অভিমানেই আছো তুমি
সমাপ্তএক powerful মাফিয়া নির্দয়ভাবে সেই মেয়েটিকে প্রত্যাখ্যান করে যে তাকে পাগলের মতো ভালোবাসতো। কিন্তু মাসখানেক পর, মেয়েটি যখন নতুন করে জীবন শুরু করতে যায়, সেই মাফিয়াই তার বিয়ের আসরে এসে হুমকি আর ব্ল্যাকমেইলের জোরে তাকে জোর করে বিয়ে করে নেয়। অপমান আর জবরদস্তিতে শুরু হওয়া এই সম্পর্ক কি কখনো ভালোবাসার মুখ দেখবে?
সিজন ১
(১৩ পর্ব)এক powerful মাফিয়া নির্দয়ভাবে সেই মেয়েটিকে প্রত্যাখ্যান করে যে তাকে পাগলের মতো ভালোবাসতো। কিন্তু মাসখানেক পর, মেয়েটি যখন নতুন করে জীবন শুরু করতে যায়, সেই মাফিয়াই তার বিয়ের আসরে এসে হুমকি আর ব্ল্যাকমেইলের জোরে তাকে জোর করে বিয়ে করে নেয়। অপমান আর জবরদস্তিতে শুরু হওয়া এই সম্পর্ক কি কখনো ভালোবাসার মুখ দেখবে?
আরুশি যখন অতীতের সব অপমান ভুলে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছে, ঠিক তখনই বিয়ের আসরে হাজির হয় আদিত্য। কিছু ছবি আর হুমকির জোরে সে ভেঙে দেয় বিয়ে, বাধ্য করে আরুশিকে কবুল বলতে। ক্ষমতার দাপটে শুরু হওয়া এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী?
এক রাতে আদিত্যের সাথে তোলা কিছু ছবিই আরুশির জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সেই ছবির পেছনের গল্পে মিশে আছে আদিত্যের এক চরম অপমান, যা আরুশির ভালোবাসা চুরমার করে দিয়েছিল। যে অপমান তাকে দূরে ঠেলেছিল, সেই ছবির জোরেই কাছে টেনে আনার পেছনে আদিত্যের আসল উদ্দেশ্য কী?
আরুশিকে নিজের ঘরে বন্দী করে রাখলেও আদিত্যর মনে নেই কোনো শান্তি। এক মাসের শূন্যতা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছে আরুশির প্রতি তার আসল অনুভূতি। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সে ঘুমন্ত আরুশির কাছে প্রকাশ করে তার গোপন ভালোবাসা। আরুশি কি কখনো জানতে পারবে তার এই আকুতি?
ওয়াশরুমের এক আরশোলার ভয়ে আরুশি নিজেকে আদিত্যের বাহুতে আবিষ্কার করে। কিন্তু পরক্ষণেই বেলকনির বৃষ্টিতে তার চোখের জলের সাথে মিশে যায় অতীতের সব অপমান আর অভিমান। আদিত্য তাকে খুঁজে পেলেও তাদের মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় নীরবতা। এই বৃষ্টি কি তাদের ভেতরের আগুন নেভাতে পারবে?
জ্বরের ঘোরে আরুশি আদিত্যের অচেনা যত্নশীল রূপ দেখে অবাক হয়। কিন্তু পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া চরম প্রত্যাখ্যান তার সব অভিমানকে উসকে দেয়। আদিত্যের ভালোবাসা স্বীকারোক্তিকে সে ফিরিয়ে দেয় তীব্র ঘৃণা আর অতীতের অপমানের স্মৃতি দিয়ে। ভালোবাসা প্রকাশের পরেও কেন বাড়ল তাদের দূরত্ব?
আরুশি এক অন্ধকার ঘরে রক্তাক্ত, নেশাগ্রস্ত আদিত্যকে আবিষ্কার করে। নেশার ঘোরে আদিত্য তার জীবনের সব কষ্ট আর আরুশিকে হারানোর ভয় প্রকাশ করে। তার অসহায়ত্ব দেখে আরুশির মন গলে গেলেও সে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে না। আদিত্যের ভেতরের ক্ষত কি আরুশির অভিমানের দেয়াল ভাঙতে পারবে?
আদিত্যের আন্তরিক চেষ্টায় আরুশির অভিমানের দেয়াল ভাঙতে শুরু করে। সে মনে মনে আদিত্যকে ক্ষমা করে দেয় এবং তার ভালোবাসার কথা জানানোর জন্য প্রস্তুত হয়। কিন্তু আরুশির সাজসজ্জা আর অপেক্ষা এক দুঃসংবাদে পরিণত হয়, যখন সে জানতে পারে আদিত্য এক মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। মিলনের আগেই কি তবে বিচ্ছেদ লেখা আছে তাদের ভাগ্যে?
হসপিটালে পৌঁছে আরুশি ভুল করে অন্য এক রোগীকে আদিত্য ভেবে কান্নায় ভেঙে পড়ে। ভুল ভাঙার পর স্বস্তি এলেও সে আসল আদিত্যের সামনে নিজের অভিমানের অভিনয় বজায় রাখে। কিন্তু ডাক্তার আদিত্যের কাছে আরুশির ভালোবাসার কথা ফাঁস করে দেয়। নিজের অনুভূতি গোপন রাখার চেষ্টা কি আরুশি আর করতে পারবে?
আদিত্য আর আরুশির সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে এলেও তাদের মাঝে রয়ে গেছে এক না বলা কথা। এই নীরবতা ভাঙতে আদিত্য এক অসাধারণ আয়োজন করে। এক সজ্জিত ছাদে সে আরুশির জন্য অপেক্ষা করে তার মনের কথা বলার জন্য। আদিত্যের এই বিশেষ আয়োজন কি পারবে আরুশির শেষ অভিমানটুকু ভাঙতে?
আকাশের চাঁদ আর তারাদের সাক্ষী রেখে আদিত্য আরুশির কাছে তার ভালোবাসা নিবেদন করে। সমস্ত অভিমানের দেয়াল ভেঙে আরুশি অবশেষে তার ভালোবাসা স্বীকার করে নেয়। পরদিন রান্নাঘরে তাদের খুনশুটি এক নতুন, মধুর সম্পর্কের সূচনা করে। ভালোবাসার এই নতুন সূচনা কি তাদের অতীতের সব ক্ষত মুছে দিতে পারবে?
আরুশির মুখে পরিবারের জন্য কষ্ট দেখতে পেয়ে আদিত্য সব ঠিক করার প্রতিজ্ঞা করে। সে একাই আরুশির বাবার মুখোমুখি হয় এবং নিজের অতীত আর ভালোবাসার কথা বলে তাদের মন গলানোর চেষ্টা করে। বাবার কঠোর মনোভাবের পরেও তার চেষ্টা বৃথা যায় না। পরিবারের এই অপ্রত্যাশিত আগমন কি আদিত্য আর আরুশির সম্পর্ককে পূর্ণতা দেবে?
আরুশি তার পরিবারকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। তার বাবা আদিত্যকে জামাই হিসেবে মেনে নিলেও একটি শর্ত জুড়ে দেন - তাদের বিয়ের জন্য একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। এই শর্তের মাধ্যমে পরিবারে নেমে আসে আনন্দের জোয়ার। এই অনুষ্ঠান কি তাদের ভালোবাসার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি হবে?
এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আদিত্য আর আরুশির ভালোবাসার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়। তাদের বাসর রাতের খুনশুটি আর পাঁচ বছর পরের সুখী দাম্পত্য জীবন তাদের সব অভিমান আর কষ্টের গল্পকে পেছনে ফেলে দেয়। অতীতের সব ঝড় পেরিয়ে আসা এই ভালোবাসা কি চিরকাল এমনই অমলিন থাকবে?