রস্তুত করে ফেলে। এর মাঝেই তাদের কাজিনদের আড্ডায় বিভোরের এক ভুলে বিহান মারাত্মক এক বিপদে পড়ে যায়।
অসময়ের এক বৃষ্টিতে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে থাকা বিহানকে দেখে অবাক হয় দিয়া। এরপর বিহান যখন দিয়ার জন্য একটি গান গায়, তখন গানের প্রতিটি কথায় দিয়া তার জন্য বিহানের গভীর অনুভূতি খুঁজে পায়।
দিয়ার ভুলের সুযোগ নিয়ে বিহান তাকে এমন এক ‘শাস্তি’ দেয়, যা দিয়াকে লজ্জায় ফেলে দেয়। পরদিন ভোরে দিয়া যখন এর প্রতিশোধ নিতে যায়, তখন তাদের খুনসুটি এক নতুন মাত্রা পায়।
বিহানের জন্য অপেক্ষা করতে করতে দিয়ার পৃথিবী যখন থমকে গেছে, তখন প্রেয়সীর এক ফোনকলে তার সব বিশ্বাস ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। বিহান কি সত্যিই তাকে ঠকাচ্ছে?
দিয়ার একটি মেসেজ পেয়ে বিহান ঝড়ের গতিতে ঢাকা থেকে নড়াইলে ছুটে আসে। কিন্তু তার এই আকস্মিক আগমন কি দিয়ার ভুল ভাঙাতে পারবে, নাকি তাদের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়বে?
ভুল বোঝাবুঝির পর বিহান দিয়ার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। তার এই নিরবতার শাস্তি দিয়ার কাছে অসহ্য হয়ে ওঠে। দিয়ার চোখের জল কি পারবে বিহানের অভিমানের বরফ গলাতে?
টানা কয়েকদিন না খেয়ে থাকায় দিয়া হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে অচেতন অবস্থায় দেখে বিহানের ভেতরের সব রাগ, অভিমান আর চেপে রাখা ভালোবাসা একसाथ বেরিয়ে আসে। এই ঘটনা কি তাদের ভাঙা সম্পর্ককে জোড়া লাগাতে পারবে?
দিয়াকে হারানোর ভয়ে বিহানের অসহায় কান্না দেখে দিয়ার সব অভিমান গলে যায়। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে তাদের সম্পর্ক কি এক নতুন, সুন্দর দিনের সূচনা করবে?
অভিমানের মেঘ কেটে যাওয়ার পর দিয়া যখন দুষ্টুমি করে বিহানের কাছে একটি ‘বেবি’-র আবদার করে, তখন বিহান তাকে এমন এক অদ্ভূত শর্ত দেয় যা দিয়াকে লজ্জায় ফেলে দেয়।
রিয়া আর বিভোরের পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে দুই পরিবারে যখন তুমুল অশান্তি, তখন বিহান শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তাদের এই ভালোবাসার জয় কি রিয়ার বাবার মন গলাতে পারবে?
সব বাধা পেরিয়ে বিভোর আর রিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়। তাদের বাসর ঘর সাজাতে গিয়ে বিহান আর দিয়ার মাঝে এমন কিছু খুনসুটি হয়, যা তাদের নিজেদের প্রথম রাতকে মনে করিয়ে দেয়।
নিজেদের বিবাহবার্ষিকীতে বিহান যখন দিয়াকে নিজ হাতে সাজাতে শুরু করে, তখন তার প্রতিটি স্পর্শ আর কথায় দিয়া নতুন করে তার স্বামীর ভালোবাসার গভীরতা অনুভব করে।
হঠাৎ এক দুর্ঘটনায় দিয়া গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে তার রিপোর্ট দেখে বিহান স্তব্ধ হয়ে যায়। এমন এক কঠিন সত্যের মুখোমুখি সে হয়, যা তাদের ভালোবাসার সবথেকে বড় পরীক্ষা নিতে চলেছে।
বিহানের অদ্ভুত আচরণ আর তার অনাগত সন্তানকে নিয়ে অনাগ্রহ দিয়াকে সন্দেহের গভীরে ঠেলে দেয়। এরপর হাসপাতালে প্রেয়সীর সাথে বিহানকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে দিয়ার পৃথিবী ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
দিয়াকে হারানোর ভয়ে বিহান যখন কান্নায় ভেঙে পড়ে, তখন বেরিয়ে আসে তার সব কষ্ট আর লুকানো সত্য। দিয়ার জীবন বাঁচাতে সে যে নিজের অনাগত সন্তানকে বিসর্জন দিতে চেয়েছিল, সেই حقیقت কি দিয়া মেনে নিতে পারবে?
জীবনের সবথেকে কঠিন পরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে দিয়া আর বিহান। একদিকে দিয়ার জীবন, অন্যদিকে তাদের অনাগত সন্তান। ভালোবাসার এই চরম পরীক্ষায় তারা কি জিততে পারবে?
অপারেশন থিয়েটারে জীবনের শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দিয়া বিহানকে তার ভালোবাসার কথা জানায়। বিহানের হাতেই এখন দিয়া আর তাদের সন্তানের ভাগ্য। এই কঠিন লড়াইয়ে সে কি জয়ী হতে পারবে?
সব বাধা পেরিয়ে দিয়া আর তার সন্তান দুজনেই সুস্থ হয়ে ওঠে। তাদের মেয়ে ‘সকাল’-কে নিয়ে বিহান আর দিয়ার নতুন জীবন শুরু হয়। এই ভালোবাসার গল্প কি এখানেই শেষ, নাকি নতুন কোনো অধ্যায় অপেক্ষা করছে?
কয়েক বছর পর, বিহান আর দিয়ার দুষ্টু মেয়ে সকাল এখন তাদের খুনসুটির নতুন সঙ্গী। মেয়ের নালিশে বিহান যখন স্ত্রীর বিরুদ্ধে মেয়ের পক্ষ নেয়, তখন তাদের মিষ্টি দাম্পত্যের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়।
ঈদের ছুটিতে সব কাজিনদের মিলনমেলায় পুরনো দিনের মতোই খুনসুটিতে মেতে ওঠে সবাই। এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় বিহান আর দিয়া আবার ফিরে পায় তাদের প্রেমের শুরুর সেই মুহূর্তকে। এই বৃষ্টি কি তাদের ভালোবাসার গল্পকে এক নতুন পূর্ণতা দেবে?
কাজিনদের আড্ডায় বিহানকে ‘বউ ভক্ত’ বলায় সে রেগে যাওয়ার ভান করে। কিন্তু পরে দিয়ার কাছে এমন এক আবদার করে বসে, যা শুনে দিয়া লজ্জায় লাল হয়ে যায়।
একটি বিশেষ রাতের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে দিয়া। কিন্তু সেই রাতে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়, যা তাদের ভালোবাসাকে এক নতুন পরীক্ষার মুখে ফেলে দেয়।
অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে রিয়া আর বিভোরের ভালোবাসার জয় হয়। তাদের নতুন জীবন শুরু হওয়ার মুহূর্তে দিয়া আর বিহান নিজেদের ভালোবাসার পুরনো দিনগুলোতে ফিরে যায়।
বিহানের এক নারী পেশেন্টের সাথে অন্তরঙ্গতা দেখে দিয়ার মনে ঈর্ষার আগুন জ্বলে ওঠে। রাগের মাথায় সে এমন এক কাজ করে বসে, যা বিহানকে চরমভাবে ক্ষুব্ধ করে তোলে।
ঈদের রাতে দিয়াকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য বিহান এক মিষ্টি পরিকল্পনা করে। কিন্তু দিয়া কি পারবে বিহানের এই ভালোবাসার জবাব এক নতুন খুনসুটির মাধ্যমে দিতে?
এক অপ্রত্যাশিত খবরে যখন পুরো পরিবার আনন্দে মেতে ওঠে, তখন বিহানের রহস্যময় নিরবতা দিয়ার মনে নতুন সন্দেহের জন্ম দেয়। এই খুশির খবরেও বিহান কেন চুপ?
দিয়ার একটি আবদার পূরণ করার জন্য বিহান এমন এক শর্ত দেয়, যা তাদের খুনসুটি আর ভালোবাসার খেলাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যায়। এই খেলায় কে জিতবে?
কাজিনদের আড্ডার মাঝে আবির আর মেহুর গোপন প্রেম যখন দিয়ার চোখে ধরা পড়ে, ঠিক তখনই রিয়া আর বিভোরের জীবনে এক অপ্রত্যাশিত ঝড় নেমে আসে। এই ঝড় কি তাদের সম্পর্ককে ভেঙে দেবে?
রিয়ার বিয়ে আটকাতে যখন সব পথ বন্ধ, তখন বিহান আর বিভোর এক কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়। ভালোবাসার জন্য তাদের এই লড়াই কি সফল হবে, নাকি নিয়তির কাছে তারা হেরে যাবে?
পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে রিয়া যখন বিভোরের হাত ধরে পালিয়ে যায়, তখন তাদের সামনে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। ভালোবাসার জন্য ঘর ছাড়া এই দুটি মন কি পারবে তাদের নতুন জীবন গড়তে?
দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ায় দিয়া যখন বিহানের সাথে খুনসুটিতে মেতে ওঠে, তখন বিহান তাকে এমন এক কথা বলে, যা তাদের ভালোবাসার সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রা দেয়।
দিয়া যখন এক অপ্রত্যাশিত বিপদের মুখোমুখি হয়, তখন বিহানের ভেতরের সব ভয় আর অসহায়ত্ব বেরিয়ে আসে। এই কঠিন সময়ে সে কি পারবে দিয়াকে আগলে রাখতে?
হসপিটালের এক ঘটনায় দিয়া আর বিহানের মাঝে এমন এক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, যা তাদের সম্পর্ককে বিচ্ছেদের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। এই ঝড় কি তারা সামলাতে পারবে?
দিয়ার অভিমান ভাঙানোর জন্য বিহান যখন অসুস্থতার অভিনয় করে, তখন দিয়ার চিন্তা আর ভালোবাসা দেখে বিহান নতুন করে তাদের সম্পর্কের গভীরতা অনুভব করে।
আলমারি গোছাতে গিয়ে দিয়া এমন এক জিনিস খুঁজে পায়, যা তাকে বিহানের ভালোবাসার এক অজানা অধ্যায়ের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। এই আবিষ্কার কি তাদের সম্পর্ককে নতুন কোনো মোড় দেবে?
এডমিশন পরীক্ষার আগে দিয়ার ভয় আর দুশ্চিন্তা দূর করতে বিহান তাকে যেভাবে আগলে রাখে, তাতে দিয়া বুঝতে পারে এই মানুষটাই তার জীবনের সবথেকে বড় আশ্রয়।
দিয়া যখন নিজেকে বিহানের যোগ্য নয় বলে মনে করে, তখন বিহান এমনভাবে রেগে যায় যা দিয়াকে অবাক করে দেয়। তার এই ক্রোধের পেছনে কি শুধু ভালোবাসা, নাকি অন্য কোনো ভয়ও লুকিয়ে আছে?
নড়াইলে ফিরে আসার সময় দিয়াকে বিদায় জানাতে গিয়ে বিহানের মন খারাপ হয়ে যায়। তার এই আকুতি কি দিয়াকে তার সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য করবে?
রিয়া আর আমি দুজনেই মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় যখন সবাই খুশিতে আত্মহারা, তখন রিয়া আর বিভোরের ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগানোর এক নতুন সুযোগ তৈরি হয়। এই সুযোগ কি তারা কাজে লাগাতে পারবে?
রিয়া আর বিভোরের ভালোবাসার চূড়ান্ত মুহূর্তে যখন পরিবার আর সমাজ বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন তাদের এই লড়াই এক নতুন দিকে মোড় নেয়। ভালোবাসা কি পারবে সব বাধা জয় করতে?
রিয়া আর বিভোরের বাসর ঘর সাজাতে গিয়ে বিহান আর দিয়া নিজেদের প্রথম রাতের স্মৃতিতে হারিয়ে যায়। এই রাত কি তাদের পুরনো ভালোবাসাকে নতুন করে জাগিয়ে তুলবে?
হসপিটালের এক ঘটনায় বিহান যখন এক অদৃশ্য শত্রুর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়, তখন দিয়ার বিশ্বাস আর ভালোবাসা এক কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়ে। এই ঝড় কি তারা একসাথে সামলাতে পারবে?
বিহানের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দিয়া যখন তার ভুলের অনুশোচনা করে, তখন বিহানের অসহায় কান্না তাদের সম্পর্ককে এক নতুন মোড় দেয়। এই রাত কি তাদের শেষ রাত হতে চলেছে?
সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে দিয়া আর বিহান যখন নতুন করে তাদের জীবন শুরু করে, তখন তাদের সামনে এক নতুন চ্যালেঞ্জ এসে দাঁড়ায়। ভালোবাসা কি পারবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে?
বিবাহবার্ষিকীর রাতে দিয়া যখন বিহানকে জব্দ করার এক নতুন খেলা শুরু করে, তখন বিহান তাকে এমন এক আবদার করে বসে, যা তাদের ভালোবাসার রাতকে আরও রঙিন করে তোলে।
বিবাহবার্ষিকীর পরদিন ভোরে দিয়ার দুষ্টুমি যখন বিহানের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, তখন বিহান তাকে এমনভাবে ভালোবাসার অধিকার দেখায়, যা দিয়াকে নতুন করে প্রেমে পড়তে বাধ্য করে।
হসপিটালের এক ঘটনায় যখন দিয়া আর বিহানের মাঝে আবার ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, তখন তাদের ভালোবাসা এক কঠিন অগ্নিপরীক্ষার মুখে পড়ে। এই পরীক্ষা কি তারা পাস করতে পারবে?
দিয়াকে হারানোর ভয়ে বিহান যখন কান্নায় ভেঙে পড়ে, তখন তার অসহায়ত্ব দেখে দিয়ার সব অভিমান গলে যায়। এই রাতে কি তারা সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে একে অপরের কাছে আত্মসমর্পণ করবে?
সব অভিমানের মেঘ কেটে যাওয়ার পর দিয়া আর বিহানের জীবনে এক নতুন, সুন্দর সকাল আসে। এই সকাল কি তাদের ভালোবাসার গল্পে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে?
ঈদের ছুটিতে কাজিনদের মিলনমেলায় বিহান আর দিয়ার খুনসুটি তাদের ভালোবাসার সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই ঈদ কি তাদের জন্য নতুন কোনো স্মৃতি নিয়ে আসবে?
দিয়ার অসুস্থতা যখন তাদের জীবনে এক নতুন ঝড় নিয়ে আসে, তখন বিহান এক কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়। ভালোবাসা কি পারবে এই অগ্নিপরীক্ষায় জয়ী হতে?
দিয়াকে হারানোর ভয়ে বিহান যখন ভেঙে পড়ে, তখন তার আর্তনাদ আর অসহায়ত্ব তাদের ভালোবাসার গভীরতাকে নতুন করে চিনিয়ে দেয়। এই কঠিন সময়ে তারা কি একে অপরকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারবে?
সব বাধা পেরিয়ে দিয়া আর বিহানের জীবনে যখন তাদের সন্তান ‘সকাল’-এর আগমন হয়, তখন তাদের ভালোবাসার গল্প এক নতুন, সুন্দর অধ্যায়ের সূচনা করে।
কয়েক বছর পর, বিহান আর দিয়ার দুষ্টু মেয়ে সকাল এখন তাদের খুনসুটির নতুন সঙ্গী। মেয়ের নালিশে বিহান যখন স্ত্রীর বিরুদ্ধে মেয়ের পক্ষ নেয়, তখন তাদের মিষ্টি দাম্পত্যের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়।
দিয়াকে হারানোর ভয়ে বিহান যখন কান্নায় ভেঙে পড়ে, তখন তার অসহায়ত্ব দেখে দিয়ার সব অভিমান গলে যায়। এই রাতে কি তারা সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে একে অপরের কাছে আত্মসমর্পণ করবে?
অপারেশন থিয়েটারে জীবনের শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দিয়া বিহানকে তার ভালোবাসার কথা জানায়। বিহানের হাতেই এখন দিয়া আর তাদের সন্তানের ভাগ্য। এই কঠিন লড়াইয়ে সে কি জয়ী হতে পারবে?
সব বাধা পেরিয়ে দিয়া আর তার সন্তান দুজনেই সুস্থ হয়ে ওঠে। তাদের মেয়ে ‘সকাল’-কে নিয়ে বিহান আর দিয়ার নতুন জীবন শুরু হয়। এই ভালোবাসার গল্প কি এখানেই শেষ, নাকি নতুন কোনো অধ্যায় অপেক্ষা করছে?
ঈদের ছুটিতে সব কাজিনদের মিলনমেলায় পুরনো দিনের মতোই খুনসুটিতে মেতে ওঠে সবাই। এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় বিহান আর দিয়া আবার ফিরে পায় তাদের প্রেমের শুরুর সেই মুহূর্তকে। এই বৃষ্টি কি তাদের ভালোবাসার গল্পকে এক নতুন পূর্ণতা দেবে?