ড্রামা

স্বর্ণালী তালুকদার

ভোর সাড়ে চারটা।প্রথম আযানের ধ্বনি কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই ঘুম ভেঙে যায় রেনুফা বেগমের।চটজলদি উঠে ওযু করে চলে যান নামাজ খানায়।আলমারি থেকে কুরআন শরীফ আর জায়নামাজ নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় জায়নামাজ বিছিয়ে সামনেই কুরআন শরীফটা রাখেন।নামাজ শেষ করেই কুরআন তিলাওয়াত করতে বসেন।এখনো চারপাশ থেকে আযানের ধ্বনি ভেসে আসছে।

লাকি

মাত্র কয়েকদিন আগেই ত আমরা দুইজন দুইজনকে সহ্য করতে পারতাম না। আর এখন দুইজন দুইজনকে ছাড়া থাকতে পারিনা। সময়ের ব্যবধানে কতটা পরিবর্তন এসে গেছে! ভেবেই অবাক লাগে। আমি ওনাকে পেয়ে সত্যিই অনেক খুশি। কারণ আমি ওনার মত একজনকে পেয়েছি।

লাকি

খাওয়া শেষ করে আমরা রুমে চলে এলাম। কিন্তু আমি এখনি ঘুমাতে চাচ্ছি না। বরং আজ আমি গল্প করতে চাই। আমি বালিশে হেলান দিয়ে বসলাম। উনি বিছানায় বসতে বসতে ভ্রুকুচকে তাকিয়ে বললেন, আজও কি আবার সেই প্রশ্ন উওর চলবে?

লাকি

“আপনার আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।আপনি যান আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজে। এক মাস কেনো এক বছর কাটিয়ে আসুন।” রেগে বললাম আমি। “ওকে। যাব আমি।” শক্ত মুখ করে বলল শাওন। আমি থমকে গেলাম। শাওন বের হয়ে চলে গেল। উনি কি সত্যিই যাবেন নাকি?

লাকি

“তোরা এতসময় কোথায় ছিলি?” জিজ্ঞেস করল পিশিমনি। আমি কিছু না বলে শুধু হাসলাম। “মিলা এত জলদি পেলো কি করে তোমাকে? তুমি নিশ্চয়ই দরজা ধাক্কিয়েছ!” চোখ পাকিয়ে বলল নিপা।

লাকি

সকালে আগে আমার ঘুম ভাঙলো। শাওন আজও আমাকে পিছন থেকে কোমড় জড়িয়ে ধরে আছে। আমি হালকা ঘাড় ঘুরিয়ে ওনার দিকে তাকালাম। উনি এখনো ঘুমাচ্ছেন।আমি ওনার হাতটা আস্তে করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেই উনি নড়েচড়ে আমার আরো কাছে চলে আসলেন আর সেভাবেই ধরে রইলেন।

লাকি

শাওন বলল, “দুইদিনের মধ্যে কিভাবে বাচ্চা হবে? আমি ত এখনো কিছুই করি নি?” আমি ওনাকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে চলে যেতে লাগলাম কিন্তু উনি আমার হাত ধরে নিলেন। আমি দ্বিধায় পরে গেলাম আর ওনার দিকে ঘুরলাম। উনি সত্যিই অনেক জ্বালাচ্ছেন আমাকে।

লাকি

“এখন ঘুমাবো আমি। লাইট অফ করো।” বলেই শাওন নিজের ল্যাপটপ বন্ধ করে রেখে বিছানায় শুয়ে পরলো। আমি হা হয়েই রইলাম। শাওন এক টান দিয়ে আমাকে শুইয়ে দিয়ে আমার পাশে থাকা লাইটের সুইচ অফ করে দিল। আমি বলে উঠলাম, আমার আরো প্রশ্ন আছে।

লাকি

আমি থমকে গেলাম আর স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে রইলাম। ‘ও কি আমাকে মেরে ফেলতে চাচ্ছে!’ আমি চোখমুখ শক্ত করে বন্ধ করে নিলাম। কিন্তু সুইটি আমার একদম সামনে এসে ব্রেক কষে থেমে গেল।

লাকি

আমি চোখ বড়সড় করে তাকিয়ে বিছানা থেকে নামতে চাইলাম। কিন্তু শাওন আমার দুই হাত নিয়ে আমাকে বিছানার সাথে চেপে ধরল। আমি ভয়ে রীতিমতো হাপাচ্ছি। উনি সাথে সাথে আমার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিয়ে কিস করলেন। আমি চমকে বলে উঠলাম, কি করছেন আপনি! সারা শরীর শিউরে উঠল

লাকি

আমি নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরে চোখ বন্ধ করে নিলাম। শাওন মুখ সরিয়ে নিয়ে আবার আমার দিকে তাকালো। আমি আস্তে আস্তে চোখ খুললাম কিন্তু চোখ নামিয়ে রাখলাম। ওনার দিকে তাকালাম না। বরং এখন আমার শরীর রীতিমতো কাপছে।

লাকি

“কুমড়ো তোমার এত পছন্দ?” পিছন থেকে একটা চেনা আওয়াজ ভেসে আসলো। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালাম। পলক হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে। আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। তারপর জলদি চোখ মুছে নিলাম। পলক আমার সামনে এসে বসে বলল, কি হয়েছে? আমি অপ্রস্তুত হয়ে বললাম, মা…মানে?