মেইড ফর ইচ আদার
সমাপ্তএক জমকালো বিয়ের উৎসবকে ঘিরে পনেরো বছর পর এক হয় আহমেদ ভিলার কাজিনেরা। কিন্তু আনন্দের আড়ালে দানা বাঁধে নতুন প্রেম, পুরনো খুনসুটি আর এক ভয়ংকর গোপন ষড়যন্ত্র। যখন ভালোবাসা আর বিপদ একসাথে হানা দেয়, তখন কি অটুট থাকবে তাদের সম্পর্ক?
সিজন ১
(৩০ পর্ব)এক জমকালো বিয়ের উৎসবকে ঘিরে পনেরো বছর পর এক হয় আহমেদ ভিলার কাজিনেরা। কিন্তু আনন্দের আড়ালে দানা বাঁধে নতুন প্রেম, পুরনো খুনসুটি আর এক ভয়ংকর গোপন ষড়যন্ত্র। যখন ভালোবাসা আর বিপদ একসাথে হানা দেয়, তখন কি অটুট থাকবে তাদের সম্পর্ক?
পনেরো বছর পর আহমেদ ভিলায় বিয়ের উৎসবে মেতেছে পুরো পরিবার। কিন্তু সকলের আড়ালে জার্মানি থেকে ফিরছে আবির, যার মনে কেবলই চার বছরের তৃনার স্মৃতি। সেই ছোট্ট পুতুল মেয়েটি আজ কেমন হয়েছে, তাকে দেখে কি চিনতে পারবে আবির?
মেঘের ডাকে আলসেমি ভেঙে ছাদে বৃষ্টিবিলাসে মেতেছে তৃনা। ঠিক তখনই সেখানে হাজির হয় আবির এবং কাকভেজা অবস্থায় তৃনাকে দেখে মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায়। এই অপ্রত্যাশিত সাক্ষাতের পর তাদের সম্পর্কের মোড় কোন দিকে ঘুরবে?
বাড়ির সবাই যখন তৃনাকে খুঁজে হয়রান, তখন আবির তাকে খুঁজে পায় এক নির্জন দোলনায়। এই আকস্মিক অন্তর্ধানের পেছনে তৃনার মনে কী চলছে? তাদের এই একান্তে কাটানো মুহূর্ত কি দুজনের মধ্যে নতুন কোনো সম্পর্কের সূচনা করবে?
আবিরকে ভয় দেখানোর জন্য ভূতের সাজে তার ঘরে হানা দেয় তৃনা। কিন্তু ভয় পাওয়ার বদলে আবির যখন সেই ‘ভূতনি’কেই ভালোবাসার কথা বলে বসে, তখন তৃনা নিজেই নিজের পাতা ফাঁদে আটকে যায়। এই অদ্ভুত স্বীকারোক্তির পর তাদের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে?
হলুদ সন্ধ্যায় গান আর নাচের প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি আবির আর তৃনার দল। কিন্তু মঞ্চের লড়াই যখন তাদের ব্যক্তিগত খুনসুটিতে পরিণত হয়, তখন তৈরি হয় এক নতুন রসায়ন। এই প্রতিযোগিতার শেষে কে জিতবে—আবিরের আত্মবিশ্বাস নাকি তৃনার দুষ্টুমি?
তন্নি আর তন্ময়ের বাসর রাতে কনের ছদ্মবেশে থাকা তৃনাকে তুলে নিয়ে পালায় আবির। এই দুঃসাহসিক আর মজার ঘটনার পর তাদের দুজনের সম্পর্ক কোন দিকে গড়াবে? আবিরের এই কৌতুক কি তৃনার মনে নতুন কোনো অনুভূতির জন্ম দেবে?
পরিবারের আড়ালে তৃনা জড়িয়ে আছে রাজনীতির সঙ্গে, যা তার জীবনের এক ভিন্ন অধ্যায়। ভার্সিটিতে আবিরের অপ্রত্যাশিত আগমন কি তার এই গোপন জগতের কোনো রহস্য ফাঁস করে দেবে?
সবাইকে অবাক করে গোলাপের রাজ্যে আবিরকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় তৃনা। তার এই দুঃসাহসী স্বীকারোক্তির পর আবিরের প্রতিক্রিয়া কী হবে? তাদের ভালোবাসার গল্প কি এখান থেকেই এক নতুন মোড় নেবে?
তৃনার রাজনৈতিক পরিচয় তার পরিবারের সামনে তুলে ধরার জন্য এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র করে সানওয়ার। তৃনা কি এই চক্রান্তের কথা জানতে পারবে, নাকি শত্রুর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে নিজের পরিবারকে বিপদে ফেলবে?
বন্ধুর বিয়েতে বরিশালে এসে বিশখালী নদীর তীরে নতুন করে নিজেদের আবিষ্কার করে কাজিন আর বন্ধুরা। নদীর শান্ত জলের মতো তাদের সম্পর্কগুলোও কি সহজ থাকবে, নাকি কোনো অপ্রত্যাশিত ঢেউ এসে সব ওলটপালট করে দেবে?
ছাদের ওপর বারবিকিউ পার্টির আয়োজন, যেখানে সানির এক soulful গান তুলির মনে ভালোবাসার ঝড় তোলে। আগুনের শিখার মতো তাদের এই নতুন অনুভূতি কি প্রকাশ পাবে, নাকি ধোঁয়ার মাঝে হারিয়ে যাবে?
একদিকে যখন বিয়ের আনন্দে ভাসছে সবাই, ঠিক তখনই সানওয়ার তার শেষ চালটা দেয়। তৃনার গোপন ভিডিওটি তার বাবার কাছে পৌঁছানোর পর আহমেদ ভিলার আনন্দ কি এক মুহূর্তে বিষাদে পরিণত হবে?
ভিডিওটি দেখার পর সফিউল আহমেদের হার্ট অ্যাটাক পুরো পরিবারকে স্তব্ধ করে দেয়। একদিকে বাবার অসুস্থতা, অন্যদিকে পরিবারের দোষারোপ—এই কঠিন সময়ে তৃনা কি ভেঙে পড়বে, নাকি প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে উঠবে?
মেয়ের জীবন বাঁচাতে হাসপাতালে শুয়েই সফিউল আহমেদ এক কঠিন সিদ্ধান্ত নেন—আবিরের সাথে তৃনার বিয়ে। পরিবারের সম্মান আর মেয়ের ভবিষ্যতের মাঝে তৃনার নিজের চাওয়া-পাওয়া কি হারিয়ে যাবে?
হঠাৎ করে চাপিয়ে দেওয়া এক বিয়ের পর আবির আর তৃনার জীবন কোন দিকে মোড় নেবে? তাদের প্রথম রাত কি দুজনের মধ্যে থাকা দূরত্ব আরও বাড়াবে, নাকি এক নতুন সম্পর্কের সূচনা করবে?
আবিরের বিপজ্জনক গবেষণার জগতে প্রবেশ করে তৃনা। কিন্তু এর আড়ালে সে গোপনে কীসের প্রস্তুতি নিচ্ছে যা তার কাছের মানুষেরাও আঁচ করতে পারছে না? তার মনে কি নতুন কোনো প্রতিশোধের পরিকল্পনা চলছে?
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েও এক মারাত্মক ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয় তৃনা। আবিরের একটি চড় তাদের বিশ্বাসে যে ফাটল ধরায়, তারপর তৃনা এক কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের ভালোবাসা কি এই আঘাত সহ্য করতে পারবে?
নিজের ভুলের অনুশোচনায় দগ্ধ আবির তৃনাকে খুঁজতে বের হয়। কিন্তু অভিমানী তৃনা এমন এক জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে, যেখানে পৌঁছানো আবিরের জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ। আবির কি পারবে তার ‘পুতুল’-কে ফিরিয়ে আনতে?
বন্ধুদের কাছে নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে তৃনা তার অবস্থান গোপন রাখতে বলে। অন্যদিকে, আবির মরিয়া হয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছায়, যদি কোনোভাবে তৃনার খোঁজ পাওয়া যায়। এই লুকোচুরির শেষ কোথায়?
অবশেষে তৃনার গোপন আস্তানায় পৌঁছায় আবির। অভিমানী তৃনার করুণ সুর শুনে তার ভাঙা মন কি জোড়া লাগবে? তাদের এই পুনর্মিলন কি সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাবে?
পদত্যাগের দিনে শত্রুরা যখন শেষ আঘাত হানে, তখন তৃনা তার আসল রূপ প্রকাশ করে। এই রক্তাক্ত খেলার শেষ পরিনতি কী হবে? আবির কি তৃনার এই ভয়ংকর রূপ মেনে নিতে পারবে?
ভয়ংকর রাতের শেষে তৃনা যখন শান্ত, তখন আবির কি তার ভেতরের ঝড়টা দেখতে পাচ্ছে? প্রতিশোধের পর তাদের সম্পর্ক কি আগের মতো থাকবে, নাকি নতুন কোনো সমীকরণের জন্ম দেবে?
আন্নি এবং রাইদের ভালোবাসার কথা পরিবারে প্রকাশ পেতেই শুরু হয় নতুন ঝড়। বাবার কঠোর সিদ্ধান্তের মুখে আন্নির ভালোবাসা কি হারিয়ে যাবে, নাকি কোনো चमत्कार ঘটবে?
মেয়ের ভালোবাসার গভীরতা মাপতে এক অভিনব পরিকল্পনা করেন তনয় আহমেদ। তিনি কি রাইদকে মেনে নেবেন, নাকি আন্নির জন্য অন্য কোনো ভবিষ্যৎ ভেবে রেখেছেন? এই পরীক্ষায় কি তাদের ভালোবাসা জয়ী হবে?
সব নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে রাইদ যখন পাত্র হিসেবে হাজির হয়, তখন আন্নির বিস্ময় আর আনন্দ আকাশ ছোঁয়। পরিবারের আশীর্বাদে তাদের ভালোবাসার গল্প কি অবশেষে পূর্ণতা পাবে?
জোড়া হলুদের অনুষ্ঠানে বাসন্তী সাজে তুলিকে দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না সানি। তার পাঠানো একটি গোপন মেসেজ কি তুলির মনে নতুন স্পন্দন তৈরি করবে?
একই দিনে দুই বোনের বিয়েতে বসন্ত কুঠিরে আনন্দের বন্যা। কিন্তু বিদায় বেলায় তৃনার এক অদ্ভুত বায়না সবাইকে অবাক করে দেয়—সে পালকি ছাড়া শ্বশুরবাড়ি যাবে না! আবির কি পারবে তার এই শখ পূরণ করতে?
অবশেষে তৃনার বিয়ের অনুষ্ঠানের পালা। হলুদের সন্ধ্যায় দুই বোনের আবেগঘন মুহূর্তগুলো কি তাদের সম্পর্কের গভীরতাকে নতুন করে চিনিয়ে দেবে? বিদায়ের আগে এই শেষ রাতটা কীভাবে কাটবে তাদের?
তিন বছর পর কেমন আছে আবির, তৃনা আর তাদের বন্ধুরা? সময়ের সাথে বদলে যাওয়া জীবনে তাদের ভালোবাসা কি আগের মতোই আছে, নাকি নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে?
বছরের পর বছর পেরিয়ে, আহমেদ ভিলার ছাদে আবির আর তৃনা আবারও খুঁজে পায় তাদের প্রথম দিনের সেই অনুভূতি। তাদের ভালোবাসার গল্প কি সত্যিই শেষ হলো, নাকি এটাই নতুন এক শুরু?