রুনিয়া অবাক হলেন সাফওয়ানের এই আবদারে। রুমি কে বউ করতে চায় তার ছেলে! কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব? রুমি কি কখনো বিয়ে করতে চাইবে সাফওয়ান এর এই অবস্থা জানলে? শামসুল মানবে কখনো? আর রাফসান! রাফসান তো সাফওয়ানের ঘোর বিরোধী। ও কি কখনো মেনে নেবে!
কিছুক্ষণ চুপ থেকে নিজের চোখের কোণা থেকে পানি মুছে রুনিয়া সাফওয়ানের দিকে তাকয়ে বললেন,
— তুই যে বিয়ে করবি, আর রুমি কে বিয়ে করবি এতে আমি প্রচন্ড খুশি, আর রুমি কে আমারও খুব পছন্দ! কিন্তু রুমি কিভাবে রাজি হবে? ও তোর এইসব ব্যাপারে জানলে তো কখনোই বিয়ে করতে চাইবে না! তখন কি হবে! আর তোর মামা মামি ও তো খুব ভালো করেই জানে তুই ওর জন্য ঠিক কতো টা ক্ষতিকর! আর রাফসানের কথা বাদই দিলাম৷ ও তো ওই ঘটনার পর থেকে তোকে চোখেই দেখতে পারে না! আর বিয়ের ক্ষেত্রে তো শামসুল, আয়েশা অবশ্যই রাফসান এর মতামত কে প্রায়োরিটি দিবে৷
— মা, রিমু জানে সবকিছু, একদম সব কিছু।
মায়ের দিকে তাকিয়ে মৃদু গলায় বলল সাফওয়ান।
— রুমি, রুমি জানে? সব কিছু? কিভাবে! কে জানিয়েছে?
অবাক নয়নে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো রুনিয়া।
সাফওয়ান নিজের দুই হাত থুতনিতে ঠেকিয়ে বলল,
— ও জেনে গেছিলো মা কিছুটা, তারপর ওকে আমি সব বলেছি, ইভেন ও আমার চেহারা ও দেখেছে। ও-ই প্রথম কেউ যার সামনে আমি আমার মুখের মাস্ক খুলেছি মা। আর ওর যে জ্বর হয়েছিলো সেটা আমাকে দেখেই! ভয় পেয়েছিলো ও, যদিও এখন আর কোনো ভয় নেই!
শেষের কথা বলতে গিয়ে সাফওয়ানের কণ্ঠ স্তিমিত হয়ে এলো কিছুটা।
রুনিয়া সেটা দেখে সন্দেহের চোখে বললেন,
— এসব কবে হলো! তলে তলে এত কিছু হয়ে গেলো, আমার বাড়িতে, আমার চোখের সামনে দিয়ে, আর আমি কিছু টের পেলাম না! কিন্তু রুমি জানলেও কি তোকে বিয়ে করতে চাইবে কখনো? ও তো তাহলে অবশ্যই জানে যে তুই বিষধর! আর ও যদি তোর স্ত্রী হয়, তাহলে তো হাজার সতর্ক থাকলেও দুর্ঘটনা ঘটতে সময় লাগবে না৷
সাফওয়ান আগের মতো করেই বলল,
— রিমু কে নিয়ে কোনো চিন্তা নেই মা, চিন্তা হলো মামা, মামি আর রাফসান কে নিয়ে। আমি যে কোনো মূল্যেই রিমু কে বিয়ে করবো, এখন সেটা তাদের মতে বা অমতে। কিন্তু তাদের মতে হলে ভালো হয়, কারণ আমি চাইনা দুই পরিবারের ভেতর আবার সম্পর্ক নষ্ট হোক, বা রিমু ওর মা বাবার থেকে আলাদা হোক।
রুনিয়া কিছুক্ষন চুপ থেকে জিজ্ঞেস করলেন,
— কিন্তু রুমি যে রাজি হবে সে বিষয়ে তুই এত সিউর হচ্ছিস কিভাবে?
পরক্ষণেই কিছু একটা চিন্তা করে তিনি বলে উঠলেন,
— এই তোরা কি প্রেম ট্রেম করছিস না তো! সত্যি করে বল।
মায়ের প্রশ্নে সাফওয়ান থতমত খেয়ে গেলো। মাকে কি বলে এখন বুঝাবে তা ভেবে পেলো না। কিছুক্ষণ এদিক ওদিক তাকিয়ে ইতস্তত করে অবশেষে বলল,
— মা, কিসব বলছ, আমি প্রেম করতে যাবো কেন! আমি জাস্ট বলছি যে, রিমু আমাকে বুঝবে তাই আর না করবে না৷
রুনিয়া ভ্রু কুচকে বললেন,
— তোরে কইছে?
সাফওয়ান কি বলবে বুঝলো না। চোরা চোখে এদিক ওদিক তাকালো শুধু। মায়ের সাথে এইভাবে, এইসব বিষয়ে কখনো কথা বলা হয়নি বলে লজ্জা লাগছে ওর।কিভাবে বোঝাবে এখন মা কে!
ছেলেকে এইভাবে মেয়েদের মতো লজ্জা পেতে দেখে রুনিয়া এতক্ষনের মন খারাপ ভুলে হেসে উঠলেন। রুমির সাথে যে তার ছেলের খুব জমে গিয়েছে এটা সিউর হয়ে গেলেন৷
সাফওয়ানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে হেসে বললেন,
— আমি তো ভাবিইনি তোকে দিয়ে এই সমস্ত হবে। সারাক্ষণ যেভাবে মুখ গোমড়া করে ভ্রু কুচকে থাকিস, তাতে তো আমারই ভয় লাগে!
রুনিয়া এবার নিজের চেয়ার টা সাফওয়ানের দিকে আর একটু এগিয়ে নিয়ে এসে বসলেন,
— কিভাবে কি হলো, বল না! রুমাইশার সাথে তো সবসময় খ্যাক খ্যাক করতি দেখতাম, এর মাঝে কিভাবে কি হলো!
মায়ের এমন আগ্রহভরা চেহারা দেখে মনে মনে খুব হাসি পেলো সাফওয়ানের। কিন্তু বাইরে থেকে সেটা প্রকাশ করলো না৷ তাড়াতাড়ি নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো। তারপর নাস্তার ট্রে টা হাতে নিয়ে বলল,
—তুমি তোমার মেয়ের থেকে শুনে নিও৷ আমাকে ছেড়ে দাও, আমি কিছু বলতে পারবো না।
তারপর রুমে ঢুকে দরজা দিয়ে দিলো।
রুনিয়া ছেলের এহেন অবস্থা দেখে অবাক হলেন, সাথে খুশিও হলেন! কিন্তু রুমি রাজি থাকলেও তিনি শামসুল বা আয়েশা কি কিভাবে রাজি করাবেন? ওরা তো কখনোই রুমি কে সাফওয়ানের হাতে তুলে দেবে না! তখন কি হবে?
আর তার ছেলের এই অবস্থা তে তো কখনো বিয়ে হবে না, কে চাইবে তার মেয়ে যমদূতের কাছে থাকুক!
কিন্তু দমে গেলেন না রুনিয়া৷ শামসুলের সাথে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিলেন, কি হবে সেটা পরে দেখা যাবে৷ আগে কথা বলে দেখতে হবে৷
২৯. বিকেল বেলা শাফিন চলে গেলো বাড়িতে। শামসুল অফিস থেকে এসে নিজের রুমে ঘুমাচ্ছেন। রুমাইশা রুমে বসে ফোন চাপছে। শাফিন চলে যাওয়ায় ওর ভালো লাগছে না। বাড়িতে একা একা বোর হতে হয় শুধু। রাফসান ভাইয়া আসবে কয়েকদিন পর, কিন্তু ও যা বলেছে তাতে ওর সাথে আর কথা বলবে না রুমাইশা। ঘুরতেও যাবে না কোথাও এবার৷ আর মায়ের সাথেও এই নিয়ে ও কথা বলবে। এই কথা মা ছাড়া কেউ লাগায়নি রাফসানের কানে।
এসব ভাবতে ভাবতেই আয়েশা এলেন রুমাইশার রুমে। রুমে ঢুকে দরজা লক করে দিলেন।
রুমাইশা ফোন রেখে মায়ের দিকে তাকালো, মা হঠাৎ দরজা লক করছে কেন? অবুঝ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ও আয়েশার দিকে।
আয়েশা এসে বসলেন রুমাইশার সামনে৷ মুখ টা ওনার থমথমে। রুমাইশা মা কে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে বলল,
— কিছু বলবে মা? কোনো সমস্যা হয়েছে?
আয়েশা উত্তর করলেন না ওর কথার৷ পরক্ষণেই দাঁতে দাঁত চেপে সপাটে একটা চড় মেরে দিলেন রুমাইশার বা গালে।
চড় খেয়ে রুমাইশা মুখ টা ঘুরে গেলো অন্য দিকে, থতমত খেয়ে গেলো ও। হাত টা চড় খাওয়া জায়গায় দিয়ে মায়ের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো ও।
আয়েশা ওকে কেন এভাবে মারলো ওর মাথায় আসছে না।
আয়েশা ধারালো দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। রুমাইশা আমতা আমতা করে বলল,
— আমাকে মারলে কেন মা?
কথা শেষ না করতেই আর ও একটা চড় পড়লো ওর মুখের ওপর৷ রুমাইশা ছিটকে পড়লো যেন। মায়ের দিকে অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ও। মা তাকে শেষ কবে মেরেছে মনে পড়ে না ওর। সেই মা ওকে আজ কেন মারলো!
— তোকে মারলাম কেন! তুই বুঝতে পারছিস না মোটেই? রাতে কে ছিলো তোর রুমে? কার সাথে শুয়ে ছিলি তুই? দিনে দিনে নষ্ট মেয়েদের মতো হচ্ছিস তুই! আমাদের চোখের সামনে দিয়ে তুই ছেলে ঢোকাচ্ছিস ঘরে! আবার আমাকে জিজ্ঞেস করছিস তোকে কেন মারলাম? কে ছিলো বল, ওই ছেলে কে? ভোর বেলা তোর রুম থেকে কে বেরিয়েছে। শাফিনের নাম নিবি না, শাফিন কে আমি দেখলেই চিনি। কে ছিলো বল। কার সাথে শুচ্ছিস তুই?
মায়ের কথায় রুমাইশা জমে ফেলো। ও এখন মা কে কিভাবে বোঝাবে ওদের ভেতরে ফিজিক্যালি কিছু হয়নি! মা কি বিশ্বাস করবে কখনো? কখনোই করবে না! অসহায় হয়ে চোখের পানি ফেলতে লাগল ও৷
আয়েশা রেগে গেলেন অনেক। ডান হাত দিয়ে রুমাইশার চোয়াল চেপে ধরে বললেন,
— একদম ন্যাকা কান্না কাদবি না। কে ছিলো ওই ছেলে এখনি বল। কার সাথে তুই এই রকম নোংরা সম্পর্ক চালাচ্ছিস!
ব্যাথায় কুকড়ে গেলো রুমাইশা। তবুও কাদতে কাদতে বলল,
— মা, তুমি যা ভাবছো সেরকম কিছুই না, বিশ্বাস করো! আমি কিছু করিনি!
— তোর কোনো কথা আমি শুনতে চাচ্ছিনা, তুই নাম বল ওই ছেলের। পরিচয় বল। কার এত বুকের পাটা যে আমার বাড়িতে এসে আমার ই সামনে দিয়ে আমার মেয়ের সাথে নোংরামো করছে। নাম বল এক্ষুনি!
ঝাঝালো গলায় বললেন আয়েশা।
এমন সময় বাইরে আয়েশার ফোন বাজতে শোনা গেলো। আয়েশা রুমাইশার মুখ ছেড়ে দিয়ে ওর দিকে রক্তচক্ষু দিয়ে তাকিয়ে বাইরে গেলেন, যাওয়ার আগে বলে গেলেন,
— আমি আসছি এক্ষুনি, তোর বলা লাগবে তুই কার সাথে কি করছিস!
রুমাইশা ফোপাঁতে লাগলো, ও কিভাবে সাফওয়ানের নাম বলে দিবে! সাফওয়ান কে তো কেউ ই পছন্দ করে না বাসার! এখন ও কি করবে? কিভাবে বলবে মা কে সাফওয়ানের কথা! বিপদ যেন ওর শেষই হচ্ছে না! একটার পর একটা লেগেই আছে! ও কি করবে এখন?
সাফওয়ানের কথা শোনার সাথে সাথেই তো মা ফুপ্পির কাছে ফোন দিবে সিউর, তাহলে ফুপ্পি কি ভাববে! ফুপ্পিও কি ওকে নোংরা ভাববে?
আয়েশা বাইরে গিয়ে ফোন দেখলেন। রুনিয়া ফোন দিয়েছেন। আয়েশা নিজের কণ্ঠ স্বাভাবিক করে ফোন ধরলেন। ওপাশ থেকে রুনিয়া সালাম দিলেন, আয়েশা সালামের উত্তর দিলেন। কুশল বিনিময় করে রুনিয়া বললেন,
— শামসুলের কাছে ফোন দিলাম তা ও ফোন তুলছে না, তাই তোর টা তে দিয়েছি।
— আপা ও ঘুমিয়েছে, মনে হয় ফোন সাইলেন্ট করা, এই জন্য টের পায়নি। গুরুত্বপূর্ণ কিছু নাকি? দিবো আপনার ভাইয়ের কাছে ফোন?
— না, থাকুক, ওর ঘুম ভাঙানোর দরকার নেই এখন। উঠলে বইলো আমি ফোন দিয়েছিলাম, কথা বলার আছে কিছু।
— আচ্ছা আপা। রাখছি তাহলে।
বলে আয়েশা কল কেটে দিলেন।
ফোন টা নিয়ে আবার রুমাইশার রুমে ঢুকলেন। রুমাইশা ফোপাচ্ছে। দরজা লক করে আবার এসে বসলেন রুমাইশার সামনে। রুমাইশা তাকিয়ে আছে নিচের দিকে।
আয়েশা ঝাঝালো কণ্ঠে বলল,
— এই তাকা আমার দিকে! নিচে কি দেখছিস তুই? আমার দিকে তাকা। এত নষ্ট হয়েছিস কবে থেকে? বল। আর ওই ছেলের পরিচয় বল, কিচ্ছু লুকাবি না তুই। কে ওই ছেলে? আমাদের চেনা জানা কেউ তো অতো লম্বা না। বল কে ও?
লম্বার পয়েন্ট টা মনে পড়তেই আয়েশা চমকে উঠলেন। তারপর জড়ানো গলায় বললেন৷
— সাফওয়ান ওইটা?
ক্রন্দনরত রুমাইশা কে একটা ঝাকি দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
— সাফওয়ান ওইটা? সত্যি করে বল, ওইটা সাফওয়ান কিনা!
রুমাইশা কাদতে কাদতেই ওপর নিচে মাথা নাড়ালো। তারপর কেদে কেদেই বলল,
— তুম যা ভাবছ এমন কিছু হয়নি মা, বিশ্বাস করো!
আয়েশার যেন অভক্তি এসে গেলো রুমাইশার ওপর। ঘেন্না নিয়ে তিনি বললেন,
— ছিঃ ছিঃ, এত টা নিচে নেমে গেছিস তুই! সারাজীবন ভাই ডেকে এসে এখন তার সাথে রাতে একসাথে থাকছিস! ছিঃ তোকে তো আমার মেয়ে বলতেও ঘেন্না হচ্ছে। ওকে চিনিস তুই? ওর সম্পর্কে জানিস কিছু? ও কি করতে পারে সে সম্পর্কে তোর কোনো ধারনা আছে? ও কত টা ভয়ঙ্কর হতে পারে সে সম্পর্কে কোনো আইডিয়া আছে তোর? এই যে দাগ গলায়,
রুমাইশার গলার বা পাশের দিক টার আবছা ছোপ ছোপ দাগ দেখিয়ে বললেন তিনি,
— এই দাগ টা কিভাবে হয়েছে তুই জানিস না? ও তোকে মেরে ফেলেছিলো বলতে গেলে! বিষ ওর দাঁতে, বিষ! আমার কথা বুঝতে পারছিস তুই? তোকে মেরে ফেলতে ওর দু মিনিট ও লাগবে না৷
রুমাইশা চোখ মুছে নিলো, হঠাৎ করেই যেন ওর সমস্ত ভয় উবে গেলো, ভয়ের জায়গায় দ্বিগুণ সাহস এসে ভর করলো। আয়েশার দিকে তাকিয়ে শক্ত গলায় বলল,
— জানি আমি সব। কিভাবে কি হয়েছে আমি সব জানি। আর আমি এসব জেনেই ওকে ভালোবেসেছি! আর আমাদের ভেতর কিছুই হয়নি। ওর ঘুম আসছিলো না তা আমার কাছে এসেছে, জড়িয়ে ধরেছে শুধু, আর চুমু খেয়েছে, আর কিছু না!
আয়েশা চোখ মুখ খিচে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিলেন,
— কতটা নির্লজ্জ হলে মানুষ মায়ের সামনে এইসব কথা বলতে পারে! কিসের ভালোবাসা তোদের! এসব ভালোবাসা না, নষ্টামি।
রুমাইশা এবার আর ও শক্ত হলো,
— মা মোটেও এই ভাবে বলবে না৷ সাফওয়ান ভাইয়া আমার জন্য কি কি করেছে একসময় তোমারা সবাই জানো, আর ও এখনো তেমনি আছে। আমার গায়ে ও কোনো আঁচ লাগতে দেবে না৷ আর ও আমাকে যথেষ্টই ভালোবাসে! আর আমিও তাই। ও কেমন মন মানসিকতার সেটা আমার সাথে সাথে তোমরাও জানো। তাই অপবাদ দিও না। আমি এতবার করে বলছি যে আমাদের মাঝে কিছুই হয়নি তারপর ও তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না। তো যদি বিশ্বাস না-ই হয় তাহলে তুমি যা ভাবছো তাই হয়েছে!
আয়েশা রুমাইশার এমন কথায় আবার ও সপাটে একটা চড় মারলো ওর গালে। তারপর রুমাইশার হাত থেকে ফোন টা এক টানে ছিনিয়ে নিয়ে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে৷
(আজকের পর্ব টা ছোট হয়েছে একটু, আসলে আমার শরীর টা বেশি ভালো নেই, তাই লিখতে পারিনি বেশি, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই 💙)