গতকাল সন্ধ্যায় বেরিয়ে মধ্যরাতে ঘরে ফিরেছে প্রণয়। বাগ্দানের পর তার সঙ্গে রোমানার না দেখা হয়েছে,আর না কথা হয়েছে। তাই ভোরবেলায়ই রোমানা চা’য়ের ছুঁতোয় পা বাড়ালো প্রণয়ের কক্ষে। রুদ্ধ দ্বারের সামনে দাঁড়িয়ে বারকয়েক ঢোক গিলে সাহস সঞ্চয় করে নিলো। বা’পাশে তাকিয়ে অঙ্গনের দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলিয়ে ইশারায় প্রশ্ন করলো,
-‘ যাবো? ‘
তটস্থ হয়ে অঙ্গন দু’হাত দিয়ে ইশারা করলো,
-‘ যাও যাও কিচ্ছু হবে না, অভ্যাস করো, সামনে তোমার রোজকার দিনগুলোর শুরুটা ঠিক এভাবেই হবে। ‘
লাজুক হেসে মাথা নুইয়ে ফেললো রোমানা। অঙ্গন এবার ফিসফিস কন্ঠে বললো,
-‘ আরে বাবা যাও না, ভাইয়া তো ওঠে পড়বে। ‘
ধাতস্থ হয়ে দাঁড়ালো রোমানা একবার অঙ্গনের দিকে তাকিয়ে বা’হাতে দরজাটা মৃদু ধাক্কা দিলো। সহজভাবেই খুলে গেলো দরজা। কাষ্ঠের পালঙ্কে শুয়ে থাকা সুঠাম দেহের অধিকারী প্রণয় চৌধুরী’কে দেখা মাত্রই হৃৎপিণ্ড কেঁপে ওঠলো তার। শুধুমাত্র একটি মখমলের পাজামা পরে উন্মুক্ত শরীরে ঘুমিয়ে আছে প্রণয়। কৃষ্ণবর্ণীয় ঘন লোমগুলো প্রণয়ের শ্যামবর্ণ বুকটার সৌন্দর্য যেনো হাজারগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। উন্মুক্ত বক্ষঃস্থল মেলে ধরে সটান হয়ে শুয়ে থাকার অভ্যাসটা আজ নতুন নয়৷ কিন্তু এ দৃশ্য যতোবার রোমানা দেখে ততোবারই তার হৃৎপিণ্ড কেঁপে ওঠে। গণ্ডস্থল শুঁকিয়ে কাঠ কাঠ হয়ে যায়। বুকের ভিতর অস্থিরতা কাজ করে, হাত,পা অসার হয়ে আসে। বেহায়া চোখদুটো তবুও সেদিকেই চলে যায়। খুব ইচ্ছে করে ঐ বুকে নাক ডুবিয়ে লম্বা একটি শ্বাস নিতে। প্রতিটি লোমকূপে জানান দিতে এই রাগি, গম্ভীর ডাক্তার’টা শুধুই তার। এই নিরানন্দ মানুষ টা শুধুই তার। সকল জড়তা’কে একপাশে রেখে ধীরপায়ে এগিয়ে গেলো রোমানা। ভিতরে প্রবেশ করতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো অঙ্গন। বিরবির করে বললো, ‘ হায় কপাল পাগলের মতো ভালোওবাসবে, তাকে ছাড়া শ্বাস নেওয়ার কথাও ভাবতে পারবেনা আবার কাছে যেতেও জমের মতো ভয় পাবে মানা যায় এসব! ‘
বিরবির করে কথাগুলো বলে নিজের কক্ষে ফিরে যাওয়ার জন্য পিছন ঘুরতেই রঙ্গনের মুখোমুখি হলো অঙ্গন। ভ্রু কুঁচকে রঙ্গন অঙ্গনকে আগাগোড়া দেখে নিয়ে কুঁচকানো ভ্রুদ্বয় স্বাভাবিক করে কৌতুহলী কন্ঠে বললো,
-‘ কি ব্যাপার ইমিডিয়েট বড়ো ভাই? রাগি ডাক্তারের ঘরে উঁকি দিচ্ছো কেন? তার হবু বউয়ের মনের ঘরে উঁকি দিতে পারোনি বলে সরাসরি তার ঘরে উঁকি দিচ্ছো? ‘
রঙ্গনের মাথায় গাট্টা মেরে অঙ্গন নিজের কক্ষে যেতে যেতে বললো,
-‘ ফালতু বকবক শুনতে ভালো লাগছে না রঙ্গন। এসব ফালতু কথা আর কারো সামনে বলবিনা। ‘
অঙ্গনের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে দ্রুত হাঁটা ধরলো রঙ্গন। অঙ্গন নিজের কক্ষে গিয়ে দরজা আঁটকে দিতে উদ্যত হতেই রঙ্গন হুড়মুড়িয়ে ভিতরে ঢুকে পড়লো। তারপর চোখ,মুখ শক্ত করে বললো,
-‘ তুমি জানো ভাইয়া আমার চার ভাইদের মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশী তোমাকে ভালোবাসি। ‘
ভ্রু কুঁচকে রঙ্গনের দিকে তাকালো অঙ্গন। চিন্তিত ভঙ্গিতে দরজা আঁটকেও দিলো। রঙ্গন এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে পালঙ্কে গিয়ে বসলো। অঙ্গনও গিয়ে রঙ্গনের পাশে বসলো। তারপর শান্ত গলায় বললো,
-‘ এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হচ্ছে রঙ্গন তোর এসব পাগলাটে কথাগুলোর ইঙ্গিত কিন্তু খুব সাংঘাতিক। ‘
ম্লান হাসলো রঙ্গন। বললো,
-‘ আমরা যাদের ভালোবাসি তারা কেন আমাদের ভালোবাসে না ভাইয়া? ‘
-‘ আমরা বলছিস কেন বল আমি। তোর সঙ্গে আমাকে কেন জড়াচ্ছিস? ‘
অঙ্গন মৃদু ক্রোধের সুরে কথাটি বলতেই রঙ্গন ওঠে দাঁড়ালো। অঙ্গনের সম্মুখে দাঁড়িয়ে দু-হাত প্যান্টের পকেটে গুঁজে দিয়ে গম্ভীর ভঙ্গিতে বললো,
-‘ মুখের ভাষা চেপে রাখা যায়, চোখের ভাষা নয়। বড়ো অদ্ভুত লাগে জানো ভাই…আমি যাকে ভালোবাসি সে আমার বড়ো ভাই’কে ভালোবাসে, তুমি যাকে ভালোবাসো সে তোমার বড়ো ভাই’কে ভালোবাসে। তোমার যন্ত্রণা’টা আমি বুঝি ভাই, আমার যন্ত্রণাটুকুও এবার তুমি ফিল করতে পারবে। ‘
বিস্মিত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো অঙ্গন আচমকা রঙ্গনের মুখে হাত চেপে ধরলো। বললো,
-‘ চুপপ। ‘
পরোক্ষণেই ছোট ভাইয়ের প্রতি স্নেহে জর্জরিত হয়ে প্রচণ্ড শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। ক্লেশপূর্ণ কন্ঠে বললো,
-‘ এসব কথা আর কখনো মুখেও আনবি না রঙ্গন। ওরা ভালো থাকুক ওদের ভালোবাসা নিয়ে। ‘
রঙ্গনও বড়ো ভাই’কে এবং নিজ মন’কে স্বান্তনা দেওয়ার জন্য বললো,
-‘ আর আমরা ভালো থাকি ওদের পূর্ণতা দেখে। ‘
রোমানার ডাকে আধো আধো চোখ খুললো প্রণয়। মন,মস্তিষ্ক দু’টোই বেশ বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে তার। বেশ রাত করে ঘুমানোতে পরিপূর্ণ ঘুম হয়নি। যার ফলে মেজাজটা বেশ খিঁচে রইলো। প্রণয় চোখ মেলে তাকিয়েছে দেখে রোমানা মৃদু স্বরে বললো,
-‘ তোমার জন্য চা নিয়ে এসেছি। ‘
ভ্রু কুঁচকে গেলো প্রণয়ের। আস্তেধীরে ওঠে বসলো সে। তারপর রোমানার দিকে গাঢ় দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। মনে পড়ে গেলো গতকাল তাদের বাগ্দানের কথা। আকাশ নীল রঙা শাড়ি পরেছে রোমানা। চুলগুলো খোঁপা করা, একহাতে ঘড়ি অপরহাতে নীল,সাদা মিশ্রণে কাঁচের চুড়ি পরেছে। মুখে কোন প্রকার প্রসাধনী মাখেনি, শ্যামবর্ণ মুখশ্রী’তে সীমাহীন লজ্জা ছাড়া আর কোন কিছুরই ছাপ দেখতে পেলো না প্রণয়। কিন্তু লক্ষ করলো রোমানা আড়চোখে বার বার তার উন্মুক্ত বুকের দিকে তাকাচ্ছে। তাই প্রণয় বললো,
-‘ চা দিতে এসেছো নাকি আমাকে দেখতে এসেছো। ‘
আঁতকে ওঠলো রোমানা। হাতে থাকা চায়ের কাপ’টা মৃদু মৃদু কাঁপতে শুরু করলো। যার ফলে প্রণয় বুঝতে পারলো রোমানার হাত কাঁপছে। বিরক্ত হলো প্রণয়। বিছানা ছেড়ে ওঠে দাঁড়িয়ে রোমানার হাত থেকে চায়ের কাপটি নিয়ে বললো,
-‘ চা যখন দিতে এসেছো চা’ই নিলাম। ‘
প্রণয়ের ওষ্ঠকোণে বাঁকা হাসি দেখে কিছুটা স্বস্তি পেলো রোমানা। চাপা একটি নিঃশ্বাস ত্যাগ করে বললো,
-‘ খালামুনি বললো তোমার কিছুদিনের ছুটি রয়েছে?’
চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে রোমানার দিকে তাকিয়ে প্রণয় বললো,
-‘ হুম কেন তোমার সময় চাই? ‘
মাথা নাড়িয়ে না করলো রোমানা৷ প্রণয় বললো,
-‘ লজ্জা পেলে তোমারই ক্ষতি, লজ্জা না পেয়ে যখন যা ইচ্ছে হবে বিনা দ্বিধায় প্রকাশ করবে। পূরণ করার দায়িত্ব আমার। ‘
লজ্জায় আচ্ছন্ন হয়ে আর এক সেকেণ্ডও টিকতে পারলো না রোমানা। কাজের ছুঁতো দিয়ে চঞ্চল পায়ে বেরিয়ে পড়লো কক্ষ থেকে। তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে রুমে ধীরগতিতে পা চালাতে চালাতে বাঁকা হাসলো প্রণয়। বিরবির করে বললো,
-‘ এরা ভালোবেসেই এতো খুশি, ভালোবাসা পেলে কি করবে! ‘
আজকের শুরুটাই এতো প্রসন্নময় যে রোমানার বুকের ভিতর অনুভূতিরা ডানা মেলে উড়তে চাইছে। খুশিতে আত্মহারা হয়ে সে ছুটতে ছুটতে অঙ্গনের কক্ষের সামনে গিয়ে থামলো। দরজার কয়েকবার টোকা পড়তেই অঙ্গন দরজা খুলে রোমানা’কে দেখে কিছুটা অবাক হলো। কিন্তু রোমানা সেদিকে পাত্তা না দিয়ে ভিতরে ঢুকে অঙ্গনের বিছানায় গিয়ে বসলো৷ নিজের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসগুলো কে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে বুকে হাত চেপে ধরলো। অঙ্গন উদ্বিগ্ন হয়ে তাকিয়ে রইলো রোমানার দিকে। রোমানা কয়েক পল সময় নিয়ে নিজেই সবটা বললো অঙ্গন’কে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো অঙ্গন৷ মুচকি হেসে রোমানার পাশে গিয়ে বসলো। রোমানাও নিশ্চিন্ত মনে বললো,
-‘ আমার আর কোন দুঃখ নেই অঙ্গন। তোমার ভাইটা আমার দায়িত্ব নিয়েছে, আমার ইচ্ছে গুলো পূরণ করার কথা দিয়েছে এর থেকে বড়ো প্রাপ্তি আর কি হতে পারে৷ ও মুখে না বললেও আমি বুঝে গেছি অঙ্গন ও আমাকে ভালোবাসে, ও ভালোবাসে আমাকে। ‘
উত্তেজনায় কাঁপছে রোমানা। চোখজোড়ায় সুখাশ্রু চিকচিক করছে। সেই চোখে চোখ যেতেই অঙ্গন প্রাণ ভরে একটি শ্বাস নিলো। তারপর রোমানার মাথায় হাত রেখে বললো,
-‘ সুখী হও তুমি, খুশি থাকো আজীবন। ‘
[২৩]
দু’দিন পর- ঠিক সূর্যাস্তের সময় বাড়ির সদর দরজায় অঙ্গনের পথ আঁটকে দাঁড়ালো রোমানা। দু’কোমড়ে দু’হাত রেখে অঙ্গনের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছুঁড়ে ভ্রু নাচিয়ে রোমানা বললো,
-‘ কি ব্যাপার অঙ্গন ভরসন্ধ্যা বেলা কোথায় যাচ্ছো তুমি? ‘
আশ্চর্যান্বিত হয়ে তাকালো অঙ্গন। বক্ষঃস্থলে বয়ে গেলো শীতল শিহরণ। মাঝে মাঝে মেয়েটা এমন কাণ্ড করে যে নিঃশ্বাস আঁটকে যায় তার। ইশ কি যন্ত্রণা থতমত খেয়ে অঙ্গন বললো,
-‘ আমিতো এই এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম। ‘
-‘ কোন বন্ধু নয় তুমি আমার সঙ্গে চলো ‘
এই বলে অঙ্গন’কে সকলের সামনে টেনে নিয়ে ছাদে চলে গেলো রোমানা। বাড়ির প্রতিটি সদস্যই জানে আগামীকাল প্রণয়ের জন্মদিন। অঙ্গন’কে এভাবে ছাদে নিয়ে যাওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে কেবল প্রণয়ই রয়েছে। তাই সকলেই মুচকি হাসলো। রোমানার থেকে প্রণয়ের জন্মদিনের ব্যাপারে শুনে অঙ্গন বললো,
-‘ ভাইয়া তো বাড়িতেই আছে তুমি ভাইয়া’কে নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরে এসো। একাকী সময় কাটাও দু’জন। তোমাদের জন্য এটা খুব প্রয়োজন এখন। ‘
-‘ না এটাতে সে রাজি হবে না। আমারো তেমন সায় নেই। রঙ্গনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে রাতের খাবার সেরে তুমি, আমি, আর প্রণয় ওর কুটিরে যাবো। আজকে আমরা সকলে মিলে খুব আড্ডা দেবো। আমি জানি এতে প্রণয়েরও ভালো লাগবে। তারপর ঠিক বারোটায় আমরা সকলে মিলে উইশ করবো ওকে৷ ও খুব অবাক হবে, প্রকাশ না করলেও মনে মনে ভীষণ খুশিও হবে। ‘
-‘ আমার মনে হয় প্ল্যান’টা অন্যভাবে করা উচিত। ‘
-‘ ইশ তুমি বুঝতে পারছো না অঙ্গন। এটা প্ল্যান ওয়ান, প্ল্যান- টু তে অন্য কিছু আছে। ‘
-‘কী?’
-‘ আমি রঙ্গন’কে বলেছি যে করেই হোক প্রণয়ের থেকে ওর কোয়ার্টারের চাবি নিতে। যেহেতু ও এ বাড়িতে থাকবে সেহেতু আমরা ওখানে নিয়ে গিয়ে ওকে সারপ্রাইজ দেবো। ‘
রোমানা তার পুরো পরিকল্পনা অঙ্গন’কে জানালো। বললো,
-‘ এবার তোমার সাহায্য প্রয়োজন করবে তো? ‘
অঙ্গন মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক সম্মতি জানালো৷ তারপর বুকভর্তি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মনে মনে বললো,
-‘ যেখানে আমার সুখ বিক্রি করে আমি তোমার সুখ কিনতে রাজি সেখানে এতটুকু সাহায্য তো কিছুই না রোমানা। ‘
রাতের খাবার শেষে রোমানার আবদারে রঙ্গনের কুটিরে উপস্থিত হলো প্রণয়। তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ঠিক ধরতে পারলো রোমানা সহ ভাইদের পরিকল্পনা। তবুও নিশ্চুপ রইলো সে। কারণ সবাই মিলে তাকে সারপ্রাইজ দিতে চাইছে অথচ সে পূর্বেই সেটা বুঝে গেছে এটা ওদের বুঝতে দেওয়া যাবেনা। তাহলে যতোটা উৎসাহ নিয়ে ওরা পরিকল্পনা করেছে,ওদের মনে যতোটুকু উত্তেজনা কাজ করছে সবটাই নিভে যাবে। তার জন্য ওদের আশাটুকু,আনন্দ টুকু কমে যাক এটা সে চায় না। আবার তার জন্য কারো প্রেমে বাঁধা পড়ুক সেটাও চায় না। এই যে রঙ্গন আজ তার সুদর্শিনী’কে রেখে তাদের সময় দিচ্ছে। এতে রঙ্গনের মনে কোন অনুভূতি স্পর্শ না করলেও হয়তো সুদর্শিনীর মন ঠিক ব্যাকুলতায় ভুগছে। কিশোরী মনের প্রেম বলে কথা…
কুটিরের সামনে কয়েক খণ্ড কাষ্ঠ জড়ো করে আগুন ধরালো রঙ্গন৷ সে আগুন’কে ঘিরে খড় বিছানো ভূমিতে গোল হয়ে বসে পড়লো রোমানা এবং অঙ্গন। প্রণয়ের জন্য কুটিরের ভিতর থেকে একটি কাঠের মোড়া নিয়ে এলো রঙ্গন। প্রণয় সেটাতে বসতে বসতে রঙ্গন’কে বললো,
-‘ তুই চাইলে সেই বাইজির মেয়েটা’কে এখানে নিয়ে আসতে পারিস আমাদের কোন আপত্তি নেই।’