সামাজিক

Discover all the "সামাজিক" related stories

অগোচরে তুমি

অগোচরে তুমি | পর্ব – ১৮

– তোমার বিয়ে হয়েছে? আমেনা বেগম মুখভর্তি পান চিবাতে চিবাতে প্রশ্ন ছুড়লেন তাঁর পাশেই বসে থাকা মেহেনূরের দিকে।রাওনাফ আর রোশনির বিয়ে উপলক্ষে অর্কদের গার্ডেনটাকে খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছে।এই গার্ডেনেই হলুদ আর বিয়ের অনুষ্ঠানটা করা হবে। এখন রাওনাফ আর রোশনির ফটোশুট চলছে।স্টেজের সামনে পেতে রাখা আসনগুলোয় সবাই বসে আছে।

37 Parts
0
7
অগোচরে তুমি

অগোচরে তুমি | পর্ব – ১৬

যখন অর্কের ঘুম ভাঙে তখন ঘড়ির কাঁটা সাড়ে এগারোটার গন্ডি পেরিয়ে বারোটার ঘর ছুঁইছুঁই।বাড়িতে বিয়ের আমেজ বলে কথা।হট্টগোল হবে এটাই তো স্বাভাবিক।মেহেনূরদের বাসার হৈচৈও অর্কদের বাসা থেকে শুনা যাচ্ছে।আত্মীয় স্বজনরা সবাই আসতে শুরু করেছে।এত হৈহল্লার মধ্যেও অর্ক সজাগ হয় নি!অর্কের ঘুম ভাঙে রাওনাফের চিৎকারে।

37 Parts
0
13
অগোচরে তুমি

অগোচরে তুমি | পর্ব – ১২

অর্কের সাথে রাওনাফ পুরো এনজিওটা ঘুরে দেখলো।রাওনাফ দেখলো এখানে একটা অনাথ আশ্রম আছে সাথে একটা স্কুলও আছে।রাওনাফ অনাক হয়ে অর্ককে জিজ্ঞাস করলে অর্ক বললো,বাচ্চারা এখানেই থাকে আর এখানেই পড়াশোনা করে।অয়ন, কলি, তনিমা আর দিহাদ ওদের ক্লাস নেয়।

37 Parts
0
9
অগোচরে তুমি

অগোচরে তুমি | পর্ব – ৬

গত কয়েক দিন এনজিওতে আসতে না পারায় অর্কের অনেক কাজ জমে গেছে।হাতে থাকা ঘড়িটায় বারবার তাকাচ্ছে আর ফাইলে কিছু লিখছে।অনেকটা রাত হয়ে গেছে তাই অয়নকে দিয়ে তনিমা আর কলিকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে।দিহাদ অর্ককে ছাড়া বাসায় ফিরবে না।

37 Parts
0
6
অগোচরে তুমি

অগোচরে তুমি | পর্ব – ১

ভোর সাড়ে চারটা।প্রথম আযানের ধ্বনি কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই ঘুম ভেঙে যায় রেনুফা বেগমের।চটজলদি উঠে ওযু করে চলে যান নামাজ খানায়।আলমারি থেকে কুরআন শরীফ আর জায়নামাজ নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় জায়নামাজ বিছিয়ে সামনেই কুরআন শরীফটা রাখেন।নামাজ শেষ করেই কুরআন তিলাওয়াত করতে বসেন।এখনো চারপাশ থেকে আযানের ধ্বনি ভেসে আসছে।

37 Parts
0
9
লাজুকপাতা

লাজুকপাতা | পর্ব – ১৮

কক্সবাজারে চার দিন ভালোই কাটলো। বাড়ি থেকে একাধারে সবার ফোন, ম্যাসেজ এসেছে। আমরা কেউই সেগুলোর জবাব দেই নি। শুধু পরী আপাকে ফোন করে সমস্ত কাহিনী বললাম। চারদিন পর ঢাকায় ফিরে দেখি সবকিছু থেমে আছে। শাশুড়ী মা একা একা কাজ সামলাতে গিয়ে কোমড় ব্যথা নিয়ে বিছানায় চিতপটাং।

24 Parts
0
8
লাজুকপাতা

লাজুকপাতা | পর্ব – ১৭

ঈদের পর একসঙ্গে অনেক গুলো ঘটনা ঘটলো। মনির সম্পত্তির ভাগ চাওয়া নিয়ে একদিন ঝামেলা হলো। পাশা মিয়া তার ফ্যামিলি সহ এসেছিল। সঙ্গে মনিও, এবারও ব্যাগ ভর্তি জিনিসপত্র। সঙ্গে কয়েক রকম মাছও। মনি সম্পত্তির ভাগ চায়। সে সবকিছু বুঝে পেলে আর এদিকে আসবে না। তবে এবার ওরা ঝামেলা করতে পারলো না। এসেছিল ঝামেলা করতে।

24 Parts
0
9
লাজুকপাতা

লাজুকপাতা | পর্ব – ৯

নাজমা ভাবী এক মাস পর আমাকে একটা খাম দিলেন। দেয়ার সময় খানিকটা অপ্রস্তুত হলেন। বললেন, “কম হলে জানাবে জরী। আরেকটু বেশী দেয়া উচিত ছিলো আসলে… আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম, “ধ্যাৎ! কী বলছেন ভাবী! ” “অনেক ধন্যবাদ জরী। তুমি আমার অনেক উপকার করেছ।

24 Parts
0
10
লাজুকপাতা

লাজুকপাতা | পর্ব – ৮

মাঝরাতে ঘুম ভাঙে চেঁচামেচির শব্দে। জামিল ভাইয়ের গলা। আমি ধড়ফড় করে উঠে বসি। নাবিদও চোখ কচলে উঠে বসে। বাইরের ঘরে জিনিসপত্র ফেলে দেবার শব্দ। নাবিদ আমাকে বলে, “তুমি ঘরে থাকো জরী। বাইরে আইসো না। ” আমি তবুও যাই। জামিল ভাইয়ের চোখ দুটো লাল। বিশ্রী রকমের কড়া সিগারেটের গন্ধ।

24 Parts
0
8
লাজুকপাতা

লাজুকপাতা | পর্ব – ৬

আমি ভর্তি হবার সুযোগ পেলাম তিতুমীর কলেজে। সাবজেক্ট প্রানীবিদ্যা। ইউনিভার্সিটির ভর্তি যুদ্ধে ছিটকে গেলাম প্রথম দফাতেই। শেষ ভরসা ছিলো জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটি। নাবিদ সেখানে পড়াতে চাইলো না। বলল, “বাসা থেকে এতো দূরে গিয়ে ক্লাস করতে পারবে না তুমি জরী। আর ওখানে একা থাকার তো প্রশ্নই আসে না। তুমি বরং কাছের কলেজেই পড়৷”

24 Parts
0
8
লাজুকপাতা

লাজুকপাতা | পর্ব – ৫

রান্নাঘরের দায়িত্বের সঙ্গে সঙ্গে বাজারের লিস্ট বানানোর দায়িত্বটাও আমি পেয়ে গেলাম। বাজার করেন শ্বশুর বাবা। উনি আমার সাথে কথা কম বলেন তবে আমার প্রতি তার স্নেহ, আন্তরিকতা টুকু আমি টের পাই। উনি আমাকে জরী কিংবা বউমা বলে ডাকেন না। মিষ্টি করে মা ডাকেন। এই বাড়িতে সকালের নাস্তায় এখন আর প্রতিদিন ভাত হয় না। […]

24 Parts
0
8
লাজুকপাতা

লাজুকপাতা | পর্ব – ৪

মাস পেরোনোর আগেই আমার রান্নাঘরে ঢোকার সৌভাগ্য হলো। আমাকে অবশ্য পরী আপা বুদ্ধি দিলো। রাগে গজগজ করতে করতে বলল, “জরী শোন, শ্বশুরবাড়ি মামাবাড়ি না। খেয়েদেয়ে পড়ে পড়ে ঘুমানো ভালো কথা না। শাশুড়ী এখন কিছু বলছেন না মানে সবসময় ই চুপ করে থাকবে এমন না। তুই আগ বাড়িয়ে কাজ কর।”

24 Parts
0
8