অফিডিয়ান | পর্ব – ১১

13 Min Read

রুনিয়া খাবার নিয়ে ছাদে এলেন। কারো পায়ের শব্দ শুনে সাফওয়ান সতর্ক হয়ে উঠলো। ফুল স্লিভ শার্ট পরে গলার কাছের স্কেলি আবরণ টাকে মেকআপ দিয়ে সুচারুতার সাথে ঢেকে দিয়ে, চোখে ডার্ক গগলস, মুখে মাস্ক পরে, চুল গুলো হাত দিয়ে মাথার পেছন এর দিকে সরিয়ে দিলো। তারপর রুমের ভেতরে বিছানার পাশে রাখা ফুল ভিউ মিররের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে আর একবার দেখে নিলো যে তার শরীরের কোনো ত্রুটি কারো নজরে আসার মতো আছে কিনা৷
সাফওয়ান আজ রুনিয়ার অপেক্ষাতেই আছে। কিন্তু যদি রুমাইশা বা শাফিন বা অন্য কেউ তাকে খাবার দিতে আসে তাহলে আজ রাতেই মায়ের সাথে কথা বলে এর একটা বিহিত করবেই সাফওয়ান। কারণ সাবধানের মার নেই৷

সাফওয়ান তার এই চেহারা সবার থেকেই আড়াল করে রেখেছে, এমনকি রুনিয়া আর ইশতিয়াকের থেকেও৷ তারা হয়তো সহ্য করতে পারবে না ছেলের এই পরিণতি দেখে, আর তার এ পরিণতির জন্য যে দ্বায়ী তাকেও হয়তো কখনো ক্ষমা করবে না। নিজের শরীর ও চেহারার হঠাৎ পরিবর্তন টের পাওয়ার পর থেকে কাউকেই নিজের চেহারা দেখায়নি সাফওয়ান। এভাবেই ঢেকে ঢুকে নিজেকে সবার সামনে নিয়ে গেছে সাফওয়ান।

পায়ের শব্দ টা কাছাকাছি আসতেই সাফওয়ান নড়ে চড়ে বসলো। থাই গ্লাসের ভেতর দিয়ে দেখে নিলো আসলেই তার মা এসেছে কিনা। হ্যা এসেছে৷
বিছানা থেকে উঠে চিলেকোঠার দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলো সাফওয়ান।
— মা!
খাবার রেখে সাফওয়ান কে ডাক দিতে উদ্যত হতেই ছেলের গম্ভীর কণ্ঠে মা ডাক শুনে সামনে তাকালো রুনিয়া। ছেলেকে দেখে তার চোখ জুড়িয়ে গেলো। চোখে মুখে দেখা গেলো তৃপ্তির হাসি। তার কোলের ভেতরের বেড়ালের বাচ্চার মতো নরম তুলতুলে বাচ্চা টা আজ একজন পরিপূর্ণ যুবকে পরিণত হয়েছে৷ তার প্রথম সন্তান, তার নাড়ি ছেড়া ধন!

মা কে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে অস্বস্তিতে পড়িলো সাফওয়ান।
আর একবার মা বলে ডাক দিয়ে বলল, ` তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে ”
— হ্যা, বল, কি কথা?
সাফওয়ান একটু সময় নিয়ে বলল,
— রিমু কে নিয়ে৷
সাফওয়ানের মুখে রুমাইশার নাম শুনে রুনিয়া মনোযোগ দিলেন। ` হ্যা, বল। কি হয়েছে? রুমি কি কিছু করেছে? ”
— না, তবে করতে পারে।
রুনিয়া ভেবে পেলেন না রুমাইশা কি করতে পারে। আশ্চর্যের সুরে বললেন, `রুমি কি করবে?”
— মা, আমার মনে হয় রিমু আমার ব্যাপারে কিছু জানতে পেরেছে, যে আমি স্বাভাভিক না, বা আমি ছোটবেলায় ওর কোনো ক্ষতি করেছিলাম, কিছু একটা জেনেছে৷
— তুই কিভাবে এত শিউর হচ্ছিস?
রুনিয়া জিজ্ঞেস করলেন।
— ওর আচার আচরণ স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না মা। ও আমাকে দুদিন খাবার দিতে এসেছে, দুদিনই অস্বাভাবিক আচরণ করেছে। তাছাড়া শাফিন বলছিলো যে ও নাকি ইদানীং খুব মন খারাপ করে থাকে, কারো সাথে তেমন কথা বলে না৷ হয়তো ও আমার ব্যাপারেই কিছু জেনেছে মা। তোমার উচিত হবে যত দ্রুত সম্ভব ওকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া৷ ও যদি কিছু জানে তাহলে শাফিন ও জানবে৷ আর এটা নিয়ে বেশি মাতামাতি হলে বাইরের লোকজন ও জানবে৷ আর তখন বিষয় টা আর আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না ৷ তাই অ্যাজ সুন অ্যাজ পসিবল ওকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যাবস্থা করো।”

রুনিয়া কিছুক্ষন ভেবে বললেন, ‘তুই চিন্তা করিস না বাবা, আর একটা এক্সামই আছে ওর, তারপরেই চলে যাবে ও৷ আর আমার মনে হয়না ও কিছু জেনেছে৷ শাফিনের সাথে তো দিব্যি হেসে হেসে কথা বলছে, সকালের রান্না টাও ওই করলো। যদি জানতোই তাহলে তো ও নিজে থেকেই এখানে থাকতে চাইতো না, কবেই চলে যেত! তুই এসব নিয়ে চিন্তা করিস না৷ আর আমিও ওকে আর পাঠাবোনা নাস্তা দিতে। আমিই নিয়ে আসবো৷”
বলে রুনিয়া নিচে চলে গেলেন৷

সাফওয়ান খাবারের ট্রে টা নিয়ে নিজের রুমে গেলো।
`রিমু রান্না করছে!’
মনে মনে আউড়ালো সাফওয়ান
রিমুর সাথে বাধ্য হয়েই এতদিন খারাপব্যাবহার করেছে সাফওয়ান। যতবার দেখা হয়েছে ততবার রূড় আচরণ করেছে যেন রুমাইশা ওর সাথে আগের মতো করে ভাব জমাতে না আসে, আগের মতো আদর আদর হয়ে ওর কাছে না আসে! ওর কলিজার রুমাইশার সাথে এইভাবে রুডলি কথা বলতে গিয়ে ওর প্রাণ টাই ছিড়ে যায়, কিন্তু কিচ্ছু করার ছিলো না ওর । ওর নিজের থেকেই ওর রুমাইশা কে রক্ষা করার জন্য এত কঠিন হওয়া ওর!

নিজের মুখের মাস্ক খুলে হাত মুখ ধুয়ে খাবারের ট্রে টা টেবিলের ওপর রেখে চেয়ার টেনে বসলো সাফওয়ান। প্লেটে রাখা একটা রুটি থেকে খানিকটা ছিড়ে নিয়ে পাশে রাখা চিনামাটির বাটি থেকে সবজি নিয়ে রুটির সাথে তুলে মুখে দিলো সাফওয়ান। তৃপ্তির সাথে চোখ দুইটা বন্ধ করল ও,
— উম্মম , রান্নার হাত টা তো দারুন!
ভাবলো সাফওয়ান। ` যার বাড়িতে যাবে সে তো রিমুর হাতের এত সুস্বাদু খাবার রোজ খেয়ে খেয়ে ওয়েট গেইন করে ফেলবে।
হাসলো সাফওয়ান।
হঠাৎই মনে হলো ওর, `আমার বাড়িতে কে আসবে! কিভাবেই বা আসবে! আমি তো স্বাভাবিক না৷ আমি তো কারো সামনেই যেতে পারবো না। রিমু! রিমু কি আসবে? আমার আদরের রিমু! ও কি এমন করে রোজ রান্না করে খাওয়াবে!
নিজের ভাবনায় হতচকিত হয়ে গেলো সাফওয়ান, `রিমু! রিমু আমার ভাবনায় কই থেকে আসলো, আমি ওকে ভাবছি কেন! ওকে নিয়ে তো আমি ভাবিইনি কত কাল, সেই ছোটবেলায় ওকে নিজের নিজের মনে হতো, কিন্তু তখনের চাওয়া টা তো নিছক ছেলেমানুষী ছিলো! এখনের মতো সুখকর অনুভূতি ছিলো না! এখনের মতো দুঃসময় ও তো তখন ছিলো না! আর এখন তো ওকে ভাবার মতো কোনো অবস্থাও নেই আমার। ও আমার কাছে আসা মানে ওর নিজেরই ক্ষতি। আমি তো ওকে মেরেই ফেলেছিলাম বলতে গেলে! ও কেন আসবে আমার কাছে!”

চকিতে চোখের সামনে আঠারো বছর আগেকার দৃশ্যপট ভেসে উটলো সাফওয়ানের৷ তার আদরের রিমু কে সে কামড়ে দিয়েছিলো। যে রিমু কে সে চোখে হারাতো তাকেই কিনা কামড়ে দিয়েছিলো৷ কিন্তু ও তো জানতো না এমন হবে! জানলে তো ও কোনোদিনও কামড়াতো না!

সেদিন রুমাইশা আর রাফসান কে নিয়ে এই বাড়ির ই পেছনে খেলছিলো সাফওয়ান। ওর বয়স তখন তেরো, রুমাইশার পাঁচ আর রাফসানের দশ। খেলার এক পর্যায়ে রুমাইশা কে কোলে নিয়ে বসে ছিলো সাফওয়ান। আর ঠিক তিখনই ঘটে বিপর্যয়।
রুমাইশাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ওর গলার কাছটাতে থুতনি দিয়ে বসে ছিলো সাফওয়ান। হঠাৎই ওর চোখ রুমাইশার গলার নরম চামড়ার দিকে যায়। সেইখানে এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকে সাফওয়ান, রুমাইশার গলার কাছে উজ্জ্বল তুলতুলে ত্বক যেন ওকে চুম্বকের মতো টানছিলো! এমন টা এর আগে কখনোই অনুভব করেনি ও ! ওর ক্যানাইন দাঁত দুইটা যেন শিলাচ্ছিলো, কেউ যেন মাথার ভেতর থেকে বলতে শুরু করে ‘বাইট ইট, জাস্ট বাইট ইট” , আর সাফওয়ান ও নিজের মস্তিষ্কের কাছে হেরে গিয়ে সেটাই করে। নিজের ভেতরের সত্তাকে হারিয়ে ফেলে ও, হঠাৎ ই অন্য এক সত্তা যেন ওর ভেতরে জেগে ওঠে, যে কিনা হিংস্র, নিষ্ঠুর আর বর্বর৷
রুমাইশার নরম গলায় শুধু মাত্র একবার কামড় দিয়েই ক্ষান্ত হয়না, সেই একই জায়গায় পরপর ছয় থেকে সাতবার চোখের পলকে কামড় দেয় সাফওয়ান।

নিজের ওপর হঠাৎ হওয়া আক্রমণে হতচকিত হয়ে যায় রুমাইশা৷ চিৎকার করার ফুরসত টুকু পায় না, তার আগেই মাত্রারিক্ত বিষের প্রভাবে জ্ঞান হারায় রুমাইশা। আর এই পুরো দৃশ্য অবলোকন করে রাফসান।
বোনের এই অবস্থা দেখে চিৎকার করে কেদে ছুটে যায় বাড়িতে। খবর পাওয়া মাত্রই রুনিয়া, ইশতিয়াক, শামসুল, আয়েশা, সবাই দৌড়ে আসে।
আয়েশা নিজের মেয়ের মুমূর্ষু অবস্থা দেখে ঠিক থাকতে পারেন না আর, সেখানেই জ্ঞান হারান। বাকিরা রুমাইশার গলার ক্ষত আর সাফওয়ানের মুখ লেগে থাকা রক্ত তেই বুঝে যান কি হয়েছে, সাফওয়ান এমন একটা কাজ কেন করলো সেটা তাদের মাথাতেই আসলো না।
কিন্তু তারা ভাবতেই পারেননি রুমাইশার শরীরে অত্যান্ত বিষাক্ত এক বিষ বুলেটের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।

ইশতিয়াক তখনই গাড়ি বের করে রুমাইশা কে নিয়ে ছুটলেন হাসপাতালে।কর্তব্যরত চিকিৎসক রক্ত পরিক্ষা করে এসে যা জানালেন তাতে বাকিদের চোখ কপালে উঠলো,
রুমাইশার শরীরে চরম বিষধর ব্লাক মাম্বার বিষ পাওয়া গেছে৷ কিন্তু এই ব্লাক মাম্বা তো আফ্রিকা ছাড়া অন্য কোথাও নেই, আর এর এন্টিভেনম ও পুরো এশিয়া মহাদেশে পাওয়া যায় না, তাহলে বাংলাদেশের একটা বাচ্চা মেয়েকে কিভাবে এই সাপে কাটলো তার জিজ্ঞাসা বাদ করলেন ডাক্তার রা৷ কিন্তু বাড়ির কেউ কিছুই বলতে পারলনা কীভাবে কি হলো! কেউ কিছু বুঝে উঠতে পারেনি তখনও৷
কেউ কিছু বলবে সাজিয়ে গুছিয়ে তখনই সাফওয়ান এর দাদু আসেন হাসপাতালে হন্তদন্ত হয়ে। তাকে আগেই খবর দিয়েছিলো ইশতিয়াক আহমেদ৷
উনি এসে কর্তব্যরত ডক্টরদেরকে ব্লাক মাম্বার এন্টিভেনম দিলেন আর বললেন ` আপনারা চিন্তা করবেন না, আসলে ভুল টা আমারই। আমি একজন হারপিটোলজিস্ট, আমার নিজস্ব ল্যাবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের রেপটাইল নিয়ে আমি গবেষণা করি। বাচ্চা রা ওখানেই খেলছিলো, খেলতে খেলতে হঠাৎ করেই ব্লাক মাম্বার ভাইভারিয়াম টা পড়ে গিয়ে ভেঙে গেলে সেখান থেকে একটা সাপ বেরিয়ে এসে বাচ্চা টাকে কামড় দিয়েছে,
কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় যে আমার কাছে এর একটা এন্টিভেনম ছিলো, আর একটাই ছিলো।” বাড়ির সবাই ভিষণ অবাক হন সেদিন সাফওয়ানের দাদুর কথায় ।

স্মৃতি চারনের এই মুহুর্তে এসে টেবিলের ওপর রাখা সাফওয়ানের মোবাইল ফোনটিতে মেসেজের নোটিফিকেশন আসলে নোটিফিকেশনের শব্দে সাফওয়ান নিজের অতীতের কালো অধ্যায়ের সুচনাকাল থেকে বর্তমানে ফিরে আসে। তারপর তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া শেষ করে আবার নিজের রিসার্চের কাজে মনে দেয়।

১৮. আজ শুক্রবার। নামাজে যাবে সবাই। সাফওয়ান যদিও ঘরেই পড়ে জুমার নামাজ টা, কিন্তু গতকাল ইশতিয়াক আহমেদ রুনিয়া কে দিয়ে বলে এসেছেন যেন সাফওয়ান তাদের সাথে নামাজে যায়, যেভাবেই হোক। কারণ, মসজিদে অনেকেই জিজ্ঞেস করেন ইশতিয়াককে তার বড় ছেলে কোথায়? দেশে এসেছে কিন্তু মসজিদে আসে না! কিন্তু ইশতিয়াক রোজ কোনো না কোনো বাহানা দিয়ে বিষয় টা এড়িয়ে যান৷
কিন্তু এভাবে আর কয়দিন? মাঝে মাঝে না গেলে তো লোকজন সন্দেহ করবে যে কোনো গন্ডগোল আছে, হয়তো লোকে ভাববে সাফওয়ান নামাজ কালাম ছেড়ে দিয়েছে! তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই সাফওয়ান কে নামাজে যেতে বলেছেন ইশতিয়াক।

মসজিদে যাওয়ার জন্য সাফওয়ানের অপেক্ষায় ইশতিয়াক আর শাফিন বসে আছে হলরুমের ডিভানে। রুনিয়া আজ মহাখুশি, তার ছেলে আজ মসজিদে যাচ্ছে, অন্য সবার সাথে৷ কিন্তু সাথে দুঃশ্চিন্তাও হচ্ছে, যদি কোনো অঘটন ঘটে!
রুনিয়া ইশতিয়াক দুজনেই জানেন সাফওয়ানের মুখের বিকৃতি ঘটেছে, কিন্তু সেটা কেমন বিকৃতি তা তারা কেউই জানেন না৷ এবং দেখেনও নি। এখন যদি মসজিদের কেউ সাফওয়ানকে মাস্ক খুলতে বলে! বা ওর চোখের গগলস খুলতে বলে, তাহলে তো সর্বনাশ হয়ে যাবে৷
এমন সময় রুনিয়ার ভাবনায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে সাফওয়ান নিচে এলো ।
ছাই রঙা পাজামার সাথে কালো রঙা ফুল স্লিভ পাঞ্জাবির হাতা কনুই পর্যন্ত গুটিয়ে, মুখে মাস্ক দিয়ে, চোখে ডার্ক গগলস পরে হলরুমে এসে হাজির হলো সাফওয়ান। তারপর নিজের চিরাচরিত স্বভাব অনুযায়ী গম্ভীর কণ্ঠে ইশতিয়াক কে বলল, বাবা, তোমরা আগে চলে যাও, আমি পরে আসছি।
ইশতিয়াক বললেন, তাহলে তুমি আর শাফিন আসো এক সাথে, আমি আগে চলে যাচ্ছি৷
সাফওয়ান মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।
বড় ছেলের সাথে কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে ইশতিয়াক শাফিনের মতো করে সাফওয়ান কে সম্বোধন করতে পারেন না৷ নিজের প্রথম সন্তান কে এত ভালোবেসেও, এত কাছে থেকেও কেন যেন একটা দুরত্ব দুরত্ব অনুভব থেকে যায়৷ সাফওয়ান ও ব্যাপার টা ভালো ভাবেই টের পায়।
কারণ এই গ্যাপ টা ইশতিয়াকের থেকে তাকেই বেশি পীড়া দেয়৷ রুনিয়ার সাথে তার যা একটু আলাপ হয়, কিন্তু ইশতিয়াক আহমেদের সাথে তার কিছুই হয় না বলতে গেলে৷ পুরো পরিবার টাই কেমন যেন এলো মেলো হয়ে গেছে৷
দোতলা থেকে সাফওয়ান কে এতক্ষন পর্যবেক্ষণ করছিলো রুমাইশা।
‘কালো রঙে তো বেশ মানিয়েছে অজগর টাকে।” ভাবলো রুমাইশা
তার মন মস্তিষ্ক যে সাফওয়ান কে অজগর উপাধি দিয়েছে এটা ভেবেই হাসি পেলো রুমাইশার।
পরক্ষনেই হাসি থামিয়ে ভাবলো, আজ একবার জঙ্গলের ভেতর যাওয়া তার জন্য খুব জরুরি। কিন্তু একা একা যাওয়ার মতো সাহস তো তার এই জীবনে হবে না, সুতরাং শাফিনকে সাথে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো রুমাইশা। দুপুরে খেয়েই বের হতে হবে, আগের দিনের মতো শেষ বিকেলে গেলে হবে না৷

( আজ কিছু জটলা খুলে দিলাম, কিছু দিন পর বাকিটাও খুলে দিবো৷ 👀)

Share This Article
Leave a comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।