নির্মম সেই ভাগ্যের লিখন

3 Min Read

নির্মম সেই  ভাগ্যের লিখন


 কবিতা গল্প কিংবা কোনো কাহিনী কোনো কিছুই কখনো লিখিনি। লেখা নিয়ে আমার কোন অভিজ্ঞতা ও নেই, কোনো সময় নিজেকে কলম হাতে ভাবিনি, কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম লিখন যা আজ আমাকে নিজের গল্প লিখতে বসিয়ে  দিল।

মনে মনে যা ভাবছি তাই লিখে ফেলেছি, নিজের মনের কথা লিখতে লিখতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে আপনাদের সাথে পরিচিতও তো হতে হবে।  তো চলুন পরিচয় পর্ব সেরে নেয়া যাক, 

আমি পরিবারের একমাত্র মেয়ে সিনথিয়া আহমেদ স্মৃতি, আমাকে সবাই স্মৃতি বলেই ডাকে, পরিবার বলতে আমার বাবা ছাড়া কেউ নেই, মা অনেক আগেই আামাদের ছেড়ে পারো পারে পারি জমিয়েছেন।  মা না থাকলেও বাবা আমাকে মার অভাব বুঝতে দেয়নি। 

তো চলুন মূল গল্পে যাওয়া যাক।

শুরুর দিকের লাইন গুলোর সাথে মূল গল্পের কোন সম্পর্ক না থাকলেও এমনিতেই লিখে ফেলেছি।

গল্প টা শুরু হয়েছিল যখন আমার বাবার বন্ধু মানে আরমান আংকেল তাদের পরিবার নিয়ে আমাদের গ্রাম দেখতে এসেছিল, 

তখন আমার মা ছিল বেচে ছিল, 

আমি গ্রামেই জন্মেছি পড়াশোনার জন্য শহরে কিছুটা সময় কেটেছে, কিন্তু আমি সহজ সরল সাদা মত থাকতেই পছন্দ করি। গ্রামে আমাদের বাড়িটা বেশ বড়। আরমান আংকেল এর তার একটি ছেলে এবং এক মেয়ে এবং ওদের মা। ওরা সবাই আমাদের গ্রামে এসেছিলো, তার ছেলের নাম আরিয়ান আর মেয়ের নাম সাদিয়া।

তবে পরিবারটি খুব হাসিখুশি একটি পরিবার।

আরিয়ান ছিল আমার সমবয়সী, সাদিয়া তখন ক্লাস ফাইভে পড়ে আরিয়ানের এসএসসি পরীক্ষা শেষ তাই লম্বা একটা ছুটি পেয়েছে আমরা আমাদের গ্রামে হয়তো বা কিছুদিন থাকবে। বাসায় কোন মেহমান থাকলে আমারও অনেক ভালো লাগে,

তখন আমি মাত্র ক্লাস নাইনে পড়ি এতক্ষণ তো শুধু আমাদের পরিবার পরিচয় নিয়েই কথা বলছিলাম।

মূল গল্পতে তো এখনো যাওয়াই হয়নি

আসলে গল্পটি আরিয়ানকে নিয়েই ওকে যখন প্রথমবার দেখি তখন মনে হয়েছিল যেন কোন রুপকথার রাজ্যের রাজকুমার, ভাবছিলাম যে এটাকেই কি নিজের অজান্তে কাউকে ভালোবেসে ফেলা বলা হয়? এভাবে দেখতে দেখতে কিছুদিন চলে গেল, আর আমিও ওকে ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু মুখ ফুটিয়ে বলার সাহস পেতাম না, 

আমাদের গ্রাম দেখে আরে না অনেক ভালো লাগে

আরো কিছুদিন থাকতে চায়, আর আমি প্রতিদিন ওকে নিয়ে, আমাদের গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতাম যেতাম।

গ্রামের মেঠো পথ ধরে চলে যেতাম এক অচিন ঠিকানায় এভাবেই আমাদের স্বপ্নিল দিনগুলো চলে যাচ্ছিল।

একদিন গ্রামের মাঝ বরাবর একটা নদী আছে সেই নদীর তীরে বসে কত সময় কাটিয়েছি তা কোন হিসাব নেই।

একদিন বিকেল বেলায় হঠাৎ আরিয়ান আমাকে অবাক করে দিয়ে বলেই ফেলল ভালোবাসি তোমায়। তুমি বিয়ে করবে আমায় ?  আমি লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিলাম, শুধু একবার  মাথা নেরে সায় দিয়েছিলাম, ব্যাস তখন থেকেই শুরু হয়ে গেল আমাদের প্রেম কাহিনি।  কাহিনী তো সবে শুরু


গল্পটা যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আপনাদের রেসপন্স পেলে তবেই গল্পটা কে এগিয়ে নিয়ে যাব সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ 

Share This Article
Leave a comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।