শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ রুমময় জুড়ে।দরজার সিটকিনী আটকে দিলে বাইরের কোনো সাউন্ড ভেতর পর্যন্ত প্রবেশ করে না।পাশের রুমে দুজন ভালবাসার মানুষের চার হাত এক হয়েছে।ভালবাসার অন্য জগতে পাড়ি দিয়েছে তারা।জানালার বাইরে দিয়ে বড় ঝাউ গাছটা দেখা যাচ্ছে।এই গাছের বয়স ৫০ বছর হবে আনুমানিক।পুরা গাছে লাইটিং অসম্ভব সুন্দর লাগছে নজর কাড়ার মতো দৃশ্য। পুরা ফ্ল্যাট এর ওয়াল জুড়ে ডেকরেশন এর কোনো কমতি নেই।রুম জুড়ে লাল, নীল, কৃত্তিম আলো জলজল করছে।তাজা গোলাপের সুবাস ঘর জুড়ে ময়ময় করছে।মিষ্টি সুঘ্রাণে ভরপুর রুম।বেডের যে সাইড টা উঁচু তার পুরাটায় তাজাফুলে মোড়ানো। দেখার মতো সুন্দর সে অপরূপ দৃশ্য।টেবিলে রাখা ফুলদানিতে কতগুলো তাজা গোলাপ।গোলাপের বাসরে বেডের এক কোণে চুপটি মেরে বসে আছি আমি।একদম বাকরুদ্ধ কেননা এতকিছু উনি কখন করলেন আমি বুঝে উঠতে পারিনি।বেডের উপর দুইটা বক্স রাখা একটা যে শাড়ির বক্স সেটা বোঝায় যাচ্ছে, অপরটা কি সেটা জানিনা।মনে হচ্ছে গহনা হবে।উনি ওয়াশ রুম থেকে সিম্পল একটা সাদা পাঞ্জাবী পরে বাইরে এলেন।ওয়াশ রুমে থেকে বেরিয়ে সরাসরি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন আমার দিকে।আমি বিমোহিত হয়ে তাকিয়ে আছি উনার দিকে।ফর্সা শরীরে সাদা পাঞ্জাবীতে আরো সুন্দর লাগছে উনাকে।জীবনে কিছু পাই আর না পাই মনের মতো একজন জীবন সঙ্গী পেয়েছি।উনি পাঞ্জাবীর হাতা গুটিয়ে আমার কাছাকাছি এলেন।আমার মুখে কোনো কথা নেই কেনো জানিনা ভীষণ লজ্জা লাগছে।আমার এমন অনুভূতি হচ্ছে আজ ই নতুন বিয়ে হয়েছে আমার।উনি আমার সোজাসুজি বসলেন। আমার দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে আমাকে ডাকলেন,
"দিয়া"
উনার মুখে দিয়া ডাকটা ভীষণ মিষ্টি লাগে আমার কাছে।আমার মনে দোলা দেয় অন্য এক ভাললাগার শিহরণ।আমি চোখ তুলে তাকালাম উনার দিকে।আমার তাকানোর ভঙ্গীতে উনি বুঝে নিলেন উনার কথা শোনার জন্য ই তাকিয়েছি আমি।আমার চোখের চাহনি উনার ডাকের সায় দিয়েছে।উনি আমার দুহাত উনার দু'হাতের মুঠোয় ধরে বললেন,
"তুমি খুশি হয়েছো দিয়া।তোমার একটুখানি খুশির জন্য আমি সব কিছু করতে পারি।তুমি খুশি থাকলেই যেনো আমার পুরো পৃথিবী খুশি থাকে।আমি সারাক্ষণ ডিউটিতে বসে ভাবতে থাকি আমি ঠিক কি করলে তোমাকে ভীষণ খুশি দেখতে পাবো।যখন রাস্তায় বেরোয় শপিং মলে চোখ গেলে সুন্দর কিছু দেখলেই মনে হয় তোমাকে মানাবে খুব।এই সুন্দর পোশাক টা আমার চোখে দিয়ার জন্য ই পারফেক্ট।এভাবেই প্রতিটা ভাবনাতে তুমি থাকো আমার।আমি জানি আমি সবটা প্রকাশ করতে পারিনা।শুধু রাগ ই প্রকাশ করতে পারি ভাল ভাবে।"
উনার মুখের অদলে তাকিয়ে দেখি মানুষটার চোখ মুখে আমার জন্য গভীর ভালবাসার আকুতি।ভীষণ জানতে ইচ্ছা হলো আমায় কেনো এতটা ভালবাসেন উনি।উনার দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটা করলাম,
"আপনি আমাকে এত ভালবাসেন কেনো?
এই প্রশ্নটা আমার মনে সব সময় ঘুরে বেড়ায়।কখনো উত্তর পায় নি আমি।"
উনি একটু হাসলেন।খানিক টা দম নিয়ে বললেন,
"এত কঠিন প্রশ্ন করোনা দিয়া।আমার জীবনে এমন কোনো প্রশ্ন নেই যার উত্তর অজানা।শুধু আমার মন কেনো শ্যামাপাখিতে আসক্ত এটাই অজানা।বড্ড কঠিন এই প্রশ্নের উত্তর। ভালবাসার প্রশ্ন গুলো যতটা কঠিন ঠিক ততটায় সহজ।"
বুঝতে পারলাম উনি এর উত্তর দিতে পারবেন না।কারণ আমি নিজেই জানিনা আমি বা কেনো উনাকে এতটা ভালবাসি।তাই অন্যদিকে গেলাম কথা ঘুরিয়ে বললাম,
"হঠাত এইভাবে ঘর সাজালেন কেনো এত টাকা নষ্ট করে।আর এই নতুন শাড়ি গহনা কেনো?আমার কি বিয়ে আজ ডাক্তার বাবু।"
উনি আবার হেসে বললেন,
"তুমি কি ইনোসেন্ট ভাবে কথা বলো দিয়া।এটাও একটা কারণ ভালবাসার জন্য।আজ কত তারিখ বলোতো।"
"কত তারিখ?"
"এত ইমপর্টেন্ট দিন টা ভুলে গেলে। এই দিনে না তুমি আমার জীবনে এসেছিলে মিস দিয়া থেকে মিসেস বিহান হয়েছিলে।ভেবেই রাগ হচ্ছে তুমি ভুলে গিয়েছো।এইভাবে চলতে থাকলে কবে যে পিচ্চিটা আমায় ভুলে যাবে।"
"ওহ মাই গড!আমি তো এত ঝামেলায় ভুলেই গেছিলাম।আমি ভেবেছিলাম এবার আপনাকে ভীষণ সারপ্রাইজ দিবো।এক প্রকার নাকে কেঁদেই বললাম এখন আমি কিভাবে সারপ্রাইজ দিবো আপনাকে।আর আমি ভুলবো সেই সাহস আমার আছে বলুন তো।এই পিচ্চি ডাকে কত আবেগ জড়িয়ে জানেন। এই ডাক শোনার লোভে হলেও আপনাকে ভুলতে পারবো না।"
উনি আমাকে বললেন,
"কিন্তু আমি ভুলি নি।আমার লাইফের সব থেকে বেষ্ট গিফট পাওয়া দিনটার কথা কিভাবে ভুলি।সারপ্রাইজ দেওয়া তো চলে যায় নি দিয়া তুমি চাইলে আমাকে আনএক্সপেক্টেড আদর দিয়ে সারপ্রাইজড করে দিতে পারো নিমিষেই।"
দুষ্টু হাসি দিয়ে কথাটা বললেন উনি।আদর নামক জিনিস টা এড়িয়ে যেতেই বললাম,
"তাহলে বিভোর ভাই রিয়া-আর আমাদের ম্যারেজ ডে এক সাথে পালন করা যাবে কি বলেন।আগামি বছর ইয়া ধুমধাম করে পালন করবো।"
উনি আমার কথা শুনে আবার ও নিঃশব্দে হাসলেন।আবার ও বললাম,
"এত টাকা নষ্ট করার কি প্রয়োজন ছিলো বলুন তো।এসব না করলেও হতো কিন্তু।আম্মু আমায় বকে আমি নাকি আপনার টাকা নষ্ট করি শুধু।আমি নাকি প্রয়োজনের থেকে বেশী খরচ করি।মামি আর মামা নাকি আমায় আদরে বাদর করেছে।আমি কি বাদর আপনি বলুন তো।"
"আমি তো জানি আমার বউ টা পুরাই বাচ্চা একটা মেয়ে। অবুঝ বালিকা।রিয়ার শাড়ি গহনা, ফুলসজ্জার খাট দেখলে তার ও মনে চাইবে এসব কিন্তু মুখে বলবে না।তার এই না বলা চাহিদা টুকু বোঝার ক্ষমতা আছে আমার।আর এই টাকা দিয়ে কি হবে।যে টাকা আমার বউ এর মুখে হাসি ফোটাতে পারবে না।আমার সব পরিশ্রম তোমার জন্য তুমি কি বোঝোনা।"
"হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললআম,আপনি না।"
"উনি আমার হাত ধরে বললেন, কোনো কথা নয় একদম চুপ।আজ আমি তোমাকে আমার নিজের হাতে সাজাবো।একদম আমার মনের মতো করে।"
"আপনি সাজাবেন।"
"হ্যাঁ আমি সাজাবো এক মিনিট আমার প্রিয় গান টা প্লে করি।"
--আমারও পরাণো যাহা চাই, তুমি তাই,,,তুমি তাই গো,,,,
আমারও পরাণো যাহা চাই,,,
তোমা ছাড়া আর এই জগতে,,
মোর কেহ নাই,,কিছু নাই গো,,,,
আমারও পরাণো যাহা চাই,,,
তুমি সুখও যদি নাহি পাও,,,,
যাও সুখেরও সন্ধানে যাও,,(২)
আমি তোমারে পেয়েছি,হৃদয়ো মাঝে,,
আর কিছু নাহি চাই গো,,,
আমারও পরাণো যাহা চাই,,
তুমি তাই,তুমি তাই গো,,
আমারও পরাণো যাহা চাই,,
আমি তোমারও বিরহে রহিবো বিলীন,
তোমাতে করিবো বাস,,,,
দীর্ঘ দিবসো,দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরোষমাস,,,,(২)
যদি আরও কারে ভালোবাসো,,
যদি আর ফিরে নাহি আসো,,(২)
তবে তুমি যাহা চাও,তাই যেনো পাও,,
আমি যতো দুঃখ পাই গো,,,,
আমারও পরাণো যাহা চাই,,
তুমি তাই,তুমি তাই গো,,,,,
আমারও পরাণো যাহা চাই,,,,
--মিনি বক্সে হালকা সাউন্ডে গান বাজছে।গান টা পরিবেশের সাথে মানিয়েছে বেশ।আমি এক পলকে তাকিয়ে আছি মানুষ টার দিকে।কত নিঁখুত চিন্তা ভাবনার মানুষ। কিভাবে পারে সব কিছু এইভাবে স্পেশাল ভাবে ভাবতে।জীবনের কোন পূণ্যর ফলে তাকে পেয়েছি জানিনা।আয়নার সামনএ দাঁড়িয়ে আছি আমি, বিহান আমাকে তার নিজ হাতে সাজাচ্ছে।লেহেঙ্গা পরানো,নিজ হাতে বিয়ের সমস্ত গহনা সব পরালো।তার হাতে চোখে কাজল পরে যেনো চোখ জোড়া ধন্য হলো আমার।কোনো ছেলে বুঝি এই ভাবে কাজল পরাতে পারে।দু-হাত ভরে চুড়ি পরিয়ে দিলেন।মাথায় টিকলি বেঁধে দিতে দিতে বললেন,তাকে আজ মায়াবিনী লাগছে,তার মায়া টানছে আমায় খুব।সে এতটা সুন্দর কেনো?আমার চোখে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী আমার বউ।আয়নায় তাকিয়ে দেখি আমাকে দেখতে হুবহু নতুন বউ এর মতো লাগছে।গান টা মনে হয় আমাদের দুজনের জন্য উপযুক্ত ছিলো এ সময়ে।বিহান আমায় বুকে টেনে নিয়ে কপালে চুমু দিয়ে ভালবাসার সুর তুললো।বিহানের বুকে মাথা দিয়ে মৌন রইলাম আমি।ওর হার্টবিট এর প্রতিটা ধ্বনিতে শুনছি দিয়া দিয়া আর দিয়া।আমার কথা বলার মতো কোনো ভাষা নেই মুখে।বিহানের স্পর্শের প্রতিটা স্পন্দনে ভালবাসার পরশ।ভালবাসার অতলে হারিয়ে যাওয়ারা আহবান করছিলো বিহান ওর আদর আর ভালবাসায়।গানের সুরে ছন্দে আনন্দে শুরু হলো দুজনের ভালবাসার একান্ত মুহুর্ত।নিজের ভার ওর উপর ছেড়ে দিলাম।ভালবাসাময় শুভ রাত্রীর শুভেচ্ছা জানালো ভালবাসারা। যার সাক্ষী এই রুমের চার দেওয়াল।
--পরের দিন ভোরে ঘুম ভেঙে গেলো আমার।ঘুম ভাঙতেই দেখি বিহান গোসল করে শুধু টাওয়াল পরে ফোনে কথা বলছে।মনে হচ্ছে খুব সিরিয়াস কোনো ইস্যু নিয়ে কথা বলছে।কিন্তু আমার কাছে এই মুহুর্তে সিরিয়াস ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে বিহান কে ডিস্টার্ব করা।ভীষণ ডিস্টার্ব করতে ইচ্ছা করছে।বিহান খেয়াল করেনি আমি ঘুম থেকে উঠেছি।আস্তে করে উঠে গিয়ে বিহান কে পেছন থেকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম।জড়িয়ে ধরেই শান্ত রইলাম না বিহানের পিঠে সুরসুরি দেওয়ার চেষ্টা করলাম।বিহান তাও ফোনে বিজি। বিহান কে খালি গায়ে দেখে তার ই সুযোগ নিলাম দুষ্টুমি খেলা করছিলো আমার মাথায় ভীষণ ভাবে।ক্যানো করছি তাও জানিনা।বিহানের উন্মুক্ত পিঠে কয়েক টা চুমু দিলাম বিহান কে আমার দিকে মনোযোগী হওয়ার জন্য কিন্তু ওর খেয়াল ফোনের দিকেই।আমি পেছন থেকে জড়িয়ে ধরায় আমার হাত বিহানের পেটে ওর নাভি বরাবর ছিলো।বিহান বার বার বিরক্ত হয়ে আমাকে সরানোর চেষ্টা করছে ও যত আমাকে সরানোর চেষ্টা করছে আমি ততই ওকে আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে ধরছি।কেনো জানিনা আমার ভীষণ ভাল লাগছে ওর সাথে এই দুষ্টমি করতে।
বিহান ফোন মিউট করে ধমকের সাথে চোয়াল শক্ত করে বললো,
"দিয়া ডোন্ট ডিস্টার্ব মি!"
আমি মুখ ভেঙচিয়ে বললাম,
"আমার হাব্বির সাথে যা ইচ্ছা তাই করবো আপনার কি আই নিড প্রচুর রোমাঞ্চ বুঝেছেন।"
উনি চোখে মুখে বিরক্ত নিয়ে বললেন,
"যাও গোসল করে পড়তে বসো এক্ষুণি।অনেক পড়া বাকি তোমার।আমার গুরুত্বপূর্ণ কল এসছে প্লিজ ডিস্টার্ব করো না।"
এটুকু বলেই উনি আবার ফোন আনমিউট করলেন।আমি এবার আরো ভয়ানক কাজ করলাম উনার নাভিতে আঙুল দিয়ে চিমটি দিতে লাগলাম।পুরা পেট আঙুল দিয়ে স্লাইড করছিলাম।বিহান আমার দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে আমার এক হাত ধরে রাখলো শক্ত করে।বার বার অগ্নি চোখে তাকিয়ে আমাকে এলার্ট করছে।ওর তাকানোর মানে এটাই ফোন কাটলে তোমার খবর আছে।আমি বেশ বুঝতে পারলাম তবুও ভয় পাচ্ছিনা।দুই পায়ের দশ আঙুলে ভর দিয়ে বিহানের গলা জড়িয়ে ধরে ঝুলে পরলাম।বিহান এবার আরো বিরক্ত হয়ে হাঁটা দিলো।ভেবেছে আমি পড়ে যাবো কিন্তু আমি ঝুলেই রইলাম।আমি যেনো দোলনায় উঠেছি।আহা!ফিলিংস কি অসাধারণ আমার।বিহান এবার দাঁতে দাঁত চেপে কপালের চামড়া কয়েক টা ভাজ ফেলে বললো,
"প্রব্লেম কী দিয়া।যেগুলা করছো প্রস্তুত থাকো।কি যে করবোনা তোমার আজ।"
আমি এবার বিহানের টাওয়াল ধরে টান দিলাম।ইস আরেকটু হলে যাচ্ছিলো খুলে।বিহান কল ইউ লেটার বলেই ফোন কেটে দ্রুত টাওয়াল এর গিট ভালো ভাবে দিয়ে আমার দিকে তাকালো।কি ভয়ানক চাহনি তার।ফোন বিছানায় ছুড়ে ফেলে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে।যে চাহনির মানে আমি এখন এতটায় বিরক্ত রাগে গিলে ফেললে শান্ত হতাম।এবার মাথা নিচু করে তাকিয়ে বললাম,
"সরি বকবেন না প্লিজ।আর এমন হবেনা।"
উনি আমার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে আমাকে ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে দিয়ে আমার দিকে ঝুঁকে বললেন,
"লেটস স্টার্ট প্রচুর রোমাঞ্চ। আজ আমার ছুটি।আজ সারাদিন রোমাঞ্চ হবে।"
"ছুটি কখন নিলেন।"
"এখন মেসেজ করে জানিয়ে দিলাম যে আজ আমার ছুটি।"
"কারণ জানতে চায় নি, কেনো ছুটি নিলেন।"
উনি ভ্রু কপাল টান টান করে বললেন,
"হুম চেয়েছিলো।বলে দিয়েছি আমার বউ আজ রোমান্টিক মুডে আছে।বউ এর জন্য ছুটি নিলাম।একথা শুনে জানালো ভাবির রোমান্টিক মুডের জন্য আজ ছুটি মঞ্জুর। "
"ছিঃছিঃ কি ভাববে তারা আমায়।আমি তো বিরক্ত করতে বলেছি।সত্যি বলিনি।"
"উনি হেসে আমার গালে চুমু দিয়ে বললেন,লেটস স্টার্ট রোমাঞ্চ।স্টার্ট ফার্স্ট মিসেস বিহান।"