সকাল থেকে ওয়াসেনাত কাজ করতে করতে টায়ার্ড।এখন বিকাল ৫ বাজে।৭টায় পার্টি শুরু হবে এখনও অনেক কাজ বাকি। ওয়াসেনাতের তো মাথা প্রচুর পরিমাণে গরম হয়ে আছে।তার এখন মন চাচ্ছে কর্মি গুলোরে ঘুষি মেরে নাক পাটিয়ে দিতে।সাথে ১০ বালতি ঠান্ডা পানি ডালতে।যাতে লোকগুলো ঠান্ডায় মরামরা হয়ে যায়।কারনে বিগত সময় থেকে ওদের দিয়ে সামান্য ষ্টেজটা রেডি করাতে পাড়ছে না।কখনো এটা ভুল করে তো কখনো ওইটা ভুল করে।ওওওহহহহ কি বিরক্ত কর কাজ ভাবা যায়।
আজকে খুব বড় একটা পার্টি।আজ বছরের সেরা বিজন্যাস টাইকুন এওয়ার্ড ফাংশন বলে কথা।আর এই পার্টি অর্গানাইজেশনের দায়িত্ব পরেছে ওয়াসেনাতের উপড়। ওয়াসেনাত সব সময় তার কাজ খুব মনোযোগের সাথে করে।এবারও তাই করেছে।
অরিএানের বিরক্ত লাগছে।আজ রাতে পার্টি আছে।তাই রাতের মিটিং গুলোও দিনে শেষ করতে হচ্ছে। তার উপড় কাজের চাপের জন্যে ওয়াসেনাতের সাথে দেখা করতে পারে নাই।ওয়াসেনাতকে না দেখলে তার নিজেকে কেমন যেনো পাগল পাগল লাগে। এখনও তেমনই লাগছে।
মাদৌলি সুযোগের অপেক্ষায় আছে। ওয়াসেনাতের সম্পর্কে সব তথ্য যোগার করছে।এবার সে বড় কিছু করার কথা ভাবছে।তার চিন্তা চেতনা সব জুড়ে অরিএানকে পাওয়ার পরিকল্পনা করছে।সে কিছুতেই অরিএানকে হারাতে চায় না।আজ পার্টিতে তারাও যাবে তাই সে তৈরি হচ্ছে। আজও অরিএানকে ইনপ্রস করার সুযোগ হাত ছাড়া করবে না।তাই রেডি হতে শুরু করে।আজ মাদৌলি পিংক ক্লারের একটি লং চিপা স্টনের ধারা আবৃত একটি ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরেছে।গলা কাধ দৃশ্য মান।গলায় স্টনের গহনা পরেছে।চুলগুলো কার্ল করে ছেড়ে দিয়েছে।ঠোঁটে লাল লিপস্টিক, আর সাথে মুখে মেকআপ করে নিয়েছে।কোনো নায়িকার চাইতে কম লাগছে না।তবে দেখা যাক নায়ক বাবাজীবন নায়িকাকে দেখে নাকি নায়িকার চাইতে কম লাগছে না এমন কাউকে😂😂🤣🤣
রিমির তাড়ায় পরে ওয়াসেনাত রেডি হতে চলে গেছে। আজ তারও একটা ব্যাস্ট দিন। কারন এই এওয়ার্ড ফাংশনে ওয়েডিং and পার্টি প্লেনারদেরও এওয়ার্ড দেওয়া হবে।যদিও ওয়াসেনাতের মনে হয়ে সে পাবে না।তারপরও এটা একটা ব্যাস্ট দিন।
ইহানের ঘুম নিন্দ্রা সব উড়ে গেছে ওয়াসেনাতের কথা ভাবতে ভাবতে। তার একটাই চিন্তা ওয়াসেনাতকে যে কোরোই হোক নিজের করা।সারা জীবনের জন্যে নিজের কাছে রাখা।তার এসব আকাশ পাতাল চিন্তার মাঝে তার বাবা বলে গেছে এওয়ার্ড ফাংশনে যেতে হবে। না চাই তেও তাকে যেতে হচ্ছে। তাই রেডি হচ্ছে। ইহান আজ নিজেকে সাদা শার্ট, নীল ব্লেজার, নীল পেন্টে সাজিয়েছে।ইহান বরাবরি সুদর্শন ছেলে। সে যেকোনো পার্টিতে নিজেকে সবার কাছে আরও সুন্দরতম ভাবে প্রেজেন্ট করতে পছন্দ করে তবে আজ কেনো যেনো তার ওত interest ফিল হচ্ছে না। কারন একটাই তার তো সব জুড়ে ওয়াসেনাত আর ওয়াসেনাত।
সবার চিন্তার ব্যক্তি কোই……………………………….🍁
ওয়াসেনাত আজ লাল পরী সাজবে।সে ঘোনা লাল রং এর সিল্কের কাপড়ের উপর গলায় ও হাতায় ছোটো স্টনের কাজ করা লং হাতা সম্পূর্ণ একটি গাউন পরেছে।মাথায় লাল রং এর সিল্কের হিজাব। হাত ভর্তি লাল কাঁচের চুড়ি।যদিও সে চুড়ি তেমন একটা দেখা যাচ্ছেনা তবুও তার ভালো লাগে তাই পরেছে।ওয়াসেনাত তেমন কাজল দেয় না।তার কাজল পড়তে ভালো লাগে না।কিন্তু তার মায়ের ইচ্ছে যাতে সে কাজল পড়ে তাই একপ্রকার বাদ্ধ হয়ে কাজল পড়েছে।ওয়াসেনাত লিপস্টিক দেয়না তার একটা অদ্ভুত কারন আছে।যে কারনের আগা মাথা তার ভাবনায় টুকে না।ওয়াসেনাত তার ঠোঁটে লিপস্টিক দিলে তার রং পরিবর্ত হয়ে যায়।আসলে ওয়াসেনাতের ঠোঁটের রং লাল টকটকে হওয়ায় এমনটা হয়।তাই ওয়াসেনাত তেমন একটা লিপস্টিক ইউস করে না।হাতে লাল স্টনের একটা পার্স নিয়ে মাকে বলে বাবার সাথে বেড়িয়ে আসে রিসোর্ট এর উদ্যেশে। তার বাবার বাইক আছে তাই ওনি মেয়েকে নামিয়ে দিয়ে আসবেন।
অরিএান খুব বিরক্তি মার্কা মুখ করে গাড়ি থেকে বের হলো। তাকে দেখে মনে হবে কেউ তাকে নিমপাতার জুসস করে অতিব যত্নের সাথে খাইয়ে দিয়েছে। তাই তার চাঁদের মত মুখ খানি এমন বাংলার পাঁচের মত হয়ে আছে।মিডিয়া টিডিয়াকে সরিয়ে অরিএানের গার্ডসরা তাকে ভিতরে নিয়ে আসে।অরিএান ভিতরে ডুকেই সোপায় গা এলিয়ে দেয়।তার যে এই পার্টিতে বিন্দু মাএও interest নেই তা তার মুখ দেখে সহজেই বুঝা যায়।রিমন সে অনেক আগে থেকেই অরিএানের দিকে প্রচণ্ড খোবের নজরে তাকিয়ে আছে।সে এটাই বুঝতে পারছে না অরিএানের এত বিরক্তির কারন কি।যবে থেকে এই অরিএান প্রেমে পড়েছে তবে থেকে রিমন অরিএানের মতি গতি কিছুই বুঝতে পারে না।ব্যাপারটা ভাবতেই রিমনের কেমন যানি কান্না কান্না ভাব হচ্ছে। আগেই তো ভালো ছিলো অরিএান কখন রাগ করে কখন তার মন ভালো থাকে সবই সে বুঝতে পাড়তো।কিন্তু এখন ব্যাপারটা কেমন যেনো এখন তো অরিএান রাগে না তেমন সুধু বিরক্তি মার্ক মুখ করে থাকে মনে হয় এসব কিছু তার কাছে অর্থহিন।আর রাগলে তো ভায়াবহ কান্ড যা ভেবে রিমনের খুব কোরে কাদতে ইচ্ছে করছে।এক কথায় যাকে বলে মাটিতে লুটিয়ে পরে কাঁদা।যাই হোক তার এখন এমন কিছু করেতে ইচ্ছে করলেও তা সে করতে পারবে না।মানইজ্জতের একটা ব্যাপর আছে না।তাই সে চুপ করে অরিএানের দিকে তাকিয়ে আছে আবার মাঝে মাঝে লোকেদের সাথে অরিএানের হয়ে কথা বলছে।
ইহান আসতেই তার বাবা সকলের সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়।মেয়েরা অরিএানের কাছে পাত্তা না পেয়ে এখন হইানের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে তবে কিছু করার নেই ইহান ও এখন অন্য খেয়ালে বিজি।ইহানেরও প্রচণ্ড বিরক্ত লাগছে।
মাদৌলি একদৃষ্টিতে অরিএানের দিকে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে এই ছেলে তাকে দিন দিন পাগল করে তুলছে।এতটা হেন্ডস্যাম না হলেই পারতো।কেনো যে অরিএান এত সুন্দর??তা সে ভেবে পায় না।
অরিএান আর ইহান সামনা সামনি বসে আছে। অরিএানের সামনের সোপায় ইহান বসে আছে। দুজনে দুজনার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।তাদের মুখে এখন আর বিরক্তি নেই। আছে শুধু রাগ আর রাগ।অরিএানের ইচ্ছে করছে ইহানকে খুন করতে তার অপরাধ কেনো সে ওয়াসেনাতের সাথে রেস্টুরেন্টে কথা বলেছে।আর ইহানের ইচ্ছে করছে অরিএানের মাথা ফাটিয়ে দিতে কারন একটাই ওয়াসেনাতকে কেনো অরিএান পছন্দ করে।আমি শুনেছি চোখে চোখে প্রেম হয় আর এবার দেখছি চোখে চোখে শত্রুতা উদ্ধার করছে🤣🤣🤣😂😂
বক্তব্য শেষ করে এওয়ার্ড দেওয়ার পালা।অরিএান বাংলাদেশে আসার পরেই অন্য কেউ এই এওয়ার্ড নিতে পারে নাই।তাহলে এবার কি তা চেন্জ হবে???না এবারও অরিএান পেয়েছে।অরিএান ষ্টেজে উঠতেই মেয়েরা তাকে চোখ দিয়ে গিলে খাওয়া শুরু করে ইসসস কি এট্যাটিউড পাগল করার মত।অরিএান এওয়ার্ডটা নিয়ে সোজা নেমে যায় কিছুই বলে না।ব্যাপারটায় সবার খারাপ লাগার কথা হলেও কারোরি তেমন খারাপ লাগে নি।কারন এত বছরের অভিজ্ঞাতা বলে কথা।মানে সে প্রতি বছরই এমন করে।
ওয়াসেনাতের বাসা রিসোর্ট থেকে অনেক দূরে তাই আসতে দেরি হয়েছে।ওয়াসেনাতের নাম এনাউজ করার সাথে সাথে অরিএান এবং ইহান অবাক হয়ে তাকে চোখ দিয়ে খুজতে শুরু করে।কয়েকবার এনাউজমেন্টের পরেও ওয়াসেনাতের দেখা মিলে না তাই তারা পরের জনকে ডাকা শুরু করতে যাবে ঠিক সে সময়ে একটা মেয়েলি কন্ঠে ওয়াসেনাত বলে চিৎকারের শব্দে সবাই পিছনে তাকায়….
ওয়াসেনাতের দিকে লাইট। আর ওয়াসেনাত হাবার মত তাকিয়ে আছে। ওয়াসেনাতের পাশেই অরুপ দাড়িয়ে।আজ ওদের কোম্পানি ব্যাস্ট প্লানার হিসেবে এওয়ার্ড পেয়েছে। তাই তার বাবা আসতে বলেছে।বাহিরে ওয়াসেনাতের সাথে দেখা হয় তাই কথা বলতে বলতে ভিতরে আশে। রিমির ফাটা বাশের মত গলায় চিৎকার শুনে দুজনি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।রিমি দুরে থেকেই বলে উঠে…….
__ওয়াসেনাত তুই এওয়ার্ড পেয়েছিস।তাড়াতাড়ি আয়
রিমিতো খুশির ডেলায় পাগল প্রেয়।আর ওই দিকে সবার চোখ ওয়াসেনাত নামের লাল পরীতে আটকে আছে।অরিএান তো সেন্সলেস হবে হবে ভাব। সে ভাবছে তার ফেইরিপরী তো আজ লালে সজ্জিত হয়ে পুরো লাল ফেইরিপরীতে রূপ নিয়েছে।লালে যে এত সুন্দর লাগবে ভাবা যায়।অরিএানের চোখ এবার ওয়াসেনাতের চোখে আটকা পরে আছে।নীলাভ চোখ কাজল কালো হয়ে আছে।ইসসসসস মেয়েটাকি অরিএানকে অল্পবয়সে পাগলাগারদে পাঠাতে যায় নাকি হাসপাতালে ব্যাপারটা অরিএান বুঝতে পারছে না।
অন্যদিকে ইহানের অবস্থাও খারাপ।তার তো এখন ওয়াসেনাতকে ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে।মেয়েটা আসলেই যে কতো সুন্দর তা সে কিছুতেই প্রকাশ করতে পারবে না।
হঠাৎ করেই অরিএানের নেশাকাতর চোখ রাগে লাল হয়ে উঠে।এটা এই সেই লাল না ভয়ংকর লাল।যে লালে সবাইকে ভস্ম করার মত শক্তি রাখে।অরিএান নিজের হাত গুলো মুষ্টি বদ্ধ করে নেয়।তার এই থমথমে অবস্থা ঝড়ের পূর্ব আভাস দিচ্ছে……….
চলবে…
ভুলগুলো আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন।আজকে দেরিতে দেওয়ার জন্যে sorry. আমি জানি অনেকেই রাত জেগে থাকেন গল্পের জন্যে।তাদেরও sorry আর ছোটো করে দেওয়ার জন্যেও sorry বলছি…