পরিজান
এক জমিদার বাড়িতে সকলের আড়ালে বড় হওয়া এক জেদি কন্যা, পরী। তার বড় বোনের রেখে যাওয়া এক ডায়েরি যখন পরিবারের মুখোশ খুলে দেয়, তখন সে জানতে পারে তার বাবা এক ভয়ঙ্কর অপরাধ জগতের সাথে যুক্ত। পরিবারের সম্মান আর রক্তের সম্পর্কের এই দ্বন্দ্বে পরী কি পারবে সত্যের জন্য লড়তে, নাকি এই ষড়যন্ত্রের জালে জড়িয়ে পড়বে সে নিজেই?
অতীতের পাতা থেকে
বন্যার জলে ভেসে যাওয়া গ্রামে, জমিদার কন্যা পরী তার বড় বোনের এক পুরনো খাতা খুঁজে পায়। খাতার প্রতিটি পাতায় লেখা পরিবারের এমন সব গোপন কথা যা পরীর পৃথিবী কাঁপিয়ে দেয়। এই লেখাগুলো কি পরীর মনে নতুন কোনো বিদ্রোহের জন্ম দেবে? খাতার আড়ালে আর কোন রহস্য লুকিয়ে আছে?
পরীর রাজ্যে অনুপ্রবেশ
বন্যার্তদের চিকিৎসার জন্য শহর থেকে একদল ডাক্তার এসে আশ্রয় নেয় জমিদার বাড়িতে। তাদের মধ্যে তিন তরুণীকে থাকতে দেওয়া হয় পরীর ব্যক্তিগত কক্ষে, যা পরীর তীব্র ক্রোধের কারণ হয়। এই অপ্রত্যাশিত অতিথিদের আগমনে পরীর সুরক্ষিত জীবনে কি ঝড় উঠবে? আর পরীর রূপের খ্যাতি শুনে তাকে এক ঝলক দেখার জন্য ডাক্তারদের রাতের পরিকল্পনা কি সফল হবে?
রাতের আঁধারে পরীর বিচার
রাতের আঁধারে জমিদার বাড়ির অন্দরমহলে এক চোরের অনুপ্রবেশ ঘটে। সবাই যখন ভয়ে আতঙ্কিত, তখন পরী একাই রুদ্রমূর্তিতে চোরকে ধরে ফেলে এবং উঠোনের পেয়ারা গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এই সাহসী কাজের পেছনে কি কোনো অজানা রহস্য আছে? আর পরীর হাতে ধরা পড়া এই চোরটি কে?
এক চোরের বিচারসভা
আগের রাতে ধরা পড়া চোরের বিচার বসে জমিদার বাড়ির প্রাঙ্গণে, যেখানে তার হাত কেটে ফেলার মতো কঠিন শাস্তির রায় দেওয়া হয়। ঠিক তখনই বোরকায় মুখ ঢেকে বিচারসভায় হাজির হয় পরী এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। পরীর এই অপ্রত্যাশিত হস্তক্ষেপে চোরের ভাগ্য কি বদলে যাবে?
রাখালের প্রেমপত্র
সোনালীর ডায়েরির পাতায় বন্দী এক রাখালের প্রেমপত্র খুঁজে পায় পরী। যে চিঠি সোনালীকে ভালোবাসতে শিখিয়েছিল, সেই চিঠিই পরীর মনে জন্ম দেয় নতুন প্রশ্ন। ভালোবাসার এই অজানা অনুভূতি পরীর জীবনে কি কোনো পরিবর্তন আনবে? সোনালীর এই গল্পের শেষ কোথায়?
ঝড়ের রাতে শায়ের
ঝড়-বৃষ্টির এক রাতে জমিদার বাড়িতে ফেরে আফতাবের বিশ্বস্ত কর্মচারী সেহরান শায়ের। তার রহস্যময় আচরণ আর ব্যক্তিত্ব শহুরে ডাক্তার পালকের মনে কৌতূহল জাগায়। অন্যদিকে, শহরের ডাক্তার নাঈম পরীকে এক ঝলক দেখার জন্য অন্দরমহলে ঢোকার পরিকল্পনা করে। এই ঝড়ের রাতে কি কোনো নতুন রহস্যের জন্ম হবে?
রাতের অভিসার
পরিবারের চোখ এড়িয়ে রাতের আঁধারে পদ্মায় ঘুরতে বের হয় পরী, তার সখী বিন্দু আর সম্পান মাঝির সাথে। কিন্তু তাদের নির্জন মুহূর্তে হঠাৎ আগমন ঘটে শায়েরের। অন্যদিকে, পরীকে দেখার নেশায় নাঈম আর শেখর অন্দরমহলে প্রবেশ করে। এই দুই ভিন্ন অভিযানের শেষ কোথায়?
অন্দরমহলে পুরুষের ছায়া
গভীর রাতে বাড়ি ফিরে পরী তার ঘরে পুরুষের গায়ের গন্ধ আর কাদা মাখা পায়ের ছাপ দেখতে পায়। কে এসেছিল তার অনুপস্থিতিতে? সন্দেহের বশে সে যখন বৈঠকঘরের দিকে এগোয়, তখন তার মুখোমুখি হয় খালি গায়ে দাঁড়িয়ে থাকা শায়ের। এই অপ্রত্যাশিত সাক্ষাৎ কি কোনো নতুন রহস্যের জন্ম দেবে?
রক্ত গরম
শহরের ডাক্তারদের উপর পরীর সন্দেহ আরও তীব্র হয়। সে বুঝতে পারে গত রাতে তার ঘরে তারাই প্রবেশ করেছিল। পরী সরাসরি তাদের হুমকি দেয় এবং দ্রুত গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে। পরীর এই রুদ্রমূর্তি আর পুরুষদের প্রতি তার তীব্র ঘৃণার পেছনে আসল কারণটা কি?
অন্ধকারে আক্রমণ
বাগান বাড়ি থেকে ফেরার পথে রাতের অন্ধকারে নাঈমের উপর অতর্কিত হামলা হয়। কে এই হামলা করল? পরী, যাকে সে হুমকি দিয়েছিল? নাকি শায়ের, যার আচরণ সন্দেহজনক? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো শত্রু লুকিয়ে আছে? এই আক্রমণ কি নিছকই দুর্ঘটনা নাকি কোনো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ?
মায়ের কসম
পরীর মা মালার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরী যখন শহুরে ডাক্তারদের সাহায্য নিতে যায়, তখন তার সৎ মা জেসমিন অদ্ভুতভাবে বাধা দেয়। মায়ের অসুস্থতা এবং পরিবারের সবার রহস্যময় আচরণের মাঝে পরী এক ভয়ঙ্কর সত্যের মুখোমুখি হয়। কেন তার মা তাকে পুরুষের সামনে মুখ দেখাতে বারণ করেছিলেন?
ঝড়ের রাতের মৃত্যু
প্রবল ঝড়ের রাতে ডাক্তার পালক নিখোঁজ হয়ে যায়। সবাই যখন তাকে খুঁজতে ব্যস্ত, তখন বাড়ির পেছনের ডোবায় তার নিথর দেহ ভেসে ওঠে। এটা কি নিছকই দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড? পালকের এই রহস্যজনক মৃত্যু কি জমিদার বাড়ির কোনো গোপন সত্যকে সামনে আনবে?
শেষ বিদায়
পালকের মৃত্যুর পর শহুরে ডাক্তাররা গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যাওয়ার আগে, পরী শেষবারের মতো পালকের মুখ দেখতে আসে। এই বিদায়ের মুহূর্তে পরীর অশ্রুসিক্ত চোখ আর নাঈমের অতৃপ্ত চাহনি এক নতুন গল্পের আভাস দেয়। পালকের মৃত্যু রহস্য কি অধরাই থেকে যাবে?
পরীর বিয়ের প্রস্তাব
পরীর মেজো বোন রুপালি তার দেওর নওশাদের জন্য পরীর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। কিন্তু পরী এই প্রস্তাবে তীব্র আপত্তি জানায়। পরীর এই আপত্তির পেছনে কি শুধু কবিরের প্রতি ঘৃণা, নাকি অন্য কোনো কারণ লুকিয়ে আছে? এই প্রস্তাব কি পরিবারে নতুন কোনো দ্বন্দ্বের জন্ম দেবে?
হারিয়ে যাওয়া নূপুর
সোনালীর দেওয়া স্মৃতিচিহ্ন, এক জোড়া নূপুরের একটি হারিয়ে ফেলে পরী। নূপুর খোঁজার নাম করে নওশাদকে বোকা বানানোর এক নতুন খেলায় মাতে সে। কিন্তু এই খেলার আড়ালে পরী কি তার হারানো স্মৃতি খুঁজে পাবে? নাকি এই নূপুরই নতুন কোনো রহস্যের জন্ম দেবে?
শাস্তির ছোঁয়া
গভীর রাতে হারানো নূপুর খুঁজতে বৈঠকঘরে আসে পরী। সেখানে তার মুখোমুখি হয় শায়ের। পরী যখন তার অপমানের প্রতিশোধ নিতে শায়েরের হাত পুড়িয়ে দেয়, তখন শায়েরের এক অদ্ভুত প্রশ্ন পরীকে থামিয়ে দেয়—'সামান্য কর্মচারীকে তো ছুঁয়ে দিলেন ছোট কন্যা।' এই স্পর্শ কি শুধুই শাস্তি নাকি অন্য কিছুর ইঙ্গিত?
চাচা-ভাতিজীর যুদ্ধ
নওশাদ চলে যাওয়ায় পরীর বিয়ের আলোচনা থেমে যায়, কিন্তু তার চাচা আখিরের সাথে তার পুরনো শত্রুতা আবার জেগে ওঠে। রুপালির অতীত আর তিন বোনের ওপর হওয়া অত্যাচারের ভয়ঙ্কর স্মৃতিগুলো যখন সামনে আসে, তখন প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকা পরী কি নতুন কোনো পদক্ষেপ নেবে?
লাঠিয়ালের লড়াই
নওশাদের বাবা শামসুদ্দিন যখন পরীকে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে লোক পাঠায়, তখন এক অসম লড়াই শুরু হয়। পরী আর শায়ের একসাথে শত্রুদের মুখোমুখি হয়। এই বিপদ কি তাদের আরও কাছাকাছি আনবে, নাকি এই লড়াইয়ের শেষ হবে কোনো মর্মান্তিক পরিণতিতে?
শত্রুর সাথে আত্মীয়তা
আফতাবের সাথে শামসুদ্দিনের শত্রুতা যখন চরমে, তখন পরী জেদ ধরে বসে সে নওশাদকেই বিয়ে করবে। পরীর এই অদ্ভুত সিদ্ধান্তের পেছনে কি কোনো গভীর পরিকল্পনা লুকিয়ে আছে? সে কি প্রতিশোধের জন্য নিজেকে শত্রুপক্ষের হাতে তুলে দিতে চাইছে?
ঝুলন্ত লাশ
বিন্দু আর সম্পানের বিয়ের রাতে ঘটে যায় এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। পশ্চিমের জঙ্গলে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বিন্দুর ক্ষতবিক্ষত দেহ। এটা কি আত্মহত্যা নাকি নৃশংস হত্যাকাণ্ড? বিন্দুর মৃত্যুর খবর শুনে পরী যখন সব নিয়ম ভেঙে ছুটে যায়, তখন এক নতুন রহস্যের জাল উন্মোচিত হতে শুরু করে।
পরীর স্বীকারোক্তি
বিন্দুর মৃত্যুর তদন্তে যখন শশীলের নাম উঠে আসে, তখন পরী এক বোম ফাটায়। সে দাবি করে, দুই বছর আগেই সে নিজ হাতে শশীলকে খুন করেছে। পরীর এই স্বীকারোক্তি কি সত্যি? যদি সত্যি হয়, তাহলে শশীলের লাশ কোথায়? আর বিন্দুর আসল খুনি কে?
শশীলের শেষ পরিণতি
পরী যখন রুপালির সম্মান বাঁচাতে শশীলকে খুন করার সেই ভয়ঙ্কর রাতের কথা স্মরণ করে, তখন এক নতুন প্রশ্ন সামনে আসে। শশীলের লাশটা কে গায়েব করেছিল? এই ঘটনার পেছনে কি জমিদার বাড়ির অন্য কোনো সদস্য জড়িত? পরীর জীবন কি এবার নতুন কোনো বিপদের দিকে মোড় নেবে?
বিয়ে বিভ্রাট
পরীর সাথে শেখরের বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসে। কিন্তু বিয়ের আসরে শেখরের বদলে যখন সেহরান শায়েরের নাম ঘোষণা করা হয়, তখন সবাই হতবাক। কেন এই আকস্মিক পরিবর্তন? শেখর কোথায়? এই অপ্রত্যাশিত বিয়ে কি পরীর জীবনকে নতুন কোনো পথে নিয়ে যাবে?
নতুন ঠিকানায় পরী
বিয়ের পর শায়ের পরীকে নিয়ে পাড়ি জমায় তার নিজের গ্রাম নবীনগরে। জমিদার বাড়ির ঐশ্বর্য ছেড়ে এক সাধারণ কর্মচারীর স্ত্রী হিসেবে পরী কি পারবে নিজেকে মানিয়ে নিতে? শায়েরের পরিবারে পরীর জন্য কি নতুন কোনো বিস্ময় অপেক্ষা করছে?
পরীর প্রতিদ্বন্দ্বী
শায়েরের গ্রামে এসে পরী জানতে পারে চম্পা নামের একটি মেয়ে শায়েরকে ভালোবাসে। নতুন সংসারে পা রাখার সাথে সাথেই পরী এক নীরব প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়। চম্পার এই ভালোবাসা কি পরীর দাম্পত্য জীবনে কোনো অশান্তির কারণ হবে?
অলুক্ষুণে অপবাদ
পরীর আগমনের পরেই গ্রামে এক ব্যক্তির আকস্মিক মৃত্যু ঘটে। কুসংস্কারাচ্ছন্ন গ্রামবাসীরা পরীকে 'অলুক্ষুণে' অপবাদ দেয়। এই মিথ্যা অপবাদ কি পরীর নতুন জীবনে কোনো কালো ছায়া ফেলবে? শায়ের কি পারবে তার পরীজানকে এই সংকট থেকে রক্ষা করতে?
নিষিদ্ধ পুকুর
শায়েরের নিষেধ সত্ত্বেও পরী বাড়ির পেছনের পুকুরে গোসল করতে যায়। সেখানে গিয়ে শায়েরের মুখোমুখি হতেই এক অপ্রত্যাশিত মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। শায়েরের এই কড়া শাসনের পেছনে কি শুধু পরীর প্রতি ভালোবাসা, নাকি অন্য কোনো ভয় লুকিয়ে আছে?
বিষাক্ত ধোঁয়া
পরীর জীবনে নেমে আসে একাকীত্ব আর বিষণ্ণতার কালো ছায়া। মাতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা যখন তাকে হতাশ করে, তখন শায়ের তাকে ভালোবাসার মায়াজালে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু পরীর মনে প্রশ্ন জাগে, এই ভালোবাসা কি পারবে তার সব শূন্যতা পূরণ করতে?
হারানো নূপুরের রহস্য
দীর্ঘদিন পর শায়ের পরীর সেই হারিয়ে যাওয়া নূপুর ফিরিয়ে দেয়। পরী জানতে পারে, শায়ের প্রথম থেকেই তার প্রতি আকৃষ্ট ছিল। কিন্তু এই রোমান্টিক মুহূর্তে রিনা কাকির রহস্যময় আগমন এক নতুন সন্দেহের জন্ম দেয়। রিনা কি কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ?
বিশ্বাসঘাতকের ছুরি
পরী জানতে পারে, চম্পা তাকে মা হতে না পারার ওষুধ খাইয়েছে এবং এর পেছনে রয়েছে শায়েরের চাচিদের জমির লোভ। যখন সে চম্পার মুখোমুখি হয়, তখন এক ভয়ঙ্কর সত্য উন্মোচিত হয়। পরী কি পারবে এই বিশ্বাসঘাতকদের শাস্তি দিতে?
পরীজানের জ্বর
চম্পার বিশ্বাসঘাতকতায় পরী যখন জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে, তখন শায়ের তাকে পরম যত্নে আগলে রাখে। এই কঠিন সময়ে শায়েরের ভালোবাসা কি পরীর মনের ক্ষত সারাতে পারবে? নাকি এই যন্ত্রণা তাদের সম্পর্ককে নতুন কোনো পরীক্ষার মুখোমুখি করবে?
নূরনগরের চিঠি
দীর্ঘদিন পর নূরনগর থেকে শায়েরের নামে একটি রহস্যময় চিঠি আসে। চিঠিটা পড়ার পর শায়েরের বিচলিত আচরণ পরীর মনে সন্দেহের জন্ম দেয়। এই চিঠিতে কি কোনো দুঃসংবাদ লেখা আছে? শায়ের কি পরীর কাছ থেকে কিছু লুকাচ্ছে?
শিকারীর জালে পরী
মায়ের অসুস্থতার মিথ্যা খবর পেয়ে পরী ছুটে যায় নূরনগরে। কিন্তু সেখানে গিয়েই সে এক ভয়ঙ্কর ফাঁদে আটকা পড়ে। জুম্মানের এই বিশ্বাসঘাতকতার পেছনে কার হাত রয়েছে? এই চক্রব্যূহ থেকে পরী কি নিজেকে মুক্ত করতে পারবে?
তাসের ঘর
বাগান বাড়িতে বন্দী পরী তার পরিবারের একটার পর একটা অন্ধকার সত্য জানতে পারে। সোনালী, পালক, বিন্দু, সম্পান—সবার মৃত্যুর পেছনে জড়িয়ে আছে তার নিজের বাবা আর কাকা। কিন্ত সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা আসে যখন সে জানতে পারে, শায়েরও এই ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। এই সত্য কি পরীকে পুরোপুরি ভেঙে দেবে?
রক্তের স্রোত
সমস্ত সত্য জানার পর পরী যখন প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে, তখন শায়ের এসে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পরীর হাতে খুন হয় কবির। এই রক্তারক্তির শেষ কোথায়? শায়ের কি পারবে তার পরীজানকে এই অন্ধকার থেকে বের করে আনতে?
যুদ্ধের সূচনা
শায়েরের বিশ্বাসঘাতকতা সত্ত্বেও পরী তাকে দূরে ঠেলতে পারে না। ভালোবাসা আর ঘৃণার এই দ্বন্দ্বে পরী সিদ্ধান্ত নেয়, সে একাই লড়বে। তলোয়ার হাতে সে যখন আফতাবের মুখোমুখি হয়, তখন এক নতুন যুদ্ধের সূচনা হয়। এই যুদ্ধে কে জিতবে? ভালোবাসা নাকি প্রতিশোধ?
শিকারীর ফাঁদ
নওশাদকে শেষ করার জন্য পরী এক ভয়ঙ্কর ফাঁদ পাতে। শেফালি আর কুসুমকে ব্যবহার করে সে নওশাদকে অন্দরমহলে টেনে আনে। বাঘিনীর গুহায় প্রবেশ করা এই শিকারের শেষ পরিণতি কি হবে? পরী কি তার প্রথম প্রতিশোধ নিতে সফল হবে?
জীবিত দাফন
নওশাদকে নির্মম শাস্তি দেওয়ার পর পরী তাকে উঠোনের কোণে জীবন্ত পুঁতে ফেলে। এই ভয়ঙ্কর কাজের পর পরী যখন তার স্বামীর মুখোমুখি হয়, তখন তার চোখে থাকে না কোনো অনুশোচনা। এই প্রতিশোধ কি পরীর ভেতরের আগুন নেভাতে পারবে, নাকি তাকে আরও হিংস্র করে তুলবে?
শেষ যুদ্ধ
আফতাব যখন জানতে পারে নওশাদ নিখোঁজ, তখন সে তার সমস্ত শক্তি নিয়ে অন্দরমহলে আক্রমণ করে। পরী, রুপালি, জেসমিন সহ বাড়ির নারীরা একসাথে রুখে দাঁড়ায়। এই শেষ যুদ্ধে কে জিতবে? সত্যের নাকি মিথ্যার? এই রক্তারক্তির শেষ কোথায়?
রক্তাক্ত সমাপ্তি
জমিদার বাড়ির শেষ যুদ্ধে ঝরে যায় অনেক প্রাণ। আখিরের বিশ্বাসঘাতকতায় পরী যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, তখন শায়েরের পৃথিবী থমকে যায়। এই রক্তাক্ত প্রান্তরে দাঁড়িয়ে থাকা ভালোবাসা আর প্রতিশোধের গল্পের শেষটা কি তবে এখানেই?
দশ বছর পর
দশ বছর পর, সাংবাদিক মুসকান পরীর লেখা একটি খাতা খুঁজে পায়। সেই খাতার সূত্র ধরে সে পৌঁছায় কারাগারে বন্দী সেহরান শায়েরের কাছে, যার আর তিনদিন পর ফাঁসি। শায়ের কি সত্যি খুনি, নাকি এই গল্পের পেছনে লুকিয়ে আছে আরও কোনো গভীর রহস্য?
আগুনে ঝলসানো মুখ
কারাগারে শায়ের তার আর পরীর জীবনের সেই অজানা অধ্যায় উন্মোচন করে। সিরাজের সাথে লড়াইয়ে পরীর মুখ আগুনে ঝলসে যাওয়ার পর তাদের জীবনে কি ঘটেছিল? কেন শায়েরকে সব খুনের দায় নিয়ে জেলে আসতে হলো? পরীর বর্তমান অবস্থাই বা কি?
কলঙ্কিত চাঁদ
পরীর ঝলসে যাওয়া মুখ আর তাদের অনাগত সন্তানের খবর শায়েরের জীবনকে এক নতুন পরীক্ষার সামনে দাঁড় করায়। পরীকে বাঁচাতে শায়ের তাকে নাঈমের কাছে আমানত রেখে একাই নূরনগরে ফিরে যায়। এই বিচ্ছেদ কি তাদের ভালোবাসার শেষ পরীক্ষা?
শত্রুর ঢাল
নূরনগরে ফিরে শায়ের একাই আফতাবের মুখোমুখি হয়। সে আফতাব আর তার দলের বিরুদ্ধে একাই ঢাল হয়ে দাঁড়ায়, কিন্তু তার আসল উদ্দেশ্য থাকে পরী আর তার পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে দেওয়া। শায়েরের এই চাল কি সফল হবে?
রক্তের খেলা
আফতাব আর আখিরের সামনে পরী একাই রুখে দাঁড়ায় তার তলোয়ার হাতে। শুরু হয় এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, যেখানে নারীশক্তির কাছে পরাস্ত হয় জমিদার বাড়ির পুরুষতন্ত্র। কিন্তু এই যুদ্ধের শেষটা হয় এক মর্মান্তিক পরিণতিতে, যা শায়েরের জীবনকে চিরতরে বদলে দেয়।
শায়েরের স্বীকারোক্তি
সাংবাদিক মুসকানের কাছে শায়ের তার জীবনের সেই অধ্যায় উন্মোচন করে, যেখানে সে পরীর পরিবারকে বাঁচাতে নিজেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। শায়েরের এই আত্মত্যাগের পেছনের আসল কারণ কি? আর পরী কি সত্যিই মারা গেছে?
শোভনের পরিচয়
মুসকান জানতে পারে, সে যাকে এতদিন নিজের সন্তান ভেবে বড় করেছে, সেই শোভন আসলে পরী আর শায়েরের ছেলে। এই সত্য জানার পর নাঈম আর মুসকানের সম্পর্কে কি কোনো ঝড় উঠবে? আর শায়ের কি পারবে তার ছেলেকে নিজের কাছে ফিরিয়ে নিতে?
নতুন দিনের সূচনা
দীর্ঘ সাত বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পায় শায়ের। সে কি পারবে তার পরিবারকে খুঁজে বের করতে? পরী কি এখনও তার জন্য অপেক্ষা করছে? একরাশ প্রশ্ন আর আশা নিয়ে শায়ের তার ছেলের হাত ধরে এক নতুন সফরের জন্য তৈরি হয়।
চিঠির অপেক্ষা
শায়েরের কাছে আসতে থাকে হলুদ খামের রহস্যময় চিঠি। এই চিঠিগুলো কি পরীর কাছ থেকে আসছে? সাত বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শায়ের কি পারবে তার পরীজানের কাছে পৌঁছাতে? এই চিঠির রহস্য ভেদ করতে শোভন তার বাবাকে সাহায্য করে।
পাহাড়ের বুকে পুনর্মিলন
সাত বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে কার্শিয়াং-এর চা বাগানে শায়ের আর পরীর পুনর্মিলন ঘটে। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে, একে অপরের ভালোবাসায় তারা খুঁজে পায় তাদের নতুন জীবন। এই মিলন কি তাদের সব কষ্ট ভুলিয়ে দেবে?
ভালোবাসার আত্মত্যাগ
নাঈমের কাছে রুমি জানতে পারে সেই রাতের আসল ঘটনা। পরীকে বাঁচাতে শায়ের আর নাঈম কীভাবে আফতাব আর আখিরকে পাগল বানিয়েছিল এবং নিজেদের জীবন বাজি রেখেছিল। এই আত্মত্যাগের গল্প কি ভালোবাসার এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করবে?
ভালোবাসার নতুন অধ্যায়
অতীতের সব ঝড় পেরিয়ে পরী আর শায়ের কার্শিয়াং-এর পাহাড়ে তাদের নতুন জীবন শুরু করে। তাদের ভালোবাসা, খুনসুটি আর একে অপরের প্রতি গভীর বিশ্বাস দিয়ে তারা গড়ে তোলে এক নতুন অধ্যায়। এই ভালোবাসার গল্প কি অনন্তকাল ধরে চলবে?
শেষ চিঠি
কার্শিয়াং-এ নতুন জীবন শুরু করার পরও পরী আর শায়েরের ভালোবাসা একইরকম গভীর থাকে। তাদের ছেলে শোভন তাদের জীবনে নিয়ে আসে নতুন আনন্দ। এই ভালোবাসার গল্প কি এভাবেই শেষ হবে, নাকি তাদের জন্য আরও কোনো বিস্ময় অপেক্ষা করছে?
অপেক্ষা
পরী তার ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে। শায়েরের প্রতি তার ভালোবাসা আর বিশ্বাস তাকে শক্তি জোগায়। এই অপেক্ষা কি শেষ হবে? পরী কি পারবে তার ছেলেকে বুকে ফিরে পেতে?
ভালোবাসার চিঠি
রুপালির পাঠানো চিঠি পরীকে নূরনগরের ভয়ঙ্কর অতীতের কথা মনে করিয়ে দেয়। শায়েরের ভালোবাসা আর অনাগত সন্তানের মায়া তাকে আটকে রাখে, কিন্তু তার মন পড়ে থাকে বিপদে থাকা পরিবারের কাছে। এই দ্বন্দ্বে পরী কোন পথ বেছে নেবে?
শেষ প্রতিশোধ
বহু বছর পর পরী নূরনগরে ফিরে আসে তার শেষ প্রতিশোধ নিতে। তার সাথে যোগ দেয় বাড়ির অন্য নারীরা। জমিদার বাড়ির অন্দরে শুরু হয় এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এই যুদ্ধের শেষ পরিণতি কি হবে? পরী কি পারবে তার পরিবারকে মুক্ত করতে?
ভালোবাসার আত্মত্যাগ
পরী আর শায়েরের ভালোবাসার গল্পে নাঈম এক নীরব সাক্ষী। সে জানতে পারে, কীভাবে শায়ের আর নাঈম মিলে পরী আর তার পরিবারকে বাঁচানোর জন্য এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করেছিল। এই আত্মত্যাগের গল্প কি ভালোবাসার এক নতুন সংজ্ঞা দেবে?
নতুন ঠিকানায় ভালোবাসা
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে শায়ের তার ছেলে শোভনকে নিয়ে এক নতুন জীবনের পথে পা বাড়ায়। কলকাতা হয়ে তাদের যাত্রা পৌঁছায় দার্জিলিং-এর কার্শিয়াং শহরে। এই নতুন ঠিকানায় কি তাদের জন্য কোনো নতুন বিস্ময় অপেক্ষা করছে?
পরীজান
সাত বছরের দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর কার্শিয়াং-এর কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে শায়ের আর পরীর দেখা হয়। তাদের ভালোবাসা, আত্মত্যাগ আর অপেক্ষার এই মহাকাব্যিক গল্পের শেষটা কি সুখের হবে? পরী আর শায়ের কি পারবে তাদের নতুন দুনিয়া গড়ে তুলতে?
ভালোবাসার পূর্ণতা
অতীতের সব ঝড় পেরিয়ে পরী, শায়ের আর তাদের ছেলে শোভন কার্শিয়াং-এর পাহাড়ে খুঁজে পায় তাদের সুখের ঠিকানা। তাদের ভালোবাসা, খুনসুটি আর একে অপরের প্রতি গভীর বিশ্বাস দিয়ে তারা গড়ে তোলে এক নতুন অধ্যায়। এই ভালোবাসার গল্প কি অনন্তকাল ধরে চলবে?