ভালবাসার রাজপ্রাসাদ
এক পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে অভিমন্যুর সাথে দেখা হয় পরী নামে পরিচিত তার দূর সম্পর্কের আত্মীয়া শুচিস্মিতার। প্রথম দেখাতেই দুজনের মধ্যে যে তীব্র আকর্ষণ জন্মায়, তা সমাজের চোখে নিষিদ্ধ এক সম্পর্কের দিকে তাদের ঠেলে দেয়। পরিবার আর সমাজের এই অলিখিত নিয়ম ভেঙে তারা কি পারবে তাদের ভালবাসার রাজপ্রাসাদ গড়তে?
পরী নামের সেই মায়াবিনী
এক দূর সম্পর্কের ভাইয়ের বিয়েতে এসে অভিমন্যুর আলাপ হয় শুচিস্মিতার সাথে, যাকে সবাই পরী বলে ডাকে। পরীর রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রথম দেখাতেই তার প্রেমে পড়ে যায় অভিমন্যু। কিন্তু তাদের এই আকর্ষণ কি শুধু ক্ষণিকের ভালো লাগা? বরযাত্রীর বাসে পরীর পাশে বসার সুযোগ পেয়ে অভিমন্যু কি পারবে তার মনের কথা প্রকাশ করতে?
স্পর্শ আর প্রথম চুম্বন
বরযাত্রী বোঝাই বাসে পরীর পাশে বসে অভিমন্যু, দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। বিয়ের মণ্ডপে গভীর রাতে পরীর কাছাকাছি আসার এক মুহূর্তে সে পিছিয়ে যায়, কিন্তু পরে তাদের মধ্যে থাকা সমস্ত দ্বিধা দূর হয়ে যায় এক আবেগময় চুম্বনে। এই প্রথম চুম্বন কি তাদের নিষিদ্ধ সম্পর্কের সূচনা করবে, নাকি এটা শুধুই এক রাতের আবেগ?
অতীতের দেনা আর অধিকারের লড়াই
পরীর উচ্চশিক্ষার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তার পরিবার দাঁড়ালে অভিমন্যুর মা উলুপি অতীতের এক গোপন সত্যি প্রকাশ করেন। এই পারিবারিক ঝড়ের মাঝে অভিমন্যু আর পরী ছাদে একান্তে কিছু মুহূর্ত কাটায়, যেখানে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। পরিবারের এই জটিলতার অবসান কি হবে? আর ছাদের সেই রাতের পর অভিমন্যু ও পরীর সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে?
চোখের জলের বিদায়
বিয়ের শেষ অনুষ্ঠানে অভিমন্যু আর পরীর বিচ্ছেদের মুহূর্ত ঘনিয়ে আসে। একদিকে পরীর থেকে দূরে যাওয়ার কষ্ট, অন্যদিকে অরুণিমা নামের এক নতুন মেয়ের আগমন অভিমন্যুর মনে এক নতুন দ্বিধার জন্ম দেয়। এই অশ্রুভরা বিদায় কি তাদের সম্পর্কের শেষ, নাকি এক নতুন শুরুর অপেক্ষা?
অদৃশ্য কালির চিঠি
কলকাতায় ফিরে পরীর জন্য অভিমন্যুর মন ছটফট করে। হঠাৎ সে পরীর কাছ থেকে এক অদৃশ্য কালিতে লেখা রহস্যময় চিঠি পায়। চিঠির সূত্র ধরে তারা গোপনে দেখা করে এক দুঃসাহসিক পরিকল্পনা করে—সবার চোখ এড়িয়ে একসাথে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার। তাদের এই গোপন পরিকল্পনা কি সফল হবে? নাকি ধরা পড়ার ভয়ে তাদের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে?
ছদ্মবেশে প্রথম যাত্রা
পরী কে দেওয়া কথা রাখতে অভিমন্যু এক দুঃসাহসিক যাত্রা শুরু করে। বন্ধুর সাহায্যে গাড়ি নিয়ে সারারাত ড্রাইভ করে সে পৌঁছায় কালকা স্টেশনে। পরীর বান্ধবীদের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য সে 'অর্জুন' নামে এক নতুন পরিচয় নেয়। এই নতুন পরিচয়ের আড়ালে তাদের গোপন ভ্রমণ কি নির্বিঘ্নে শুরু হবে? অভিমন্যুর এই ছদ্মবেশ কি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে?
স্বর্গের প্রথম সকাল
চিতকুলের নির্জন, অন্ধকার পরিবেশ দেখে পরীর মনে ভয় বাসা বাঁধে, যা অভিমন্যুর সাথে তার প্রথম বড় ঝগড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু পরের দিন সকালে চিতকুলের স্বর্গীয় রূপ তাদের সব ভুল বোঝাবুঝি দূর করে দেয় এবং এক তীব্র আবেগের মুহূর্তে তাদের সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা পায়। এই প্রথম মিলনের পর তাদের ভালবাসা কি আরও গভীর হবে?
অচেনা পথের হাতছানি
চিতকুলের শান্ত পরিবেশে একে অপরের আরও কাছাকাছি আসে অভিমন্যু আর পরী। ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা তাদের মনে প্রশ্ন জাগালেও, তারা আরও দুর্গম আর অচেনা স্পিতি উপত্যকার দিকে যাত্রা করার সিদ্ধান্ত নেয়। হিমালয়ের এই ভয়ঙ্কর সুন্দর, বিপদসংকুল পথ কি তাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে, নাকি নতুন কোনো পরীক্ষার সামনে দাঁড় করাবে?
শেষ বিদায়ের সুর
দুর্গম পাহাড়ি ভ্রমণ শেষে বিচ্ছেদের মুহূর্ত ঘনিয়ে আসে। পরীর বান্ধবীদের সামনে অভিমন্যুর ছদ্মবেশের রহস্য ফাঁস হয়ে গেলেও, তারা ওদের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা অভিমন্যু আর পরীর জন্য অপেক্ষা করছিল এক হৃদয়বিদারক বিদায়। এই বিচ্ছেদ কি তাদের ভালোবাসাকে আরও শক্তিশালী করবে?
জলপরীর স্বপ্ন
কলকাতায় ফিরে এসেও অভিমন্যু আর পরীর দেখা হয় না। এরই মাঝে অভিমন্যুকে ঘিরে অরুণিমা আর মৈথিলীর এক অদ্ভুত খেলা শুরু হয়। একদিন রাতে অভিমন্যুর স্বপ্নে এক জলপরী আসে, যার মুখটা হুবহু পরীর মতো। এই স্বপ্ন কি ভবিষ্যতের কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে? নাকি এটা শুধু বিরহের যন্ত্রণা?
মেনকার রথ
অরুনিমা ওরফে তুলির সাথে অভিমন্যুর সম্পর্ক দিনে দিনে জটিল হতে থাকে। তুলি তাকে এক পার্টিতে আমন্ত্রণ জানায়, যেখানে গিয়ে অভিমন্যু এক গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পায়। সে বুঝতে পারে মৈথিলী আর তুলি তাকে নিয়ে কোনো ভয়ঙ্কর খেলা খেলছে। এই খেলার শেষ কোথায়? অভিমন্যু কি এই মায়াজাল থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবে?
বিষকন্যার আমন্ত্রণ
তুলির বাড়িতে একাকী পার্টির আমন্ত্রণ পেয়ে অভিমন্যু এক বিপজ্জনক ফাঁদে পা দেয়। সেখানে মৈথিলী আর তুলি তাদের আসল রূপ প্রকাশ করে তাকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে। অভিমন্যু কি পারবে নিজেকে সংযত রাখতে? নাকি এই দুই বিষকন্যার পাতা ফাঁদে সে ধরা দেবে?
পাপের প্রায়শ্চিত্ত
মৈথিলী আর তুলির পাতা ফাঁদ থেকে বেরিয়ে এসে অভিমন্যু গভীর অপরাধবোধে ভুগতে থাকে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে সে মরিয়া হয়ে পরীর কাছে ছুটে যায় সব সত্যি বলার জন্য। বিধ্বস্ত অভিমন্যু কি পরীর কাছে নিজের পাপ স্বীকার করার সাহস পাবে? পরী কি তাকে ক্ষমা করতে পারবে?
ভালোবাসার প্রতিদান
অভিমন্যুর মুখে সব সত্যি শোনার পর পরী প্রথমে ভেঙে পড়লেও, অবশেষে তার ভালোবাসার জোরে তাকে ক্ষমা করে দেয়। শুধু তাই নয়, সুব্রত আর মৈথিলীকে তাদের ভুলের জন্য উচিত শিক্ষা দিতে সে অভিমন্যুর পাশে দাঁড়ায়। এই ঘটনায় তাদের সম্পর্ক কি আরও মজবুত হবে? তারা কি পারবে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে?
এক প্রতিজ্ঞার জন্ম
অভিমন্যুর প্রিয় বান্ধবী অরুন্ধতীর জীবনে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে, যা তাকে পাথর করে দেয়। তার পরিবারের কাতর অনুরোধে, অভিমন্যু এক কঠিন প্রতিজ্ঞা করে—যেকোনো মূল্যে সে অরুন্ধতীকে সারিয়ে তুলবে। এই প্রতিজ্ঞা রাখতে গিয়ে অভিমন্যু আর পরীর সম্পর্কে কি নতুন কোনো জটিলতা তৈরি হবে?
হিমালয়ের বুকে আরোগ্য
অরুন্ধতীর মানসিক আরোগ্যের জন্য অভিমন্যু আর পরী তাকে নিয়ে পাড়ি দেয় লাহুল-স্পিতির দুর্গম পথে। পরীর মাতৃস্নেহ আর হিমালয়ের শান্ত পরিবেশ ধীরে ধীরে অরুন্ধতীর মনের ক্ষত সারাতে শুরু করে। এই আরোগ্য যাত্রায় অভি আর পরীর নিজেদের সম্পর্ক কি নতুন কোনো মোড় নেবে? অরুন্ধতী কি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে?
কাজা'র শেষ রাত
কাজা'র শেষ রাতে অভিমন্যু আর পরীর মধ্যে জমে থাকা আবেগ বাঁধ ভাঙে। পরীর অনুরোধে অভি ড্রিংক না করে তার কাছে আসে, কিন্তু অরুন্ধতীর মানসিক অবস্থা তাদের এক হতে বাধা দেয়। অবশেষে সুযোগ পেয়ে অভি আর পরী এক তীব্র ভালোবাসার মুহূর্তে নিজেদের হারিয়ে ফেলে। এই রাত কি তাদের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে?
প্রতিজ্ঞা পূরণের মুহূর্ত
ভ্রমণ শেষে কলকাতায় ফিরে অভিমন্যু তার দেওয়া প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত হয়। এয়ারপোর্টে অরুন্ধতীর বাবা-মায়ের সামনে সে অরুন্ধতীর আসল ভালোবাসার কথা প্রকাশ করে। এই সত্য প্রকাশের পর পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে? অভিমন্যু কি পারবে সবদিক সামলে নিতে?
ঝড়ের পূর্বাভাস
কলকাতায় ফিরে অভিমন্যু আর পরী তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মৈথিলীর মুখোমুখি হতে হবে জেনে অভিমন্যুর মনে পুরনো ক্ষত আবার জেগে ওঠে। অন্যদিকে, পরীর আঁকা এক ছবি তাদের জীবনে এক নতুন ঝড়ের পূর্বাভাস নিয়ে আসে। সেই ঝড় কি তাদের স্বপ্নকে সত্যি হতে দেবে?
দাবার ছক
গ্রামের বাড়িতে সুব্রত আর মৈথিলীর মুখোমুখি হয় অভিমন্যু। পুরনো ক্ষোভ আর অবিশ্বাসের মাঝে সে এক কঠিন চাল চালে—নিজের আর পরীর ভালোবাসার কথা প্রকাশ করে তাদের সাহায্য চায়। এই বিপজ্জনক খেলায় অভিমন্যু কি জিততে পারবে? নাকি তার এই চালেই সব স্বপ্ন তছনছ হয়ে যাবে?
এক পশলা বৃষ্টির অভিশাপ
একটা সামান্য সিনেমা দেখা নিয়ে অভিমন্যু আর পরীর মধ্যে ঝগড়া হয়, যা অভিমন্যুর ভেতরের এক অন্ধকার দিক প্রকাশ করে ফেলে। বৃষ্টির দিনে এক আবেগঘন মুহূর্তে অভিমন্যু নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, যা তাদের সম্পর্কে এক গভীর ক্ষত তৈরি করে। এই ক্ষত কি কোনোদিনও সারবে?
ক্ষমার রঙতুলি
নিজের ভুলের অনুতাপে দগ্ধ অভিমন্যুকে ক্ষমা করার জন্য পরী এক শর্ত দেয়—অভিকে তার ছবি আঁকতে হবে। রঙতুলির ছোঁয়ায় তাদের সম্পর্ক আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। আঁকার ছলে তাদের প্রেম আর আবেগ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। এই ছবি কি তাদের ভাঙা বিশ্বাসকে আবার জোড়া লাগাতে পারবে?
এক ভুলের পরিণতি
অভিমন্যুর বালিশের কভার থেকে পরীর কানের দুল খুঁজে পেয়ে তার মা তাদের গোপন সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন। সমাজের ভয়ে আর পারিবারিক সম্মানের চাপে তিনি এক কঠিন সিদ্ধান্ত নেন, যা অভিমন্যু আর পরীর জীবনকে চিরদিনের জন্য ওলটপালট করে দেয়। এই ঝড় কি তাদের ভালোবাসাকে শেষ করে দেবে?
শেষ বিদায়
মায়ের আদেশে অভিমন্যুকে কলকাতা ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে যেতে হয়। এয়ারপোর্টে শেষ দেখা হয় প্রিয় বান্ধবী অরুন্ধতীর সাথে। জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা পরীর অশ্রুসিক্ত মুখ আর অরন্ধতীর বুকফাটা কান্না অভিমন্যুর জীবনের শেষ স্মৃতি হয়ে থাকে। এই বিচ্ছেদ কি তাদের ভালোবাসার অন্তিম পরিণতি?