#হেমলতা
হেমলতা ট্যাগসহ পোস্টসমূহ।
২৭. আমি পদ্মজা | বিশ্বাসঘাতকতার যন্ত্রণা
মায়ের মৃত্যুর পর তার লেখা এক ডায়েরি থেকে পদ্মজা জানতে পারে, হেমলতা তার অসুস্থতার কথা দীর্ঘ দুই বছর ধরে লুকিয়ে রেখেছিলেন। এই সত্য জানার পর পদ্মজার পৃথিবী যেন দুলে ওঠে। যে মাকে সে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতো, তার এই বিশ্বাসঘাতকতা কি পদ্মজা মেনে নিতে পারবে?
২৬. আমি পদ্মজা | শেষ নিঃশ্বাস
দীর্ঘ আট মাস পর মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে পদ্মজা যখন গ্রামে ফেরে, তখন হেমলতা তাকে চিনতেও পারেন না। মেয়ের আকুল কান্না আর ভালোবাসা কি পারবে হেমলতাকে ফিরিয়ে আনতে? নাকি পদ্মজার চোখের সামনেই তার পৃথিবী, তার মা চিরতরে হারিয়ে যাবে?
২৫. আমি পদ্মজা | শেষ বিদায়
হেমলতা তার জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো তার মেয়েদের সাথে কাটানোর জন্য আকুল। পদ্মজার বিয়ে এবং তার অসুস্থতার খবর শুনে লিখন শাহ যখন ছুটে আসে, তখন হেমলতা তাকে ফিরিয়ে দেন। মেয়ের সুখের জন্য তিনি যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত। কিন্তু পদ্মজার বিদায়বেলায় তার বাঁধভাঙা কান্না কি শুধু বিচ্ছেদের, নাকি অন্য কোনো ভয়ের?
২৩. আমি পদ্মজা | রক্তাক্ত রাতের সাক্ষী
হেমলতার অসুস্থতার খবর পদ্মজার মনকে বিষণ্ণ করে তোলে। এক জ্যোৎস্না রাতে মা ও দুই বোনকে নিয়ে মোর্শেদ যখন নৌকায় ঘুরতে বের হন, তখন এক ভয়ংকর ঘটনার সাক্ষী হন তারা। মাঝনদীতে একটি ট্রলার থেকে সাদা কাপড়ে মোড়ানো একটি লাশ ফেলে দেওয়া হয়। পদ্মজা ঝুঁকি নিয়ে সেই লাশ উদ্ধার করে। এই মৃতদেহটি কার? এর পেছনে কারা জড়িত?
২২. আমি পদ্মজা | মায়ের গোপন সত্য
পদ্মজার বিয়ের রাতে আমির তার প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করে, কিন্তু পদ্মজার মনে শুধু মায়ের জন্য চিন্তা। হেমলতা যখন পদ্মজাকে জানান যে তিনি এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং তার হাতে সময় খুব কম, পদ্মজার পৃথিবী যেন থমকে যায়। মায়ের এই গোপন সত্য কি পদ্মজা মেনে নিতে পারবে?
২১. আমি পদ্মজা | বিদায় বেলায় কান্না
বিয়ের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে যখন বিদায়ের পালা আসে, পদ্মজা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না। মায়ের জন্য তার আকুল কান্না দেখে হেমলতার কঠিন হৃদয়ও গলে যায়। যে মা সবসময় শক্ত থাকার কথা বলেন, মেয়ের বিদায়বেলায় তার বাঁধভাঙা কান্না কি শুধু বিচ্ছেদের কষ্ট, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও কোনো গভীর যন্ত্রণা?
২০. আমি পদ্মজা | বিয়ের আগের রাত
বিয়ের ঠিক আগের দিন বাড়িতে লিখন শাহর অপ্রত্যাশিত আগমনে পদ্মজা ও পূর্ণা দুজনেই বিচলিত হয়ে পড়ে। হেমলতা যখন জানতে পারেন লিখন পদ্মজার জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল, তখন তিনি হতবাক। একদিকে আমিরের সাথে বিয়ের আয়োজন, অন্যদিকে লিখনের আকুতি—এই জটিল পরিস্থিতিতে হেমলতা কোন সিদ্ধান্ত নেবেন?
১৮. আমি পদ্মজা | রক্তাক্ত বিচার
কলঙ্ক থেকে মেয়েকে বাঁচাতে মাতব্বরের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাবে হেমলতা সম্মতি দেন। কিন্তু সেই রাতেই তিনি হাতে রাম দা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ভোরবেলা যখন তিনি রক্তাক্ত রাম দা আর খুনিদের রক্ত মেয়েদের পায়ে ঢেলে দিয়ে বলেন আত্মরক্ষার কথা, তখন বোঝা যায় তার বিচার শুরু হয়ে গেছে। হেমলতা কাদের খুন করেছেন? এই রক্তের শেষ কোথায়?
১৭. আমি পদ্মজা | কলঙ্কের বোঝা
মিথ্যা অপবাদে জর্জরিত পদ্মজাকে যখন গ্রামবাসী টেনেহিঁচড়ে অপমান করছে, তখন তার পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। পূর্ণা আর প্রেমা বোনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে হেমলতার আগমন ঘটে। নিজের মেয়ের এমন বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে তিনি কি নীরব থাকবেন, নাকি তার ভেতরের ঘুমন্ত বাঘিনী জেগে উঠবে?
১৫. আমি পদ্মজা | অপ্রত্যাশিত প্রস্তাব
মেট্রিক পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে হেমলতার মনে এক অজানা আশঙ্কা। এরই মধ্যে পদ্মজার জন্য এক অপ্রত্যাশিত বিয়ের প্রস্তাব আসে, যাতে হেমলতা সম্মতিও দেন। যে মা এতদিন মেয়ের বিয়ের ঘোর বিরোধী ছিলেন, তার এই হঠাৎ পরিবর্তনে পদ্মজা হতবাক। হেমলতার এই সিদ্ধান্তের পেছনে কি কোনো গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে?
১৪. আমি পদ্মজা | সিংহাসনে এক রানি
মেট্রিক পরীক্ষার আগের রাতে পদ্মজার অনুরোধে হেমলতা তার জীবনের এক অজানা, কঠিন অধ্যায় তুলে ধরেন। যে মা সবসময় কঠিন খোলসে নিজেকে আবদ্ধ রেখেছেন, তার মুখে নিজের যন্ত্রণার কথা শুনে পদ্মজা নিজেকে আর সামলাতে পারে না। হেমলতার অতীতে লুকিয়ে থাকা কোন সত্য তার মেয়েকে এভাবে ভেঙে চুরমার করে দেবে?
১৩. আমি পদ্মজা | বাসন্তীর আগমন
বাবার আচরণে পরিবর্তন আর ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়ে পদ্মজার মনে যখন সুখের বাতাস, ঠিক তখনই মোর্শেদের জীবনে বাসন্তী নামের এক নারীর অস্তিত্বের কথা প্রকাশ পায়। বিশ বছরের পুরোনো এই সম্পর্ক হেমলতা কীভাবে মেনে নেবেন? বাসন্তীর ফিরে আসার ইচ্ছে কি মোড়ল বাড়ির সাজানো সংসারে নতুন কোনো অশান্তির জন্ম দেবে?