সূর্য তখন আত্মপ্রকাশের ব্যর্থ প্রচেষ্টায় মগ্ন। অন্তরীক্ষে ঘনকালো মেঘ। চারপাশে আবছা অন্ধকার। কিছুক্ষণ আগেও আকাশটা বেশ ঝকঝকে পরিষ্কার ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করেই আবহাওয়ার এই আমূল পরিবর্তন হলো। অদূরে দানবের ন্যায় সুউচ্চ অগনিত পাহাড়। দু’পাশে নিবিড় ঝোপঝাড়। পাথর বিছানো সরু রাস্তাটা দিয়ে সিয়া দ্রুতপায়ে হাঁটে। হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে উঠে। আর্নির বাড়ির সামনে গিয়ে দাড়িয়ে পড়ে। কিছু একটা ভেবে বাড়িতে প্রবেশ করে।
ব্যতিব্যস্ত হয়ে সিয়াকে বাড়িতে ঢুকতে দেখে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আসেন আর্নির মা সাসোলি কুরী। বিস্মিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করেন,
– আজ প্রশিক্ষণে যাওনি তুমি?
– জ্বি না হানি। আর্নি গিয়েছে? ___সিয়া অকপটে জিজ্ঞেস করে।
– হ্যাঁ আর্নি গেছে। সাথে ক্রিস্তিয়ানও গেছে।
– ঠিক আছে হানি। আমি আসছি।
– বোধহয় বৃষ্টি নামবে। তুমি বসো। ওরা এখুনি এসে পড়বে।
– এখন সময় নেই। পরে সময় নিয়ে আসবো।
সিয়া এক দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। সাসোলি কুরী কিছু বুঝতে না পারার ভঙ্গিতে নির্বাক দাঁড়িয়ে রইলেন। মনে মনে ভাবলেন,
– মেয়েটা ঝড়ের বেগে এসে ঝড়ের বেগেই চলে গেলো! কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা কিছুই তো জানা হলো না।
রবার্ট ক্রিসক্রিংগলের দুই মেয়েকে গ্রামের মানুষগুলো ভীষণ ভালবাসে। তন্মধ্যে সাসোলি কুরী একটু বেশিই ভালবাসেন যেন। সিয়ার এমন উদ্বিগ্ন আচরণে তার বেশ দুশ্চিন্তায় হলো। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন সব কাজ শেষ হলে একবার সিয়াদের বাড়িতে গিয়ে সবার সাথে দেখা করে আসবেন।
সিয়া পাহাড়ি মেঠো পথ ধরে হাঁটতে লাগল। ওর চোখ দু’টো বেশ উচ্ছ্বসিত। ও ভাবল,
– যেহেতু আর্নি গেছে প্রশিক্ষণে, সাথে ক্রিস্তিয়ানও আছে। বাবা যদি প্রশিক্ষণ দিতে না গিয়ে থাকেন, তাহলে ওরা এতক্ষণে বাড়িতে ফিরে আসতো। তারমানে বাবা পাহাড়েই আছেন।
সিয়ার চিত্ত পুলকিত হলো। পায়ে জোর দিয়ে হাঁটতে শুরু করল। আর কিছুটা পথ অতিক্রম করার পর খানিকটা দূরে একসাথে প্রশিক্ষণ নেওয়া কতগুলো ছেলে মেয়েদের দেখতে পেলো। বিশালাকৃতির একটা রেড উড ট্রি’র কাছাকাছি পৌঁছাতেই ছেলেমেয়েগুলো ওর মুখোমুখি হলো। সবার সামনে ছিলো ক্রিস্তিয়ান। সিয়াকে দেখে সে অমায়িক ভঙ্গিতে হাসলো। তাকে অতিক্রম করে আর্নি এগিয়ে এলো। সিয়ার হাত দু’টো দুঃখের আবেগে জড়িয়ে ধরে সকরুণ কন্ঠে বলল,
– ওহ সিয়া! তোর কথা খুব মনে পড়ছিলো। প্রশিক্ষণে এলি না কেনো? মাস্টারও আসেননি। কি হয়েছে তার? বাড়িতে কি কোনো সমস্যা?
অকস্মাৎ সিয়া চমকে উঠল। হতবুদ্ধি হয়ে আর্নির দিকে তাকিয়ে রইল। ক্রিস্তিয়ান ওর চোখে মুখে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ দেখতে পেল। তার মুখখানা কেমন মলিন হয়ে গেলো। সে পাহাড়ে এসেছিলো সিয়াকে একনজর দেখার জন্য। কিন্তু মাস্টার বা সিয়াকে না দেখতে পেয়ে বেশ হতাশ হয়েছিলো।
– বাবা আজ তোদের প্রশিক্ষণ দিতে যাননি? ____শঙ্কিত কন্ঠে কথাটা জিজ্ঞেস করল সিয়া।
ক্রিস্তিয়ান আর আর্নি বিস্মিত দৃষ্টিতে পরস্পরের মুখের দিকে তাকাল। সিয়া নিজের করা প্রশ্নের উত্তর পেতে উদ্বিগ্ন হয়ে আর্নির দু’হাত ঝাঁকাল। ক্রিস্তিয়ান ভ্রু কুঞ্চিত করে বলল,
– মাস্টার তো আজ আসেননি।
– তাহলে তোমরা এতক্ষণ কি করছিলে? এতো দেরি করে ফিরলে কেনো?
– মাস্টার আসেননি বলে ভাই আমাদের কিছু রণ কৌশল শিখাচ্ছিলো। আরো কিছুক্ষণ অনুশীলন করা যেতো। কিন্তু আকাশের অবস্থা ভালো না, তাই তাড়াতাড়ি বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরে এসেছি।
সিয়া অবিশ্বাস্য ভঙ্গিতে মাথা নাড়াল। পাহাড়ের দিকে হাঁটতে শুরু করল। আর্নি সহসা ওর পথ আঁটকে দাড়িয়ে পড়ল। স্পষ্ট কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
– কোথায় যাচ্ছিস?
– বাবাকে খুঁজতে। _______ নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে প্রত্যুত্তর দিল সিয়া।
– মাস্টার ওখানে নেই। যেকোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে। আমাদের সাথে বাড়িতে ফিরে চল।
সিয়া আর্নির কথায় কর্নপাত করল না একটুও। ওকে পাশ কাটিয়ে আবারও হাঁটতে শুরু করল।
– নেই মাস্টার। অহেতুক জেদ করো না। অযথা ওখানে গিয়ে কি লাভ?____জোর গলায় কথাটা বলল ক্রিস্তিয়ান।
– আমি আশে পাশে খুঁজে দেখবো।
সিয়া নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। আর্নি আর ক্রিস্তিয়ান ওকে একা ছাড়ল না। ওর পিছু নিলো। বাকি ছেলে-মেয়েগুলো নিজেদের বাড়ির দিকে ফিরে গেল।
গতকালকের বৃষ্টির জন্য পথ-ঘাট পিচ্ছিল হয়ে ছিল। পাহাড়ি দুর্গম রাস্তায় ওরা পা টিপে টিপে হাঁটল। সতর্কতা অবলম্বন করে সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে গেলো। চাতকের ন্যায় একজোড়া তৃষ্ণার্ত আঁখিযুগল মেলে সিয়া আশে পাশে তাকাল।
পাহাড়ের চূড়ায় মাথার উপরে কালো মেঘের সমুদ্র। যেন হাত বাড়ালেই মেঘগুলোকে স্পর্শ করা যাবে। ধীরে ধীরে চারদিকে আরোও অন্ধকার ঘনিয়ে এলো। সিয়া দিক-দিগন্ত জুড়ে শুধু অথৈ শূন্যতা অনুভব করল। দু’হাটু মুড়ে বসে পড়ল। আকুল কন্ঠে চিৎকার দিয়ে বলল,
– বাবা! আপনি ফিরে আসুন। আপনাকে ছাড়া এই কয়েক মুহূর্তেই আমি কেমন শূন্যতা অনুভব করছি। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। দয়া করে ফিরে আসুন। বিশ্বাস করুন, আজ থেকে আমি আপনার সব কথা শুনবো।
আচম্বিতে আকাশের বুক চিরে প্রবল ধারায় বৃষ্টি নেমে এলো। আর্নি সিয়ার পাশে গিয়ে দাড়াল। ব্যথাতুর করুন কন্ঠে বলল,
– আমি জানিনা কি হয়েছে। শুধু জানি মাস্টার এখানে নেই। চলনা বাড়ি ফিরে যাই।
ক্রিস্তিয়ান দূরে দাড়িয়ে থেকে দেখল। সিয়া উঠে দাড়িয়ে পড়ল। আর্নি ভীষণ খুশি হল। এক টুকরো নিদারুণ হাসি ওর ঠোঁট ছুঁয়ে গেল। সিয়া কেমন উদাসীন ভঙ্গিতে হাঁটতে শুরু করলো।
_________★★_________
কিয়েভ, স্যাভেরিন ক্যাসল।
সুবিশাল স্যাভেরিন ক্যাসল যেন একটা ভয়াবহ রহস্যময় দুর্গ। এই দুর্গে ঠিক কতগুলো গোপন কামরা আছে তা সুনির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে পারে না। শক্তিশালী পাথরের দেয়ালগুলোতে বিশালকৃতির শক্তপোক্ত কাঠের দরজা ছিল। যেগুলো বাইরে থেকে বন্ধ করে দিলে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসার আকাঙ্ক্ষা কেবলই স্বপ্ন। কতগুলো সুরঙ্গপথ। যেন দুর্গটা কোনো এক গোলকধাঁধার মতো। একদিক দিয়ে প্রবেশ করলে অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে আসা অসম্ভব। দুর্গের নকশা গচ্ছিত আছে পিদর্কা স্যাভেরিনের কাছে। দেড়শো বছরের অভিজ্ঞতা থেকে ক্যাসলের আদি-অন্ত তার ভীষন চেনা-জানা। এদুয়ার্দো এবং আব্রাহাম যেহেতু স্যাভেরিন ক্যাসলে থাকে না। তাদের নিজস্ব আলাদা আলাদা দুর্গ আছে। তাই তারা তাদের মায়ের দুর্গের ব্যাপারে কোনো প্রকার মাথা ঘামায় না।
স্যাভেরিন ক্যাসলের দ্বারবদ্ধ একটি কামরা থেকে একজন মধ্যবয়স্কা নারীর গুনগুনিয়ে কান্না করার শব্দ শোনা যায়। কামরাটা বিশালাকৃতির। পাথরের সুউচ্চ দেয়ালগুলোতে নেই কোনো জানালা। শুধুমাত্র কাঠের দরজাটার নিচে সামান্য একটু ফাঁকা ছিলো। এই ফাঁকা জায়গা দিয়েই প্রতিদিন খাবার দেওয়া হয় সেই অচেনা অপরিচিত নারীকে। কখনো বা শুকনো খাবার আবার কখনো বা অর্ধ সিদ্ধ মাংস খেয়ে যার জীবন অতিবাহিত হচ্ছিলো। দরজার সামনে সবসময় হৃষ্টপুষ্ট দু’জন রক্ষী দাড়িয়ে থাকে। কঠোর নিয়ম মেনে দ্বাররক্ষী পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু নতুন রক্ষী নিযুক্ত করার পর পুরাতন রক্ষীরা যেন হঠাৎই হাওয়াই মিলিয়ে যায়। এক সপ্তাহ, দু’সপ্তাহ কিংবা একপক্ষ পর সেই অজ্ঞাত নারীকে গোসল করানো হয়। তাকে গোসল করতে সাহায্য করা মেয়েগুলো কেমন আতংকে জড়সড় হয়ে রয়। কেউ কেউ আবার নিঃশব্দে কাঁদতে শুরু করে। মধ্যবয়স্কা প্রাণহীন মূর্তির মতো নিষ্পলক চোখে দেখেন। মুখ দিয়ে টু শব্দ করেন না। রহস্যজনকভাবে তাকে গোসল করানো মেয়েগুলোকে প্রথবারের পর দ্বিতীয় বার আর কখনো দেখা যায় না।
বৃষ্টি শেষে শান্ত প্রকৃতি। অথচ সূর্যের দেখা মেলা দুষ্কর। চারপাশে সাদা-গোলাপী রঙের লিলাক ফুলের সমারোহ। বাগানের মাঝখানে দাড়ানো ইজাবেল। পরনে তার হালকা বেগুনী রঙের গাউন। পিঠে ছড়িয়ে থাকা কালো কুচকুচে চুলগুলোর উপর সামান্য কিছু চুল নিয়ে দু’টো সরু বিনুনী গেঁথে রেখে ছিলো। মাথার উপর চুলের ভাঁজে আঁটকে দিয়েছে হিরা-পান্না পাথরের তৈরী ছোট টায়রা। সে গোল গোল চঞ্চল চোখ দু’টো মেলে অদুরে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাভোগ্রেডোর দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো। কয়েকজন দাসী কাঁচি দিয়ে ফুল গাছগুলোর ডাল ছাঁটাই করছিলো। নীল জলের বিস্তীর্ণ সুইমিং পুলের পানিতে পা ভিজিয়ে ক্যারলোয়েন বসে ছিলো। থেকে থেকে পা দুলিয়ে এদিক সেদিকে দেখছিল। অ্যাভোগ্রেডোর পেছন দিকটা’ই শুধু দেখা যাচ্ছিলো। দাড়িয়ে থেকে কোন এক ব্যক্তির সাথে কথা বলছিলো সে।
হাতে থাকা গুলতির দোডালা অ্যাভেগ্রেডোর দিকে রেখে নিশানা ঠিক করে নেয় ইজাবেল। দুষ্টু হেসে নিজের রক্তিম ঠোঁটজোড়া জিহ্বা দিয়ে ভিজিয়ে নিল। ব্লক টেনে ধরে ছোট আকারের পাথরটা ছুঁড়ে দিল অ্যাভোগ্রেডো দিকে। যা সজোরে ছেলেটার ঘাড়ে গিয়ে লাগে। বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে কথা বলায় ব্যস্ত ছিলো অ্যাভোগ্রেডো। আকস্মিকভাবে ঘাড়ে আঘাত পেয়ে সে পেছন ফিরে তাকাল। ইতোমধ্যে গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়েছে ইজাবেল।
অ্যাভোগ্রেডো হাতের ইশারায় লোকটাকে চলে যেতে বলল। পিছন ফিরে ধীরপায়ে হাঁটতে শুরু করল। একটি প্রশস্ত ডাল পালা ছড়ানো লিলাক গাছের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে পড়ে সে। ভরাট কন্ঠে ডাকে,
– প্রিন্সেস!
গাছের ওপাশ থেকে কোনো সাড়াশব্দ আসে না। ইজাবেল হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে মুচকি মুচকি হাসে। অ্যাভোগ্রেডো পুনরায় ডাকে,
– প্রিন্সেস!
ইজাবেল একপা দু’পা করে পিছিয়ে যায়। অন্য একটি লিলাক গাছের পিছনে গিয়ে লুকায়।
– আমি জানি আপনি এখানেই আছেন। আমাকে নিশানা করে গুলতির সাহায্যে পাথরটা আপনিই ছুঁড়েছিলেন।
– অ্যাভোগ্রেডো!
এদুয়ার্দোর কন্ঠস্বর শুনতে পেয়ে অ্যাভোগ্রেডো সাবধান হয়ে গেল। সোজা হয়ে দাড়াল। বুকের কাছে একহাত মুষ্টিবদ্ধ রেখে নত মস্তকে সম্মান জানিয়ে বলল,
– অনারেবল ওভারলর্ড।
– আব্রাহাম কোথায়?
– রুলার ফিরে গেছেন ওডেসায়।
এদুয়ার্দো আর কোনো কিছু জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করল না।
– অনারেবল ওভারলর্ড, যদি রেগে না যান তবে একটা সংবাদ জানাতে চাই।
অ্যাভোগ্রেডোর কথা শুনে এদুয়ার্দোর ভ্রু কুঁচকে গেল। সে সরু চোখে তাকাল। রাশভারি কন্ঠে বলল,
– বলো।
– কোজিনকা এবং গোরা-পদল গ্রাম থেকে দেড়শোরও অধিক কুমারী মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছে। যারা প্রত্যেকে ভীষন সুন্দরী ছিলো।
– প্রতিবার সব সুন্দরী মেয়েগুলো’ই হারিয়ে যাওয়ার রহস্য কি অ্যাভোগ্রেডো?____বিস্মিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল এদুয়ার্দো।
– ক্ষমা করবেন। এখনো জানা যায়নি। যারা এই মেয়েগুলোকে গায়েব করে দেয়, তারা কাজটা এতো সুনিপুণভাবে করে যে তাদের কাছে পৌঁছানোর মতো কোনো সূত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। _______অ্যাভোগ্রেডো ভীত ভীত স্বরে কথাটা বলল।
– সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়না মানে? দ্রুত খুঁজে বের করো রহস্য কি? কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে মেয়েগুলো? নাকি এই সামান্য কাজটাও আমাকেই করতে হবে!
এদুয়ার্দোর রাগমিশ্রিত কন্ঠ। ঈষৎ কেঁপে ওঠে অ্যাভোগ্রেডো। কম্পিত গলায় বলে,
– জ্বিনা। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো রহস্যটা খুঁজে বের করার।
– চেষ্টা নয়। আমি দু’দিনের মধ্যে এর রহস্য জানতে চাই।
কথাটা বলে ঝড়ের বেগে কোথাও চলে যায় এদুয়ার্দো। নিষ্প্রভ চোখে তাকিয়ে থাকে অ্যাভোগ্রেডো।