ড্রামা
Discover all the "ড্রামা" related stories

ইট পাটকেল | পর্ব – ৮
আব্বুর গাড়ির ড্রাইভারের খোঁজ পেয়েছো অমি? — পাইনি ম্যাম।লোকটা হয়তো দেশে নেই।তার গ্রামের বাড়িতে খোজ নিয়ে জানতে পারলাম তার পুরো পরিবার ওইদিনের পর থেকে নিখোঁজ। কোথাও তাদের পাওয়া যায় নি। — মন্ত্রী সাহেব এসেছেন? — না ম্যাম।তবে রাস্তায় আছে।কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে। — ঠিক আছে।

ইট পাটকেল | পর্ব – ৭
বিয়ের ছয় মাসের মাথায় কামিনী চৌধুরী হঠাৎ করেই নিজের আগের রুপে ফেরা শুরু করে। কথায় কথায় নূর কে অলক্ষি অপয়া বলে অপমান অপদস্ত করতে থাকে।নূর তাতে খুব একটা পাত্তা দেয় নি।নিজের মতো করে জীবন কাটাতে থাকে সে।আশমিন কিংবা রাফসান শিকদার কাউকেই এ ব্যাপারে কিছু বলতো না নূর।

ইট পাটকেল | পর্ব – ৬
আকাশে মেঘ জমেছে। যেকোনো সময় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হবে।দমকা বাতাসে চারিদিকের গাছপালা দুলে দুলে উঠছে। বারান্দায় বসে একমনে সামনের কৃষ্ণচুরা গাছের দিকে তাকিয়ে আছে নূর।কৃষ্ণচুরা ফুলে গাছটি নতুন সাজে সেজেছে। সেদিকেই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে নূর।

ইট পাটকেল | পর্ব – ৫
অন্ধকার ছাদের এক কোনে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে নূর। বিষন্নতার মরণবান বার বার আঘাত করছে তার বুকের ভিতর। মনে পরছে ছয় বছর আগের কথা। বাড়ির সবছেয়ে শান্তশিষ্ট মেয়ে নূর।রাফসান শিকদারের একমাত্র আদরের মেয়ে।নূরের পাচ বছর বয়সে তার মা মারা যায়।

ইট পাটকেল | পর্ব – ৪
বিশাল ড্রয়িং রুমে গম্ভীর হয়ে বসে আছে আশমিন।পরিবারের সবাই এখানে উপস্থিত। কামিনী চৌধুরী থমথমে মুখে আমজাদ চৌধুরীর পাশে বসে। চারিদিকে পিনপতন নীরবতা। সবার দিকে চোখ বুলিয়ে ঠোঁট বাকিয়ে হাসলো নূর।আশমিন শান্ত চোখে তাকে পর্যবেক্ষণ করছে।

ইট পাটকেল | পর্ব – ৩
আমজাদ চৌধুরী কে যখন হসপিটালে নেয়ার তোড়জোড় চলছে ঠিক সেই মূহুর্তে তাদের সামনে হাজির হলো নূর। আশমিন চোয়াল শক্ত করে তাকিয়ে আছে তার দিকে। সানভি আমতা আমতা করে বললো, — সরে দাড়ান ম্যাম।স্যার কে এখনি হসপিটালাইজ করতে হবে। নাহলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

ইট পাটকেল | পর্ব – ২
বারান্দার সোফায় আয়েসি ভঙ্গিতে বসে মাথা পিছনের দিকে হেলিয়ে রেখেছে আশমিন। নূরের কোন কথাই তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে নি। সেসব নিয়ে মাথা ও ঘামাচ্ছে না সে।তার বর্তমান মাথা ব্যথার নাম লারা।এই মেয়েটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। কয়েক দিনেই মাথা খেয়ে দিল।

ইট পাটকেল | পর্ব – ১
সানজিদা বিনতে সফি বিচ্ছেদের চার বছর পরে প্রিয় মানুষটির হলুদ সন্ধায় লাইভ পারফর্ম করছে নূর। পুরো নাম তেহজিব নূর। একজন প্রফেশনাল সিঙ্গার সে।মাস খানেক আগেই তাদের সাথে কনট্রাক করেছে মিনিস্টার আশমিন জায়িনের পি.এ সানভি।সব কিছু জেনে শুনেই কন্ট্রাক পেপার সাইন করেছে নূর। যে বর্তমানে স্টেজ কাপাচ্ছে নিজের সুরেলা গলার গান দিয়ে।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ১৭
অন্ধকার ক্লাসরুমে হুর কে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে আছে কেউ একজন। হুরের বুক জোরে জোরে ধুকপুক করছে। বদ্ধ রুম টায় এতটাই অন্ধকার ছেয়ে আছে যে কিছুই দেখতে পাচ্ছে না হুর। অচেনা লোকটার অস্তিত্ব খুব কাছেই টের পাচ্ছে সে। লোকটার নিঃশ্বাস ঘাড়ে গলায় আ’ছড়ে পড়তেই কেঁপে উঠলো হুর।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ১৩
মাঝরাত! নিস্তব্ধ পরিবেশ। হঠাৎ ঠোঁটে তীব্র ব্য’থা অনুভব হওয়ায় ঘুম ভেঙে গেলো হুরের। ঘুম হালকা হতেই স্পষ্ট বুঝতে পারলো কেউ তার ঠোঁট নিজের ঠোঁট দ্বারা আঁকড়ে ধরে আছে। আঁকড়ে ধরে আছে বললে ভুল হবে লোক টা অনবরত তার ঠোঁট কামড়ে চলেছে। তীব্র ব্য’থায় গুঙিয়ে উঠলো হুর।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ১২
হঠাৎ করে টান দেয়ায় ছি’টকে এসে কারোর বুঁকের সাথে বাড়ি খেলো হুর। চোঁখ বন্ধ করে তার বুঁকেই মাথা রাখলো সে। জোরে জোরে শ্বাস টানতে লাগলো।হুশ আসতেই বুঝতে পারলো সে কারো বক্ষপিঞ্জরে আবদ্ধ। মানুষ টা তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। যেনো বুঁকের মধ্যে পুরে নিতে চায়।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ১১
সকাল সকাল ভার্সিটি যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে হুর। আজকে অনেক ইম্পরট্যান্ট ক্লাস আছে প্লাস আগের দিন সে আর লিয়া দুইজনই ক্লাস মিস দিয়েছে। সেই পড়া অন্যদের খাতা থেকে তুলে নিতে হবে। তাই সময়ের অনেক আগেই যাবে বলে ঠিক করেছে সে। হুর রেডি হয়ে সোজা ডাইনিং টেবিলে চলে আসলো।