প্রেম
Discover all the "প্রেম" related stories

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১৩ | অপরাধ স্বীকার
ধরা গলায় বলে ওঠে, “আমি পাপ করেছি পরী।” পরী বিশ্বাস করতে পারে না অভির কথা, আঁতকে ওঠে, “কি?” পরী ওর চুলের মুঠি ধরে অভির মুখ ওপর দিকে করে, সোজা চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে, “কি বলতে চাইছ?” অভির দুগাল দিয়ে চোখের জল গড়িয়ে পরে, চাপা সুরে বলে,”অরুনিমা…” পরী যেন নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারেনা। চুলের মুঠি ছেড়ে দিয়ে চিবুকে আঙ্গুল স্পর্শ করে জিজ্ঞেস করে, “অরুনিমা কি? কি করেছ ওর সাথে?”

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১২ | সর্পকন্যের হাতছানি
নিতম্ব বেশ পুরুষ্টু কিন্তু একটু ছোটো, বয়সের সাথে সাথে বেড়ে উঠবে। ঊর্ধ্বাঙ্গে হাতকাটা বুকে আটা সাদা রঙের গেঞ্জি। নরম বুকের সাথে লিপ্টে আছে আর সুগোল বক্ষ দুটি কে যে ফুলইয়ে দিয়েছে। দুই বক্ষের যেন ছোটো দুই শৃঙ্গ এবং তার ওপরের নুড়ি পাথরের মতন অঙ্গটি বেশ ভালো ভাবে বোঝা যাচ্ছে। মানস চক্ষে অভি দেখতে পায় যে ওর ঊর্ধ্বাঙ্গে ওই গেঞ্জির নিচে কোন অন্তর্বাস নেই।

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১১ | অনধিকার প্রবেশ
কলেজে অরুনার সাথে দেখা হলেই অরুনা হেসে জিজ্ঞেস করত ওর কথা। অরুনা দিনে দিনে অভির চালচলনে পরিবর্তন দেখে মনক্ষুণ্ণ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে অরুনার অভির ওপরে খুব রাগ হয়, কিন্তু অভির মেজাজ দেখে কিছু বলে না। একদিন অভি অরুনাকে বুঝাতে চেষ্টা করে, “দ্যাখ ভাই, আমি অরুনিমার পেছনে পরে নেই, চিন্তা করিস না।” অরুনা ওর দিকে প্রশ্ন ভরা চাহনি নিয়ে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, “তুই নিজেকে জিজ্ঞেস করে উত্তর দিচ্ছিস ত?” অরুনার চোখের চাহনি যেন অভিকে ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিল, “তুই বুকের ওপরে হাত রেখে আমাকে উত্তর দে, আমি বিশ্বাস করে নেব।” অভি পারেনা বুকে হাত রেখে উত্তর দিতে, তাও অরুনাকে শান্ত করার জন্য বলে, “দ্যাখ আমি পরীকেই ভালবাসি। পরীর প্রতি আমার ভালবাসায় কোন ভাটা পরেনি। আমি শুধু এই খেলার শেষ দেখতে চাই, আমি জানতে চাই ওদের মাথায় কি চলছে।”

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১০ | দেবীকথা-অরুন্ধতি
পরী হাঁটু গেড়ে বিছানার ওপরে বসে পরে, অভি ওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরে। পরী খুব আদরে অভির চুলে বিলি কেটে দেয়। অভি ওর কোমর জড়িয়ে ধরে থাকে। দু’জনের বুকের ভেতর এক অনাবিল প্রেমের আলো বিছুরিত হয়, সেই প্রেমে কোন কামনার লেশ নেই, বাসনার লেশ নেই, এ যেন এক সুন্দর ধবধবে সাদা প্রেমের বন্ধন। অভি, “পরী…” পরী, “হুম বল।” অভি, “সুব্রত আর মৈথিলী আমার সাথে অরুনিমার সম্পর্ক তৈরি করার জন্য উঠে পরে লেগেছে।” পরী, “আমি জানি অভি, আর এও জানি সেই জন্য তুমি আজ ওদের বাড়ি যাচ্ছ না। তোমার ওপরে যে আমার অগাধ বিশ্বাস আছে অভি।”

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ৯ | বাঁধা চোখের জল
রাত অনেক হয়ে গেছে, সুব্রত মৈথিলীকে সঙ্গে করে বেড়িয়ে যায় অভির ঘর থেকে। পরী ওদের পেছন পেছন বেড়িয়ে যেতে থাকে। অভি দেখল পরী যে ওর কথা রাখছে না তাই পেছন থেকে পরীর কাঁধে হাত রাখে, ইশারায় বলতে চায় যে তুমি তোমার কথা রাখছ না। পরী কাঁধের ওপর থেকে ওর দিকে মিষ্টি করে তাকায়। সুব্রত আর মৈথিলী কিছুটা এগিয়ে গেল। পরী একটু দাঁড়িয়ে রইল তারপরে ওর দিকে তাকিয়ে ডান হাতের তর্জনী ঠোঁটের সামনে এনে ডগায় আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে ওর দিকে নাড়ে, অভি সেই ছুঁড়ে দেওয়া চুম্বন টাকে বুকের ওপরে মেখে নেয়। ভগ্ন হৃদয়ে পরীর দিকে তাকিয়ে ম্লান হেসে চোখের ইশারায় বলে, “তুমি কথা দিয়েছিলে পরী।” পরী মাথা নেড়ে চোখের ইশারায় জানায়, “এটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাক সোনা।”

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ৬ | অপরিজ্ঞাত যাত্রা
অনেক কিছু পরিকল্পনা করতে হবে। বাবা মাকে কি বলে বের হবে তাঁর চিন্তা, কোথায় যাবে, কি করে যাবে তাঁর চিন্তা, পরীকে কি করে ওর বান্ধবীদের কবল থেকে বার করবে তাঁর চিন্তা। ওর এক সিনিয়ার বন্ধু, সুপ্রতিমদা দিল্লীতে থাকে। … সুপ্রতিমদা, “ধুর বাবা বিয়ে করে কি হবে, টাইম পাসের জন্য ত পাওয়া যায় রে।” দুজিনেই হেসে ফেলল। সুপ্রতিমদা, “তাহলে চিতকুল যাচ্ছিস? কোথায় সেটা?” অভি, “হিমাচলের এক কোনায়, সাঙলা ভ্যালি নামে এক ভ্যালিতে।” সুপ্রতিমদা, “মানালি বা ডালহউসি যেতে পারতিস।” অভি, “না পরীর বান্ধবীরা মানালি যাচ্ছে, পরীর ইচ্ছে আমরা এমন এক জায়গায় যাই যেখানে কেউ থাকবে না। অনেক ভেবে চিন্তে এই জায়গাটা বেছেছি।”

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ২ | মেঘ রোদ্দুর
অভি বাস থেকে নামতেই ওর মা ওকে এককোনে ডেকে নিয়ে যায়। মায়ের ডাক শুনে অভির ত আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হয়ে যাবার যোগাড়। বুকের মাঝে এক ঝড় ওঠে, মা কি বুঝতে পেরে গেল নাকি ওর আর পরীর হৃদ্যতা? …. এই ভাবে এই দুই প্রেমিক যুগল বিয়ের বন্ধনে বেঁধে যায়। অভি মনে মনে ভাবে, “আমি খালি হাতে এসেছিলাম কিন্তু অনেক কিছু নিয়ে যাচ্ছি। আমার ভালবাসা, আমার পরী।”

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১
সতর্কতা: এই গল্পটির মধ্যে কিছুটা প্রাপ্তবয়স্ক কন্টেন্ট এর দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, যদিও সরাসরি কোনো অশ্লীলতা নেই তবুও নিজ দায়িত্বে গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইলো। কেমন দেখতে হবে সেই শুচিস্মিতা যে ওকে কোলে নিয়ে ছোটো বেলায় অনেক খেলা করেছে, শীতের রাতে ওকে জড়িয়ে ধরে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচিয়েছে। এই সব ভাবতে ভাবতে অভি একসময়ে ঘুমিয়ে পড়ল।

ইট পাটকেল | পর্ব – ২৩
(১৮+ সতর্কতা) উত্তরায় বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। আশমিন সেখানে চিফ গেস্ট। সিটি করপোরেশনের মেয়র সহ কয়েকজন এমপি ও সেখানে উপস্থিত আছে। আশমিনের গাড়ি বহর ঢুকতেই সাংবাদিকরা হামলে পরলো। সানভি ড্রাইভারের পাশের সিটে মুখ কুচকে বসে আছে। মেয়ে হলে এতক্ষণে সে কেদে ভাসিয়ে দিত। আশমিনের সেদিকে ধ্যান নেই।

১৬ বছর বয়স | পর্ব – ৪১ (অভিমান)
“আপনার আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।আপনি যান আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজে। এক মাস কেনো এক বছর কাটিয়ে আসুন।” রেগে বললাম আমি। “ওকে। যাব আমি।” শক্ত মুখ করে বলল শাওন। আমি থমকে গেলাম। শাওন বের হয়ে চলে গেল। উনি কি সত্যিই যাবেন নাকি?

১৬ বছর বয়স | পর্ব – ৩৯ (পরিশোধ)
সকালে আগে আমার ঘুম ভাঙলো। শাওন আজও আমাকে পিছন থেকে কোমড় জড়িয়ে ধরে আছে। আমি হালকা ঘাড় ঘুরিয়ে ওনার দিকে তাকালাম। উনি এখনো ঘুমাচ্ছেন।আমি ওনার হাতটা আস্তে করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেই উনি নড়েচড়ে আমার আরো কাছে চলে আসলেন আর সেভাবেই ধরে রইলেন।

১৬ বছর বয়স | পর্ব – ৩৬ (সব প্রশ্নের উত্তর)
আমি থমকে গেলাম আর স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে রইলাম। ‘ও কি আমাকে মেরে ফেলতে চাচ্ছে!’ আমি চোখমুখ শক্ত করে বন্ধ করে নিলাম। কিন্তু সুইটি আমার একদম সামনে এসে ব্রেক কষে থেমে গেল।