আকাশের মাথায় যত বুদ্ধি ছিল সব খরচ করেও এই সমস্যার সমাধান করা গেল না।তার কারন হল নাবিল যা বলছে সেটাও ঠিক বিয়ের আগের দিন এসে বিয়ে ভেংগে দেয়া যায় না।বিয়েটা ভেংগে গেলে সবটা দোষ নাবিলের ঘাড়ে পড়বে…সবাই ওকে দোষারোপ করবে।
আকাশঃ না আমি নাবিলকে এতটা অপমান হতে দিতে পারি না কিন্তু মেঘলা… আমি যে ওকে ভালবাসি নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসি। আজ নিজের জিদের জন্য ওকে সারাজীবনের জন্য হারাতে হবে? না আমি তা হতে দিব না কিছু একটা আমাকে করতেই হবে।
আকাশ অনেক ভেবে চিন্তে সিধান্ত নিল অবনীকে রিকুয়েষ্ট করবে যেমন ভাবনা তেমনি কাজ রাত ১ টা বাজে তবুও আকাশ অবনীর দরজায় নক করল।
ঠিক সেই সময় মেঘলা ছাদ থেকে নেমে নিজের ঘরে যাচ্ছিল আকাশকে অবনীর ঘরের সামনে দেখে মেঘলা দাঁড়িয়ে গেল।
আকাশ মেঘলাকে দেখে নি…
অবনী দরজা খুলল,
আকাশ মিষ্টি হেসে বলল আসতে পারি…
অবনীও হেসে হেসে আকাশের হাত ধরে বলল নিজের বউ এর ঘরে আসবে এটা আবার জিজ্ঞাস করার কি আছে বলেই আকাশ কে ঘরে নিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল।
এই দৃশ্যটা মেঘলাকে কাঁদানোর জন্য যথেষ্ট..
মেঘলাঃ আকাশ তুমি এতটা বদলে যেতে পারলে আজ মেঘলা তোমার কেউ না তাই না সব ভুলে যেতে পারলে আকাশ…??? যা বুঝার সব বুঝে গেছি তুমি আমাকে শাস্তি দিতে নয় বরং নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করছো আসলে আমাকে তোমার আর ভাল লাগছে না তাই নতুন খোঁজে নিয়েছো..ঠিক আছে তুমি যদি আমি কেন পারব না আমিও পারব আকাশ আমি আবিরেরই বউ হব.. চোখ মুছতে মুছতে মেঘলা চলে গেল।
এদিকে,
আকাশঃ আমি কি তোমাকে বিরক্ত করলাম?
অবনীঃ না না একদমি না কি বলবে বলো না..
আকাশঃ কিভাবে শুরু করব বুঝতে পারছিনা
অবনীঃ কিছুক্ষন পরেই তুমি আমার বর হতে চলেছো এখুনো এত সংকোচ কিসের বলো না কি বলবে…
আকাশঃ অবনী আমি বিয়েটা করতে পারব না
অবনীঃ এসব তুমি কি বলছো…
আকাশঃ আমি মেঘলাকে ভালবাসি
অবনীঃ মানে কি তাহলে এতদিন আমার সাথে এমন কেন করলে বিয়েটাই বা ঠিক করলে কেন?
আকাশঃ আমি বুঝতে পারি নি নাবিল সত্যি সত্যি বিয়ে ঠিক করবে..
অবনীঃ এটা কি ছেলে খেলা নাকি? আজ আমার বিয়েটা ভেংগে গেলে আমি সমাজে মুখ দেখাব কি করে?তোমরা আমার সাথে এমন টা করতে পারো না।যাই হোক তুমি আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দাও নি তাই তোমাকে আমার কিছু বলার নেই কিন্তু নাবিল…??? ও আমাকে রীতিমতো জোড় করে বিয়েতে রাজি করিয়েছিল তাই আমার যা বলার নাবিলকেই বলব নাবিল আমার সাথে এমন টা কেন করল জানতে চাইব।আজ যদি আমার বিয়ে ভাংগে ওর টাও ভাংবে সমাজে এখনো আইন আছে।আমি তো এই অপমান কিছুতেই মেনে নিব না।
আকাশঃ না না তুমি নাবিল কে কিছু বলো না প্লিজ ও খুব রাগি তুমি ওকে দোষারোপ করলে কোন অঘটব ঘটিয়ে ফেলবে।
অবনীঃ তাহলে আগে যা হয়েছে ভুলে যাও এমন ২,১ টা প্রেম সবারেই থাকে এসব ব্যাপার না মেঘলা যেমন আবির কে বিয়ে করছে তুমিও তেমনি আমাকে করবে…
আকাশের আর কিছু বলার থাকল শেষ আশার আলোটাও নিভে গেল…আকাশ আর কিছু না বলে চলে গেল।
রাত রাতের মত পার হচ্ছে ঘুম নেই আকাশ মেঘলা নাবিল কারোর চোখেই ৩ জনেই মানুষিক যন্ত্রনায় আছে।
পার হয়ে গেল সময়,দেখতে দেখতে বিয়ের সময় হয়ে গেছে।
নাবিল আকাশের ঘরে গেল…
নাবিলঃ যানি না তোকে আমার কি বলা উচিত কিন্তু আমি এমনটা চাই নি আকাশ যা করার তুই করেছিস আমি কখনোই তোর কান্নার কারন হতে চাই নি আকাশ কিন্তু জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন আমরা সবাই অসহায় হয়ে যাই… আমি না তো মেঘলার মুখের দিকে তাকাতে পারছি না তো তর আমি কি করব আকাশ তুই বলে দে…
আকাশঃ না নাবিল তোর কোন দোষ নেই সবটাই আমার দোষ আমিই মেঘলার সাথে জেদ দেখাতে গিয়ে ভুল করে ফেলেছি সেই ভুলের মাসুল তো দিতেই হবে…চিন্তা করিস না মেঘলা আবিরের সাথে ভাল থাকবে আমি কখনো মেঘলাকে বুঝি নিরে তাই তো উপড়ওয়ালা ওকে আমার কপালে ওকে লিখে নি।
নাবিলঃ সত্যিকারের ভালবাসা গুলি এভাবেই বাস্তবতায় হারিয়ে যায় পারলে আমাকে ক্ষমা করিস আকাশ… আর একটা কথা মেঘলার সাম নে তুই এমন কিছু করিস না যাতে ও বুঝে যায় তুই বিয়েতে রাজি না।যদি একবার ও বুঝে যায় ওকে সামলানো যাবে না।তুই নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করছিস এটা জানলে হয়ত জেদে আবিরকে বিয়ে করে নিবে।
আকাশ কিছু না বলে মাথা নিচু করে সম্মতি জানালো।
নাবিল নিজেই আকাশকে রেডি করে নিচে নিয়ে গেল।
আকাশ,নাবিল,আবির বর সেজে বসে আছে। আত্মীয় স্বজন সবাই চলে এসেছে। সবার গার্জিয়ানরা কাজি সবাই আছেন। এবার পাত্রীদের ডাক পড়ল।
৩ জনেই একসাথে আসছে তাদের মধ্যে আকাশের নজর একজনের দিকেই।
মেঘলা পিংক লেগেংগা পড়েছে সাথে ম্যাচিং দোপাট্টা ভারী মেকাপ, হরিণটানা চোখে কাজল পড়েছে ঠোঁটে পিংক লিপস্টিক, হাত ভর্তি চুড়ি,গলায় ভারী নেকলেস মাথায় টিকলি মেঘলাকে একদম পরীর মত লাগছে।
মেঘলাকে এই সাজে দেখে আকাশের চোখ থেকে ২ ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল সবার নজর এড়াতে আকাশ নিজের দিকে মুখ করে নিল।
আকাশঃ এই সাজে তোকে আমি আমার পাশে দেখতে চেয়েছিলাম মেঘলা ভাগ্যের পরিহাস আর নিজের ভুলে আজ তুই অন্যকারো পাশে এর চেয়ে বড় শাস্তি কি পৃথিবীতে আছে?
মেঘলাঃ আজ আমি বউ সেজেজি আকাশ হ্যা যেভাবে একটা বউ সাজে ঠিক সেভাবেই সেজেজি আমার মুখে হাসিও আছে কিন্তু আমার ভিতরে কি হচ্ছে তুমি কি বুঝতে পারছো না আগে তো তোমায় কিছু বলে বঝাতে হত না আজ কেন সব বদলে কেন? আজ কেন আমার কান্না তোমায় স্পর্শ করছে না আকাশ (মনে মনে)
মেঘলা এসে আবিরের পাশে বসল বাকিরাও বসেছে।এবার রেস্ট্রি পেপারে সাইন করার পালা প্রথমেই নাবিল সাইন করল। নাবিলের বিয়ের সাক্ষি হিসেবে মেঘলা,আকাশ,আবির সাইন করেছে।এবার আকাশের পালা।
মেঘলাঃ না আকাশ সাইন করোনা এখনো সময় আছে একটা বার বলো তুমি মেঘলাকে ভালবাসো বলো আকাশ প্লিজ বলো আমাকে এভাবে পর করে দিও না জান আমাদের এতদিনের ভালবাসাকে মিথ্যে করে দিও আকাশ (মনে মনে)
আকাশ নাবিলের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। নাবিল আকাশের চোখের দিকে তাকাতে পারছে না।
নাবিলঃ আজ নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হচ্ছে রে আকাশ আমাকে আর অপরাধি করিস না সাইন কর।
আকাশ কাঁপাকাঁপা হাতে সাইন করে দিল।
মেঘলাঃ ভাইয়া আমি ওদের বিয়ের প্রথম সাক্ষি হতে চাই..
নাবিলঃ সম্মতি দিল।
অবনীর সাইনের পর মেঘলা সাইন করে দিল।
ঠিক তেমনি আবির আর মেঘলার বিয়েও হয়ে গেল।
বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু ৩ দম্পতি কারোর মুখেউ হাসি নেই পেরিয়ে গেল কিছুটা সময়।
আকাশ আর নাবিল ছেলে তাই তাদের বিদায় এর কোন ব্যাপার নেই কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মেঘলার বিদায় ঘন্টা বেজে গেল।
আবিরঃ নাবিল ভাই এবার আমাদের বিদায় দাও আমার আত্মীয়রা অপেক্ষা করছে।
নাবিল মাথা নেড়ে বলল হুম…
অবনী আর সামিরা নতুন বউ তাই তাদের নিজেদের ঘরে দিয়ে আসা হয়েছে। আকাশ এখানেই আছে আবির মেঘলা সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিল আকাশ নিজেকে কন্ট্রোল করার আপ্রান চেষ্টা করছে।কারন সে চায় মেঘলা আবিরের সাথে যেন সুখি হয়।
মেঘলা চলে যাচ্ছিল কিন্তু ২ পা এগিয়ে গিয়ে আবার ফিরে এসে আকাশের মুখোমুখি দাঁড়াল।
আকাশ,নাবিল,আবির ৩ জনেই বুঝতে পারল মেঘলা আকাশকে অপমান করবে।করাটাই স্বাভাবিক তাই কেউ বাঁধা দিল না।
মেঘলা নিজের হাত উঁচু করে আকাশকে উদ্দেশ্য করে বলল দেখো আকাশ আজ আমি চুড়ি পরেছি পিংক ড্রেস পরেছি সেজেছিও। আমি আমার কথা রেখেছি আকাশ তুমি ঠিক যেভাবে চেয়েছিলে ঠিক সেভাবেই সেঝেছি কিন্তু তুমি তোমার কথা রাখো নি.. একদিন তুমিই বলেছিল এভাবে সাজিয়ে আমাকে নিজের ঘরে নিয়ে যাবে কিন্তু আজ তুমি আমাকে অন্যের বাসরে পাঠাচ্ছো কেন করলে গো একবার বলবে প্লিজ..আমার যে কষ্ট হচ্ছে তুমি কি বুঝতে পারছো না?
দেখো আকাশ আমি চলে যাচ্ছি, দেখতে পাচ্ছো কি তুমি? আমি চলে যাচ্ছি এই বোকা মেঘলা আর কখনও আকাশের সামনে ভুল করবে না। ভুল করার পরে মেঘলা আর কখনো আকাশের বুকে মুখ লুকিয়ে বলবে না তোমার জন্যেই তো করেছি ক্ষমা করে দাও না প্লিজ। তোমার সাথে অভিমান করে আর কেউ গাল ফুলাবে না।
হাজার অপমানের পরে এসে বলবে না তোমাকেই ভালবাসি।তুমি ব্যাথা পেলে কেঁদে কেঁদে আর কেউ বালিস ভিজাবে না।
তোমার কাছে অযথা বোকা বোকা আবদারও কেউ করবে না আকাশ।
হ্যা জানি আমি বোকা আসলেই বোকা ছিলাম তাই খুব জ্বালিয়েছি তোমাকে। কিন্তু আজ তোমাকে কথা দিয়ে যাচ্ছি মেঘলা আর কখনো বোকামি করবে না পারলে ক্ষমা করে দিও প্লিজ। জীবনে শেষ বার ক্ষমা চাইলাম।
আচ্ছা আকাশ সবশেষে একটা প্রশ্নের জবাব দিবে? ১ বা ২ না গুনে গুনে বারোটা বছরের ভালবাসাকে মিথ্যা করে দিয়ে তুমি খুশি তো?বলো না খুশি হয়েছো তো?
এতক্ষন মেঘলা কাঁদতে কাঁদতে শান্ত ভাবে কথা বলছি কিন্তু এবার চিৎকার করে উঠল আর আকাশের কলার টেনে ধরল। জবাব দাও আকাশ খুশি হয়েছো তো? যানো যখন সাইন করছিলে বার বার প্রার্থনা করছিলাম যেন সাইন না করো আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে তুমি আমাকে ছাড়া অন্যকারো হতে পারো বারবার মনে হচ্ছিল এই বুঝি তুমি বলবে আমি এই বিয়ে করব না আমি মেঘলাকে ভালবাসি। কিন্তু আমাদের ভালবাসা এই যুদ্ধে জিততে পারল না হেরে গেল কারন
তুমি বলো নি মেঘলাকে তুমি ভালবাসো… চোখের সামনে দেখতে পেলাম আমাদের এত বছরের ভালবাসার মৃত্যু হল।
কেন এমন করলে আকাশ?আমাদের এতদিনের ভালবাসা কে তুমি কেন হারিয়ে দিলে ? জবাব দাও…আকাশকে মারতে মারতে কথাগুলি বলছিল মেঘলা নাবিল আর আবির এসে আকাশকে মেঘলার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিল।
আকাশ কিছুই বলছে না জীবন্ত লাশের মত দাড়িয়ে আছে।আর মেঘলার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
নাবিল আকাশকে ধরে বলল আবির মেঘলাকে নিয়ে যা…
আবির তাই করল মেঘলাও বাধা দিল না আবিরের সাথে যেতে লাগল কিন্তু যেতে যেতে অশ্রুমাখা চোখে বারবার ফিরে ফিরে আকাশকে দেখছিল…
মেঘলা গাড়িতে উঠে জানলা দিয়ে মুখ বের করে তাকাতেই আকাশের ধর্য্যের বাঁধ ভেংগে গেল সে নাবিলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে দৌড়ে গিয়ে মেঘলাকে টেনে গাড়ি থেকে নামিয়ে এনে জড়িয়ে ধরল…
এতক্ষন পর আকাশের মুখ থেকে কথা বের হল আর চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।
আকাশ মেঘলাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চেঁচিয়ে বলে উঠল মেঘলা কোথাও যাবেনা।
আমি এই বিয়ে মানি না মেঘলাকে আমি কোথাও যেতে দিব না মেঘলা শুধু আমার আর কারো না।আমি বেঁচে থাকতে মেঘলা অন্যকারোর হতে পারে না। আমাদের এতদিনের ভালবাসার চেয়ে একটা কাগজের দাম কিছুতেই বেশি হতে পারে না আমি এই বিয়ে মানি না
এবার আকাশ মেঘলা কে ছেড়ে দিয়ে মেঘলার সামনে হাটু ঘেরে বসে ২ হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল আমাকে ছেড়ে যাস না মেঘলা প্লিজ।তুই যা শাস্তি দিবি আমি সব মেনে নিব শুধু আমাকে রেখে যাস না। তোকে ছাড়া আকাশ বাঁঁচবে নারে মেঘলা….
যানি ভুল করেছি অন্যায় করেছি তারপরেও তোর সামনে ২ হাত বাড়িয়ে ভিক্ষা চাইছি আমার মেঘলাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিস না…ওকে ভিক্ষা দে আমায়।আকাশের ২ চোখে অঝোর ধারায় অশ্রু ঝরছে
নাবিল এসে আকাশকে টেনে তুলল।
নাবিলঃ উঠ আকাশ পাগলামি করিস না মেঘলার বিয়ে হয়ে গেছে তোরও বউ আছে।তোর বউ ঘরে তোর জন্য অপেক্ষা করছে মেঘলাকে যেতে আকাশ।
আকাশঃ কিসের বউ কিসের বিয়ে আমি এই বিয়ে মানি না শুনতে পাস নি? মেঘলা শুধু আমার…ওকে আমি যেতে দিব না।
নাবিল আকাশকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল আবির মেঘলাকে নিয়ে যা।
আবির মেঘলাকে নিয়ে চলে যাচ্ছে…
আকাশ নাবিলের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য ছটফট করছে…
আকাশ জোরাজোরি করতে করতে বলছে নাবিল ছাড় আমাকে, প্লিজ ছাড়…
মেঘলা যখন চলে যাচ্ছে আর নাবিলো আকাশকে ছাড়ছে না তখন আকাশ শান্ত হয়ে বলল,
সারাজীবন আমার সকল বিপদে আমার পাশে ছিলি নাবিল।আমার জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত বাজি রেখেছিস আর আজ আমার কাছ থেকে আমার আত্মাটা নিয়ে চলে যাচ্ছে তুই কি দেখতে পাচ্ছিস না দোস্ত? আবির আমার মেঘলা কে নিয়ে যাচ্ছে তবুও তুই কিছু বলবি না নাবিল? চুপ করে থাকবি?
কেউ না জানুক তুই তো জানিস মেঘলা আমার কি… তোর কাছে হাতজোড় করছি নাবিল মেঘলাকে নিয়ে যেতে দিস না কিছু একটা কর নাবিল আমার মেঘলাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দে।
নাবিলের মুখে কথা নেই কারন সেও আজ অসহায় নাবিল নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
আকাশ চিৎকার করে বলছে মেঘলা যাস না প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাস না।
দেখতে দেখতে মেঘলার গাড়ি অন্ধকারে মিলিয়ে গেল।আকাশ রাস্তায় বসে কাঁদছে নাবিল পাশেই দাঁড়িয়ে আছে।