পরিজান

সময়কাল ২০০৮,
সিমেন্টের মলাটে আবৃত খাতাটা বন্ধ করে মুসকান। দীর্ঘশ্বাস ফেলে টেবিল থেকে উঠে দাঁড়ায়। চোখের চশমাটা খুলে খাতাটা আগের জায়গায় রেখে কক্ষ ত্যাগ করে রান্নাঘরে আসে। শোভন এসে মায়ের কাছে আবদার করে সে নুডুলস খাবে। তাই সে চুলায় গরম পানি করতে দিল। অপর চুলাতে চা বসিয়ে দিল। আগে নুডুলস রান্না করে তারপর চা বানিয়ে ছেলের কাছে নিয়ে এল। একটু ফুসরত পেল না সে। কলিং বেলের শব্দে সে আবার সেদিকে গেল। দরজা খুলে দেখতে পেল ঘর্মাক্ত ক্লান্ত পুরুষটিকে। হাতের এপ্রোন টা মুসকানের হাতে দিয়ে পুরুষটি ঘরে ঢোকে। বাথরুম থেকে পরিপাটি হয়ে বের হতেই মুসকান প্রশ্ন ছোঁড়ে,’নূরনগর গ্রামটিকে তুমি চেনো নাঈম?’
সচকিতে তাকালো নাঈম,’কেন বলতো?’

‘গত সপ্তাহে আমি একটা ইন্টারভিউ নিতে জমিদার বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে একটা ঘরে একটা খাতা পেলাম। সেটাই আজ সময় করে পড়েছিলাম।’

ঘাবড়ালো নাঈম। চোখ লুকানোর চেষ্টা করল মুসকানের থেকে। সেটা বুঝতে পেরে মুসকান নাঈমের হাত ধরে টেনে তার পাশে বসলো,’ক্লান্ত তুমি,এই বাহানা দিও না। আমাকে বলো জমিদার কন্যা পরী এখন কোথায়? আর তার স্বামী সেহরান শায়ের ই বা কোথায়? কি হয়েছিল তার পরিবারের?’

-‘আমি জানি না মুসকান।’
-‘জানতাম মিথ্যা তুমি বলবে। নাঈম তুমি সব জানো। ওই খাতায় সর্বশেষ পরী তোমার নাম লিখেছে। তুমি কি সব বলবে নাকি কাল আমার নিউজ পেপারে আমি পরীর লেখা খাতাটা পাবলিশ করব?’

-‘এটা করো না মুসকান। পরীর নিষেধাজ্ঞা আছে।’

-‘তাহলে সব বলো আমাকে?’
-‘তোমাকে সব শায়ের বলতে পারবে। পরী একমাত্র শায়ের কেই সব সত্য বলার অনুমতি দিয়েছে।’

-‘সে এখন কোথায়? তার সাথে দেখা করব কীভাবে?’

নাঈম চুপ রইল কিছুক্ষণ। দেখে মনে হল সে অনিচ্ছুক কথাটা বলতে। অতঃপর নিরবতা ভেঙে সে বলে,’আর তিনদিন পর তার ফাঁ*সি হবে।’

নির্বাক হয়ে গেল মুসকান। সে কি সত্যি শুনছে? নাকি তার শ্রবণশক্তি লোপ পেয়েছে?তিনদিন পর শায়েরের ফাঁ*সি!! এতকিছু কীভাবে হল? এর মধ্যে হয়তো কোন সত্য লুকানো আছে। সে জিজ্ঞেস করে,’কি বলছো তুমি নাঈম? সত্যি তার ফাঁ*সি? কিন্ত কেন?’

-‘তুমি সব প্রশ্ন তাকে করলেই পাবে। আমি সব জানলেও আমার হাত পা বাঁধা।’

-‘সেহরান ভালোবাসে পরীকে!! আর সেই সেহরানের ফাঁ*সি হবে? কোথাও ভুল হচ্ছে নাঈম। তুমি তো সব জানতে তাহলে তুমি কেন কিছু করলে না?’

-‘আমার জানা নেই সেহরান কেমন ভালোবাসে পরীকে।’
কথাটাতে মিশে আছে হিং*সা। তা বুঝতে বেগ পেতে হলো না মুসকানের। তবে এই হিং*সার কারণটা কি?
নাঈমের পুরুষালী মনে কেন এই হিংসার সৃষ্টি?

-‘তুমি না জানলেও আমি বুঝতে পারছি। নাঈম মেয়েটার চেহারা ঝলসে গিয়েছিল আগুনে!! তারপরও সেহরানের ভালোবাসা একটুও কমেনি। সৌন্দর্য তার কাছে কোন কিছু না। মানুষ টাই সব। আমি যেটুকু জানতে পেরেছি এতে বেশ বুঝতে পারছি পরী আর সেহরানের সাথে অতীতে ভাল কিছু হয়নি। আমাকে তিনদিনের মধ্যে সব সত্য জানতে হবে। আমি সেহরান কে বাঁচাব এবং তার পরীর কাছে ফিরিয়ে দেব।’
নাঈম এবার রেগে গেল ভিশন। সে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,’সেহরান সেহরান সেহরান,মাথা খারাপ করো না। যা বলার সেই বলবে তোমাকে। সাভার থানায় গিয়ে দেখা করে নিও। ওর হাতে বেশি সময় নেই।’

মুসকানের হাত পা কাঁপতে লাগল। না জানি শায়ের এখন কোন পরিস্থিতিতে আছে। পেশায় মুসকান একজন সাংবাদিক। সেই সুবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে
যায় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। যা পরবর্তীতে ওদের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নূরনগরের পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ির তথ্য সংগ্রহ করতে সে গত সপ্তাহে গিয়েছিল। মুসকান জানতে পারে নাঈম প্রায় দশ বছর আগে সেখানে গিয়েছিল। এজন্য মুসকানের আগ্রহ বেশি ছিল। তাই নিজের দলের সাথে অভিযানে নেমে পড়ে সে। সেখানে পরীর ঘরে একটা খাতা তার চোখে পড়ে। খাতাটা খুলে সে সোনালীর লেখা গুলোর কিছুটা পড়েছিল তবে সম্পূর্ণ পড়তে পারেনি। তাই খাতাটা লুকিয়ে সে নিয়ে এসেছে। শুধু সোনালী নয়,রুপালি এবং পরীর লেখাও আছে। যা সম্পূর্ণ পড়তে গিয়ে অসংখ্যবার চোখ মুছেছে সে। সে ভেবেছিল নাঈম এই ঘটনার আংশিক জানে কিন্ত সে ভুল। নাঈমের কথা শুনে এখন সে বুঝতে পারছে নাঈম নিজেও এই বিষয়ে জড়িত। ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য শায়েরের সাথে তার দেখা করা জরুরি। শায়ের ঠিক কতটা দো*ষী তা সে জানতে চায়।
শোভন মুসকানের কাছে এসে বলে,’আম্মু আমার ঘুম পেয়েছে।’
মুসকান শোভন কে নিয়ে তার ঘরে গেল। খুব যত্নে শোভন কে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে সে নিজ ঘরে ফিরে এলো। কপালে হাত রেখে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে নাঈম। ঘুমায়নি সে। মুসকান তার পাশে গিয়ে বসে,’শোভন কে নাঈম?’
হঠাৎই কারো গলার স্বর শুনে চমকে তাকায় নাঈম। মুসকানের দিকে সে তাকিয়ে থাকে। মুসকান আবার বলে,’পিকুলই কি আমাদের শোভন?’
নাঈম মাথা নাড়ল। শান্ত দৃষ্টি মুসকানের,’একটা মানুষ এতো ভালোবাসতে পারে তা আমার ভাবনায় কখনও আসেনি নাঈম!!! সোনালীর জীবন দূর্বিষহ ভাবে কেটেছে। রুপালির ও তাই কিন্ত পরী তার জীবনে সবচেয়ে সেরা মানুষ টাকে পেয়েছে। এতো নিখুঁত ভালোবাসা আমি এই প্রথম দেখেছি।’

নাঈমের রাগ যেন কমে এলো,’শায়েরের কথা শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারবে তো?’

-‘এই সেই পুরুষ যে কথা দ্বারা নারীর মন ভাঙতে সক্ষম কিন্ত পরীর মন সে শুধু গড়েছে নতুন ভাবে। আমার দেখা করা উচিত তার সাথে।’

নাঈম বিপরীতে কথা বাড়ায় না। মুসকান সারারাত দুচোখের পাতা এক করতে পারে না। কখন সে শায়েরের সাথে দেখা করতে যাবে সেই আশায়। রাতটা যেন কয়েক যুগ মনে হচ্ছে তার কাছে। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটে সূর্যের আগমন ঘটলো ধরণীতে। তৈরি হয়ে সে শোভন কে সাথে নিয়ে বের হলো। পথে শোভনকে স্কুলে দিয়ে আসবে।তারপর সাভার যাবে। নাঈম নিজেও চেম্বারে যাওয়ার জন্য বের হলো। মুসকান কে দেখে সে বলল,’সেহরান কে তোমার পরিচয় দিও। নাহলে কিন্ত তোমাকে সে কিছুই বলবে না।’

কথা শেষ করে নাঈম চলে গেল। মুসকান শোভন কে স্কুলে দিয়ে সাভারের উদ্দেশ্য রওনা হলো। এই সকালেও রাস্তায় জ্যাম। কর্মজীবিরা নিজ নিজ কর্মে বেরিয়ে পড়েছে। রোদের তাপে ঘেমে একাকার হয়ে সাভার থানায় পৌঁছালো সে। একজন কনস্টেবল কে ডেকে জিজ্ঞেস করল শায়েরের কথা। অপেক্ষা করতে বলে কনস্টেবল চলে গেল ভেতরে। মুসকান বসে রইল। বেশ কিছুক্ষণ পর তার ডাক পড়ল। নিঃশব্দে সে অফিসারের কেবিনে প্রবেশ করল। মুসকান বুঝতে পারে অফিসারের নাম নুরুজ্জামান শেখ। নেইমপ্লেট দেখে বুঝল সে। অফিসার হাতের ফাইল টেবিলে রেখে মুসকানের দিকে তাকাল, ‘আপনি কেন একজন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীর সাথে দেখা করতে চান? কি হয় সে আপনার?’

-‘আসলে আমি একটা আর্টিকেল লিখতে চাইছি যেটা নূরনগরের জমিদার বাড়ি নিয়ে। তো সেই বাড়ির সাথে সেহরানের সম্পর্ক আছে তাই আমি তার সাথে দেখা করতে চাইছি।’

-‘কিন্তু আমাদের তো অনুমতি নেই তার সাথে কারো দেখা করতে দেওয়ার।’
-‘আমি একজন সাংবাদিক তাই আপনাদের উচিত আমাকে আমার কাজটা করতে দেওয়া। নাহলে জানেনই তো নিউজ পেপারে ভুলভাল তথ্য ছাপাতে আমরা একদমই সময় নেই না। হতে পারে কালকের ব্রেকিং নিউজ আপনাকে ঘিরেই হতে পারে।’

অফিসার হাসে। সত্যিই এই সাংবাদিকদের কোন তুলনা হয় না। বাড়িতে যদি চুলায় ভাত বসানো হয় তাহলে তারা সেটা খবরের কাগজে ফুটিয়ে প্লেটে পরিবেশন করে দেবে। তবে মুসকান তার পূর্ব পরিচিত। কোন এক ইন্টারভিউ তে দেখা হয়েছিল তার। তাই তিনি বেশি কিছু বললেন না। মুসকান কে নিয়ে চলল যে সেলে শায়ের কে রাখা হয়েছে। চোখের চশমাটা ঠিক করে চারিদিক দেখতে দেখতে সে নুরুজ্জামানের পিছন পিছন গেল। চলতে চলতে সে জিজ্ঞেস করে,’ঠিক কি কারণে সেহরানের ফাঁ*সি হচ্ছে?’

-‘জমিদার আফতাব তার ভাই আখির,তাদের কয়েক জন কর্মচারী এবং আফতাবের কন্যা রুপালিকে হ*ত্যা*র দায়ে তার ফাঁ*সি হচ্ছে।’
পা দুটো আপনা আপনিই থেমে যায় মুসকানের
মুসকান আর কিছু জিজ্ঞেস করে না। মনের সব প্রশ্ন সে শায়েরের জন্য সাজাতে লাগল। সে আবার হাটতে লাগল। কয়েকটি গলি পেরিয়ে নুরুজ্জামান একটি সেলের সামনে এসে দাঁড়াল। যেখানে আলো বাতাস কিছুই প্রবেশ করতে পারে না। ভেপসা গন্ধ আসছে সেখানে। মুসকান ও সেখানেই দাঁড়াল। নুরুজ্জামান লোহার শিকে হাত রেখে শায়ের কে ডাকে,’সেহরান তোমার সাথে একজন দেখা করতে এসেছে।’
কিন্ত সে কোন প্রকার সাড়া দিল না। নুরুজ্জামান কয়েক বার ডাকল কিন্ত শায়ের আসল না। দরজার তালা খোলা নিষিদ্ধ। তাই মুসকানকে সে বলে উঠল, ‘এর বেশি আমি কিছু করতে পারব না। শায়ের ইচ্ছা হলে আসবে নাহলে নাই।’

-‘তাহলে আপনি চলে যান আমি সব সামলে নেব।’

নুরুজ্জামান থাকতে চাইলেন কিন্ত মুসকান তাতে বাঁধা দিল। অতঃপর তাকে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিল। মুসকান অন্ধকারে শুধু শায়েরের অবয়ব দেখতে পাচ্ছে। সে নিম্নস্বরে বলল,’দেখুন আপনি আমাকে চিনবেন না। আমি মুসকান,নাঈমের স্ত্রী। আমি পরীর ব্যাপারে আপনার সাথে কথা বলতে চাই। দয়া করে সামনে আসুন। আপনার সাথে জরুরী কথা আছে।’

এবার ও আশানুরূপ কোন জবাব সে পেল না। হতাশ হয়ে মুসকান দাঁড়িয়ে রইল। কিছুক্ষণ পর লোহার শিকল টানার শব্দ পেল সে। দেখার চেষ্টা করলো ভেতরের দৃশ্য। শায়ের এগিয়ে এসে শিকে হাত রাখে। মুসকান অবাক চোখে শায়ের কে দেখে। এটা সেই প্রেমিক পুরুষ যে তার ভালোবাসার জন্য পুরো দুনিয়ার বিরুদ্ধে যেতে প্রস্তুত। পুরো পৃথিবীকে পায়ে ঠেলে সে পরীর সামনে হাজির থাকে। যার কাছে পরীর সৌন্দর্যের থেকে পরীই ঊর্ধ্বে। মুসকান ভাবতেও পারেনি সে এই পুরুষ টির সামনে আসবে তাও এত তাড়াতাড়ি!! পরীর খাতায় লেখা তার মালি সাহেবের বর্ণনা মনে পড়ল মুসকানের। সেই মায়াময় চেহারা। সুদীর্ঘ পল্লব বিশিষ্ট আঁখি যুগল যা সুরমা দ্বারা এখনও বেষ্টিত। মুসকান কিছুক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে দেখতে লাগে শায়ের কে। লোহার শিকল দিয়ে আবৃত দেহখানা ধুলো বালিতে পরিবেষ্টিত। চুলগুলো উসকো খুসকো। মুখ ভর্তি দাড়ি। অদ্ভুত প্রাণীর মত দেখাচ্ছে তাকে। শায়ের মুসকান কে বলে,’ডাক্তার বাবুর স্ত্রী বলেই আপনাকে একটুখানি দর্শন দিলাম। তবে এখন আপনি আসতে পারেন।’

মুসকান বাঁধা দিয়ে বলে,’দয়া করে যাবেন না। আমি পরীর খাতায় ওর লেখা পড়েছি। সবকিছু সেখানে লেখা নেই। সম্পূর্ণটা আপনিই ভাল বলতে পারবেন। আমি জানতে চাই মুখ আগুনে ঝলসানোর পর কি হয়েছিল পরীর সাথে!’

-‘পরীজানের খাতা আপনার কাছে?’

মুসকান শায়েরের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলে, ‘সেহরান শায়ের!! পরীর মালি সাহেব!! কিন্ত সেহরানের পরীজান! সে কোথায় এখন? তার মালি সাহেবের এই অবস্থায় সে আসবে না।’

মৃদু হাসে শায়ের। মুসকান সেই হাসির মর্মতা বুঝতে পারে না। এতক্ষণ চুপ থেকে শায়ের মুখ খোলে,’পরীজানের ব্যাপারে কতটুকু জানেন আপনি?’
-‘তাহলে সে কেন আপনার কাছে আসল না?’

-‘সে তো আমার কাছেই আছে। আমার অস্তিত্বে মিশে আছে সে। স্বয়ং আল্লাহ ও চায় না আমাকে পরীজানের থেকে আলাদা করতে।’

-‘দুনিয়াতেই তো আপনারা আলাদা রয়েছেন। এখন তো আপনার কাছে পরী নেই।’

আবারও হাসে শায়ের। তবে তার এবারের হাসির প্রগাঢ়তা অনেক। সে বলে,’হাসছেন যে?’

-‘আমরা দুনিয়াতে আলাদা নই,আমাদের দুনিয়াই আলাদা।’
নড়ে দাঁড়ায় মুসকান। পরী ঠিকই বলেছে, এই পুরুষটির সাথে কথায় হার মানতে হবে। মানুষ কে কথার জালে আটকাতে পারে সে।
-‘কেমন দুনিয়াতে আছেন আপনারা?’

-‘একটা ছোট্ট দুনিয়া। যেখানে নেই কোন বিশাল সাম্রাজ্য নেই কোন হিং*স্র*তা। যেখানে হবে না কোন যু*দ্ধ র*ক্তা*র*ক্তি। থাকবে শুধু সেহরান আর পরীজানের ভালোবাসার সংসার। ছোট্ট একটা কুটির থাকবে যেখানে দিন শেষে ফিরে পরীজানের দর্শন পাব আমি। একটা পবিত্র মুখের দর্শনের আশায় আমি যে সবসময় ছটফট করি। আমরা এখন যে দুনিয়ায় বসবাস করছি তা এখন বারবার অপবিত্র হচ্ছে। সামনে আরও হবে। শুধু আমার পরীজানের দুনিয়া পবিত্র। তাহলে বুঝুন আমাদের দুনিয়া কেমন আলাদা?’

SHARE:

Logo Light

হারিয়ে যান গল্পের দুনিয়ায়

Useful links

2024 © Golpo Hub. All rights reserved.