রাতের গহীন অন্ধকারের চেয়ে মন খারাপের অন্ধকার যেনো গাড় কালো বেশী হয়।মনের মাঝে বিষন্ন, গাড় কালো অন্ধকার জমাট বেঁধেছে।সব কিছুই অন্ধকার মনে হচ্ছে।বিহানের লেখা চিঠিটার প্রতিটা লাইন যেনো ওর মনের চাপা কষ্টের আর্তনাদ ছিলো।চিঠির পাতা চোখের পানিতে ভিজে গিয়েছে জায়গা জায়গায়।চিঠিটা নিয়ে ফ্লোরে বসে হাউ মাউ কাঁন্নায় ভেঙে পড়লাম।চেষ্টা করেও পারছি না ভেতর থেকে কাঁন্না আটকাতে।ভীষণ কষ্ট হচ্ছে,দম বন্ধ কষ্ট কেনো ভুল বুঝলাম আপনাকে।আপনার ফোন চেক করার প্রয়োজন নেই আমার,আপনাকে আর ছোট করতে চাই না আমি।এত বড় ভুল আমি কিভাবে করলাম।একটা মানুষ কিভাবে এত ভালবাসতে পারে।আমি একটা বার ভেবে দেখলাম না, মানুষ টা আমার ফোন রিসিভ না করায়,ছুটে এসেছে কয়েকঘন্টায় সেই ঢাকা থেকে নড়াইল।আমি কষ্ট পাচ্ছি ভেবে জ্বর নিয়ে আমার কষ্ট কমাতে আমার কাছে ছুটে এসেছেন।মানুষ টা কত রাগী তাও আজ আমার উপর রাগ দেখান নি,আমার বলা খারাপ কথা গুলোর মানে উনি ভালবাসা হিসাবে গ্রহন করে সম্মান আর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।আপনি কিভাবে পারেণ এতটা ভালবাসতে। কয়েকদিন আগে তোহা আপুর কাজিন বিহান কে বলেছিলো দিয়া আর আমার রিলেশন আছে।বিহান হেসে বলেছিলো আমার জানার কোনো ইন্টারেস্ট নেই।দিয়া কেমন আমি ভাল জানি,অন্যর কথায় দিয়াকে আমি কখনো বকিনা।আমার বিশ্বাস এতটা ঠুনকো নয়।দিয়ার ব্যপারে খারাপ কিছু বলতে আসলে নেক্সট টাইম ব্যাপার টা ভালো দিকে যাবে নাহ।উনি তো কারো কথায় আমাকে ভুল বুঝেন না আমি কেনো ভুল বুঝলাম।
--কিছুক্ষণের মাঝেই বিভোর ভাই এলেন আমার রুমে।আমাকে ডাকতেই চোখের পানি মুছে বললাম,
--ভেতরে আসুন।
--দিয়া বিহান কোথায়?
--বাইরে গেলো।
--কিছু নিয়ে ঝগড়া হয়েছে।তোর ব্যাগ বারান্দায়।কি হয়েছে।
--কিছু নাতো বিভোর ভাই।
--এইনে বিহানের ওষুধ, আমার কাছেই ছিলো।প্রায় এক সপ্তাহ ওর একটু ঠান্ডা লেগেছে।গতকাল থেকে হালকা জ্বর।
-- উনার জ্বর।
--হ্যাঁ। শোন দিয়া বিহান বাসায় ওর কতগুলো ফ্রেন্ড কে দাওয়াত দিয়েছে।আগামি সপ্তাহে তোকে পরিচয় করিয়ে দিবে।এডমিশন দিতে যাবি যখন তখন।প্রায় বিহানের ফ্রেন্ড আসে আর বলে ভাবিকে দেখবো।বিহান তো কাউকেই তোকে দেখাবে না।বলে বেশী দামি জিনিস দেখাতে নেই।এইবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেখাবে।সেই সাথে রিয়াকেও দেখিয়ে দিবো।আমার ফিউচার বউ।
মেঘ করেছে আকাশে, ভীষণ মেঘ।শুরু হলো নিমিষেই ঝুম বৃষ্টি। উনি কোথায় ফোন ও তো রেখে গিয়েছেন রুমে।কিভাবে ফোন দিবো।এই বৃষ্টিতে ভিজলে তো আরো জ্বর হবে।আধাঘন্টা ধরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে।মামির কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে মামি চিন্তা করবে।মামির পাশে দাঁড়িয়ে বিভোর ভাই গল্প করছে।
বারান্দায় মারুফা খালা দাঁড়িয়ে আছে।খালা নিশ্চয়ই দেখবে বিহান বাইরে গিয়েছে কিনা।খালাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,খালা বিহান বাইরে গিয়েছে দেখেছো।খালা বললো নাতো ছাদের দিকে যেতে দেখেছিলাম।বৃষ্টি হচ্ছে মনে হয় চলে এসছে।রুমে গিয়ে দেখো।উনি তো রুমে নেই তাহলে কি ছাদে রয়েছে।এই ঝুম বৃষ্টিতে উনি ছাদে কেনো?এই জ্বর নিয়ে ভিজলে আরো কষ্ট হবে উনার।মানুষ টা নিজেকে আর কত কষ্ট দিবে।দ্রুত ছাদে উঠতে গিয়ে সেঁচের পানিতে পা পিছলে খুব জোরে পড়ে গেলাম সিঁড়িতে।সেদিকে কোনো হুঁশ নেই আমার।দ্রুত উঠে ছাতা নিয়ে এগিয়ে গেলাম।ছাদে যেতেই বুকের মাঝে ছ্যাত করে উঠলো আমার।উনি এই ভীষণ বৃষ্টিতে ভিজছেন। ছাদের রেলিং ধরে সসম্পূর্ণ বৃষ্টিতে ভিজছে বিহান।চোখের পানি কি তবে বৃষ্টিতে ভিজে লুকাতে চাইছেন।পাশ্চিম দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছেন,মন খারাপের গল্প কি তবে বিশাল আকাশের উদারতায় বিলিয়ে দিচ্ছেন।সিঁড়ি ঘরে দুটো অচেনা অতিথি পাখি কাক ভেজা ভিজে শরীরের পানি ঝেড়ে দুজন দুজনের সাথে ঠোঁট মেলাচ্ছে।আমি কয়েকবার বিহান কে ডাকলাম কিন্তু ডাক শুনলো না।স্টীল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।আমি দ্রুত গিয়ে হাত ধরে টেনে নিয়ে এলাম সিঁড়ি ঘরে,বাধ্য ছেলের মতো চলে এলো আমার সাথে।মনে হচ্ছে এক্ষুণি অচেতন হয়ে যাবেন উনি।এই প্রচন্ড জ্বর নিয়ে মাথায় বৃষ্টি লাগালেন।দ্রুত আমার ওড়না দিয়ে উনার মাথা মুছতে শুরু করলাম।লাল টকটকে করূন অসহায় চোখে তাকিয়ে আছেন উনি আমার দিকে।চোখে নিদারুণ কষ্টের ছাপ।আমি চুলের পানি মুছে যাচ্ছি আর উনি তাকিয়েই আছেন আমার দিকে।উনার এই চাহনি যন্ত্রণা দিচ্ছে আমাকে।এমন স্ট্রং একজন মানুষ এইভাবে ভেঙে পড়েছেন।উনার গায়ের এপ্রোণ আর শার্ট খুলে দিলাম।ঠান্ডায় থর থর করে কাঁপছেন উনি।গায়ের পানি মুছে দিতে দিতেই আমার ওড়না ভিজে গেলো।উনাকে ধরে রুমে নিয়ে এলাম।একটা প্যান্ট দিয়ে বললাম এক্ষুণি চেঞ্জ করে নিন।উনি কেমন যেনো ঢুলছেন।আমি অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ালাম,আর উনি চেঞ্জ করে নিলেন।চেঞ্জ করেই উনি পড়ে যেতে গেলেন সাথে সাথেই ধরে ফেললাম উনাকে।আমার কোলে ঢলে পড়লেন উনি।এমন একজন মানুষ কে আমার পক্ষে সামলানো সম্ভব হচ্ছে না।কোনভাবে বিছানায় নিয়ে সুইয়ে দিলাম।যেমন ভীষণ জ্বর তেমন কাঁপছেন।পাশের রুমের বাক্স খুলে কম্বল বের করে উনার গায়ে দিয়ে দিলাম।একটা কম্বলে উনার কাঁপুণি কমছে না।ভয়ে আমার হাত পা কাঁপছে কি হয়ে গেলো উনার।আমার বয়সে উনাকে এতটা অসুস্থ হতে দেখিনি আমি।জ্বরের মাত্র ক্রমশ বেড়ে চলেছে উনার।আমি বার বার উনার মুখে হাত দিয়ে উনাকে ডাকছি।হাতের তালু ঘষে দিচ্ছি কিন্তু উনি কোনো উত্তর ই দিচ্ছেন না।বাইরের তুফান যেনো আরো জোরে বেড়ে চলেছে।মামিকে খুব জোরে ডাকলাম। আমার কাঁন্না শুনে মামি, মারুফা খালা,বিভোর ভাই,মামা দ্রুত উপরে উঠে এলো।উপরে এসে বললো কি হয়েছে দিয়া।আমি কোনো কথা বলতে পারছি না হাউ মাউ করে কেঁদে যাচ্ছি।মামি বুঝতে পারলো বিহানের জন্যই কাঁদছি আমি।
--মামা আমাকে বললো, কি হয়েছে দিয়া।
--আমি আরো জোরে কেঁদে দিলাম।
--বিভোর ভাই আর মামি খাটের উপর গিয়ে দেখলো বিহানের ভীষণ জ্বর।
--মামি বললো,তুমি এক্ষুণি ডাক্তার নিয়ে এসো।
--মামা বললো,বাইরে এত তুফান কিভাবে যাবো।মামার বিহানের কপালে হাত রেখে বললো,ছেলের শরীর তো পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে।
-- বিভোর ভাই বললেন,কাকু বিহানের ওষুধ আমি নিয়ে এসছি।তোমরা চিন্তা করোনা। এখন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার নেই।
--দিয়া সেই ওষুধ কোথায়?
--আমি ওষুধ গুলো বের করে দিলাম।বিভোর ভাই থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপছেন।জ্বর ১০৫ এর বেশী।
--মামির চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।আমি বুঝি মামির এই একটায় ছেলে।তার কিছু হলে মামির পক্ষে সহ্য করা খুব কঠিন ব্যাপার।
মামি মারুফা খালা হাতে পায়ের তালুতে সরিষার তেল ঘষে দিচ্ছে।বিভোর ভাই মাথায় জলপট্টি দিচ্ছেন।আমি নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে কেঁদে যাচ্ছি।কি করবো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।সব কিছুর জন্য আমি দায়ী।আমার জন্য অসুস্থ মানুষ টা নিজেকে কষ্ট দিয়েছে।ভালবাসার মানুষের অসুস্থতা এত বেশী যন্ত্রণা দেয় যা সহ্য ক্ষমতার বাইরে।মামা মামিকে একটা ধমক দিয়ে বললো,কি কাঁদছো কেনো?ছেলে অসুস্থ দোয়া পড়ে ফু দাও।মায়ের দোয়ার থেকে বড় দোয়া নেই।কোথায় একটু জ্বর হয়েছে আমার ছেলের আর তুমি মরা কাঁন্না জুড়ে দিয়েছো।তোমাকে কাঁদতে থেকে দিয়া ভাবছে বিহানের কি না কি হয়েছে।দিয়া ছোট মানুষ ওর সামনে তুমি কাঁদছো।
আমি বুঝতে পারছি মামা ও দুঃচিন্তায় মামিকে বকছে।একটা মাত্র ছেলে।মামার প্রাণের অধিক প্রিয় বিহান।ঘন্টা খানিক কেটে যাওয়ার পরে বৃষ্টি বেশ কমে গেলো।বিভোর ভাই এর আম্মু বিভোর ভাই কে খুজতে এসে বিহান এর জ্বর দেখে আটকে গেলো।মামি জলপট্টি দিতে শুরু করলো,বিভোর ভাই উঠে গেলেন।রাত এগারোটা দিকে বিহানের জ্বর বেশ কম হলো।বিভোর ভাই ভীষণ ক্লান্ত ঢাকা থেকে বাইক ড্রাইভ করে এসেছে।বিভোর ভাই আর মামি চলে গেলেন আর বলে গেলেন সমস্যা হলে ফোন দিতে।রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মামা বললো,বিহানের জ্বর তো একটু কমেছে চলো আমরা যায়, রাতে তো কেউ খাও নি।খেয়ে নাও সবাই।আমার ছেলে সুস্থ হয়ে গিয়েছে ইনশাআল্লাহ। দিয়া মা তুই ও খেয়ে না।মামাকে বললাম,আপনারা যান মামা খেয়ে নিন কোনো সমস্যা হলে আমি ডাকবো।আর আমি পরে খেয়ে নিবো। মামি যাওয়ার আগে বললো,দিয়া খাবার রেখে যাবো বিহান কে খাইয়ে দিবি কিন্তু।সবাই চলে গেলে আমি বিহানের মাথায় জলপট্টি দিয়েই যাচ্ছি।সারারাত বিহান চোখ খোলে নি।আমি একভাবে কেঁদে যাচ্ছি আর জলপট্টি দিয়ে যাচ্ছি।
রাত সাড়ে তিনটার দিকে উনি চোখ খুললেন,চোখ অফ করেই ডাকলেন দিয়া।
মনে হলো এই ডাকটা শোনার জন্য চাতক পাখির মতো চেয়ে ছিলাম আমি।আমার চোখের পানি উনার কপালে কয়েক ফোঁটা পড়েছে।উনার জ্ঞান ফিরতে দেখেই আমার যেনো আরো বেশী কাঁন্না পেলো।মানুষ টাকে কত কষ্ট দিয়েছি আমি।উনার দুইগালে দুই হাত দিয়ে ধরে উনার কপালে চুমু দিয়ে বললাম,আপনার কেমন লাগছে এখন।
--উনি চোখ খুলে কিছুক্ষণ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে ওয়ালের ঘড়িতে টাইম দেখে নিয়ে বললেন,তুমি সারারাত ঘুমোও নি দিয়া।
--আপনার কেমন লাগছে বলুন।একটু ভাল লাগছে এখন।
--উনার হাত আমার দুই হাতে পাকড়ে ধরে রেখেছি আমি।উনার কপালে আবার ও চুমু দিলাম আমি।
--উনি ক্লান্ত কন্ঠে বললেন,আমার জ্বর হয়েছে বলে আমায় ছুয়েছো তুমি তাইনা।না হলে আমায় ছেড়ে চলে যেতে।
--সরি!আমার ভুল হয়ে গিয়েছে।বলেই আবার ও বেশ জোরে কেঁদে দিলাম।
--উনি আমার চোখের পানি মুছে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে বললেন,তুমি কাঁদলে আমার খুব কষ্ট হয় দিয়া।শরীরের এই অসুস্থতার থেকে ভারী, পাহাড় সমান যন্ত্রনা তোমার চোখের পানি দিয়া।
--আমাকে ক্ষমা করে দিন আপনি।কেনো এত কষ্ট দিলেন নিজেকে।
--উনি আমার হাত ধরে বললেন,জ্বর কত লাকি তাইনা।এই জ্বর না হলে কি তুমি আমার স্পর্শ করতে।এই জরের বাহানায় আমাকে তুমি নিজ থেকে ছুইয়ে দিলে।অসুস্থতার মেডিসিন হিসাবে তুমি দিলে ভালবাসার চুম্বন। কত সহযেই ভয়ানক রাগী দিয়ে ইমোশনাল কাঁন্না জড়ানো কন্ঠের একটা মেয়ে হয়ে গেলে।এই জ্বর থেকে যাক আজন্ম।তোমার স্পর্শ পেতে আজন্মকাল জ্বরের এমন তাপ সহ্য করতে পারবো আমি।
--কেনো এমন হয় আপনি ছাড়া সব কিছু ছন্নছাড়া।কেনো এমন হয় আপনি ছাড়া আমার জীবনের সব এলোমেলো।একদিন আফসোস করে বলতাম কেনো আমায় ভালবাসলেন না বিহান ভাই।আজ আবার সেই আফসোস টায় হচ্ছে কেনো আমায় এত গভীর ভাবে ভালবাসলেন বিহান ভাই।কেনো কেনো কেনো?আমি তো সত্যি আপনার যোগ্য না।কি দিয়েছি আমি আপনাকে, আপনি আমাকে দিয়েছেন এক সমুদ্র সমান ভালবাসার রাজ্য তবুও আমি আপনাকেই ভুল বুঝি বারবার।কেনো এমন করি আমি।আমি কেমন পাগল পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম,খুব ভয় হচ্ছিলো আমি কি আপনাকে হারিয়ে ফেলবো।আমার মনে হয় আমার এই জীবনে বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ আপনি।ওই প্রেয়সীর কথা শুনে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিলো আমার। আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো।আমি এটা সহ্য করতে পারিনা আপনি আমি ছাড়া কাউকে সময় দেন।আপনাকে হারানোর ভয় আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিলো।নিজের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে যা তা বলেছি,কষ্ট দিয়েছি আপনাকে।এমন কেনো হয় বলতে পারেন আমার।কেনো আপনাকে কষ্ট দিয়ে ফেললে আমি হাজার গুন কষ্ট বেশী অনুভব করি বিহান ভাই।সরি আমি বুঝে গিয়েছি আপনার ভালবাসার গভীরতা।আমি আপনার মতো করে কখনোই ভালবাসতে পারবো না।
--আবার ভাই ডাকলে।দিয়া আমি জানি আমার শ্যামাপাখিটা আমায় কত ভালবাসে।রাগলে যা মনে আসে বলে,আবার কাঁদে।আমি বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারছিনা।একটা কথা রাখবে?
--বলুন না কি কথা।
--আমাকে জড়িয়ে ধরবে একটু,আমার পাশে সুয়ে?দীর্ঘকাল মনে হয় তোমাকে কাছে পাই নি আমি।
এইটুকু মাত্র চাওয়া উনার।
--আমি উনার পাশে সুয়ে উনার বুকে মাথা রেখে নিজের সবটা দিয়ে আলিঙ্গন করলাম।উনি এই ভীষণ জ্বর ক্লান্তি নিয়ে আমার মাথায় চুমু দিয়ে বললেন আই লাভ ইউ দিয়া।দুটো মানুষের মান অভিমানের পরেই বুঝি ভালবাসা আরো বেশী গভীর হয়।মেঘ কেটে গেলেই যেনো আকাশ টা পরিষ্কার হয়ে যায়।যে ভালবাসা মন থেকে হয় সেটা প্রমান করার জন্য হৃদয়ের অনুভব ই যথেষ্ট।