অগোচরে তুমি | পর্ব – ১৯

12 Min Read

– কিরে তুই এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?
আচমকায় মায়ের গলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে আয়েশা বেগম একটু চমকে উঠলেও পরমুহূর্তেই মায়ের দিকে ফিরে নরম কন্ঠে বললো,
– মা,আসলে ওইদিকে সাউন্ড বক্সের অনেক শব্দ হচ্ছিলো।তাই একদিকে এসেছিলাম,অর্কের সাথে একটু কথা বলার জন্য।তুমি আবার এখানে আসতে গেলে কেন?আসো তুমি ওইখানেই গি…..
আয়েশা বেগম কথাগুলো বলতে বলতে মায়ের বাহু ধরে নিয়ে চলে আসার জন্য উদ্যত হতেই আমেনা বেগম ঠায় দাঁড়িয়েই রইলেন।আয়েশা বেগম নিজের কথা শেষ না করেই মায়ের দিকে আশ্চর্য হয়ে তাকালেন।অবাক স্বরে বললো,
– কি হলো দাঁড়িয়ে গেলে কেন?চলো।
আমেনা বেগম এদিক সেদিক চোখ বুলিয়ে ফিসফিস করে বললেন,
– খুকি,তোর সাথে আমার কথা আছে।
– তা বেশ তো।চলো ওখানে গিয়ে বসে কথা বলি।
– ওখানে বলা যাবে না।
মায়ের এমন ফিসফিস করে কথা বলায় বেশ অবাক হন আয়েশা বেগম।কি এমন কথা থাকতে পারে যেটা ওখানে সবার সামনে বলা যাবে না।আয়েশা বেগম কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে ভারী গলায় বললো,
– কি হয়েছে মা?তুমি এমন ফিসফিস করে কথা বলছো কেন?
আমেনা বেগম মেয়ের হাত ধরে টেনে আরেকটু আড়ালে নিয়ে গেলেন।আয়েশা বেগম মায়ের এহেন কান্ডে অবাক হয়ে শুধু তাকিয়েই আছে।আমেনা বেগম কি করতে চাইছেন?কি বলতে চাইছেন যে তাকে নিরিবিলিতে নিয়ে গিয়ে তবেই বলতে হবে?আয়েশা বেগম মায়ের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে কড়াগলায় বললো,
– মা তোমার কি হয়েছে বলো তো?
– আমার কিছু হয় নি।তবে এবার হবে!তোর ছেলের!
আমেনা বেগম কথাটা বলে মুখ টিপে হাসছেন।মায়ের এই কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যান আয়েশা বেগম।আমেনা বেগম এইসব কি বলছেন কিছুই উনার বোধগম্য হলো না।আয়েশা বেগম আশ্চর্য হয়ে বললো,
– মানে?
আমেনা বেগমের চোখ জ্বলজ্বল করছে।চোখে মুখে আনন্দের বিমোহিত রেখা।খুশিতে গদোগদো হয়ে মেয়ের হাত ধরে বললেন,
– মানে হলো,অর্কের বিয়ে হবে!এই খুকি,মেহেনূরকে না আমার খুব পছন্দ হয়েছে।অর্কের সাথে ওকে দারুণ মানাবে না রে?
আমেনা বেগমের কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আয়েশা বেগম।মায়ের কথা শুনার পর ঠিক কি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন বুঝতে পারছেন না।তবে উনার চোখও চকচক করছে।উনি নিজেও তো খুব করে চান মেহেনূর তার ছেলের বউ হয়ে আসুক।
আমেনা বেগম উত্তরের আশায় মেয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন।আয়েশা বেগম সেকেন্ড পাচেক পরেই নিজের মাকে জড়িয়ে ধরে উৎকন্ঠিত স্বরে বললো,
– আমিও তো সেটাই চাই মা।
– তাই?
– হুম।ইনফ্যাক্ট অর্কের বাবার সাথেও আমি এ বিষয়ে কথা বলেছি।অর্কের বাবারো মেহেনূরকে খুব পছন্দ।তিনিও নাকি মনে মনে সেটাই ভাবছিলেন।ওইদিন অর্কের বাবা আমাকে বলেছিল অর্ককে জিজ্ঞাস করার জন্য যে, অর্ক কাউকে পছন্দ করে কিনা।আমি সেইদিনই অর্ককে জিজ্ঞাস করেছিলাম।কিন্তু অর্ক তো এখন অব্দি হ্যাঁ-না কোনো উত্তর দিলো না।
– হয়তো ওর কোনো পছন্দ নেই।
– সেরকমটা হলে তো অর্ক আমাকে তখনই বলতে পারতো।কিন্তু ও তো আমাকে কিছুই বলে নি।
– আচ্ছা অর্কের ব্যাপারটা তুই আমার উপর ছেড়ে দে।ওর মনের ভেতর কি আছে সেটা না হয় আমিই জেনে নেবো।তুই বরং জামাই বাবাজির সাথে কথা বল মেহরাবের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার জন্য।
– না মা!আগেই প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া যাবে না।আগে তোমার নাতির মনে অন্যকেউ আছে কিনা সেটা জানতে হবে।
– বললাম তো অর্কের সাথে আমি কথা বলবো।
– নানু!আন্টি!
মেহেনূরের গলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে মা মেয়ে দুজনেই চমকে উঠে।তবে উনারা সেটা মেহেনূরকে বুঝতে দেয় নি।আয়েশা বেগম মেহেনূরের দিকে ফিরে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে আদুরে গলায় বললো,
– কিছু বলবে মা?
– আসলে আন্টি আপনাদের ভাইয়া আর ভাবী ডাকছে।ওদের হলুদ দেওয়ার জন্য।
– আচ্ছা চলো।
___________________
হলুদের পর্ব শেষ। এখন মেহেদীর অনুষ্ঠান শুরু হবে।যদিও আগে মেহেনূরের ইচ্ছা ছিল গায়ে হলুদ আর মেহেদী প্লাস নাচ গানের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে দুইদিনে দুটো অনুষ্ঠান করবে।কিন্তু বিয়ের ডেইটটা খুব তাড়াতাড়ি করে ফেলে দেওয়ায় খুব বেশি একটা সময়ের পাওয়া যাবে না বলে মেহেনূর মেহেদীর বিষয়টা বাদই দিয়ে দিয়েছিল।ভেবেছিল হলুদের পর পার্লারের কাউকে দিয়ে রোশনির হাতে মেহেদী লাগিয়ে নিবে।আর তাই নাচ গান করার জন্য কোনো রিহার্সালও করে নি। কিন্তু এখন দেখে যে হলুদের অনুষ্ঠান খুব তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে গেছে।আর এখনো যে সময় আছে ওইটুকু সময়ে মেহেদীর অনুষ্ঠানও করতে পারবে।
মেহেনূর উঠে গিয়ে ডিজেকে গান বন্ধ করতে বলে।তারপর উনার কাছ থেকে মাইক্রোফোনটা নিয়ে এসে স্টেজে উঠে।মেহেনূরকে মাইক্রোফোন হাতে স্টেজে উঠতে দেখে সবাই মেহেনূরের দিকে তাকিয়ে আছে।মেহেনূর সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য স্মিত হেসে বললো,
– হ্যালো গাইস,এতক্ষণ সবারই খুব বোরিং লাগছিল তাই না?বিয়ে বাড়িকে যদি বিয়ে বাড়ি বলে মনে না হয় তাহলে সেই বিয়ের কোনো মানেই হয় না!তাই বোরিং লাগাটাই স্বাভাবিক।যদিও বর বউকে দেখে মনে হচ্ছে ওরা বিন্দাস আছে।অবশ্য ওদের জন্য সেটাই স্বাভাবিক!কারণ বিয়েটা যেহেতু ওদের,সেটা যেভাবেই হোক ওরা সেই ভাবেই এনজয় করবে।কিন্তু তাই বলে আমরা এনজয় করবো না?দিস ইজ নট ফেয়ার!আমি সন্ধ্যা থেকেই লক্ষ্য করছি গায়ে হলুদ উপলক্ষে সেই এক জিনিসই করা হচ্ছে!বর বউয়ের ফটোসেশন, ফ্যামেলির সদস্যদের নিয়ে ফটোসেশন,বন্ধুদের সাথে ফটোসেশন,ভিডিওগ্রাফি,সেলফি ব্লা ব্লা ব্লা…..।দিস ইজ টু বোরিং ইয়ার!
এইটুকু বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো মেহেনূর।সবাই অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।হঠাৎ মেহেনূর এইসব কথা কেন বলছে?কেউই কিছু বুঝতে পারছে না।মেহেনূর সবার দিকে চোখ বুলিয়ে কিঞ্চিৎ হেসে তাচ্ছিল্যের সুরে ফের বললো,
– আমি নাকি খুব বোরিং!হ্যাঁ!আমি আসলেই খুব বোরিং একজন মানুষ!সারাদিন চুপচাপ থাকি, প্রয়োজনেও খুব একটা কথা বলি না,যখন সবাই হাসি ঠাট্টা আমোদে থাকে তখন আমি বই নিয়ে সিরিয়াস থাকি,একটু সময় পেলেই ফোন আর ল্যাপটপে ডুবে থাকি,ছোট বাচ্চাদের মতো সময় অসময়ে কার্টুন দেখি!আমার এই আচারণ গুলোই একজন মানুষকে বোরিং ফিল করানোর জন্য যতেষ্ট!ইনফ্যাক্ট আমার মাও বলে আমি নাকি খুব বোরিং!যাইহোক, হঠাৎ করে আমার এইসব কথা বলার মানে কি সেটাই আপনারা বুঝতে পারছেন না তাই তো?আসলে আমি বলতে চাচ্ছিলাম যে,আমি নিজে একজন বোরিং মানুষ হয়ে যদি এই হলুদের অনুষ্ঠানে বোরিং ফিল করি!তো আপনারা যে বোরিং হচ্ছেন না সেটার কি আর কোনো সন্দেহ আছে নাকি!তো আমি এখন,আমার এবং আপনাদের এই বোরিংনেসটাকে দূর করতে চাইছি।
মেহেনূর বরাবরই স্পষ্টভাষী।তবে মেহেনূরের কথা শুনে অর্কের মনে হলো মেহেনূর ওকে একটু খোঁচা দিয়েই কথাটা বলেছে।কারণ একমাত্র অর্কই ভাবে যে মেহেনূর খুব বোরিং!কিন্তু মেহেনূরকে সবাই এত আদর কেন করে অর্ক সেটাই বুঝতে পারে না।একটু আগেই ওর নানুর সাথে মেহেনূরের দেখা হলো আর ওইটুকু সময়ের মধ্যেই মেহেনূরকে উনার ভালো লেগে গেলো। অদ্ভুত!মেহেনূর সবসময় কেমন যেন মিনমিন করে কথা বলে।এত স্লো কথা বলে যে ওর কথা শুনলে অর্কের মনে হয় এই মেয়ে সবে কথা বলতে শিখছে!দশ কথায় একটা উত্তর দেয়।তাহলে ও ভুলটা কোথায় বলে?আসলেই মেহেনূর খুব বোরিং!এখন আবার নিজেই বলছে।যাকগে স্বীকার করেছে এটাই অনেক!কথাগুলো মনে মনে ভেবে অর্ক মুখ ভেংচি দিয়ে অন্যদিকে মুখ করে আঁড়চোখে মেহেনূরের দিকে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছে মেহেনূর কি বলতে যাচ্ছে।
মেহেনূর ক্ষুদ্র একটা নিঃশ্বাস ফেলে ফের বললো,
– আমাদের এই বোরিংনেস দূর করার জন্য আমরা এখন মেহেদীর অনুষ্ঠান করবো।আগে থেকে এই বিষয়ে কেউই অবগত ছিলেন না বলে হয়তো সবাই কম বেশি অবাক হচ্ছেন।তবে এতো প্যারা নেওয়ার কোনো কারণ নেই!আমরা নিজেদের মতো করে একটু আনন্দ উল্লাস করবো এই আরকি।যদিও মেহেদীর এই বিষয়টি আমি আগে থেকে ভেবে রেখেছিলাম।কিন্তু পরে সময় স্বল্পতার কারণে এটা বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম।কিন্তু এখন দেখছি নাচ গান ছাড়া আমার ভাইয়ের বিয়ের আনন্দের ফিলটা ঠিক আসছে না।এতক্ষণ মনে হচ্ছিলো কিছু একটার কমতি রয়ে গেছে।তবে এখন আর সেটা মনে হবে না।সো গাইস,আর ইউ রেডি?
মেহেনূরের কথা শুনে অর্ক ভূত দেখার মতো তাকায় মেহেনূরের দিকে।ভূতের মুখে রাম নাম!এমন রস কষহীন বেরসিক মেয়ে কিনা করবে নাচ গান!তবে একদিক থেকে মেহেনূর ঠিকই বলেছে।বিয়ে বাড়িতে যদি ঠিকঠাক ভাবে আনন্দই করা না যায় তাহলে সেই বিয়ের আসলেই কোনো মানে হয় না!মেহেনূরের এই সিদ্ধান্তের তারিফ করতেই হয়।
মেহেনূর যতেষ্ট যুক্তি সঙ্গতিপূর্ণ কথা বলেছে।সবাই করতালি দিচ্ছে।মেহেনূরের প্রস্তাবে সবাই এক কথায় রাজি হয়ে যায় এবং তারাও পারফর্ম করবে।সবার এত আগ্রহ দেখে অর্ক কিছু একটা ভেবে দৌড়ে গিয়ে স্টেজে উঠে মেহেনূরের হাতে থেকে মাইক্রোফোনটা ওর হাতে নিয়ে নেয়।মেহেনূর চকিত দৃষ্টিতে অর্কের দিকে তাকাতেই বিনিময়ে অর্ক স্মিত হাসে।মেহেনূর পিছিয়ে গিয়ে রাওনাফের পাশে বসে।
সবাই কৌতূহলী চোখে স্টেজের দিকে তাকিয়ে আছে।এখন অর্ক কি বলে সেটা শোনার জন্য।অর্ক রোশনি আর রাওনাফের দিকে এক পলক তাকিয়ে মৃদু হেসে উচ্ছ্বসিত কন্ঠে বললো,
– সবাই নাচ গান করবে ঠিক আছে।কিন্তু এখানে আমার একটা শর্ত আছে।শর্তটা হলো, নাচ গান করা হবে,তবে একটা গেইমের মাধ্যমে।মানে হলো,ছেলেপক্ষ আর মেয়েপক্ষ দু’টি আলাদা আলাদা টিম তৈরি করবে।ছেলেপক্ষের দলে ছেলেরা থাকবে আর মেয়েপক্ষে মেয়েরা থাকবে।খেলার নিয়ম হলো,প্রথমে যেকোনো টিম থেকে একজন এখানে এসে গানের সাথে পারফর্ম করবে।ওর পারফরম্যান্স শেষ হওয়ার সাথে সাথে ডিজে অন্য একটি গান প্লে করবে আর প্রতিপক্ষ টিম থেকে যেকেউ একজন এসে সেই গানের সাথে পারফর্ম করবে।খেলায় তো হার জিত থাকবেই।তো যে টিম হারবে তাদের শাস্তি হলো,যেই দল জিততে পারবে সেই দল যা বলবে প্রতিপক্ষ দলকে সেটাই মেনে নিতে হবে।
মেহেনূরের কাছে ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে।তবে গেইমটা যেহেতু হার জিতের সেহেতু জিতটা ওরই চাই।মেহেনূর আগে পিছে কোনো কিছু না ভেবে ঝটপট বলে দিলো ওরা মেয়েরা রাজি।ইনফ্যাক্ট ও খুব এক্সাইটেড হয়ে আছে গেইমটা খেলার জন্য।কলি আর তনিমা রোশনির পাশেই বসে ছিল। মেহেনূরের এমন ছটফটে ভাব দেখে দুজনেই চোখ গোলগোল করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।অর্ক মেহেনূরের দিকে আঁড়চোখে তাকিয়ে ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে বললো,
– আগে আমার পুরো কথা তো শুনো!গেইমের টুইস্ট এখনো বাকি!
মেহেনূর অবাক হয়ে বললো,
– মানে?
– মানে হলো,তুমি গেইমটাকে যতটা সহজ ভাবছো আসলে ততটাও সহজ নয়।এই গেইমের আসল টুইস্ট হলো,এখানে পারফর্ম করার জন্য যে গানগুলো প্লে করা হবে সেই গানগুলো কোনো না কোনো মিউজিক ভিডিও আর বাংলা মুভির গান হবে।আর গানের সাথে পারফর্ম করার সময় একটু হলেও সেই সকল গানের মৌলিক স্টেপ দিয়ে নাচতে হবে।উরাধুরা নাচলে চলবে না।এখন বলো তোমরা আমার এই শর্তে রাজি কিনা?
– আমরা যেকোনো শর্তে রাজি।
জোর গলায় বললো মেহেনূর।মেহেনূর উত্তরে ফের বাঁকা হাসে অর্ক।কলি আর তনিমা আশ্চর্য হয়ে মেহেনূরের দিকে তাকিয়ে আছে।এই মেয়ে কি বলছে এসব?কয়টা মুভি দেখেছে ও?কত কত মুভি আছে। সেই সব মুভির গানের নাচের স্টেপ জানা কি চাট্টিখানি কথা!তনিমা উঠে এসে মেহেনূরের পাশে দাঁড়িয়ে চাপা স্বরে ফিসফিস করে বললো,
– তুমি বুঝে শুনে বলছো তো মেহেনূর?তুমি কি আদৌ কোনো বাংলা মুভি দেখছো?আমরা কিন্তু কেউই তেমন ভালো নাচতে পারি না।কলি কখনোই মুভি টুভি দেখে না।ও কি নাচবে বলো তো।আর তুমি অর্ককে চিনো না!ও কিন্তু খুব ভালো নাচতে পারে।আমরা কিন্তু হেরে যাবো বলে দিলাম!শেষে ওরা যা বলবে সেটাই করতে হবে!
তনিমার কথা শুনে মুচকি হেসে উঠে দাঁড়ায় মেহেনূর।তনিমা মেহেনূর এরূপ হাসির কারণ বুঝতে না পেরে বোকার মতো তাকিয়ে আছে।মেহেনূর তনিমার অসহায় মুখ দেখে ঠোঁট টিপে হাসছে।কারণ বেচারি তনিমা সত্যিই খুব সিরিয়াস এবং চিন্তিত।মেহেনূর ওর ঠোঁটের কোণে রহস্যময়ী একটা হাসি ঝুলিয়ে তনিমার কানে কানে ফিসফিস করে বললো,
– আমিও না হয় দেখি তোমার বন্ধু কেমন ভালো নাচে!

চলবে…

Share This Article
Leave a comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।