প্রেম এবং সম্পর্ক
Discover all the "প্রেম এবং সম্পর্ক" related stories

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৮
আসলেই দেয় না আপু।তাকে ভাই ডাকলে সে নাকি কিছুই দিবে নাহ।তাছাড়া বলে দিয়েছে আমি যেনো আদবের সাথে যা লাগে তাই যেনো চেয়ে নেই।আমি কেনো চাইতে যাবো বলোতো।তবে বিভোর ভাই এর কাছে টাকা পাঠায় মাঝে মধ্য না নেওয়ার এক্টিং করি ঠিক ই আসলে আমি টাকা মনে মনে চাই।ভাবি যে এভাবে সেধে তো দিতেই পারে।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৭
উনি আমায় তুমি ডাকলেন কেনো?কেঁপে উঠলো শরীর আমার,বুকের মাঝে দুরুম করে আওয়াজ হলো।উনি এতটা কোমল তার সাথেও কথা বলতে পারেন।উনার তুমি সম্মোধন এ এত নমনীয়তা।এই ভীষণ বৃষ্টি,হুডির হাতা গোটানো,হাতের কফির মগ নিয়ে কেউ জিজ্ঞেস করছে বৃষ্টিবিলাসী তুমি।আমার বৃষ্টিবিলাসী মনে শুরু হলো ভীষণ তুফান।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৬
উনাকে কিছু না বলে ফ্রিজ থেকে ডিম নিয়ে আবার সিদ্ধ করতে দিলাম,রাগে রাগে ৩০ টা ডিম সিদ্ধ করতে দিলাম।সিদ্ধ প্রায় হয়ে এলে উনি এসে দেখেন ৩০ টা ডিম সিদ্ধ করছি।উনি ফোন স্ক্রল করছিলেন সাইডে দাঁড়িয়েই ত্রিশ টা ডিম দেখে চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রু উচিয়ে বললেন,ডিম কয়টা?

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৫
ফ্লোরে টুল নিয়ে বসে ডিমের খোসা ছড়াচ্ছি উনি গিয়েছেন বাইরে,বিভোর ভাই গান গাইছেন আর খুন্তি চালাচ্ছেন।আমি পড়েছি মহা বিপদে বিভোর ভাই এর সাথে গল্প করতে করতে ডিমের সাদা অংশ সব খোসার সাথে উঠে গিয়েছে শুধু কুসুম অবশিষ্ট আছে।কি হবে এখন আমার।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৪
পরের দিন বিকালে মুখ পেচার মতো করে পায়চারী করে বেড়াচ্ছি।মাথায় খুব শয়তানি বুদ্ধি চেপেছে।বিহান ভাই কে একটু নাজেহাল করতে হবে।হবে মানে হবেই।নিজে নিজে হাজার টা বুদ্ধি বের করছি কোন বুদ্ধিটা প্রয়োগ করলে বেটার হবে সেটাই ভেবে চলেছি।বিহান ভাই কে দেখলাম কালো জিন্স,বাদামী গেঞ্জি লং হাতা, চোখে খয়েরী ফ্রেমের চশমা দিয়ে বেরিয়েছেন।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৩
–রাগে মনে হচ্ছে এ দুনিয়ার সব কিছু ভেঙে ফেলি আমি।মনে চাচ্ছে ওই বিশ্রি জিলেপির প্যাচের মতো মনের মানুষ কে মেরে আলমারি তে ঢুকিয়ে রাখি,না হলে বাথররুমে বন্ধ করে রাখি।কেনো বর বরের মতো হবে,রাত হলে বউ এর সাথে রোমান্স করবে,তিন বেলা বউকে খাইয়ে দিবে আরো অনেক কিছুই করবে।তা না বর হয়েছে গিগিটির মতো।আচ্ছা উনি কি কখনো সিনেমা,বা রোমান্টিক কিছুই পড়েন নি।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২২
–রিয়া আর মেহু আপু বললো,এটা আমাদের গ্রেট বিহান ভাই এর প্লান।প্লান টা ভীষণ মারাত্মক রকমের সুন্দর ছিলো।আসলেই বিহান ভাই এর তুলনা কারো সাথে করা যায় না।জীবনে অনেক চমৎকার রকমের সারপ্রাইজ দেখেছি কিন্তু বিহান ভাই এর মতো এতটা মারাত্মক সুন্দর কোথাও দেখি নি।আজ যদি শিরির ফরহাদ বেঁচে থাকতো তাহলে সে ও অবাক হয়ে যেতো বিহান ভাই কে দেখে।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২১
‘তারা উত্তর দিলো আমাদের দায়িত্ব প্রিয়জনদের সারপ্রাইজ দেওয়া।সারপ্রাইজ টা নষ্ট করলে আমাদের বিজনেস লাটে উঠবে।তাই এটা বলা যাবে না আপু।উই আর ভেরি ভেরি সরি।প্লিজ এক্সেপ্ট ইট।’ আমি আর বিভা আপু ছয় বার করে এসে গিফট গুলো নিয়ে গেলাম।সব গিফট নেওয়া হলে আমার রুমে দরজা লক করে লাইট অন করে প্রথম বক্স টা খুললাম।

ত্রিধারে তরঙ্গলীলা | পর্ব – ২০
চোখের পলকেই অতিক্রান্ত হলো বিবাহিত ব্যাচেলর জীবনের কয়েকটা মাস। এই কয়েকমাসে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। নামী, সুহাসের সম্পর্ক মোড় নিয়েছে বন্ধুত্বে। প্রত্যহ কাজের পাশাপাশি নিয়ম করে তিনবেলা খুনশুটিও চলে তাদের। ওদের এই বন্ধুত্ব, খুনশুটির আড়ালে রয়েছে প্রগাঢ় ভালোবাসা। যা ওরা টের না পেলেও টের পায় আশপাশে থাকা প্রত্যেকে।

ত্রিধারে তরঙ্গলীলা | পর্ব – ১৯
সৌধর গাড়ি এসে থামল সদর হাসপাতালের সামনে। সুহাস ত্বরিত গাড়ি থেকে নেমে দৌড় লাগাল৷ সৌধ মুখে মাস্ক পরে অপেক্ষা করতে লাগল ওদের ফিরে আসার৷ সে নিজে আর নামল না৷ দেখা গেল কেউ চিনে ফেললে বাবা, ভাইকে জানিয়ে দেবে। আর তারা রাগারাগি করবে একা একা বের হওয়ায়।

ত্রিধারে তরঙ্গলীলা | পর্ব – ১৮
ঠোঁটের কোণা বেয়ে পড়া রক্ত টুকু তর্জনীতে মুছে নিল নামী৷ মুছে নিল গাল বেয়ে পড়া অশ্রুটুকুও৷ এরপর নিজেকে যথাসম্ভব শক্ত করে নিয়ে দৃঢ় গলায় বলল, ‘ মিসেস উদয়িনী, অনেক বলেছেন আপনি। এবার আপনার শোনার পালা। ‘ চমকে গেল উদয়িনী। হতভম্ব মুখে তাকিয়ে রইল নামীর বিধ্বস্ত মুখপানে।

ত্রিধারে তরঙ্গলীলা | পর্ব – ১৭
লিভিং রুম থেকে গিটারের শব্দ ভেসে আসছে। ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসা সিমরান সে শব্দ শুনেই লাফিয়ে ওঠে বলল, ‘ ও মাই গড! সৌধ ভাই গিটার বাজাচ্ছে! ‘ নামী ওর চুল আঁচড়ে দিচ্ছিল। আকস্মিক লাফিয়ে ওঠায় ভয় পেয়ে গেল সে। শুনেছিল সুহাস, সৌধ দুজনই দারুণ গিটার বাজাতে পারে। গানের গলাও অসাধারণ।