এই সু তুই কলেজের ভিতরে না গিয়ে বাইরে কী করছিস ? অনুরে সামনের দিকে দেখ , আমি যা দেখছি তুইও কী তাই দেখছিস ? সুদেশনার কথায় অনুরীমা সামনের দিকে তাকায় , চমকে ওঠে সে । এ কী দেখছে ?? তারপর সুদেশনার দিকে তাকায় তার চোখের
আমি বাসের মধ্যে কখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম টেরই পাইনি, অনু আর স্নেহার ডাকে যখন ঘুম ভাঙ্গল তখন পাশে তাকিয়ে দেখি সেই সুদর্শন পুরুষটি নেই । আমার পাশের সিট ফাঁকা । আমি যেনো কোনো ঘোরের মধ্যে ছিলাম „„„ একবার ফাঁকা সিটের দিকে তাকাচ্ছি তো একবার ওদের দিকে… এই এরকম হ্যাবলাকান্তর মতো তাকাচ্ছিস
সেই দিন সম্ভবত শুক্রবার ছিল , কিছু একটা সরকারি কাজের জন্য কলেজ ছুটি থাকায় আমারা তিন মূর্তি গ্ৰুপ স্টাডি করার প্ল্যান করি । তো কথানুযায়ী আমি আর স্নেহা গিয়েছিলাম অনুর বাড়িতে । সুভাষপল্লি রোডের একদম মোড় মাথাতেই দোতলা বিশিষ্ট বাড়িটা অনুদের। ওদের বাড়ির সামনের দিকে ছোটো বাগান আছে,
তপ্ত দুপুরে যান্ত্রিক শহরের ব্যস্ত মানুষ ছুটে চলেছে যে যার গন্তব্যে । চারিদিকে উষ্ণ মৃদু বাতাস বইছে , হালকা হাওয়ায় নড়ে উঠছে গাছপালা, কয়েকটা পাখির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে থেমে থেমে। মেইন ক্যামপাস থেকে দেখা যাচ্ছে স্ট্যান্ডে হাতে হাত রেখে হাঁটছে কয়েকটা কপোত কপোতি। কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের দল স্ট্যান্ডের বিশাল
সময়টা সকাল ১১ টা নাগাদ হবে , পুরো স্ট্যান্ড গাছপালায় ভর্তি থাকায় সূর্যের কিরণ ঠিক মতো এসে পৌঁছাতে পারছে না সেখানে , কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাএীরা আড্ডা দিচ্ছে গাছের নীচে বসে।চারিদিক থেকে গাড়ির হর্নের আওয়াজ ভেসে আসছে। স্ট্যান্ডের নীচের দিকে পার্ক সাইডে স্কুল ইউনিফর্ম পরিহিত বাচ্চাদের ভিড়, তারা নিজেদের মধ্যে
চনন্দননগরের যান্ত্রিক শহরে শুরু হলো আবার নতুন দিনের সূচনা । আজকে সোমবার আর এই দিনে স্কুল কলেজ যাওয়ার একটু বেশিই তাড়া থাকে । পুরো সপ্তাহটা চলবে এবার ব্যাস্ততায়। ছুটির দিন গুলো অনেক তাড়াতাড়ি কেটে যায় বোঝাই যায় না । প্রতিদিনের মতো আজকেও স্ট্যান্ডে প্রচুর ভিড়
তপ্ত দুপুরে স্ট্যান্ডের রাস্তা ধরে শো শো করে বড়ো বড়ো গাড়ি যাচ্ছে , সাইকেলের আনাগোনা খুবই কম। চারিদিক কোলাহলের শব্দে মুখরিত। এই কোলাহলে একে অপরের কথোপকথন হয়তো শোনা যাবে না । তাও সুদেষ্ণার বন্ধুগন সুদেষ্ণার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে অধির আগ্রহে…… সুদেষ্ণা সবার কৌতূহলী মুখের দিকে চেয়ে বলা শুরু করলো„„„„„ […]
নিস্তবদ্ধ পরিবেশ, শুধু দেয়ালের ঘড়িটা ‘ঢং’ ‘ঢং’ শব্দ করে জানান দিচ্ছে সময়ের কথা । মাঝে মাঝে কয়েকটা মাছির ডানা ঝাপটানোর শব্দ কানে আসছে। ঘরের মেইন দরজা বন্ধ , লিভিং রুমের চারিদিকের জানলা খোলা থাকায় বাতাসের তীব্র বেগে “শো” “শো” শব্দ করে জানলার পর্দা উড়ছে । মাথার ওপরের ফ্যান টাও “ভন”
স্নিগ্ধ এক সকাল , বাইরে হালকা শীত শীত ভাব । চারিদিকে পাখির “কিচিরমিচির” শব্দ শোনা যাচ্ছে। সবে সূয্যি মামার আগমন ঘটেছে , আকাশটা হালকা হলুদ রঙের। জানলা দিয়ে সূর্যের কিরণ এসে ঘরে পড়ছে । এখন ঘড়িতে সকাল ন’ টা বেজে পনেরো মিনিট , সুদেষ্ণা মরার মতো ঘুমাচ্ছে । তখনই সুদেষ্ণার
সূচনা হলো নতুন এক সকালের , বন্ধ ঘরের জানালা দিয়ে একফালি সোনালী রোদ্দুর এসে পড়ছে মেঝেতে । আলোর প্রতিফলনের জন্য ঘরের সাদা দেয়াল , বিছানা হলুদ দেখাচ্ছে। ঘড়িতে এখন সকাল ৮ টা বেজে ৫ মিনিট, সুদেষ্ণা বাথরুমে ব্রাশ করছে আর গানের তালে দুলছে তার ছোটো দেহ,,,,,,,, তোমার প্রজাপতির পাখা আমার
বেলা গড়িয়ে ঘড়িতে তিনটে বাজে তখন , মেইন ক্যামপাস একদম শান্ত হয়ে আছে । শুধুমাত্র গানের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ক্যামপাসে উপস্থিত সবাই , এমনকি হিমাদ্রও হা’ করে স্টেজের দিকে চেয়ে আছে । স্টেজে তখন এক কেশবতী “ ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় ” গানে নাচতে ব্যস্ত । সে কারোর দিকে তাকাচ্ছে না
সময় প্রবহমান, সময় কারোর জন্য থেমে থাকে না। নবীনবরণ অনুষ্ঠানের পর কেটে গেছে বেশ কয়েক দিন, এই কয়েক দিন সুদেষ্ণারা কেউ কলেজ যায়নি । তার অব্শ্য কারন আছে , চনন্দননগর কলেজে সেকেন্ড সেমিষ্টার এর পরীক্ষা চলছিলো তাই সুদেষ্ণাদের ছুটি ছিলো কাল থেকে আবার কলেজ যাবে। সেকেন্ড সেমিষ্টার এর পর সুদেষ্ণাদের
আজকে মঙ্গলবার, দীর্ঘ দিন পর আবার কলেজ শুরু হয়েছে। এখন শীতকালের শুরুর দিকে তাই গরম ভাব নেই বললেই চলে। স্ট্যান্ডের ওপর দন্ডায়মান গাছ গুলোতে দেখা যাচ্ছে কয়েকটা সুন্দর পাখি বসে আছে , সম্ভবত অন্য দেশ থেকে আসা পরিযান পাখি। আজকের রোদটা তেমন বিরক্তিকর লাগছে না বরং ভালো লাগছে। সুদেষ্ণা হাত
সময়টা দুপুরের মাঝামাঝি হবে হয়তো , রাস্তায় তেমন একটা ভিড় নেই বললেই চলে। নিস্তব্ধ রাস্তা,,,, সুদেষ্ণার কানে কোনো আওয়াজ যাচ্ছে না , ও মনে হচ্ছে কোনো ঘোরের মধ্যে আছে । সুদেষ্ণা নিষ্পলক চেয়ে আছে সুদর্শন পুরুষটির দিকে,,,,,, অষ্টাদশীর নেই কোনো তাড়া নেই কোনো ব্যস্ততা শুধুমাত্র তাকিয়ে থাকাই হচ্ছে তার মুখ্য
কুয়াশার চাদরে মোড়ানো সুন্দর সকাল, পুরো রাস্তাঘাট ফাঁকা। এখন চলছে নভেম্বর মাসের শেষের দিকে তাই হাড় কাঁপানো শীত এখনো পড়েনি তবে ঘুমানোর সময় লেপ তো লাগেই। এখন ঘড়িতে সকাল ৫ টা’ বেজে ৩০ মিনিট , এই সময় সুদেষ্ণার বাড়ির সবাই ঘুমে কাদা একমাত্র সুদেষ্ণা বাদে । আজকে সুদেষ্ণার ইকোনমিকস পরীক্ষা
পড়ন্ত বিকেল বেলা, সূর্য ধীরে ধীরে অস্ত যাচ্ছে। আকাশটা কেমন লাল আর কমলার মিশ্রন দেখাচ্ছে । পাখিরা উড়ে যাচ্ছে নিজস্ব ঠিকানায় । হালকা ঠান্ডা বাতাস বইছে, সুদেষ্ণা ছাদের রেলিং ধরে এক ভাবে আকাশের দিকে চেয়ে আছে ।
সোনালী রোদ্দুর জানলার ফাঁক দিয়ে এসে সুদেষ্ণার চোখে, মুখে পড়ছে,,,,, বিরক্তিতে মুখ কুঁচকে গেলো সুদেষ্ণার। চোখ পিট পিট করে তাকালো জানলার দিকে, জানলা খোলা আছে। অথচ স্পষ্ট মনে আছে রাতে জানলা বন্ধ করে ঘুমিয়েছিলো সুদেষ্ণা। এটা নিশ্চয়ই তার মা জননীর কাজ। সুদেষ্ণা বড্ড ঘুম কাতুরে , সে একবার ঘুমালে বাড়িতে
দুপুর আড়াইটে তখন , সূর্যের আলোর প্রখরতা খুব একটা নেই বললেই চলে। শীতকালে সূর্যের আলো গায়ে মাখতে বেশ ভালোই লাগছে । সুদেষ্ণারা বসে এখন আড্ডা দিচ্ছে আর মাঝে মধ্যে বাচ্চাদের দৌড়-ঝাঁপ দেখছে । বাচ্চাগুলোর তো খেয়াল রাখতে হবে , বড়োরা কয়দিকেই বা সামলাবে । সুদেষ্ণাদের একটু আগেই খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ
ডিসেম্বর মাসের অর্ধেক দিন কেটে গেছে আরও কয়েকদিন পরই নতুন বছরের শুরু । আগে নতুন বছর নিয়ে বেশ আনন্দ থাকতো সুদেষ্ণার মনে কিন্তু বড়ো হওয়ার পর ব্যাপারটা আর নেই। এখনকার ডিসেম্বর আগের মতো সুন্দর নেই। আগে ডিসেম্বর মানেই ছুটি, ঘোরাঘুরি আর এখন ডিসেম্বর মানেই পরীক্ষা। আগে নতুন বছর মানে নতুন
নিস্তব্ধ পরিবেশ, চারিদিক থেকে পাখির “কিচিরমিচির” এর শব্দ শোনা যাচ্ছে। হিম শীতল ঠান্ডা বাতাস বইছে,,,,,,,, সুদেষ্ণা গায়ের চাদরটাকে আর একটু জরিয়ে নিয়ে তাকালো বেলকোনি থেকে রাস্তার দিকে , গাড়ি গুলো শো’ শো’ শব্দ করে তীব্র বেগে ছুটছে। সুদেষ্ণা এক ভাবে রাস্তার দিকে তাকিয়ে রইলো, ভুলেও পাশে দাঁড়ানো মানবটার দিকে তাকালো