রহস্য
Discover all the "রহস্য" related stories

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১৮ | বীরের প্রত্যাবর্তন
অভি ঘুম চোখ রগড়ে সুপ্রতিমদাকে জিজ্ঞেস করে, “পরী কোথায়?” সুপ্রতিমদা, “শালা, সারা রাত ধরে তুমি তোমার পেরেক গুঁজে যাবে আর ভাবছ যে সকাল বেলায় ও তোমার পাশে থাকবে? বোকা… ওঠ…” মাথা চুলকে সুপ্রতিমদার দিকে হেসে বলে, “বোকা… তুই যেন হাতে নিয়ে নাড়াচ্ছিলি, তুই কি পেরেক গুঁজিসনি মাখনের মধ্যে?” দুজনেই হেসে ফেলে গত রাতের কথা ভেবে। সুপ্রতিমদা বলে, “পাঁচটা মেয়েই সকালে উঠে পরে, হাঁটতে গেছে স্পিতির দিকে।” অভির গায়ে কোন কাপড় নেই, সুপ্রতমদার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। সুপ্রতিমদা মেঝে থেকে অভির প্যান্ট তুলে ছুঁড়ে মারে অভির মুখের ওপরে। শয়তানি হেসে বলে, “উঠে পর এবারে বোকা… তাড়াতাড়ি তৈরি হয়েনে, স্রে আটটা বাজে, এতক্ষণে মনে হয় মেয়েরা এসে গেছে।”

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১৭ | স্পিতির তীরে জুঁই ফুল
অভি বিছানা থেকে নেমে পরীর পায়ের কাছে বসে পরে, রাত্রিবাস নিচের থেকে টেনে নামিয়ে দেয়। পরী শরীরকে আলতো করে মুচরে, অভিকে সাহায্য করে গায়ের থেকে কাপড় খানি খুলে ফেলতে। অভির চোখের সামনে পেটের ওপরে শুয়ে প্রেমের আগুনে থরথর কাপে প্রেয়সীর উন্মুক্ত দেহ পল্লব। পা জোড়া এঁকে ওপরের সাথে শক্ত করে চেপে ধরা, মনে হয় যেন মাঝখান থেকে একটি ঘাসের পাতাও যেতে পারবে না। প্রেমের কাপনে বানংবার দেহের ওপরে ঢেউ খেলে যায়। অভি এই প্রথম বার প্রান প্রেয়সীকে জন্মদিনের পোশাকে দেখে। এই কামার্ত দেহ পল্লব যে কোন মুনি ঋষির ধ্যান ভঙ্গ করে দিতে পারে।

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১৫ | সুকৌশল প্রতিজ্ঞা
প্লেনে অরুনা আর পরী পাশাপাশি বসে, করিডোরের অন্য দিকে অভি। অরুনা জানালার ধারের সিটে বসে হাতের ওপরে মাথা রেখে একমনে জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকে। পরী একটা সুন্দর সবুজ রঙের সালোয়ার পড়েছিল। পরী প্রথম বার প্লেনে চাপে কিন্তু সেই উৎসাহ ছাপিয়ে ওর মনের ভেতরে অরুনার চিন্তা বেশি করে ভর করে। সকালের খাবার দিয়ে যায় এয়ারহোস্টেস, পরী খাবারের বহর দেখে অভির দিকে তাকায়। অভি ওকে জানায় যে ও এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ভ্রমন করছে।

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১৪ | জলপরীর আগমন
বুদ্ধিমতী পরী মায়ের সামনে মনের খুশি লুকিয়ে মাথা নিচু করে হেসে অভিকে অভিবাদন জানায়, “কেমন আছো অভিমুন্যু? পড়াশুনা ঠিকঠাক চলছে ত?” মাথা নত করে অভিবাদন জানায় অভি, বুকের মধ্যে খুশির বান ডেকেছে, কিন্তু মায়ের সামনে ঠিক করে প্রকাশ করা যাচ্ছে না, দুজনেই দুজনার মনের অবস্থা বুঝে নিয়ে মুখ টিপে হাসে। সিঁড়ি দিয়ে চড়ার সময়ে অভি পরীর দিকে তাকায়। পরীর প্রিয় পোশাক, শাড়ি, শাড়ি ছেড়ে পরী যেন আর কিছু পড়তে জানে না। আকাশী রঙের শাড়িতে পরীকে বেশ সুন্দরী দেখাচ্ছে। সিঁড়ি চড়ার সময়ে অভি লক্ষ্য করল যে পরীর পায়ে রুপোর নুপুর, হাঁটার সময়ে মৃদু ছনছন আওয়াজ করছে আর সেই আওয়াজ যেন অভির বুকে এসে মাতিয়ে তুলছে।

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১৩ | অপরাধ স্বীকার
ধরা গলায় বলে ওঠে, “আমি পাপ করেছি পরী।” পরী বিশ্বাস করতে পারে না অভির কথা, আঁতকে ওঠে, “কি?” পরী ওর চুলের মুঠি ধরে অভির মুখ ওপর দিকে করে, সোজা চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে, “কি বলতে চাইছ?” অভির দুগাল দিয়ে চোখের জল গড়িয়ে পরে, চাপা সুরে বলে,”অরুনিমা…” পরী যেন নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারেনা। চুলের মুঠি ছেড়ে দিয়ে চিবুকে আঙ্গুল স্পর্শ করে জিজ্ঞেস করে, “অরুনিমা কি? কি করেছ ওর সাথে?”

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১২ | সর্পকন্যের হাতছানি
নিতম্ব বেশ পুরুষ্টু কিন্তু একটু ছোটো, বয়সের সাথে সাথে বেড়ে উঠবে। ঊর্ধ্বাঙ্গে হাতকাটা বুকে আটা সাদা রঙের গেঞ্জি। নরম বুকের সাথে লিপ্টে আছে আর সুগোল বক্ষ দুটি কে যে ফুলইয়ে দিয়েছে। দুই বক্ষের যেন ছোটো দুই শৃঙ্গ এবং তার ওপরের নুড়ি পাথরের মতন অঙ্গটি বেশ ভালো ভাবে বোঝা যাচ্ছে। মানস চক্ষে অভি দেখতে পায় যে ওর ঊর্ধ্বাঙ্গে ওই গেঞ্জির নিচে কোন অন্তর্বাস নেই।

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১০ | দেবীকথা-অরুন্ধতি
পরী হাঁটু গেড়ে বিছানার ওপরে বসে পরে, অভি ওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরে। পরী খুব আদরে অভির চুলে বিলি কেটে দেয়। অভি ওর কোমর জড়িয়ে ধরে থাকে। দু’জনের বুকের ভেতর এক অনাবিল প্রেমের আলো বিছুরিত হয়, সেই প্রেমে কোন কামনার লেশ নেই, বাসনার লেশ নেই, এ যেন এক সুন্দর ধবধবে সাদা প্রেমের বন্ধন। অভি, “পরী…” পরী, “হুম বল।” অভি, “সুব্রত আর মৈথিলী আমার সাথে অরুনিমার সম্পর্ক তৈরি করার জন্য উঠে পরে লেগেছে।” পরী, “আমি জানি অভি, আর এও জানি সেই জন্য তুমি আজ ওদের বাড়ি যাচ্ছ না। তোমার ওপরে যে আমার অগাধ বিশ্বাস আছে অভি।”

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ৮ | পরবর্তী অভিযান
দুপুরের খাওয়ার সময়ে পরী নিরামিষ খেল। অভি ভাবল যে হয়ত জার্নির জন্য পরী নিরামিষ খেয়েছে, খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ কিছু জিজ্ঞেস করল না অভি। গল্প করতে করতে ওরা একে ওপরের ব্যাপারে অনেক কিছু জেনে নিল। পরীর প্রিয় রঙ তুঁতে। রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়তে আর শরৎচন্দ্রের ছোটো গল্প পড়তে খুব ভালবাসে। অভির প্রিয় লেখক শরৎচন্দ্রে। পরীর প্রিয় উপন্যাস শরৎচন্দ্রের “শ্রীকান্ত”, গান ভালবাসে পরী, সেটা অভি বিয়ের দিনে দেখেছে যে পরী বেশ ভাল গান গায়। অভি ওর মুখের দিকে একমনে তাকিয়ে থাকে আর পরী ওর গল্প বলতে থাকে।

ইট পাটকেল | পর্ব – ৪১
আশিয়ানের সামনে মিটমিট করে হাসছে লারা। লারার বাবার মুখেও ক্রুর হাসি। আশিয়ান ভ্রু কুচকে বিরক্ত চোখে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। আশমিনের নিষেধ না থাকলে এতক্ষণে এদের লীলাখেলা সাঙ্গ হয়ে যেতো। আশিয়ান দু দিকে মাথা ঝাকিয়ে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলো।

ইট পাটকেল | পর্ব – ২৫
সানজিদা বিনতে সফি রাতের আকাশ দেখায় মগ্ন নূর।আকাশের দিকে তাকিয়ে আনমনে কিছু একটা ভেবে চলেছে সে।আশমিন এখনো বাসায় আসে নি।তার জন্যই অপেক্ষা করছে নূর।মুখে স্বীকার না করলেও সে আশমিন কে অসম্ভব ভালবাসে। আশমিন তার রক্তে মিশে আছে। এক মুহুর্ত চোখের আড়াল হলেই ভুকের ভিতর আনচান শুরু হয়ে যায়।

ইট পাটকেল | পর্ব – ২০
কামিনী চৌধুরী ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে নিউজপেপারে চোখ বুলাচ্ছে।তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই কাল তার স্বামী আরেকটা বিয়ে করে বাসর ও সেরে ফেলেছে। আর কেউ এখনো ব্রেকফাস্ট টেবিলে আসে নি।নূরের আজ কনসার্ট আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে। অসুস্থতার জন্য পোগ্রাম পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।আজ সারাদিন রিহার্সাল করবে।

ইট পাটকেল | পর্ব – ১৯
দিনের সূর্য ঢলে রাতের অন্ধকার নেমে এসেছে পৃথিবীর বুকে।কামিনী চৌধুরী প্রায় আট ঘন্টা অজ্ঞান হয়ে ছিল।ততক্ষণ আমজাদ চৌধুরী তার পাশে তার হাত আকড়ে ধরে বসে ছিল।কামিনী চৌধুরীর জ্ঞান ফিরতে দেখেই তাকে কেবিন থেকে বের করে দেয় আশমিন।