আধ ঘণ্টা হবে বাড়িতে ফিরেছে তুর্য আর পরী। বাড়িতে এসেই পরী বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে। জ্বরটা এখনো কমেনি। রেহেনা বেগম বালতি ভর্তি পানি নিয়ে এসে মেয়ের পাশে বসে মাথায় ঢেলে দিচ্ছেন। পরী চোখ বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে আছে। রেহেনা বেগম ব্যস্ত ভঙ্গিতে বলেন,
“তুই বৃষ্টিতে কেন ভিজেছিস আমায় বল। জানিস না বৃষ্টিতে ভিজলে তোর জ্বর আসে?”
তিনি তার মতো করেই নানান কথা বলে যাচ্ছেন। পরীর কান অব্দি কথাগুলো পৌঁছালেও মস্তিষ্কে স্থান নিতে পারছে না। ভেতরটা কেমন অস্থির অস্থির লাগছে। কোনো কথার উত্তরও দিতে ইচ্ছে করছে না। চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাচ্ছে তুর্যর মুখখানা। কেমন অদ্ভুত সব বিষয়। যতই এড়িয়ে যেতে চায় ততই যেন বেশি করে মনে পড়ে। তবে তুর্যর প্রতি মন থেকে সত্যিই খুব কৃতজ্ঞ পরী।
মাথায় পানি দেওয়া শেষ করে রেহেনা বেগম টাওয়াল দিয়ে ভালোমতো চুলগুলো মুছে দিয়ে পেঁচিয়ে দেন। এরপর রান্নাঘরে চলে যান পরীর জন্য খাবার আনতে। পরী না করা সত্বেও গরম দুধ আর ডিম জোর করে খাইয়ে দেয়। পরী ধীরকণ্ঠে বলে,
“ভাইয়া কবে দেশে ফিরবে মা?”
“তা তো বলেনি। কেন?”
“এমনিই জিজ্ঞেস করলাম। কতদিন হলো ভাইয়াকে দেখি না।”
“কল করব? কথা বলবি?”
“না। এখন থাক। রাতে বলব।”
“আচ্ছা। এখন তাহলে ঘুমা।”
রেহেনা বেগম দরজা চাপিয়ে দিয়ে চলে যান। পরী চোখ বন্ধ করে ভাবছে কাল রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো। বারবার মনের ভেতর আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। আল্লাহ্কে অশেষ শুকরিয়া তিনি বাঁচিয়ে দিয়েছেন অল্পতেই। নয়তো অনেক খারাপ কিছু হতে পারতো। হয়তো এই সুন্দর পৃথিবীটা দেখার সাহসই থাকতো না আর।
.
বিকেলের দিকে ঘুম ভাঙে পরীর। ফ্রেশ হয়ে এসে ছাদে যায়। শরীরটা এখন মোটামুটি ভালোই লাগছে। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে মেহেনুবা প্রাইভেটে যাচ্ছে। মেহেনুবা আসলো না কেন ডাকতে? ও কি জানে না পরীর ফিরে আসার কথা? পরী ফোন থেকে মেহেনুবাকে কল দেয়। মেহেনুবা ফোন রিসিভ করে বলে,
“হ্যাঁ, পরী বল।”
“প্রাইভেটে যাচ্ছিস?”
“হ্যাঁ। এখন কেমন আছিস তুই? জ্বর কমেছে?”
“তুই কীভাবে জানলি আমার জ্বর এসেছে?”
“আমি গেছিলাম তোর বাসায়। আন্টি বলল তুই অসুস্থ।”
“আমায় ডাকিসনি কেন?”
“এমনিই। ঘুমাচ্ছিলি তাই বিরক্ত করিনি।”
“ঢং বাদ দে। আমি আসছি।”
“প্রাইভেটে যাবি?”
“না। বাহিরের কোথাও থেকে একটু হেঁটে আসব। আজ প্রাইভেটে যাওয়ার দরকার নেই।”
পরী কল কেটে দিয়ে রুমে যায়। ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে মায়ের উদ্দেশ্যে বলে,
“মা আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি মেহুর সাথে। সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসব।”
“খবরদার! কোথাও যাবি না এখন তুই।”
কে শোনে কার কথা? মায়ের কথা কানে না তুলেই দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামে। নিচ তলায় এসে চোখাচোখি হয়ে যায় তিথির সাথে। পরী তাকিয়ে মিষ্টি হাসি দিলেও তিথিকে হাসতে দেখা গেল না। ভার ভার মনে হলো। হয়তো কারো ওপর রেগে আছে খুব। পরীও আর তিথিকে ঘাটালো না। ঐদিকে মেহু অপেক্ষা করছে বিধায় পরী আর না দাঁড়িয়ে চলে যায়। তিথি কিছুক্ষণ পরীর যাওয়ার পথে তাকিয়ে থেকে উপরে চলে যায়।
মেহেনুবার কাছে যেতেই মেহেনুবা বলে,
“তোর মুখটা কী শুকনো শুকনো লাগছে! জ্বর নিয়ে বের হওয়া একদম উচিত হয়নি তোর।”
“চুপ কর তুই। বেষ্টফ্রেন্ড বেষ্টফ্রেন্ডের মতো থাক। মায়ের মতো কথা বলবি না।”
“তোকে ভালো কথা বললেও দোষ।”
“তোর মাথা। আচ্ছা শোন, কাল থেকে ক্লাশ শুরু মনে আছে?”
“আছে।”
“যাওয়ার সময় ডেকে নিয়ে যাবি।”
“ঠেকা আমার!”
“হু ঠেকাই। এখন চল হাঁটি।”
হাঁটতে হাঁটতে দুজনে গল্প করছে। পরীর বারবার ইচ্ছে করছে রাতের ঘটনাটা মেহেনুবাকে শেয়ার করতে। একবার মন সায় দিচ্ছে তো আরেকবার দিচ্ছে না। এদিকে কাউকে শেয়ার না করা পর্যন্ত শান্তিও পাবে না। পরী দুজন মানুষকে সব শেয়ার করে। একজন মা আরেকজন মেহেনুবা। মাকে তো ভুলেও এসব বলা যাবে না। তাহলে দেখা যাবে সব স্বাধীনতা শেষ! এমনিতেও তো তাদের পরীকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই।
পরীকে চুপ থাকতে দেখে মেহেনুবা জিজ্ঞেস করে,
“কী ভাবছিস?”
“একটা কথা বলব ভাবছি।”
“বল।”
“কাউকে বলবি না প্রমিস কর।”
“আচ্ছা প্রমিস।”
পরী হাঁটতে হাঁটতে সব বলল মেহেনুবাকে। সব শুনে মেহেনুবাকে যেমন ভীতিগ্রস্ত মনে হলো ঠিক তেমন অবাকও মনে হলো। মেহেনুবা বলে,
“তোদের বাড়িওয়ালার ছেলে তুর্য?”
“হ্যাঁ।”
“সত্যিই ভাই তোরে অনেক হেল্প করছে। সে যদি না থাকত তাহলে কী হয়ে যেত ভাবতে পারছিস?”
“তা আর বলতে!”
“হুম। আল্লাহ্ বাঁচিয়েছে তোরে।”
“কিন্তু একটা কথা কি জানিস? তার সাথে আমার দা-কুমড়ার সম্পর্ক। প্রথম দেখা থেকে ঝগড়ার শুরু। এখনো পর্যন্ত সুযোগ পেলে সে ঝগড়া করতে ভুলে না। বললে হয়তো বিশ্বাস করবি না, একটা ছেলে ঝগড়া করায় মেয়েদের থেকেও যে এক্সপার্ট হতে পারে সেটা তাকে না চিনলে জানতামই না।”
মেহেনুবা হো হো করে হাসতে থাকে। হাসিরত অবস্থাতেই বলে,
“তবে যাই বলিস মনটা যে তার ফ্রেশ এটা কিন্তু মানতেই হবে।”
“তা ঠিক বলেছিস।”
“আচ্ছা তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিস একবারো? নাকি শুধু ঝগড়াই করে গেছিস?”
“এইরে! একদম ভুলে গেছি।”
“ভুলবিই তো। তুই তো শুধু পারিস ঝগড়া করতে।”
“তুই আমার ফ্রেন্ড হয়ে ওর সাফাই গাইছিস কেন?”
“কারণ সে তোকে সাহায্য করেছে।”
“ঠিকাছে যা। ধন্যবাদ জানিয়ে দেবো।”
কথা বলতে বলতে দুজনেই ফুচকার দোকানে এসে থামে। দুই প্লেট ফুচকা অর্ডার দিয়ে দুটো চেয়ার টেনে দুজনে নিরিবিলি বসে। দুজনে গল্প করে চলেছে। দূর থেকেই পরী আর মেহেনুবাকে দেখতে পায় প্রান্ত। মুহূর্তেই আনন্দে মনটা নেচে ওঠে। যদিও একটা দরকারি কাজে এক জায়গায় যাচ্ছিল। কিন্তু সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে বাতিল হয়ে গেছে। পরীর সাথে একটুখানি কথা বলার জন্য মনটা আনচান করছে। প্রান্ত সেলিমকে বলে,
“ঝামেলাটা তুমি মিটিয়ে নাও।”
“আপনি কই যাবেন?”
“ফুচকা খেতে।”
সেলিম অবাক হয়ে বলে,
“কী? আপনে ফুচকা খাইবেন? এত বছর ধইরা আপনের লগে থাকি। কোনোদিন তো দেখলাম না আপনেরে ফুচকা খাইতে?”
“আগে খাইনি বলে কি এখন খাওয়া যাবে না?”
সেলিম মাথা নিচু করে মাথা চুলকে কী যেন ভাবতে থাকে। প্রান্ত সেলিমের মাথায় গাট্টা মেরে বলে,
“তোমার মোটা মাথায় এসব ঢুকবে না। ওদেরকে নিয়ে তুমি যাও।”
সেলিমও আর কোনো কথা না বলে বাকিদের নিয়ে চলে যায়। প্রান্ত যেতে যেতে পরী আর মেহেনুবা ফুচকা খেতে শুরু করেছে। প্রান্ত একটা চেয়ার টেনে পরীর থেকে কিছুটা দূরত্ব রেখে পাশে বসে। প্রান্তকে দেখে পরীর কপাল কুঁচকে যায়। প্রথম কথা প্রান্তই বলে।
“কেমন আছেন?”
পরী না তাকিয়েই বলে,
“আপনাকে বলব কেন?”
“বললে কী হবে?”
“না বললে কী হবে?”
“প্রশ্নর পিঠে প্রশ্ন করলে কি চলে বলুন?”
“জানি না।”
“বিরক্ত হচ্ছেন?”
পরী এবার প্রান্তর মুখোমুখি বসে বলে,
“আপনার সমস্যা কী? সেধে সেধে কথা বলছেন কেন?”
“কারো সাথে কথা বলা কি অন্যায়?”
“এখন আপনি প্রশ্নর পিঠে প্রশ্ন করছেন।”
“আপনার থেকেই তো শিখেছি।”
“তাই নাকি? আর কী শিখেছেন?”
“সেসব না জানাই থাক।”
“আর কিছু?”
“ব্যস্ত খুব?”
“জি না। খাওয়া শেষ। চলে যাব এখন।”
পরী চেয়ার ছেড়ে ওঠে বিলটা দিয়ে মেহেনুবাকে নিয়ে হাঁটা শুরু করে। মেহেনুবা পরীকে ফিসফিস করে বলে,
“জানিস ছেলেটা কাল তোর কথা আমায় জিজ্ঞেস করেছিল।”
পরী অবাক হয়ে বলে,
“কেন?”
মেহেনুবা ঠোঁট উল্টে বলে,
“তা তো জানি না।”
পরীর চোখেমুখে বিরক্ত। মেহেনুবা মুখ টিপে হেসে বলে,
“আমার কী মনে হয় জানিস?”
পরী বেখেয়ালি উত্তর দেয়,
“কী?”
“মনে হয় ছেলেটা তোর প্রেমে পড়েছে।”
পরী কঠিন দৃষ্টিতে তাকায় মেহেনুবার দিকে। তাতে চুপসে যায় মেহু। আমতা আমতা করে বলে,
“আমার যেটা মনে হলো সেটাই বললাম তোকে।”
“তোর মন আজকাল ভীষণ আজগুবি ভাবে।”
মেহেনুবা ভাবলেশহীনভাবে একবার পেছনে তাকিয়ে চমকে যায়। পরীর হাত ধরে বলে,
“ছেলেটা আমাদের ফলো করছে।”
পরীও এবার পেছনে ফিরে তাকায়। আসলেই প্রান্ত পিছে পিছে আসছে। পরী এগিয়ে গিয়ে বলে,
“কী সমস্যা আপনার? পেছন পেছন কেন আসছেন?”
প্রান্ত মুচকি হেসে বলে,
“কে বলল আমি আপনার পেছন পেছন যাচ্ছি?”
“বলতে হবে কেন কারো? আমি তো নিজেই দেখতে পাচ্ছি।”
“কিন্তু যা দেখতে পাচ্ছেন তা তো সত্যি নয়। আমি তিথির কাছে যাচ্ছি।”
“আপনি তিথির পরিচিত?”
“জি।”
পরী জিভ কেটে কান চুলকে বলে,
“স্যরি। আমার বোঝার ভুল ছিল।”
উত্তরে প্রান্ত মিষ্টি হেসে বলে,
“ইট’স ওকে।”
বারান্দা থেকেই দুজনকে কথা বলতে দেখছিল তিথি। সাথে সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে এগিয়ে আসে এদিকে। ততক্ষণে পরী, মেহেনুবা, প্রান্ত টুকটাক কথা বলতে বলতে এগিয়ে আসছে। তখনই তিথি এসে দাঁড়ায় ওদের সামনে। একবার পরীর দিকে তাকায়। আরেকবার প্রান্তর দিকে। প্রান্তর দিকে তাকিয়ে মেজাজ দেখিয়ে বলে,
“ভাইয়ার কাছে এসেছ?”
প্রান্ত মৃদু হেসে বলে,
“না। তোমার কাছেই।”
“ওহ্। তাহলে চলো হেঁটে আসি কোথাও থেকে।”
“এখন?”
“হু।”
“কাল যাই?”
“না।”
প্রান্ত একবার পরীর দিকে তাকিয়ে তিথির দিকে তাকায়। পরী হেসে বলে,
“আচ্ছা আপনারা কথা বলেন। আমরা যাই।”
পরীর যাওয়ার দিকে একবার আড়চোখে তাকায় তিথি। এরপর স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে প্রান্তর দিকে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হয় তিথির আবদারে।
———————
রাতের অন্ধকারে বারান্দা থেকে ভেসে আসছে ফুলের সুমিষ্ট ঘ্রাণ। সেই ঘ্রাণে বারবার বিমোহিত হচ্ছে পরী। শাঁই শাঁই করে বাতাসও আসছে। ছাদে গেলে বোধ হয় আরো বেশিই ভালো লাগবে। পরী সময় নষ্ট না করে ছাদে চলে যায়। তবে ছাদে গিয়ে যে আরেকটা চমক পাবে তা কে জানতো? তুর্য ছাদের রেলিং ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। পরী একবার ভেবেছে ছাদ থেকে নেমে যাবে। কেউ দেখে ফেললে কী না কী ভাববে তার তো কোনো ইয়ত্তা নেই। এদিকে অবাধ্য মনটাও যেতে চাচ্ছে না। বারবার মনটা তাড়া দিচ্ছে কথা বলার জন্য। কিন্তু কী বলবে? কী বলা যায়? হু! ধন্যবাদ দিয়েই শুরু করা যায়। তুর্যর দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় পরীর পায়ের নূপুরের শব্দ তুর্যর কানে যায়। পেছনে ফিরে পরীকে দেখে বলে,
“রাতে ছাদে আসছো কেন?”
তুর্যর গম্ভীর কণ্ঠে কথা শুনে মনটাই খারাপ হয়ে যায় পরীর। নিজেকে যথাসম্ভব ঠিক রাখার চেষ্টা করে বলে,
“এমনিই আসলাম। আমি জানতাম না আপনি ছাদে আছেন।”
“এখন তো দেখেছ আমি ছাদে আছি? তাহলে চলে গেলে না কেন?”
“আসলে আপনি আমার এত বড় উপকার করেছেন। অথচ আপনাকে ধন্যবাদই দেওয়া হয়নি। তাই ভাবলাম আপনাকে একটা ধন্যবাদ দিয়ে যাই।”
তুর্য ধমক দিয়ে বলে,
“তোমার ধন্যবাদ ধুয়ে কি আমি পানি খাব? তোমরা মেয়ে মানুষ যে একেকটা কী আমি বুঝি না! আমারই ভুল হয়েছে তোমাকে সাহায্য করা।”
পরী কাঁপা কাঁপা স্বরে বলে,
“আপনি আমার সাথে এভাবে কথা বলছেন কেন?”
“কারণ এরচেয়ে ভালো করে কথা আমি বলতে পারি না। আর হ্যাঁ, এখনই তুমি ছাদ থেকে নেমে যাবে।যাও।”
পরীরও ইচ্ছে করছে তুর্যর কঠিন কথাগুলোর কঠিন উত্তর দিয়ে দিতে। কিন্তু কোথায় যেন একটা বাঁধা বারবার পরীকে আটকে দিচ্ছে। পরীর মুখ দিয়ে কোনো শব্দই বের হচ্ছে না। তুর্যর সামনে আসলেই রাগী পরী দমে যায়। তাই তো তুর্যর এই কঠিন কথাগুলো হজম করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কখন যে চোখের কোণে পানি জমেছে টেরই পায়নি পরী। যখন টের পায় তখন দেখতে পায় তুর্য অন্যদিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। ঘাড় ফিরিয়ে পরীর দিকে তাকিয়ে ধমক দিয়ে বলে,
“যাচ্ছো না কেন এখনো?”
তুর্যর ধমকে পরী চমকে ওঠে। ঘুরে দাঁড়িয়ে চোখের কোণে জমে থাকা পানিটুকু হাত দিয়ে মুছে ধীরপায়ে নেমে যায় ছাদ থেকে। তবে তুর্যর এমন রূঢ় ব্যবহারের আশা এবং কারণ পরীর ধারণা ও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল।