পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১৪

16 Min Read

অরিএানের মাথা রাগে ফেটে যাচ্ছে। সুধু যে অরিএানের মাথা রাগে ফাটছে ব্যাপারটা মোটেও তেমন না। অরিএানের সাথে আরও দুজনের রাগও বারছে।তবে তাদের মাঝে অরিএানের আর একজনে রাগের কারন একই কিন্তু বাকি জনের কারন আলাদা। কিন্তু সবার রাগ এক ব্যক্তিকে ঘিরে।

অরিএানের রাগের একমাএ অধিপতি অরুপ। তার সাথে ইহানেরও।আর মাদৌলি ওয়াসেনাতকে এখানে দেখেই রেগে আছে।অরিএানের রাগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।অরুপ খুশিতে ওয়াসেনাতের হাত ধরে আছে ব্যাপারটা তার বিন্দু মাএও পছন্দ হয়েছে বলে মনে হয় না।তাকে দেখে মনে হয় এখনই অরুপ বেচারাকে উপড়ে তুলে এক আছাড় দিবে একদম হাল্কের মতো😂😂।আর অন্যদিকে ইহানের তো তার চাইতে ভয়াবহ কিছু করতে হচ্ছে করছে। তাদের এসব করা করিতে ওয়াসেনাত পাত্তা না দিয়ে এক চিলতি হাসি দিয়ে ষ্টেজে চলে যায়।এওয়ার্ড নিয়ে সে অরুপদের কোম্পানি এবং রিমি আর অরুপের সম্পর্কে কথা বলা শুরু করে।যা দেখে অরিএান রাগ চড়কগাছে আরহন করা শুরু করে।

রিমনের কাঁদো কাঁদো অবস্থা। সে বেশ বুঝতে পারছে অরিএান রাগে ফস ফস করছে। কখন যে নিজের রাগের বহি প্রকাশ করে বসে আল্লাহ মালুম।এখন তো আবার মহা বিপদ চারিপাশে মিডিয়া আর মিডিয়া। একবার যদি পান থেকে চুন ঘষে পরে তাহলে যে এরা কি করবে তা ভাব নার বহিরে।এখনতো অরিএানের দাদাও নেতা মানুষ।তার সম্মনেরও তো ব্যাপার আছে।

ওয়াসেনাত তার বকবকানি শেষ করে খুশি খুশি মুখে রিমিকে জড়িয়ে ধরে।রিমিও খুশি।ওয়াসেনাতের তো খুশিতে ধাধিং ধিং তা করে নাচতে ইচ্ছে করছে।বেচারির খুশিতে যাতে কাড়ো নজর না লাগে।আমি বললেই তো হবে না।আল্লাহ ভালো যানে😁😁

মাদৌলি অরিএানের দিকে তাকিয়ে আছে।তার মাথায় একটা কথাই ডুকছে না।অরিএান এত রেগে যাচ্ছে কেনো।তার কাছে ব্যাপারটা অদ্ভুত লাগলেও সে আপাতোত তার এই লাগা টাগাকে এক সাইডে রেখে পার্টিতে মন দিচ্ছে।

আশেপাশে প্রচুর মিউজিকের সাউন্ড হচ্ছে অনেকে আবার নাচানাচিও করছে।ওয়াসেনাতের এগুলো এত বেশি পছন্দ না। তবে রিমির আবার জোসসস লাগে তাই সে ইন্জয় করতে ব্যস্ত। তবে অদ্ভুত ব্যাপার ওয়াসেনাতের সাথে না অরিএানের দেখা হল না ইহানের কিন্তু তারা দুজনি ওয়াসেনাতকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে।

অরুপ এসে হুট করে ওয়াসেনাতের হাত ধরে নিজের বন্ধু দের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।অরুপরা বিজন্যাস করে তাই তার বেশির ভাগ বান্ধু তার বাবা বিজন্যাস পার্টনারের ছেলেরা । ওয়াসেনাতের বিরক্ত লাগলেও কিছু বলে না।অরুপকে তো দেখলে মনে হবে সে আজ খুশিতে পাগল হয়ে যাবে।হওয়ারি কথা ওয়াসেনাত তার মনের মানুষ তার পাশে আছে।একটা ব্যাপার আছে না।😂😂তবে দুঃখের বিষয় তার এই ব্যাপারটা বেশিক্ষণ স্থাই হল না।তার আগেই ওয়াসেনাত বলে উঠে…………
__অরুপ আপনি তো যানেন আমি আজ সারাদিন কাজ করেছি so আমি খুব টায়ার্ড। আমি ওই দিকে বসি।
__ওই তোমার কি খুব খারাপ লাগছে।আমাকে বল।
__না না তেমন কিছু না।জাস্ট টায়ার্ড লাগছে।
__ok তুমি ওই দিকে বসো।

ওয়াসেনাত গুটি গুটি পায়ে কর্নারের একটা জায়গায় বসে পরে।এর মাঝেই আবার বিপদ এসে হাজির ইহান 🙄😒😒
ইহান এসে ওয়াসেনাতের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।দূর থেকে যে পরিমান সুন্দর লেগেছে।কাছ থেকে আরও অপরূপা লাগছে।কি সুন্দর চোখ জোড় তার এর চাইতেও সুন্দর ঠোঁটা জোড়া দেখলেই তাতে ডুব দিতে মন চায়।ওয়াসেনাতের কড়কস ভাষায় তার হুশ আসে………
__এই আপনি এখানেও চলে এলেন। আচ্ছা শয়তান তো আপনি।কি মনে করেন পিছনে পরে পরে বিরক্ত করবেন।ঠাডাইয়া দুই গালে থাপ্পড় দিয়া লাল করে দিমু।
__আমি রাজি
__ what😡😡
__তোমার হাতের নরম নরম থাপ্পড় খেতে আমি রাজি।🤗
__আচ্ছা বেহায়া তো আপনি।এতো বেহায়াপনা আসে কোথা থেকে।যতসব……

বলেই চলে যেতে নেয়।ইহান ওয়াসেনাতের হাত ধরে ফেলে ব্যাপারটায় ওয়াসেনাতের মাথায় আগুন ধরার মত অবস্থা হয়।তাই চোখ লাল করে তাকাতেই ইহান ওয়াসেনাতের হাত ছেড়ে দেয়।আর বলে উঠে……
__sorry but আমার তোমার সাথে কথা আছে।
__আমি শুনতে চাই না।আমার সামনে আপনাকে দ্বিতীয় বার আর যাতে না দেখি।ফাউললল পোলা।

কথাটা বলেই ওয়াসেনাত সেখান থেকে চলে যায়।আর ইহান রাগে গজগজ করতে করতে বলে উঠে……
__তুমি শুধু আমাকেই পাত্তা দেওনা ইগ্নর করো এটা কিন্তু মানা যায় না।আমাকে এভাবে তুমি বলতে পারো না।(বলেই হাতের গ্লাসটা নিচে ছুড়ে দেয়)যানি না প্রথম দেখায় কেউ প্রেমে পরে কি না তবে আমি তোমার প্রেমে না ভালোবাসায় অন্ধ হচ্ছি। যানি না শেষ পরিণতি কি হবে তবে তোমাকে আমি খুব করে চাই। কেনো চাই তাও যানি না??তবে প্রথম দেখায় আমি তোমাকে এত কেনো চাইতে শুরু করেছি??যানি না।আমি কিছু যানি না শুধু চাই তুমি আমার হয়ে থাকো।দরকার হলে আমার নামের শিকল পরিয়ে রাখবো।তবু তোমাকে নিজের কাছে রাখবো।তবে চিন্তা করো না।তোমাকে তোমার মত পবিত্রতার সাথেই নিজের করবো।sorry অরিএান তোর সাথে আমি অন্যায় করতে চাই না তবে কি করবো দুজনের সব কেনো এত মিলে তা আমি জানি না।কেনো সব সময় দুজনের প্রিয় জিনিস একই রকম হয়।কেনো???এটাও যানা নেই।

ওয়াসেনাতের মেজাজ প্রচণ্ড গরম হয়ে আছে।তার এখন মন চাচ্ছে এই ইহান নামের অপদার্থকে ১০০ বালতি গরম পানিতে চুবিয়ে নাইট্রোজেন আর হাইড্রোজেন মিক্সড করে শালারে পদার্থে পরিনত করতে।সাথে কিছু ভালো মানুষ হবার ফরমুলা দিয়ে দিতে।শালা আস্ত ফাউললল।একটা কথা এত বার বলার পরেও” পিছে তো দেখো” বলেই পিছনে হাজির হয়। শালা হাম্ভার দল।কথা গুলো ভাবতে ভাবতে ওয়াসরুমের দিকে যাচ্ছে। হঠাৎ একটা নরম কোমল হাত ওয়াসেনাতের ভিজা ভিজা ঠোঁট জোড়া চেপে ধরে তাকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে জোজা সিঁড়ি বেয়ে ছাদে নিয়ে আসে।ওয়াসেনাত প্রথমে অনেক নাড়াচাড়া করলেও পরে আর তেমন নাড়াচাড়া করে না।কারন সে বুঝতে পেড়েছে কে হতে পারে। ওয়াসেনাতের সম্পূর্ণ মনোযোগ অরিএান হাতের দিকে যা ওয়াসেনাতের ঠোঁট জোড়া চেপে আছে।অবাক হওয়ার ব্যাপার একটা ছেলের হাত এত নরম তুলতুলে হয় কিভাবে। আগে তো এত লক্ষ করে নি।আসলেই লোকটির হাত অতুলনীয় নরম টাইপের কিন্তু কিভাবে। এটাই ওয়াসেনাতের মাথায় আসছে না।সে অবাক সুধু অবাক না রিতিমত বিতরকৃত ভঙ্গিতে অবাক। কারন সে তার মনের সাথে বিতরক করছে আসলেই সে যাকে ভাবছে এটা তারই হাত নাকি অন্যকারো। ব্যাপারটা তার ছোটো খাটো বিশাল আজাইরা বুদ্ধি সম্পূর্ণ মাথায় ডুকছে না।হালকা ধাক্কা দিয়ে ছুড়ে দেওয়ায় ওয়াসেনাতের বেঘোর ভাবনার ছেঁদে ঘটে।

ওয়াসেনাত ধাক্কা খেয়ে পরে যেতে নেয়।আবার নিজেকে কোনো মতে ঠিক করে দাড় করায় আর সামনে তাকিয়ে সে আবাক না হয়ে ভয়ে ঢোক গিলে।কারন আর কি হবে অরিএান নিজের ভায়াবহ রূপ নিয়ে দাড়িয়ে আছে।ওয়াসেনাত এবার আগা মাথা না ঝুজে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদে কেঁদে বলে…………..
__এই কেবলাকান্ত ভাই সব সময় ভুতের মত করে এন্ট্রি না নিলে আপনার পেটের ভাত হজম হয় না বুঝি।একটা পুরাই ফালতু ফাউলললল লোক।😭😭আপনিতো মানুষ নাকি 😳তাইলে মানুষের মত আসেন না।ভুতের মত কখনো পিছন থেকে কোলে তুলে নিবেন তো কখনো হুটহাট করে জড়িয়ে ধরবেন এবারতো সব কিছুর উপরে পিছন থেকে মুখ চেপে একদম ছাদা নিয়ে এলেন।সত্যি করে বলেন তো আপনি মানুষ তো নাকি ভুতটুত।ভাই আগেই বলি আপনার চোখ দেখে আমার আপনারে ভুত ভুতই মনে হয়। তাই বলি কি আমার সাথে তো আপনার তেমন শত্রুতা নাই তাই বলছি আমার পিছা ছাড়েন।শালার দুই আবালের কাছ থেকে ছুটকারা পেয়ে এখন আবার তৃতীয় আবালের আমদানি। আর ভাললাগেনা।
__জাস্ট শাটআপ ড্যামেট (চিৎকার করে)

অরিএানের এমন চিৎকারে ওয়াসেনাতের সব কান্নারা তার সাথে আড়ি দিয়ে বিদায় হয়ে যায়।আর সাহসটা গলায় আটকা পরে। বেচারি কত কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু কিছুই বলতে পারছে না।কান্নাটাও তার সাথে মির্জাপরি করেছে।আর ভয়টা তার সাথে ভারতের মত বন্ধুর হাত বারিয়ে দিয়েছে।আর কাঁপাকাঁপি গুলো চিনের মত সাহায্য করছে ভালোবাসার নোকা পাহাড় বাইয়া চলে।এর মানে কাপাঁকাঁপি গুলো তার মাঝে ভালোবাসা নিয়ে ভর করছে।😂বেচারি।অরিএান খুব জোড়ে ওয়াসেনাতের হাতগুলো নিজের হাতের সাথে মুষ্টি বদ্ধ করে তাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে। আকর্ষিক ঘটনায় ওয়াসেনাত ভয়ে চোখ মুখ খিঁচে বন্ধকরে থাকে।আর অরিএান সে আর কি করবে ওয়াসেনাতের উপড় সব রাগ উবে গিয়ে সে মুগ্ধ দৃষ্টিতে একনজরে তাকিয়ে আছে ওয়াসেনাতের লাল লাল আভায় আবৃত মুখের দিকে।

নিরব পরিবেশ। হালকা হালকা বাতাস হচ্ছে। বাতাসের কারনে সুইমিংপুলে পানি গুলো হালকা হালকা নড়ে নড়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর সেই পানিতে দুটি প্রতিচ্ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে। ওয়াসেনাত এখনো চোখ বুজে আছে।আর অরিএান এখনও তার দিকে তাকিয়ে আছে।অরিএান ভাবছে ওয়াসেনাতের গালগুলো ছুঁয়ে দিতে আবার ভাবছে সে এমন করবে না।ওয়াসেনাতকে দেখলেই তার ওয়াসেনাতকে মনের খাচাঁয় বন্ধি করতে ইচ্ছে হয়।ওয়াসেনাত অনেকক্ষ চোখ বুজে আছে তার চোখ খুলতে ভয় করছে যদি চোখ খুলে অরিএানের ভায়াবহ রূপের সাথে তার পরিচয় হয় এই ভয়ে চোখ বুজে আছে।আবার ইচ্ছে করছে চোখ জোড়া খুলে একবার দেখতে রাগলে কিন্তু লোকটাকে সেই লাগে। কেমন যেনো লাল লাল নাক, গাল,ঠোঁট সব হয়ে থাকে।ভায়াবহ লাগলেও ওয়াসেনাতের কাছে ভালোই লাগে। এ যেন অন্য এক রূপ।

হঠাৎ অরিএান ওয়াসেনাতের চারিপাশ হিজাবে আবৃত মাঝের লাল গালে হাত রাখে।ইসস কি গরম হয়ে আছে।ব্যাপারটা ভাবতেই অরিএান হালকা হাসে।মেয়েটা যে তার ভয়ে এমন লাল হয়ে আছে এটা সে বুঝতে পারছে।তাই বলে উঠে………..
__অরুপের সাথে তোমার কিসের এত কথা??(ভায়াবহ গম্ভীর গলায়)

অরিএানের এমন প্রশ্নে ওয়াসেনাত ঠাসস করে চোখের পাতা জোড়া খুলে অবাক হয়ে অরিএানের দিকে তাকায় আর ভাবে লোকটা এই সামান্য একটা কথা যানার জন্যে তাকে এখানে নিয়ে এসেছে।কিন্তু কেনো।কি আজাইরা ফালতু প্রশ্ন ভাবতেই ওয়াসেনাতের রাগ লাগছে।অরিএানের এমন শীতল চাহনিতে ওয়াসেনাত আরো অবাক হয় কিভাবে একটা লোক কিছুক্ষণ আগে ভয়ংকর চাহনি দিয়ে এখন আবার শীতল চাহনি নিক্ষেপ করতে পারছে।ব্যাপারটা আসলেই অবাক হওয়ার মত হলেও ওয়াসেনাত এখন অরিএানের করা ফালতু আর বোকাছ প্রশ্নের কড়াকড়ি জবাব দিবে বলে প্রস্তুতি নিয়ে বলে উঠে…………
__আপনি কি আপনার এমন ফালতু প্রশ্ন করার জন্যে আমাকে নিয়ে এসেছেন।😡😡😡
__তোমার কাছে আমার এই প্রশ্ন ফালতু লাগছে😠😠
__আবশ্যই। এনি ডাউট😒😒
__ইয়েস
__কিন্তু কেনো??
__কেনো মানে কি।তুমি অরুপের সাথে কেনো কথা বলেছ??কেনো?? why 😡😡আনসার মি ড্যামেট 😡😡(চিৎকার করে)
__আমি ওনার অফিসে জব করি আর ওনি আমার খুব ভালো বন্ধুও তাই।আর আপনাকে আমি কেনো বলছে।আমার ইচ্ছে আমি কথা বলেছি।এতে কার বাপের কি।(প্রথমে ভয় পেলেও পরে সাহস করে বলে উঠে)
__কারো বাপের কিছু না শুধু আমার অনেক কিছু।যাই হোক তুমি ইহান আর অরুপ থেকে দূরে থাকবে।plzzআমি চাই না তোমার ভাগ অন্য কারোকে দিতে।😥😥

অরিএান কিছুতেই ওয়াসেনাতের সাথে জোর জবর্দস্তি করতে চায় না।সে তার আসল রূপ সব সময় ওয়াসেনাতের কাছে লুকিয়ে রাখতে চায়।এবার দেখা যাক তা লুকিয়ে থাকে কিনা।ওয়াসেনাত হা করে আছে লোকটা কি বলছে তার মাথায় ডুকছেনা।এদানিং এই লোকের সাথে দেখা হবার পর থেকে ওয়াসেনাতের মাথা কাজ করতে ছেড়ে দিয়েছে।কি বলে না বলে কিছুই তার মাথায় ডুকে না।তাই আবুলের মত বলে উঠে……
__মানে🙄🙄
__আমি কোন মানে টানে যানি না।জানি শুরু তুমি আমার।তোমাকে আমার হয়েই থাকতে হবে।কোন ইহান বা অরুপ কেউ তোমার অধিকার পাওয়ার ক্ষমতা রাখেনা আমি ছাড়া।তুমি আমার সেই ফুল যা আমার হৃদয়ে নিজের শীতল কোমল পাপড়ির ছোঁয়া দিয়েছ।তুমি সেই যে আমাকে নতুন করে তোমাদের মেয়ে জাতিকে ভিন্ন চোখে দেখতে শিখিয়েছ। তুমি সে যে আমার #পাথরের_বুকে_ফুল হয়ে জন্মেছ।তবে কেনো তোমার অধিকার আমি অন্যকারো সাথে ভাগ করবো।বলো কেনো???না আমি তা কখনোই করবো না।কিছু তেই না।তুমি আমার শুধু আমার ফুল।হালকা ধাক্কা খেয়ে অরিএানের হুশ আসে।সে এতক্ষণ নিজের মনকে এই কথাগুলো বলছিলো।😝😝
__আপনাকে আমি কিছু জিগ্যেস করেছি।(বিরক্ত নিয়ে)
__ওও আসলে তুমি আমার একমাএ মেয়ে বন্ধু তাই তোমাকে শেয়ার করতে পারবো না কারো সাথে তাই আমি চাই তুমি ছেলেদের মধ্যে শুধু আমার সাথেই মিশো আর কারো সাথে না।
__আমি আপনার কথা কেনো মানবো(ভাব নিয়ে)
__বিনিময়ে তুমি যা বলবে তাই হবে।
__সত্যি
__হুম 100%
__ঠিক আছে প্রতি শুক্রবারে আমাদের সাথে ঘুরতে যেতে হবে,আইসক্রিম, ফুচকা,মাঝে মাঝে বিরিয়ানি ও খাওয়াতে হবে।তবে আমরা অত লুভি না মাঝে মাঝে আপনাকেও খাওয়াবো।

অরিএান হা করে তাকিয়ে আছে। এত সিম্পল কারো চাওয়া হতে পারে এটা তার যানা ছিলো না।
__হাবার মত হা করে থাকলে মশা ডুকে যাবে। আমার হাত ছাড়েন না।আপনার কথা তো মেনে নিয়েছি।

অরিএান ওয়াসেনাতের হাত ছেড়ে দেয়।ওয়াসেনাত নিজের জামাটা উপরে তুলে পায়জামা একটু উপরে তুলে সুইমিংপুলে পা ভিজিয়ে বসে আর অরিএানকেও হাত দিয়ে ইশারা করে বসতে বলে অরিএানও বাদ্ধ ছেলের মত ওয়াসেনাতের পাশে বসে পরে। ওয়াসেনাতের দৃষ্টি ওই দূর আকাশের চাদেঁর দিকে আর অরিএানের চোখ ওয়াসেনাতের দিকে চাঁদের আলোতে কি উজ্জ্বল আর অমাইক লাগছে মেয়েটাকে কতটা পবিত্র তার মুখশ্রী??।তা তার দিকে তাকালেই বুঝা যায়।ওয়াসেনাতের প্রশ্নে খুব অবাক হল…….
__আপনার বাসা কোথায়(পূর্বের নেয় দৃষ্টি রেখে)
__নেই
__মানে(অবাক চোখে তাকিয়ে)
__মানে আমার কোনো বাসা নেই।
__এই আপনি বরাবর এত বোকাছ কথা কোথায় পান বলেন তো কখনো বলেন আপনার নাম নেই তো কখনো বলেন বাসা নাই।পাগলটাগল নাকি(বিরক্ত মার্কা মুখ করে)
__আচ্ছা আমার প্রশ্নের উওর দেও আমিও তোমারটা দিবো।বলো বাসার মুল চালানি শক্তি কে বা কারা ???
__কে আবার মা, বাব,পরিবার
__এগুলো তো আমার নেই তাই বাসাটাও নেই।

ওয়াসেনাত বেশ আহত চোখে অরিএানের দিকে তাকায়।আসলেই পরিবার ছাড়া মানুষ কতই না অসহায় তা অরিএানকে দেখে ওয়াসেনাত হারে হারে বুঝতে পারছে।এই ছেলেটা অনেক কষ্টে আছে।তাই তো ওয়াসেনাত এর সঙ্গ দিতে ভালোবাসে।মহান আল্লাহ বলেছে অসহায়কে সাহায্য করতে।শুধু টাকা পয়সা না থাকলেই কেউ অসহায় হয় ব্যাপারটা ওয়াসেনাতের কাছে নিতান্তই ভুল ধারনা।তার মতে যার মনে দুঃখ ভাণ্ডার বেশি সেই প্রকৃত অসহায়।আর ওয়াসেনাতের অরিএানকে দেখে এখন এমনই মনে হচ্ছে। ওয়াসেনাত অরিএানের হাতের উপড় নিজের হাত রাখে অরিএান ব্যাপারটায় বেশ অবাক হয়।ওয়াসেনাত বলে উঠে…………….
__একদিক সকল কেই ওই মহান আল্লাহর কাছে যেতে হবে।আজ আমি তো কাল আপনি।অর্থ সম্পদ কিছুই সাথে যাবে না।যা যাবে তা আমাদের কর্ম মানে নেক আমাল।আপনি কিন্তু পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পরবেন।আর হ্যাঁ আপনার কেউ নেই তো কি হয়েছে মহান আল্লাহ আছে।তিমিই তো সবার পরিবার।দেখেন পৃথিবীর সকল কিছু আপনাকে ছেড়ে দিলেও আল্লাহ আপনাকে ছাড়বেন না।আর পরিবার তো আপন জনদের নিয়েই হয়। যারা আপনার সাথে থাকে।প্রকৃত পক্ষে আমাদের আপন বলতে ওই উপড়ের জন বাদে আর কেউ নেই তাহলে আমাদের আসল পরিবার তো আল্লাহ। অন্ধকারে কিন্তু আপনার ওতি আপন ছায়াও মির্জাপরি করে আপনাকে একা রেখে চলে যায় কিন্তু মহান আল্লাহ যায় না।so পরিবার নাই এটা আর বলবেন না।(এক অমাইক হাসি দিয়ে)

অরিএান শুধু তাকিয়ে আছে। আছে তো আছেই।তার বলার ভাষা নেই সত্যি নেই।আজ তারো মনে হচ্ছে আল্লাহ তার সাথে অতপ্রত ভাবে আছে।তার অন্তরেও তারই বসবাস রয়েছে।আর এই মেয়ে তার বিশেষ নেয়ামত তার জন্যে তবে কেনো বাড়ি হবে না তার। হুম তারও বাড়ি হবে।আসলে বাড়িতো তার অনেক আছে এবার তার পরিবার হবে।কথাটা ভেবেই হালকা হাসলো যা ওয়াসেনাতের বোধগম্য হল না। তাই রুক্ষ দৃষ্টি নেক্ষেপ করে আবার চাঁদের দিকে তাকালো আর অরিএান ওয়াসেনাতের দিকে…

চলবে…

ভুলগুলো মহান আল্লাহর দেওয়ার গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন।🍁
ধন্যবাদ 🍁🍂

Share This Article
Leave a comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।