সঙ্গীন প্রণয়াসক্তি
সমাপ্তসৎ ভাইয়ের আগমনের পর অনাথ অরুর জীবনটা এক জটিল সমীকরণে আটকে যায়। ছেলেটার শীতল চোখের চাহনি, অকারণ শাসন আর অধিকার ফলানোয় অরু অতিষ্ঠ, কিন্তু তার প্রতিটি কাজেই লুকিয়ে থাকে এক তীব্র প্রণয়াসক্তি। এই সঙ্গীন প্রণয়াসক্তি কি অরুর জীবনে ভালোবাসা হয়ে আসবে, নাকি ডেকে আনবে এক ভয়ংকর পরিণতি?
সিজন ১
(৫৭ পর্ব)সৎ ভাইয়ের আগমনের পর অনাথ অরুর জীবনটা এক জটিল সমীকরণে আটকে যায়। ছেলেটার শীতল চোখের চাহনি, অকারণ শাসন আর অধিকার ফলানোয় অরু অতিষ্ঠ, কিন্তু তার প্রতিটি কাজেই লুকিয়ে থাকে এক তীব্র প্রণয়াসক্তি। এই সঙ্গীন প্রণয়াসক্তি কি অরুর জীবনে ভালোবাসা হয়ে আসবে, নাকি ডেকে আনবে এক ভয়ংকর পরিণতি?
ভার্সিটির লাইব্রেরির এক কোণে বসে অরু তার পছন্দের শ্যাম পুরুষকে নিয়ে স্বপ্ন বোনে। কিন্তু তার শান্ত জীবনটা বাঁধা পরে আছে অসুস্থ মা আর রগচটা বড় বোনের কঠিন বাস্তবতায়। প্রতিদিন সে পাঠায় একটা ইমেইল, যার উত্তরের উপর নির্ভর করছে তার মায়ের জীবন। কে এই ইমেইলের অপর প্রান্তের রহস্যময় মানুষটি?
পছন্দের মানুষটি দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে, এই কষ্ট সামলানোর আগেই অরুর বাড়িতে আগমন ঘটে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথির। তাদের বলা কথায় আর তীক্ষ্ণ অপমানে উন্মোচিত হয় ক্রীতিক কুঞ্জের এক অন্ধকার অতীত, যার কেন্দ্রে রয়েছে অরু নিজেই। অরুর কোন ভুলের কারণে এই বাড়ির আসল উত্তরাধিকারী জায়ান ক্রীতিক আজ ঘরছাড়া?
শেষবারের মতো নিখিলকে দেখতে না পেয়ে এয়ারপোর্টে ভেঙে পরে অরু। সেই সুযোগে বান্ধবীদের কাছে প্রকাশ করে দেয় তার পরিবারের সবচেয়ে গোপনীয় সত্য। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই তার গালে আছড়ে পরে বড় বোনের শক্ত চপেটাঘাত। অরুর কান্নার কারণ জানতে পেরেও অনু কেন তার গায়ে হাত তুললো?
অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে অচেনা এক দেশে এসে পড়েছে অরু। কিন্তু ভাগ্য তাকে একা ফেলে দেয় এক রহস্যময় বাড়িতে, যেখানে ক্লান্তিতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ে সে। ঘুম ভাঙতেই নিজেকে আবিষ্কার করে এক অচেনা পুরুষের বিছানায়, আর দরজায় দাঁড়িয়ে আছে একজোড়া শীতল, বরফ-ভেদী চোখ। কে এই বরফ শীতল চোখের অধিকারী?
অচেনা বাড়িতে জায়ান ক্রীতিকের শীতল আচরণে অতিষ্ঠ অরু। ক্রীতিকের বন্ধু সায়রের সাথে তার সামান্য কথা বলাও যেন অপরাধ। ক্রীতিক যখন অরুকে তার সার্ভেন্ট হিসেবে পরিচয় দেয়, তখন অপমানে অরুও রুখে দাঁড়ায়। কিন্তু তার সামান্য প্রতিবাদ কি ভয়ানক রূপ ধারণ করে, তা সে কল্পনাও করতে পারেনি।
প্রিয় মানুষটির খোঁজ নিতে বাংলাদেশে ফোন করে অরু, কিন্তু ফোনের ওপাশ থেকে ভেসে আসা কথায় তার পৃথিবীটাই দুলে ওঠে। বন্ধুর বিশ্বাসঘাতকতায় যখন সে কান্নায় ভেঙে পরে, তখন সাহায্য নয়, ক্রীতিকের কাছ থেকে সে পায় এক নির্মম শাস্তি। কনকনে ঠান্ডায় ক্রীতিক কেন অরুকে বাড়ির বাইরে বের করে দিলো?
অসুস্থতার পর ক্রীতিকের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করে অরু। কিন্তু সেই পরিবর্তন বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়না। গভীর রাতে যখন তার বোন অনু বাড়ি ফেরে না, তখন চিন্তিত অরু সাহায্য চায় ক্রীতিকের। অনুকে খুঁজতে গিয়ে ক্রীতিকের এক অদ্ভুত প্রশ্নে অরুর অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। ক্রীতিক কি জানে অরুর পেটের তিলের কথা?
বাড়ির কর্তার জন্মদিনে অরু আন্তরিকতা নিয়ে পায়েস তৈরি করে, কিন্তু প্রতিদানে পায় শুধু অপমান। সন্ধ্যায় তার বন্ধুদের আগমনে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এক বান্ধবীর সামান্য ভুলে অরুর হাতে গরম কফি পড়তেই জ্বলে ওঠে ক্রীতিকের হিংস্র সত্তা। সবার আড়ালে অরুকে নিয়ে গিয়ে ক্রীতিক কি তার যত্ন নেবে, নাকি তার উপরই ঝাড়বে নিজের সব ক্রোধ?
ভার্সিটির প্রথম দিনেই ক্রীতিকের রোষানলে পড়ে অরু। নিখিলের নাম মুখে আনায় মাঝরাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় তাকে। ক্যাম্পাসে নিখিলের সাথে দেখা হলেও তার আচরণে কষ্ট পায় অরু। অন্যদিকে, অরুর অজান্তেই ক্রীতিক তার অদৃশ্য জাল দিয়ে নিখিলকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। ক্রীতিকের এই খেলার শেষ কোথায়?
ভার্সিটির শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বাস্কেটবল ম্যাচে নামে ক্রীতিক। খেলার বিরতিতে হাজারো দর্শকের সামনে সে এগিয়ে যায় অরুর কাছে। অরুর স্কার্ফ দিয়ে নিজের ঘাম মুছে, তার বোতল থেকে পানি পান করে এক প্রকাশ্য অধিকার স্থাপন করে সে। কিন্তু এই অনুষ্ঠানের শেষেই অরুর জন্য অপেক্ষা করছিল এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য।
বাইক রেসিং ক্লাবে মায়ের নামে গালি দেওয়ায় এক প্রতিযোগীকে নির্দয়ভাবে পেটাচ্ছে ক্রীতিক। ঝুম বৃষ্টির মাঝে তার হিংস্র রূপ দেখে সবাই ভীত, কিন্তু তাকে থামাতে এগিয়ে আসে শুধু অরু। অরুর উপস্থিতিতে ক্রীতিক কি শান্ত হবে, নাকি তার আক্রোশ আরও বেড়ে যাবে?
নিখিলের প্রতি মোহ কেটে যাওয়ার পর অরুর জীবনটা যখন একটু স্বাভাবিক হচ্ছিল, তখনই ক্রীতিক তাকে নিয়ে আসে এক অচেনা গলিতে। মায়ের জীবনকে বাজি রেখে ক্রীতিক তাকে বাধ্য করে এক অসম সম্পর্কে জড়াতে। সমাজ, পরিবার, আর নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে অরুকে বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে। এই জোরপূর্বক বিয়ে কি অরুর জীবনকে নতুন কোনো দিকে মোড় দেবে?
মাঝরাতে সমুদ্রের তীরে বসে ক্রীতিক তার বন্ধুদের কাছে উন্মোচন করে নিজের হৃদয়ের সবচেয়ে গোপন অধ্যায়। সে শোনায় এক কিশোরীর প্রতি তার তীব্র আসক্তির গল্প, যে আসক্তির কারণে তাকে ছাড়তে হয়েছিল নিজের দেশ, পরিবার আর ক্ষমতা। আট বছর আগে ঠিক কী ঘটেছিল ক্রীতিক কুঞ্জে, যার জন্য অরুর প্রতি ক্রীতিকের ভালোবাসা এক সঙ্গীন প্রণয়াসক্তিতে রূপ নিয়েছিল?
হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে এক মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে অরুকে। তার উদ্দেশ্য কী, অরু জানে না। প্রাণভয়ে যখন সে পালাচ্ছে, ঠিক তখনই ত্রাতা হয়ে হাজির হয় ক্রীতিক। কিন্তু অরুকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই মারাত্মকভাবে আহত হয় সে। কে এই অদৃশ্য শত্রু, আর কেনই বা সে অরুর পিছু নিয়েছে?
একান্তে কথা বলার সুযোগ পেয়েও অনু কেন প্রত্যয়ের কাছে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করতে পারে না? ওদিকে, অরুর উপর অভিমান করে ক্রীতিক তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। ভালোবাসার মানুষ দুটো হাতের কাছে থাকা সত্ত্বেও তাদের মাঝে তৈরি হয়েছে এক অদৃশ্য দেয়াল। এই অভিমানের শেষ কোথায়?
গভীর রাতে অরুর আর্তনাদ শুনে ক্রীতিক তার জিদ ভুলে ছুটে আসে। কিন্তু দুজনের অভিমানের বরফ গলার আগেই পার্টিতে ঘটে যাওয়া এক গোপন রহস্যের জট খুলতে ব্যস্ত হয়ে পরে ক্রীতিকের বন্ধুরা। রাতের আঁধারে বল নাচের মঞ্চে ক্রীতিক আর অরুর সেই নিষিদ্ধ আলিঙ্গনের পেছনে কি অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল?
এলিসার জন্মদিনের পার্টিতে সবার সামনেই অরুকে নিজের কাছে টেনে নেয় ক্রীতিক। তাদের বল নাচের প্রতিটি মুহূর্তে ফুটে ওঠে তীব্র অধিকার আর না বলা ভালোবাসা। কিন্তু এই রাতের পরেই অরুর জন্য অপেক্ষা করছিল এক কঠিন বাস্তবতা, যা তাকে ক্রীতিকের কাছ থেকে দূরে ঠেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
অরুকে না পেয়ে ক্রীতিকের প্যানিক অ্যাটাক শুরু হয়। বন্ধুদের কাছে সে প্রকাশ করে অরুর প্রতি তার তীব্র আসক্তির কথা, যা শুনে তারাও হতবাক। ওদিকে নিজের অজান্তেই অরু জড়িয়ে পরে এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের জালে, যার পেছনে রয়েছে নিখিলের অন্ধকার অতীত। ক্রীতিক কি পারবে অরুকে খুঁজে বের করতে?
নিখিলের পাতা ফাঁদে বন্দী অরু মৃত্যুর প্রহর গুনছে। তাকে বাঁচাতে আহত শরীর নিয়েই এক পরিত্যক্ত গুহায় ছুটে যায় ক্রীতিক। কিন্তু সেখানে অরুকে উদ্ধার করা ছিল এক অগ্নিপরীক্ষার সমান। নিজের জীবন বাজি রেখে ক্রীতিক কি পারবে তার হার্টবিটকে ফিরিয়ে আনতে, নাকি দুজনই হারিয়ে যাবে মৃত্যুর অতল গহ্বরে?
অরুর মা তাকে রাজের সাথে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অসহায় অরু যখন এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির পথ খুঁজছিল, তখনই তার সামনে এসে দাঁড়ায় ক্রীতিক। কিন্তু ক্রীতিকের আচরণে ভালোবাসার বদলে ফুটে ওঠে তীব্র রাগ আর জিদ। কেন ক্রীতিক অরুকে সাহায্য না করে উল্টো তাকে কষ্ট দিচ্ছে?
এক কালবৈশাখী ঝড়ের রাতে একাডেমির সামনে অসহায়ভাবে আটকে পরে অরু। যখন সে বাঁচার সব আশা ছেড়ে দিয়েছে, ঠিক তখনই ঝড়-বৃষ্টি মাথায় করে তার সামনে এসে দাঁড়ায় ক্রীতিক। কিন্তু অরুর অভিমান কি এতো সহজে ভাঙবে? এই ঝড় কি তাদের মিলিয়ে দেবে নাকি দূরত্ব আরও বাড়াবে?
ক্রীতিকের মা, বিখ্যাত অভিনেত্রী কিয়ারা রোজারিওর মৃত্যুর খবর আসে। এই ঘটনায় ক্রীতিকের জীবনের এক অন্ধকার অধ্যায় উন্মোচিত হয়। অরুর সামনে প্রকাশ পায় ক্রীতিকের একরোখা আর ছন্নছাড়া হওয়ার পেছনের কারণ। মায়ের শেষকৃত্যের জন্য ক্রীতিককে কি আবারও তার ফেলে আসা অতীতে ফিরে যেতে হবে?
অমিতের সাথে অরুর সামান্য কথা বলায় জ্বলে ওঠে ক্রীতিকের ক্রোধের আগুন। সে অরুকে সবার সামনে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়, কিন্তু তার আচরণে ভালোবাসা নয়, ফুটে ওঠে তীব্র অধিকারবোধ আর প্রতিশোধের স্পৃহা। ক্রীতিকের এই দ্বৈত রূপের পেছনে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে?
অনু-প্রত্যয়ের গায়ে হলুদের রাতে ক্রীতিক কুঞ্জ উৎসবে মেতেছে। কিন্তু এই আনন্দের আড়ালেও চলছে অভিমানের খেলা। অরুর মন মাতানো নাচে মুগ্ধ ক্রীতিক তাকে সবার আড়াল করে নিয়ে যায়। হলুদের রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার সেই মুহূর্তে তাদের মাঝে কি ভালোবাসার জন্ম হবে, নাকি অভিমানের দেয়াল আরও শক্ত হবে?
অনুর বিয়ের রাতে ক্রীতিকের ক্রোধের শিকার হয় অরু। অমিতের সাথে কথা বলার ‘অপরাধে’ ক্রীতিক তাকে সবার সামনে অপমান করে। কিন্তু যখন সে অরুকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়, তখন সবার মনে প্রশ্ন জাগে। এই সম্পর্কটা কি ভালোবাসা, নাকি এক ভয়ংকর অধিকারের খেলা?
ক্রীতিকের অবহেলায় অরু যখন নিজেকে নিঃশেষ করে দিচ্ছিল, তখনই এক অপ্রত্যাশিত ফোন কলে খুলে যায় রহস্যের জট। অরু জানতে পারে, ক্রীতিক তাকে অবহেলা করেনি, বরং সে লড়ছিল মৃত্যুর সাথে। অরুর ভালোবাসা কি পারবে মৃত্যুপথযাত্রী ক্রীতিককে ফিরিয়ে আনতে?
হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আহত ক্রীতিকের কাছে ছুটে আসে অরু। কিন্তু ক্রীতিকের আচরণে ফুটে ওঠে এক অদ্ভুত উদাসীনতা। অরুর ভালোবাসা কি পারবে ক্রীতিকের অভিমানের বরফ গলাতে? নাকি তাদের বিচ্ছেদের গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যাবে?
জ্ঞান ফেরার পর অরু নিজেকে এক দুঃস্বপ্নের মধ্যে আবিষ্কার করে। তার সামনে এক ভয়ংকর সাইকোপ্যাথ, যে নিজেকে তার বাবা বলে দাবি করছে। ক্রীতিকের সাহায্য ছাড়া এই চোরাবালি থেকে অরুর মুক্তির কোনো পথ নেই। কিন্তু ক্রীতিক কি জানতে পারবে তার হার্টবিট এক ভয়ংকর বিপদে আছে?
অরুকে বাঁচাতে এক জ্বলন্ত কুটিরের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পরে আহত ক্রীতিক। চারিদিকে আগুনের লেলিহান শিখা, ভেতরে মৃত্যুর প্রহর গুনছে অরু। এই অগ্নিপরীক্ষায় ক্রীতিক কি পারবে তার ভালোবাসাকে উদ্ধার করতে, নাকি দুজনই ভস্ম হয়ে যাবে প্রতিহিংসার আগুনে?
ক্রীতিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তার ব্রেইনে পুরনো আঘাত আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। অরু যখন তার স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, তখন তার মা তাকে এক কঠিন সিদ্ধান্তের সামনে দাঁড় করায়। অরুর ভালোবাসা কি পারবে ক্রীতিককে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে আনতে?
ক্রীতিককে ফিরে পাওয়ার পর অরু যখন নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে, তখনই তাদের জীবনে হানা দেয় এক নতুন ঝড়। ক্রীতিকের অতিরিক্ত অধিকারবোধ আর অরুর স্বপ্নপূরণের আকাঙ্ক্ষা তাদের মাঝে তৈরি করে এক অদৃশ্য দেয়াল। জায়ান ক্রীতিক কি পারবে তার ভালোবাসার মানুষকে নিজের মতো করে গড়ে নিতে?
অরুর প্রতি ক্রীতিকের ভালোবাসায় কোনো কমতি নেই, কিন্তু তার অসুস্থ আসক্তি প্রায়ই অরুকে কষ্ট দেয়। দুজনের বোঝাপড়ার মাঝেই এলিসার জীবনে আসে মাতৃত্বের আহ্বান, যা তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কে নতুন মোড় আনে। অরু কি পারবে ক্রীতিকের এই সঙ্গীন প্রণয়াসক্তিকে এক স্থিতিশীল ভালোবাসায় রূপ দিতে?
অনুর বিয়ের রাতে ক্রীতিকের ক্রোধ যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন অরু বুঝতে পারে এই মানুষটাকে শান্ত করার ক্ষমতা শুধু তারই আছে। সবার সামনেই সে ক্রীতিককে নিজের ভালোবাসা দিয়ে শান্ত করে। এই রাতের অঙ্গীকার কি তাদের সম্পর্কের সকল জটিলতার অবসান ঘটাবে?
অরুর আবদারে তাকে নিয়ে দার্জিলিং-এর পাহাড়ি রাস্তায় হানিমুনে বেরিয়ে পরে ক্রীতিক। মেঘ, বৃষ্টি আর পাহাড়ের মাঝে তাদের ভালোবাসা নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। কিন্তু ক্রীতিকের বলা এক অদ্ভুত কথা অরুর মনে নতুন প্রশ্নের জন্ম দেয়। এই হানিমুন কি তাদের জন্য নতুন কোনো রহস্যের সূচনা করবে?
তিন বছর পর, অরু আজ একজন সফল লেখিকা। তার প্রথম উপন্যাস 'গোধূলি বেলার রোদ্দুর' এর সাইনিং ইভেন্টে সে তার জীবনের গল্প বলতে মঞ্চে ওঠে। কিন্তু অনুষ্ঠানের মাঝখানেই এক ছোট্ট মেয়ের আগমনে উন্মোচিত হয় অরুর জীবনের নতুন অধ্যায়। এই মেয়েটি কে, আর তার সাথেই বা অরুর সম্পর্কটা কি?
দেশে ফিরে ক্রীতিক তার পুরনো বাইকটাকে নতুন রূপে খুঁজে পায়। মেয়ের সাথে খুনসুটির মাঝেই তার বন্ধুদের আগমনে শুরু হয় পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ। কিন্তু অরুর এক আবদারে ক্রীতিকের মুখের হাসি মিলিয়ে যায়। যে বাইক রাইডিং তাদের জীবনে ঝড় তুলেছিল, সেই রাইডিং-এই কি আবার ফিরে যাবে তারা?
অরুর জিদের কাছে হার মেনে ক্রীতিক তাকে নিয়ে বেরিয়ে পরে এক শেষ রাইডিং-এ। এই যাত্রা তাদের জন্য শুধুই এক ভ্রমণ ছিল না, ছিল ভালোবাসার এক নতুন অঙ্গীকার। তাদের সঙ্গীন প্রণয়াসক্তির গল্প কি এই রাইডিং-এর সাথে সাথেই শেষ হয়ে যাবে, নাকি শুরু হবে নতুন কোনো অধ্যায়?
অরুর প্রেগন্যান্সির খবর শুনে ক্রীতিকের জীবনে আসে এক নতুন মোড়। অরুকে আগলে রাখার জন্য সে হয়ে ওঠে আরও বেশি যত্নশীল। কিন্তু তাদের এই সুখের মুহূর্তেও কি কোনো নতুন বিপদ অপেক্ষা করছে, নাকি তাদের ভালোবাসার গল্পটা এভাবেই সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে?
অনু আর প্রত্যয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় ক্রীতিক কুঞ্জে বইছে আনন্দের হাওয়া। কিন্তু এই আনন্দের মাঝেও অরুর মনে জমেছে অভিমানের কালো মেঘ। ক্রীতিকের অবহেলায় সে যখন দূরে সরে যেতে চায়, তখনই ক্রীতিক তাকে কাছে টেনে নেয় এক নতুন অঙ্গীকারে। এই অভিমানের রঙ কি ভালোবাসায় বদলে যাবে?
অনুর গায়ে হলুদের রাতে অরুর মন মাতানো নাচে মুগ্ধ হয় সবাই, কিন্তু ক্রীতিকের চোখে ফুটে ওঠে তীব্র অধিকারবোধ। সবার আড়ালে সে অরুকে নিয়ে যায় একান্তে, হলুদের রঙে রাঙিয়ে দেয় তার শরীর। এই হলুদ রাতের আবদার কি তাদের ভালোবাসাকে আরও গভীর করবে, নাকি জন্ম দেবে নতুন কোনো ঝড়ের?
অনুর বিয়ের রাতে ক্রীতিকের ক্রোধের শিকার হয় অরু। অমিতের সাথে কথা বলার ‘অপরাধে’ ক্রীতিক তাকে সবার সামনে অপমান করে। কিন্তু যখন সে অরুকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়, তখন সবার মনে প্রশ্ন জাগে। এই সম্পর্কটা কি ভালোবাসা, নাকি এক ভয়ংকর অধিকারের খেলা?
ক্রীতিকের অবহেলায় অরু যখন নিজেকে নিঃশেষ করে দিচ্ছিল, তখনই এক অপ্রত্যাশিত ফোন কলে খুলে যায় রহস্যের জট। অরু জানতে পারে, ক্রীতিক তাকে অবহেলা করেনি, বরং সে লড়ছিল মৃত্যুর সাথে। অরুর ভালোবাসা কি পারবে মৃত্যুপথযাত্রী ক্রীতিককে ফিরিয়ে আনতে?
অনুর বিয়ের রাতে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নীলিমার জীবনে আসে সায়র। জোর করে বিয়ে করার পর তাদের সম্পর্কটা যখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছিল, তখনই নীলিমার এক স্বীকারোক্তি সবকিছু ওলটপালট করে দেয়। তাদের এই বাসর রাতের বাজি কি ভালোবাসায় জিতবে, নাকি হেরে যাবে সমাজের কাছে?
অনুর বিয়ের রাতে ক্রীতিকের ক্রোধ যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন অরু বুঝতে পারে এই মানুষটাকে শান্ত করার ক্ষমতা শুধু তারই আছে। সবার সামনেই সে ক্রীতিককে নিজের ভালোবাসা দিয়ে শান্ত করে। এই রাতের অঙ্গীকার কি তাদের সম্পর্কের সকল জটিলতার অবসান ঘটাবে?
দার্জিলিং-এর মেঘে ঢাকা পাহাড়ি রাস্তায় হানিমুনে বেরিয়ে পরে ক্রীতিক আর অরু। কিন্তু এই যাত্রার শুরুতেই ক্রীতিকের এক সারপ্রাইজে হতবাক হয়ে যায় অরু। তাদের এই প্রথম হানিমুন জার্নি কি শুধুই এক ভ্রমণ, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে ক্রীতিকের কোনো নতুন পরিকল্পনা?
অরুর জিদের কাছে হার মেনে ক্রীতিক তাকে নিয়ে বেরিয়ে পরে এক শেষ রাইডিং-এ। এই যাত্রা তাদের জন্য শুধুই এক ভ্রমণ ছিল না, ছিল ভালোবাসার এক নতুন অঙ্গীকার। তাদের সঙ্গীন প্রণয়াসক্তির গল্প কি এই রাইডিং-এর সাথে সাথেই শেষ হয়ে যাবে, নাকি শুরু হবে নতুন কোনো অধ্যায়?
অরুর ভালোবাসায় ক্রীতিকের সঙ্গীন প্রণয়াসক্তি পেয়েছে এক নতুন রূপ। তাদের জীবনে এখন আর নেই কোনো অনিশ্চয়তা, আছে শুধু একে অপরকে আগলে রাখার অঙ্গীকার। কিন্তু এই পূর্ণতার অধ্যায়েও কি কোনো নতুন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য?
নীলিমার জীবনে ইষ্টিকুটুম হয়ে আসা সায়রের ভালোবাসা কি পারবে তার অতীতের সব কালো অধ্যায় মুছে দিতে? নাকি তাদের ভালোবাসার গল্পটাও আটকে যাবে এক নতুন মায়াজালে? এক অপ্রত্যাশিত সত্য উন্মোচনের পর তাদের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে?
অনুর বিয়ের রাতে ক্রীতিকের ক্রোধ যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন অরু বুঝতে পারে এই মানুষটাকে শান্ত করার ক্ষমতা শুধু তারই আছে। সবার সামনেই সে ক্রীতিককে নিজের ভালোবাসা দিয়ে শান্ত করে। এই রাতের অঙ্গীকার কি তাদের সম্পর্কের সকল জটিলতার অবসান ঘটাবে?
অরুর আবদারে তাকে নিয়ে দার্জিলিং-এর পাহাড়ি রাস্তায় হানিমুনে বেরিয়ে পরে ক্রীতিক। মেঘ, বৃষ্টি আর পাহাড়ের মাঝে তাদের ভালোবাসা নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। কিন্তু ক্রীতিকের বলা এক অদ্ভুত কথা অরুর মনে নতুন প্রশ্নের জন্ম দেয়। এই হানিমুন কি তাদের জন্য নতুন কোনো রহস্যের সূচনা করবে?
তিন বছর পর, অরু আজ একজন সফল লেখিকা। তার প্রথম উপন্যাস 'গোধূলি বেলার রোদ্দুর' এর সাইনিং ইভেন্টে সে তার জীবনের গল্প বলতে মঞ্চে ওঠে। কিন্তু অনুষ্ঠানের মাঝখানেই এক ছোট্ট মেয়ের আগমনে উন্মোচিত হয় অরুর জীবনের নতুন অধ্যায়। এই মেয়েটি কে, আর তার সাথেই বা অরুর সম্পর্কটা কি?
দেশে ফিরে ক্রীতিক তার পুরনো বাইকটাকে নতুন রূপে খুঁজে পায়। মেয়ের সাথে খুনসুটির মাঝেই তার বন্ধুদের আগমনে শুরু হয় পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ। কিন্তু অরুর এক আবদারে ক্রীতিকের মুখের হাসি মিলিয়ে যায়। যে বাইক রাইডিং তাদের জীবনে ঝড় তুলেছিল, সেই রাইডিং-এই কি আবার ফিরে যাবে তারা?
অরুর জিদের কাছে হার মেনে ক্রীতিক তাকে নিয়ে বেরিয়ে পরে এক শেষ রাইডিং-এ। এই যাত্রা তাদের জন্য শুধুই এক ভ্রমণ ছিল না, ছিল ভালোবাসার এক নতুন অঙ্গীকার। তাদের সঙ্গীন প্রণয়াসক্তির গল্প কি এই রাইডিং-এর সাথে সাথেই শেষ হয়ে যাবে, নাকি শুরু হবে নতুন কোনো অধ্যায়?
অরুর প্রেগন্যান্সির খবর শুনে ক্রীতিকের জীবনে আসে এক নতুন মোড়। অরুকে আগলে রাখার জন্য সে হয়ে ওঠে আরও বেশি যত্নশীল। কিন্তু তাদের এই সুখের মুহূর্তেও কি কোনো নতুন বিপদ অপেক্ষা করছে, নাকি তাদের ভালোবাসার গল্পটা এভাবেই সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে?
নীলিমার জীবনে ইষ্টিকুটুম হয়ে আসা সায়রের ভালোবাসা কি পারবে তার অতীতের সব কালো অধ্যায় মুছে দিতে? নাকি তাদের ভালোবাসার গল্পটাও আটকে যাবে এক নতুন মায়াজালে? এক অপ্রত্যাশিত সত্য উন্মোচনের পর তাদের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে?
অনুর বিয়ের রাতে ক্রীতিকের ক্রোধ যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন অরু বুঝতে পারে এই মানুষটাকে শান্ত করার ক্ষমতা শুধু তারই আছে। সবার সামনেই সে ক্রীতিককে নিজের ভালোবাসা দিয়ে শান্ত করে। এই রাতের অঙ্গীকার কি তাদের সম্পর্কের সকল জটিলতার অবসান ঘটাবে?
অরুর ভালোবাসায় ক্রীতিকের সঙ্গীন প্রণয়াসক্তি পেয়েছে এক নতুন রূপ। তাদের জীবনে এখন আর নেই কোনো অনিশ্চয়তা, আছে শুধু একে অপরকে আগলে রাখার অঙ্গীকার। কিন্তু এই পূর্ণতার অধ্যায়েও কি কোনো নতুন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য?