ভালোবাসা

মৌসুমী আক্তার

রিয়া কাঁদতে কাঁদতে বললো,সরি বাবা, আমাকে ক্ষমা করে দাও তুমি।কাকুর পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলো রিয়া আর বিভোর ভাই।কাকু ওদের বুকে টেনে নিলো।ঠিক এই দিনটার অপেক্ষা করছিলাম কতদিন।

মৌসুমী আক্তার

"সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি আছি না।কি জুনিয়র তোমার মাম্মা কে কষ্ট দিচ্ছো কেনো?তুমি হাত পা ছোড়াছুড়ি করলে মাম্মা কষ্ট পাচ্ছে তো বাবা।তুমি কি জানো তোমার মাম্মা ইজ দ্যা বেষ্ট মাম্মা।তোমার জন্য কত যুদ্ধ করছে দেখো।আমার থেকেও তোমাকে বেশী ভালবাসে।"

মৌসুমী আক্তার

বলেই মামিকে সালাম করলো।মামি এক হাজার টাকা বিহানের হাতে ধরিয়ে দিলো।বিহান ও হাত পেতে নিলো আর বললো তুমি টাকা না দিলে আমার ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে যায় আম্মু।এর ই মাঝে মামা ও পাঞ্জাবী পরে এলো।

মৌসুমী আক্তার

'আমার ছেলে হলে মানুষ বুঝবে বাপ কা বেটা।চবাপ বেটা বেড়াবো মানুষ বলবে দুই হিরো।ছেলে যেখানে প্রেম করবে মানে আমার হবু বিয়াইন এর সাথে একটু ভাব টাব ও নিতে পারবো।ভেবেই নিজেকে আরো হ্যান্ডসাম ভাবে সাজাতে মন চাইছে।'

মৌসুমী আক্তার

বিহান পেছনে তাকিয়ে দেখে আমি নেই।বিহান আর রিয়া এদিক ওদিক তাকিয়ে খুজছে আমাকে।রাগে শরীর রিরি করে জলছে আমার।বিহান যেনো আমাকে দেখতে নাবয়ায়।চাচাকে বললাম, জলদি চলুন না চাচা।

মৌসুমী আক্তার

বিহানের এত লেট হচ্ছে কেনো আজ।সময়ের হেরফের করে না কখনো।কিছু কি হয়েছে নাকি।হঠাত বুক কেঁপে উঠলো আমার, কারণ আমার সামনে দিয়ে প্রেয়সী আপু হেঁটে গেলো।কি নিয়ে এত ঝামেলা হয়েছে জানিনা প্রেয়সী আপুকেও দেখা যাচ্ছে।এক ডাক্তার নাকি অন্য এক ডাক্তার এর গায়ে ও হাত তুলেছে।

মৌসুমী আক্তার

উনার মুখে দিয়া ডাকটা ভীষণ মিষ্টি লাগে আমার কাছে।আমার মনে দোলা দেয় অন্য এক ভাললাগার শিহরণ।আমি চোখ তুলে তাকালাম উনার দিকে।আমার তাকানোর ভঙ্গীতে উনি বুঝে নিলেন উনার কথা শোনার জন্য ই তাকিয়েছি আমি।

মৌসুমী আক্তার

এক্ষুণি আসো ওখান থেকে বলেই উনি পাজা কোলে তুলে আমায় নিয়ে এলেন।সোজা রুমে এনে সিটকিনি লাগালেন।আমাকে আবার ও সারপ্রাইজড করে দিলেন উনি।কারণ আমাদের ঘরটাও ফুলে ফুলে ফুলসজ্জার মতো করে সাজিয়েছেন উনি।

মৌসুমী আক্তার

'রাজাকারি চাল দিয়ে বাড়িভর্তি মানুষের সামনে আমাকে থাপ্পড় খাইয়ে আম্মুর কানে বিষ ঢেলে একটা বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন।একটা নাবালিকা মেয়ের সাথে কি ভয়ানক অত্যাচার টায় না করেছিলেন।'

মৌসুমী আক্তার

বিহানের চোখ মুখে মলিনতা, মন খারাপের রেখা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।এই ছেলেটার মন খারাপ দেখলে পুরা দুনিয়া অন্ধকার লাগে আমার।বেলকনিতে একটা তক্তা রাখা আছে যার দুই পাশে দুইটা ক্যাকটাস গাছ।তক্তার উপর উঠে বসে বিহানের গলা জড়িয়ে ধরে বললাম

মৌসুমী আক্তার

"সে আমার চোখে দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর নারী।তার থেকে সুন্দর নারী আমি কোথাও দেখি নি।দ্যাটস হুয়াই আমি তাকে ভালবাসি।তাকে দেখার পর দ্বীতীয় কাউকে আর ভালো লাগেনি।"

মৌসুমী আক্তার

আমি আশ্চর্যজনক ভাবে উনার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম।আমি বা কি বললাম আর উনি বা কি বুঝলেন আর কি বললেন।এক গাদা কথা শুনিয়ে দিলেন।এইসব কথাবার্তা কি অলওয়েজ টাইম উনার মাথায় ঘুরতে থাকে।