প্রেমের পরশ
সমাপ্তএক অনাথ মেয়ের জীবন যখন সৎ পরিবারের অত্যাচারে অভিশপ্ত, তখন তার জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসে এক অচেনা যুবক। কিন্তু এই বিয়েটা কি শুধুই সুরক্ষা, নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে তার মায়ের মৃত্যু আর বিশাল সম্পত্তির এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র? ভালোবাসা আর বিপদের এই খেলায় নিরু কি পারবে নিজেকে আর তার অনাগত সন্তানকে রক্ষা করতে?
সিজন ১
(৩১ পর্ব)এক অনাথ মেয়ের জীবন যখন সৎ পরিবারের অত্যাচারে অভিশপ্ত, তখন তার জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসে এক অচেনা যুবক। কিন্তু এই বিয়েটা কি শুধুই সুরক্ষা, নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে তার মায়ের মৃত্যু আর বিশাল সম্পত্তির এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র? ভালোবাসা আর বিপদের এই খেলায় নিরু কি পারবে নিজেকে আর তার অনাগত সন্তানকে রক্ষা করতে?
বোনের বিয়ের রাতে সৎ মায়ের অত্যাচারে ছাদে আশ্রয় নেয় নিরু। কিন্তু সেখানে এক অপ্রত্যাশিত আক্রমণে তার জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে, আর ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে আশ্রয় মেলে এক অচেনা পুরুষের বুকে। এই ঘটনাই কি তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াবে, নাকি এটাই হবে তার মুক্তির সূচনা?
এক রাতের সিদ্ধান্তে নিরুকে বিয়ে করে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে শুভ। কিন্তু স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ার শর্ত দিয়েও, অসুস্থ নিরুর প্রতি তার মধ্যে জন্ম নেয় এক অদ্ভুত টান। এই টান কি শুধু মানবিকতা, নাকি এক নতুন সম্পর্কের সূচনা?
নতুন সংসারে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় নিরু শাশুড়ির মন জয় করে নেয়। কিন্তু একদিকে সৎ বোনের ষড়যন্ত্র আর অন্যদিকে শুভর কঠিন আচরণ তার পথকে আরও জটিল করে তোলে। এই প্রতিকূলতার মাঝে নিরু কি পারবে নিজের জায়গা তৈরি করতে?
শুভ পরম যত্নে নিরুকে শাড়ি পরিয়ে দিলেও এক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে নিরুর ভয় তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। অন্যদিকে সৎ বোন রুবির হিংসা আর পরিবারের মধ্যে চলতে থাকা চাপা উত্তেজনা নিরুর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। নিরু কি পারবে শুভর বিশ্বাস অর্জন করতে?
আত্মীয়ের কুমন্ত্রণায় শুভ নিরুর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যার ফলে নিরুর উপর নেমে আসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। অবশেষে নিরু প্রকাশ করে ছাদের সেই রাতের ভয়ংকর সত্য। এই সত্য জানার পর কি তাদের সম্পর্কের ফাটল জোড়া লাগবে?
নিজের ভুল বুঝতে পেরে শুভ নিরুর কাছে আসে, কিন্তু তাদের সম্পর্কের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় শুভর প্রাক্তন প্রেমিকা সামিহা। সে ভালোবাসার নামে শুভকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে। এই নতুন ষড়যন্ত্রের মুখে নিরু আর শুভর সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে?
একদিকে যেমন নিরু আর শুভর মধ্যে খুনসুটি আর ভালোবাসার মুহূর্ত তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে তাদের বিবাহোত্তর বরণ অনুষ্ঠানের আড়ালে চলছে এক গভীর ষড়যন্ত্র। নিরুর সরলতার সুযোগ নিয়ে কি শত্রুরা সফল হবে?
বোনের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নিরুর উপর নেমে আসে খুনের চেষ্টার মিথ্যা অপবাদ। শুভ এক অবিশ্বাস্য নাটক সাজিয়ে আসল অপরাধীকে ধরার ফাঁদ পাতে, কিন্তু সত্য প্রকাশের মুহূর্তে ঘটে যায় আরেক দুর্ঘটনা। এই চরম সংকটে কে শত্রু আর কেই বা মিত্র?
পরিবারের সবাই যখন সুস্থ হয়ে উঠছে, তখন শুভ নিরুর জন্ম আর তার মায়ের মৃত্যুর পেছনের রহস্য অনুসন্ধানে নামে। সে এমন কিছু তথ্য খুঁজে পায় যা নিরুর বাবার লুকানো অতীতকে সামনে নিয়ে আসে। এই রহস্যের শেষ কোথায়?
শুভ আর নিরুর সম্পর্ক যখন ভালোবাসার গভীরতায় পূর্ণ, তখন শুভর বোন রিমি জড়িয়ে পড়ে রাকিবের প্রেমের জালে। নিরু বুঝতে পারে এটা একটা নতুন ষড়যন্ত্র। নিজের ননদকে এই বিপদ থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিরু কি নতুন কোনো বিপদে পড়বে?
এক অপ্রত্যাশিত মুহূর্তে নিরু আর শুভর শারীরিক নৈকট্য তাদের সম্পর্কের মধ্যে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। কিন্তু এই ঘনিষ্ঠতার পেছনে লুকিয়ে আছে নিরুর জীবন বাঁচানোর এক গভীর পরিকল্পনা। ভালোবাসা আর কর্তব্যের এই খেলায় শেষ পর্যন্ত কী ঘটবে?
শুভ আর নিরু হানিমুনে যাওয়ার পরিকল্পনা করে, যা পরিবারের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কিন্তু এই আনন্দযাত্রার আড়ালে শুভর মনে কাজ করছে অন্য কোনো উদ্দেশ্য। এই ভ্রমণ কি তাদের জন্য নতুন কোনো বিপদ ডেকে আনবে?
কুয়াকাটার নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের মাঝে শুভ ও নিরু একে অপরের আরও কাছে আসে। রোমান্টিক মুহূর্তগুলো তাদের সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিলেও, দুজনই জানে এই সুখের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক অজানা ভয়। এই ভ্রমণ কি তাদের শেষ আনন্দযাত্রা?
কুয়াকাটার সমুদ্র আর প্রকৃতিকে সাক্ষী রেখে শুভ আর নিরুর ভালোবাসা যেন পূর্ণতা পায়। শাওয়ারের নিচে একান্তে কাটানো মুহূর্ত তাদের সম্পর্কের বাঁধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে। কিন্তু এই সুখের সময় কি দীর্ঘস্থায়ী হবে?
ভ্রমণ শেষে লঞ্চে ফেরার পথে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে শুভ আর নিরু। জীবন-মৃত্যুর এই লড়াইয়ে তারা কি পারবে একে অপরকে রক্ষা করতে? অন্যদিকে, তাদের অনুপস্থিতির সুযোগে বাড়িতে চলছে নতুন ষড়যন্ত্র।
ভয়ংকর ঝড় থেকে বেঁচে এক হোটেলে আশ্রয় নেয় নিরু আর শুভ। এই অপ্রত্যাশিত একাকীত্ব তাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করে তোলে। কিন্তু এই বিপদের রাত কি তাদের জন্য নতুন কোনো বার্তা নিয়ে আসবে?
ভ্রমণ থেকে ফিরেই এক ষড়যন্ত্রের শিকার হয় শুভ আর নিরু। রাকিবের পাঠানো এডিট করা ছবি তাদের ভালোবাসার সম্পর্কে অবিশ্বাসের কালো মেঘ তৈরি করে, যার ফলে ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এই ভুল বোঝাবুঝি কি তাদের চিরতরে আলাদা করে দেবে?
নিরুর গর্ভধারণের খবরের মাঝেই রাকিব তার সৎ মায়ের উপর হামলা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর নিরু কি তার আসল শত্রুকে চিনতে পারবে, নাকি ষড়যন্ত্রের জালে আরও জড়িয়ে পড়বে?
নিরুর জন্মদিনের ঠিক আগে, এক গভীর ষড়যন্ত্রে শুভকে ফাঁসানো হয়। এক তরুণীর সাথে তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর, সেই তরুণীর খুনের অভিযোগে শুভ গ্রেফতার হয়। এই চরম বিপদে নিরু কি তার স্বামীকে বিশ্বাস করবে?
স্বামীর মুক্তির পর নিরু তার সৎ বোন রুবির রেখে যাওয়া এক ডায়েরি খুঁজে পায়। সেই ডায়েরির পাতায় পাতায় লেখা আছে কৈশোরের এক ভয়ংকর নির্যাতনের কাহিনী, যা রাকিবের আসল চেহারা সবার সামনে উন্মোচন করে দেয়। এই সত্য কি নতুন কোনো প্রতিশোধের জন্ম দেবে?
জন্মদিনের রাতে শুভর ভালোবাসার সারপ্রাইজে আপ্লুত হয় নিরু। কিন্তু পরদিনই বাবা তার হাতে তুলে দেন বিশাল সম্পত্তির দলিল আর উন্মোচন করেন তার মায়ের মৃত্যুর পেছনের এক নির্মম ও বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস। এই কঠিন সত্য কি নিরুর জীবনকে নতুন কোনো বিপদের দিকে ঠেলে দেবে?
নিরুর বাবা যখন তার স্ত্রী নীলাশার হত্যার সম্পূর্ণ কাহিনী প্রকাশ করেন, তখন বেরিয়ে আসে পরিবারের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মানুষগুলোর ভয়ংকর রূপ। লুতফা আর তার ননদের ষড়যন্ত্রের জালে কীভাবে একটি সুখী পরিবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল?
পরিবারের সব ঝড় আর ষড়যন্ত্রের মাঝে নিরুর কোল আলো করে আসে তার সন্তান শায়ান। কিন্তু এই আনন্দঘন মুহূর্তেও ঘনিয়ে আসে বিপদের কালো ছায়া। এক নতুন শত্রু কি কেড়ে নিতে চাইবে এই নিষ্পাপ শিশুর জীবন?
মৃত্যুর সাথে লড়াই করে জ্ঞান ফিরে পায় নিরুর সৎ মা লুতফা। তার শেষ স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে নীলাশা হত্যার পেছনে থাকা মূল ষড়যন্ত্রকারীর নাম। এই স্বীকারোক্তি কি পারবে রাকিব আর তার মাকে আইনের আওতায় আনতে?
পরিবারের সবার শান্তির জন্য যখন রিমির বিয়ের আয়োজন চলছে, তখন এক অপ্রত্যাশিত অতিথি বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রবেশ করে। এই নতুন ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নিরু আর শুভ কি পারবে তাদের পরিবারকে রক্ষা করতে?
সব ষড়যন্ত্রের অবসানের পর শুভ আর নিরুর ভালোবাসা অবশেষে পূর্ণতা পায়। তাদের সন্তান শায়ানকে ঘিরে পরিবারে ফিরে আসে অনাবিল শান্তি আর আনন্দ। এই সুখের পরশ কি তাদের জীবনে স্থায়ী হবে?
রুবির রেখে যাওয়া ডায়েরির পাতাগুলো যখন সাগরের সামনে এক ভয়ংকর অতীত তুলে ধরে, তখন সে বুঝতে পারে তার স্ত্রীর হাসির আড়ালে কত যন্ত্রণা লুকানো ছিল। এই সত্য জানার পর সাগর কি পারবে রাকিবকে তার অপরাধের শাস্তি দিতে?
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরুর কোল জুড়ে আসে নতুন অতিথি। কিন্তু এই আনন্দের মুহূর্তেও তাদের পিছু ছাড়ে না ষড়যন্ত্রের ছায়া। এক নতুন শত্রু কি তাদের এই সুখ কেড়ে নিতে চাইবে?
সামিহার ভয়ংকর ষড়যন্ত্র যখন ভিডিও ফুটেজে প্রকাশ পায়, তখন সবাই বুঝতে পারে সে কতটা নিচে নামতে পারে। সদ্যোজাত শিশুকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে তার জীবন কোন দিকে মোড় নেবে? আর লুতফা বেগমের স্বীকারোক্তি কি পারবে মূল অপরাধীকে ধরতে?
রিমির বিয়ের অনুষ্ঠানে ছদ্মবেশে হাজির হয় প্রধান শত্রু রাকিব। সমস্ত অপরাধের জাল গুটিয়ে যখন সে নিজেকে বিজয়ী ভাবছে, তখনই শুভ আর নিরু মিলে তাকে আইনের হাতে তুলে দেয়। এই শেষ লড়াইয়ের মাধ্যমে কি পরিবারে সত্যিকারের শান্তি ফিরে আসবে?