অফিডিয়ান | পর্ব – ৪৪

12 Min Read

সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরলো ওরা দুজন। রুনিয়া তো আচ্ছা মতন বকে দিলেন দুজনকেই। বললেন এখন থেকে প্রেম করতে যেখানেই যাক না কেন, বাসায় যেন বলে যায়, আর এইরকম চার্জার ফেলে রেখে ফোন নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া স্বভাব যেন দুজনেই বদলায়।
সাফওয়ান আর রুমাইশা দুজনেই মাথা নিচু করে রুনিয়ার বকাবকি শুনলো। আর মাঝে মাঝে দুজন দুজনের সিকে তাকিয়ে ঠোঁট টিপে হাসলো৷ তাতে রুনিয়া আর ও রেগে গেলেন। আর তারপর রাগ টা স্তিমিত হতেই আদরে আদরে ভাসিয়ে দিলেন, ছেলে আর ছেলের বউ কে।

ইশতিয়াক যদিও বেশি কিছু বললেন না। তার বউ এর যে অ্যাকশন তাতে তার নিজের আর কিছু বলা লাগলো না। শুধু সাফওয়ান কে বলে দিলেন যে সে যেন আর ও বেশি দায়িত্ববান হয়!
ওবাড়িতে আয়েশা শামসুল কে ও জানিয়ে দেওয়া হলো যে সাফওয়ান রা ফিরেছে বাড়িতে, তারা যেন আর চিন্তা না করেন। খবর শুনে রাফসানের ঘাড় থেকেও দুঃশ্চিন্তা নামলো।
কিন্তু সাফওয়ানের ওপর রাগ হলো না ওর৷ বরং বোন কে নিয়ে এমন লাপাত্তা হওয়ার ঘটনায় বেশি খুশিই হলো যেন!
কিন্তু এর ভেতরের ঘটনা ওর কিছুই জানা নেই!

আর এদিকে পুরো একদিন কিছুই না খাওয়া সাফওয়ান আর রুমাইশা ডাইনিং টেবিলে বসে গান্ডে পিন্ডে এক গাদা খাবার খেয়ে শেষ করে টলতে টলতে নিজেদের রুমে চলে গেলো। আর বাকিরা হা হয়ে শুধু দেখলো ওদের খাওয়া৷

৪৫. পরদিন রাতের বেলা। খাওয়া দাওয়া শেষ করে সাফওয়ান রুমের বাইরে এসে ছাদে বসে বসে ল্যাপটপে কলেজের ক্লাসের জন্য কুয়েশ্চন পেপার রেডি করছিলো। কাল কলেজে একটা ক্লাস টেস্ট নেএয়ার আচগে ওর। রুমাইশা রুমে বসে বই পড়ছিলো। আগামী কাল একবার ওকেও কলেজ যেতে হবে৷ ক্লাস শুরু হবে ওদের পরশু থেকে। তাই কাল সেলিম স্যার কিছু নোটস দিবেন বলেছেন, সেগুলোই আনতে যেতে হবে।

রাত এগারোটা নাগাত সাফওয়ানের ফোনে রাফসানের কল এলো৷ সাফওয়ান রিসিভ করার পর রাফসান কুশল বিনিময় শেষে বলল,
— লুকাসের মাফিয়া গ্যাঙ টা খুলনার দিকে আসছে, শুনেছো নিশ্চয়!

সাফওয়ানের ভ্রু কুচকে গেলো, চিন্তিত ভাব টা মুখে ফুটে উঠলো স্পষ্ট ভাবে৷ রুমের দিকে তাকিয়ে রুমাইশা কে একবার দেখে নিয়ে ও উত্তর করলো,
— হ্যা শুনেছি। আমার ট্র‍্যাকার টা আমি কুষ্টিয়া তে ফেলে এসেছি। ওরা খুলনা এসে আগে ওখানেই যাবে আমার ধারণা। আর রিমুর পাসপোর্ট আজকেই হাতে এসেছে আমার। ওর ভিসা রেডি করতে দিয়েছি আমি, কিন্তু সময় লাগবে কিছুদিন। আমার ভিসা রেডি আছে৷ রিমু কে আমি পারলে আজই জানাবো সব কিছু৷ তারপর বাড়িতেও জানাবো৷

— কিন্তু ভিসা পাওয়ার আগেই যদি ওরা তোমাদের কে পেয়ে যায়?

সাফওয়ান কোল থেকে ল্যাপটপ টা নামিয়ে ছেদের কিনারায় গিয়ে রেলিঙ ঘেঁষে দাড়ালো। তারপর বলল,
— কাল রিমু কে কলেজে যেতে হবে নোটস আনতে। কলেজ থেকে ফেরার পর বিকাল বেলা ওকে আমি তোদের বাড়িতে দিয়ে আসবো। আমি আমার ল্যাবেই থাকবো এই কয়েকদিন৷ ওর ভিসা রেডি হলে তোকে জানাবো আমি। তখন ভেবে দেখবো কিভাবে কোথায় যাওয়া যায়৷
আমার নিজেকে নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। চিন্তা আমার রিমু কে নিয়ে৷ ওর সেফটিই আমার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এমন সময় রুমাইশা বাইরে এলো। সাফওয়ান ফোনে কথা বলছে দেখে সাফওয়ানের থেকে খানিক টা দুরত্ব বজায় রেখে নিজেও ছাদের রেলিঙ ঘেঁষে দাড়ালো, এমন জায়গায় যেন সাফওয়ানের কথা ওর কানে না আসে৷ তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা দেখতে লাগলো ও৷

রুমাইশা কে ছাদের কিনারায় দেখে একবার তাকালো সাফওয়ান তারপর আবার রাফসানের সাথে কথা বলায় মন দিলো। কিন্তু তখনি খটকা লাগলো ওর একটা৷

রাফসান ও পাশ থেকে বলছে
— ঠিক আছে, কাল তুমি রুমি কে নিয়ে এসো, আমি মাকে জানিয়ে রাখছি যে তোমরা আসছো কাল।

কিন্তু রাফসানের কোনো কথা সাফওয়ানের কানে গেলো না যেন৷ সাফওয়ান দ্বিতীয় বার আবার রুমাইশার দিকে তাকালো। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা রুমাইশার চোখ দুইটা সাফওয়ানের চোখের মতোই যেন দ্যুতি ছড়াচ্ছে। আর সেটা দেখে সাফওয়ানের চোয়াল নেমে গেলো।

সাফওয়ানের উত্তর না পেয়ে রাফসান হ্যালো হ্যালো করতে থাকলো ও পাশ থেকে৷ কিন্তু সাফওয়ানের সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ হলো না৷ ও রুমাইশা কে দেখতে থাকলো। আর তারপর কোনো কথা না বলেই কল কেটে দিয়ে দ্রুত বেগে রুমাইশার কাছে গেলো ও৷ গিয়েই ওকে নিজের দিকে ফেরালো সাফওয়ান। আর তারপর গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখতে থাকলো রুমাইশার চোখ দুটোকে।

সাফওয়ান এভাবে হঠাৎ করে এসে রুমাইশার দিকে এভাবে তাকানোয় ভ্যাবাচ্যাকা খেলো রুমাইশা৷ কিছুক্ষণ সন্দিহান চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
— কি ব্যাপার, আপনি এভাবে দেখছেন কেন আমাকে? আগে কখনো দেখননি নাকি?

সাফওয়ান কোনো কথা বলল না৷ রুমাইশার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো রুমে৷ আর গিয়েই রুমের লাইট গুলো অফ করে দিয়ে রুমাইশা কে আয়নার সামনে নিয়ে গিয়ে দাড় করিয়ে দিলো৷ অন্ধকারের ভেতর সামনে থাকা আয়নাতে নিজেকে দেখে নিজেই চমকে গেলো রুমাইশা৷ সাফওয়ানের চোখ দুইটার সাথে ওর নিজের চোখ দুইটাও উজ্জলতা ছড়াচ্ছে। চোখের ডিপ ব্রাউন লেন্স টা হঠাৎ করেই কেমন যেন লাইট ব্রাউন হয়ে গেছে৷ যার কারণে উজ্জলতা টা বেশিই প্রকট হয়ে আছে।

রুমাইশা অবাক হলো অনেক। সাফওয়ানের দিকে ফিরে বিস্মিত, ভীত গলায় জিজ্ঞেস করলো,
— কি হয়েছে আমার? আমার চোখ আপনার চোখের মতো দেখাচ্ছে কেন?

রুমাইশার প্রশ্নের কোনো উত্তর খুজে পেলো না সাফওয়ান। ও নিজেও হতবাক। তাড়াতাড়ি আবার গিয়ে রুমের লাইট অন করলো ও। তারপর রুমাইশা কে মুখ খুলতে বলল মুখের ভেতর টা দেখার জন্য৷ তারপর ড্রয়ার থেকে টর্চ টা বের করে রুমাইশার মুখের ভেতর টা ভালো ভাবে দেখলো সাফওয়ান৷ নিজের মতো রুমাইশার ও ক্যানাইন দাঁতদ্বয় সুচালো হয়ে আছে কিনা সেটাই পরখ করলো ও।

রুমাইশার ক্যানাইন দাঁতদ্বয় এমনিতেই সুচালো ছিলো। তাই সাফওয়ান বেশি চিন্তা করলো না। দাঁত গুলোকে ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করে রুমাইশার জিহবা টাও খেয়াল করে দেখলো সাফওয়ান। নাহ, আর কোনো সমস্যা নেই, তাহলে চোখ জোড়া এমন হলো কেন? এটা কি ফ্লুইডের প্রভাবে?

এরপর সাফওয়ান রুমাইশা কে জিজ্ঞেস করলো এই দুদিনের ভেতর এক বার ও ওর চোখে কোনো রকম যন্ত্রনা অনুভব করেছে কিনা ও, কিন্তু রুমাইশা মাথা নাড়িয়ে না বোঝালো৷

সাফওয়ান চিন্তায় পড়ে গেলো। এমন টা যে হতে পারে তা ওর মাথাতেই আসেনি।
স্টাডি টেবিলের ড্রয়ার টা চেইক করলো ও সেখানে কোনো আনইয়্যুজড সিরিঞ্জ আছে কিনা দেখতে। কিন্তু পেলো না। রুমের সব জায়গা গুলো একবার করে দেখলো কোনো সিরিঞ্জ পাওয়া যায় কিনা।
শেষমেশ কাবার্ডের ভেতর পেলো একটা সিরিঞ্জ। আর সেটা দিয়েই রুমাইশার হাতের কনুইএর শিরা থেকে এক সিরিঞ্জ রক্ত নিলো সাফওয়ান।

তারপর ল্যাবে যাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে গুছিয়ে নিলো। আর রুমাইশা কে বলল ঘুমিয়ে যেতে৷ রাতের ভেতরে সম্ভব হলে সাফওয়ান ফিরে আসবে, নইলে একবারে সকালে আসবে। আর তারপর ছাদ থেকে এক লাফ দিয়ে মাটিতে পড়ে জঙ্গলাভিমুখে রওনা দিলো ও৷

চিন্তিত মুখে রুমাইশা বসে রইলো বিছানায়। এখন কি সাফওয়ানের মতো ও নিজেও ওমন বিষাক্ত প্রাণি তে পরিণত হবে?

.

পূর্ব দিকে আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে। অন্ধকারে ডুবে থাকা ধরনী ক্রমে ক্রমে আলোকিত হচ্ছে৷ উত্তরের জঙ্গল টা ভোরের পাখিদের কলকাকলীতে মুখোরিত হয়ে আছে৷ আর সে জঙ্গলের মাঝখান টায় অবস্থিত ভুতুড়ে কুড়েঘরটার তলদেশে সাদা রঙা বিশালাকার ল্যাবের ভেতর চিন্তিত ভঙ্গিতে চেয়ারে বসে আছে সাফওয়ান। মুখে হাত দিয়ে তর্জনি দ্বারা কপাল আর বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা থুতনি ধরে বাম হাতের কনুই টা হাটুতে ঠেকিয়ে ডান হাত টা চেয়ারের হাতলের ওপর রেখে বসে আছে ও৷

একদিকে ওর নিজের দাঁতের ভেনম, অন্যদিকে ওর তৈরিকৃত ফ্লুইড, দুইটার প্রভাবেই রুমাইশার শরীরের পরিবর্তন হচ্ছে ধীরে ধীরে, আর সামনে আর ও পরিবর্তন আসবে৷ কিন্তু সে পরিবর্তন টা ব্যাথাহীন, কিন্তু খুবই দ্রুতগামী।

রুমাইশাকে আগে থেকেই এই পরিবর্তন গুলোর ব্যাপারে সতর্ক করা প্রয়োজন নইলে ও ভড়কে যাবে৷ সাফওয়ান চেয়ার ছেড়ে উঠে ল্যাব থেকে বের হলো৷ তারপর জঙ্গল পেরিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলো মেইন গেইট দিয়ে।

রুনিয়া নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে রান্না ঘরে যাচ্ছিলেন৷ সাফওয়ান কে এমন চিন্তিত মুখে এত সকালে বাইরে থেকে আসতে দেখে দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি। সাফওয়ান কাছাকাছি এলে জিজ্ঞেস করলেন,
— কি রে? এত সকালে কোথায় গেছিলি তুই? আর তোর মুখ টা এমন শুকনো শুকনো লাগছে কেন? সব ঠিক আছে তো?

সাফওয়ান মায়ের সামনে জোর করে মুখে হাসি ফুটালো। তারপর বলল,
— হ্যা মা, সব ঠিক আছে। আমি ঘুম থেকে উঠে একটু হাটতে বেরিয়েছিলাম৷ তুমি রান্না ঘরে যাও, আমি উপরে গিয়ে রিমু কে ডেকে দিচ্ছি।

বলেই সাফওয়ান রুনিয়া কে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সিড়িতে উঠে গেলো৷
রুনিয়া পেছন থেকে ছেলের যাওয়ার পানে চেয়ে রইলেন। সাফওয়ানের মুখের অভিব্যক্তি ওনার কাছে সুবিধার মনে হলো না মোটেও৷

সাফওয়ান ছাদে গিয়ে নিজের রুমে গেলো। রুমাইশা ঘুমিয়ে আছে বিছানায় এলোমেলো হয়ে। সাফওয়ান বিছানায় ওর পাশে গিয়ে বসলো। তারপর রুমাইশার মুখ টা একটু ভালোভাবে দেখে নিয়ে ওর গাল দুইটা আস্তে আস্তে চাপড়ে ঘুম থেকে ডেকে তুলল সাফওয়ান৷

রুমাইশা ঘুম ঘুম চোখে উঠে বসলো বিছানায়। সাফওয়ান ওকে ওয়াশরুমে গিয়ে দ্রুত ফ্রেশ হয়ে আসতে বলল। কিন্তু রুমাইশা ঘুমের চোটে বিছানায় বসেই ঢুলতে থাকলো। কয়েকবার বলার পর ও যখন রুমাইশা উঠলো না, তখন রুমাইশা কে ওর বাহুতলে হাত দিয়ে উঁচু করে কোলে নিলো সাফওয়ান। তারপর ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে বেসিনের সামনে ছেড়ে দিলো ওকে। এরপর রুমাইশা কে দ্রুত ফ্রেশ হতে বলে বাইরে চলে গেলো ও।

রুমাইশা ঘুম ঘুম চোখে দাঁত ব্রাশ করে হাত মুখ ধুয়ে বের হলো ওয়াশরুম থেকে। সাফওয়ান ওর অপেক্ষাতেই বিছানায় বসে ছিলো এতক্ষন। রুমাইশা কে ইশারায় নিজের পাশে বসতে বলল ও৷ রুমাইশা বিছানার ওপর পা তুলে সাফওয়ানের এত সকালের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শোনার জন্য মুখে হাত দিয়ে বসলো।

৪৬. পর পর তিন খানা সাদা রঙা মাইক্রোবাস রাস্তায় ছুটে চলেছে ভোরের সদ্য ওঠা আলোর ফাক দিয়ে। দ্রুত গতিতে ছুটছে সেগুলো। ছুটতে ছুটতে সেগুলো এক সময় এসে থামলো এক বিশাল জঙ্গলের পাশে।

তারপর মাঝের গাড়িতে ড্রাইভারের পাশের সিটে বসে থাকা দিয়েগো নামের যুবক ব্যাক্তি টি গাড়ির মাঝখানের সিটে বসে থাকা মধ্য বয়সী লুকাস নামক ব্যাক্তি টাকে ইংরেজিতে বলল,
— বস, সাফওয়ানের অবস্থান এই জঙ্গলের ভেতরেই, ট্র‍্যাকার সেটাই বলছে।

লুকাস নামক ব্যাক্তিটি তখন মুখে বাকা হাসি ফুটিয়ে স্বগোতক্তি করলেন,
— সাফওয়ান কে খুজে হারবার্ট এর হাতে তুলে দিতে পারলেই পুরো এক মিলিয়ন ডলার আমার! এই সুযোগ কোনো ভাবেই হাতছাড়া করা যাবে না। নইলে অন্য কেউ এসে সাফওয়ান কে খুজে পেলে, মিলিয়ন ডলার টাও তাদের পকেটে যাবে! আমার বাংলাদেশে আসা টাই বৃথা হবে৷

এরপর তিনি দিয়েগো কে বললেন,
— সবাইকে নামতে বলো, নেমে জঙ্গল টা তন্ন তন্ন করে খুজতে বল৷ সবাইকে সাফওয়ানের অবস্থান টা শেয়ার করে দাও। সে যেন কোনো ভাবেই পালাতে না পারে। কেউ যেন গান ছাড়া জঙ্গলে না ঢুকে৷ আর ওদের বলে দাও সাফওয়ান কে যেন কেউই হালকা ভাবে না নেয়, তাহলে কিন্তু মৃত্যি অনিবার্য৷

দিয়েগো লোক টা লুকাসের কথা শুনে সাথে সাথেই ওয়াকি টকি তে বাকি দের ইনফর্ম করে দিলো, আর সেই সাথে সাফওয়ানের অবস্থান টাও শেয়ার করে দিলো সবার কাছে।
আর তার কিছু মুহুর্ত পরেই ভারী পোশাকে সুসজ্জিত ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ জন ব্যাক্তি মারণাস্ত্র নিয়ে নেমে পড়লো গাড়ি থেকে আর নেমেই জঙ্গলের গভীরে হারিয়ে গেলো নিমিষেই।

(রিচেক করিনি, ভুল ভ্রান্তি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন 🖤)

Share This Article
Leave a comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।