প্রিয়তমার অভিমানী কণ্ঠস্বর কর্ণগোচর হতেই ঈষৎ হাসিতে প্রণয়ের অধরকোণ আচ্ছাদিত হয়ে রইল। টের পেয়ে দ্বিগুণ অভিমানী হলো শাহিনুর। বক্ষপট থেকে মাথা সরিয়েও নিলো। সঙ্গে সঙ্গেই অভিমানে সিক্ত কপোলদ্বয় নরম স্পর্শে চেপে ধরল প্রণয়৷ অভিমানী রক্তিম মুখশ্রীতে প্রগাঢ় চাহনি নিক্ষেপ করে আদুরে কণ্ঠে বলল,
-‘ কে বলল তোমার কিছু নেই? এইতো আমি আছি ‘ও’ আছে। ‘
‘ও’ আছে কথাটি শুনতেই শাহিনুরের পুরো দেহে তীব্র শিহরণ জেগে ওঠল। প্রণয়ের বলা ‘ও’ ধ্বনিটি যেন
জগতের সকল দুঃখ, কষ্ট ভুলিয়ে দিলো। মুহুর্তেই দু-চোখ অশ্রুজলে ভরে ওঠল তার। তা দেখে মৃদু হেসে প্রণয় বলল,
-‘ অনেক ছুটেছি এবার শরীর’টা বিশ্রাম চায়। ‘
মাথা নিচু করে অশ্রুসিক্ত নয়ন জোড়া লুকোনোর চেষ্টা করল শাহিনুর। হাত বাড়িয়ে একে একে প্রণয়ের পরিহিত শার্টটির বোতাম খুলতে শুরু করল।প্রণয়ের অধরে ফুটলো প্রশস্ত হাসি। নিঃশ্বাসে চলল উচ্ছলতা। এত জটিলতার মাঝেও বউয়ের থেকে এইটুকুনি যত্ন পেয়ে সুখ অনুভব করল সে। এই যে অভ্যাসবশত সবসময় উদাম শরীরে ঘুমায় সে৷ অতিক্ষুদ্র এ বিষয়টিও এমন মুহূর্তে ঠিক মনে রেখেছে শাহিনুর। সুখী মানুষ হতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। এই এতটুকুই যথেষ্ট।
[৯২]
চোখের পলকেই বেশ কিছু দিন কেটে গেল। নতুন করে, নতুন রূপে টোনাটুনির সংসার পাতলো প্রণয়, শাহিনুর। সংসারের কর্তা হলো, সুজন। গিন্নি হলো, শায়লা। নতুন সংসারের জন্য ধীরে ধীরে টুকিটাকি প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কিনতে শুরু করল প্রণয়। দিনের বেলা লোকসমাগমে যাওয়াটা ঝুকিপূর্ণ, তাই বাজারঘাট থেকে যাবতীয় কেনাকাটা রাতেই বেলাই সেরে ফেলে সে। অগ্রাহায়ণ মাসের গুটিকয়েক দিন পেরিয়ে গেছে। রাত ন’টার দিকে টুকটাক বাজার করে ফিরতেই সামান্তার মুখোমুখি হলো প্রণয়। স্বভাবসুলভ মিটিমিটি হাসতে হাসতে সে বলল,
-‘ কী কী বাজার করলেন দেখি? ‘
প্রণয় মৃদু হেসে বাজারের ব্যাগটা তার হাতে দিয়ে বলল,
-‘ দেখলে হবে না যা যা পছন্দ নিতেও হবে। ‘
সামান্তা টিপ্পনী কেটে বলল,
-‘ বউ ঝাঁটার বাড়ি দেবে। ‘
প্রশস্ত হেসে প্রণয় জবাব দিলো,
-‘ শুধু বউ হলে হয়তো দিতো। ‘
-‘ শুধু বউ নয়? ‘
-‘ যে নারী কোন পুরুষের হৃদয়ের রানি হওয়ার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় সে নারী শুধু বউ হবে কেন? সে তো আমার হৃদয়ের রানি।’
-‘ আপনার মাঝে কাব্যিক ভাবও আছে দেখছি। ‘
-‘ সবার মাঝেই থাকে কেউ প্রকাশ করে, কেউ করে না। বা কেউ প্রকাশ করতে পারে কেউ পারে না। ‘
কথার ফাঁকে বাজারের ব্যাগ থেকে একটি শশা বের করে ব্যাগ ফেরত দিয়ে সামান্তা বলল,
-‘ একটা শশাই খাই এটাই প্রিয় আমার। ‘
প্রণয় ব্যাগ হাতে নিয়ে সামান্তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে উদ্যত হতেই শশায় এক কামড় দিয়ে সামান্তা পুনরায় বলল,
-‘ এই পুরুষটা যদি কখনো পরনারীতে পা পিছলায় তখনও কী হৃদয়ের রানি ঝাঁটা হাতে নেবে না? ‘
বাড়ানো পা পূর্বের স্থানে নিয়ে সামান্তার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকালো প্রণয়। অধরকোণে রহস্যময় হাসি ফুটিয়ে শান্তস্বরে বলল,
-‘ ঝাঁটা নয় ইস্পাতের সরু,ধারালো পাত দিয়ে একদম আমার দেহ থেকে মস্তক কর্তন করবে!’
গা শিউরে ওঠল সামান্তার। বিস্মিত দৃষ্টিতে প্রণয়কে আগাগোড়া দেখে নিয়ে অস্ফুট স্বরে বলে ওঠল,
-‘ কী সাংঘাতিক! ‘
ওষ্ঠাধরে রহস্যময় হাসিটি বজায় রেখেই স্থান ত্যাগ করল প্রণয়। বিরবির করে সামান্তা বলল,
-‘ এদের তো ডেঞ্জারাস লাভ! ‘
দ্বারে করাঘাতের শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গেই দ্বার খুলল শাহিনুর৷ প্রকৃতিতে শীতের পূর্বাভাস পাওয়া গেলেও প্রণয়ের কপালে বিন্দু বিন্দু স্বেদজল দেখতে পেল সে। কিঞ্চিৎ মন খারাপ করে বাজারের ব্যাগ’টা হাতে নিয়ে বলল,
-‘ আজো হেঁটে এসেছেন? ‘
তৃপ্তিদায়ক হেসে শাহিনুরের পিছু পিছু পা চালালো প্রণয়। ঘরের এক কোণে বাজারের ব্যাগ রেখে অপর কোণায় গিয়ে জগ থেকে গ্লাসে পানি ভরতে শুরু করল। প্রণয় তখন মিটিমিটি হাসছিল আর শাহিনুরের আঁচলে ঘর্মাক্ত মুখমণ্ডল মুছছিল। এহেন কাণ্ড এখন প্রায়শই ঘটে। কিঞ্চিৎ রাগ সীমাহীন অভিমান নিয়ে শাহিনুরও স্বামী সেবা করে। মুখ মোছা শেষ হতেই ঘুরে দাঁড়িয়ে গ্লাস ভর্তি পানি এগিয়ে দিলো শাহিনুর। প্রণয় তা এক নিমিষে শেষ করে গ্লাস ফেরত দিয়ে বলল,
-‘ মাত্র তিন কিলোমিটার পথ হেঁটেছি, আরো দু কিলোমিটার হাঁটতে পারলে শরীর’টা আরো সুস্থ বোধ হতো। ‘
মুখভার করে শাহিনুর শার্টের বোতাম খুলতে শুরু করল। ক্ষীণ স্বরে বলল,
-‘ তিন কিলোমিটার পথে ভ্যান ভাড়া কী খুব বেশি? আপনার কাছে যে টাকা আছে তার থেকে এতকিছু হয়, আর ভ্যানভাড়া হয় না? ‘
বোতাম খোলা শেষে শার্ট’টা নিজেই খুলল প্রণয়। তা নিয়ে শাহিনুরে বাঁশ দিয়ে বানানো আলনায় রাখল। প্রণয় নিঃশব্দে বিছানায় গিয়ে বসল। এক নজর শাহিনুর’কে দেখে নিয়ে মাথা নিচু করে ঠায় বসে রইল। গুটিগুটি পায়ে কয়েক কদম এগিয়ে পাশে এসে শাহিনুরও বসল। নিঃশব্দে অতি সন্তর্পণে প্রণয়ের কাঁধে মাথাও রাখল। ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়লো প্রণয়। বলল,
-‘ বসে খেলে রাজার ধনও ফুরিয়ে যায় নুর। আমিতো রাজা নই! ‘
হৃদযন্ত্র কেঁপে ওঠল শাহিনুরের। কাঁধে রাখা মাথাটি ত্বরিতবেগে উঠিয়ে প্রণয়ের দিকে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল। ঘাড় ফিরিয়ে নিরুপায় দৃষ্টিতে তাকালো প্রণয়। মৃদু কণ্ঠে বলল,
-‘ কত কাজ বাকি আমাদের। হাত খালি হয়ে গেলে চলব কী করে? এটুকু সাশ্রয়ী তো হতেই হবে। সুন্দর একটা ভবিষ্যতের জন্য যখন এতকিছু ত্যাগ করেছি। তখন জমিদারের ছেলে হয়ে কৃষকের ন্যায় জীবনযাপনও করতে পারব। ‘
বুকের ভিতর চিনচিন করে ওঠল শাহিনুরের। সহ্য করতে না পেরে আচমকাই প্রণয়কে জড়িয়ে ধরল। কাতর কণ্ঠে বলল,
-‘ আমার জন্য আর কত করবেন আপনি? এই ভালোবাসার প্রতিদান কী করে দেব আমি? ‘
চোখ বন্ধ করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল প্রণয়। বলল,
-‘ সারাজীবন পাশে থেকে ভালোবেসে দেবে। ‘
মুখ তুলে তাকালো শাহিনুর। মাথা নাড়িয়ে স্মিথ হাসলো প্রণয়৷ মৃদুস্বরে বলল,
-‘ যাক এমন দিন এসেই গেল। যাকে একটুখানি ছুঁয়ে দিলে লজ্জায় নুইয়ে পড়তো, আজ সে নিজেই কারণে অকারণে, সময়ে অসময়ে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে আমায়। সময়ের স্রোতে, পরিস্থিতি বিবেচনায়, সম্পর্কের মায়াজালে কত পরিবর্তন খেয়াল করেছো? ‘
আচম্বিতে প্রণয়কে ছেড়ে চট করে ওঠে পড়ল শাহিনুর। লজ্জায় রক্তিম হয়ে ওঠল তার মুখবিবর। এক ছুটে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করল। কিন্তু পারলো না। কোনক্রমে লজ্জা লুকাতে আমতা আমতা করে বলল,
-‘ অনেক রাত হয়েছে। খাবার বাড়ছি আমি, আসুন।’
[৯৩]
মধ্যরাত। অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি সময়৷ রাতজাগা পাখির ন্যায় জানালার পাশে বসে বই পড়ছিল সামান্তা। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে উপযুক্ত একটি চাকুরির প্রত্যাশ্যায় রয়েছে সে। কিন্তু ভাগ্য সহায় হচ্ছে না৷ দিনের পর দিন ছুটোছুটি করেও আশানুরূপ ফল পাচ্ছে না৷ একাকীত্বের জীবনে বিতৃষ্ণা আশার ভয়ে নিজেকে সর্বক্ষণ ব্যস্ত রাখা, হাসিখুশি রাখাই তার একমাত্র লক্ষ। নিঃসঙ্গতায় রাতের ঘুমটাও তেমন সঙ্গ দেয় না। ফলে একাকীত্বের সঙ্গী করে নেয় বিভিন্ন ঔপন্যাসিকদের সৃষ্টি’কে। প্রকৃতি যেমন সাদা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। ঠিক তেমনি মধ্যরাতের গা কাঁপানো শীতে নিজের শরীরটাকেও মখমলের চাদরে আবৃত করে নিয়েছে সে। বইয়ের অক্ষরে অক্ষরে, শব্দ বুননে বুঁদ হয়ে থাকাকালীন হঠাৎ ঠক করে দরজা খোলার শব্দ পেল। মৃদু কেঁপে ওঠে তৎক্ষনাৎ আবার স্বাভাবিকও হয়ে গেল। উঁকি দিয়ে গ্রিলের ফাঁকে স্পষ্ট দেখতে পেল নিত্যদিনকার চোখজুড়ানো দৃশ্যটি। প্রাকৃতিক আহ্বানে রোজ রাতেই একজোড়া কপোত-কপোতীকে শৌচাগারের সম্মুখে দেখতে পায় সে। শায়লা যখন শৌচাগারের ভিতরে যায়, সুজন তখন শৌচাগারের দ্বারের সম্মুখে পিছমুখী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কেন জানি এ দৃশ্যটি বড়ো ভালো লাগে তার। যদিও প্রথম দিকে ভালো লাগেনি। বিষয়টা বাড়াবাড়ি লেগেছে। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পেরেছে সুজন নামের পুরুষটি শায়লা নামের নারীটিকে প্রচণ্ড যত্ন মিশিয়ে ভালোবাসে। যে ভালোবাসা দেখে তার মন,প্রাণ জুড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চোখে অশ্রুও ঝড়ে। অন্তঃকোণ স্বীকার করতে বাঁধ্য হয় ভালোবাসা বেঁচে আছে, ভালোবাসা বেঁচে থাকবে!
***
রোজকার নিয়মেই মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে যায় শাহিনুরের। প্রণয়কে বিরক্ত না করে মনে, প্রাণে সাহস জুগিয়ে একা একাই শৌচাগারের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়৷ কিন্তু বরাবরের মতোই ধরা পড়ে যায়! দরজা অবধি যেতেই বদ্ধ চোখে প্রণয় বলে ওঠে,
-‘ উহুম আমি ছাড়া আর এক পা’ও নড়বে না!’
শাহিনুরও গাল ফুলিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। প্রণয় বিছানা ছেড়ে ওঠে এসে যখন মৃদু হেসে তার হাত ধরে দরজা খোলে শাহিনুর অভিযোগ করে বলে,
-‘ এতটা চিন্তা কেন করেন? আমি কিন্তু ভীতু নই, নিজেকে রক্ষা করতেও জানি। ‘
কপট রাগ দেখিয়ে প্রণয় বলে,
-‘ তুমি ভীতু নও তুমি হচ্ছো বোকাসাহসী। আর আমি তোমাকে নিয়ে চিন্তা করি না, আমি তোমায় চোখে হারাই। ‘
***
জানালার পাশে বসে প্রণয়কে এক পলক দেখে নিয়ে পুনরায় বই পড়ায় মন দিলো সামান্তা। ওষ্ঠকোণে মৃদু হাসি লেপ্টে আছে তার। কথিত আছে, ভালোবাসা দেখতেও ভালো লাগে। সত্যি ভীষণ ভালো লাগে তার, এই দম্পতিকে দেখলে ভীষণ সুখ লাগে। যে ভালোবাসা দেখতে এত ভালো লাগে, এত সুখ লাগে, সে ভালোবাসা পাওয়ার অনুভূতি না জানি কত ভয়াবহ ভালো লাগার, ভয়াবহ সুখের! কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর এদিক ওদিক দৃষ্টিপাত করতে শুরু করল প্রণয়। তখনি আচমকা সামান্তাকে নজরে পড়ল। ভ্রুযুগল কুঁচকে গেল তার। শাহিনুর বেরিয়ে এসে প্রণয়কে হতভম্ব রূপে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক হলো। তার দৃষ্টি অনুসরণ করে সামান্তার জানালার দিকে তাকিয়ে চমকে ওঠল। পুনরায় প্রণয়ের পানে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে থমকানো কণ্ঠে প্রশ্ন করল,
-‘ সামান্তা আপাকে দেখে আপনিও কী রোমানা আপাকে ভাবেন! ‘
-‘ ভীষণ মিল ওদের। ‘
আনমনেই কথাটি বলে ফেলল প্রণয়। পরোক্ষণেই সম্বিৎ ফিরে পেল৷ অবাক চোখে তাকালো শাহিনুরের দিকে। শাহিনুরের চোখজোড়া অস্বচ্ছ কিন্তু সে চোখের ভাষাগুলো স্বচ্ছ। তাই বলল,
-‘ মিল অমিল দু’টোই রয়েছে। স্বাভাবিক ও আমাদের রোমানা নয়। ও সামান্তা, ঘরে চলো শীত লাগছে না?’
মাথা নিচু করে পা বাড়ালো শাহিনুর। প্রণয় চট করে এগিয়ে ওর কাঁধ চেপে ধরে বুকে টেনে নিলো। ও ঘরের জানালা থেকে উঁকি দিয়ে সামান্তা দেখলো সে দৃশ্য। ওদের মধ্যে কী কথোপকথন হলো শুনতে পায়নি সে, তবে বুঝলো তাকে নিয়েই কথা হয়েছে। সুজন তার দিকে তাকিয়েছিল বলে শায়লার এত অভিমান? সত্যিই মেয়েটা বাচ্চা, বড়ো অবুঝ।
[৯৪]
কুয়াশায় মোড়ানো পৌষের সকাল। গোসল সেরে উঠানের মাঝখানে পাতানো বাঁশের আড়ে কাপড় শুখা দিচ্ছিল শাহিনুর। হঠাৎ যেন বিদঘুটে এক গন্ধ হুড়মুড়িয়ে নাকে ঢুকল তার। কোনরকমে কাপড় আড়ে মেলে দিয়ে নাক চেপে ধরল সে। দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে শ্বাস রোধ হয়ে কাশতে শুরু করল ৷ তীব্র কাশির ফলে পেটে চাপ পড়ায় বমি করে দিলো নিমিষেই। সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে অপরিচিত এক পুরুষালী কণ্ঠস্বর ভেসে ওঠল,
-‘ আমিতো বিয়ে টিয়ে করিনি। এমন সুশ্রী বধূ আমার বাড়িতে কী করে!’