অর্ক ডিনার শেষ করে নিজের ঘরে এসে ল্যাপটপ নিয়ে বসেছে।বৃদ্ধাশ্রম আর অনাথাশ্রম মিলিয়ে যে বিল্ডিংটা করা হবে ওইটারই ডিজাইন দেখছে।তনিমা আজ আবার এনজিওতে আসে নি,সাথে ওই হতচ্ছাড়া অয়নটাও।এনজিওতে আজ ওকে একাই সবকিছু সামলাতে হয়েছে।সারাদিনে একটা বারের জন্য কেউ ওর খোঁজ নিলো না।দিনকে দিন বন্ধু গুলোও যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে।ইদানীং অর্কের নিজেকে খুব একা মনে হয়।চারদিকে কেমন শূণ্যতার, হাহাকার। কোনো কিছু হারিয়ে ফেলার তীব্র আশংকায় ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠে মাঝে মধ্যেই।নিজের বাবা মাকেও এখন আর আগের মতো কাছে পায় না,তাদের সাথে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারে না।তাদের সাথে ওর সম্পর্কটা কি এইটাই ঠুনকো হয়ে গেছে?হয়তোবা!আগামী মাসে কানাডায় যাওয়ার জন্য মনস্থির করলো অর্ক।যে করেই হোক ওকে কিরণ চৌধুরীর সান্নিধ্য পেতেই হবে।অনেক হয়েছে আর না।এইভাবে কি মানুষ বাঁচে নাকি?ধোয়াশায় মধ্যে থেকে কি জীবন চলে?অর্কের বুক চিঁড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে।জীবন বড়ই অদ্ভুত!
– আসতে পারি?
কথাটা কানে এসে বারি খেতেই চকিত দৃষ্টিতে দরজার দিকে তাকায়।নিজের অজান্তেই অর্কের চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো,মুখে মলিন হাসি।ওর বন্ধুরা এসেছে।বিছানা থেকে নেমে দৌঁড়ে গিয়ে সবাইকে জড়িয়ে ধরলো।উতলা কন্ঠে বললো,
– জানিস তোদের কথা না খুব মনে পড়ছিল।আর তোরাও চলে আসলি।আমাদের আত্মার কত টান দেখেছিস।
নিজেদেরকে সবাই আলিঙ্গন থেকে মুক্ত করে নিয়ে স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ালো।দিহাদ অর্কের পিঠ চাপড়ে বললো,
– তা কেমন আছিস?
– একটু আগে অবধি ভালো ছিলাম না রে।কিন্তু এখন মন প্রান দিল সব ভালো হয়ে গেছে।আয়, এদিকে আয় সবাই।
সবাই যার যার মতো গিয়ে বসলো।বিছানার উপর থেকে অর্ক ওর ল্যাপটপটা নিয়ে সবাইকে বিল্ডিংয়ের ডিজাইন গুলো দেখাতে লাগলো।কয়েক মুহূর্ত পরেই অর্কের ঘরে বড়সড় একটা ট্রে হাতে আগমন ঘটে আয়েশা বেগমের।কলি চটজলদি উঠে গিয়ে উনার হাত থেকে ট্রে-টা নিয়ে ব্যস্তস্বরে বললো,
– আন্টি এত রাতে আপনি এইসব করতে গেলেন কেন?আমরা সবাই তো খাওয়া দাওয়া করেই এসেছি।
– তাতে কি হয়েছে।এইটুকু খাবার খেতে পারবে,কিচ্ছু হবে না।
স্মিত হাসলো কলি।পরমুহূর্তেই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে বললো,
– আন্টি আপনাকে এত ক্লান্ত দেখাচ্ছেন কেন?আর মুখটা মলিন,আপনি কি অসুস্থ?
কলির কথায় সবাই আয়েশা বেগমের দিকে দৃষ্টি স্থির করে তাকিয়ে থাকলেও অর্ক তাকায় নি।সবাইকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আয়েশা বেগম ইতস্ততভাবে বললেন,
– আমার কিছু হয় নি মা।আমার আবার কি হবে!তবে একটা কথা কি জানো,মাঝে মাঝে আমরা না কিছু মানুষের কাছে একটু বেশিই আশা করে ফেলি।কিন্তু যখন সেই আশার আলো নিভে যায় তখন আবার আমরাই আফসোস করি,দূর এইটা হয়তো না করলেও পারতাম!বড্ড বোকামি করে ফেলি ইদানীং।ভুলেই যাই ছেলে মেয়ে বড় হয়ে গেলে তাদের কাছে হুটহাট এত আবদার করতে নেই!কারণ সেই আবদারের মর্যাদা না থাকলে পরে তো আবার সেই নিজেদেরকেই এর মাশুল দিতে হয়।হয়তো মান দিয়ে নয়তো জীবন দিয়ে।বাদ দাও আমার কথা।তোমরা কিন্তু খাবারটা খেও সবাই।আমার ভালো লাগবে।এটাও এক প্রকার আবদারই বলতে পারো!
কথাগুলো বলতে বলতেই আয়েশা বেগমের চোখ দুটো ছলছল করে উঠে।সবার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ার আগেই অর্কের রুম থেকে বেড়িয়ে আসেন।সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে অর্কের দিকে তাকিয়ে আছে।অর্ক অসহায় ভঙ্গুর হৃদয় নিয়ে তাকিয়ে আছে মেঝের দিকে।আয়েশা বেগমের প্রত্যেকটা কথা চাপা অভিমান আর অভিযোগে আবৃত্ত ছিল।”বড্ড বোকামি করে ফেলি ইদানীং।ভুলেই যাই ছেলে মেয়ে বড় হয়ে গেলে তাদের কাছে হুটহাট এত আবদার করতে নেই!কারণ সেই আবদারের মর্যাদা না থাকলে পরে তো আবার সেই নিজেদেরকেই এর মাশুল দিতে হয়।হয়তো মান দিয়ে নয়তো জীবন দিয়ে” মায়ের বলা এই কথা গুলো অর্কের বুকে তীরের বেগে এসে বিঁধেছে।অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অর্ক।ভেতর থেকে দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে ও।এইবার হয়তো প্রিয়মানুষ গুলোকে আঘাতটা একটু বেশিই করে ফেলেছে।
– কেন করলি এমন?
আক্ষেপের স্বরে প্রশ্ন ছুড়লো দিহাদ।অর্ক মুখ তুলে বিস্ফোরিত চোখে তাকালো।তবে কি ওরা সবটা জেনেই এসেছে?কিভাবে?অর্ক একটা ঢোক গিলে গলা ভিজিয়ে নিয়ে উল্টো প্রশ্ন করলো,
– মানে?
– মেহেনূরকে এয়ারপোর্ট অবধি দিয়ে আসলাম।যাওয়ার সময় বলছিল,আঙ্কেল আন্টির সাথে নাকি ওর দেখা হয় নি।তাঁরা নাকি বাসায় ছিলেন না।কিন্তু আঙ্কেল আন্টি তো বাসায়ই আছেন।তাহলে মেহেনূরের সাথে দেখা করলেন না কেন?
– মেহেনূর চলে গেছে?
অর্কের বিস্মিত কন্ঠস্বরের সাথে চোখে অবিশ্বাস্য চাহনি।অর্কের প্রশ্নে সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।মেহেনূর যে চলে গেছে অর্ক সেটা জানেই না?আশ্চর্য!সবাই একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে।এখন ওরা নিশ্চিত যে,ওদের অগোচরে এই দুই পরিবারের মধ্যে কিছু একটা হয়েছে। অর্কও এমন ভাবে চমকালো মনে হচ্ছে এইমাত্রই ও শুনলো।তনিমা ভ্রুকুটি করে জিজ্ঞাস করলো,
– তুই জানিস না?
– না।
অর্কের কথায় স্মিত হাসলো কলি পরমুহূর্তেই কটাক্ষের স্বরে বললো,
– তোর এই না জানার পিছনে তুইয়েই দায়ী না তো আবার!
– কি বলতে চাইছিস তুই?
– আঙ্কেল আন্টি বাসায় থাকা সত্ত্বেও মেহেনূরের সাথে দেখা করলেন না কেন?মেহেনূর বাংলাদেশ ছেড়েছে আরো দু’ঘন্টা আগে আর তুই এইমাত্র জানতে পারলি?মেহেনূর কি তোকে বলে নি,ও চলে যাবে?আর তখন আন্টির বলা কথাগুলোর মানে কি?অর্ক দেখ,আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি তোদের দুই পরিবারের মধ্যে কিছু একটা হয়েছে।বল কি হয়েছে?
– একটা ঝামেলা হয়েছিল,তবে এখন মিটে গেছে।
– মেহেনূর চলে যাওয়াতে!
অর্ক দিহাদের দিকে বিস্ফোরিত চোখে তাকাতেই দিহাদ ফিচেল হেসে ফের বললো,
– আমরা কেউই নির্বোধ নই।এতটুকু বুঝার মতো ক্ষমতা হয়তো আমাদের আছে।মেহেনূর একটা হীরার টুকরো মেয়ে।ওকে এক দেখায় যে কারোরই ভালো লেগে যায়।অবশ্য তোর ক্ষেত্রে আবার উল্টোটা।আসল ঘটনাটি কি আমরা হয়তো জানি না।তবে খানিকটা আন্দাজ করতে পারছি।আঙ্কেল আন্টি হয়তো চেয়েছিলেন মেহেনূর এই বাড়িতে বউ হয়ে আসুক।কিন্তু সেটা তো আর তুই হতে দিবি না।সেলিব্রিটিদের প্রেমে সবাই পড়ে।তাকে নিয়ে কল্পনায় বিভোর থাকা, দিবাস্বপ্ন দেখা এইসব নিছকই মোহ মায়া।এছাড়া আর কিছুই না।নাটক সিনেমায় যেটা দেখানো হয় সেটা শুধু ওই পর্দাতেই সীমাবদ্ধ,ওইখানেই মানায়।বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।তবে তোর ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা রয়েছে।কিরণ চৌধুরীর সঙ্গ পাওয়ার যোগ্যতা তোর আছে।কিন্তু তোর পরিস্থিতিটা তো অন্যরকম।অন্য আর পাঁচটা রিলেশনশিপের মতো তো তোদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।তাহলে কিসের ভিত্তিতে তুই এইসব করছিস?মরিচীকার পিছনে ছুটতে গিয়ে শেষে না আবার খাঁটি সোনাটাই হারিয়ে ফেলিস।
– আমি যদি কখনো কিরণকে না-ও পাই তাহলেও ওর জায়গাটা আমি কাউকে দিতে পারবো না।
– তোর লাইফ তোর ডিসিশন।তবে,এইবার হয়তো আন্টি অনেক কষ্ট পেয়েছেন রে।এই মানুষটাকে কখনো এতটা বিষন্ন থাকতে দেখি নি আমি।কখনো যদি তুই রাগ করে বাসা থেকে চলে যেতি তখন আন্টিও তোর প্রতি রাগ দেখাতো।তবে তোর রাগটা সত্যি হলেও মায়েরটা হতো অভিনয়।তুই বাসা থেকে বেড়িয়ে আসার পর এই মানুষটাই সবার আগে আমাদেরকে কল করতেন।তোর খেয়াল রাখতে বলতেন।নানাভাবে তোর রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করতেন।আজ তোর মতো রাগ নয় মানুষটার মনে অভিমানের পাহাড় জমে গিয়েছে।মায়ের মতো হতে পারবি?পারবি তার এই অভিমানটা ভাঙতে?তাকে স্বাভাবিক করে তুলতে পারবি?
দিহাদ একদমে কথাগুলো বলে জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে তাকায় অর্কের দিকে।দিহাদের হঠাৎ হঠাৎ কেন যেন ভীষণ রাগ হচ্ছে অর্কের উপর।আবার নিমিষেই সেই রাগটা কোথায় যেন মিলিয়ে যাচ্ছে।না পারছে বন্ধুকে কটুবাক্য শুনাতে আর না পারছে এই গুমোট পরিবেশে থাকতে।অর্ককে চুপ থাকতে দেখে দিহাদ একটা তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়।পরমুহূর্তেই কিছু একটা ভেবে আবার ফিরে আসে।কলি দরজার পাশে দিহাদের দিকে এক পলক তাকিয়ে দৃষ্টি সড়িয়ে অর্কের দিকে তাকিয়ে বললো,
– মেহেনূরকে বিয়ে করলে কি এমন ক্ষতি হতো তোর?কিরণ চৌধুরীর মাঝে যা রয়েছে মেহেনূরের মাঝে হয়তো তা নেই। কিন্তু মেহেনূরের মাঝে যা রয়েছে তুই তা খুঁজে পেতে ব্যর্থ। স্রষ্টা কারো ওপর অন্যায় করে না কাউকে রূপ দেন,কাউকে চরিত্র,কাউকে মেধা,কাউকে যোগ্যতা কাউকে আবার অর্থ।অন্যরা যা করবে বা পারবে সেটা তুইও পারবি তা কিন্তু নয়।তুই যেটা পারিস তোকে সেটাই করা উচিত।সৌন্দর্য কেবল মানুষের চেহারার দ্বারাই প্রকাশিত হয় না।সৌন্দর্য প্রকাশিত হয় মানুষের কথায়, ব্যবহারে, কাজে, চিন্তায়, ব্যক্তিত্বে,চরিত্রে।যেটা মেহেনূরের মধ্যে রয়েছে।মেহেনূরের অন্যেদের মতো হওয়ার দরকার নেই,ও ওর নিজের মতোই সুন্দর।
অর্ক হতবাক হয়ে গেছে।দিহাদ,কলি,অয়ন বা তনিমা এদের কথা শুনে অবাক না হয়ে পারছে না।ওদের এইসব কে বললো?মেহেনূরকে নিয়ে এত কথা ওর ভালোও লাগছে না।শক্ত গলায় বললো,
– তোঁদেরকে কি এইসব মেহেনূর বলেছে?
– এত দিনে তুই ওকে এই চিনলি?যে মেয়ে নিজের ভাইকে অবধি বলে নি ওর বিয়ের কথা হয়েছিল তাও আবার তোর সাথে।আমাদের বলার তো প্রশ্নই আসে না।তবে বিকালে মেহেনূরের কিছু কথায়,আন্টির কথায় আর তোর ব্যবহারে আমাদের সবটা বুঝতে এখন আর বাকি নেই।
অর্ক শান্ত চুপচাপ হয়ে বসে আছে।নতুন করে ওর কিছুই বলার নেই।যা বলার ও আগেই বলে দিয়েছে।কলি হতাশ হয়ে ফের বললো,
– দিহাদ একবার বলেছে এখন আমিও বলছি,জীবনটা যখন তোর তাই জীবনের সিদ্ধান্তগুলোও তোর।তুই আবার এটা ভেবে নিস না,আমরা তোকে জোর করছি বা দোষারোপ করছি।আমাদের মনে যা ছিল তাই বললাম।যাকগে,সেইসব কথা বাদ দে।তনিমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে জানিস তো।
– কেউ একটু মাকে জিজ্ঞাস করে আয় তো,আমি অবাক লগ্নে জন্মেছিলাম নাকি!তোদের বলা প্রত্যেকটা শব্দে প্রত্যেকটা বাক্যে আমি আজ অবাক হচ্ছি।তনিমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে আর আমি জানিই না।
– শুধু তুই না কেউই জানতো না।আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে এটা আমিই জানতাম না!তোদের কিভাবে বললাম।ওদেরকেও আজকেই বলেছি।ষোল তারিখ বিয়ের ডেইট ফিক্সড করা হয়েছে।
– হে রে বিলাই, তোর বিয়ের কাজী কি তোর জামাই-ই থাকবে?
অয়নের কথা শুনে তনিমা দাঁত কড়মড় করে অয়নের দিকে তাকায়।ওর চোখ ব্রাউন বলে সেই ছোট বেলা থেকেই ওকে ক্যাট অথবা বিলাই বলে খেপাত অয়ন, অর্ক, দিহাদ।তবে এখন এই শব্দটাকে বেশি পাত্তা না দিলেও নিজের বরকে নিয়ে কোনো হাসি ঠাট্টা সহ্য করবে না।অর্ক অয়নের কথার মানে বুঝতে না পেরে বোকার মতো তাকিয়ে আছে।তনিমা দাঁতে দাঁত চেপে মেকি হেসে বললো,
– আমার জামাই একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার।উন্মুক্ত জলরাশির ওই বিশাল বিশাল জাহাজ নিয়ে ও কাজ করে বুঝেছিস।কাজী সাহেবের ভূমিকাটা আমার দাদাশ্বশুরের ইচ্ছায় করেছিল।ওইদিনই ফাস্ট শান্ত কাজী অফিসে গিয়েছিল।তবে এই পিছনের কারণটাও মেহেনূর!কাজী আমার দাদাশ্বশুর।শখের বশে তিনি এই পেশায় জড়িত।বিয়ে পড়ানোর বিনিময়ে উনি কিন্তু কোনো পারিশ্রমিক নেন না।ওইদিন আমার দাদাশ্বশুর অসুস্থ ছিলেন।উনি মেহেনূরকে বলে দিয়েছিলেন দিহাদ আর কলির বিয়েটা উনি দিতে পারবেন না।ওদের বিয়ের দিন সকালে খুব ভোরে মেহেনূর তাদের বাসায় গিয়ে উনাকে রাজি করায়।কিন্তু উনি তো আসতে পারবেন না।তাই শান্তকেই আসতে হয়েছিল।আর তাই ওইদিন যতগুলো বিয়ে পড়ানোর কথা ছিল সবগুলোই শান্ত পড়িয়েছিল।
– শেষমেশ ওই কাজী বিয়ে পড়ানোর বদলে এখন নিজেই বিয়ে নিচ্ছে।
– অর্ক!
চোখ পাকিয়ে উচ্চস্বরে বললো তনিমা।পরমুহূর্তেই তনিমা চোখ ছোট ছোট করে অর্কের দিকে তাকাতেই ফিক করে হেসে দেয় অর্ক,সাথে বাকিরাও।
চলবে…