বন্ধুত্ব
Discover all the "বন্ধুত্ব" related stories

মেইড ফর ইচ আদার | পর্ব - ১৯
রেডিও কলোনির সিপি রেস্টুরেন্টের টেবিলে বসে আছে,তৃনার বন্ধুমহল।ওয়েটার বয় এসে অর্ডার নিয়ে স্থান ত্যাগ করলো অতি দ্রুত। সবাই টেবিলে বসা থাকলেও তৃনা দাঁড়িয়ে। তৃনা টেবিলে একটা চাপাটি রাখল, দেখেই মনে হচ্ছে মাত্রই কিনে আনা হয়েছে। তৃনার এভাবে টেবিলে চাপাটি রাখার কারন কেউ বুঝতে পারছে না৷

মেইড ফর ইচ আদার | পর্ব - ১৮
দিদারের মোবাইল বেজেই চলেছে। দিদার কল না তোলায়, তৃনার মাথা রাগে টগবগ করছে। ওয়াশরুম থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরিয়ে এলো দিদার, ফোনে ৭বার মিসড কল উঠে আছে। এটা দেখে যেনো দিদারের গলা ইতোমধ্যে শুকিয়ে গেছে। কাপা কাপা হাতে ডায়েল করল,তৃনার নাম্বারে। ওই পাশ থেকে চেচিয়ে উঠল তৃনা।

রোদে ভেজা তিলোত্তমা | পর্ব - ১৬ | সর্বশেষ পর্ব
অভিমানিনীর ওই সুর অনেকদিন শুনিনি, আমার দুকানে যেন কেউ মধু ঢেলে দিল। ছন্দা চেঁচিয়ে উঠলো অইপাশ থেকে, "তোমার কোন আক্কেল নেই? এই রাতে বলছ ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে? আমি তোমাকে বলেই দিয়েছি যে বিয়ে করবো না।"

রোদে ভেজা তিলোত্তমা | পর্ব - ১৫
আমার ছোট কাকা বললেন, "তোদের দুইজনের একসাথে বিয়ে। মানে অনু আর তোর, অধির বাবুর একমাত্র ছেলে, অনিন্দ্য ডিভিসিতে ইঞ্জিনিয়ার। আমরা ভাবলাম এই বাড়ি থেকে একটা মেয়ে যখন যাবে তখন ওই বাড়ি থেকে একটা মেয়ে এই বাড়িতে আসুক।"

রোদে ভেজা তিলোত্তমা | পর্ব - ৮
অনুকে কোনোদিন লজ্জা পেতে দেখিনি, কিন্তু ওইদিন মেয়েটা লাজুক হেসে আমাকে বললো, "আগেকার কথা ছেড়ে দে। দেবুর সাথে ঝগড়া করতাম এই কারনে কেননা ওর বুকে সেই পাটা নেই। বিয়ের পরে দেখলাম ওকে আমাকেই খাইয়ে দিতে হচ্ছে।"

রোদে ভেজা তিলোত্তমা | পর্ব - ৭
আমি ওকে কাছে টানতে গেলাম কিন্তু কিছুতেই কাছে আসবে না, না না বলে লাজুক হেসে একটু তফাতে দাঁড়িয়ে বললো, "সেই বিকেলে এসেছি আর অনুর ঘরের জানালা থেকে তোকে শুধু ঘর বাহির করতে দেখে গেলাম।"

রোদে ভেজা তিলোত্তমা | পর্ব - ৫
আমার ভেতরে অট্টহাসির কলরব ফেটে পড়ার জোগাড়, জানি অনুকে একদিন জানাতেই হবে না জানালে আমাদের প্রেমের পরিণতি কি হবে সেটা বলা কঠিন। বাবা জ্যাঠা কাকার সামনে কোন ভাই বোনের আওয়াজ শোনা যায় না, ওদিকে মা কাকিমার সামনে প্রায় এক রকম অবস্থা।

রোদে ভেজা তিলোত্তমা | পর্ব - ২
আজও মনে হয় এই যেন গতকালের কথা। আমি আর নবীন একটু তাড়াতাড়ি কলেজ থেকে বেরোবো ভেবেছিলাম, প্রিয়াতে "গুরুদক্ষিণা" দেখতে যাবার কথা। পচা, দেবু আর অনুসুয়াকে জানানো হয়নি, ওরা জানতে পারলে আর আস্ত রাখবে না আমাদের।

মধ্যরাত্রে সূর্যোদয় | পর্ব – ১১ | সর্বশেষ পর্ব
আমি একটু পরে বসার ঘরে যাই, বসার ঘরে পা দিতেই আমার পা মেঝেতে আটকে যায়। বসার ঘরের দেয়ালে একটা বিশাল পেন্টিং ঝুলছে, পেন্টিং টা সক্রেটিসের। সেই পেন্টিঙ্গের এক কোনায় সই করা “অভিমন্যু, 1991.” ছোটমা সেই পেন্টিঙ্গের সামনে দাঁড়িয়ে একমনে সেই দিকে তাকিয়ে থাকেন। সবার চোখ আড়াল করে চোখ মুছে নেন ছোটমা। বুঝতে কষ্ট হয়না যে মায়ের মন তাঁর পুত্রের জন্য কেঁদে উঠেছে। আমি চুপচাপ সরে এলাম সেখান থেকে।

মধ্যরাত্রে সূর্যোদয় | পর্ব – ১০ | সপ্তপদীর বহ্নিশিখা
হিমাদ্রি হেসে বলে, “হ্যাঁ, নিশ্চয়, কেন নয়। আমার কিছু প্রশ্ন আছে, সেগুলোর একটু উত্তর চাই, আর দুজনে পরস্পরকে একটু জেনে নেওয়া ভালো। তাই নয় কি, শুচি? একদিনের দেখায় কি আর মানুষ চেনা যায়।” আমি, “বাড়িতে চলে আসো। ছোটমা বাবু তোমাকে দেখে খুব আনন্দিত হবেন।” হিমাদ্রি, “কেন আমার সাথে একা বের হতে ভয় করছে?” ওর হাসি মজার কোন ভাবাবেগ আমার হৃদয়কে নাড়াতে পারেনা। আমি শান্ত গলায় উত্তর দেই, “না, তবে ছোটমাকে জিজ্ঞেস করতে হবে।”

মধ্যরাত্রে সূর্যোদয় | পর্ব – ৯ | পরীর আত্মসমর্পণ ২
মৈথিলী আমার ব্যাথিত মুখখানি নিজের দিকে তুলে ধরে। ওর সমবেদনার স্পর্শে আমার চোখের পাতা ভিজে ওঠে। আমার মাথা নিজের বুকের ওপরে চেপে ধরে বলে, “কোথায় আছে ও, বলো। আমি সব ব্যবস্থা করে দেব, তুমি চলে যাও। এখানে যা হবে সব আমি সামলে নেব, আমি তোমাকে এই ভাবে পুড়তে দেখতে পারব না।”

মধ্যরাত্রে সূর্যোদয় | পর্ব – ৮ | পরীর আত্মসমর্পণ
আগস্টে আমি আঠাশ বছরে পা দিলাম। আমি নিজেকে শামুকের খোলে মধ্যে গুটিয়ে নেই, আমার ঘর থেকে খুব বের হতাম। কলেজ শেষ, রান্না ঘর আর আমার ঘর আমার সব কিছু ছিল। বাইরের জগতের সাথে একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ছোটমা বাবু আমার চেহারা দেখে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। মা চলে যাওয়ার পরে আমি যেন কোন কিছুতে আর খুশি খুঁজে পাইনা। সেই সাদা ঘোড়া আর কোনদিন আমার কাছে ফিরে আসবে না, সেটা আমি ভালো ভাবে বুঝতে পেরে গেছিলাম।