প্রেমের সাতকাহন
সমাপ্ততূবার বিয়ের আসরে হঠাৎ হাজির হয় নীর, যে দাবি করে তারা এক বছর আগেই বিবাহিত। এই আকস্মিক ঘটনায় তূবার পরিবার তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, আর সে নিজেকে এক গভীর পারিবারিক ষড়যন্ত্রের জালে জড়িয়ে ফেলে, যেখানে অতীত আর বর্তমান মিলেমিশে একাকার। একটি গোপন বিয়ে কি পারবে দুই পরিবারের মধ্যে থাকা বহু বছরের পুরনো শত্রুতা, বিশ্বাসঘাতকতা আর খুনের রহস্যের সমাধান করতে?
বিয়ের আসরে অচেনা স্বামী
বিয়ের আসরে কবুল বলার ঠিক আগ মুহূর্তে এক আগন্তুকের আবির্ভাবে ভেঙে যায় তূবার বিয়ে। আগন্তুক নিজেকে তার স্বামী দাবি করে এক বছর আগের কাবিননামা দেখালে তূবার বাবা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এই অচেনা মানুষটি কি সত্যি, নাকি কোনো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ?
শত্রুর ঘরে নতুন আশ্রয়
নিজের বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে তূবা আশ্রয় নেয় নীরের বাড়িতে, যেখানে নীরের মায়ের স্নেহ পেলেও নীরের অদ্ভুত আচরণ তাকে বিভ্রান্ত করে। ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া এক রাগান্বিত ফোন কল আর নীরের পূর্বপ্রস্তুতি—সবকিছুই এক নতুন রহস্যের জন্ম দেয়। তার পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটি কে?
স্বাক্ষরের আড়ালে লুকানো সত্যি
তূবা জানতে পারে, তার অজান্তেই এক কাগজে করা স্বাক্ষর তাকে নীরের সাথে এক বছর আগেই বেঁধে ফেলেছে। এই প্রতারণার পেছনের কারণ কী? রাগের বশে নীরকে আঘাত করার পর তাদের সম্পর্কের তিক্ততা কি আরও বাড়বে, নাকি কোনো নতুন সত্য সামনে আসবে?
অভিমানের বরফগলা সকাল
দুই দিনের নীরবতার পর নীরের সাথে ভার্সিটিতে যেতে বাধ্য হয় তূবা। সকালের এক গ্লাস দুধ নিয়ে মামনীর সাথে খুনসুটি আর বাইকে নীরের সাথে শীতল দূরত্ব—এই ছোট ছোট ঘটনাগুলো কি তাদের অভিমানের বরফ গলাতে পারবে, নাকি সম্পর্ক আরও জটিল হবে?
মারকুটে ভাবি আর অদ্ভুত স্যার
ভার্সিটিতে তূবার বান্ধবী রিমির মারকুটে রূপ আর উদাহরণ স্যারের অদ্ভুত প্রশ্নে ক্লাস জমে ওঠে। কিন্তু এই সাধারণ দিনের আড়ালে কি তূর্য আর নীরের কোনো গভীর পরিকল্পনা লুকিয়ে আছে, যা তূবা এখনও জানে না?
অজানা ফোনের রহস্য
ভার্সিটির ঘটনার পর তূর্য ও রিমির ফোনালাপে এক গভীর রহস্যের আঁচ পাওয়া যায়, যা তূবার ভালোর জন্যই করা হচ্ছে। তূর্য কেন সরাসরি কিছু বলছে না? সময়ের আগে কোন সত্যিটা প্রকাশ পেলে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে?
ফুচকাওয়ালা কৃষকের ট্রিট
তূবার অভিমান ভাঙাতে নীর এক অদ্ভুত বেশ ধারণ করে হাজির হয়—ফুচকাওয়ালা কৃষক! এই হাস্যকর চেষ্টার পেছনে কি শুধু অভিমান ভাঙানোর উদ্দেশ্য, নাকি অন্য কোনো গভীর অনুভূতি লুকিয়ে আছে? একটি ফেসবুক পোস্ট কি তাদের মধ্যে নতুন করে ঈর্ষার জন্ম দেবে?
ক্ষমা প্রার্থনার unexpected মোড়
রিমি তার ভুলের জন্য আবিরের কাছে ক্ষমা চাইতে গিয়ে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার মুখোমুখি হয়। এদিকে নীরের বাবা আরমান সিকদারের চৌধুরী বাড়িতে আগমন এক নতুন ঝড়ের পূর্বাভাস দেয়। বহু বছর পর দুই পরিবারের এই সাক্ষাৎ কি পুরনো ক্ষতকে জাগিয়ে তুলবে?
দরজায় দাঁড়ানো অতীত
আরমান সিকদারের আকস্মিক আগমনে চৌধুরী বাড়ির পরিবেশ থমথমে হয়ে ওঠে। নীলিমা আর আরমানের কথোপকথনে পুরনো ক্ষতের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। নীর কেন তূবাকে তার বাবার মুখোমুখি হতে দিল না? এই লুকোচুরির পেছনে কোন সত্য লুকিয়ে আছে?
নীরবতার আড়ালে ভাইবোনের কথোপকথন
বহুদিন পর ভাইয়ের সাথে দেখা হওয়ায় তূবার সব অভিমান গলে যায়, কিন্তু তূর্যর কথায় সে এক গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পায়। নীর আর তূর্য মিলে কী লুকাচ্ছে? সাউন্ডপ্রুফ রুমের আড়ালের এই পরিকল্পনা কি তূবাকে রক্ষা করার জন্য, নাকি আরও বড় কোনো বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য?
শত্রুর মুখে মায়ের মৃত্যুরহস্য
ভার্সিটির সামনে অপ্রত্যাশিতভাবে রাতুলের সাথে দেখা হওয়াটা কি শুধুই কাকতালীয়? তূবা তার মায়ের মৃত্যু নিয়ে এমন এক মর্মান্তিক সত্য জানতে পারে, যা তার বিশ্বাসের ভিত নাড়িয়ে দেয়। নীরকে ঘিরে তৈরি হওয়া এই নতুন ষড়যন্ত্রের জাল কি তূবা ছিঁড়তে পারবে?
বিশ্বাসের অগ্নিপরীক্ষা
রাতুলের বলা ভয়ংকর কথাগুলো শোনার পরও তূবা নীরের উপর বিশ্বাস হারায় না। সে বুঝতে পারে, তাকে ব্যবহার করে কেউ নীরকে বিপদে ফেলতে চাইছে। কিন্তু কে সেই শত্রু? মায়ের খুনের আসল রহস্যটাই বা কী, যা ভাইয়ু আর বাবা দুজনেই তার কাছে লুকিয়ে রেখেছে?
একটি ফোন কলের অপেক্ষা
একটি ফোন না করায় নীরের তীব্র উদ্বেগে ভরা বকুনি খায় তূবা। ভালোবাসার এই অধিকার মেশানো শাসন কি তাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে? ওদিকে, তূর্য আর রিমির সম্পর্কে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের অনুপস্থিতি কি নতুন কোনো দূরত্বের সৃষ্টি করবে?
শাড়ি পরানোর অদ্ভুত আবদার
ভার্সিটির অনুষ্ঠানের জন্য শাড়ি পরতে গিয়ে বিপাকে পড়ে তূবা। অদ্ভুত পরিস্থিতিতে সে নীরের কাছে সাহায্য চাইতে বাধ্য হয়। চোখ বেঁধে শাড়ি পরানোর এই முயற்சியে কি তাদের মধ্যে কোনো নতুন অনুভূতির জন্ম হবে, নাকি নীরের জরুরি মিটিংয়ের ডাক সবকিছু ভেস্তে দেবে?
এক ফোন কলে মৃত্যুফাঁদ
ভার্সিটির অনুষ্ঠান থেকে আসা একটি ফোন কলে তূবার পৃথিবী ওলটপালট হয়ে যায়। নীরের মারাত্মক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সে ছুটে যায় এক নির্জন গোডাউনের দিকে। এটা কি আসলেই দুর্ঘটনা, নাকি শত্রুর পাতা কোনো ভয়ংকর ফাঁদ?
মুখোশের আড়ালের সেই মুখ
গোডাউনে প্রবেশ করে তূবা নীরের এক অচেনা, ভয়ংকর রূপ দেখতে পায়। ভালো মানুষের মুখোশের আড়ালে থাকা এই মানুষটিই কি তার স্বামী? যখন তূবার সব বিশ্বাস চুরমার হয়ে যায়, তখন তার ভাইয়ের অপ্রত্যাশিত আগমন কোন নতুন রহস্যের দরজা খুলে দেবে?
অতীতের ধূসর পাতা
এক চড় সব হিসেব বদলে দেয়। তূর্যের মুখে তূবা তার পরিবারের সেই অন্ধকার অতীতের কথা শোনে, যা এতদিন তার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। দুটি পরিবারের বন্ধুত্ব, বিশ্বাসঘাতকতা আর রক্তের দাগে মাখা সেই ইতিহাস জানার পর তূবা কি পারবে নিজেকে সামলে নিতে?
দুই পরিবারের রক্তক্ষয়ী ইতিহাস
নীর আর তূর্যের জন্মের পর দুটি পরিবার যখন সুখের সাগরে ভাসছিল, তখন কোন কালো ছায়া তাদের আনন্দকে গ্রাস করে? নীলাশার হত্যাকাণ্ড কীভাবে দুটি বন্ধু পরিবারকে চিরশত্রুতে পরিণত করলো? সেই ভয়ংকর রাতের সাক্ষী কারা ছিল?
মৃত্যুশয্যায় শেষ প্রতিজ্ঞা
মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে নীলাশা কেন নীর আর তূর্যকে দুটি পরিবারকে এক রাখার প্রতিজ্ঞা করিয়েছিল? রঞ্জনের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে আরমান সিকদার কীভাবে নিজের সেরা বন্ধুকেই ভুল বুঝলো? বহু বছর ধরে চলা এই ভুলের অবসান কি আদৌ হবে?
শত্রুর ঘরে ফেরার চাল
সব সত্য জানার পর তূবা এক দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত নেয়—সে বাবার বাড়ি ফিরে গিয়ে শত্রুর খেলাতেই তাকে মাত দেবে। নীর আর তূর্যর শত বাঁধা সত্ত্বেও সে তার সিদ্ধান্তে অটল। এই বিপজ্জনক খেলায় তূবা কি পারবে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে আসল অপরাধীকে সবার সামনে আনতে?
বৃষ্টিভেজা রাতের অতিথি
বৃষ্টিভেজা রাতে তূবার বেলকনিতে নীরের অপ্রত্যাশিত আগমন এক নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করে। তূবার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত নীর তাকে ফিরিয়ে নিতে চায়, কিন্তু তূবা তার পরিকল্পনায় অটল। এই জেদ আর ভালোবাসার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কার জয় হবে?
বাবার বাধ্য ছেলের নাটক
রিমিকে ভালোবাসলেও তূর্য বাবার পছন্দের মেয়ের সাথে বিয়ের নাটক করে। এই অভিনয় কি রিমির মন ভাঙার কারণ হবে, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে কোনো বড়ো পরিকল্পনা? ওদিকে রঞ্জন তূবার বিয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
শত্রুর টাকায় শপিং
বিয়ের শপিংয়ে গিয়ে রাতুলকে বোকা বানিয়ে তার টাকাতেই নিজের আর নীরের জন্য কেনাকাটার ফন্দি আঁটে তূবা। এই হাস্যকর প্রতিশোধের খেলার মাঝে নীরের বলা একটি কথায় তূবার পৃথিবী যেন থমকে যায়। নীর কি সত্যি ডিভোর্সের কথা ভাবছে?
ননদিনীর অদ্ভুত প্রতিশোধ
ভাইয়ের উপর প্রতিশোধ নিতে তূবা এমন এক কাণ্ড করে বসে যা রিমির জীবনকে এক নতুন মোড় দেয়। ওদিকে বাড়িতে আসা অতিথিদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে তূবা একের পর এক হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এই মজার আড়ালে কি কোনো বড়ো খেলার প্রস্তুতি চলছে?
বিয়ের আসরে ডিভোর্সের খড়্গ
বিয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে নীরের সই করা ডিভোর্স পেপার হাতে পেয়ে তূবার পায়ের নিচের মাটি সরে যায়। ফোন বন্ধ, ভাই নিরুদ্দেশ—এই চরম অসহায় মুহূর্তে তাকে জোর করে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হয়। সব পরিকল্পনা কি ব্যর্থ হয়ে গেল?
শেষ চাল, উল্টে গেল পাশা
যখন সবাই ভেবেছিল রঞ্জনেরই জয় হতে চলেছে, ঠিক তখনই নীর আর তূর্যের অপ্রত্যাশিত আগমনে খেলার মোড় ঘুরে যায়। রঞ্জন কি জানতো তার নিজের ছেলেই তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় চালটা চালবে? বিশ্বাসঘাতকতার এই খেলায় শেষ হাসি কে হাসবে?
ক্ষমা এবং নতুন সূচনা
সব ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে দুটি পরিবার বহু বছর পর আবার এক হয়। অনুশোচনায় দগ্ধ আরমান সিকদার কি পারবে নীলিমার কাছে ক্ষমা চাইতে? ওদিকে, নীরের ঘরে লাগানো গোপন ক্যামেরার রহস্য উন্মোচিত হলে তূবার সব রাগ কি গলে জল হয়ে যাবে?
ভাইয়ের বিয়ে আর পায়ের আলুর বস্তা
ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে রিমিকে দেখে তূবার দুষ্টুমি বুদ্ধি চাগাড় দেয়। কিন্তু নিজের পাতা ফাঁদে নিজেই পা দিয়ে ফেলে সে। পায়ে চোট পেয়ে নীরের বকা আর শাসনে ভরা যত্ন পেয়ে তাদের খুনসুটির সম্পর্কটা যেন আরও মধুর হয়ে ওঠে।
বৃষ্টিভেজা সাতকাহন
সব ষড়যন্ত্র আর ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে দুটি পরিবার এক হয়। নীরের জন্মদিনে তূবার তৈরি করা গাজরের হালুয়া যেন অতীতের সব তিক্ততা মুছে দেয়। এক পশলা বৃষ্টি কি তাদের প্রেমের সাতকাহনকে পূর্ণতা দিয়ে এক নতুন সূচনার ইঙ্গিত দেবে?