প্রেম এবং সম্পর্ক
Discover all the "প্রেম এবং সম্পর্ক" related stories

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৪০
‘আমাদের কত চিন্তা হচ্ছিলো মা।এইভাবে বারবার বমি করছিলে বার বার জ্ঞাণ হারিয়ে ফেলছিলে। আমরা সবাই ভয় পেয়ে গেছিলাম।এত সময় তোমার মা -বাবা কাকা-কাকিরা সবাই ছিলো।কিছুক্ষণ আগেই বাসায় গিয়েছে আমি জোর করে পাঠিয়ে দিয়েছি।সকালে আবার আসবে,তুমি ঘুমোচ্ছিলে বলে আর ডাকে নি।’

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৯
আমি আবার ও বমি করে সেন্সলেস হয়ে গেলাম।বাইরে সবার কথা কানে আসলেও আমি তার রেসপন্স করতে পারছি না।বিহান ভাই পাজা কোলে তুলে নিলেন আমাকে।রিয়াকে বললেন,কুইক এসো রিয়া। রিয়া পেছনে পেছনে আসছে আমাদের।আমাকে সাথে সাথে সদর হসপিটালে নিয়ে আসলেন।চোখে মুখে ভীষণ দুঃচিন্তা,কষ্ট,আর ভয় বিহান ভাই এর।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৮
নিচ তলার কমন ওয়াশ রুম দুইটা,একটা গোসলের জন্য।উনি নিচ তলার ওয়াশ রুম থেকে গোসল করে টাওয়াল পরে আজ উপরেই গেলেন।আমি বেশ অবাক হলাম এ ক’দিন উনি উপরেই যান নি।মনে হচ্ছে রাগ কমে এসেছে অনেক খানি।উনি উপরে গিয়ে মামিকে ডাকছেন

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৭
উনি কোনো রিয়াকশন না দেখিয়ে বললেন,তোমাকে কি এগুলা শিখিয়ে দিয়েছে বলার জন্য।নিজের মিথ্যা বলতে বাধে না আবার তোমাকেও মিথ্যা বলানোর জন্য ফোর্স করছে।রিয়া অন্যর কথায় কখনো মিথ্যা বলোনা তাহলে নিজের দাম থাকবে না।তোমাকে আমি খুব ভাল মেয়ে বলে জানি।আশা করবো সারাজীবন আমার চোখে এমন ই থাকবে তুমি।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৬
মামি শান্ত ভাবে বললেন,মাথা ঠান্ডা কর বিহান।তুই ছাড়া আমাদের কে আছে দিয়ার ই বা আর কে আছে।খাবার গুলো পড়ে আছে এখনো খাস নি কেনো। দিয়া কাটা হাতে দুপুর থেকে কষ্ট করে তোর জন্য রান্না করেছে। ছোট মানুষ পারে না তাও করেছে।তবুও বলছিস তোকে আমরা অবহেলা করি।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৫
বিভোর ভাই আমাকে বললেন,দিয়া কি যে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি আজ জানিস না।সারাদিন যশোরে ছোটাছুটি করেছি গরমে জীবন যায় যায় অবস্থা। শরীর থেকে কয়েক মন পানি বেরিয়েছে।বিভোর ভাই প্যান্ট প্রায় হাঁটুর নিচ অবধি উলটে ভাজ দিয়ে রাখা।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৪
বিভোর ভাই কলার ঝাকি দিয়ে বললেন,আপু এইদিক টা একটু খেয়াল করো প্লিজ।বড় বোন আর দুলাভাই থাকলে এইসব দিক খেয়াল রাখতে হয়।তাছাড়া বিয়ে কিন্তু ফরজ আপু।তোমাদের সবার ফরজ আদায় হয়ে গিয়েছে আর আমাকে পাপী বানিয়ে রাখতে চাও।আমি জীবনে কোনো পাপ করিনি।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩৩
দরজা থেকে দুলাভাই খ্যাক করে গলা পরিষ্কার করার শব্দ করতেই বিহান ভাই কেঁপে উঠে আকস্মিক ভাবে উঠে গেলেন ।আমিও দ্রুত উঠে জামা ঠিক করতে করতে এগিয়ে গেলাম।বিহান ভাই গেঞ্জি টেনে ঠিক করে নিয়ে লজ্জায় নিচের ঠোঁট কামড়ে চুলের মধ্য হাত চালিয়ে দিলেন।উনি যে কি ভীষণ লজ্জা পেয়েছেন সেটা উনার চোখে মুখে স্পষ্ট আর ক্লিয়ার।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩২
সাহস ওদের থেকে তোর বেশী বেড়েছে।আজ আমি কি করবো দিয়া তুই বুঝতেও পারছিস না।বলেই আমাকে পাজা কোলে তুলে নিলেন।এখুনি কি আছাড় দিবেন।আমি ভয়ে উনার বুকের কাছের গেঞ্জি টেনে ধরে উনার বুকে মাথা গুজলাম।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩১
শুভ কে অশুভ করতে এত সকালে উঠেছিস তাইনা?দশ মিনিট জাস্ট দশ মিনিটে রেডি হ।বই নিয়ে আয় তোকে আজ বই পড়াবো বলেই ওয়াশ রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলেন।আর বাইরে এসে এসব উদ্ভব ভাষা শুনলে এখন থেকে আছাড় মারবো অত্যাচারি বংশের বারান্দায় গিয়ে পড়বি।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ৩০
হ্যাঁ আমি ছেলে আর আমার এটাই লাগবে।আমি এগুলোই ইউজ করবো।আমি টাকা দিয়ে কিনবো ছেলে হয়ে পরতে পারলে আপনার সমস্যা কোথায়?আপনারা টাকা পেলেই হলো।এত প্রশ্ন করেন কেনো?আমি বিহান আমি মেয়েদের লিপিস্টিক,স্যাডো, গেঞ্জি এইগুলা পরি। আর কিছু জিজ্ঞেস করবেন।আশ্চর্য।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২ | পর্ব – ২৯
দরজার পর্দা সরিয়ে ভেতরে ঢুকে ব্যাগ টা ফ্লোরে রাখলেন।চোখে মুখে হাতে পায়ে পানি চিক চিক করছে,গায়ের শার্ট ঘামে ভিজে লেপ্টে আছে পিঠের সাথে।উনি আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললেন,কি ব্যাপার কাজের নেয়ে ছকিনা দেখছি কাজে খুব ই বিজি আছে নিচে যে এত ডাকাডাকি হলো কাজের জন্য যাওয়া হলো না বুঝি।