প্রেমের পরশ
Story
31 Parts
606 reads
Tags:

Chapters

পর্ব - ১
May 20, 2025 • 35 reads

আজ নিরুর বোনের বিয়ে, ” ইশ যদি লিজা আপু আপন বোন হতো তাহলে বিয়েতে কত্ত মজা করতাম। আমার যদি একটা মা থাকতো তাহলে যে কতো আদর করতো । আজ আমার আপনজন বলে কেউ নেই। আমার মা নাই বলে কি কখনো সুখ পাবোনা। ” এইসব ভেবে কান্না করতে থাকে নিরু। ” কি নেই আমার বাবার, সব কিছু আছে। বাড়ি গাড়ি সম্পত্তি সব তো আছে তোমার। তাহলে কেনো তোমার এই মেয়েটার দুঃখ বুঝোনা? বাবা কোথায় তুমি? একটু দেখে যাও না আমায়। কখনো তো একটু ও আদর করোনা।

পর্ব - ২
May 20, 2025 • 29 reads

সকালে শুভর ঘুম ভাঙে, কারোর গমম নিঃস্বাসের অনুভূতি তে শুভর হার্টবিট কিছুটা বেড়ে যায়। চোখ মেলে তাকাতে যেন চোখের সামনে ঘুম্নত অপ্সরীকে দেখছে। মায়াবী মুখ, নিষ্পাপ চেহেরা শুভকে আরোও কাছে টানছে। একটু একটু করে ঠোঁট নিরুর ঠোঁটের কাছে নিয়ে যাচ্ছে। নাহ আটকাতে পারছেনা নিজেকে, গভীর আকর্ষণে টানছে শুভকে।

পর্ব - ৩
May 20, 2025 • 22 reads

” আমি জ্ঞান হওয়া থেকে এতিমখানায় বড় হয়েছি। এরপর আমাকে বাবা এক মেসে রাখেন, সেখান থেকেই এসএসসি দিই। এরপর তিনমাস গ্যাপে বাবা কলেজ আর হোস্টেল ঠিক করে দেন। আমি হোস্টেলে ই থাকতাম, এর বেশি কিছুই জানিনা। কাল কলেজে মারামারি হওয়াতে আমাকে বাবা বাসায় নিয়ে যান। এর আগেও মাঝে মাঝে বাসায় যেতাম কিন্তু সৎ মায়ের সামনে বাবা কখনো আদর করে না। কিন্তু বাবা আমায় খুব ভালোবাসেন। ” বলে কান্না করতে থাকে।

পর্ব - ৪
May 20, 2025 • 27 reads

শুভর পাশে বসে পড়ে নিরু, কিন্তু নিরুকে দেখে রুবি জ্বলছে, আর মনে মনে বলছে “ এই ছোটলোক কিনা আমার সাথে এক টেবিলে বসে খাচ্ছে। ” সবাই নিশ্চুপ খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ করে যে যার মতো উঠে গেলো। এদিকে রিমি রেডি হয়ে বের হয়ে আসে, শুভ রেডি ছিলো আগে থেকে, রিমি কে নিয়ে বের হয়ে যায় শুভ, আর নিরু ঘরে একেলা বসে বসে বোরিং হচ্ছে। এই সময় ওর বোন এসে ঢুকে।

পর্ব - ৫
May 20, 2025 • 22 reads

বিয়ে বাড়ির চিৎকারে আমার সর্বনাশ করতে চেয়েছিলো, আমি পিছনে সরতে গিয়ে কখন ধারে চলে গেছিলাম খেয়াল করিনি, হটাৎ সে ওড়না ধরে টান দেয়, নিজেকে সামাল দেয়ার আগেই আমি পড়ে যায়। ভেবেছিলাম মরেই গেছি আমি। কিন্তু আপনি বাঁচাবেন বুঝতে পারিনি। আমি চরিত্রহীনা নই, প্লিজ বিশ্বাস করুন, তখন আপনাকে আমি ভয় পেয়ে দূরে সরে গিয়েছিলাম। আমার খুব ভয় করছিলো তাই , কাঁদতে শুরু করেছিলাম। সত্যিই আমি কোন দোষ করিনি প্লিজ বিশ্বাস করুন। ” খুব কান্না করতে থাকে নিরু।

পর্ব - ৬
May 20, 2025 • 17 reads

“ কি ব্যাপার, এভাবে দাঁড়িয়ে ছিলে কেনো? নিজেকে কষ্ট দিয়ে কিসের সুখ পাও তুমি? আমি চলে গেছিলাম অপরাধ বোধ হচ্ছিলো তাই, মানুষের কথায় তোমাকে সন্দেহ করা আমার উচিৎ হয়নি, খুব খারাপ লাগছিলো নিজের কাছে, তাই বেরিয়ে গেছিলাম। আর তুমি এতক্ষণ এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকলে? আর এমন পাগলামি করবে না ঠিক আছে? ” রাগ কন্ট্রোল করে শান্ত গলায় বলে শুভ।

পর্ব - ৭
May 20, 2025 • 23 reads

পরদিন সকালে নিরুর ঘুম ভেঙে শুভকে দেখতে পায়নি, হয়তো আগেই উঠেছে তাই উঠে ফ্রেশ হয়ে রুমে আসতেই রিমি আসে রুমে। রিমির সাথে আগেই নাস্তা করে পার্লারে যায়, যেহুতু পার্লারে যেতে হবে তাই তিন জন তাড়াতাড়ি নাস্তা সারে। রিমি রুবি আর নিরু কে নিয়ে পার্লার এসে তিনজনের সাজতে প্রায়ই দুপুর হয়ে আসে। তিনজনই কারে করে করে আগের ঠিক করে রাখা কমিনিউটি সেন্টারে আসে।

পর্ব - ৮
May 20, 2025 • 18 reads

শুভ নিরুকে কিস করতে গেলে নিরু মুখে হাত দিয়ে আটকায়, __ “ আপনি সব এমন করেন কেনো? ” __ “ আদর করতে ইচ্ছে করে যে। ” __ “ এটা আবার কেমন আদর, মুখে মুখ দিয়ে। আমার তো কেমন জানি গা গুলায়। ” __ “ বাচ্চা বউ আমার কিছুই বুঝেনা। ” নিরুকে ছেড়ে দিয়ে শুভ বলে। __ “ আমি মোটেও বাচ্চা না, যথেষ্ট বড় হয়েছি। ” __ “ বড় হয়েছো কতটা, তা তো দেখতেই পাচ্ছি। ফুলসজ্যা ও বুঝোনা, আদর ও বুঝোনা। বাদ দাও, তোমার কোন বান্ধবী নাই? ”

পর্ব - ৯
May 20, 2025 • 18 reads

“ আমার O+ ব্লাড, আমার থেকে নিন। ” নিরু বলে শুভ মানবিকতার খাতিরে নিষেধ করেনা নিরুকে। নিরু ব্লাড দিতে যায় , আইসিইউর পাশের ব্রেঞ্চে শুভর বাবা, মা, শুভ বসে আছে। সাগর বাইরে পায়চারী করছে, সবার মাঝে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে রুবির বাবা মা ও ছুটে আসে হসপিটালে।

পর্ব - ১০
May 20, 2025 • 18 reads

রিমির মাথায় প্রচন্ডরকম আঘাত ছিলো বিধায় জ্ঞান ফিরতে 4 দিন দেরি হয়। শুভ রিমির পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। নিরু একটু দূরে বসে আছে, কয়েকটা দিন সব সময় রিমিকে যে রুমে রাখা হয়েছিলো সেই রুমের বাইরে সবার অবস্থান ছিলো। আজই ভিতরে প্রবেশের অনুমতি এসেছে রিমির জ্ঞান ফিরেছে দেখে। রুবি কে পাশের বেডে রেখেছে, কারণ ওর অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলো না।

পর্ব - ১১
May 20, 2025 • 15 reads

শুভ সব কিছু শুনে কি করবে, কি বলবে কিছুই না বুঝতে পেরে বাইরে বের হয়ে আসে। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে, কোন কিছুর সমাধান না পেয়ে পাশের চায়ের দোকানে এক কাপ চা খায় শুভ, অন্য কোন নেশা নেই শুধু চা ছাড়া। বাসায় এসে নিরু কে ডাকতে থাকে, __ “ জ্বী বলুন কিছু হয়েছে কি?” বেশ চিন্তিত স্বরে নিরু জিজ্ঞেস করে।

পর্ব - ১২
May 20, 2025 • 18 reads

সবাই লাঞ্চ শেষ করে যে যার মতো ঘরে যায়, শুভ নিজের ঘরে গিয়ে দেখে নিরু নেই। এদিকে নিরু রিমির রুমে এসে রিমির পাশে শুয়ে আছে কম্বলের নিচে। বিকালের দিকে রিমির রুমে রুবি আসে, নিরু কম্বলের নিচে থাকায় খেয়াল করেনি। __ “ কেমন আছো রিমি? ” __ “ তুমি জেনে কি করবে ভাবী? ” __ “ মাফ করে কি দেয়া যায়না রিমি তোমার এই ভাবী টাকে? ”

পর্ব - ১৩
May 20, 2025 • 17 reads

নিরুর মুখে চাঁদের আলো পড়ে নিরুর সৌন্দর্য আরোও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। শুভ অপলক তাকিয়ে থেকে নিরুর ডান হাত মুষ্টিবদ্ধ করে শুভর বাম হাত দিয়ে, আর ডান হাত নিরুর গলায় দেয়। শুভর স্পর্শে নিরু শিহরিত হচ্ছে, আজ পালিয়ে যাচ্ছেনা। শুভর নিঃশ্বাস নিরুর বুকে পড়ছে, নিরুর হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে। শুভ নিরুর গলায় অসংখ্য আদরের ছোঁয়া দিতে থাকে। নিরু বাম হাত দিয়ে শুভর গলা চেপে ধরে। অস্থিরতা বাড়ছে নিরুর ভিতরে, শুভর হাত নিরুর বুক পর্যন্ত নেমে গেছে।

পর্ব - ১৪
May 20, 2025 • 20 reads

শুভ বিয়ের দিনের একটা ছবি কে বড় করে বাধায় করেছে। ছবিতে শুভ নিরুর পিছনে দাঁড়িয়ে বাম হাত নিরুর পেটের উপর দিয়ে রেখেছে আর ডান হাত নিরুর গলার কাছে দিয়ে মুখ টা নিরুর কাঁধে রেখে ছবিটা তুলেছিল সেদিন। নিরুর লাজুক চেহেরা টাই ফুটে উঠেছে ছবিতে , আর সেই জন্যই শুভ এই ছবিটা বাধায় করেছে।

পর্ব - ১৫
May 20, 2025 • 19 reads

শুভ সব কিছু প্লান করে, কুয়াকাটা যাবে ঠিক করে। শুভ নিজে ড্রাইভ করে নিয়ে যাওয়ার প্লান করে। এতে পুরো টা সময় দুজন দুজনের কাছাকাছি থাকতে পারবে। ওরা শুক্রবার সকাল সকাল রেডি হয় বেড়াতে যাবার উদ্দেশ্যে। নিরুকে আজ শুভ ইচ্ছে মতো সাজিয়েছে। সাদা রঙ এর লং সিল্কের গাউন এর সাথে পিংক কালারের ওড়না। চুলগুলো ক্লিপ দিয়ে ফুলিয়ে আটকিয়ে দিয়েছে।

পর্ব - ১৬
May 20, 2025 • 20 reads

নিরু টাওয়েল দিতে গেলে নিরুর হাত ধরে টেনে নেয় ওয়াশরুমের ভিতর, কিছুক্ষণের মধ্যেই নিরু ভিজে গেছে। নিরু মাথ বেয়ে ঠোঁট বেয়ে পানি পড়ছে। শুভ নিরুকে ভেজা অবস্থায় দেখে আর কন্ট্রোল করতে পারেনা নিজেকে। নিরুর ঠোঁট টা নিজের দখলে নিয়ে নেয় ।

পর্ব - ১৭
May 20, 2025 • 18 reads

ট্রলার চলছে আপন গতিতে, নিরু উপভোগ করছে কি সুন্দর ঢেউ গুলো ট্রলার বরাবর কেটে যাচ্ছে। পানির শব্দে বাচ্চাদের মতো হাসছে নিরু। প্রথমে গঙ্গামতির চরে আসে, এখান থেকে সুর্যদয় দেখা যায়। কুয়াকাটার এই জায়গার নাম ই কুয়া। ওরা একেবারে পূর্ব দিকে চলে আসে। সুর্য আস্তে আস্তে লাল রঙের হয়ে ওঠে। এইখান থেকে সুর্যদয় দেখতে সব চেয়ে ভালো লাগে নিরুর।

পর্ব - ১৮
May 20, 2025 • 17 reads

ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে দুজনেই রেডি হয়ে নেয়। প্রথমে ওরা কাছের বৌদ্ধ মন্দির দেখে, আসলে কিভাবে বানিয়েছে এটাই দেখার উদ্দেশ্য দুজনের। সেখানে তিন তলা সমপরিমাণ উঁচু মুর্তি আছে। ওরা ওখানে বেশিক্ষণ না থেকে পাশের রাখাইন মার্কেট এ যায়। সেখানে থেকে পছন্দ মতো তাঁতের কাপড় কিনে সবার জন্য। গরমকালের সময়! তাঁতের কাপড় পড়ে অনেক আরাম।

পর্ব - ১৯
May 20, 2025 • 18 reads

শুভ নিরুর কাপড় গুলো ধুয়ে বারান্দায় শুকাতে দিয়ে আসে। শুভ নিজেও ভিজে আছে, তাই আরেকটা টাওয়েল নিয়ে নিজের ড্রেস গুলো ও চেঞ্জ করে নেয়। বেডের দিকে তাকালো শুভ, নিরু শুয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পড়েছে। মৃদু হাসে শুভ, এরপর নিরুর পাশে গিয়ে শুয়ে নিরুকে জড়িয়ে ধরে। দুজনেই খুব ক্লান্ত ছিলো, ঘুম টা খুব সহজেই চলে আসে।

পর্ব - ২০
May 20, 2025 • 20 reads

শুভ কিছু ছবি দেখায় নিজের ফোন থেকে, ছবি গুলো দেখে নিরু নিজেই মাথা ঘুরে পড়ে যায়। শুভর বাবা বাসাতেই ডক্টর ডাকেন। ডক্টর যা বললেন সেটাতে শুভর রাগ আরোও বেড়ে যায়, নিরুকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পুরো দিন টা তেই কেউ কারো সাথে আর কথা বলেনি। রাতে নিরুর জ্ঞান ফিরে আসে, সে কিছুক্ষণ পর পুরো পুরি বাস্তবে ফিরে আসে।

পর্ব - ২১
May 20, 2025 • 16 reads

আফজাল হোসেন তাড়াতাড়ি উপরে গিয়ে রাকিবের ঘরের সামিনে দেখে মেঝেতে প্রচুর রক্ত। একটু দুরেই লুতফার অজ্ঞান দেহ পড়ে আছে। সবাইকে চিৎকার দিয়ে ডাকতে থাকে আফজাল হোসেন। তাড়াহুড়ো করে সবাই মিলে হসপিটাল এ নিয়ে যায়, এডমিট করা হয় আই সি ইউ তে । রুবি কে ফোন দিয়ে জানানো হয়, রুবি সাগর দুজনেই অফিস থেকে বের হয়ে ডাইরেক্ট হসপিটাল এ আসে। শুভর বাবা মা ও খবর শুনে আসে, যতই হোক আত্মীয় বলে কথা।

পর্ব - ২২
May 20, 2025 • 17 reads

দেখতে দেখতে দুইদিন পার হয়ে যায়, নিরুর ঘুম ভাঙে রাত তিন টায়। ঘুম থেকে উঠে দেখে পুরো ঘরে জোনাকির আলো মিটমিট করছে। বিছানা থেকে নেমেই জোনাকি পোকা ধরার চেষ্টা করছে। ধরছে আবার উড়িয়ে দিচ্ছে। নিরু যেন খুশিতে নাচছে। হটাৎ করে ঘরে লাইট জ্বলে ওঠে । নিরু খেয়াল করে পুরো ঘরে বেলুন দিয়ে সাজানো।

পর্ব - ২৩
May 20, 2025 • 17 reads

আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ছিলাম, কোনরকম সংসার চলে যেতো আমার। একটু বড় হবার পর যখন খরচ বেড়ে যায়, তখন টিউশনি করেই চলতাম। এরপর ভার্সিটিতে ভর্তি হই, সেখানেই প্রথম দিন নিলাশার সাথে পরিচয় হয় আমার। নিলাশা অনেক ধনী বাবার সন্তান হলেও কখনো বুঝিনি সে ধনী ঘরের মেয়ে। খুব সিম্পল ভাবে নিজেকে সব সময় প্রেজেন্ট করতো।

পর্ব - ২৪
May 20, 2025 • 15 reads

এরপর, পুরো একদিন পর নিলাশার জ্ঞান ফিরে, একটু সুস্থ হলে কেবিনে ট্রান্সফার করা হয়। আমি ওর পাশে গিয়ে সেদিন অনেক কেঁদেছিলাম। সে শুধুই তাকিয়ে ছিলো, কোন কথা বলেনি আমার সাথে। শুধু ওর হাত দুটো আমার চোখের পানি মুছিয়ে দিয়েছিলো। আমি আমাদের বেবি কে তার সামনে দিতেই, সে বেবির মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।

পর্ব - ২৫
May 20, 2025 • 17 reads

শুভ কিছুক্ষণ পর রুমে এসে নিরু কে কাঁদতে দেখে মনে করে সকালের ঘটনায় মন খারাপ নিরুর। নিরুর কাঁধে হাত রেখে শুভ কিছু বলার আগেই নিরু শুভর হাত এক ঝটকায় সরিয়ে দেয়। এরপর বলে, “আর কক্ষনো ছোবে না আমাকে, যেইই হাত দিয়ে তুবা কে স্পর্শ করেছো, সেই হাত দিয়ে আর কখনো আমার শরীর স্পর্শ করবেনা।”

পর্ব - ২৬
May 20, 2025 • 18 reads

তুবা রুমের দরজা খুলে ভিতরে যায়, আর তখন আমি ওর মুখ থেকে স্বীকারক্তি নেওয়ার জন্য ওর সাথে ধস্তাধস্তি হয়। তখনই হয়তো কেউ ভিডিও করে রাখে আমার অজান্তে। তুবা কিছুই স্বীকার করেনি, তাই বাধ্য হয়ে বাসায় ফিরে আসি। এসেই রিমি জানায় তোমার জন্মদিন এর সারপ্রাইজ প্লানের কথা। তুবার কথা বেমালুম ভুলে যাই। পরের দিন ব্যস্ততার মাঝে কিছুই মনে ছিলো না।

পর্ব - ২৭
May 20, 2025 • 18 reads

সকালে ঘুম থেকে দেরি করে উঠে নিরু, ফ্রেশ হয়ে বাইরে যাবার সময় রুবির ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ পায় নিরু। ঘরে উঁকি দিয়ে দেখে রুবি বেডে উল্টো দিকে শুয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে । শুভর ডাকে নিরু নিচে নেমে আসে, কারণ শুভ ব্রেকফাস্ট এর টেবিলে, নিরুকে ছাড়া খাবে না সেই জন্য। নিরু নিচে এসে নাস্তা করে নেয়, ঔষধ ঠিক মতো খাইয়ে শুভ অফিসে যায়।

পর্ব - ২৮
May 20, 2025 • 18 reads

একদিন সন্ধ্যেবেলা টিভি দেখছিলাম পাশাপাশি বসে, মাঝে কিছুটা গ্যাপ ছিলো। আমার সিরিয়াল খুব ভালো লাগতো, সিরিয়ালে একটা সিন এ নায়ক হটাৎ করে নায়িকা কে কিস করে। এই সিন দেখে আমার যেনো একটু লজ্জা লাগে। পরে রাকিব হটাৎ করে আমার ঠোঁট যুগল তার আয়ত্ত্বে হয়ে নেয়। আমি প্রথমে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে আর করিনি। অসম্ভব ভালোলাগা কাজ করছিলো আমার ভিতর।

পর্ব - ২৯
May 20, 2025 • 18 reads

দুইদিন এর মাঝেই সাগরের সাথে সামিহার বিয়ে দিয়ে দেয় ঘরোয়া ভাবেই, আর বিয়ের দিন রাতেই নিরুর পেইন উঠে। নিরুর চিৎকারে বিয়ে বাড়ির সবাই নিরুকে নিয়ে হসপিটালে পৌঁছে। চার ঘন্টা পর নিরুর নরমাল ডেলিভারী তে ছেলে হয়। শুভ পুরো সময় টা নিরুকে পাহারা দিচ্ছে, যেনো ভুলেও কেউ নিরুর বা বেবির ক্ষতি করতে না পারে। একজন নার্স বেবি কে এনে প্রথমে শুভর কোলে দেয়, শুভ প্রথমে বেবি কে কোলে নিয়ে জোরে করে আযান দেয়।

পর্ব - ৩০
May 20, 2025 • 17 reads

খুব সাবধানে নিরুকে বেড থেকে উঠিয়ে লুতফা বেগমের কেবিনে নিয়ে গেলো শুভ।  নিরু গিয়ে দেখে লুতফা বেগম ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে নিরুর দিকে।  হয়তো তার চোখ দুটো নিরুকেই খুঁজছিলো এতক্ষণ।  এখন যেনো নিরুকে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে লুতফা বেগম।

“রুবিকে ভালোবেসেছিলাম সত্যিই সম্পত্তির মালিক ভেবে  কিন্তু যখন আম্মা বলে রুবির নামে কোন সম্পত্তি নেই তখন রুবিকে ত্যাগ করি। এরপর জানতে পারি সব কিছু নিরুর নামে।  ওকে ইউজ করার চেষ্টা করেও পারিনি।  কোনভাবে বেঁচে যায়।  পরে বড়লোক মেয়ে দেখে রিমির বান্ধবী কে পটিয়ে ওর নাম্বার নিয়ে ওর সাথে প্রেম করি।  পরে জানতে পারি নিরুর ননদ রিমি।  এক সাথে বড়লোক হবার স্বপ্নে আমি বিভোর হয়ে পাপের পর পাপ করতে থাকি।”