হাস্যরস
Discover all the "হাস্যরস" related stories
তোমাকে | পর্ব – ২১
তুর্য আর পুলিশ অফিসার দুজনের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছে। পরী আল্লাহ্’র নাম নিয়ে জোরে দৌঁড় দেয়। এতে হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে দুজনই। কয়েক সেকেন্ড পার হতে দুজনই একসাথে দৌঁড় শুরু করে। এই যাত্রায় পুলিশ অফিসার বলে, “আপনি দৌঁড়াচ্ছেন কেন?” “আমি তো ওকে ধরতে যাচ্ছি। কিন্তু আপনি কেন দৌঁড়াচ্ছেন স্যার?” “আরে আমিও তো ওর পিছেই যাচ্ছি। দিনদুপুরে […]
তোমাকে | পর্ব – ২০
শীতে কাঁপতে কাঁপতে ছাদে আসে প্রিয়ম। ঠান্ডা হাতে পরীর গালে চিমটি দিয়ে বলে, “কীরে তুই ছাদে কেন?” পরী ব্যথায় চোখমুখ কুঁচকে ফেলে। গালে হাত বুলাতে বুলাতে বলে, “খবিশ! এভাবে চিমটি দিলা কেন?” “ওমা! গাল লাল হয়ে গেছে নাকি?” “হুশ! যাও সরো।“ প্রিয়ম লুকিয়ে রাখা অন্য হাতটা পরীর মুখের সামনে ধরে। প্রিয়মের হাতে দুটো কোণ আইসক্রিম। […]
তোমাকে | পর্ব – ১৯
সময় ঘনিয়েছে। শীতের আমেজ এসেই পড়েছে অবশেষে। যদিও হাড় কাঁপানো শীত এখনো আসেনি। সকালের মৃদুমিষ্টি সূর্যের প্রখর দিপ্ত রোদের মধ্যে ছাদে একটা চৌকিতে বসে আছে পরী। এই সময়টার রোদ শরীরে উষ্ণ স্পর্শ এনে দেয়। সময়গুলো যে অতি তাড়াতাড়ি কীভাবে চলে গেল কে জানে! রেহেনা বেগম ছাদে এসে দেখেন পরী বই হাতে অন্য মনস্ক হয়ে বসে […]
তোমাকে | পর্ব – ১৮
তুর্য অবাক চোখে পরীর দিকে তাকিয়ে আছে। তাতে পরীর চেহারার বিশেষ কোনো ভাবান্তর হলো না। দূর থেকে একটা বাস আসতে দেখে তুর্যকে বলে, “সন্ধ্যায় রেডি থাকিয়েন। আর বাড়ির সামনে এসে কল দিয়েন।“ বাসটা সামনে এসে থামার পর পরী চলে যাওয়া ধরে। তুর্য তখন পরীর হাত চেপে ধরে বলে, “তুমি কি আমার সাথে মজা করছ?” পরী […]
তোমাকে | পর্ব – ১৭
পরীর চোখে ঘুম নেই। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে চুপচাপ। ব্যালকোনির ফাঁকা দিয়ে চাঁদের আলো এসে মুখে পড়ছে। সেই আলোতে মুখের ভাব ও চোখের চাহনী একদম স্পষ্ট। কিছুটা দূরের রাস্তায় কুকুরের ঘেউঘেউ শব্দ শোনা যাচ্ছে। গাড়ির হর্নও শোনা যাচ্ছে। তবে সেটা দিনের তুলনায় কম। আশপাশ থেকে কানে আসছে ঝিঝি পোকার ডাক। ক্ষণে ক্ষণে কিছু শীতল হাওয়া এসে […]
তোমাকে | পর্ব – ১৬
বাড়িতে ফিরে সেই যে ওয়াশরুমে ঢুকেছে পরী এখনো ফেরার নাম নেই। ১ঘণ্টা হতে চলল এখনো গোসল করছে। মেহেনুবা আধ ঘণ্টা ধরে ঘরের মধ্যে পায়চারী করছে। রেহেনা বেগম একটু পরপর এসে দরজায় ধাক্কাচ্ছেন। এবারও তিনি রুমে এসে দেখেন মেহেনুবা একা রুমে বসে আছে। মেহুর উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করেন, “পরী এখনো বের হয়নি?” “না আন্টি।“ তিনি এবার দরজা […]
তোমাকে | পর্ব – ১৫
বারিধারায় আচ্ছন্ন ভিজে যাওয়া গাছগুলোর পাতা থেকে টপটপ করে নিচে পড়া পানির ফোঁটা, হালকা বাতাসে গাছের পাতাগুলো হেলেদুলে যাওয়া সবকিছুই নিবিষ্ট চোখে দেখছে পরী। জানালার গ্রিলটাও বৃষ্টিতে ভিজে আছে। সেই ভেজা গ্রিলের ওপর হাতের কনুই রেখে তাতে থুতনি ভর দিয়ে বাইরের প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করছিল। সাথে ভাবছিল অল্প সময়ে ঘটে যাওয়া কাহিনীগুলোর কথা। আগের সময়টায় আর […]
তোমাকে | পর্ব – ১৪
প্রিয়ম আর শাদাফ ফ্রেশ হয়ে খেতে বসেছে। সাথে বাবাও খেতে বসেছে। মা সবাইকে খাবার বেড়ে দিচ্ছে। এদিকে পরীর মনটা আনচান করছে দেখার জন্য ভাইয়া কী গিফ্ট নিয়ে এসেছে! ধৈর্য ধরে রাখতে না পেরে ড্রয়িংরুমে রাখা লাগেজটা খুলে একে একে সব বের করতে থাকে। গিফ্ট দেখে পরী অবাক! ছোট মেয়ে বাচ্চার কাপড়। সাথে অনেকগুলো চকোলেট, খেলনা, […]
তোমাকে | পর্ব – ১৩
ক্যাফের সামনে এসে রিক্সা ভাড়া মেটাতে মেটাতে রিনিও পৌঁছে যায় তুর্যর সম্মুখে। এই সময়ে রিনিকে এখানে দেখে বেশ অবাকই হয় তুর্য। পরীরও রিনিকে চিনতে কষ্ট হয় না। ভাড়া মিটিয়ে রিনি তুর্যর কাছে গিয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দাঁতে দাঁত চেপে প্রশ্ন করে, “এই মেয়ে কে?” এক পলক পরীর দিকে তাকিয়ে আবার বলে, “এই তোমার অফিসে যাওয়া?” তুর্য […]
তোমাকে | পর্ব – ১২
রাতে তুর্য বাসায় এসে দেখে হূলস্থুল কাণ্ড। চারদিকে সবকিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তুর্য তাহমিনা বেগমের উদ্দেশ্য বলে, “ঘরের এই হাল কেন?” তাহমিনা বেগম মিনিট দুয়েক চুপ থেকে উত্তর দেন, “উপরের নতুন ভাড়াটিয়ার মেয়ে পরী করেছে। কতটা অসভ্য আর বদমেজাজি ভাবতে পারিস তুই? ঘরের সবকিছু ভেঙেচুড়ে গেছে। আবার হুমকি-ধামকিও দিয়ে গেছে।” তুর্যর কপালে সূক্ষ্ম ভাঁজ পড়ে। […]
তোমাকে | পর্ব – ১১
নিকোষ আলো অন্ধকারই পারে দুঃখগ্রস্ত মানুষগুলোর চোখের পানি সবার থেকে আড়াল করতে। এজন্যই কষ্ট পাওয়া মানুষগুলো বোধ হয় অন্ধকারকে এতবেশিই ভালোবাসে। পরীর সময়গুলো চলছিল টেনেটুনে। কলেজে যাওয়ার পর ক্লাসে থাকলেও মনটা পড়ে থাকে অন্যত্র। অন্যত্রই বা বলছি কেন! সহজ কথায় বলা যায় তুর্যর কাছে। নিষিদ্ধ এবং অসম্ভব জিনিসের প্রতি মানুষের চাহিদা বরাবরই বেশি আদিমকাল থেকে। […]
তোমাকে | পর্ব – ১০
সকাল সকাল মেহেনুবার সাথে কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেছে পরী। আগে একটা প্রাইভেট আছে তারপর কলেজ। প্রাইভেট পড়ে বাস স্টপেজে এসে পরীর দেখা হয়ে যায় তুর্যর সাথে। হয়তো অফিসে যাওয়ার জন্যই বাসের অপেক্ষা করছে তুর্য। পরীর বারবার জানতে ইচ্ছে করছে কাল রাতে কেন তুর্য এমন ব্যবহার করল। কোনো কারণ ছাড়াই মিজবিহেভ করার তো কোনো মানেই হয় […]