তোমাকে | মুন্নি আক্তার প্রিয়া | পর্ব – ৩০

পরীক্ষা শেষেই বাসায় এসে শুয়ে পড়ে পরী। রেহেনা বেগমও পেছন পেছন আসেন। টেবিলের ওপর থেকে প্রশ্নপত্র হাতে নিয়ে জিজ্ঞেস করেন,

“তুর্যর সাথে দেখা হয়েছিল?”
না চাইতেও পরীর ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা ফুঁটে ওঠে। শোয়া থেকে বসে বলে,
“আমি তো ভেবেছিলাম তুমি জিজ্ঞেস করবে পরীক্ষা কেমন দিলাম!”
রেহেনা বেগম মৃদু হেসে বলেন,
“এজন্যই তো আমি ঐ প্রশ্ন করলাম।”
পরী হেসে বলে,
“হুম। দেখা হয়েছিল।”
“তাহলে পরীক্ষাও নিশ্চয়ই ভালো হয়েছিল?”
পরী এবারও হাসে।
“হুম।”
উত্তরে রেহেনা বেগমও হাসেন। পরীর মাথায় হাত দিয়ে বলেন,
“গোসল করে আয়। আমি খেতে দিচ্ছি।”
“আচ্ছা।”
গোসল শেষ হলে পরী ডাইনিংরুমে আসে। বাবা আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন সেখানে। পরী চুপচাপ একটা চেয়ার টেনে বসে। রেহেনা বেগম পরীর প্লেটে ভাত বেড়ে দেন। বাবা বলেন,
“পরীক্ষা কেমন দিলি?”
“হুম ভালো।”
“নেক্সট পরীক্ষা কবে?”
“তিনদিন গ্যাপ আছে।”
“যাক, ভালোই হলো। আজকে ওরা দেখতে আসবে তোকে।”
“আব্বু আমি তো বলেছিলাম পরীক্ষার মধ্যে বিয়ে নিয়ে কোনো কথা না বলতে।”
“তোর কথামতো চলতে হবে?”
“যেহেতু আমার বিয়ে নিয়েই এত পায়তারা সেহেতু অবশ্যই আমার মতামত তোমার শুনতে হবে।”
বাবা চেঁচিয়ে বলেন,
“তুই আমার মুখে মুখে তর্ক করছিস? বেশি সাহস বেড়ে গেছে?”
এ পর্যায়ে রেহেনা বেগম বলেন,
“সেই সুযোগটা তুমিই তো দিয়েছ। তুর্যর সাথে যোগাযোগ করার সব রাস্তা তুমি বন্ধ করে দিয়েছ। ও তো কিছু বলেনি। তাহলে তুমি আবার কেন বিয়ের বিষয় নিয়ে পড়লে?”
“আমি কি ওর খারাপ চাই?”
“এটা কেমন ভালো আমায় একটু বলো তো। ও যার সাথে সুখী থাকবে তাকে মেনে নিতে তোমার আপত্তি কোথায়?”
“আপত্তি কোথায় তুমি জানো না সেটা?”
“তুর্যর মাকে নিয়ে তো? ওর মাকে দিয়ে তুমি কী করো? ও থাকবে তুর্যর সাথে। তুর্য ঠিক থাকলেই তো হলো।”
“কয়দিন ঠিক থাকবে বলে তুমি মনে করো? মায়ের কানপড়ায় পরে ঠিকই ঝামেলা করবে।”
“তোমার সাথে আমি এইসব নিয়ে আর কথা বলতে চাচ্ছি না।”
“বোলো না। শুধু শুনে রাখো আজকে ছেলেপক্ষরা আসবেই।”
পরী খাবার প্লেটে হাত ধুয়ে বলে,
“আসুক। এসে খেয়েদেয়ে তাদের চলে যেতে হবে। আমার মুখ দেখা তাদের হবে না। আমি যাব না তাদের সামনে।”
কথাগুলো বলে পরী নিজের রুমে চলে যায়।
.
.
বিকেলে প্রাইভেটে যাওয়ার সময় মেহনুবার সাথে দেখা হয়। বাড়িতে হওয়া সব ঘটনা খুলে বলে। কিন্তু কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না পরী বা মেহু। কথার মাঝে হুট করে মেহু বলে বসে, “তোরা পালিয়ে গেলে কেমন হয়?”
মেহুর কথার প্রেক্ষিতে পরী নাকমুখ ফুলিয়ে বলে,
“গাধার মতো কথা বলছিস কেন? আমার পরীক্ষা চলছে এখন।”
“আহা! আমি কি এখনই পালাতে বললাম নাকি। পরীক্ষা শেষে পালিয়ে যা।”
“পারব না রে।” মুখটা মলিন করে বলল পরী। 
“পরিবারকে বলার পরও যখন মানে না তখন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করাই উচিত। তাছাড়া এমনও তো নয় ছেলে খারাপ। সমস্যা তো শুধু ভাইয়ার মাকে নিয়েই। বাকি সব ঠিক তবুও রাজি হচ্ছে না। পালানো ছাড়া আর উপায় কী? আমি হলে তো তাই করতাম।” তিরিক্ষি মেজাজে বলল মেহনুবা।
পরী অসহায়ের মতো মুখ করে বলে,
“তুই যা বলছিস তা হয়তো ঠিক। কিন্তু নিজের ভালোবাসার জন্য পরিবারকে কীভাবে কষ্ট দিই বল তো? বিশেষ করে মা! মাকে আমি কখনোই কষ্ট দিতে পারব না।”
“আন্টি তো সব জানেই। তাহলে সমস্যা কী?”
“পালিয়ে গেলে পরিবারের মান-সম্মান থাকবে?”
“তাহলে তুই কী করবি আমায় বল? তোর বাবার ঐ বন্ধুর ছেলেকে বিয়ে করবি?”
“কখনোই না। আমি তুর্যকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না।”
“কীভাবে সম্ভব পরিবার মানিয়ে?”
“আমি জানিনা। তবে এতটুকুই জানি পরিবার রাজি করিয়ে তুর্যকেই বিয়ে করব।”
“জানিনা কী হবে! তবে আল্লাহ্ তোর সহায় হোক।”
প্রাইভেট পড়ার ফাঁকেই মেহনুবার কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে নেয় পরী। ফোনে নতুন সিমও তুলে দিয়েছে তুর্য। প্রাইভেট পড়া শেষ হলে ছাদে গিয়ে কল দেয় তুর্যকে। আজকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে এটাও জানায়। তুর্য পরীকে আশ্বস্ত করে কিছু একটা করবে। কথা শেষ হলে ফোন বন্ধ করে ব্যাগে ভরে রাখে।
বাড়িতে গিয়ে দেখে বিশাল আয়োজন চলছে। মোহাম্মদপুর থেকে পরীর দুই ফুপিকেও নিয়ে এসেছে বাবা। বেশিরভাগ কাজ  বড় ফুপি,ছোট ফুপি আর ফুপাতো বোন করছে। মায়ের মুখটা শুকনো। হাতে হাতে টুকিটাকি কাজ করে দিচ্ছে শুধু। পরী মায়ের উদ্দেশ্যে বলে,
“তোমার মন খারাপ?”
শুকনো ঠোঁটে হাসি ফুঁটিয়ে রেহেনা বেগম বলেন,
“না রে! কিছু খাবি তুই?”
“না।”
বলে পরী নিজের রুমে চলে যায়। পরীর আসার কথা শুনে ছোট ফুপাতো বোন দৌঁড়ে আসে। পরীকে জানায় বাবা-মায়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে বেশ। পুরো ঘটনা জানার জন্য বড় ফুপাতো বোনকে নিজের রুমে নিয়ে আসে পরী। ছেলে দেখতে আসার রেশ ধরেই বাবার সাথে মায়ের ভীষণ কথা কাটাকাটি হয়েছে জানায় বড় বোন। শুধু তাই নয় এটাও জানায়, বাবা বলেছে তারা আজই আকদ করে যাবে। সব শুনে পরীর মাথা ধরে আসে। বড় বোন চলে যাওয়ার প্রায় কিছুক্ষণ পরই মা রুমে আসেন। পরীর দু’গালে হাত রেখে বলেন,
“তুর্যকে চাস?”
মায়ের হাতের ওপর হাত রেখে পরী বলে,
“হঠাৎ এসব কেন বলছ মা? আপু বলল তারা নাকি আজ আকদ করবে?”
“ঠিকই শুনেছিস। আমি বলছি শোন, তুর্যকে চাইলে তুর্যর হাত ধরে চলে যা।”
“এসব কী বলছ তুমি?”
“এছাড়া আর কী করবি তুই? তোর বাবাকে তুই চিনিস না। উনার রাগ বজায় রাখার জন্য উনি সব করতে পারেন। তুই পারবি তুর্যকে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করতে?”
“না পারব না। আর পালিয়েও যাব না আমি। তারা আসবে আসুক। আমি নিজে তাদের সব জানাব।”
মেয়ের সাথে তিনি আর কথা বাড়ান না। সন্ধ্যা হওয়ার প্রায় আগ মুহুর্তে পরীকে সাজানোর দায়িত্ব দেয় ফুপাতো দুই বোনকে। শাড়ি, গয়না সব বিছানার ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। নানান রকম বাহানা দিয়ে দু’বোন কে ঘর থেকে বের করে দরজা লাগিয়ে তুর্যকে ফোন করেছে। সব শুনে তুর্য বলেছে তুর্য এখনই বাসায় আসবে। পরীর কোনো বারণই শুনেনি। উল্টো ফোন বন্ধ করে রেখেছে। এদিকে মেহমান সবাই এসে পড়েছে। নাস্তা-পানি খাওয়ার পর পরীকে নিতে এসেছে বড় বোন। দরজায় নক শুনে পরী দরজা খুলে দেয়। পরীর আপাদমস্তক দেখে আপু বলে,
“কীরে? তুই রেডি হোসনি?”
পরী এর কোনো উত্তর না দিয়ে মাথায় ঘোমটা দিয়ে ড্রয়িংরুমে যায়। সকলকে সালাম দিয়ে জানায় পরী ছেলের সাথে একান্তই কথা বলতে চায়। ছেলের পরিবারের কেউ কোনো আপত্তি করেনি। পরীর রুমে আসার পর পরী বলে,
“আমি সোজাসাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করি। তাই সোজাসুজি বলছি, আমি এই বিয়ে করতে পারব না। আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি। আর সেও আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু বাবা আমাদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছেন না। তার কারণ ওদের পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের একটু ঝামেলা হয়েছিল। ওর মা আমাদের মেনে নিচ্ছে না তাই বাবাও ওকে মেনে নিচ্ছে না। তাই জেদের বশে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দিতে চাচ্ছে। আমি আপনাকে সব জানিয়ে দিলাম কারণ আপনি ছাড়া এখন আর কেউ আমায় সাহায্য করতে পারবে না। আপনি আশা করি সবটা বুঝতে পারছেন।”
একদমে কথাগুলো বলে থামে পরী। ছেলেটা সব শোনার পর বলে,
“আমি আপনাদের পথে বাঁধা হব না। আমি এখনই আমার পরিবারকে সব জানাচ্ছি। আর সম্ভব হলে আমি আঙ্কেলকেও বোঝাব।”
“আপনার প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।” খুশি হয়ে বলল পরী।
এরপর ড্রয়িংরুমে আর কী কথাবার্তা হয়েছে জানে না পরী। তবে সব কথা শোনার পর বাবার বন্ধু বলেছে বিয়েশাদির ব্যাপারে সন্তানের মতামত জানা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুত্বের খাতিরে ভালো ব্যবহার ও রাতের ডিনার করেই ফিরেছেন তারা। কিন্তু পরীর এহেন কাণ্ডে ভীষণ অপমানবোধ করেছেন বাবা। ছোট বোনকে দিয়ে পরীকে ডেকে পাঠিয়েছেন। পরীর মুখ থেকেই জানতে চেয়েছেন পরী কী বলেছে। রাগে তার পুরো শরীর কাঁপছে। তাতে ঘি ঢেলেছে বড় ফুপি। তিনি বলেন,
“আজকালকার মেয়েদের এত সাহস বাবা! প্রেম তো করেই আবার মুখে মুখে তর্কও করে। বাপ-মায়ের সামনেই আবার ভালোবাসার কথা বলে। লজ্জাশরম কিছু তো নাই’ই। বাপের সম্মান নিয়াও এখন টানাটানি করে।”
বাবার রাগ আরো তেঁতে গেছে। মা যে দর্জি কাজ করেন টুকটাকি তার একটা ভাঙা স্কেল এনে ইচ্ছেমতো আঘাত করতে থাকে পরীর গায়ে। রেহেনা বেগম আটকাতে গেলে তাকেও সরিয়ে দেন। এক পর্যায়ে তাকে রুমে আটকে রেখে পরীকে মারেন। আঘাতের প্রত্যেকটা জায়গা ফুলে উঠেছে প্রায়। চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। তবুও নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে পরী। কানে ভেসে আসছে পাশের রুম থেকে মায়ের চিৎকার আর কান্নার শব্দ। আর সাথে তো ফুপির ব্যাঙ্গাত্মক কথা আছেই। যতক্ষণ পর্য়ন্ত রাগ না মিটলো বাবার ততক্ষণ পর্যন্ত মেরেছেন। ভয়ে এতক্ষণ বড় ফুপাতো বোন চুপ থাকলেও এবার আর পারল না। আকুতি করে বলে,
“মামা আর মাইরেন না প্লিজ। মরে যাবে মেয়েটা।”
বড় ফুপি ধমক দিয়ে বলেন,
“তুই চুপ কর। মাইর না খাইলে প্রেম করার শখ মিটব না ওর।”
“আল্লাহর দোহাই লাগে একটু চুপ করো মা। দেখতেছ তুমি কীভাবে মারতেছে?”
ড্রয়িংরুমের দরজা খোলাই ছিল। অফিস থেকে হন্তদন্ত হয়ে ফিরেছে তুর্য। সাথে প্রান্তও আছে। পরীর মুখে সব শোনার পরে এমনিতেই চিন্তায় অস্থির ছিল তুর্য। ছুটির ঝামেলা মিটিয়ে আসতে আসতে রাস্তায় পড়ে জ্যামে। শেষমেশ না পেরে হেঁটেই এসেছে। পথে প্রান্ত তুর্যকে হাঁপিয়ে আসতে দেখে জিজ্ঞেস করে কী হয়েছে। তুর্য কোনো উত্তর দেয়নি বিধায় পেছন পেছন প্রান্তও আসে। আর বাড়িতে এসে পরীকে এভাবে মার খেতে দেখে তুর্য একদম থমকে যায়। প্রান্ত দৌঁড়ে এসে বাবাকে থামিয়ে সেখান থেকে সরান। তুর্য পরীর কাছে এসে টলমল করা চোখে আঘাতপ্রাপ্ত পরীর শরীরের দিকে তাকায়। হাতের নগ্ন অংশটুকুতে মাংসের স্তুপ একদম ফুলে উঠেছে। বড় বোন এসে পরীকে জড়িয়ে ধরে। ছোট বোন গিয়ে দরজা খুলে দেয়। রেহেনা বেগম দৌঁড়ে এসে পরীকে বুকে জড়িয়ে ধরেন আর চিৎকার করে কান্না করেন।
তুর্য বাবাকে বলে,
“আপনার এত রাগ আমার ওপর ঝাড়তে পারতেন। এভাবে কেন ওকে মারলেন?”
বাবা ক্ষেপে গিয়ে বলেন,
“আমার মেয়েকে আমি মেরে কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেব। তাতে তোমার সমস্যা কী?”
“সমস্যা আছে আমার। ভালোবাসি আমি ওকে।”
“এতই ভালোবাসা তাহলে নিয়ে যাও ওকে। ওর মতো মেয়ে আমার দরকার নেই।”
“নিয়েই যেতাম যদি ও রাজি থাকত। একা বিয়ে করে ওকে খাওয়ানোর মতো এবিলিটি আছে আমার। কিন্তু ও চায় না আমার পরিবার বা আপনাদের কারো সম্মানহানি হোক। আর ঠিক এজন্যই সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করেছে। কিন্তু আমি তো জানতাম না আপনি এত নিষ্ঠুর। তাহলে তুলে নিয়ে হলেও ওকে আমি বিয়ে করতাম। আপনার সমস্যা তো আমার মাকে নিয়ে তাই না? বেশ! যেভাবেই হোক দু’দিনের মধ্যে আমার পুরো পরিবার নিয়ে আমি আপনার বাসায় আসব। আর তখন আপনি রাজি হোন আর না হোন পরীকে আমি জোর করে হলেও বিয়ে করব। আমি চাই আমার ভালোবাসাকে সসম্মানে নিয়ে যেতে। আপনি নিজের হাতে ওকে আমার হাতে তুলে দেবেন।”
বড় ফুপি চেঁচিয়ে বলেন,
“কে এই ছেলে? ওর লগেই প্রেম করে নাকি? ঐ পোলা, সবই তো শুনছি তোমাদের ব্যাপারে। তোমার মায় রাজি হইবোনি? আগে গিয়া নিজের মায়রে রাজি করাও।”
“সেই চিন্তা আপনার করা লাগবে না আন্টি। আমি আমার কথা রাখব।”
রেহেনা বেগম পরীকে নিয়ে সোফায় বসে কাঁদছেন। তুর্য সেদিকে এগিয়ে গিয়ে পরীকে পাঁজাকোলে নিয়ে মায়ের উদ্দেশ্যে বলে,
“আমার সাথে আসুন আন্টি। ডাক্তারের কাছে নিতে হবে ও’কে।”
বাবার সামনে দিয়েই পরীকে কোলে করে সদর দরজা দিয়ে বের হয়ে যায় তুর্য।

Share This Article
Leave a comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।