এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২
--ভীষণ দুঃচিন্তা আর মন খারাপ নিয়ে নিচের ঠোঁট উপরের ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরে বারান্দার খুটি ধরে আমার জন্য অপেক্ষা করছে রিয়া।টেনশনে ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে রিয়া,দুঃচিন্তায় হাঁপানি হচ্ছে।চোখে মুখে দুঃচিন্তার ছাপ স্পষ্ট ভেষে আছে।অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে রিয়া আমি কাকুকে কোনভাবে কনভাইস করতে পেরেছি কিনা সেটা জানার জন্য।ওড়ণার এক কোণা কচলাতে কচলাতে নিচে দিকে মাথা দিয়ে ভীষণ চিন্তা নিয়ে হেঁটে আসছি আমি।কোনোদিকে হুঁশ নেই আমার। এই মুহুর্তে আমার মাথায় একটায় চিন্তা যে কোনো ভাবে রিয়া আর বিভোর ভাই এর বিয়ে দিতেই হবে।ওরা দুজন এক দেহে যেনো দুটো প্রাণ।একজন ছাড়া আরেকজন কিছুতেই বাঁচবে না।পুরা বাড়ি যেখানে লাইটিং করতে ব্যাস্ত সেখানে রিয়া আর আমি এক আকাশ দুঃচিন্তায় ভুগছি।বেখেয়ালে হাটার সময় ওয়ালে ভীষণ জোরে ধাক্কা খেতেই ফুপ্পি বললো, 'দিয়া সাবধানে মা।একটু হলেই তো মাথা ফেটে যেতো।এইভাবে আনমনা হয়ে কোথায় যাচ্ছিস।' ফুপ্পিকে দেখেই মনে পড়লো মেহু আপুর কথা।মেহু আপু হয়তো কোনো আইডিয়া বের করতে পারবে।আমি ফুপ্পি কে বললাম, 'মেহু আপু কোথায় ফুপ্পি।' 'এসছে তো এসেই রিয়া আর তোকে খুজছে।' মেহু আপু আর তোহা আপু ওঠানের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে।তোহা আপু আর মেহু আপু দুজনেই জানে রিয়া আর বিভোর ভাই এর রিলেশন এর কথা।এইদিকে রিয়া আমাকে দেখেই আমার হাত খুব শক্তভাবে চেপে ধরে বললো, 'এই দিয়া বাবাকে বলেছিস কিছু।কিছু বললো বাবা।কি বললো?বিয়ে ক্যান্সেল করবে তো!' রিয়া খুব হাইপার হয়ে আছে।এই মুহুর্তে ওর মাথায় একটায় চিন্তা কিভাবে বিয়েটা আটকানো যায়।কেউ যেনো ওর কানে এই নিউজ টা দেয় যে বিয়ে টা হচ্ছে না। এটা হয়তো পৃথিবীর সব থেকে খুশির খবর হবে। রিয়ার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না।আমি বুঝতে পারছি রিয়ার চিন্তার কারণ। একটা মেয়ের জীবনের সব থেকে খারাপ সময় এটা।আমিও বিভিন্ন ভাবে ভেবে যাচ্ছি কি করা যায়।বিভোর ভাই আমাকে কল মেসেজ করেই যাচ্ছেন।এদিকের খবর জানতে।সময় হাতে খুব ই খুব।বিভোর ভাই পাগলের মতো করছেন।ওইদিকে বিহানের ইমারজেন্সি ওটি আছে তাই নিয়েই বিজি আছে।আমি গম্ভীর হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমাকে চুপ দেখে রিয়া বললো, 'দিয়া চুপ আছিস কেনো?উত্তর দে।টেনশনে পাগল হয়ে যাচ্ছি আমি।' নিরুপায় হয়ে বললাম, 'রিয়া কাকুমণি ভীষণ সিরিয়াস।সে কোনভাবেই এই বিয়েটা ভাঙবে না।এমন কি সে বিয়ে ভাঙার কথা বলার পাত্তাই দিচ্ছে না।বিয়ে কি ভাঙার কোনো সিসুয়েশন আছে এখন।দেখ বাড়ি ভরে যাচ্ছে আত্মীয় স্বজনে।পাড়ার সব মানুষকে দাওয়াত দেওয়া হয়ে গিয়েছে।কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করা হয়ে গিয়েছে।বিয়েতে খাবারের সব আইটেমের টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে।তাছাড়া এই বিয়েটা নাকি কাকু অনেকদিন আগেই ঠিক করে রেখেছিলো মনে মনে।এই ভরা বিয়ের মজলিস এ কিভাবে বলার সাহস পায় যে বিয়ে এখন ভেঙে দিন।আমি কাকুর ভাব বুঝতে গেছিলাম।হালকা টাচ দিয়ে দেখলাম লাভ নেই।' রিয়া ভীষণ উত্তেজিত কন্ঠে বললো, 'দিয়া আমি কিন্তু বিভোর ছাড়া পৃথিবীর কাউকে বিয়ে করবো না।আমার পক্ষে সম্ভব নয়।কোনভাবেই নয়।এটা কি মজা পেয়েছে বলা নেই কওয়া নেই আমার বিয়ে। আমার মতামতের কোনো প্রয়োজন নেই।' রিয়া আমার চোখের সামনে হাউমাউ করে কেঁদে দিলো আমাকে জড়িয়ে ধরে।কেঁদে কেঁদে বললো, 'প্লিজ দিয়া কিছু একটা কর।আই লাভ বিভোর।বিভোর কে আমি ভীষণ ভালবাসি।আমি বাঁচবো না বিভোর ছাড়া।প্লিজ দিয়া কিছু একটা কর।বিহান ভাই কে বল কিছু করতে।' রিয়ার কাঁন্না দেখে আমিও কাঁদো কাঁদো হয়ে বললাম, 'দেখ এইভাবে কাঁদবি না ফাজিল।তুই কাঁদলে আমি সহ্য করতে পারিনা।কিছু একটা হবেই দেখিস।আমরা আছিতো।' এরই মাঝে মেহু আপু আর তোহা আপু হাঁপিয়ে এসে পড়ে বললো, 'এই রিয়া কাঁদিস নাতো।তোর চিন্তায় পাগল হয়ে যাচ্ছি আমরা।মামা এটা হুট করে কি সিদ্ধান্ত নিলো বলতো।আমি আম্মুকে বললাম,তোমার ভাইকে বুঝাও এইভাবে হুট করে রিয়াকে না জানিয়ে বিয়ে ঠিক করা ঠিক হয়নি।আম্মু আমাকে বললো কেনো রিয়ার কি কারো সাথে রিলেশন আছে নাকি।আম্মুকে বললাম,থাকতেই পারে না জানিয়ে বিয়ে ঠিক করলে হিতে বিপরিত হতে পারে।আম্মু নাকি মামাকে বলেছিলো।মামা সাফ সাফ বলে দিয়েছে আমার মেয়ের বিয়ে আমি ঠিক করবো এতে জানানোর কি আছে।মেয়ে আমি কষ্ট করে মানুষ করেছি না।আম্মুকে নাকি কোনো পাত্তা ই দেয় নি মামা।' 'তোহা আপু বললো,এটা আমরা কোনভাবেই মানবো না যে রিয়ার বিয়ে ওই সিয়ামের বাচ্চার সাথে হবে।রিয়ার বিয়ে বিভোর ভাই এর সাথেই হবে।' 'আমি বললাম,কিন্তু কিভাবে তোহা আপু?কিভাবে এই বিয়ে আটকানো যায়।কোনো ওয়েই পাচ্ছি নাতো।' 'মেহু আপু বললো,শোন সাফ সাফ জানিয়ে দিতে হবে রিয়ার রিলেশন বিভোর ভাই এর সাথে।রিয়া এ বিয়েতে রাজি নাহ।' 'রিয়া বললো,বাবা কিছুতেই মানবে না মেহু আপু।আমি কিন্তু সুই সাইড করবো। ' তোহা আপু হাইপার হয়ে বললো, 'এই তুই চুপ থাক রিয়া।মরবি কেনো?কাকু না মানলে সিয়াম কে জানিয়ে দিবি তোর রিলেশন আছে।সিয়াম যদি তাও নির্লজ্জের মতো বিয়ে করতে রাজি হয় প্রয়োজনে পালিয়ে যাবি সোজা কথা।তবুও মরতে হবে না তোর।' 'আমি বললাম,আরে আগেই কিসের পালাপালি।বাড়ি থেকে কি করে আগে দেখা যাক।পালালে মান সম্মান থাকবে না আমাদের ফ্যামিলির।পালানো টালনো যাবে না।' 'মেহু আপু বললো,সিয়ামের নাম্বার আছে রিয়া।' 'আছে ফোন দিয়েছে আমি একবার ও রিসিভ করিনি।' এরই মাঝে বিভোর ভাই এর ফোন।রিয়া ফোনের দিকে তাকিয়ে কাঁদছে।রিয়াকে বললাম ফোন রিসিভ কর রিয়া। রিয়া ফোন রিসিভ করেই কেঁদে দিলো। 'বিভোর ভাই বিষন্ন কন্ঠে বললেন,কাঁদছো কেনো রিয়া?' 'বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে বিভোর।হুট করেই দুইদিনের মাঝে বিয়ে আমি এখন কি করবো বিভোর।' 'আম্মুর কাছে শুনেছি আমি।চিন্তা করোনা রিয়া আমি আছি তো।যা করার আমি করবো।তুমি প্লিজ কেঁদো না।আমি আম্মু,আব্বু আর দুলাভাই কে পাঠাচ্ছি এক্ষুণি।প্রয়োজনে তোমার বাবার কাছে ভিক্ষা চাইবো তোমাকে।তোমাকে চেয়ে নিবো আমি।' 'বাবা যদি রাজি না হন।' 'আমার বাবার কথা তোমার বাবা ফেলতে পারবে না রিয়া।আগেই এসব ভেবো না প্লিজ।চিন্তায় পাগল হয়ে যাচ্ছি আমি।আর রাজি না হলে তুমি পালিয়ে চলে এসো রিয়া এক কাপড়ে।' 'আমি পালিয়ে গেলে বাবার কি হবে। আমি কিছুই ভাবতে পারছি না বিভোর।' 'বিহান ডিউটি থেকে আসলে দেখি কি করা যায়।' ------------------------------------------------------ 'বড় মামি মামাকে বললো,তোমার সাথে কথা আছে আমার।অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা। ' 'মামা বিয়ে বাড়ির সব দায়িত্ব সামলাচ্ছে।ভীষণ বিজি ও আছে মামা।মামা ব্যাস্ত হয়ে বললো,কি কথা বলো।' 'রিয়াকে তোমার ছেলে পছন্দ করে।তোমার ছেলে একটা অঘটন ঘটানোর আগে রিয়ার বাবাকে গিয়ে বলো মেয়েটা আমাদের দিতে।' 'তোমার কি মাথা খারাপ।ছেলে পছন্দ করে আর এখন বলছো।যে মেয়ের রাত পোহালে গায়ে হলুদ তার বাবাকে বলবো এখন মেয়েটা আমাদের দিতে।আমি নিজ হাতে দুনিয়ার টাকা দিয়েছি বিয়ের খরচের।অলরেডি পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে।ছেলের বাড়িতে গায়ে হলুদের সমস্ত জিনিস পাঠানো হয়ে গিয়েছে।রিয়ার বাবা আমাদের উপর সমস্ত দায়িত্ব দিয়েছে বিয়ের।এখন রিয়ার বাবা বিয়ে ভাঙলে ছেলে পক্ষ কি ছেড়ে কথা বলবে।মানুষের একটা মান সম্মান আছে বুঝেছো।আমি এটা পারবোই না এমন কি তুমিও কাউকে এসব বলতে যেওনা।বিবেক বলেও তো একটা কথা আছে।এখন কিভাবে বলি এমন কথা আমি।আমার বোন বিয়ে দেওয়া ও বাড়িতে।সবাই আমার বোন কে খোটা দিবে তোমার ভাতিজার জন্য আমাদের মান সম্মান সব নষ্ট হলো।ঝামেলা চারদিক থেকে হবে।বিভোরের জন্য অন্য কোথাও মেয়ে দেখবো।এসব বাদ দাও।' 'কিন্তু তোমার ছেলে।' 'কিছুই হবে না।দুদিন পরে ভুলে যবে।' 'শোনো পরে উল্টাপাল্টা হলে কিন্তু ছেলেকে দোষ দিও না।' মামা তেজ দেখিয়ে বেরিয়ে গেলেন। মামি বিভোর ভাইকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলো মামা রিয়ার বাবাকে বলতে পারবে না এখন।বিভোর ভাই রেগে কয়েক টা বকাঝকা ও দিলেন।এরই মাঝে রিয়ার আম্মু এসে রিয়াসহ আমাদের রুমে ডেকে নিয়ে বললো তোরা দেখ গায়ে হলুদের জিনিস পাঠিয়ে দিয়েছে। 'কাকিমনি রিয়াকে বললো,রিয়া দেখো তো ছেলেরা গায়ে হলুদের জিনিস পাঠিয়েছে।পছন্দ হয় কিনা?' 'তুমি দেখো আম্মু।আমার ইচ্ছা নেই দেখার।' রিয়ার নজর ফোনের দিকে।বিভোর ভাই এর সাথে চ্যাটিং করেই যাচ্ছে। 'তুমি না দেখলে হবে। দেখো কত সুন্দর শাড়ি পাঠিয়েছে।' 'রিয়া ফুলদানি ফ্লোরে ছুড়ে মেরে শাড়ি চুড়ি সব ফেলে দিলো।আর বললো,আমার ভাল লাগছে না আম্মু।একদম ই বিরক্ত করোনা আমায় প্লিজ।' 'কি ব্যাপার রিয়া এমন খিটমিট করছো,জিনিস পত্র ছোড়াছুড়ি করছো কেনো?' 'তাহলে কি করবো আম্মু।আমাকে কি নাচতে বলছো।' 'মায়ের সাথে এ কেমন ব্যাবহার। ' 'সরি আম্মু।বাট মেয়ের সাথে তোমাদের ব্যাবহার টা কি ঠিক হলো।আমার বিয়ে অথচ আমার কাছে শোনার প্রয়োজন মনে করলে না।আমার তো একটা পছন্দ আছে।' 'তোমার বাবা কি আমার কথা শোনে রিয়া।আমি তো বলেছিলাম।কিন্তু সে শুনলো না।' 'আমি এই বিয়ে কিছুতেই করবো না আম্মু।প্লিজ বাবাকে বুঝিয়ে বলো।আমি এই বিয়ে মরে গেলেও পারবো না করতে।' 'কিন্তু কেনো?' 'আমি বিভোর কে ভালবাসি আম্মু।' 'তোমার কি সিরিয়াস রিলেশন। আমি তো জানতাম মজা করো।' 'প্লিজ আম্মু তুমি বাবাকে বুঝিয়ে বলো।তোমার হাতে পায়ে ধরছি।' আমরাও কাকিমনিকে বুঝিয়ে বললাম কাকুকে বোঝানোর জন্য।রিয়ার চেচামেচি কাকু দেখেছে।কাকিমনি বাইরে যেতেই কাকু বললো, 'তোমার মেয়ে চেচামেচি করছে কেনো?' 'মা হলে দুনিয়ার সব জ্বালা মায়ের ই হয়। মেয়ে বড় হয়েছে তার কাছে শুনবে না।তোমার মেয়ে এই বিয়ে করবে না।আমাকে ডিরেক্ট জানিয়ে দিয়েছে।' 'মেয়েরা অমন বলে।পরে ঠিক হয়ে যাবে।' 'তোমার মেয়ে সত্যি এ বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না।দেখো মেয়ের সাথে জোর করোনা।মেয়ে যাতে ভাল থাকে তাই করো।' 'কি করতে বলছো' 'রিয়ার বিভোরের সাথে সম্পর্ক।তুমি সিয়াম দের কিছু একটা বলে বিয়ে ভেঙে দাও।রিয়ার বিয়ে বিভোরের সাথে দিয়ে দাও তুমি।মেয়ে যাতে ভালো থাকে তাই করো।' 'বিভোর মানে বিহানের ভাই।কি করে বিভোর।সামান্য ব্যাংকে চাকরি করে।সিয়ামের এক মাসের বেতন বিভোরের এক বছরের বেতন ও না।এসব ভুলে যেতে বলো তোমার মেয়েকে।তাছাড়া এখন বিয়ে ঠিক আমার মুখে চুন কালি দিতে চাও নাকি।' 'ব্যাংকে চাকরি কে ছোট মনে করছো কেনো তুমি।বিভোর ছেলে হিসাবে খারাপ না।' 'সব কিছুই ভালো কিন্ত রিয়ার বিয়ে ঠিক হয়েছে।সব কিছু ঠিকঠাক। এখন নাটকীয় কথা বলছো।' কাকু কাকিমনিকে ধমক দিয়ে বেরিয়ে গেলেন।কাকু আম্মুকে ডেকে বললো,ভাবি রিয়ার তো বিয়ে ঠিক পরশু বিয়ে।তোমার ভাতিজা কে ফোন করে বলে দাও যেনো কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি না করে।আম্মু নিরুপায় কি করবে বুঝতে পারছে না।এইদিকে ভাইয়া ও চিন্তা করছে।ভাইয়া কাকু কে বললো,কাকু বিভোর কিন্তু ছেলে খারাপ না। কাকু সাফ সাফ বলে দিলো,বিহানের মতো ডাক্তার হলে মেনে নিতাম।বিভোর কি রিয়ার যোগ্য।আমার মেয়ে দেখতে যেমন সুন্দর তেমন তার যোগ্যতা।দুইদিন পরে বড় ডাক্তার হবে।আমার মেয়ের সাথে কোনো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার ই মানায়।বিভোর এর গায়ের রং এ একটু সাদা। তোমরা কিভাবে রিয়ার জন্য বিভোরের প্রপোজ দিচ্ছো।আমি আমার মেয়ের জন্য যোগ্য ছেলে ই দেখেছি।বিভোর কে বুঝিয়ে বলো যেনো কোনো ঝামেলা না করে। বিয়ে হলে দুদিন পরে সব এমনিতেই ভুলে যাবে।কাকুর কথার ভাব ভাল না দেখে আম্মু আর ভাইয়া চুপ করে গেলো।যেখানে কথা বলে লাভ নেই সেখানে কথা না বলাটায় উত্তম।কোনো পথ ই খোলা নেই আর। রিয়া এক আকাশ কষ্ট নিয়ে বিভোর ভাইকে মেসেজ করলো, "হয়তো তুমি আমার ভাগ্য ছিলে না।আমাদের পথ চলা এ পর্যন্তই ছিলো। ক্ষমা করো আমায়।" পরের দিন রিয়ার গায়ে হলুদ ও হয়ে গেলো।সমস্ত বাড়ি আত্মীয় স্বজনে ভরে গিয়েছে।রিয়ার চোখে জুড়ে কষ্টের পানি ঝরে পড়ছে।সিয়াম কে পর্যন্ত জানানো হয়েছে রিয়ার রিলেশন আছে।বাট সিয়ামের এতে কিছুই যায় আসে না।আজকাল নাকি মেয়েদের রিলেশন থেকেই থাকে।

SHARE:

Logo Light

হারিয়ে যান গল্পের দুনিয়ায়

2025 © Golpo Hub. All rights reserved.