লাভার নাকি ভিলেন | সিজন – ২ | পর্ব – ৩৪

লাভার নাকি ভিলেন - সিজন ২

মেঘলা আকাশকে জড়িয়ে ধরে আকাশের গাঁয়ে গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে ভাবছে কেউ কি কখনো আমাকে আকাশের মত করে বুঝবে কেউ কি আমাকে এত কেয়ার করবে…??
আকাশ তোমার আচারন তো বলছে তুমি আমায় ভালবাসো তাহলে কেন অবনীকে বিয়ে করছো..??? আমি যে জীবনের শেষ দিন অবধী তোমার সাথে থাকতে চাই…..

কিছুক্ষন পর…

আকাশঃ মেঘলা নাম চলে এসেছি…
মেঘলাঃ….
আকাশঃ কিরে ঘুমিয়ে গেছিস নাকি.. মেঘলা এই মেঘলা..

এবার মেঘলার ধ্যান ভাংল..
মেঘলা তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে বসল এতক্ষন সে আকাশের সাথে মিশে ছিল।
মেঘলাঃ হুম নামছি..
আকাশঃ ঘুরতে ইচ্ছে হলে বলতে পারিস ঘুরিয়ে আনব…??
মেঘলাঃ না লাগবে না আমি আসলে একটু ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
আকাশঃ বাহ ভাল…
মেঘলা নেমে গেল..
আকাশঃ তুই যা আমি একটু আসছি..
আকাশ চলে যাচ্ছিল তখন মেঘলা আকাশকে পিছন থেকে ডাকল।

মেঘলাঃ আকাশ….

আকাশঃ হুম কিছু বলবি…

মেঘলাঃ বলছিলাম আমাকে ক্ষমা করে দেয়া যায় না….??মানে আমরা কি একসাথে থাকতে পারি না?

আকাশঃ না পারি না বলে কি যেন ভাবতে ভাবতে আর বাইরে গেল না হাঁটতে হাঁটতে গেস্ট হাউজে ঢুকে গেল।
আকাশকে আসতে দেখে,
নাবিলঃ কিরে তোদের আসতে লেইট হল কেন..

আকাশঃ একটু দরকার ছিল
মেঘলা ঘরে ঢুকে কারো সাথে কথা না বলে নিজের ঘরে চলে গেল।

অবনীঃ আকাশ এসো না দেখো আমরা সবাই মেহেন্দির জন্য নাচ শিখছি তোমাকেউ তো শিখতে হবে তাই না? চলে এসো…

আকাশঃ আমার ভাল লাগছে না তোমরা দেখো।
অবনীঃ তা বললে হয় নাকি বলে গিয়ে জোর করে আকাশ কে নিয়ে আসলো।

আবির নিজের বাসায় গিয়েছে। আকাশকে অবনী নিয়ে নিজের সাথে বসিয়েছে নাবিল আর সামিরাও এখানেই।

মেঘলা উপড় দেখে দেখছে…এবার আর রাগ হচ্ছে না চোখ ভিজে কান্না আসছে তার…

দেখতে দেখতে কেটে গেছে কয়েকদিন। এর মধ্যে ইরা আর ইরার বাবাকে জেলে পাঠিয়েছে আকাশ।
ইরার বোন মানে আকাশের ভাবি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে আকাশ তাকে ক্ষমা করে শেষবার সুযোগ দিয়েছে।আকাশের ভাই আর বিপাশা আকাশের বিয়েতে ভাল ভাবেই এটেন্ড করেছে। কিন্তু এই বিয়েতে আকাশের বাবার কোন মত নেই তাই তিনি গেস্ট হাউজে আসেন নি। আকাশের মা এসেছে।
মেঘলার বাবা মা আবিরকে মেনে নিয়েছেন তাই তারা এই বিয়েতে খুশি।নাবিল, সামিরার বাবা মাকে ফোন করে সব খুলে বলেছে তারাও বিয়েতে মত দিয়েছেন সন্ধ্যায় অনুষ্টানে তারা আসবে।জনি যানে না সামিরা কোথায় তাই সে খুঁজাখুঁজি করলেও খুঁজে পায় নি। তাই এদিকের মোটামুটি সব সমস্যা মিটে গেছে।
অন্যদিকে বিশৃঙ্খলা হওয়ার কারনে নির্বাচনের ডেইট ও পিছিয়ে দিয়েছে। সব মিলে সকল সমস্যার সমাধান হয়েছে।

দেখতে দেখতে হলুদ চলে এসেছে হলুদ ।সন্ধ্যায় হলুদের অনুষ্টান।

প্রথন কয়েকদিন মেঘলা আকাশের সাথে রাগ করে আবিরের সাথে মিলের ভাব নিলেও বিয়ের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই খারাপ লাগা বাড়ছে।আকাশ এই কদিনে অবনীর সাথে বেশ ঘনিষ্ট হয়ে গেছে..তবে আবির মেঘলার সাথে জোড়াজুড়ি বা ঘনিষ্ট হওয়ার কোন চেস্টা করে নি সে মেঘলাকে সময় দিচ্ছে কারন সে যানে মেঘলা আকাশকে কতটা ভালবাসে।তার ধারনা বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে তাই এখন মেঘলাকে কোন চাপ দিতে চায় না সে।

হলুদের দিন সকালের দিকে মেহেদী পড়ানোর জন্য লোক এসেছে…
৩ জন মেয়ে আলাদা আলাদা সামিরা অবনী আর মেঘলাকে মেহেদী পড়াচ্ছে।

একটা মেয়ে অবনীকে জিজ্ঞাসা করল আপু বরের নাম কি? মানে নামের ফার্স্ট লেটার দিয়ে ডিজাইন করে দিতাম।
তখন আকাশ বলে উঠল শুধু একটা অক্ষর কেন পুরো নামটাই লিখে দিন আকাশ।

মেঘলা এখানেই ছিল কিন্তু কিছু বলল না।
মেয়েটা মেঘলাকে জিজ্ঞাস করল আপু আপনার হাতে কি লিখব?

আকাশঃ আবির লিখে দিন।

মেঘলা গলা নিচু করে বলল না আপু শুধু A লিখে দিন তাহলেই হবে
মেয়েটা তাই করল।মেহেদি পরানোর শেষে….

অবনীঃ আকাশ ক্ষুদা পেয়েছে একটু কিছু খায়িয়ে দাও না প্লিজ আমার হাতে তো মেহেদী…

আকাশঃ হুম ওয়েট ডেয়ার দিচ্ছি।
আকাশ অবনীকে খাওয়াচ্ছে..দেখে মেঘলার আর সহ্য হল না।

মেঘলাঃ আমার তো মেহেদী পরা শেষ আমি একটু ঘরে যাই..??

আকাশঃ আরে যাবি কেন থাকনা ঘরে একা একা কি করবি?
মেঘলা কিছু না বলে চলে গেল আসলে তার কান্না পাচ্ছে কান্না লুকাতেই চলে গেল।

কিছুক্ষন পর আকাশ মেঘলার ঘরে গেল।

আকাশঃ আসব…???

মেঘলা কাঁদছিল তাড়াতাড়ি চোখ মুছে বলল হ্যা এসো…

মেঘলাঃ কিছু বলবে?

আলাশঃ দেখতে এসেছি মেহেদী কেমন লাল হয়েছে? শুনেছি মেহেদী যত লাল হয় তার বর নাকি তত ভালবাসে..

মেঘলা দেখাতে চাই নি আকাশ মেঘলার হাত টেনে নিয়ে হাতের দিকে তাকিয়ে বলল কি রে মেঘলা তোকে না বললাম আবির লিখবি তাহলে শুধু A লিখিছিস কেন আর A for আবির নাকি আকাশ?

মেঘলা কিছু বলল না আকাশ মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে চলে গেল।

সন্ধ্যায় হলুদের সকল আয়োজন শেষ।
সবাই যখন অনুষ্ঠানে ব্যাস্ত আকাশের ২ চোখ শুধু মেঘলাকে খোঁজছে কারন সবাই সেখানে থাকলেও মেঘলা নেই আকাশ বারবার তাকে খুঁজছে তার ধারনা মেঘলাকে আজ খুব সুন্দর দেখাবে।

আকাশ মেঘলাকে দেখতে না পেয়ে নিজেই খুঁজতে গেল।

আকাশঃ আরে এই মেয়েটা আবার কোথায় চলে গেল।মেঘলা এই মেঘলা কোথায় তুই…??

মেঘলা আকাশের গলা শুনে নিচে নেমে আসল।

মেঘলাঃ কি হয়েছে? অনুষ্ঠান কি শুরু হয়ে গেছে?

আকাশ উত্তর দিল না সে মেঘলা কে দেখে অবাক হয়েছে কারন আজ সবাই খুব ভাল করে সাজলেও মেঘলা সাজে নি শুধু ড্রেস পরেছে।মেঘলা সারাদিন ধরে কেঁদেছে তাই চোখ মুখ ফুলে গেছে।

আকাশ মেঘলার কাছে এসে বলল কি রে মেঘলা সমস্যা কি?তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন? শরীর খারাপ নাকি?

মেঘলাঃ কই না তো কিছু হয় নি আমার।
আমার কি হয়েছে তুমি কি বোঝনা আকাশ (মনে মনে)

আকাশঃ তোকে কেমন ফ্যাকাশে লাগছে তাই বল্লাম।

মেঘলাঃ ওসব কিছু না চলো বাইরে যাই।

আকাশ এভাবে বাইরে যাবি মানে? আমি মেয়েদের ডেকে দিচ্ছি তোকে সাজিয়ে দিবে।

মেঘলাঃ না না আমি সাজব না ভাল লাগছে না।

আকাশঃ তোকে এভাবে দেখতে আমারো ভাল লাগছে না চল তো বলে আকাশ মেঘলাকে নিয়ে মেঘলার রুমে গেল। তোর সাজুনিগুজুনি কোথায় দেখি…বলতে বলতে আকাশ নিজেই খুঁজে বের করে নিল।
আকাশ মেঘলাকে লিপষ্টিক পড়িয়ে দিল চোখে কাজল ও পড়িয়ে দিল।
মেঘলা এবার আকাশের সামনেই কেঁদে ফেলল..নিশব্দে চোখের পানি ফেলতে লাগল…

আকাশ অবাক হল না বরং মেঘলার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল সাজ নষ্ট হয়ে যাবে তো….

মেঘলা নিজেকে কন্ট্রোল করার চেস্টা করল।

আকাশ মেঘলাকে সাজিয়ে নিয়ে বাইরে যাচ্ছিল হঠাৎই মেঘলা পড়ে যাচ্ছিল আকাশ এসে তাড়াতাড়ি মেঘলাকে ধরল।

আকাশঃ কি হল পড়ে যাচ্ছিস কেন? এত ভারি ড্রেস পড়েছিস কেন?

মেঘলাঃ না মানে মাথা টা হঠাৎ ঘুরে গেল।

আকাশঃ আচ্ছা চল…

আকাশ আর মেঘলা যেতেই নাবিল বলে উঠল কোথায় ছিলি এতক্ষন? অনুষ্ঠান কি আজ হবে নাকি না?

আকাশঃ হুম তোরা শুরু কর…

মেঘলা মঞ্চের দিকে যেতে চাইল আকাশ মেঘলার হাত ধরে বলল একটু বস এখানে,

মেঘলাঃ কেন..??

আকাশ মেঘলাকে মেহমানদের সারিতে বসিয়ে দিয়ে গিয়ে মেহমানদের জন্য রাখা খাবার থেকে এক প্লেট খাবার নিয়ে আসল তারপর মেঘলার হাতে দিয়ে বলল এটা খা তারপর গিয়ে আবিরের পাশে বস।

মেঘলাঃ মানে কি?

আকাশঃ আমি তোকে বিয়ে করব না মানে এই না যে তোর প্রতি আমার কোন টান নেই।তুই এতক্ষন না খেয়ে ছিলি তাই তখন মাথা ঘুরে পড়ে যেতে চেয়েছিলি সেটা আমার বুঝার বাকি নেই মেঘলা তাই এখন আগে তুই খাবি তারপর হলুদের অনুষ্টান হবে।

মেঘলাঃ আমি এখন সবার সামনে খাব? কি বলছো এসব।

আকাশ রাগি লুক নিয়ে বলল খাবি কি নাকি জোর করব খাওয়াতে হবে?

মেঘলা বুঝল জোর দেখিয়ে লাভ নেই তাই চুপচাপ খেতে শুরু করল।খাওয়া শেষ করে মেঘলা গিয়ে আবিরের পাশে বসল।

সবাই একে একে হলুদ মাখিয়ে দিল ৩ জোড়াকেই

হলুদের অনুষ্ঠান হয়ে গেল নাবিল সামিরা নাচ করল অবনী আর আকাশও হাত ধরা ধরি করে নাচল মেঘলা শরীর খারাপের অযুহাতে নাচল না।আবিরো জোর করে নি।আকাশ কে নাচতে দেখে মেঘলার অনেক খারাপ লাগলেও মুখ ফোটে কিছু বলতে পারে নি কারন যে জানে এসব বলে লাভ নেই আকাশ এসব শুনবে না।

অনুষ্ঠান শেষে যে যার মত নিজেদের ঘরে চলে গেল।
কিন্তু আকাশ নিজের ঘরে না গিয়ে নাবিলের ঘরে গেল..

আকাশঃ আসব…

নাবিলঃ আমার ঘরে আসবি এটা আবার বলার কি আছে আয়…

আকাশঃ হুম দোস্ত এবার বল মেয়েটাকে কত টাকা দিতে হবে..??

নাবিলঃ কোন মেয়ে কিসের টাকা?

নাবিলঃ কোন মেয়ে কিসের টাকা?
আকাশঃ আরে ওই অবনী না কি যেন…

নাবিলঃ ওকে টাকা দিব মানে বুঝলাম না।

আকাশঃ এতদিন ধরে অভিনয় করছে টাকা দিবি না?

নাবিলঃ পাগল হয়ে গেছিস নাকি অভিনয় কেন হবে?

আকাশঃ মানে কি?ওকে তুই ভাড়া করে আনিস নি? তুই তো জানিস আমি মেঘলাকে কত ভালবাসি আর তার চেয়েও বড় কথা তুই মেঘলার ভাই তারপরে নিশ্চুই তুই সত্যি সত্যি বিয়ের জন্য পাত্রী নিয়ে আসিস নি তাই না?

নাবিলঃ জোকস করা বন্ধ কর যা বলার সরাসরি বল।

আকাশঃ অবনীকে তুই ভাড়া করে এনেছিস তা নাহলে তুই এত সহজে মেনে নিলি কি করে আমি মেঘলাকে ছেড়ে দিলাম তুই ভাই হয়ে কিছু বললি না?

নাবিলঃ কেন বলব মেঘলার কি কোন আত্মসম্মান নেই নাকি? আর শোন আমি এত কিছু বুঝি না আমি কাউকে ভাড়া করে আনি নি।এই মেয়েটার সাথে তর বিয়ে হচ্ছে তুই আমার কাছে চেয়েছিস আর আমি দিব না তা কি করে হয় তাই নিজের মনে পাথর চাপা দিয়ে তোর বিয়ের ব্যবস্থা করেছি।

আকাশঃ না এ হতে পারে না নাবিল,তুই এত বোকামি করতে পারিস না। আমি মেঘলাকে ছোট বেলা থেকে ভালবাসি আমি ওকে একটু শাস্তি দিতে চেয়েছিলাম ঠিকি কিন্তু মেঘলাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব এটা আমি স্বপ্নেও ভাবি না।

নাবিলঃ তাহলে তো আমার সোসাইড করা ছাড়া আমার কোন উপায় নেই।

আকাশঃ মানে কি

নাবিলঃ বারবার বলেছিলাম যা বলছিস ভেবে বল মেয়েটা আমার বন্ধু আমার কথায় তোকে বিয়ে করতে এসেছে তার মা বাবাও এসেছে এখন বিয়ের আগের দিন তুই বিয়ে ভেংগে দিলে ও সমাজে মুখ দেখাবে কি করে? আর এই অসহায়তার দায় ভার কে নিবে? আমি এই অপরাধ বোধ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারব না।

আকাশঃ নাবিল তুই এসব কি বলছিস প্লিজ দোস্ত এভাবে বলিস না আমার ব্যাপারটা একটু বুঝ।যত টাকা লাগে আমি দিতে রাজি আছি।

নাবিলঃ টাকা..?? অবনীকে দেখে কি তোর ভিখারি মনে হচ্ছে? আর আমি তোর জন্য কোন লোভি মেয়েকে নিয়ে এসেছি বলে তোর মনে হয়? দেখ আকাশ এখন আর বুঝার কিছু নেই আমি তোকে জোর করব না তুই যদি বিয়ে না করিস আমি তোকে একটা কথাও বলব না তবে জেনে রাখিস আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবি তুই বাকি টা তোর ইচ্ছা।
হয় মেঘলা অথবা নাবিল তুই কাকে চাস সেটা তোর ব্যাপার…

আকাশঃ না এটা হতে পারে না নাবিল আমার সাথে তুই এসব করতে পারিস না।আমি ভাবতেও পারছি না এসব সত্যি তুই আমার ব্যাপারে সব জেনেও তুই সত্যি কি করে বিয়ে ঠিক করলি?

নাবিলঃ আমি করেছি? তুই আমায় চাপ দিয়েছিলি আকাশ।আজ মেঘলার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে হয়ত আমি তোকে রিকুয়েষ্ট করতাম কিন্তু মেঘলা আমার নিজের বোন তুই ওকে রিজেক্ট করেছিস এত বড় অপমানের পপর আমার আর কিছু বলার থাকতে পারে না। সবকিছুতেই তো ছেলে খেলা করা যায় না তাই না?একবার ইরার সাথে বিয়ে ঠিক করে ভেংগেছিস এখন আবার অবনী …. দেখ আকাশ আমি কথার নরচর একদম পছন্দ করি না আমি অবনীর বাবা মাকে কথা দিয়েছি এই বিয়ে তকে করতেই হবে না হলে আমার মরা মুখ দেখতে হবে। এবার তুই সিধান্ত নে
বলে নাবিল চলে গেল।

নাবিলের রিয়েকশন দেখে আকাশের পায়ের নিচ থেকে যেন মাটি সরে গেল তার এতদিন ধারনা ছিল এসব নাবিলের প্লেন তাই মেঘলাকে শাস্তি দিতে এসব করেছিল। সে একবারের জন্যেও ভাবে নি এসব সত্যি।

আকাশ হাঁটতে হাঁটতে ছাদে গেল। আবছা আলোয় আকাশ দেখতে পেল সেখানে সে একা নয় আরো একজন আছে যে নিজের কান্না লুকাতে ছাদে আশ্রয় নিয়েছে।

মেঘলাকে কাঁদতে দেখে আকাশ আরো ভেংগে পড়ল সে ছাদ থেকে নেমে নিজের ঘরে চলে গেল
আর ভাবতে লাগল কি করা যায়। কারন অবনীকে এখন না করাটাও একটা বিশ্রি ব্যাপার অবনী লোভি মেয়ে না যে টাকা দিয়ে সরিয়ে দেয়া যাবে আর নাবিলও একবার যা বলে তাই করে…

Share This Article
Leave a comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।