জ্ঞান ফিরতে নিজেকে ফাইয়াজের রুমের বেডে আবিষ্কার করলো হুর। ধ’র’ফ’ড়ি’য়ে উঠে বসতে চাইলে মাথা ব্য’থা টা চা’রা দিয়ে উঠলো। হুর মাথা টা চে’পে ধরে ধীরে সুস্থে উঠে বসলো। মাথায় হাত ছোঁয়াতেই বুঝতে পারলো ব্যা’ন্ডে’জ করা হয়েছে। এমন সময় শুনতে পেলো,
— এতো তাড়াহুড়ো কিসের! মাথায় যে শ’য়’তা’ন টা আ’ঘা’ত করিয়েছে তা কি ভুলে গেছো!
ফাইয়াজ গ্লাসে পানি ঢালতে ঢালতে কথাগুলো বললো। পানি নিয়ে এসে হুরের সামনে ধরে বললো,
— নাও পানি টা খাও। খাবার দিয়ে যাবে এখন। ভদ্র মেয়ের মতো খেয়ে নেবে।
হুরের রা’গ হচ্ছে। প্রচন্ড রা’গ। এতবড় অ’প’রা’ধ করার পরও লোকটা কিভাবে এতো স্বাভাবিক আচরণ করছে। মানে নূন্যতম অ’প’রা’ধ’বো’ধ টাও নেই। রা’গে, দুঃ’খে হুর ফাইয়াজের হাতের গ্লাস টা ধা’ক্কা দিয়ে ফ্লোরে ফে’লে দিলো। ফো’স’ফো’স করতে করতে বললো,
— খাবো না আপনার মতো খু’নি’র হাতে পানি। ইন ফ্যাক্ট আপনার মতো খু’নি’র সাথে এক ছাদের নিচে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি এখনই আমার বাড়ি যাবো।
হুরের কথায় চো’য়া’ল শক্ত হয়ে গেলো ফাইয়াজের। হুরের গাল শ’ক্ত করে টিপে ধরে বললো,
— তে’ড়া’মো করবে না হুর। যা বলছি তাই করো। আর এই বাড়ি, আমাকে ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা মাথা থেকে ঝে’ড়ে ফেলো। সেটা কখনোই সম্ভব হবে না তোমার জন্য। আমি হতে দেবো না।
হুর ব্য’থা’য় কুঁ’ক’ড়ে গেলো। ফাইয়াজ হুরের মুখোভঙ্গি দেখে গাল ছেড়ে দিলো। হুর ফাইয়াজের চোঁখের দিকে তাকিয়ে ঘৃ’ণামিশ্রিত কণ্ঠে বললো,
— আমার ঘৃ’ণা হচ্ছে নিজের অনুভূতির প্রতি, নিজের ভালোবাসার প্রতি। আ,,, আমি আপনার মতো খু’নী কে ভালোবেসেছিলাম। ছিঃ!!!
হুরের কথায় অবাক হলো ফাইয়াজ। হুর তাকে ভালোবাসে মানে কি! হুর তো ফারান কে ভালোবাসতো। তাহলে কি হুর জানে সেই ফারান! কিন্তু কিভাবে জানলো! আর যদি জেনেও থাকে তাহলে এতদিন কেনো চুপ ছিলো! ফাইয়াজ নিজের কৌতূহল দমিয়ে রাখতে পারলো না। কৌতূহল, আ’ত’ঙ্ক মিশ্রিত গলায় বললো,
— তুমি আমাকে ভালোবাসো মানে! তু,, তুমি তো…
নিজের কথা সম্পূর্ণ করবতে পারলো না ফাইয়াজ। হুর শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলতে লাগলো,
— আর কতো না’ট’ক করবেন ফারান উরফে ফাইয়াজ। আর কতো! আপনি কি ভেবেছিলেন আমি কখনোই জানতে পারবোনা যে আপনিই সেই ফারান যাকে আমি পা’গ’লে’র মতো ভালোবাসি! আরে আমাকে কতোটা বো’কা ভাবেন আপনি হ্যা! শুনুন তাহলে, আমার ভালোবাসায় আপনার মতো প্র’তা’র’ণা ছিলো না বুঝেছেন। যেদিন প্রথম ফাইয়াজ রূপে আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন সেদিনই আপনার চোখ দেখে চিনেছিলাম আমি। কারণ ওই চোঁখের মায়াতেই তো আমি পড়েছিলাম। যেই চোঁখের মায়াতে আমি ডু’বেছিলাম তাকে চিনবো না কিভাবে বলুন!
একটা দ’ম ছাড়লো হুর। পুনরায় বলতে লাগলো,
— কিন্তু আমি শিওর হতে পারছিলাম না। কারণ আমার ভালোবাসার মানুষ টা তো কৃ’ষ্ণমানব ছিলো যাকে আমি সেই রঙেই ভালোবেসেছিলাম। আর আপনি হলেন শ্যাম বর্ণের। আমার স’ন্দে’হ সত্যিতে পরিণত হয় যখন আমি আপনাদের বাড়িতে আসি।
মনে আছে আমি যেদিন প্রথম আপনাদের বাড়িতে এসেছিলাম সেদিনের ঘটনা! আপনার ওয়াশরুমের সামনে তেল ফে’লেছিলাম! সেদিন তেলের বোতল খোঁজার জন্য আমি আপনার cupboard খুলেছিলাম আর তখনই আমার স’ন্দে’হ সত্যিতে পরিণত হয়। কারণ আপনার cupboard এ আমি সেসব কাপড়, জিনিস দেখেছিলাম যা আপনি ফারান রূপে ব্যবহার করতেন।
ফাইয়াজ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে হুরের পানে। সবকিছু জানার পর তার মনে একটা প্রশ্নই আসছে। হুর এতো আগে থেকে তার পরিচয় জানে তারপরও কেনো তাকে কখনো এই বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করে নি!
হুর যেনো ফাইয়াজের মনের কথা বুঝে ফেললো। তা’চ্ছি’ল্য মাখা হাসি দিয়ে বললো,
— এটাই ভাবছেন তো আমি কেনো এই বিষয়ে আপনাকে কখনো কিছু জিজ্ঞাসা করলাম না! জানেন প্রথম দিন থেকে আমি আপনার চোঁখে আমার জন্য ভালোবাসা দেখতে পেতাম। কিন্তু আপনি আমায় বলেছিলেন আপনি অন্য কাউকে ভালোবাসেন। ফাইয়াজ রূপে আসার পর থেকে যতক্ষণ আমার আশেপাশে থাকতেন ততক্ষন আমি উপলব্ধি করতাম আপনি শুধু আমাকেই ভালোবাসেন। আমার মনে হতো কোনো একসময় হয়তো আমার হাত ধরে সত্য কথাগুলো বলে দিবেন। কিন্তু আপনি বলেননি। তাই আমি ঠিক করি নিজেই সত্যিটা খুঁজে বের করবো। এরপর বাবা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায় আমাদের বাড়িতে। এটা আমার জন্য একপ্রকার সুসংবাদ ছিলো। আপনার বাড়িতে এতো তাড়াহুড়ো করে আসার উদ্দেশ্য ছিলো সবকিছু খুঁজে বের করা। কিন্তু এখানে এসেও আমি কোনো কিছু জানতে পারলাম না। তারপরও আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করি নি। আপনি আমাকে বলেছিলেন বিশ্বাস রাখতে। আমি রেখেছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিলো বিশেষ কোনো কারণেই হয়তো আপনি আমার কাছ থেকে নিজের পরিচয় গো’প’ন করেছেন। কিন্তু আপনি দিনের পর দিন আমার সাথে প্র’তা’র’ণা করে গেছেন। ঠ’কি’য়ে’ছে’ন আমাকে। আমার কারণে দুটো মানুষের প্রা’ণ গেছে
নিজের কথা শেষ করে কা’ন্না’য় ভে’ঙে পড়লো হুর। তার নিজেকে অ’প’রা’ধী মনে হচ্ছে। তার কারণেই তো ফাইয়াজ দুই দুইটা খু’ন করলো।
হুরের কা’ন্না স’হ্য হলো না ফাইয়াজের। হুর কে শ’ক্ত করে বুঁকের মাঝে চে’পে ধরলো। হুর নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও ছাড়লো না ফাইয়াজ। বলতে লাগলো,
— তুমি ভু’ল মানুষ কে বিশ্বাস করো নি হুর। আমি সবকিছু তোমাকে জানাতাম। শুধুমাত্র সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু আমি চাইনি আমার হিং’স্র’তা তোমার সামনে আসুক। যেটা আজ তোমার সামনে এসেছে। আর তুমি কেনো নিজেকে দো’ষা’রো’প করছো হুর। তুমি আমার জীবনে না আসলেও তাদের মৃ’ত্যু’র কারণ আমিই হতাম। আমার হাতেই তাদের মৃ’ত্যু লেখা ছিলো হ্যা এটা ঠিক তোমার কারণেই তাদের মৃ’ত্যু’র ডেট এগিয়ে এসেছে। ওদের মা’রা’র কারণ শুধু তুমি নয় হুর, এর পিছনে আমার জীবনের জ’ঘ’ন্য অতীত লুকিয়ে আছে। যা তুমি কেনো শুধুমাত্র বাবা ছাড়া কেউই জানে না।
হুর ফাইয়াজের প্রতিটা কথা মনোযোগ সহকারে শুনলো। তার মনেও কৌতূহল জন্মেছে কি এমন অতীত আছে ফাইয়াজের! ফাইয়াজ একটা ঢো’ক গি’লে বললো,
— আজ সময় এসেছে সেই সত্যি জানানোর। তবে আমি চাই এই কথাগুলো তুমি ব্যতীত অন্য কেউ না জানুক। সবকিছু জানার পরও যদি তোমার আমাকে অ’প’রা’ধী মনে হয় তাতেও আমার কিছু করার নেই। তুমি কখনোই আমাকে ছেড়ে যেতে পারবেনা। তাহলে শোনো আমার জীবনের সেই ভ’য়া’ন’ক অতীত। যার য’ন্ত্র’না আমি আজও বহন করে চলেছি নিজের ভেতরে।
হুর অ’শ্রু মাখা চোঁখে তাকালো ফাইয়াজের দিকে। ফাইয়াজ বলতে শুরু করলো,
~ ২২ বছর আগের ঘটনা,
শিকদার পরিবারে তখন আনন্দের কমতি নেই। ছোটো একটা সুখী পরিবার। শিকদার পরিবারের কর্তা ফারাজ শিকদার, তার স্ত্রী উপমা শিকদার আর তাদের একমাত্র সন্তান ফাইয়াজ শিকদার। সুখের পরিবার তাদের। ফারাজ শিকদার ছিলেন একজন রা’জ’নী’তি’বি’দ। তার বা’প দাদার সূত্রেই তিনি রা’জ’নী’তি’তে এসেছিলেন। এলাকার সবার প্রিয় নে’তা। অসম্ভব ভালো মনের মানুষ। কাউকে সাহায্য করতে কখনোই পিছুপা হতেন না। তবে তারও যে শ’ত্রু’র কমতি ছিলো না রা’জ’নী’তি করার কারণে।
সেদিন ছিলো ফাইয়াজ শিকদারের ৬তম জন্মদিন। প্রতি বছরই নিজের একমাত্র ছেলের জন্মদিন অনেক ধু’ম’ধা’ম করে পালন করতেন ফারাজ শিকদার। এলাকার গরিব মানুষদের অনেক কিছু দিতেন।এইবারও অনেক আয়োজন করা হয়। দাওয়াত দেয়া হয় এলাকার সবাইকে। বিশিষ্ট নে’তা ও রা’জ’নী’তি’বি’দ’দে’র। সেখানে উপস্থিত হোন মোস্তফা চৌধুরী। তিনিও রা’জ’নী’তি করতেন। কিন্তু ফারাজ শিকদার সকলের প্রিয় হওয়ায় কখনোই জিততে পারতেন না। তার সাথে ফারাজ শিকদারের পরিচয় হয় ৬ মাস আগে। মোস্তফা চৌধুরীও ছ’লে কৌশলে বিশ্বাস অর্জন করে ফারাজ শিকদারের। ফারাজ শিকদার অল্প সময়ের মধ্যেই অনেক আপন ভেবে ফেলেছিলো মোস্তফাকে। নিজের ভাইয়ের মতো ভালোবাসতেন, বিশ্বাস করতেন। সেই আপন ভাবা মানুষটাই যে তার জীবনে কা’ল হয়ে যাবে তা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি তিনি।
অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে চলে গেলেও অনুষ্ঠান শেষে আবার ফেরত আসেন মোস্তফা। পরিবারের সবাই তাকে আপন ভাবতো বলে কেউই স’ন্দে’হ করেনি। এসে গল্প জুড়ে দেন ফারাজ শিকদারের সাথে। কথায় কথায় বলেন আজ তার কিছু বন্ধুও আসতে চাইছে ফারাজের বাড়িতে। ফারাজ প্রথমে আ’প’ত্তি করলেও পরে রাজী হয়ে যান। কিছুক্ষনের মাঝে সেখানে ৫-৬ জন লোক হাজির হয়। তাদের দেখে সুবিধার মনে হচ্ছিলো না ফারাজ এবং উপমার। তারপরও মোস্তফার বন্ধু বলে তারা চুপ ছিলেন।
হুট করে মোস্তফা নিজের পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে বলে সেই কাগজে ফারাজ কে সই করতে। ফারাজ কিসের কাগজ জানতে চাইলে মোস্তফা বলে এই কাগজে লেখা আছে ফারাজ নিজের ইচ্ছায় নিজের সমস্ত সম্পত্তি মোস্তফার নামে লিখে দিচ্ছেন। ফারাজ উ’ত্তে’জি’ত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। চি’ল্লি’য়ে বলেন এসব কি বলছে মোস্তফা। মোস্তফা হঠাৎ করে একটা ছু’রি নিয়ে উপমার গলায় ঠে’কি’য়ে বলে সই করতে নাহলে সে উপমা কে মে’রে ফেলবে। ফারাজ নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। যাকে এতো বিশ্বাস করলেন সে এতো বড় প্র’তা’র’ণা করলো! উপমার গলায় ছু’রি টা আরেকটু জো’রে চে’পে ধরতেই ফারাজ বলেন তিনি সই করবেন উপমাকে যেনো কিছু না করে।
ফারাজ কাগজে সই করতেই আরেক দফা বি’শ্বা’স’ঘা’ত’ক’তা করে মোস্তফা। ছু’রি চা’লি’য়ে দেয় উপমার গলায়। মাটিতে লু’টি’য়ে পরে উপমা। স্বামীর দিকে কা’ত’র দৃষ্টি তা’ক করেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যা’গ করে। ফারাজ উ’ম্মা’দে’র ন্যায় আচরন করে ওঠে নিজের প্রিয়শীর এই অবস্থা দেখে। ঝাঁ’পি’য়ে পরে মোস্তফার উপর। মোস্তফার লোকগুলো চে’পে ধরে সরিয়ে আনে ফারাজ কে। ফারাজ চি’ৎ’কা’র করে ডাকতে থাকে নিজের গার্ড দের কিন্তু একজনও এগিয়ে আসে না। হয়তো তাদেরও কিনে নিয়েছে মোস্তফা। ফারাজ নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা চালানোর মাঝেই তার পেটে ছু’রি চা’লা’য় মোস্তফা। মাটিতে লু’টি’য়ে পড়েন তিনিও।
এইসব কিছু রান্নাঘর থেকে লুকিয়ে দেখছিলো বাচ্চা ফাইয়াজ। তার চোঁখের সামনে তার বাবা মাকে মেরে ফেলতে দেখে সে। মোস্তফার নজর এবার পরে ফাইয়াজের দিকে। তার লোকেদের বলে ফাইয়াজ কেও ধ’রে নিয়ে আসতে। ফাইয়াজ কেও তিনি হ’ত্যা করবেন। লোকগুলো পা বাড়াতে নিলেই হঠাৎ করে জেগে উঠেন ফারাজ শিকদার। তার শরীরে যেনো বা’ঘে’র শ’ক্তি ভ’র করে। সবাইকে ধা’ক্কা দিয়ে ফে’লে দিয়ে এগিয়ে যান নিজের ছেলের দিকে। ফাইয়াজ কে কোলে নিয়ে দৌড়ে চলে যান একটা রুমে। দরজা বন্ধ করে দরজার সাথে পিঠ ঠেকিয়ে বসে পড়েন। তার মাঝে আর চলার ক্ষ’ম’তা অবশিষ্ট নেই। বাচ্চা ফাইয়াজ বাবার এই অবস্থা দেখে অনবরত কাঁ’দ’তে থাকে। ফারাজ অনেক ক’ষ্টে ফাইয়াজের মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন ফাইয়াজ যেনো জানালা দিয়ে পা’লি’য়ে যায়। এই রুমের জানালায় গ্রীল দরজার মতো খোলা যায়। অনেক শখ করে বানিয়েছিলেন। সামনে বাগান। সময় পেলে প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে এখানে বসে সামনের বাগান দেখতেন। আজ এখান থেকেই পা’লি’য়ে যেতে বললেন ফাইয়াজ কে। ফাইয়াজ বাবাকে ঝা’প্টে ধরে বসে রইলো সে কিছুতেই যাবে না। অন্যদিকে লোকেরা অনবরত দরজা পিটিয়ে চলেছে। যেকোনো সময় দরজা ভে’ঙে যেতে পারে। তিনি ফাইয়াজের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন ‘পা’লি’য়ে যা বাবা। নাহলে এরা তোকেও মে’রে ফেলবে। আর এই দিনটা, এই চেহারা গুলো কখনো ভুলবিনা। জীবনে অনেক বড় হবি। এই লোকগুলোকে নিজের হাতে শা’স্তি দিবি।’ কথাগুলো বলেই শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন তিনি। ফাইয়াজ ও চোঁখের জল মু’ছে উঠে দাঁড়ায়। তার বাবা মায়ের মৃ’ত্যু’র প্র’তি’শো’ধ নেয়ার জন্য হলেও তাকে বাঁচতে হবে। বেরিয়ে যায় জানালা দিয়ে অজানা গন্তব্যে।
Leave a comment