রহস্য
Discover all the "রহস্য" related stories

অপেক্ষা | পর্ব – ৩৭
তারপর হাফসাকে বসিয়ে ওর পেটের মাঝে আলতো করে স্পর্শ করলেন আরহাম।উনার চোখেমুখে খুশি চকচক করছে।ফ্লোরে হাটু গেড়ে বসেছেন আরহাম। হাফসার পেটে আস্তে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘একটু কি অনুভব করা যায় তাকে?’

অপেক্ষা | পর্ব – ৩৪
ওর চোখ ছলছল হয়ে উঠলো।আরহাম চেয়ে রইলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে নিজেকে সামলে বলে উঠলো, ‘আচ্ছা ব্যাপার না।মানুষ মাএই ভুল।আপু তো অনুতপ্ত।’ আরহাম তৎক্ষনাৎ হাফসাকে বুকের সাথে চেপে ধরে বললেন, ‘আমার জীবনে এমন কোন ভালো কাজের পুরষ্কার আপনি!জানি না!এত বেটার গিফট আমি ডিজার্ভ করতাম!আল্লাহর জন্য আপনাকে ভালোবাসি উমায়ের।’

অপেক্ষা | পর্ব – ৩৩
রাতে আলফাজের সাথে সুরাইম আসলো।এ বাসায় আসার পর ফাইয়াজ সবসময় এখানেই লেগে থাকে।বিকেল থেকে এখানেই তার থাকা,খাওয়া দাওয়া হচ্ছে। যাওয়ার কোনো টান নেই।বাসায় ফিরার কথা বললে সে বললো,’দূই আন্টিমণিকে বলো আমার সাথে আসতে।তাহলে আসবো আমি।’

অপেক্ষা | পর্ব – ৩২
ডিনারে লেট হয়ে গেলো।ঘড়িতে তখন এগারোটা।আদওয়ার ফ্যামিলি সহ আহনাফ তাজওয়ারকেও খেতে বসতে হলো।এরই মধ্যে অনেকক্ষণ পর আরহাম নিচে নামলেন।কোনোদিকে না তাকিয়ে চুপচাপ কিচেন থেকে প্লেটে খাবার নিয়ে মাইমুনার রুমের দিকে এগোলেন।

অপেক্ষা | পর্ব – ৩১
হাফসা গাল ফুলিয়ে বসে রইলো।বক্সটা হাতে নিয়ে চাবি ছাড়া অনেক রকম চেষ্টা করলো,বৃথা হয়ে মনে মনে আরহামের প্রতি রাগ নিয়ে বললো, ‘খুব চালাক লোক।এত কঠিন শর্ত না দিলেও পারতেন!আমারও লাগবে না চাবি,আপুর টা নিয়ে আসবো।’

অপেক্ষা | পর্ব – ২৯
চেয়ারে হেলান দিয়ে ঘুমাচ্ছে সে।গাল বেয়ে এখনো শুকনো পানি।পাপড়িগুলো এখনো ভিজে আছে।ফর্সা হাতে-পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে কালসে হয়ে আছে।অন্যহাত ছিলে গিয়েছে রশ্মির বাঁধনে।কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়েছে। রুদ্র আলতো করে ওর গালের পানিগুলো মুছে দিলো। ব্যাথা পাওয়া জায়গায় মেডিসিন লাগিয়ে, মাথার ব্যান্ডেজ খুলে দেখলো বেশ খানিক জায়গা কেটেছে।

অপেক্ষা | পর্ব – ২৭
উনি দরজা খুলে এসে হাফসাকে সামনাসামনি সোফায় বসে থাকতে দেখে হাতের বাটিটা টেবিলে রাখলেন।তারপর এসির পাওয়ার বাড়াতে বাড়াতে বললেন, ‘আম রিয়েলি সরি।ট্রাস্ট মি আমার মনেই ছিলো না যে আপনাকে দরজা বন্ধ করে রেখেছি।’ হাফসা উনার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে।হঠাৎ এত ক্লান্তির কারন কি উনার!

অপেক্ষা | পর্ব – ২৫
হাফসা বললো না।আরহাম ওকে লাগাতার জিজ্ঞেস করেই যাচ্ছেন কিন্তু হাফসা চুপ হয়ে আছে।ব্যর্থ হয়ে আরহাম ব্যথিত চোখে তাকিয়ে রইলেন।ভাবতে থাকলেন, কীভাবে কষ্ট দিয়েছেন উমায়ের কে।মনে তো পরছে না কিছু।উমায়ের কখনো এমন একরোখা রাগ করে থাকেননি এর আগে!দেট মিনস সামথিং সিরিয়াস!

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ২৪ | দেখি নাই ফিরে (সর্বশেষ পর্ব)
সুপ্রতিমদা ওকে চাকরি পেতে সাহায্য করে আর দিল্লীর একটা বড় আই টি কম্পানি তে চাকরি পেয়ে যায়। অভি নিজেকে কাজে আর মদে ডুবিয়ে ফেলে। ভালোবাসা শব্দটি ওর জীবনের খাতা থেকে মুছে ফেলে। একদিন অভি রিতিকাকে বাড়িতে ফোন করতে বলে। রিতিকা কোলকাতায় অভির বাড়ি ফোন করে, ফোন স্পিকারে দেওয়া ছিল যাতে সবাই কথা শুনতে পারে। বাবা, “কে বলছেন?” রিতিকা, “আমি রিতিকা, শুচিস্মিতার বান্ধবী। ওর সাথে কি একটু কথা বলা যাবে?” বাবা, “কোথা থেকে বলছ?” রিতিকা, “দিল্লী থেকে বলছি আমি।”

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ২৩ | বুকভাঙ্গা অশ্রু
সকাল বেলা, প্রায় দশটা সাড়ে দশটা নাগাদ, অভি বসার ঘরে বসে চায়ের কাপে আরাম করে চুমুক দিচ্ছিল। পরী রান্না ঘরের কাজে ব্যাস্ত ছিল। আকাশ সকাল থেকে মেঘলা, কোলকাতার বৃষ্টির ঠিক ঠিকানা নেই কখন কি ভাবে এসে পরে। মা সেইদিন আর স্কুলে যাননি, তাঁর আগের দিন, মায়ের শরীর একটু খারাপ ছিল। এমন সময়ে ওপরে নিজের ঘর থেকে মায়ের গলা শুনতে পেল অভি, মনে হয় অভির ঘরে বিছানার চাদর বদল করছিলেন। মা নিচে নেমে অভির দিকে রক্তাক্ত চোখে তাকিয়ে পরীকে ডাক দিলেন, “পরী এদিকে আয়।” মায়ের হাতে বালিশের কভার।

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ২২ | ময়ুর সিংহাসন
ভাঁজ করা দুই পায়ের নিচে হাত গলিয়ে দিয়ে পাজাকোলা করে কোলে তুলে নেয় পরীকে, চেয়ার ছেড়ে উঠে বিছানায় শুইয়ে দেয় প্রেয়সীর উষ্ণ দেহ। উন্মত্ত আদরের ফলে পরীর ডান বক্ষ রাত্রিবাস থেকে বেড়িয়ে পরে আর বাম বক্ষের বৃন্তের কাছে আটকে থাকে রাত্রিবাস, যেন একটা আলতো টানে উন্মুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় ওর দিকে চেয়ে আছে। পরী ওর দিকে কামঘন চাহনি নিয়ে তাকিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে। মৃদুকনে চিকচিক চোখে ওর দিকে তাকিয়ে বলে, “ওই রকম করে কি দেখছ তুমি?” অভি চাপা গলায় বলে, “আমার জলপরীকে দেখছি, তপ্ত জলপরী উষ্ণ সাগর জল ছেড়ে আমার বিছানার ওপরে বসে আমার প্রেমে ডুব দেবার জন্য।”

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১৯ | দাবার ৬৪ ছক
পরেরদিন সকাল সকাল দুজনে তৈরি হয়ে পরীর গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা হয়ে যায়। দিদার বারি পৌছাতে প্রায় ঘন্টা তিনেক লেগে যাবে। পরী একটা লম্বা সাদা রঙের স্কার্ট পরে আর সাদা ফ্রিল শার্ট। একে ফর্সা তাঁর ওপরে সাদা রঙের পোশাকে ঠিক যেন দুধে স্নাত এক অপরূপ মূর্তি। কোলকাতায় গ্রীষ্ম কালে বড় ঘাম দেয়, তবে বাস চলার দরুন হাওয়ার জন্য কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। ওরা সেই বেড়ানোর গল্পে মেতে ছিল, লাহুল স্পিতির গল্প। পরী দুষ্টুমি করে ওকে রিতিকার স্নানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে খেপিয়ে তোলে।