পাথরের বুকে ফুল - এর সকল পর্ব একসাথে

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১

লিনি ম্যাম আজ এই মেয়েটাকে স্যারের রুমে পাঠাবো। আপনি একটু দেখে নিন সব ঠিক আছে কিনা। _মিস.লিনি ভালোভাবে মেয়েটাকে দেখে নিলেন।তারপর তার সামনে দাড়িয়ে থাকা মহিলাকে বললেন….. : : লিনি:হুম ঠিক আছে। মনেত হয় স্যারের পছন্দ হবে। তবে আর একটু সাজিয়ে দেও নাহলে যদি কোনো কারনে স্যারের চুলপরিমানও অপছন্দ হয় তাহলে আমাদের কপালে কি আছে আসা করি তুমি বুঝতে পাড়ছ হেনা।(গম্ভীর ভাবে বললেন)

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২

আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছে অরিএান। পিঠের দাগুলো দেখছে আর ঠোঁট বাকিয়ে টেড়ি স্মাইল দিচ্ছে। সাওয়ার নিয়েছে সকালে তাই চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। তবে সেদিকে তার মনোযোগ নাই।সে তার দাগ নিয়ে পরে আছে। ভাবছে মেয়েটার সাহস তার ভাবনার চাইতেও এক ইন্ছি বেশি।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৩

ওয়াসেনাত :ওরে চান্দু আপনার নাম তো আর ভেঙ্গাই নাই! তাইলে আপনার এত লাগে কা।ওই পোলারে তো আমি পরিএান এই ডাকমু।দেখি কার বাপের কি??হুু।আরে আপনিতো যানেন না কেনো ওনার নাম পরিএান দিছি।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৪

অরিএান ব্রিজের উপড় দাঁড়িয়ে আছে।আজ ১৫বছর পরে তার নিজের উপড় নিজের এত রাগ হচ্ছে।এ রাগের কোনো কারন খুঁজে পাচ্ছে না সে।কেনো এত রাগ হচ্ছে??কেনো??সুধু একটা মেয়েকে থাপ্পড় দিয়েছে বলে তার নিজের উপড় এত রাগ হচ্ছে এটা সে মানতে নারাজ।তার ধারণা সে তো অনেক মেয়েকে এমন থাপ্পড় দিয়েছে।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৫

ওয়াসেনাত বাসায় গিয়ে তার আম্মুুুু আর ছোটো ভাই আলিফ আর আসিফের সাথে কিছিুক্ষণ গল্প করে তাদেরকে খাবার দিয়ে নিজের রুমে চলে যায়।তারপর ফ্রেশ হয়ে তার খাটে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে পড়ে।আর শোয়ার সাথে সাথে স্বপ্নের দুনিয়ায় চলে যায়। ওয়াসেনাতের জিবনটাই হাসি মজার।সে সব সময় হাসতে এবং হাসাতে ভালোবাসে।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৬

ওয়াসেনাত খুবই বিরক্তি নিয়ে অরিএানের দিকে তাকিয়ে আছে।কিন্তু ব্যাটা শয়তান অরিএানের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই।সে তার নিজের মত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। তার ভাব দেখে মনে হবে তার আশেপাশের কোনো ব্যক্তি তো দূর কোনো প্রানিও নেই।ওয়াসেনাত কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তার হাতে থাকা আইসক্রিমটা খাওয়া শুরু করে।ওয়াসেনাত খুব মনোযোগ দিয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৭

ও হ্যালো মি.আপনাকে নাম জিগ্যেস করেছি।আর আপনি এমন একটা ভাব দেখাচ্ছেন মনে হয় আমি বলেছি সৌরজগৎ তে কত হাজার নক্ষত্র আছে বলেন??নিজের নাম বলতে এত সময় লাগার কি আছে।আরে আমি তো খোলিল স্যার না যে আপনাকে কিছুক্ষণ আগে এক থাপ্পড়ে আপনার নাম ভুলিয়ে দিয়েছি।আর এখন জিগ্যেস করছি দেখে আপনি

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৮

অরিএান অবাক আসলে অবাক বললে ভুল হবে সে ভয়াবহ ভাবে অবাক তার সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা দেখে।ওয়াসেনাত তার বাবার চাইতে বয়স বেশি হবে এমন একজন পুলিশকে ইট নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে। অরিএানের মাথায় এটা আসছে না কেনো এমন করছে।কেনো আবার মারার জন্যে😂এই সামান্য কথা কেনো যে অরিএানের মাথায় আসছে না

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৯

ওয়াসেনাত সামনে তাকিয়ে আছে। আজ কত দিন পড়ে সামনের লোকটাকে দেখছে।সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে নাই তাই ছাপিয়ে পড়ে তাকে জড়িয়ে ধরেছে।লোকটিও তাকে অতি যত্নে আগলে ধরে আছে।অনেকক্ষন ধরে ওয়াসেনাতকে না আসতে দেখে তার মা হাতরাতে হাতরাতে দরজার সামনে এসে থমকে যায়।সেই পরিচিত চিরচেনা ঘ্রাণ নাকে এসেছে বলে কথা।থমকে

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১০

গাড়িটা খুব জোড়ে আসছিল ওয়াসেনাতের দিকে। গাড়িটি ওয়াসেনাতের খুব কাছে এসে জোড়ে ব্রেক করে যার কারনে ওয়াসেনাত হালকা ধাক্কা খেয়ে মাথায় খানিকটা কেটে পেলে।তারপরও ওয়াসেনাত নিজেকে সামলিয়ে নেয়।উঠে দাড়ায় সাথে ছাগলটাকে নিয়ে। তাকে একটু দূরে ছেড়ে দেয়।ওয়াসেনাত কিছু বলার আগেই গাড়ি থেকে অতি সুদর্শন এক পুুরুষ নেমে আসে।আর বলে

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১১

অরিএান খুব জোড়ে গাড়ি চালাচ্ছে।ওয়াসেনাত তার পাশেই বসে আছে।ভয়ে সে চোখগুলো বন্ধ করে রেখেছে।অরিএানের দিকে তাকালেই তার আরো ভয় লাগছে।কেমন যেনো ভয়ংকর লাগছে তাকে। ওয়াসেনাত বরাবরি বাচাল।তবে ভয়ে কিছু বলতে পারছে না।তারপরেও অধিক সাহস যোগিয়ে বলে উঠে………… __আমরা কই যাচ্ছি??আমার ভার্সিটিতে ক্লাস আছে।যেতে হবে অলরেডি একটা ক্লাস শেষ মনে

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১২

ওয়াসেনাতকে বাসার সামনে নামিয়ে দেয় অরিএান। আসার পথে তেমন কোনো কথা হয় নি দুজনের মাঝে।তবে ওয়াসেনাত একটা দুইটা বলার চেষ্টা করেছে।কিন্তু অরিএানের উওর মেলেনি।আর প্রশ্ন করা ওয়াসেনাতের তেমন পছন্দ না।তার উপড় যদি কেউ জবাব না দেয় তাকে ওয়াসেনাত দ্বিতীয় বার একি প্রশ্ন খুব কম করে।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১৩

সকাল থেকে ওয়াসেনাত কাজ করতে করতে টায়ার্ড।এখন বিকাল ৫ বাজে।৭টায় পার্টি শুরু হবে এখনও অনেক কাজ বাকি। ওয়াসেনাতের তো মাথা প্রচুর পরিমাণে গরম হয়ে আছে।তার এখন মন চাচ্ছে কর্মি গুলোরে ঘুষি মেরে নাক পাটিয়ে দিতে।সাথে ১০ বালতি ঠান্ডা পানি ডালতে।যাতে লোকগুলো ঠান্ডায় মরামরা হয়ে যায়।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১৪

অরিএানের মাথা রাগে ফেটে যাচ্ছে। সুধু যে অরিএানের মাথা রাগে ফাটছে ব্যাপারটা মোটেও তেমন না। অরিএানের সাথে আরও দুজনের রাগও বারছে।তবে তাদের মাঝে অরিএানের আর একজনে রাগের কারন একই কিন্তু বাকি জনের কারন আলাদা। কিন্তু সবার রাগ এক ব্যক্তিকে ঘিরে। : : অরিএানের রাগের একমাএ অধিপতি অরুপ।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১৫

ওয়াসেনাত রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে আর তার সাথে রিমি।ওয়াসেনাত প্রচণ্ড বিরক্ত ভঙ্গিতে রিমির দিকে তাকিয়ে আছে।কারন একটাই রিমির আজাইরা বকবক।যা ওয়াসেনাতের মোটেও পছন্দ হচ্ছে না।ওয়াসেনাতের এখন ইচ্ছে করছে রিমির মুখে কস্টিভ লাগিয়ে দিয়ে বলতে এবার বল কত কথা বলতে পারিস।কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্যি ওয়াসেনাতের কাছে এমন কিছুই নেই।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১৬

বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসে আছে ওয়াসেনাত। ভাবছেন বিছানায় কিভাবে পা ঝুলানো যায়?আসলে বিছানার একপাশে এসে নিচের দিকে ঝুলিয়ে রেখেছে।তার দৃষ্টি সামনের দিকে।তবে তার চেহারা দেখে তার ভাবমূর্তি কিছু বুঝা যাচ্ছে না। আর তার সামনের দিকে তার দৃষ্টি বরাবর বসে আছে অরিএান। চেয়ারে বসে হাতগুলো মুষ্টি বদ্ধ করে নিচের দিকে

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১৭

এই দুইমাসে অরিএান নিজেকে ভেঙে এক নতুন অরিএানের জন্ম দিয়েছে।আগের অরিএানের সাথে এখন কার অরিএানের তেমন মিল নেই বলেই চলে।ব্যাপারটায় রিমন প্রচণ্ড আবাক।অরিএান এখন পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পরে।রিমন তো মাঝ রাতে অরিএানের রুমের সামনে দিয়ে গেলে প্রচণ্ড রকমের ঝাটকা খায়।এটা দেখে যে অরিএান মাঝ রাতে নামাজ পরে আবার মাঝে

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১৮

ওয়াসেনাত ভিজে চুপচুপ হয়ে বাসায় এসে পৌছে।বাসার দরজা আগে থেকেই খোলা ছিল।ওয়াসেনাত দরজার সামনে দাড়াতেই তার মা এসে হাজির।তিনি ওয়াসেনাতের গা ছুঁয়ে ছুঁয়ে তার গালে হাত রাখতেই অবাক হলেন এটা ভেবে তার মেয়ের মুখ এত গরম হয়ে আছে কেনো।ওয়াসেনাতের মার এখন ইচ্ছে করছে এক মগ পানি ওয়াসেনাতের গরম মুখে

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১৯

ওয়াসেনাত বিরক্তি মার্কা মুখ করে গভীর চিন্তায় মগ্ন। তার এই মগ্ন হওয়ার পিছনে একটা বিশেষ কারন আছে।আর কারনটা হচ্ছে রিমি।আজ সকাল থেকেই ওয়াসেনাতের মাথায় একটা কথা ঘুরপাক খাচ্ছে।কথাটা হচ্ছে রিমিত অরিএান বলতে পাগল আর সে যে অরিএানের সম্পর্কে এবং অরিএানকে ভাল করে চিনে এটাতে কোন সন্দেহ নেই।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২০

ওয়াসেনাত ভ্রু কুচকে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে।রিমি ওয়াসেনাতের জামার পিছনের অংশ খামছে ধরে হেসেই চলেছে।ওয়াসেনাতদের কাজের মেয়ে রূপালি ওয়াসেনাতের পাশে দাড়িয়ে হাসি আটকানোর চেস্ট করছে। রূপালি রসিক টাইপের মেয়ে। ওয়াসেনাতকে তার অতিব মাএায় ভাল লাগে।তাই ছলে বলে কৌশলে ওয়াসেনাতের সাথে কথা বলার ধান্দা খুজে। ওয়াসেনাত ছাদে পানি দিতে গেলেই

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২১

ওয়াসেনাতের চোখ ঝিম ঝিম করছে তবুও কেন যেন সামনের দৃশ্য দেখার ইচ্ছে জেগেছে তাই অতি কষ্টে চোখজোড়া খুলে সামনের দিকে তাকানোর চেস্টা করছে।ওয়াসেনাত সামনে তাকিয়ে তেমন অবাক না হলেও তার দুইপাশে তাকিয়ে হতবাক। ওয়াসেনাত হস্পিটালের বেডে শুয়ে আছে।তার চারিপাশে ডাক্তার আর নার্সের অভাব নাই বলেই চলে।আর তার দূই পাশে

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২২

ওয়াসেনাত প্রচণ্ড বিস্মিত চোখে তার বাবার কথা শুনছে আর ভাবছে তার বাবার মাঝে হঠাৎ রণচণ্ডী রানী কিভাবে ভর করেছে? তার ধারনা মতে রণচণ্ডী মেয়ে তাই এটা মেয়েদের মধ্যে বেশি ভর করে কিন্তু তার বাবার মধ্যে যে কিভাবে এল সে বুঝে উঠতে পারছে না। ওয়াসেনাতের বাবা এবার রিতিমত ঘর কাপাঁনো চিৎকার

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৩

ওয়াসেনাত বেসামাল ভাবে দৌড়ে চলেছে। সে তার সর্ব শক্তি দিয়ে দৌরাতে চেষ্টা করছে।।হঠাৎ কারো পিঠের সাথে ধাক্কা লেগে পরে যায়।অরিএান তার এক ক্লাইন্ডের সাথে কথা বলছিল হঠাৎ ধাক্কা লাগায় তার হাতের সপ্ট ড্রিংস তার সামনের ব্যক্তির গায়ে পরে।ব্যাপারটায় সে কিন্চিত বিরক্ত নিয়ে পিছনে হাকাতেই সে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পরে।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৪

ওয়াসেনাত অরিএানের হাতের উপড় মাথা দিয়ে গা এলিয়ে আছে।আর অরিএান একদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।কিছুসময়ের ব্যবধানে কি হয়ে গেছে কিছুই তার মাথায় ডুকছে না। রিমন আচ্ছা মত লোকটাকে মেরেই চলেছে।পার্টির সবাই প্রায় উপড়ে চলে এসেছে।ওয়াসেনাতের বাবা তাকে এভাবে দেখে হতভম্ভ হয়ে বসে পরে।ওয়াসেনাতের মা বার বার জিগ্যেস করছে ওয়াসেনাত

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৫

এক গ্লাস পানি দিবেন?(ওয়াসেনাত করুন ভাঙা গলায় বলে উঠে) : : রিমন দৌড়ে পানি নিয়ে আসে।পানি হাতে নিতেই ওয়াসেনাতের হাত কাঁপতে শুরু করে।তবুও নিজেকে বহু কষ্টে সংযোত করার চেষ্টা করেও গ্লাসটি বাঁচাতে পারলোনা।ঠাসসসস করে পরে বিকট এক শব্দ হল।ওয়াসেনাত অরিএানের দিকে তাকিয়ে আহত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে উঠে……. __সরি

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৬

আজ সকালটা সুন্দর কথাটা আসলে ঠিক মনে হয় না।পৃথিবীর সব সকালই সুন্দর হয়।সকালের প্রথম কিরণ মোহনিয় করে মানুষের জীবনকে।রাঙায় নতুন স্বপ্নের আলোতে।নতুন একটি কিরণ মানে নতুন স্বপ্ন বুনার শুরু।আজকের সকালও কারো নতুন জীবনের স্বপ্ন বুনার শুরু।সকালের মিষ্টি হালকা রোদে অরিএানের ঘুম ভাঙে।ঘুম ঘুম চোখে তার মনে হচ্ছে সে নরম

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৭

ওয়াসেনাত একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছে।চোখে মুখে তার প্রবল আগ্রহ। তার ঠিক সামনেই দুজন লোক বসে আছে।একজন তার বাবা আর একজন তার দাদাশ্বশুর।ওয়াসেনাতের চিৎকার শুনে তার বাবা তার কাছে আসলেই সে তার বাবাকে সব বলে আর তিনি অরিএানের দাদার সাথে দেখা করাতে নিয়ে আসে।ওয়াসেনাত অতি আগ্রহের সাথে বলে উঠে…… __আব্বু

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৮

ওয়াসেনাত তার মার কোলে মাথা দিয়ে বিগত দুইঘন্টা পর্যন্ত কেঁদে কেঁদে চোখমুখ ফুলিয়ে ফেলেছে।ওয়াসেনাতের মা প্রচণ্ড চিন্তিত মুখে মেয়েকে সামলিয়েই চলেছে।ওয়াসেনাতের বাবা এবার প্রচণ্ড রেগে গেছে।এভাবে নিজের মেয়ের চোখের পানি তিনি সজ্জ করতে পারে না।তার উপড় মেয়েটা রিতিমত ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদেই চলেছে।এটা জাস্ট ওনি মেনে নিতে পারছে না।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৯

রোদের আলো ওয়াসেনাতের চোখে মুখে পড়তেই ওয়াসেনাতের ঘুম ভেঙে যায়।চোখ খুলে ওয়াসেনাত নিজেকে নিজের রুমের খাটে আবিষ্কার করে।রোদটা তার রুমের জানালা দিয়ে আসছে।ওয়াসেনাত ধড়পড়িয়ে উঠে বসে।আর ভাবে অরিএান গেল কই?তবে কি সে স্বপ্ন দেখেছে?কিন্তু তার তো মনে হয়েছিল বাস্তবে।তবে তো সে ছাদে ছিল বিছানায় কিভাবে, কখন এল?ওয়াসেনাতের মাথা ঘুড়ছে।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৩০

অরিএান আর রিমন হতভম্ভ হয়ে একজন আর একজনের মুখ চাওয়া চাই করছে।তাদের অবস্থা দেখে মনে হয় ভয়ঙ্কর কিছু দেখেছে।তবে তারা যা দেখছে এক কথায় এটা মেয়েদের জন্যে একদম সাধারন একটা ব্যাপার।অরিএান আর রিমনের সামনে ওয়াসেনাত আর রিমি ঝগড়া করছে।আসলে ঝগড়া করছে বললে ভুল হবে মারা মারি করছে।যাকে বলে চুল

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৩১

ওয়াসেনাত আর রিমি পা ছুলিয়ে বসে আছে।তাদের মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। আর তাদের একমাএ বিরক্তির কারন এখন দুজন পুুরুষ। আর এই মহান পুুরুষ হল অরিএান আর রিমন।দুদিন পরে লামিয়ার বিয়ে। ওয়াসেনাত আর রিমি প্রচণ্ড বিজি কাজের মাঝে।এর মধ্যে অরিএান কল করে তাদের দুজনকে বাড়ির পিছনের সাইডে একটা পুকুর আছে

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৩২

অরিএন হতভম্ব হয়ে চিলেকোঠা থেকে বেড়হয়ে এসে একটা চেয়ার টেনে বসে পড়ে ।তার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না ওযাসেনাত তার সাথে এমন ভয়ঙ্কর একটা কাজ করেছে।ইশশশ কি মারাত্মক ব্যাপার.. ভাবতেই অরিএানের গলা শুকিয়ে আসছে।এখন তার প্রচণ্ড পানি খেতে ইচ্ছে করছে। শুধু খেতে না তারতো মাথায় ডালতেও ইচ্ছে করছে।অরিএান এখনও আগের

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৩৩

অরিএান পাগলের মত গাড়ি চালাচ্ছে।তার কাছে নিজেকে পাগলই মনে হচ্ছে। কেমন যেন সব ঘোলাটে লাগছে।জীবনে চলার পথে সে কত বিপদেই না পরেছে। কত ঝড়ঝাপটাই না পার করেছে।কত কষ্ট নিয়ে বড় হয়েছে।কিন্তু কেন যেন এই কষ্ট টাই তার জীবনের সব কষ্টকে হার মানাচ্ছে।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৩৪

DNA টেস্ট করালে কেমন হয়… কথাটা ভাবতেই অমিতা উঠে বসে।তার মনের সকল অজানা প্রশ্নের উওর এই টেস্টই দিতে পারবে। কিন্তু অরিএানকে কিভাবে বলবে ভেবে পাচ্ছে না।অরিএান এখনো বসে আছে।অরিএানের হাত রক্তাক্ত হয়ে আছে।সে নিস্তেজ হয়ে বসে আছে।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৩৫ | সর্বশেষ পর্ব

ওয়াসেনাত আর অরিএান হাটছে।তাদের সাথে সাথে রিমন আর রিমি।অরিএান জোড় পূর্বক ওয়াসেনাতের হাত নিজের হাতে কবজা করে রেখেছে।মানে নিজের হাতে আবদ্ধ করে রেখেছে।রিমি প্রচণ্ড রেগে আছে রিমনের উপড়।আর রিমন বেচারা যতবার পা ফেলে রাস্তায় তত বার সরি বলে চলেছে।ইশশশ বেচারা।

No more posts...