অগোচরে তুমি | পর্ব – ৪

11 Min Read

প্রেমিকার কাছে প্রতি রাতে নিয়ম করে ব্যক্তিগত ছবি চাওয়া ছেলেটাও দিনশেষে একটা লক্ষ্মী বউয়ের স্বপ্ন দেখে।টাইটফিট পোশাক পড়ে,রকমারি ফ্যাশন করে, বুক উঁচিয়ে চলা মেয়েটা ছেলেদের গার্লফ্রেন্ড হিসেবেই উপযুক্ত!ঘরের বউ হিসেবে নয়!অথচ বোকা মেয়ে গুলো ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে, ভালোবাসাকে আকঁড়ে ধরে রাখতে গিয়ে নিজের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট করে দেয়।কিংবা দেখা যায় তারা আবেগ দেখাতে গিয়েও অপর পাশের মানুষটার কাছে নিজেকে সম্পূর্ণ প্রকাশ করে ফেলে!বিনিময়ে কি পায়?ধোকা!কোনো কোনো সময় তো নিজের প্রানটাই খোয়াতে হয়!
এতটুকু বলেই থেকে যায় কিরণ।চারদিকে একটা থমথমে পরিবেশ।স্টেজে উঠেই কিরণ এই রকম বক্তব্য ব্যক্ত করতে পারে এটা কেউ চিন্তাও করতে পারে নি।অর্ক সন্দিহান চোখে তাকিয়ে আছে।শো শুরু হওয়ার আগেই এই মেয়ের এমন বাচনের উদ্দেশ্য কি?মেয়ে কি ছ্যাঁকা টেকা খেয়েছে নাকি?যদি তা না হয় তাহলে এই কথা গুলোর মানে কি?প্রশ্ন গুলো ঘুরপাক খাচ্ছে অর্কের মনে।তবু শান্ত রইলো,সম্পূর্ণ কথাটা শুনলে হয়তো ধোঁয়াশা কাটবে!তাই নীরব দৃষ্টি স্থির রেখে বসে রইলো অর্ক।
চারদিকে চোখ বুলায় কিরণ।বুঝতে পারছে ওর গান শুনতে আসা মানুষগুলো ওর এই সব কথার মাথা মন্ডু কিছুই বুঝতে পারছে না।দীর্ঘ একটা শ্বাস টেনে ঠোঁটের কোনে স্মিত হাসি ঝুলিয়ে বললো,
– মেয়ে তুমি খুবই দূর্বল আর বোকা!সেটা তুমি কখনোই বুঝার বালাই রাখো না।তোমরা কেন বুঝো না?তোমরা যতই তোমাদের ভালোবাসার মানুষটির প্রতি নিজেদের দূর্বলতা প্রকাশ করবে,মানুষটা ততই তোমাদের দূর্বলতাকে ঢাল স্বরূপ ব্যবহার করে যাবে।
তোমাকে সে ভালোবেসে যাবে তার জীবনের ক্ষনিকের অতিথি হিসেবে।সারা জীবনের সঙ্গীনী হিসেবে নয়।যদি সারা জীবনের সঙ্গীনীই করতে চাইবে তাহলে সে তোমাকে কখনো সম্পর্ক ছিন্ন করার ভয় দেখাতো না!আশা করি আমাকে আর ভাঙিয়ে বলতে হবে না!
আবার থেমে যায় কিরণ।পর পরেই তাচ্ছিল্যের সুরে হেসে বলল,
– কথা গুলো বড্ড একতরফা হয়ে যাচ্ছে না?
কথার প্রত্যুত্তরের আশায় কান পাতে কিরণ।ছেলেদের প্রায় সবাই ওর প্রশ্নে সায় দিয়েছে।মুচকি হাসে কিরণ।ওদের মনের প্রশ্নটাই তো করলো ও।সায় দেবে বৈ কি!কিরণ শীতল কন্ঠে ফের বললো,
– প্রেম ভালোবাসা ছাড়া জগৎ চলে না।প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে প্রেম ভালোবাসা থাকাটা আবশ্যকীয়। এটা অন্তত আমি মনে করি,সবার মন পড়ার ক্ষমতা আমি রাখি না।ছেলেদের বলছি,নিজেদের প্রিয় মানুষগুলোর বিশ্বাসের অমর্যাদা করো না।আর মেয়েরা,তোমরাও ছেলেদের সুন্দর মনগুলোকে নিয়ে অহেতুক ছেলেখেলা করো না।পারলে শক্ত করে ধরে রেখো যাতে শেষে না পস্তাতে হয়।বেকার ছেলেদের যদি বিয়ে নাই করবে তাহলে কেন সম্পর্কে জড়াও তোমরা? প্রিয় মানুষটির হাত ধরবে বলে একটা মেয়ে যখন সব ছেড়ে চলে আসতে একবারও দ্বিধাবোধ করে না তখন, ছেলেরা তোমরা কেন অস্বীকার করো?পরিবারের দোহাই দিয়ে পালিয়ে বেঁচে যাও!এতে বুঝি তোমাদের আত্মতৃপ্তি মিলে?তোমাদের তো কেউ মাথার দিব্যি দেয় নি যে প্রেম করতেই হবে!সাহস যদি না থাকে তাহলে প্লিজ অহেতুক স্বপ্ন দেখিয়েও না।যাইহোক,আমি কিসের ভিত্তিতে এই কথাগুলো বলছি আমি নিজেও বুঝতে পারছি না।কথাগুলো অনেকক্ষণ ধরে মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলো।কিন্তু বলার মতো কাউকেই পাচ্ছিলাম না।পর মুহুর্তেই মনে পড়লো, আমার তো আজ শো আছে।অব্যক্ত কথা গুলো না হয় ওখানেই উগলে দিয়ে হালকা হবো!আমার হাতের এই ব্যান্ডেজটা দেখতে পাচ্ছেন?
বাম হাতটা উঁচিয়ে শেষের কথাটা বলল কিরণ।বাস্তবতা আর জীবনের সাথে মিল খুঁজতে যখন ব্যস্ত ঠিক তখনই কিরণের বলা একটা কথাই থমকে যায় উপস্থিত জনতা।সবাই উৎসুক দৃষ্টি স্থির করে কিরণ চৌধুরীর হাতের দিকে।সত্যিই ওর কনুইয়ে ব্যান্ডেজ করা।পড়নের শার্টের হাতাগুলো ফোল্ড করাই ছিল এতক্ষণ।কই কারো চোখে পড়ে নি তো।চারদিকে পিনপিনে নীরবতা।অর্কও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ফেলে কিরণের হাত পর্যবেক্ষণ করে নেয় একবার।এতক্ষণ অবাক চোখে নির্বাক হয়ে শুধু কিরণের কথাগুলোই শুনছিল।অন্যদিকে নজর ফেরানো হয় নি।কিরণের হাতে ব্যান্ডেজ,এটা ও খেয়ালই করে নি এতক্ষণ।কিরণ ক্ষুদ্র একটা শ্বাস ফেলে বলল,
– হসপিটালে একটা মেয়েকে ভর্তি করে রেখে আসলাম।মেয়েটার নাম নিলু।তাঁর পাঁচ বছরের সম্পর্ক।কাল ওর বিয়ে।আর আজ জানতে পারলো ওর ভিতরে আরেকটা প্রান তিলতিল করে বেড়ে উঠছে।যখন নিজের সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে চলে এলো তখন তাকে গ্রহণ করতে তার সেই প্রিয় মানুষটি নারাজ!পরিবার ক্যারিয়ারের দোহাই দিয়ে তাকে ফিরিয়ে দিলো।নিলুর ফিরে যাওয়ার পথ বন্ধ।রাস্তা খোলা একটাই!আত্মঘাতী ছাড়া নাকি ওর আর কোনো উপায় নেই।বেপরোয়া ভাবে মাঝ রাস্তায় ছুটছিল।আকস্মাৎ আমার বাইকের সামনে এসে পড়তেই চমকে উঠে ব্রেক কষি সাথে সাথেই।তখনই পড়ে গিয়ে হাতে সামান্য একটু লেগেছে।কিন্তু ওর কিছু হতে দেয় নি।মেয়েটা দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে ক্লান্ত হয়ে জ্ঞান হারায় সেখানেই।ওর হাতে একটা চিরকুট ছিল।সেখান থেকেই সবটা জানতে পারলাম
কিরণ কিচ্ছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বলল,
– নিলুর সাথে আমার কথা হয় নি।অজ্ঞান ছিল তো।ওর সাথে সাথে প্রত্যেকের উদ্দেশ্যই কথাগুলো বললাম।ছেলে বা মেয়ে তোমার কেউই অভিনয়ের ধোকায় পড়ো না!তবে অভিনয় ছাড়া জীবন একঘেয়ে মনে হয়, না?মাঝে মাঝে অভিনয়েরও দরকার আছে তবে সেটা অবশ্যই উত্তম হতে হবে!কারো ক্ষতির জন্য নয়।
কিরণ কথাগুলো শেষ করে মুচকি হেসে সুর তোলে গিটারের তারে।কারো মুখে রা নেই।কথা সত্য আর বাস্তবিক।কেউ কেউ হয়তো লজ্জাও পেয়েছে!কেউ হয়তো নিজের ভুল গুলোও বুঝতে পারছে।আবার কেউ হয়তো বা প্রিয় মানুষটিকে হারানোর ভয়ে কুঁকড়ে উঠছে!কথাগুলো বলার খুব প্রয়োজনবোধ করলো কিরণ।তাই বললো,এখন কে মানলো না মানলো এটা ওর দেখার বিষয় না।ঠোঁটের কোণে কিঞ্চিৎ হাসি ফুটিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়।পর পরেই মধুর সুরে গেয়ে উঠলো,
ও,,,অভিনয়ের এই তো জীবন
ও,,,অভিনয় যাচ্ছি করে
অশ্রু জলে হৃদয় ভাসে
হাসছি তবু সুখের ভীড়ে
কি আগুন জ্বলছে বুকে
জানে না কেউ তো জানে
কি ব্যাথায় পুড়ছি প্রতিদিন
বুঝে না কেউ তো বুঝে না
অদৃশ্য দাবার চালে
পরাজিত আমার হৃদয়
তবু চাইছি আমি
তোমারই জয় যেন হয়
লিখে রাখা ভাবনা গুলো
খুঁজবে না আর ঠিকানা
কি আগুন জ্বলছে বুকে
জানে না কেউ তো জানে
কি ব্যাথায় পুড়ছি প্রতিদিন
বুঝে না কেউ তো বুঝে না
বরাবরের মতো আজও কোনো ব্যাতিক্রম ঘটলো না।একের পর এর আরজি আসছে আর গান গাইছে কিরণ।চারদিক থেকে করতালি আর সিটির শব্দ ভেসে আসছে।অস্বস্তি হচ্ছে খুব,অর্কের অস্থিরতা যেন কমবার নয়।কিরণের গাওয়া গানের কথা গুলো ভাবাচ্ছে ওকে।ওর কি কোনো কারণে আজ মন খারাপ?মনে হচ্ছে প্রতিনিয়ত কিছু লুকিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।কিছু আড়াল করার তীব্র প্রচেষ্টা।এমন নয় তো যে ওউ অভিনয় করছে?কথাগুলো মনে আসতেই বুকের ভেতরটা কেমন ধুক করে উঠলো অর্কের।কিসের এতো অভিনয়ের জীবন ওর?কেনই বা এত লুকোচুরি ওর?জানতে হবে সবটা।বসে থাকাটা আর পসিবল হচ্ছে না।উঠে চলে এসেছে অর্ক।লক্ষ্য আজকে যেভাবেই হোক কিরণকে ও দেখবেই!আজকে অর্ক আগে থেকেই একটু নীরব জায়গায় চলে গিয়েছে।এইদিকে মানুষের তেমন কোনো যাতায়াত নেই।ওইদিন কিরণ নিরিবিলি পথের চলে গিয়েছিল।তাই আজ অর্ক এই নীরব প্রান্তরে এসে দাঁড়িয়ে আছে।
অনেকক্ষণ হয়ে গেছে অর্ককে দেখতে না পেয়ে কলি কল দেয়।কলির কথা শুনে হতাশ হয়ে বাড়ির পথে হাটা দেয় অর্ক।কারণ কিরণ চৌধুরী নাকি অনেকক্ষণ আগেই চলে গেছে।বাইক নিয়ে এক্সিডেন্ট করেছে বলে বাইকটা একটু ডেমেজ হয়ে গেছে।ওটা সাড়াতে দিয়ে অন্য গাড়ি করেই এসেছে কিরণ।কিন্তু অর্ক ভেবেছিল কিরণ হয়তো আজকেও ওর বাইক নিয়ে এই নিরিবিলি জায়গা দিয়েই যাবে।আসলে কিরণ কিন্তু এখনো যায় নি!গিটার হাতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় ওর কনুইয়ে টান পড়ে ক্ষত স্থান থেকে আবার রক্ত ঝড়ছে।বেরুনোর আগে কনুইটা ভালো করে ড্রেসিং করে নিচ্ছে আরকি।
অর্ক আজো ওর ভগ্নহৃদয় নিয়ে বাসায় ফিরে।মায়ের সাথেও বনিবনাটা হচ্ছে না ঠিক মতো।এত রাতে মাকে ডিস্টার্ব করতে চায় নি।ফলে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ে।
____________________
– মেহেনূর, দেখ তো কে এলো।
ড্রয়িং রুমে বসে বাদাম খেতে খেতে টম এন্ড জেরি দেখছিল মেহেনূর।মায়ের কথায় উঁকি দিয়ে দেখলো রেনুফা বেগম রান্নাঘরে কিছু একটা করছেন।উনি ব্যস্তই আছেন।কোল থেকে কুশনটা পাশে নামিয়ে রেখে টিভির রিমুটটা সোফার সামনের টেবিলের উপর রেখে গিয়ে দরজা খুলে দেয় মেহেনূর।দরজা খুলতেই হুড়মুড় করে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে অর্ক।মেহেনূরকে এক রকম পাত্তা না দিয়েই ঘরের ভেতরে চলে আসে।মেহেনূর আহাম্মকের মতো তাকিয়ে ছিল কয়েক সেকেন্ড।তারপর দরজাটা লাগিয়ে বুকে হাত গুজে দাঁড়ায়।অর্ক সোজা রান্নাঘরে গিয়ে রেনুফা বেগমকে আলতো হাতে জড়িয়ে ধরে। অর্কের এহেন কান্ডে রেনুফা বেগম অবাক না হলেও মেহেনূরের চোখ কোটর থেকে প্রায় বেড়িয়ে আসে আসে।মুখটা কিঞ্চিৎ হা হয়ে আছে।অর্ক রেনুফা বেগমের সামনে গিয়ে দেখে উনি কেমন থমথমে মুখ করে আছেন।অর্ক চোখ রাঙিয়ে তাকায় মেহেনূরের দিকে।দাঁত কড়মড় করে ভাবে, হয়তো এই মেয়েটাই আন্টি বলে দিয়ে সবকিছু!
চোখাচোখি হয়ে গেছে দুজনের।হঠাৎ করেই অর্কের ওমন চাহনি দেখে থতমত খেয়ে যায় মেহেনূর।নিজেকে সামলে নিয়ে বিনিময়ে জোরপূর্বক হেসে বললো,
– দাঁড়িয়ে আছেন কেন ভাইয়া,বসুন না।
– যাও গিয়ে বসো।
চকিত দৃষ্টিতে রেনুফা বেগমের দিকে তাকায় অর্ক।বিস্মিত কন্ঠে বললো,
– তুমি আমার উপর রেগে নেই?
রেনুফা বেগম আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাস করলেন,
– রেগে থাকবো কেন?
অর্ক অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।পরিস্থিতিতে সামল দিতে গলা খাঁকারি দিয়ে রেনুফা বেগমের দিকে আঁড়চোখে তাকিয়ে আহ্লাদী গলায় বললো,
– না মানে আমার জন্য তোমাকে এই গরমের মধ্যেও ওইদিন পায়েস রান্না করতে হয়েছিল।এখন আসলাম তুমি কথা বলছো না তাই ভাবলাম হয়তো রাগ ক……..
অর্ক ওর কথা শেষ করতে পারলো না।রেনুফা বেগম অর্কের গাল টিপে হেসে আদুরে গলায় বললেন,
– ওরে পাকা ছেলে আমার!এত কেন বুঝ তুমি?আসলে বাবা অসুস্থ,মনটা বেশি ভালো না।বাদ দাও,তা পায়েস খেয়েছিলে?
অর্ক রেনুফা বেগমকে ধরে গোলগোল করে ঘুরাতে ঘুরাতে বললো,
– তোমার হাতের জাদু আছে আন্টি।পায়েসটা খুব খুব ভালো হয়েছিল।
– পায়েসটা আমি রান্না করি নি।
থমকে যায় অর্ক।কপাল কুঁচকে আসে ওর।আশ্চর্য হয়ে বললো,
– তাহলে?
– আরে আমি তো বাবার বাসাতেই ছিলাম।আমি কি করে রান্না করে দিবো।মেহেনূরকে রান্না করে দিয়ে আসতে বলেছিলাম।
রেনুফা বেগমের কথাটা অর্কের কর্ণগোচর হতেই চটজলদি মেহেনূরের দিকে তাকাতেই আবারও চোখাচোখি হয়ে যায় দুজনের।চোখ নামিয়ে নেয় মেহেনূর।এতক্ষণ মা আর অর্কের খুশগল্প দেখছিল মেহেনূর।অর্ক মেহেনূরের দিকে আঁড়চোখে তাকিয়ে অস্পষ্ট স্বরে বললো,
– ওহ!
রেনুফা বেগম তাড়া দিয়ে বললেন,
– যাও গিয়ে বসো।
– আন্টি আঙ্কেল কোথায়?দেখছি না যে।
– আছে মনে হয় গেস্ট রুমে!
অর্ক আর এক মুহূর্তও না দাঁড়িয়ে ছুট লাগায় গেস্ট রুমের উদ্দেশ্যে।কিন্তু গেস্ট রুমের দরজার কাছে যেতেই আতঁকে উঠলো অর্ক।

চলবে…

Share This Article
Leave a comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।