লাভার নাকি ভিলেন | পর্ব – ০৪

6 Min Read
নাবিলঃ আমি নিব কারন বাইকটা আমার মানে এই খচ্চরের তাই। চুপচাপ বসুন তো একটা মেয়েকে এভাবে ফেলে রেখে আমি যেতে পারব না…..
মেঘলা হাঁটতে পাড়ছে না দেখে নাবিল বলল যদি কিছু মনে না করেন পা টা একটু দেখতে পাড়ি?
মেঘলা বাঁধা না দেওয়ায় নাবিল হাঁটু ঘেরে বসে মেঘলার পা নিজের হাঁটুর উপড় নিয়ে জোরে একটা মোচড় দিল মেঘলা ব্যাথায় চিৎকার করে উঠল সাথে সাথেই আকাশ সেখানে দৌড়ে আসল।
এসে থমকে গেল। এই দৃশ্যের সে জন্য প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু আকাশ বেশ শান্ত হয়ে এসে বল
 নাবিল,কে রে মেয়েটা?
মেঘলা অবাক হয়ে আকাশের দিকে তাকাল।
আকাশ এমন ভাব করল যেন সেচিনেই না মেঘলাকে।
নাবিলঃ কি জানি চিনি না তো। পা মচকে গেছিল ঠিক করে দিলাম।
আকাশঃ ভাল করেছিস। ব্যাথা পেয়েছে যখন বাসায় দিয়ে আয়।
নাবিলঃ ঠিকি বলেছিস। চলুন ম্যাডাম আপনাকে পৌছে দিয়ে আসি।
মেঘলাঃ না না আমি একাই যেতে পাড়ব এখন আর ব্যাথা করছে না।
আকাশঃ তা বল্লে হয় নাকি সাহায্য যখন চেয়েছেন সব ধরনের সাহায্যই করতে দিন। যান যান ভয়ের কিছু নেই নাবিল ছেলে ভাল।
কিরে নাবিল বাইক স্টার্ট দে।
নাবিল বাইকে চড়তেই আকাশ মেঘলার হাত ধরে বাইকে তুলে দিল।
মেঘলার মতামত জানার প্রয়োজন মনে করল না।
আকাশঃ নাবিল বাসায় পৌছে দিস।
নাবিলঃ আচ্ছা দোস্ত। যাই তাহলে সন্ধ্যায় দেখা হবে। বলে নাবিল মেঘলাকে নিয়ে চলে গেল।
বিকাল ৫ টায় আকাশ বাসায় আসল। সে গুন গুন করতে করতে উপড়ে যেতে চাইল। কিন্তু পিছন থেকে তার বাবা বলল তুমি যে এত বড় অমানুষ হয়েছো আমি ভাবতেও পাড়ছি না।
আকাশ অবাক হয়ে বলল কেন কি করেছি আমি?
আকাশের বাবাঃ কলেজ কয়টায় ছুটি হয়?
আকাশঃ এখন কি তুমি আমায় এটা বলবা যে স্কুলের বাচ্চার মত কলেজ ছুটির সাথে সাথে বাসায় আসতে হবে। আমি তো বরাবরেই সন্ধ্যা বেলা বাসায় আসি।
আকাশের বাবাঃ তুমি কখন আসো সেটা আমার না জানলেও চলবে কিন্তু মেঘলা একটা মেয়ে ও এখনো বাসায় আসল না কেন?
আকাশঃ what….. মেঘলা এখনো বাসায় আসে নি মানে কি? ওকে তো আমি ৩ টার আগেই বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।
আকাশের বাবাঃ বাসায় পাঠিয়েছ মানে কি? তুমি ওকে নিয়ে গেছিলে ওকে বাসায় নিয়ে আসার দায়িত্ব তোমার ছিল। ও শহরের কি চিনে যে একা একা বাসায় আসবে। পাটিয়ে দিলে মানে কি
আকাশ…….
রাবেয়া বেগমঃ আমার ছেলে কারো বডিগার্ড নয় কাউকে কলেজ নিয়ে যাবে আবার নিয়ে আসবে আপদ বিদায় হয়েছে ভাল হয়েছে।
আকাশের বাবাঃ যার মা এমন অমানুষের মত কথা বলতে পাড়ে তার ছেলের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কি বা আশা করা যায়। অপদার্থ বলে আকাশের বাবা মেঘলা কে খুঁজতে বের হলো।
আকাশের মাঃ যা হয়েছে ঠিক হয়েছে আর কত বোঝা বয়ে বেড়াব। এখন বড় হয়েছে নিজের রাস্তা নিজে খুঁজে নিক তুই এ নিয়ে মন খারাপ করিস না বাবা।
আকাশ এর মাথায় যেন বাজ পড়ল সে বলল মা আমি একটু বাইরে যাচ্ছি। বলে বাইরে গিয়েই নাবিল কে ফোন দিল।
নাবিলঃ হ্যা আকাশ বল।
আকাশঃ একটুও চালাকি না করে তাড়াতাড়ি বল মেঘলা কোথায়? কি করেছিস ওর সাথে?
নাবিলঃ মেঘলা….!!!সেটা আবার কে?
আকাশঃ মেজাজটা অসম্ভব খারাপ আছে তুই কি বলবি নাকি আমি আসব? আমি আসলে কি কি হতে পাড়ে আসা করি বোঝতে পারছিস।
নাবিলঃ কি বলছিস কিছুই বুঝতে পারছি না এসব ছাড় তো এটা বল কলেজে আজ মারামারি করেছিস কেন? জুনিয়রদের নাকি মেরেছিস?
আকাশঃ হুম এবার তোর পালা। তোকে ভরসা করে মেঘলাকে তোর কাছে দিয়েছিলাম।
নাবিলঃ ওহ আচ্ছা তুই ওই মেয়েটার কথা বলছিস? আরে ওর নাম কি আমি কি করে বলব? নাম বলা তো দূর যা যা করল আর একটু হলে আমাকে রাস্তার লোকে ধরে মারত।
আকাশঃ কেন কি করেছে?
নাবিলঃ আরব ওকে নিয়ে কিছুটা আসার পর বলল থামুন থামুন।
আমি বাইক থামিয়ের বল্লাম কি হল?
মেঘলাঃ আমি যাব না আপনার সাথে..
আমি অবাক হয়ে হল্লাম মানে কি? আপনি আমায় যতটা খারাপ ভাবছেন আমি তত খারাপ নই ম্যাডাম।
মেঘলাঃ খারাপ কখন বল্লাম আমি যেতে পারব সেটাই বল্লাম।
নাবিলঃ মাথা ঠিক আছে? এটা হাইওয়ে কোন গাড়ি এখানে থামবে না। কিভাবে বাসায় যাবেন?
মেঘলাঃ যেতে পাড়ব।
নাবিলঃ ম্যাডামের মাথার তার যে ছোড়া সেটা কি আমি জানতাম?
 হাইওয়ে তে এসে বলল আর যাবেন না। আমি তখন কি করব বলতো? নামিয়ে দিলে যেতে পাড়বে না আর জোর করলে রাস্তার লোকে আমায় ধরে মারবে। বাধ্য হয়েই নামিয়ে দিয়ে আসতে বাধ্য হলাম। এতক্ষনে হয়ত বাসায় চলে গেছে
আকাশঃ না ও এখনো বাসায় আসে নি..
নাবিলঃ মানে কি…আর ও বাসায় যায় নি তুই কি করে জানলি
আকাশঃ ওটা আমার…. যাই হোক ও আমাদের বাসায় থাকে তাই বাসায় আসলে আমি দেখতাম এভাবে রাস্তায় ফেলে চলে আসাটা তোর উচিত হয় নি।
নাবিলঃ ও কেন আসল না আমি তো জানি না।
আকাশঃ ও চাই নি তুই জেনে যা যে আমরা পরিচিত তাই তোকে বাসায় আনেনি। তুই তাড়াতাড়ি আয় দোস্ত যেভাবেই হোক ওকে খোঁজে বের করতে হবে।
নাবিলঃ চিন্ত করিস না কোথায় যাবে খুঁজলেই পাওয়া যাবে তুই থাক আসতেছি।
আকাশের মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে সে পাগলের মত মেঘলাকে খোঁজতেছে কিন্তু মেঘলার কোন খোঁজ নেই
Share This Article
Leave a comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।